Posts

Showing posts from February, 2025

জীবন যুদ্ধ

 জীবন যুদ্ধ  খাদিজা বেগম  জীবন যুদ্ধে যোদ্ধা সবাই  যুদ্ধ করি এই জীবনটা বাঁচাতে, স্বাধীন থেকেও বান্ধি আমরা  ভাগ্য নামের অদৃশ্য এক খাঁচাতে।। ভুলের পরেও ভুল হয়ে যায় তাইতো যুদ্ধ ভুলের সাথে নিত্যদিন, দুঃখ কষ্ট কান্না ভুলে  যুদ্ধ করি এই মুখ রাখতে অমলিন। বারে বারে ফিরে আসি  মরণ থেকে বেঁচে থাকার আশাতে।। যুদ্ধ করি নিজের সম্মান  ধরে রেখে আরও একটু বাড়াতে,  লোভের সাথে যুদ্ধ করি  হয় না যেন নৈতিকতা হারাতে।। যুদ্ধ করি নিজের সাথে  হিংসা বিদ্বেষ পরনিন্দা তাড়াতে, যুদ্ধ করি স্বার্থ ভুলে  বিপদগ্রস্ত লোকের পাশে দাঁড়াতে।  নীতি রক্ষার যুদ্ধ করি  আদেশ-নিষেধ করি মাতৃ ভাষাতে।।

শুকনো পাতার মত

 শুকনো পাতার মত খাদিজা বেগম  আমার দুটি নয়ন যেন  ঝরে পড়া শুকনো পাতার মত, কাঁদতে কাঁদতে শুষ্ক হলো ছিল আমার নয়নের জল যত।। স্বপ্নগুলো ঝরে গেল  খুব নীরবে চোখের কান্না হয়ে, দেখলে না তা দেখেও তুমি পাঁজর ভাঙলো কষ্টের বন্যা হয়ে। এই হৃদয়টা খুব রক্তাক্ত বইবো কত রক্ত ঝরা ক্ষত।। বুকের মাঝে কষ্টের পাহাড়  তাইতো আমার সুখ অনুভব হয় না,  দুই নয়নের ঘুম এলে ও  সুখের স্বপ্ন আমায় ধরা দেয় না।। সুখ হয়েছে চির শত্রু  আমার দুঃখ হলো চির মিত্র,  তাইতো এখন সুখ দেখি না  চারিদিকে দুঃখ দিবা রাত্র। মন বুঝলে না বুঝেও তুমি  আপন হয়েও রইলে পরেরে মত।।

কাঁচা মাটির খাঁচা

 কাঁচা মাটির খাঁচা  খাদিজা বেগম  একটা কাঁচা মাটির খাঁচায়  দুইটা পাখি আসে আর যায়,  একটা পাখি আসলে পরে  খাঁচা ছেড়ে আর একটা যায়।। কাঁচা মাটি এই খাঁচা টা  পাখি ছাড়া ভেঙে যাবে, এমন পাখি কে গড়েছে  এত সুন্দর নিপুণ ভাবে? ধরা যায় না ছোঁয়া যায় না  বন্দি করার ণেই তা উপায়।। একটা থাকে ঘুমের ঘোরে  আর একটা ঘুম ভাঙার পরে,  কোন দিন জানি যাবে উড়ে  আর আসবে না খাচার ঘরে।। সারা জীবন শুনছি এমন  খাঁচায় পোষে পোষা পাখি,  একটু ভেবে উল্টা দেখি  খাঁচা পুষে রাখে পাখি। খাঁচা কাঁদে পাখির মায়ায়  পাখি যদি ফিরে না আয়।।

দাবার গুটি

  দাবার গুটি খাদিজা বেগম আমরা সবাই দাবার গুটি পৃথিবীটা যেন একটা দাবার বোর্ড, এই খেলাটা খেলাও তুমি শুধু তোমার হাতেই থাকে এর রিমোট।। কাউকে রাখো অতি উচ্চে  কাউকে তুমি নামিয়ে দাও খুব নিচে, কাউকে ঘুরাও পথে পথে কেউ বা হারায় ঘুরে ঘুরে তার দিশে। তুমি সাজাও তুমি খেলাও তুমি তুলে রাখ সবার সব নোট।। কাউকে তুমি দিয়ে রাখছো অশেষ অর্থ লাগামহীনা ক্ষমতা, যা খুশি তাই করে বেড়াই সবাই যেন বাধ্য মানতে তার কথা।। সব ক্ষমতার মালিক তুমি তাইতো নামাও তুমি তারে ঘার ধরে, যে ভুলে যাই তোমার বাণী তার ক্ষমতা নিমেষেই দাও শেষ করে। দেহ নামের এই শরীরে পাপ আর পুণ্যের খেলা চলে বেঁধে জোট।। মাঝে মাঝে এমন দেখায় এক সামান্য সৈনিক রাজা কে আটকায়, কি যে দারুন খেলা খেলো ও দয়াময় তোমার খেলা বোঝা দায়। কি দিয়া যে মন বানাইছো সবার মনে হাসি ভরা কান্নার চোট।।

নারীর সম্মান

 নারীর সম্মান  খাদিজা বেগম  নারীর সম্মান দিতে হবে  নারীর সম্মান নারী জাতির পাওনা, পাওনা সম্মান তবু কেন  কৃপণতার কারণে তা দাও না।।  অন্য লোকের মায়ের প্রতি  সম্মান দেখাও নিজের মায়ের মত,  ছেলেরা মা হোক মেয়ের মা হোক  কারো মায়ের মন করো না ক্ষত। সকলের মা ভালো থাকুক  বলো বলো তোমরা কি তা চাওনা? আজ যে মেয়ে জন্ম নিল  ভবিষ্যতে মা হবে তো সেও,  তাই মেয়েদের নারীত্বকে  শ্রদ্ধা ভক্তির সাথে সম্মান দিও।। ছোট বড় সব নারীকে  মানুষ ভেবে মানবতা দেখাও,  ছোট থেকে সন্তানদের কে  নারীর প্রতি সম্মান রাখা শেখাও। কুপ্রবৃত্তি ঝেড়ে ফেলে  মানুষ হয়ে নারীর জয় গান গাও না।

জিহাদ

 জিহাদ  খাদিজা বেগম   নফসের সাথে জিহাদ করা  সেরা জিহাদ, তা জিহাদে আকবর, এই জিহাদে বিজয়ী যে  তার জন্য ওই জান্নাতের সুখবর।। নফস মানে কুপ্রবৃত্তি লোভ লালসা চাঁদাবাজি চুরি, নিজের লাভের কথা ভেবে  অন্যজনার গলায় ধরা ছুরি। সুপ্রবৃত্তি মানে হল  পরোপকার, সুস্থ ভাবনা, সবর।। এক মানুষের ভিতর থাকে  কুপ্রবৃত্তি সুপ্রবৃত্তি উভয়, কুপ্রবৃত্তি ঝেড়ে ফেলে  সুপ্রবৃত্তির চর্চাতে হয় বিজয়।। সত্যিকারের মানুষ যারা  তারা শান্তি পায় না মন্দ কাজে,  অমানুষে অন্যায় করে  এই সমাজে ভালো মানুষ সাজে।  যেমন কর্ম তেমনি ফল  দিয়ে দেবেন ন্যায় বিচারক ঈশ্বর।। কাম, ক্রোধ আর লোভ কুপ্রবৃত্তি কারো চোখে দেখা যায় না কভু, তবু আছে সবার মাঝে  এসব দিয়ে পরীক্ষা নেয় প্রভু।  সকল অন্যায় দমন করে  ন্যায়ের পক্ষে দাও মানুষের স্বাক্ষর।।

ছাই হয়ে যায় হিয়া

 ছাই হয়ে যায় হিয়া  খাদিজা বেগম  তুমি ছিলে ভড়া বাড়ি   আমি ছিলাম তোমার ভাড়াটিয়া, আমায় তুমি ঠাই দিয়েছো  মাসে মাসে টাকার বান্ডিল নিয়া।। আজ টাকা নাই এই পকেটে  তাইতো আমি পথে পথে ঘুরি,  নাটাই ও নাই সুতাও নাই  আমি এখন সর্বহারা ঘুড়ি। ছন্নছাড়া জীবন আমার  ভালবেসে তোমাকে মন দিয়া।। তুমি ছিলে আনন্দ পথ  আমি ছিলাম তোমার পথের পথিক, তুমি আছো তোমার জায়গায়  আমি হাঁটতে হাঁটতে হলাম বেদিক।। মনে প্রাণে চেয়েছিলাম  বড় আপন করে তোমায় আমি, আমার চাওয়ার খাত ছিলনা আমার কথা জানে অন্তর্যামী। তবু তোমার মায়ার আমার  জ্বলে পুড়ে ছাই হয়ে যায় হিয়া।।

মানুষ হ

 মানুষ হ খাদিজা বেগম  ওরে ও ও চাঁদাবাজি  আবার তোরা মানুষ হ, সাদা কেও সাদা ক রে  কালা কেও কালা ক।। মানুষ যদি না হয় মানুষ  সমাজ, রাষ্ট্র বাঁচে না,  মানুষ থাকে স্বাধীন মানুষ টাকা পয়সার দাসে না।  ল যাই সত্য ন্যায়ের পথে  সত্য ন্যায়ের পথে ল।। আর কতকাল ধান্দাবাজি  চান্দাবাজি চালাবি? অসৎ পথে আজ চলিলে  কাল তো ঠিকই পালাবি। ন্যায় হলো ভাই রক্ষাকারী  সে তো কাউকে মারে না, অন্যায় হলো ধ্বংসকারী  সে তো কাউকে ছাড়ে না। পাপ অন্যায়ে শেষ না হয়ে  আবার তোরা মানুষ হ।।

ঘরের নায়ক

 ঘরের নায়ক খাদিজা বেগম  ঘরের নায়ক তো কবিতার মত নয়,  কি করে যে তাকে কবিতার মতো ভালোবাসা যায়?  সে তো কবিতার চেয়ে আরও বড় কিছু , তাই কবিতা রেখে দিয়ে আমি ঘুরি তার পিছু পিছু! ঘরের নায়ক সে তো মনের মানুষ,  এক পলক না দেখিলে তারে আমি হয়ে যাই বেহুশ। তার সাথে মন বেঁধেছি ভালোবেসে খুব  একটুখানি সুযোগ পেলেই তার প্রেমেতে দেই ডুব। তাকে আপন করে পাবার জন্য আমি  ছেড়েছি আমার আপন ঠিকানা গ্ৰাম, ছেড়েছি রক্তের বাঁধন পিতা-মাত এত কিছু ছাড়ার পরেও পেয়েছি আমি দুর্নাম। তাকে দামি ভেবে আমি হয়েছি সস্তা  তাইতো সে আমাকে দেয়নি একটুখানি দাম। আমার করে পাবার আশায় আশায়  আশীর্বাদ ভেবে মাথায় রেখেছি শত বদনাম। #khadijabegum #খাদিজাবেগম #fatihaayat #বাংলাদেশ #বরিশাল #yunusgovernment #কবিতা

তোমায় খুঁজি

 তোমায় খুঁজি  খাদিজা বেগম  মনের ভিতর আছো বলে লোকের ভিতর আমি তোমায় খুঁজি, বারে বারে এই মনে হয়  তুমি আমায় খুঁজিতেছো বুঝি।। মন গভীরে তোমারি ঘ্রাণ  তোমার ঘ্রাণে মন উতালা আমার, কোথায় গেলে পাবো তোমায়  পাবো আমি তোমার ছোঁয়া আবার। রাত নিশিতে তোমায় খুঁজি  ঘুমের ঘোরে খুঁজি দুচোখ বুজি।। অনুভবে অনুক্ষণে  মনে মনে পাই তোমাকে আমি, তুমি ছাড়া নাই কিছু আর  এই জীবনে অন্য কিছু দামি।। প্রথম যেমন ছুঁয়েছিলে  দাও ছুঁয়ে দাও আমায় তেমন করে, তোমার ছোঁয়া পাওয়ার জন্য  দুই নয়নে শ্রাবন ধারা ঝরে।  আমার কাছে আছে শুধু  তোমারি প্রেম ভালবাসার পুঁজি।।

কানামাছি

 কানামাছি  খাদিজা বেগম  কানামাছি কানামাছি  আয় খেলাবি বিকানামাছি খেলা, দুজন মিলে খেলে খেলে  আলো ছায়ায় কেটে যাবে বেলা।। আমি যদি দেখি চোখে  তুই হবি তো দুচোখ বাঁধা কানা, চোখ থাকিতে অন্ধ হয়ে  জানতে হবে অজানাকে জানা। আয় ভেসে যাই নীল আকাশে  যেথায় ভেসে বেড়ায় মেঘের ভেলা।। দুজন মিলে দেখলে চোখে  এই খেলাটা খেলা যাবে না তো,  একজন দেখলে অন্য জনকে  থাকতে হবে কানা অন্ধের মত।। এই খেলাটায় শেখার আছে  অনেক কিছু যদি শিখতে পারো, অনেক কিছু ধরতে পারলেও  না ধরে তা নিজে থেকে ছাড়ো। সংযমী লোক সবার প্রিয়  তার হৃদয়ে স্বর্গ সুখের মেলা।।

বিরহের সুর বাজে

 বিরহের সুর বাজে  খাদিজা বেগম  ক্ষণে ক্ষণে হিয়ার মাঝে  বিরহের সুর বাজে, প্রাণটা করে উরু উরু  মন বসে না কাজে।। মন আকাশে প্রখর রৌদ্র  প্রেম পিপাসায় হৃদয় ফাটে,  আর কতকাল থাকবে নৌকা  এমনি বাঁধা ঘাটে? মন মাঝি গো বৈঠা ধরো এসো মাঝির সাজে।। পাল তুলে দাও দক্ষিণ হাওয়ায়  নৌকা ভাসাও গাঙ্গে,  শক্ত হতে বৈঠা ধরে  থাকো আমার সঙ্গে।। প্রেমের গাঙ্গে ঝড় উঠেছে  কে দেবে তা সামাল, এই বিপদে সঙ্গে থেকো  আমার মন বেসামাল।। অনেক কথা বলতে গিয়েও  মুখ থেমে যায় লাজে।।

তোমায় পাবার ধ্যানে

 তোমায় পাবার ধ্যানে  খাদিজা বেগম  তুমি নতুন নতুন রূপে আসো তোমাকে পাই পুষ্প ঘ্রাণে ঘ্রাণে, দেখি শিশির ভেজা ঘাসের ডগায়  আবার শুনি পাখির গানে গানে।। তোমায় দেখি নীল সাগরের ঢেউয়ে  আবার দেখি ঐ আকাশের নীলে, তোমায় দেখি সবুজ পাতায় পাতায়  তোমাকে পাই অনুভবে দিলে । তোমাকে পাই মাঝির চোখে মুখে  তোমায় ভেবে মাঝিরা দার টানে‌।। তুমি আসো ভয়ংকর রূপ নিয়ে তোমায় দেখি কালবৈশাখী ঝড়ে,  তোমার ঝড়ের খুব তাণ্ডবে কত মানুষ, পশু, পাখি যাচ্ছে মরে।। তুমি আসো কখনো সুখ হয়ে তোমার আসার সুখে কাঁদে নয়ন,  কভু তুমি আসো দুঃখ হয়ে  তোমার দুঃখে কেঁপে উঠে ভুবন। তোমাকে পাই পেতে পেতে হারাই  তবু থাকি তোমার পাবার ধ্যানে।।

দুঃখ বিলাসী হৃদয়

 দুঃখ বিলাসী হৃদয়  খাদিজা বেগম  পলকে পলকে আমি দেখি চোখে  রুপের ঝলক উথলে উথলে পড়ে, এই পৃথিবী এত উজ্বালা হয়েছে  শুধু যে তোমারি রূপের আগুন ঝরে।। চোখে চোখে ভাসে তোমারি আবির  আকাশের নীল সাগরের বুকে মাখে, নীল সাগরের ঢেউয়ে ঢেউয়ে  তাইতো তোমাকেই দিবানিশি শুধু ডাকে। তোমাকে পাবার নেশাতে পাগল  পাগল হয়ে ছুটে বুঝি ঐ কালবৈশাখী ঝড়ে।। এই ধরার মাঝে অধরা যে তুমি  তাই তোমাকে ছোঁয়া যাবে না যাবে না ধরা, তবু এই ধরাটা গড়িতেছ তুমি তোমারি ছোঁয়াতে তোমারি আলোতে গড়া।। মাটির ভিতরে এত অনুভূতি  কোথা থেকে আসে মুখে এত এত কথা? না চাহিতে তুমি দিয়েছো কত যে কি  তা লিখে হবে না শেষ আকাশের খাতা। তবুও দুঃখ বিলাসী হৃদয়  যা নেই তা নিয়েই বারেবারে কেঁদে মরে।।

মুক্ত করো

 মুক্ত করো  খাদিজা বেগম  লোভ লালসা মুক্ত করো যুক্ত করো তোমার সাথে আমায়, সুন্দর করো উজ্জ্বল করো না হলে কি তোমার সাথে মানায়?? নির্মূল করো হিংসা বিদ্বেষ  বিকশিত করো আমার হৃদয়, মঙ্গল করো সাবধান কর অপচয় যে না করি এই সময়। আমি আঁধার পথের পথিক  তুমি ছাড়া নাই তো কোনো উপায়।।  নিরুপায় নয় ভরোসা দাও  নির্ভয় কারো সাহস যোগাও তুমি, তোমায় বিনে ধ্বংস হবো  আমি হবো ধুধু মরুভূমি।। আধার নিঝুম তিমির রাতে  আমায় করো আলোকিত,  তোমায় ভালোবেসে আমি  হইনা যেন কলঙ্কিত। কলুষিত অন্তর আমার  বিকশিত করো তোমার দয়ায়।।

অশেষ

 অশেষ  খাদিজা বেগম  মরণে সব হবে না শেষ  শেষের পরেও অশেষ আছে,  অমর জীবন মানব জীবন  মানুষ মরার পরেই বাঁচে।। পশু পাখি বৃক্ষলতা  এক মরণে শেষ হয়ে যায়,  মানবজাতি পরীক্ষার্থী  পরীক্ষা দেয় এই দুনিয়ায়।  পরীক্ষার ফল দিবেন যিনি  সাক্ষী প্রমান সব তার কাছে।। কথায় কথায় পরীক্ষা হয়  পায়ে পায়ে পরিক্ষা হয়, হাতের ছোঁয়ায় পরীক্ষা হয় যে বুঝে সে সাবধানে রয়।। অসাবধানে যে ভুল করে  ক্ষমা চাইলে পাবে ক্ষমা,  লোভে পড়ে পাপ করে যে  তার শাস্তিও আছে জমা। ধরলে একবার ছাড়বে না আর মরণ তোমার চারিপাশে।।

আমার চাওয়া

 আমার চাওয়া  খাদিজা বেগম  আমায় একটু শক্তি দিও  তোমায় যেন করতে পারি অনুভব, আমায় একটু বুদ্ধি দিও  তোমায় যেন ভাবতে পারি আমার সব।। আমার ভিতর ভক্তি দিও  তোমায় যেন ডাকতে পারি মন ভরে,  আমার ডাকে সাড়া দিও  যখন তোমায় ডেকে ডেকে চোখ ঝরে। তোমার প্রতি রেখো আমার  সত্য- সুন্দর শ্রদ্ধা ভরা মনোভাব।। আমার মুখে শক্তি দিও  চাইতে পারি যেন তোমার করুণা,  চলার পথে আলো দিও  আমায় ঘিরে রেখো তোমার অরুণা।। আমায় একটু দৃষ্টি দিও  তোমায় যেন দেখতে পারি সবখানে, আমায় তুমি ক্ষমা করো  ক্ষমা না চাই যদি আমার অজ্ঞানে। আমার চাওয়া পূরণ করো  তোমার কাছে নাই কিছুই অসম্ভব।।

অসৎ সঙ্গে সর্বনাশ

 অসৎ সঙ্গে সর্বনাশ  খাদিজা বেগম  অসৎ থেকে দূরে থাকো  অসৎ সঙ্গে সর্বনাশ,  সত্য ন্যায়ের কাছে থেকো  সত্যের সঙ্গে স্বর্গবাস।। ভেবে চিনতে গড়ে তোলো  তুমি তোমার বন্ধুত্ব,  যার নীতি নাই সে বুঝবে না  ন্যায় বিচারের গুরুত্ব। নৈতিকতার কাছে তুচ্ছ  এই জীবনের শ্বাস নিঃশ্বাস।। যার কাছে নাই নৈতিকতা সে নিকৃষ্ট হায়েনা, তারে কভু মানুষ বলে  বিশ্বাস করা যাবেনা।। জেনেশুনে পাপ করিলে  পাইতে হবে তার সাজা,  তোমার পাপের সাক্ষী তিনি  বিচার করবেন যেই রাজা। নৈতিকতা পায়ে ফেলে  মানুষ হয় না টাকার দাস।।

গানে গানে উৎসব

 গানে গানে উৎসব  খাদিজা বেগম  বাউলা গানে একতারা আর  বাঁশি বাজাই ঢোল পিটিয়ে নাচি, গানে গানে উৎসব চলে  বাঙালিরা গান ছাড়া কি বাঁচি?? জন্ম উৎসব ধর্ম উৎসব বিয়ে উৎস ছেলে খৎনার উৎসব, গণঅভ্যুত্থান ঘিরেও গান  সব বিষয়ে গান আমাদের গৌরব। যুদ্ধের মাঠে ধুম চলে গান ধান কাটাতে গান গায় শ্রমিক চাষি।। বেদনার গান আনন্দ গান  মিলনের গান বিরহেরও গাই গান  এই গান ছাড়া বাঁচেনা প্রাণ ভিন্ন ঋতুর ভিন্ন গানের বাগান।। গানে গানে তারে ডাকে  তার স্মরণে কাঁদি গানে গানে, নতুন করে বলবো কি আর  অন্তর্যামী আমার সবি জানে। গানে গানে ক্ষমা চেয়ে  তার চরণে নয়ন জলে ভাসি।।

ঘোমটা মাথায়

 ঘোমটা মাথায়  খাদিজা বেগম ঘোমটা মাথায় চুরি হাতে ওরা বড় বড় দলের ছোট লোক, ওরা ঘুচতে দেয় না আমার  বাংলা মায়ের সন্তান হারা শোক।। ওদের হাতে পিস্তল থাকে  রামদা থাকে থাকে আরো চাপাতি, হেলমেট পড়া পোষা কুত্তা দিবানিশি করে বেড়ায় ডাকাতি।  চান্দাবাজি ধান্দাবাজি  এসব যেন ওদের দলের অতীত রোগ।। দুর্নীতিটা মিশে গেছে  ওদের দলের প্রতি জনের ভিতরে, দেশের জন্য একটু মায়া  মমতা নাই চোর ডাকাতের অন্তরে।। তোরা কিসের দল দল কর? দলের চেয়ে আমার বাংলা দেশ বড়, দলের চিন্তা রেখে দিয়ে  নৈতিকতার সাথে বাংলা দেশ গড়। অন্যায় ভাবে দেশের সম্পদ  রক্ষক সেজে কেউ করো না কভু ভোগ।।

ফেব্রুয়ারি

 ফেব্রুয়ারি  খাদিজা বেগম  ফাগুন এলেই পুষ্প ফোটে  আমাদের ভাই বীর শহীদদের বরণে, ফেব্রুয়ারির ২১ তারিখ  ফুলগুলো যায় বীর শহীদদের স্মরণে।। বীর শহীদদের স্মরণ করে কারো হাতে একমুঠো ফুল চোখে জল, ধীরে গতিতে এগিয়ে যায়  দৃঢ় করে অশ্রুসিক্ত মনোবল। মায়ের ভাষায় কথা বলি  তাদের জীবন বিলিয়ে দেবার কারণে।। রফিক শফিক জব্বার সালাম  নাম না জানা আরও কত বীর শহীদ, আমরা কভু ভুলবো না ভাই  ভুলবো না কেউ গৌরব উজ্জ্বল সেই অতীত।। ফেব্রুয়ারির ২১ তারিখ  বাংলার রাজপথ হয়ে গেলো লাল, ৫২ সালের এই দিনটাকে  এই পৃথিবী মনে রাখবে চিরকাল। এই অন্তরের মধ্য থেকে অগণিত সালাম তাদের চরণে।।

কুহু কুহু গাইছে

 কুহু কুহু গাইছে  খাদিজা বেগম  ফুলে ফুলে মধু ভরা  দুলে দুলে অলি করে পান, ফাগুন সুরে তানপুরাতে আঙ্গুল লেগে বেজে ওঠে ঐকতান।। হিমেল হাওয়ায় দোল খেলে যায়  কচি কচি কচি সবুজ পাতার গায়, এমন দিনে আমার মনে  লজ্জা শরম রেখে দিয়ে তোমায় চায়। পাগল পাগল করলো আমায় নদীর বুকে জেগে ওঠা কলতান।। শীতের শেষে উঠল ভেসে  চারিদিকে ফুলে ভরা কুঞ্জবন,  অলি করে আসা-যাওয়া  এমন ক্ষণে তোমাকে খুব প্রয়োজন।  কৃষ্ণচূড়ার লালে লালে  আমার এ মন রঙিন রঙিন হয়েছে, লজ্জা রাঙায় লাজুক লাজুক  এই মন আমার শুধু তোমায় চেয়েছে।  প্রেম কাননে ফুল ফুটেছে মন কোকিলা কুহু কুহু গাইছে গান।।

দেশ থাকবে সুখে

 দেশ থাকবে সুখের  খাদিজা বেগম  বাংলা মায়ের সন্তান আমি  বাংলার জন্য লড়াই করবো চিরকাল,  বাংলার ক্ষতি করবে যারা  তাদের টেনে টেনে ছিঁড়ে নেব ছাল।। বাংলার বুকে জাগলে জালিম  তাদের জন্য আমি হব দাবানল, জালিম পুড়ে ছাই করব সব  মানবো না আর কারো অলিক কথার ছল। বাংলা নামের এই সূর্যটা  চিরকালি থাকবে হয়ে ঊষাকাল।। আগুন হয়ে পোড়াব ঐ জালিম শাসক অত্যাচারীর ঘরবাড়ি, সহ্য করতে পারি না আর সন্তান হারা মায়ের কান্না আহাজারি।। দুই নয়নে দেখতে চাই না  দুর্নীতিবাজ নেতাকর্মি চোরের দল, চান্দা বাজি ধান্দাবাজি  এসব করে ভাঙ্গে যারা দেশের বল। ভয় নাই ভয় নাই বাংলা মাগো আজও হাতে সত্য অস্ত্র ন্যায়ের ঢাল।। কোটি কোটি সন্তান তোমার  তোমার জন্য রক্ত দেবো দেবো প্রাণ, তবু আমরা সইবো না তো  তোমার প্রতি কারো একটু অপমান।  ভয় পেয়ো না বাংলা মাগো  তোমার সন্তান করবে শত্রুর ইন্তেকাল।। দুর্জয় দুর্বার দুঃসাহসী বীর  তোমার সন্তান তোমার সাথে আছে মা, রক্ত দিয়ে ইতিহাস হয়  মাগো রক্ত দেখে আর ভয় পেয়ো না। আজ থেকে দেশ থাকবে সুখে  এসে গেছে দেশের দুঃ...

তুমি তো এলেনা

 তুমি তো এলেনা  খাদিজা বেগম   কত ফাগুন এলো গেল  কই তুমি তো এলে না,  তোমায় খুঁজে পাগল পারা  তবু দেখা দিলে না।। আমায় দেখো আড়াল থেকে  আমি তোমায় দেখি না,  তুমি জানো মনের কথা  তাই তোমাকে লেখি না। তোমায় ছাড়া একটি দিনও  ওগো আমার চলে না।। মন কাননে বসত কর  আমার ভেতর তোমার ঘর,  তোমার নামে লিখে দিলাম  দিলাম আমার এই অন্তর।। ফাগুনের ফুল ফুটে ফুটে  ঘ্রাণ ছড়িয়ে ঝরে যায়, প্রাণ ভোমরা লুটে লুটে   মধু খেয়ে উড়ে যায়। আমার এই মন প্রাণ যারে চায়  সে তো কথা বলে না।।

তুইতোকারি

 তুইতোকারি  খাদিজা বেগম  কথায় কথায় তুইতোকারি সভ্য মানুষ সহ্য করতে পারেনা,  তুচ্ছ বিষয় তুইতোকারি অসভ্য লোক কভু বলতে ছাড়ে না।। পান থেকে চুন খসলে পড়ে  যাদের মুখে তুইতোকারি আসে, সুস্থ জীবন যাপন করতে  কেউ পারেনা তাদের আশেপাশে।  তিল কে ওরা তাল বানিয়ে  কথায় ভাঙে হৃদয় হাতে মারে না। অসভ্য লোক লোক সমাজে  ভালো থাকে ঘরে করে দ্বন্দ্ব, সভ্য লোকে ভালো রাখে ভালো থাকে হোক না সময় মন্দ।। খোঁচা দিয়ে ব্যঙ্গ করে  কথা বলা কাপুরুষের কর্ম,  সুন্দরভাবে কথা বলো  এই আদেশটা দিছে মহান ধর্ম।। যে অন্যের ভুল ধরতে ব্যস্ত  সে তো নিজের ভুল কখনো সারে না।।

দিন বেরিয়ে আসে

 দিন বেরিয়ে আসে  খাদিজা বেগম  রাতের ভিতর থেকে যেমন  দিন বেরিয়ে আসে,  দিনের ভেতর থেকে তেমনি  রাত বেরিয়ে আসে।। গাছের ভিতর থেকে যেমন  ফুল বেরিয়ে আসে,  ফুলের ভিতর থেকে তেমনি  গাছ বেরিয়ে আসে।  নদীর ভেতর থেকে তেমনি  ঢেউ বেরিয়ে আসে।। মেঘের ভিতর থেকে যেমন  জল বেরিয়ে আসে,  জলের ভেতর থেকে তেমনি  মেঘ বেরিয়ে আসে।। আমরা সবাই সবার জন্য  থাকবো সবার পাশে,  কেউ নয় মালিক কেউ হবে না   পরিণত দাসে। আমরা সবাই শ্রেষ্ঠ মানুষ  ধর্মগ্রন্থে আছে।। ভাটার জলে থাকে যেমন  জোয়ারের জল মিশে,  জোয়ার জলে থাকে তেমন  ভাটার ওই জল মিশে। জল ছাড়া কি জোয়ার ভাটা  নদীনালা বাঁচে?? গরিবের শ্রম দিয়ে যেমন  ধনী টিকে থাকে,  ধোনির টাকা-পয়সায় তেমন  গরিব টিকে থাকে। একের জন্য অন্য জনা  পরিণত শ্বাসে।। কেউ ছোট নয় কেউ বড় নয়  সবার সম্মান সমান, মানুষেরে সম্মান করো  করো না অপমান।  সত্যিকারের মানুষ সেই জন  যার সুবিচার আছে।। মনুষ্যত্ব বজায় রেখে  আমরা কথা বলবো,  নৈতিকত...

এই বসন্ত রূপে

 এই বসন্ত রূপে খাদিজা বেগম গাছে গাছে নতুন পাতা  এই বসন্ত রূপে মুগ্ধ চিত্ত, ফুল কাননে ফুল ফুটেছে  ফুলে ফুলে অলি করে নৃত্য।। আম মুকুলে মৌমাছিরা  উড়ে উড়ে ঘুরে ঘুরে বসে,  সেই মুকুলের ঘ্রাণে ঘ্রাণে   মাতাল হয়ে ডুবে রসে রসে। মৌমাছি আর ওই মুকুলের  দৃশ্য দেখে তোমায় ভাবি নিত্য।। এই অপরূপ ফাগুণ দিনে  তোমায় বিনে কাটে না তো সময়,  কেমন করে বুঝাই তোমায়  তুমি তুমি করে আমার হৃদয়।। চারিদিকে বাসন্তী রং  এই বসন্তে একা থাকা কঠিন, তোমায় ভেবে ঘুম আসে না  বিরহী চোখ শুধু কাঁদে রাত দিন। আমার জীবন তোমায় ঘিরে  তুমি আমার এই জীবনের বৃত্ত।।

দক্ষিণ হাওয়ায়

 দক্ষিণ হাওয়ায়  খাদিজা বেগম দক্ষিণ হাওয়ায় দোল খেলে যায়  কচি কচি গাঢ় সবুজ পাতায়, ফাগুন সুরে কোকিলের গান  ফুলের গন্ধে গন্ধে হৃদয় মাতায়।। শীতল বাতাস উত্তাপ ছড়ায় মন ভরে যায় কৃষ্ণচূড়ার রঙ্গে,  নানা রঙের প্রজাপতি  ফুল কাননে হাসে ফুলের সঙ্গে।  এই ফাগুনের মন চেয়েছে  ভালবেসে আদর করি তোমায়।। বাসন্তী রং শাড়ি দেবো  চুড়ি দেব দেবো ফুলের মালা,  নেওয়া দেওয়ার মাঝে দুজন  খুলে দেবো দুই হৃদয়ের তালা।। ঐ পাখিদের কলরবে  মুখরিত আকাশ বাতাস মাটি,  এমন দিনে এই মনে চায়  তোমার ওই হাত ধরে আমি হাটি। চারিদিকে ফুলের মেলা তোমার প্রেমে পাগল করলো আমায়।।

বেখেয়ালে

 বেখেয়ালে  খাদিজা বেগম  বেখেয়ালে সব হারিয়ে  এখন কেঁদে লাভ হবে না কোনো,  যা হারাবার হারিয়েছে  সাবদান থেকো আর না হারায় যেনো।। সবার আগে খেয়াল রেখো  সবসময়ে তোমার নিজের দিকে, হ্যাঁ, না ছোট দুটি শব্দ  এই দুই শব্দের ব্যবহার নাও শিখে। ছোট শব্দের ভুল ব্যবহার  তোমায় করতে পারে বড় হেনো।।  মায়া দয়া আবেগে নয়  বিবেক দিয়ে চালাও জীবন তরী,  শূন্য তরী পূর্ণ করো পরোপকার কাজেকর্মে ভরি। পরের ক্ষতি করবে যারা  তারাই হলো মানব রুপি শয়তান, তাদের জন্য তৈরি আছে  অগণিত শাস্তি ভোগের স্থান। তাই নিজেকে মন্দ থেকে  দিবানিশি ভালোর দিকে টানো।।

ভেবে ছিলাম

 ভেবে ছিলাম  খাদিজা বেগম  ঘন্টার পরে ঘন্টা ধরে  কথা বলবো আমি তোমার সাথে,  এই ভাবনা ভেবে আমি  হাত রেখেছি তোমার দুটি হাতে।। এখন তুমি কথায় কথায়  কথার দুয়ার বন্ধ করে রাখো,  একটু উনিশ বিশ হলেই  তুমি মুখে তালা দিয়ে থাকো। একবারও তো বুঝতে চাও না  আমার কি যে কষ্ট লাগে তাতে।। দুঃখের কথা শেয়ার করব  সেই ভাবনায় এসেছিলাম কাছে,  এখন দেখি হিসাব ছাড়া  কথা বললে আমার খবর আছে।। ভেবে ছিলাম ভয়ের সময়  সাহস দেবে চোখ মোছাবে আমার, এখন দেখি ভয় দেখিয়ে  কাঁদাও আমায় অকারণে বারবার। পায়ে পায়ে ভুল ধরো রোজ শত্রুর মতো জ্বালাও দিনে রাতে।।

তুমি এলেই

 তুমি এলেই  খাদিজা বেগম  আমি জানি তুমি এলেই  বৃষ্টি নামবে মনের উঠান জুড়ে, তুমি ছাড়া চৈত্রের খরা  এই হৃদয়টা আমার যাচ্ছে পুড়ে।। আমি জানি তুমি এলেই  কোকিল ডাকবে,ফুলে ফুলে ভরবে, তুমি ছাড়া কোথায় যাবো  কে আমাকে একটু আদর করবে? এত কাছে আসলে কেন  তুমি থাকবেই যখন দূরে দূরে। আরো একবার এসো তুমি  বৃষ্টি হয়ে সাহারার এই বুকে,  এই দুটি চোখ কাঁদবে আবার  তোমায় কাছে পাবার সুখে সুখে।। তুমি এলেই আসবে জোয়ার  এই বালুচর ভরবে কানায় কানায়,  উড়ে এসো পাখির মত  ভালোবেসে ভালোবাসার ডানায়। মন পাপিয়া গান গাহিয়া  তোমায় ডাকে ভালোবাসার সুরে।।

এই সেই রাজাকার

 এই সেই রাজাকার  খাদিজা বেগম  এই সেই রাজাকার যারা ঊনিশত একাত্তর সালে ঐ মুক্তি যুদ্ধের কালে, তাল মিলিয়েছে পাকিস্তানিদের  ধর্ষণকারী পাক সেনাদের তালে তালে।। একজন বিধবা গৃহ রমনিকে টেনে নিয়ে দিল পাক সেনাদের হাতে, পাক সেনাদলে হায়েনার মত  উল্লাস করেছে তাকে নিয়ে দিনে রাতে। তারপরেও তারে একটা হাটে নিয়ে  নগ্ন করে তার সে শরীরে থুথু ঢালে।। কানায় কানায় লোক ভরা ভিড়ে  নগ্ন দেহের পা দড়ি দিয়ে বাঁধে জিপে,  তার পরে জিপ গাড়ি হাটে ঘুরে পরের পা বাঁধে আরেক জলপাই জিপে।।  তারপরে দুটি গাড়ি বিপরীতে ছুটে  সেই নারী দুইভাগে হয়ে গেল বিভক্ত, দুটি প্রান্তে একটা দেহ চলে গেল  মাঝখানে ছড়িয়ে পড়ে রইলো লাল রক্ত। ‌ এই সেই রাজাক পশুর দোসর এরা নারীদেরকে ফাঁসিয়ে রাখেন জালে।। এই সমাজে আজও আছে রাজাকার  যারা নারীর ক্ষতি করে করে করে উল্লাস, ওদের দৃষ্টিতে নারী ভোগ্য পণ্য  শুধুই ভোগের জন্য নারীকে করে তালাশ। কত যে নারীর দেহ পুড়ে যাচ্ছে  আজো তো ওদের বিষাক্ত কাজের ঝালে।।

মিথ্যা হলো মেঘের মত

 মিথ্যা হলো মেঘের মত খাদিজা বেগম  মিথ্যা হলো মেঘের মতো  যা বেশি ক্ষণ টিকে না, সত্য হলো সূর্যের মতো  মেঘে ঢেকে থাকে না।। বৃষ্টি হয়ে মেঘ ঝড়ে যায়  কিংবা উড়ে বাতাসে, সূর্য থাকে স্থির হয়ে  সারাটা ক্ষণ আকাশে। মেঘ হয়ে যায় বাঁকা তেড়া সূর্য কভু বাঁকে না।। মিথ্যা বলা মানুষ গুলো  ধ্বংস হবে অচিরে, সত্য বলা মানুষ গুলো মুক্তি পাবে অধীরে।। মেঘ, কুয়াশা দূরে ঠেলে  সূর্য আলো ছড়াবে, তেমনি করে সত্যবাদী  সৎ কাজে হাত বাড়াবে। সত্যবাদী সাহসী লোক  কোন ভয় তো রাখে না।।

আমি যেন একা

 আমি যেন একা  খাদিজা বেগম  হাজার কোটি লোকের ভিড়ে  পৃথিবীতে আমি যেন একা, এই জীবনের পথটি আমার  যেন অন্য কারো হাতে আঁকা।। যে পথ ধরে মন যেতে চায়  সে পথ আমার নয়ন খুঁজে পায় না, যুগ যুগ ধরে যেথায় চলি  সে পথ ধরে এ মন চলতে চায় না।  এই জীবনের এই পথ কেন  এত উঁচু নিচু আঁকাবাঁকা।। আমায় যেন কেউ বোঝে না  অযথা ভুল বোঝাবুঝির দ্বন্দ্ব, আমায় যেন কেউ খোঁজেনা  সবাই খোঁজে বেড়ায় আমার মন্দ।। এই জীবনে কেন এত  কানায় কানায় ভরা দুঃখ, কষ্ট? ভালো ভেবে যা ধরেছি  যা করেছি সব কিছুতে নষ্ট। এই মন যারে পেতে চায় খুব  নয়ন আজো পেলোনা তার দেখা।।

তিস্তার পানি

 তিস্তার পানি  খাদিজা বেগম  তিস্তার পানি চাইতে চাইতে  বাংলার মানুষ ছটফটিয়ে মরে, তবু দাদায় পানি দেয় না  স্বার্থপরের মত রাখে ধরে।। পানি ছাড়া নদ বাঁচে না  বাঁচে নাতো জেলে, কৃষক, শ্রমিক, দয়া চাইনা ভিক্ষা চাইনা  পাওনা পানি দিয়ে হও মানবিক। মুখে বলো বন্ধু বন্ধু  কাজ করো তো শত্রুর মতো করে।। পানি ছাড়া মাছ হবে না  চাষ হবে না জমি থাকবে পতিত, এই অত্যাচার সইবো না আর  ভাল্লাগেনা এত দিয়ে পিরিত।। নেবার কালে আছে দাদা  দেবার কালে খুঁজে না পাই তারে, চেয়ে দেখো কত মানুষ  পানি পানি করে তিস্তার পাড়ে। ন্যায্য পাওনা ফিরিয়ে দাও  পানি জন্য চোখের পানি ঝরে।।

কোনো অনুভূতি

 কোনো অনুভূতি  খাদিজা বেগম  মূল্য দিয়ে যায় না কেনা  এই হৃদয়ের কোনো অনুভূতি, অনুভূতির সকল দুয়ার  খোলার আগে রাখো প্রতিশ্রুতি।। অমূল্য ধন হাসি, কান্না  যৌন শক্তি, প্রেম, রাগ, কষ্ট, ঘৃণা, মানুষ হতে পারবা না কেউ  হাজার হাজার অনুভূতি বিনা।। সকল প্রকার অনুভূতির  রইল সঠিক ব্যবহারের আকুতি।। টাকা-পয়সা যায়গা জমি  এসব থেকে আরও দামি অভাব,  অভাব তোমার তাড়া করে  তাড়িয়ে দেয় অলসতার স্বভাব।। সকল প্রকার দারিদ্রতা  একে একে এসে দেবে হানা, বেশি কথায় বাচাল মানুষ  শিখতে হবে অল্প কথা জানা।  এই দুনিয়ায় রেখে গেলাম অস্তে, অল্প, সত্য বলার কাকুতি।।

কথা রাখার লকার

 কথা রাখার লকার  খাদিজা বেগম  টাকা পয়সা সোনা দানা  রাখার জন্য আছে ব্যাংকের লকার, কথা রাখার লকার থাকলে  এত ক্ষতি হতো নাতো আমার।। জায়গা জমি আর বাড়িঘর  ওসব রাখার জন্য আছে দলিল,  প্রেমের একটা দলিল থাকলে  আমার চোখে ঝরতো না তো সলিল। মীর জাফর কে বিশ্বাস করে  কেন আমার মন ভেঙে যায় বারবার।। পাখি দেখে পাখি চিনি  বিড়াল দেখে তেমনি চিনি বিড়াল,  মীর জাফর কে চিনতে পারলে  আজ হইতো না এতো করুন এই হাল।। মানুষ ভেবে ভালোবেসে  যারে আমি জায়গা দিলাম মনে, মনের ভিতর থেকে আমার  মন ভেঙ্গেছে সেই তো প্রতি ক্ষণে। যা ছিল সব দিয়েছিলাম  তবু আমি মন পেলাম না তাহার।।

অনুভূতি

 অনুভূতি  খাদিজা বেগম  ভালোবাসা রাগ আর ঘৃনা  স্নেহ, মায়া, মমতা আর ক্ষমা,  অনুভূতির সকল ধাপে  সঠিক সময় দিতে হবে কমা।। ঘৃণা দেখাও ঘৃণা রাখো  সকল প্রকার নিষিদ্ধ সব কাজে, শত্রুর প্রতি জ্বলে ওঠো  সমস্ত রাগ ঢেলে মাঝে মাঝে। ঘরের মানুষ আপন জনা তাদের প্রতি রাগ রেখো না জমা।।  খুব মমতায় শাসন করে  ছোটদের ভুল ক্ষমা করে দিও, ভালোবেসে যত্নে রেখো ছোটদের ভুল শুধরে কাছে নিও।। ভালোবেসে ভালো থেকো  ভালো রেখো সব সম্পর্কের বাঁধন, সময় থাকতে মানুষ হও মন নইলে তোমার হবে না তো সাধন। সৃষ্টির সেরা হয়ে ওঠো  হয়ে ওঠো তুমি অনুপমা।।

ভাগ করে দাও

 ভাগ করে দাও  খাদিজা বেগম  চলো চলো বাইরে যাই মন  নিশ্বাসে খুব কষ্ট কষ্ট লাগে, নীল আকাশের নিচে যেতে  আজকে আমার বড় ইচ্ছা জাগে।। ঘরের ভিতর ভাল্লাগেনা  খুব নিজেকে লাগে বন্দি বন্দি,  বৃত্তের বাইরে বেরিয়ে যাই আজ হয়ে যাক বাইরে যাওয়ার সন্ধি। যায় যদি যাক চলে যাক পা ভুল নিষেদের সীমারেখার দাগে।। পাখির মতো উড়বো আমি  দূর আকাশে ঘুরবো ডানা মেলে,  আলোয় আলোয় ভরবো ভুবন  রিদ মাঝারে আশার আলো জ্বেলে।। আজকে আমি ভুলে যাবো না পাওয়ার সব দুঃখ কষ্ট গুলো, খোলা হাওয়ায় ছেড়ে দেব  সুখের যাতায় তা হয়ে যাক ধুলো। সুখগুলোকে ভাগ করে দাও  ও মন দুঃখী লোকের ভাগে ভাগে।।

পুরুষ সুন্দর রাগে

 পুরুষ সুন্দর রাগে  খাদিজা বেগম  নারী সুন্দর শাড়ি গয়নায়  পুরুষ মানুষ সুন্দর রাগে, সে রাগ যেন শুধু মাত্র  শত্রুপক্ষের উপর জাগে।। কোন পুরুষ রাগ দেখায় না  নিজের ঘরের লোকের প্রতি,  ঘরের প্রতি রাগ দেখালে  ঘরে বাইরে সবার ক্ষতি।  নিজের ঘরের মানুষগুলো  খুব যতনে রাখা লাগে।। নিজের ঘরে নিজেই যদি  রাগের আগুন দেয় লাগিয়ে,  সেই আগুনে ঘর পুড়ে যায় কেউ দিওনা রাগ জাগিয়ে।। এই জগতে কতজনার  কেহ নাই তো আপন বলে, কতজনার চোখ ভেসে যায়  খোঁজ নেবার কেউ নাই বলে। ঘরের ভিতর রাগ দেখালে  ঘর ভেঙে যায় ভাগে ভাগে।।

বলবো বলবো করে

 বলবো বলবো করে  খাদিজা বেগম  বলবো বলবো করে আজও  ভালোবাসি তোমায় বলা হলো না,  চলবো চলবো করে আজও  তোমার সাথে আমার চলা হলো না।। বড় দিদা দ্বন্দ্বে আছি  বলব কিনা ভালোবাসি তোমায়,  তুমিও কি বাসবে ভালো  নাকি আবার দোষী ভাববে আমায়।  ছুঁই ছুঁই করে আজও তোমায়  একটুখানি ছুঁয়ে দেখা হলো না।। তোমায় নিয়ে স্বপ্নে ভাসি  স্বপ্নে হারাই অচিন দেশে চলে যাই, তোমার প্রেমে জ্বলে পুড়ে  দগ্ধ হয়ে এই হৃদয়টা হলো ছাই।। দেখা হলো না চোখ ভরে চোখ বুজে যায় তোমার কাছে আসিলে, মোমের মত মন গলে যায়  আমার পানে চেয়ে তুমি হাসিলে। চাঁদনী রাতে তোমার সাথে  নীল জোছনায় মাখা মাখি হলো না।।

কবিতার বই

 কবিতার বই  খাদিজা বেগম  তুমি আমার কবিতার বই  পাতা উল্টায় আর তোমাকে পড়ি, তুমি আমার প্রতিটা ক্ষণ  আমার হাতের সোনা রঙের ঘড়ি।। খুব সকালে ঘুম তাড়িয়ে  তোমায় দেখে নিদ্রা থেকে জাগি, ঘুমের আগে তোমায় খুঁজি  এপাশ-ওপাশ করি তোমার লাগি। তোমার মঙ্গল কামনাতে আমার দুই হাত তুলে দোয়া করি।। জনম জনম থেকো তুমি  মায়াবী মন নিয়ে আমার পাশে, আমার হাসি আনন্দ সুখ  তোমার ভালোবাসা থেকে আসে।। ভালোবাসা পাওয়ার আশায়  নিভু নিভু জীবন প্রদীপ বাঁচে, ভালোবাসার ছোঁয়া পেলে  মন ময়ূরী পেখম মেলে নাচে। ভালোবাসা নিতে হবে  খুব যতনে ভালবেসে গড়ি।।।

মন ছুঁয়েছে আমার

 মন ছুঁয়েছে আমার  খাদিজা বেগম  সাঁই সাঁই করে তোমায় ছুঁয়ে  ফাগুন হাওয়া মন ছুঁয়েছে আমার,  সেই হাওয়াতে জ্বলে পুড়ে  দুই নয়নের ঘুম হয়েছে সাভার।। কালো কোকিল গান ধরেছে  কৃষ্ণচূড়ার রং মাখানো ডালে,  তুমি আমি দুই দিগন্তে  রঙে ভরা এই বসন্ত কালে।  এসো বন্ধু অলি হয়ে  তোমায় পেতে মন করেছে আবদার।। তোমার প্রেমের ঝড় উঠেছে  তোমায় ছাড়া কাটেনা তো সময়, বৈরী হওয়ার ধূলোর মত  যায় উড়ে যায় আমার প্রেমিক হৃদয়।। বৃষ্টি হয়ে এসো তুমি  দাও ভিজিয়ে আমার মনের ভুমি,  প্রেম পিপাসায় ফেটে চৌচির  বুকের ভিতর একটা মরুভূমি। মন উতালা তোমায় পেতে  তোমারি নাম মন দেখে যায় বারবার।।

যুবক

 যুবক  খাদিজা বেগম  খুব প্রচন্ড প্রেমের ক্ষুধা  যখন কারো হৃদ মাঝারে জাগে, তখন কিছুই ভয় করেনা  তাকে তখন বীরের মতো লাগে।। যুবক বয়সে যে প্রেম আসে  তা আসেনা বৃদ্ধ লোকের মাঝে, দেশের জন্য প্রাণ দিয়েছে  যুবক সমাজ সত্য ন্যায়ের কাজে। যুবকের প্রেম সূর্যের মতো  যখন যুবক জ্বলে ওঠের রাগে।। এই পৃথিবী সাক্ষী আছে  আছে স্বর্ণ ইতিহাসে লেখা,  যুবক দৃষ্টি গভীর দৃষ্টি  যেথায় মেলে সুন্দর সৃষ্টির দেখা।। দেশের প্রেমে যুবক সেরা  তেমনি সেরা মানব প্রেমে যুবক, নৈতিকতায় ভরা যুবক  যেন স্বপ্নে দেখা হিরার চুম্বক। যুগে যুগে এই যুবকরা  দেশ গড়েছে নিজের জীবন ত্যাগে।।

তোমরা

 তোমরা  খাদিজা বেগম  তোমরা হও না কলঙ্কিত  তোমরা শুধু কলঙ্কিত করো,  তোমরা হওনা ধর্ষিত জন  তোমরা শুধু নারী ধর্ষণ করো।। তোমরা ধোয়া তুলসী পাতা  ঐ নয়নে পতিতা হয় নারী, তোমরা সাধু, সন্ন্যাসী লোক  সুযোগ পেলেই ভাঙো মধুর হাড়ি। তোমরা হওনা নির্যাতিতা  নারীর উপর নির্যাতনটা করো।। স্ত্রীকেও মনে কর   তোমাদেরকে খুশি রাখার মেশিন, তার শরীরটা কাঁদা মাটির  সেও কাঁদে তা ভাবনাই একদিন।। তোমার ইচ্ছা চাপিয়ে দাও  তার ইচ্ছা কি জানতে চাও না কভু, স্বামী-স্ত্রীর মধুর বাঁধন  সেথায় কেন যন্ত্রণা হয় তবু? ভালোবাসা ভোগে নয় রে  ত্যাগে ত্যাগে ভালোবাসা করো।।

ফোটা ফুলের ঘ্রাণ

 ফোটা ফুলের ঘ্রাণ  খাদিজা বেগম  আগুন পানি দুই এর মাঝে  শোনো ও মন আমার তোমার অবস্থান, ওই আগুনে পুড়ে যাবে  ওই পানিতে ডুবে যাবে খুব সাবধান।। পাপ আর পূর্ণ নিয়ে জীবন  পাপ করো না ইচ্ছে করে ভুবনে,  নিজের ইচ্ছায় পূর্ণ করো অনিচ্ছায় যে পাপ হয় রয় না জীবনে। ইচ্ছা করে পাপ করিলে  ধীরে ধীরে বাড়বে তোমার অপমান।। মানব জীবন অমূল্য ধন  মূল্য দিয়ে তুমি কিনতে পারবে না,  যার জীবন সে নিয়ে যাবে  ধরলে একবার কারো কথায় ছাড়বে না।। যত বেশি নৈতিকতা  পুষে রাখবে চর্চা করবে ভিতরে,  তত বেশি মনুষ্যত্ব  আস্তে আস্তে গড়ে উঠবে অন্তরে।  হাওয়ায় হাওয়ায় মান ছড়াবে  ছড়িয়ে যায় যেমন ফোটা ফুলের ঘ্রাণ।।

ফাগুন এলো

 ফাগুন এলো  খাদিজা বেগম  ফাগুন এলো ফাগুন এলো  ললনাদের খোঁপায় গাঁথা ফুলে, সেই ফাগুনের আগুন লেগে  জ্বলে পুড়ে যাচ্ছে ছেলেপুলে।। হলুদ হলুদ গাঁদা হলুদ  গায় জড়িয়ে ললনারা হাঁটে, পায়ে পায়ে ফাগুনের সুর সেই সুরেতে প্রেমিক হৃদয় ফাটে। গুনগুনিয়ে অলির গানে ফাগুন খেলে ফুলে ফুলে দুলে।। মিষ্টি সুরে গান শুনিয়ে  ফাগুন আশার খবর দিলো কোকিল, সেই খবরে ঘুরে ঘুরে  নাচে প্রেমিক তা সামলানো মুশকিল।। মিষ্টি মধুর ফাগুন হাওয়ায়  অলি পাগল পান করিতে মধু, বৈরাগী মন পাগল হয়ে  লতায় পাতায় খুঁজে বেড়ায় কদু।। ঝির ঝিরিয়ে ফাগুন এলো  ঢেউ খেলানো প্রেম যমুনার কূলে।।

ফাগুন এলেই

 ফাগুন এলেই  খাদিজা বেগম  ফাগুন এলেই কোকিল ডাকে  মিষ্টি বাতাস বয়ে বেড়ায় রাত দিন, পলাশ, শিমুল, কৃষ্ণচূড়ার  রঙে রঙে মন হয়ে যায় রঙিন।। মহুয়া আর দোলনচাঁপার  গন্ধে গন্ধে মন আনন্দে নাচে,  কোকিলের গান শুনে শুনে মন কোকিলা হেলে দুলে হাসে। মাদার ফুলে আলতা পরে  রক্ত কাঞ্চন ভাব ধরেছে কঠিন।। ফাগুন হাওয়ায় উড়ে উড়ে  ঘুরে বেড়ায় মিষ্টি ফুলের সুবাস, সেই সুবাসে পথ হারিয়ে  কত অলি হয়ে গেলো উদাস।। পারুল মাথায় দেবদারু ফুল  দেবার জন্য দেব হয়েছে পাগল, পারু চাইছে দেবের সাথে  এই ফাগুনে হতে নতুন যুগল। নতুন যুগল পুরান যুগল  সব যুগলের জীবন হোক অমলিন।।

কেন এত সুন্দর

 কেন এত সুন্দর  খাদিজা বেগম  তুমি কেন এত সুন্দর  যত দেখি চোখ ফেরে না আমার, বারে বারে এই মনে চায়  আমি যেন তোমায় দেখি আবার।। আমি যত দেখি ঐ রুপ  আমার অনেক মায়া মায়া লাগে, যত তোমায় ভালোবাসি  আরো ভালোবাসতে ইচ্ছা জাগে।  জানিনা কি দিয়ে বিধি  ওই দেহটা গড়িয়াছে তোমার?? কালো কালো ঐ নয়নে  জানিনা কি জাদু মাখা আছে? ঐ নয়নে পরলে নয়ন  আমায় টানে শুধু তোমার কাছে।। মাটির দেহ সোনার মত  কেন এত ঝলমল ঝলমল করে?  দিল সামলানো বড় মুশকিল  আমি থাকবো তোমার প্রেমে পড়ে।  দিবানিশি স্বপ্ন বুনি  তোমায় নিয়ে কত শত হাজার।।

কলঙ্কিনী

 কলঙ্কিনী  খাদিজা বেগম  আমি হবো না তো কলঙ্কিনী  কভু যাবো না তো কুঞ্জ বনে, যতই এ মন উরু উরু করুক  কথা বলবো না তো তোমার সনে।। তোমায় প্রেম পিপাসায় মন শুকিয়ে  যায় যদি যাক পাতার মতো ঝরে, আমার হৃদয় ভেঙ্গে চুরে যদি  শুকনো পাতার মত মর্মর করে। তবু একা একা থাকবো আমি  একাকার তো হবো না দুই জনে।। তোমায় কাছে পাবার আশায় যদি  আমার নয়ন জেগে থাকে রাতে, তবু তোমায় মন দেবো না আমি  ঘুমের ঔষধ খাবো নিজের হাতে।। মানব প্রেমে ভিশন জ্বালাপোড়া  পুড়ে পুড়ে ছাই হয়ে যায় দেহ, যাদের পুড়ে তারাই শুধু জানে তা জানে না অন্য মানুষ কেহ। দুটি নয়ন হয় যদি ও শ্রাবণ তবু প্রেমের ঠাই দেবনা মনে।।

হারামজাদা

 হারামজাদা  খাদিজা বেগম   আমাদের এক প্রতিবেশী  আমরা ডাকি তারে দাদা, মানবতা নাই ভিতরে  মানব রূপি একটা গাধা।। হাত হারালো পা হারালো  অন্ধ হলো কতো মানুষ, তখন দাদা কাঁদলো না তো  করলা না তো একটু আফসোস। ৩২ নাম্বার ভাংছি বলে  দাদা কেঁদে কেঁদে কাদা।। শিশু গুলো মারলো যখন  পাখির মত গুলি করে, তখন দাদা দেখতে পায়নি  এখন দাদার অশ্রু ঝরে।। দাদা পাগল দিদির প্রেমে  আমাদেরকে চেনে না তাই,  ভালো হয়ে যাও গো তুমি  বলছি তোমায় দাদা মশাই। দাদা বলি দাদাই থেকো  বলতে চাইনা হারামজাদা।।

জীবন্ত লাশ

 জীবন্ত লাশ খাদিজা বেগম  আমি যেন জীবন্ত লাশ  তোমাদের এই বিশাল সুখের নীড়ে, স্বজন হারা মানুষ আমি  এত এত এই স্বজনের ভিড়ে।। সামনে পিছে ডানে বামে  কোথাও নাই আমার আপন বলে, মন ভেঙে যায় খুব গোপনে চোখ ভেসে যায় একলা থাকার জলে। এই হৃদয়ে ঘা হয়েছে  বিশ্বাস নামে বিষ মাখানো তীরে।। আমারি লাশ বইছি আমি  মাটি দিছি আমার বুকের মাঝে, ভাল্লাগে না কোন কিছু  মন বসে না কভু কোন কাজে।। মরার আগে মন মরেছে এত এত বিশ্বাসঘাতক দেখে, এই দুনিয়ায় কেউ আপন নয়  সবাই থাকে আপনের রূপ মেখে। আপন জনে দুঃখ দিলে  সয়না প্রাণে হৃদয়টা যায় ছিরে।।

মাটিকে খাওয়ায়

 মাটিকে খাওয়ায়  খাদিজা বেগম  চাইলে যদি সব পাওয়া যায়  আমি ওতো পেয়ে যেতাম তোমায়, প্রেমের বাদাম তুলে দিতাম  ভালবাসার হাওয়ায় হাওয়ায়।। তড়তড়িয়ে চলতো তোরী  আমি ভাসতাম সেই তোরিটার বুকে, দুঃখ কষ্ট উড়ে যেত  ঢেউয়ের তালে দোল খেলাতাম সুখে। ইচ্ছে হলেই সব চাওয়া যায়  মন ভরে না মনের মত পাওয়ায়।। মনের মতো হয়নি আমি  আমার মনের মত আর কে হবে? আমি হলাম তারি মত  মনের মত কেউ হবে না ভবে।। তারি মত গড়েছে সে  কারো মতে সে গড়ে নি কাউকে,  তাই মিলে না মিলে না ফল তাইতো আমরা সবাই কাঁচা অংকে।। তারি জ্ঞানে সে গড়েছে  এই পৃথিবীর আকাশ, মাটি, সকল, বোকার মতো মাটির মানুষ  অযথা সব করতে চাচ্ছে দখল। সৃষ্টিকর্তায় একটা সময়  মানুষ ধরে এই মাটিকে খাওয়ায়।।

সত্য কানা

 সত্য কানা  খাদিজা বেগম  যত খুশি তত জিত  জিততে নেইতো কারো মানা, যত খুশি তত উড়ো উড়িয়ে দাও মনের ডানা।। যত খুশি তত হাসো  কাউকে যেন কাঁদিয়ে নয়,  যত খুশি সাহসী হও মনে রেখো অন্যায়ের ভয়। কিছু জানো আর না জানো  চাই সকলের সত্য জানা।। যত খুশি তত খাবে  কভু খেয়ো না কারো হক, যত খুশি হও লাভবান  কভু হয়ো না প্রতারক।। যত খুশি বড় হবে  নয়তো কাউকে ছোট করে, যত খুশি ধনী হবে  তাতে কারো চোখ না ঝরে। চোখ থাকিতে কেউ থেকো না  মূর্খের মতো সত্য কানা।। যা লাগে তাই পান কর খাও  হালাল খাবার জেনে নিও,  হারাম থেকে দূরে থেকো  ক্ষুধার্ত কে খাবার দিও।।

হব না তো কলঙ্কিনী

 হব না তো কলঙ্কিনী  খাদিজা বেগম  মন বাগানে এসে গেছে  এসে গেছে আমার মনের অলি, ভীষণ লজ্জা লজ্জা গালে এই কথাটা কেমন করে বলি।। গুনগুনিয়ে গান শুনিয়ে  ঘুরে বেড়ায় আমার চারি পাশে, সুযোগ পেলেই বলে বেড়ায়  সে আমাকে ভীষণ ভালো বাসে। ধৈর্য ধরো ওগো অলি না ফুটিতে কুঞ্জ ফুলের কলি।। ফুটিতে দাও ফাগুনের ফুল  গাহিতে দাও কোকিলের গান কুহু, ছড়াতে দাও ফুলের সুবাস  হৃদয় ভরে উঠুক মুহুমুহু। তৃষ্ণায় তৃষ্ণায় কাতর হলে  পান করিও আমার ফুলের মধু, তারি আগে হতে দিও  আমায় তোমার ভালোবাসার বধু।। হব না তো কলঙ্কিনী প্রেমে পুড়ে আমি যতই জ্বলি।।

বাংলাদেশের মাটি

 বাংলাদেশের মাটি খাদিজা বেগম আমারওতো এই মনে চায় ‌  বৃষ্টির জলে ভিজে হাঁটি, সবুজ শাড়ি গায়ে পরে  পায়ে মাখি কাদামাটি।। লাল আঁচলে কোমর বেঁধে  মাটি খুঁড়ে বৃক্ষ লাগাই, সবুজ দিয়ে ভুবন ভরি আলতা মেখে হাত, পা রাঙ্গাই। কৃষাণি দের সাথে সাথে  হাত লাগিয়ে বুনি পাটি।। ভালোবেসে এই মাটিতে  থাকি মাটির কাছাকাছি, নিজের হাতে ফসল ফলাই থাকি পানির পাশাপাশি।। মাটি পানি মিলেমিশে  কাঁদায় কাঁদায় হয় একাকার, এই কাঁদাতে সৃষ্টি হয় যে  এই পৃথিবীর সবার আহার। এই দুনিয়ায় মাটির চেয়ে আর কিছু নাই নাই রে খাঁটি।। পানি মাটি যত্নে রাখব  কেউ করব না তার অপচয়,  পানি মাটি নষ্ট হলে  কষ্ট হবে সকল সময়। এসো আরো বেশি করে  খালবিল নদী কাটি।। বর্ষার পানি বন্যার পানি  আসে না যে ঘর বাড়িতে, পানির জন্য আর কখনো না হয় যেন ঘর ছাড়িতে। সবার জন্য হোক নিরাপদ  আমার বাংলাদেশের মাটি।।

শপথ নিয়ে ছিলাম

 শপথ নিয়ে ছিলাম খাদিজা বেগম  থাকবো আমি বধু সেজে  তুমি যদি বরের সাজে আসো, হৃদয় দিয়ে বাসবো ভালো  তুমি যদি আমায় ভালোবাসো।। বিয়ের আগে প্রেম হবে না  তোমায় আমি তা জানিয়ে দিলাম,  বর কে ছাড়া মন দেবো না  মনে মনে শপথ নিয়ে ছিলাম। শপথ ভাঙ্গার অপরাধে  এই শরীরটা হতে পারে লাশও।। আমার ভালো চাইলে তুমি  মন চেয়ো না বিয়ের আগে আমার,  এই আমাকে বিয়ে করার  বল শুনি কি যোগ্যতা তোমার?? প্রেমের নামে মন হারিয়ে  কাঁদতে আমি পারবো না গো কভু, বিয়ের পরেই প্রেমের সময়  বলে দিছেন সৃষ্টিকর্তা প্রভু। দায়িত্বশীল পুরুষ হলেই  করবো বিয়া এবার তুমি হাসো।।

বড় মুশকিল

 বড় মুশকিল  খাদিজা বেগম  মুশকিল-মুশকিল বড় মুশকিল  দিল সামলানো হয়ে গেল মুশকিল,  তোমার আঁখির ঐ যাদুতে  জ্বলে পুড়ে যাচ্ছে আমার এই দিল।। তোমার আঁখি আঁখি তো নয় ওই দুই আঁখি কথা বলা পাখি,  আমায় যেতে দেয় না দূরে  কাছে টানে আমায় ডাকি ডাকি। ওই ডাকেতে সাড়া দিয়ে  ডেকে ওঠে আমার মনের কোকিল।। মনে মনে মন টানে খুব  পাশাপাশি হেঁটে গল্প করি,  গল্প করার ফাঁকে ফাঁকে  আলতো করে তোমার ওই হাত ধরি।‌। চোখাচোখি বসে বসে  আমি পড়ি তোমার চোখের পাতা, হালকা হালকা বৃষ্টির জলে  তোমার মাথায় ধরি আমার ছাতা। তুমি ছাড়া এই জীবনটা  ভাবতে গেলেও লাগে জটিল জটিল।।

শোন কিশোরী

 শোন কিশোরী  খাদিজা বেগম  ভালো  লাগলেও ধৈর্য ধরো  শোনো শোনো কিশোরী,  প্রথম প্রথম বলবে তোমায়  তুমি দেখতে ফুল পরী।। মিথ্যে কথায় কান দিও না  তুমি মানুষ মানুষী, প্রেমের ফাঁদে পা দিও না  হয়ে যেও না দুষী। ভালোবাসা পাওয়ার জন্য  থাকবে তোমার পা ধোরী।। অল্প বয়সে হৃদয় দিলে  হৃদয়ের দাম পাবা না,  যার তার দেওয়া উপহার গিভ   মনের ভুলেও নেবা না।। নিজের ওপর বিশ্বাস রেখো  শোনো মেয়ে ললনা,  তুমি হলে অমূল্য জন  হয়না তোমার তুলনা। মনের লেনদেন করলে তুমি  মনে হবে ইনজুরি।।

ভালোবাসা চিরস্থায়ী নয়

 ভালোবাসা চিরস্থায়ী নয়  খাদিজা বেগম  তপ্ত রোদে ভালবেসে ছিলাম  মেয়ের ছায়া সে উড়ে যায় বাতাসে, হঠাৎ করে ঝড় উঠে যায় আমার  ভালোবাসার সাজানো নীল আকাশে।। শীতের ভোরে ভালোবেসে আমি  যখন চাচ্ছি মিষ্টি রোদের ছোঁয়াকে, তখন রৌদ্র যায় কুয়াশার বাড়ি  আমার জন্য রেখে যায় তার ধোঁয়া কে। যখন নিঃশ্বাস এর বিশ্বাস নাই ভবে  কেন বিশ্বাস করো মন তার আশ্বাসে?? শিশির ভেজা সদ্য ফোঁটা ফুলকে  ভালোবেসে নিয়েছিলাম তুলে,  তার সুবাসে মন মাতাবো বলে শুকিয়ে যায় সে ফুল আমার ভুলে।। আমি ভালোবেসে ঝাঁপ দিয়েছি  কানায় কানায় উফছে পড়া সাগরে, নির্দয় হয়ে বড় নির্মম ভাবে  সাগরের ঢেউ আঘাত করল অন্তরে। ভালবাসলে মহাবিপদ আছে  না বাসলেও কেঁদে কেঁদে চোখ ভাসে।।

কৃষ্ণচূড়ার রং ধরেছে

 কৃষ্ণচূড়ার রং ধরেছে  খাদিজা বেগম   রাজপথ যখন শিশুর রক্তে  কৃষ্ণচূড়ার রং ধরেছে,  পথে পথে পথের মাঝে  নিষ্পাপ শিশুর লাশ পড়েছে।। রক্ত ভেজা শিশু দেখে তখন আমার রক্ত ফোটে, ঠান্ডা শীতল জামাট রক্ত টগবগিয়ে উথলে উঠে। ঘরে ঘরে মায়ের চোখে  সন্তান হারা জল ঝরেছে।। তাইতো আমি যোদ্ধা হয়ে  যুদ্ধে নামলাম যুদ্ধ করতে, জেদ ধরেছি মরতে রাজি  রাজি না আমি হারতে।। আমার মত অগুনিত  জয় ছিনিয়ে আনতে সেই দিন,  ভুবন ছেড়ে চলে গেছে  কেউ ভুলনা কভু এই ঋণ। সেই জালিম কে মাফ কর না দেশের ক্ষতি যে করেছে??

পরিবার

 পরিবার  খাদিজা বেগম  পরিবার মানে শুধু স্বামী-স্ত্রী এর বাহিরে  যারা তারা সকলেই হলো মেহমান, তা হোক না নিজের পিতা-মাতা, ভাই-বোন অথবা নিজের ঔরস থেকে জন্ম নেয়া সন্তান।। কারো জন্য নিজেদের ভিতরে দন্দ করা যাবে না  দন্দ করলে সম্পর্ক কভু ভালো রবে না,  মন্দ সম্পর্কটা যে কোন সময় ভেঙে যেতে পারে  তা দুজনার কারো জন্য ভালো হবে না। আমাদের বাবা-মা মরে যাবে মৃত্যুর প্রয়োজনে  ভাই-বোন যাবে তাদের নয়া সংসারে, জীবনের প্রয়োজনে চলে যাবে সব সন্তানেরা  শুধুই দুজনে রবে দুজনার ধারে। প্রিয় সব বন্ধু বান্ধব গল্প কিংবা চায়ের আড্ডা  কালের সাথে সাথে সব যাবে হারিয়ে, মৃত্যুর আগ পর্যন্ত স্বামী-স্ত্রীরা রয়ে যাবে  মায়া মমতায় ভালবাসায় জড়িয়ে। অনেক বেশি ভালোবেসে সম্মান করো শ্রদ্ধা করো  স্বামী-স্ত্রীর এই পবিত্র সম্পর্কটারে, এই পৃথিবীর সেরা সম্পর্ক স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্ক  খুব আদরে আদরে যত্নে রেখো তারে। যে স্ত্রী ভালো তার স্বামীর কাছে, সে ভালো তার  অদ্বিতীয় বড় মহান স্রষ্টার কাছে, যে স্বামী ভালো তার স্ত্রীর কাছে, সেও ভালো তার  স্রষ্টার কাছে এ...

সাগর রুনি

  সাগর রুনি খাদিজা বেগম রক্ষক সেজে হাসু আপা ভক্ষণ করলো সাগর রুনি সহ অগুনিত নিষ্পাপ প্রাণ, হাসু আপা মানব রূপে একটা দানব তার ভক্ষণ থেকে দেশ প্রেমিক পায় না ত্রাণ। হাসু আপার দয়া ভিনদেশীদের জন্য তার খুব মায়া বেশি অর্থ সম্পদ টাকাতে, হাসু আপা ভীষণ পাক্কা পাচারকারী তাইতো তাহার কোন অর্থ সম্পদ নাই ঢাকাতে। হাসু আপা মিথ্যা কথার একটা কারখানা অভিনয়ে পাক্কা তিনি খুব বড় অভিনেত্রী, অন্যায় অনিয়ম জুলুম অত্যাচার করতে করতে সেতো নিজেকে ভেবে বসলো সাবেত্রী। তখন স্রষ্টা সহ্য করলো না তার কান্ড ছাত্ররা এমন লাথি দিল ছেড়ে গেল দেশ, হাসুর দেশ ছাড়াতে ভক্তদের ক্লেস ঐ ভক্তদের লাথি দিলেই দেশের কষ্ট শেষ। #সাগররুনি #সচেতনগরীক #khadijabegum #খাদিজাবেগম #yunusgovernment #বরিশাল #বাংলাদেশ #fatihaayat ১৪+১৬+১৪+১৬

ডিগ্ৰী

 ডিগ্ৰী খাদিজা বেগম  শিক্ষিত লোক বড় বড়  ডিগ্রী নিচ্ছে তাদের পড়ে পড়ে, যারা যায়নি কোনদিনও  শিক্ষার জন্য কোন স্কুল ঘরে।। শিক্ষা হলো ভিতর থেকে  নৈতিকতা স্নেহ মায়া রাখা, শিক্ষা হলো কথাবার্তা  ব্যবহারে বিশ্বস্ততা মাখা। অশিক্ষিত মূর্খ যারা  তাদের কথায় অশ্রু ঝরে।। শিক্ষিত জন সেবক হয়ে  মানব সেবায় বিলিয়ে দেয় জীবন, শিক্ষিত লোক সবার সেরা  তাহার জন্য কান্দে সারা ভুবন।। অশিক্ষিত মূর্খ লোকে  লোক ঠকিয়ে হয় লাভবান নিজে, মূর্খ লোকের কর্মকাণ্ডে  সহজ সরল মানুষের চোখ ভিজে। শিক্ষিত জন মরে গিয়েও  বেঁচে থাকে এই পৃথিবীর তরে।।

আজ কাঁদালে কালকে কাঁদবে

 আজ কাঁদালে কালকে কাঁদবে  খাদিজা বেগম  রক্তের বাঁধন হয় না আপন  টাকা পয়সা জমির টানে,  রক্তের বাঁধন শত্রু হয়ে  ক্ষণে ক্ষণে মারে প্রাণে।। টাকা পয়সা যায়গা জমি  যত দিবে তত ভালো,  তোমার পাওনা হিসাব চাইলে  তুমি হবে কুৎসিত কালো। আজ কাঁদালে কালকে কাঁদবে  ডুবে যাবে অশ্রুর বানে।। কিসের নামাজ কিসের রোজা  কিসের সবজি পড় এত, পর ঠকিয়ে পরের হৃদয় গড়ছো শত শত ক্ষত।। ন্যায় বিচারক মহান আল্লাহ  তিনি সাক্ষী তার বিচারে, পর ঠকিয়ে খেওনা আর  কি জব দিবা তুমি তারে? সময় থাকতে মেনে চলো  যা বলেছেন তার কোরআনে।।

কে সাজালো

 কে সাজালো খাদিজা বেগম  সূর্য কেন চাঁদের সাথে  করলো এত আড়ি,  এক আকাশে থাকে তবু  ভিন্ন কেন বাড়ি।। অন্ধকারে চাঁদের বাড়ি  চাঁদ সেখানে থাকে,  তার আলোতে রাতের কালো  ধীরে ধীরে ঢাকে। সূর্য থাকে আলোর মাঝে  সেথায় আলোর কাড়ি।। সূর্য ছড়ায় আলো আর তাপ চন্দ ছড়ায় জোছনা, মেঘ মেঘে ছরায় বৃষ্টি  পাহাড় ঝড়ায় ঝর্না।। পাহাড় চূড়ায় মেঘের বাড়ি  মাটির বুকে পাহাড়, এমন সুন্দর কে সাজালো বাড়ি কোথায় তাহার? কে বাঁধিল জলের ঘাটে  নৌকা সারি সারি।।

হে ক্ষমাশীল

  হে ক্ষমাশীল খাদিজা বেগম তুমি দয়াল দয়া করো করো আমায় করুণা, হে ক্ষমাশীল ক্ষমা করো আমার বিচার করো না।। শোনো আমার অন্তর্যামী দূর করে দাও বেদনা, সয়না প্রাণে সয়না দেহে এত কষ্ট যন্ত্রণা। দয়া করে দুই হাত ধরো আমায় তুমি ছেড়ো না।। তুমি আমায় ছেড়ে দিলে ভেসে যাবো অকূলে, তোমায় যেন ভুলে না যাই যাই যদিও সব ভুলে।। তুমি আমার নিঃশ্বাস হয়ে আমার ভিতর রয়েছো, এই বিশ্বাসে ডাকি তোমায় তুমি আমার হয়েছো। এই জীবনে তুমি আমার আপন বলে একজনা।। তোমায় ভেবে অশ্রু আসে আমার দুটি নয়নে, চোখে তোমায় দেখতে পাই না তবু দেখি এই মনে। এই ভরসায় ডাকি তোমায় তুমি নওতো অজানা।।

গুলির ভয়ে

 গুলির ভয়ে  খাদিজা বেগম  গুলির ভয়ে ভয় করেনা কোন পুরুষ দমেনা কোন নারী,  শুধু আমরা সইতে পারিনা  ছেলে হারানো মায়ের আহাজারি। কামনা বলো বিমান বলো  যোদ্ধা লোকে ভয় করে না কিছু,  যুদ্ধ করে বাঁচতে জানে তার মাথা সে কভু করে না নিচু। দেশের ডাকে জেগে ওঠে সে  খোলা অস্ত্র সঙ্গে করে নিয়ে, শত্রুদের টুকরা করে  তার হাতের খোলা অস্ত্র দিয়ে। দুর্জয় সে দুর্বার সে  নাই ট্যাংকের মুখে দাঁড়াতে ভয়, লড়াই করে ছিনিয়ে আনে  বিজয় বেশে দেশের জন্য জয়।

কত ব্যথা পেলে

 কত ব্যথা পেলে  খাদিজা বেগম  আরো কত ব্যথা পেলে  এই হৃদয়ের ব্যথা হবে ভালো?  আরো কত আঁধার হলে  এই জীবনে আসবে আবার আলো?? তিলে তিলে ব্যথা দিয়ে আর মেরো না তোমার শত্রুর মত,  তুমি ছাড়া বন্ধু নাই তো এই হৃদয়ে আর করো না ক্ষত। কষ্টগুলো দূর করে দাও  বুকের মাঝে সুখের প্রদীপ জ্বালো।। দুই নয়নের ঝর্না ধারা  দাও মুছে দাও তোমার দুই হাত দিয়ে, এই বিরহ সয়না আমার  দয়া করো যাও আমাকে নিয়ে।। তোমার প্রেমে রিক্ত করো  সিক্ত করো করো আমায় শূন্য, আমার বলে তুমি আছো আমার সবি শুধু তোমার জন্য। দয়া করে এই হৃদয়ে  একটুখানি আনন্দ সুখ ঢালো।

কেন এত ব্যথা

  কেন এত ব্যথা  খাদিজা বেগম  যে অন্তরে তুমি থাকো  সেই অন্তরে কেন এত ব্যথা?  এত করে ডাকি তোমায়  তবু কেন তুমি কও না কথা?? তুমি যদি নীরব থাকো  নীরব হয়ে যাবে আমার দেহ,  তোমার আছে কত জনা  আমার নাই তো তুমি ছাড়া কেহ। ওগো দয়াল কও কথা কও  নত করে বলছি আমার মাথা।। তুমি যদি ফিরে না চাও  আমার এমন দুঃখ কষ্টের ক্ষণে, প্রাণ হারাবো মরে যাবো  এক পৃথিবী কষ্ট নিয়ে মনে।। আমি যদি যাই মরিয়া  কেমন করে ডাকবো তোমায় আমি,  দাও সারা দাও আমার ডাকে  ওগো আমার প্রাণের অন্তর্যামী।  আমায় ডেকে ডেকে আমার  ডুবে যাচ্ছে দুই নয়নের পাতা।।

মিলনে ঢেউ

 মিলনের ঢেউ  খাদিজা বেগম  তাজা তাজা শিশির ভেজা  ফুলের বুকে মিলনের ঢেউ উঠেছে,  ফুলের রূপে মাতাল হয়ে  তাইতো আমার মন ভোমরা ছুটেছে।। ফুলের ঘ্রাণে দিল ভরে যায়  মনে মনে টান লাগে এই কলিজায়,  দিবানিশি হৃদয় পুড়ে  ছাই হয়ে যায় তার পিরিতের পিপাসায়। ঘুমন্ত মন উঠলো জেগে  যখন ঘুমের ঘোরে ওই ফুল ফুটেছে।। ফুল ভোমরার মত যেন  নারী পুরুষ একে অন্যের জীবনে, তাদের মাঝে প্রেম না হলে  কোন কিছুই হত না এই ভুবনে।। প্রেম করো মন সত্য জেনে  এই প্রেম স্রষ্টার দেয়া শ্রেষ্ঠ উপহার,  প্রেমে জন্ম তোমার আমার  করো প্রেমের সত্য সঠিক ব্যবহার। একটুখানি প্রেমের জন্য  কত প্রেমিক তার মাথাটা কুটেছে।।

কে সাজালো

 কে সাজালো খাদিজা বেগম  সূর্য কেন চাঁদের সাথে  করলো এত আড়ি,  এক আকাশে থাকে তবু  ভিন্ন কেন বাড়ি।। অন্ধকারে চাঁদের বাড়ি  চাঁদ সেখানে থাকে,  তার আলোতে রাতের কালো  ধীরে ধীরে ঢাকে। সূর্য থাকে আলোর মাঝে  সেথায় আলোর কাড়ি।। সূর্য ছড়ায় আলো আর তাপ চন্দ ছড়ায় জোছনা, মেঘ মেঘে ছরায় বৃষ্টি  পাহাড় ঝড়ায় ঝর্না।। পাহাড় চূড়ায় মেঘের বাড়ি  মাটির বুকে পাহাড়, এমন সুন্দর কে সাজালো বাড়ি কোথায় তাহার? কে বাঁধিল জলের ঘাটে  নৌকা সারি সারি।।

হতে পারি চুরি

 হতে পারি চুরি  খাদিজা বেগম  তুমি যদি চুরি করো আমি হতে পারি চুরি,  চুরি হওয়ার জন্য আমি  তোমার আশেপাশে ঘুরি।। চুরি করো চুরি করো  চুরি কর আমার এই মন দেহ,  চুপি চুপি চুরি করো  আমি ছাড়া জানাবে না আর কেহ।  মনের বাগান খোলা আছে  চুরি করো আমার ফুলের ঝুড়ি। ঝুড়ি ভরা ঐ ফুল আছে  ঐ ফুল ভরা আছে ফুলের মধু, চুরি করো চুরি করো  তুমি আমায় চুরি করো বন্ধু।। চুরি করে তৃষ্ণা মেটায়  একটুখানি ফুলের মধু দিয়া,  মধুর ভারে ভারী লাগে  জ্বলে পুড়ে যাচ্ছে আমার হিয়া।  তুলার মতো হালকা হয়ে  চলো দুজন প্রেম আকাশে উড়ি।।

দিল মিলেছে

 দিল মিলেছে  খাদিজা বেগম  তার দিলেতে দিল মিলেছে  ভালবাসি বলতে শুধু বাকি,  সে যে আমায় খুন করেছে  আমার খুনি তারি দুটি আঁখি।। তার ওই আঁখি তীরের মত  ঢুকে পড়ছে আমার মনের মাঝে, ওই আঁখিতে এতটা প্রেম  তাইতো আমার মন বসে না কাজে।  যখন তখন আমার এই মন  তার নাম ধরে করে ডাকাডাকি।। ডাগর ডাগর দুই আঁখিতে  আমি দেখি আমারি নাম লেখা, প্রেম হতো না এই জীবনে তার সাথে না হলে আমার দেখা।। তার হাসির ঐ যাদু দিয়া  আমারে সে করে নিল দখল, নিজে থেকে দিয়ে দিলাম  আমার কাছে যা ছিল তা সকল।। সরিষা রং অঙ্গ তাহার  সে যে আমার মনের ময়না পাখি।

প্রেমের পাখনা

 প্রেমের পাখনা  খাদিজা বেগম  তোমায় দেখার পরে আমার  শরম গেছে উড়ে,  তোমায় কাছে পাবার জন্য  লজ্জা গেছে দূরে।। লাজুক লাজুক মনটা আমার  আজ বেলাজা হলো, তোমায় আমি বাসবো ভালো  যতই মন্দ বলো। তোমায় ছাড়া একা একা  মনটা আমার পুড়ে।। তোমার মাঝে মন হারিয়ে  পাগল পাগল আমি, আমার চোখে তুমি ছাড়া  নাই কিছু আর দামি।। সকাল বিকাল মনটা আমার  তুমি তুমি ডাকে,  সারাটা ক্ষণ দেখি তোমায়  হাজার কাজের ফাঁকে। প্রেমের পাখনা মেলে এই মন তোমার পিছে ঘুরে।।

প্রেমে পড়ার জন্য

 প্রেমে পড়ার জন্য  খাদিজা বেগম  যেন আমার জন্ম হলো  তোমার প্রেমে পড়ার জন্য,  তোমায় ভাল বেসে বেসে  আমি হয়ে যাব শূন্য।। এতো ভালো বাসবো তোমায়  যা বাসেনি কভু কেহ,  জীবন চাইলে জীবন দেবো  দেহ চাইলে দেব দেহ। দেবার মাঝে এত যে সুখ  তা বুঝেছি তোমার জন্য।। বাসো আর না বাসো আমায় তোমায় ভাল বাসতে দিও, দূরে ঠেলে দিও নাগো  পাশাপাশি রেখো প্রিয়।। তোমায় ছাড়া ভাল্লাগে না  আমি এখন কি যে করি, চুম্বক হয়ে টানছে ঐ মন  আমি কেমন করে সরি। তোমার মাঝে সব হারিয়ে সুখে সুখে হবো পূর্ণ।।

মিলনের পালা

 মিলনের পালা  খাদিজা বেগম  যেদিন থেকে এই গলাতে  পড়েছিলাম তোমার প্রেমের মালা, সেদিন থেকে এই জীবনটা  যেন আমার হলো ফালা ফালা।। তোমার মালার সুবাস এত  সেই সুবাসে তাল হারিয়ে ফেলি,  শত ফুলে গাঁথা মালা  জুই চামেলি বকুল হেনা ভেলি। সয় না প্রাণে সয়না দেহে  তোমার মালার এত কঠিন জ্বালা।। আমার গলায় বসে মালা  তোমার নামের তবজি যপে জোরে, এই মালাটায় জাগিয়ে দেয় রাতের শেষে খুব সকালের ভোরে। এই মালাটায় ভিতর থেকে  আমায় ধরে তোমার কাছে টানে, তোমার সকল আদেশ নিষেধ  শুনিয়ে দেয় আমার কানে কানে। বিরহ ক্ষণ শেষ হয়েছে  এলো বুঝি আজ মিলনের পালা।।

এত ছোট জীবন

 এত ছোট জীবন  খাদিজা বেগম  এত ছোট জীবন নিয়ে  পৃথিবীতে এসে,  আমার মনের স্বাদ মেটেনি  তোমায় ভালোবেসে।। চলে যাবার কথা ভেবে  চোখে বৃষ্টি নামে,  যদি পারতাম থেকে যেতাম  কোন কিছুর দামে। তোমার সাথে কাটতো সময়  আরো একটু হেসে।। মান অভিমান সকল ভুলে  বাসতাম শুধু ভালো,  সকল চাওয়া পায়ে ঠেলে  চাইতাম মনের আলো।। মন মাঝারে তোমায় রেখে  মনে দিতাম তালা,  মনের ভিতর ঢুকতো না আর  এই পৃথিবীর কালা। তুমি আমার সঙ্গে থেকো না ফেরার ঐ দেশে।।

বাবা ছাড়া আমি

 বাবা ছাড়া আমি  খাদিজা বেগম  বাবা ছাড়া আমি যেন  নিঃশ্বাস ছাড়া দেহের মত, সারাটাক্ষণ রক্তক্ষরণ  আমার হৃদয় ভরা ক্ষত।। বাবা ছাড়া কেউ বোঝে না  এই হৃদয়ে কি বেদনা? বাবা ছাড়া কেউ বলে না  চাঁদের টুকরা আর কেঁদো না।  তুমি হাসলে গ্ৰাণ ছড়িয়ে  পুষ্প ফোটে শত শত।। বাবা ছাড়া এই হৃদয়ে  হাজার হাজার ব্যাথার পাহাড়, বাবা ছিল আমার জন্য  স্রষ্টার শ্রেষ্ঠ এক উপহার।। বাবার সাথে শেষ হয়েছে  বেঁচে থাকার সকল আশা,  আজ কত দিন পাইনা আমি  আমার বাবার ভালোবাসা। বাবার জন্য হৃদয় কাঁদে  দিবানিশি অবিরত।।

চাইবো না আর

 চাইবো না আর  খাদিজা বেগম  ঘুরবো না আর দ্বারে দ্বারে  একটুখানি ভালোবাসার পেতে, জ্বলে পুড়ে ছাই হবো না  কারো প্রেমে একটুখানি মেতে।। চাইবা না আর কেউ আমাকে  ভালোবেসে হৃদয় দিয়ে বুঝুক,  কারো চোখের আড়াল হলে  কেউ আমাকে মনে প্রানে খুঁজুক। বাঁধবো না আর বাহুডোরে  কেউ যদি চায় আমায় ছেড়ে যেতে।। চাইবো না আর ভুল ভাঙ্গাতে  কেউ যদি ভুল বোঝে ঘুরে ফিরে,  একা একা থাকবো আমি  থাকবো না আর লোক সমাজের ভিরে।। চাইবো না আর বিশ্বাস করে  আবার পাইতে হৃদয় ভাঙ্গা আঘাত, চাইবো না আর প্রেমের নামে  খুব গোপনে হোক হৃদয়ের সংঘাত। সুখের নামে বুনবো না আর  দুঃখ, কষ্ট আমার বুকের ক্ষেতে।।

জাবিন

 জাবিন  খাদিজা বেগম  আঁধার কালো রাত্রি কেটে  আসবে আলোকিত স্বপ্নের সেই দিন, নীল আকাশে রং ছড়িয়ে  এই পৃথিবী হয়ে উঠবে রঙ্গিন।। শীতের শেষে পাতা ঝরে  ফাগুন এসে ভরে নতুন পাতায়, ফুলের কুঁড়ি ঘ্রান ছড়িয়ে  ফুল ফুটিয়ে পৃথিবীটা মাতায়। জীবন শুধু হয় না সহজ  মাঝে মাঝে হয়ে ওঠে কঠিন।। জীবন করতে হয় উপভোগ  তিক্ত কঠিন সময় ভালবেসে, কালোর পরে আলো যেমন   তিতার পরে মিষ্টি অবশেষে।। দুঃখ আসবে কষ্ট আসবে  তেমনি করে আসবে ভালোবাসা, দুঃখ কষ্ট যন্ত্রনাতেও   কেউ ছেড়ো না স্রষ্টার ওপর আশা। যার যার দায়িত্ব তার তার উপর  কেউ নেবে না কারো কোনো জাবিন।।

মাটিকে খাওয়ায়

  মাটিকে খাওয়ায় খাদিজা বেগম চাইলে যদি সব পাওয়া যায় আমি ওতো পেয়ে যেতাম তোমায়, প্রেমের বাদাম তুলে দিতাম ভালবাসার হাওয়ায় হাওয়ায়।। তড়তড়িয়ে চলতো তোরী আমি ভাসতাম সেই তোরইটার বুকে, দুঃখ কষ্ট উড়ে যেত ঢেউয়ের তালে দোল খেলাতাম সুখে। ইচ্ছে হলেই সব চাওয়া যায় মন ভরে না মনের মত পাওয়ায়।। মনের মতো হয়নি আমি আমার মনের মত আর কে হবে? আমি হলাম তারি মত মনের মত কেউ হবে না ভবে।। তারি মত গড়েছে সে কারো মত সে গড়ে নি কাউকে, তাই মিলে না মিলে না ফল তাইতো আমরা সবাই কাঁচা অংকে।। তারি জ্ঞানে সে গড়েছে এই পৃথিবীর আকাশ, মাটি, সকল, বোকার মতো মাটির মানুষ অযথা সব করতে চাচ্ছে দখল। সৃষ্টিকর্তায় একটা সময় মানুষ ধরে এই মাটিকে খাওয়ায়।।

সত্য কানা

  সত্য কানা খাদিজা বেগম যত খুশি তত জিত জিততে নেইতো কারো মানা, যত খুশি তত উড়ো উড়িয়ে দাও মনের ডানা।। যত খুশি তত হাসো কাউকে যেন কাঁদিয়ে নয়, যত খুশি সাহসী হও মনে রেখো অন্যায়ের ভয়। কিছু জানো আর না জানো চাই সকলের সত্য জানা।। যত খুশি তত খাবে কভু খেয়ো না কারো হক, যত খুশি হও লাভবান কভু হয়ো না প্রতারক।। যত খুশি বড় হবে নয়তো কাউকে ছোট করে, যত খুশি ধনী হবে তাতে কারো চোখ না ঝরে। চোখ থাকিতে কেউ থেকো না মূর্খের মতো সত্য কানা।। যা লাগে তাই পান কর খাও হালাল খাবার জেনে নিও, হারাম থেকে দূরে থেকো ক্ষুধার্ত কে খাবার দিও।।

জীবন্ত লাশ

 জীবন্ত লাশ খাদিজা বেগম  আমি যেন জীবন্ত লাশ  তোমাদের এই বিশাল সুখের নীড়ে, স্বজন হারা মানুষ আমি  এত এত এই স্বজনের ভিড়ে।। সামনে পিছে ডানে বামে  কোথাও নাই আমার আপন বলে, মন ভেঙে যায় খুব গোপনে চোখ ভেসে যায় একলা থাকার জলে। এই হৃদয়ে ঘা হয়েছে  বিশ্বাস নামে বিষ মাখানো তীরে।। আমারি লাশ বইছি আমি  মাটি দিছি আমার বুকের মাঝে, ভাল্লাগে না কোন কিছু  মন বসে না কভু কোন কাজে।। মরার আগে মন মরেছে এত এত বিশ্বাসঘাতক দেখে, এই দুনিয়ায় কেউ আপন নয়  সবাই থাকে আপনের রূপ মেখে। আপন জনে দুঃখ দিলে  সয়না প্রাণে হৃদয়টা যায় ছিরে।।

কথা কয় না

 কথা কয় না  খাদিজা বেগম  কতটা দিন হয়ে গেল  ময়নার সাথে আমার কথা হয় না,  এত কেন ব্যথা লাগে  এ মনে আর এত ব্যাথা সয়না।। মনের ভিতর জ্বলে পুড়ে  শ্রাবণের ঢল নামে দুটি নয়নে, এই বিরব প্রাণে সয় না  আবার কবে মিলন হবে দুজনে? ভালবেসে পুষে ছিলাম  আদর করে ডেকে ছিলাম ময়না।। আগের মত আজও ডাকি  ময়না ময়না মিষ্টি সুরের গান ধরে,  তবু ময়না ফিরে চায় না। চিরনিদ্রায় চলে গেছে অন্তরে।। ময়না ছাড়া শূন্য এ বুক  আমার বড় একা একা লাগে রে,  বেঁচে থাকতে ভাল্লাগেনা  বারে বারে মরণের স্বাদ জাগে রে। এত ডাকা ডাকি আমি  তবু আমার ময়না কথা কয় না।।

সুরাত নয় মুরাদ

 সুরাত নয় মুরাদ  খাদিজা বেগম   ছেলেরা চায় মেয়ের সুরাত  মেয়েরা চায় ছেলের মুরাদ, চাওয়া দেখে বুঝে নিও মনের রুচি হৃদয়ের স্বাদ।। মুরাদ ভালো সুরাত থেকে  মুরাদ কভু যায় না কমে, দিনে দিনে সুরত ফুরায় ধীরে ধীরে যায় তা ধমে। ও মন আমার মুরাদ বাড়াও  মুরাদ চর্চা করো দিন রাত।। ছেলে কিংবা মেয়েরা নয় মুরাদি লোক সবার প্রিয়, নিজের চেষ্টায় নিজে মুরাদ নিজে বৃদ্ধি করে নিও।। তার তুলনায় কেউ হবে না ও যার মুরাদ ভালো ভবে, নৈতিকতা আর পরিশ্রম  দুই এর মাঝে মুরাদ রবে। এই মুরাদকে প্রকাশ করতে  সইতে হবে শত আঘাত।।

কেমন ভালো বাসো

 কেমন ভালো বাসো  খাদিজা বেগম  কেমন ভালো বাসো আমায় একবারও তো তোমার কাছে টানো না, তোমার কাছে যাবার জন্য  মন উতলা সে কি তুমি জানো না?? তুমি যখন রাখবেই আমায় তোমার ধরাছোঁয়ার বাইরে সড়িয়ে, তবে কেন প্রথম প্রথম  রেখেছিলে তোমার হাতে জড়িয়ে।  তোমার ছোঁয়া পাবার জন্য  ছটফটিয়ে মন মরে যায় বোঝ না?? তুমি যদি না বোঝো মন  কে বুঝিবে আমার মনের বেদনা, তুমি আমার আনন্দ, সুখ  হাসি, কান্না এই হৃদয়ের সাধনা।। তোমায় খুঁজে পাগল হয়ে  বারে বারে আমি যাই পথ হারিয়ে,  দয়া করে দাও দেখা দাও  তোমার কাছে টেনে নাও হাত বাড়িয়ে। এত করে ডাকি তোমায়  তুমি কি গো আমার কথা শোনো না??

মন পুড়ে যায়

 মন পড়ে যায়  খাদিজা বেগম  মন পুড়ে যায় যে আগুনে  চোখ দেখে না সেই আগুনের ছাই, ভিতর থেকে জ্বলে পুড়ে  এ থেকে নাই কারো রক্ষা নাই।। নতুন জজে বেশি জ্বলে  পুরান হলেও তবু কমে না, রোগে শোকে দারিদ্রতায় এই আগুনটা কভু দমে না। খুব গোপনে জ্বলে পুড়ে কি যে আগুন জ্বেলে দিলেন সাই।। পাগলা আগুন জ্বলে দিগুন  প্রেমের হাওয়া লাগে যখন গায়,  প্রেম মোহনায় মন হারাতে  বারে বারে দিবানিশি চায়।। সব হারাতে এত যে সুখ  যে হারায়নি সে বোঝেনা তা,  সব হারাবার মাঝেই বুঝি  লুকিয়ে রয় মনের পূর্ণতা।। এমন পোড় পুড়ে হৃদয়  পুড়ে পুড়ে পাগল হয়ে যাই।।

আমি তোমায় চাই

 আমি তোমায় চাই খাদিজা বেগম  সব হারিয়ে যায় যদি যাক  তাতে আমার কোন ক্ষতি নাই,  সকল কিছুর বিনিময়ে  পাই যদিও আমি তোমায় চাই।। তোমায় কত ভালবাসি  তা জানে না এই পৃথিবীর কেউ,  তোমায় ভেবে মনের মাঝে  খেলা করে তোমার প্রেমের ঢেউ।  তুমি ছাড়া অন্য কিছু  আমার কাছে বাসি চুলার ছাই।। তোমার কাছে যাবার জন্য  আমার হৃদয় বায়না ধরে রোজ, তুমি কেন এত পাষাণ  একটিবারও লওনা আমার খোঁজ।। পিপড়া যেমন মিষ্টি খোঁজে  তেমনি খোঁজে তোমায় আমার মন,  কেমন করে বুঝাই বল  তুমি শুধু আমার আপন জন। দিবানিশি ভাবি শুধু  কেমন করে তোমায় কাছে যাই।।

মেহমান শালা

 মেহমান শালা  খাদিজা বেগম  ভাঙা ভাঙা ছোনের বেড়া  ছিদ্র ছিদ্র নাড়ার চালা,  এই বাড়িঘর নিয়ে আমার  হইল একি ভীষণ জ্বালা।। চিরা তালির কাপুড় আমার  সেলাই করতে করতে হয়রান, লবণ আনতে পান্তা ফুরায়  এইভাবে কি আর চলে প্রাণ ? দুর্ভাগ্যটা কাটিয়ে দাও  দূর করে দাও দুঃখের পালা।। আমিও তো তোমার দাসী  তুমিও তো আমার মালিক, দয়া করে ক্ষমা করো  ফিরে তাকাও এই আমার দিক।। শোনো শোনো ওগো আমার  প্রানের মালিক অন্তর্যামী, তোমারি প্রেম না পাই যদি  ধ্বংস হয়ে যাবো আমি।  দাও খুলে দাও আমার জন্য  তোমার ছোট্ট মেহমান শালা।।

বাংলার নারী

 বাংলার নারী  খাদিজা বেগম  বাংলার নারী শিক্ষায় দিক্ষায়          লড়াকু বীর মুক্তিযোদ্ধা, তাদের প্রতি রইলো আমার  অগণিত ভক্তি শ্রদ্ধা।। মাতৃভাষার আন্দোলনে  বায়ান্নতে আছে স্বাক্ষর,  ওই নারীদের প্রতিবাদে  প্রতিরোধে এসেছে ভোর। এক এক নারী এক এক কাজে এই সমাজে আজ সমৃদ্ধা। লেখাপড়া করবে তুমি শোনো শোনো ও নন্দিনী, মানবতায় থাকবে সেরা  থাকবে না তো ঘর বন্দিনী।। বিশ্ব মঞ্চে তুমি হবে  বিশ্বসেরা ডাক্তার, শিক্ষক,  অর্থনীতি, প্রযুক্তিবিদ ইঞ্জিনিয়ার আর গবেষক। তোমায় দেখে এই পৃথিবী  মুগ্ধ হয়ে হবে শুদ্ধা।।

শূন্য প্রেমের গদি

 শূন্য প্রেমের গদি  খাদিজা বেগম  আমার দুটি নয়নে নাই  সাত সমুদ্র তের নদী,  কোথা থেকে নয়নের জল  ঝরে পড়ে নিরবধি?? দুঃখ দেবার নাই তো কেহ  তবু কেন বিরহী মন,  কোন কারনে কেঁদে কেঁদে  যায় ভিজে যায় আমার নয়ন? আমাকে কেউ জানিয়ে দাও  তোমরা কেহ জানো যদি!! হৃদয় খোলা হাসি আমার  ফুলের মত যাহা ফোটে,  সেই হাসি আজ কোথায় গেল  তা আসে না কেন ঠোঁটে?? তোমার চলে যাওয়াতে সব যেন এলোমেলো লাগে, মনের আকাশ মেঘে ভারী  চোখে বৃষ্টি বৃষ্টি লাগে।  যা দেখি সব ঝাপসা ঝাপসা তোমায় ছাড়া শূন্য প্রেমের গদি।।

চোখের পানি ঝরে

 চোখের পানি ঝরে  খাদিজা বেগম  হৃদয় ভাঙ্গা লোকের ভিড়ে  আমারও তো চোখের পানি ঝরে,  যে ভেঙ্গেছে এই হৃদয়টা  বারে বারে তারেই মনে পড়ে।। রিদ মাজারে ঠাই দিয়েছি  ভালোবেসে যত্ন করে যারে, ভালো মনের মানুষ ভেবে  বিশ্বাস করে ভুল করেছি তারে। আমার হৃদয় ভেঙে চুরে  গুরা গুরা তার প্রেমেরি ঝড়ে।। মিষ্টি মিষ্টি কথা বলে  মন ভুলিয়ে সব নিয়েছে আমার,  সব হারিয়ে পাগল আমি  এখন উপায় পাই না বেঁচে থাকার।। সুখে থাকার আশা নিয়ে  গলায় পরলাম ভালবাসার মালা, সেই মালাটা ফাঁসি মতো  হয়ে গেছে আমার মরণ জ্বালা। ভুল মানুষের প্রেমে পড়ে  বোকা মানুষ মরার আগেই মরে।।

মন দুয়ারে টোকা

 মন দুয়ারে টোকা  খাদিজা বেগম  কুহু কুহু সুর তুলিয়া  যখন দিলা মন দুয়ারে টোকা, তোমার সুরে সব ভুলিয়া  তখন আমি হয়ে গেলাম বোকা।। ভুলে গেছি ভালো মন্দ  তোমার প্রেমে হয়ে গেছি অন্ধ, এই হাত ধরে নিয়ে চলো  ফিরে যাওয়ার পথ হয়েছে বন্ধ। চিন্তা জুরে বসত করে  আমার ভিতর তোমার প্রেমের পোকা।। তোমার প্রেমের প্রেম পোকাতে আমার দেহ মন করছে দখল, তাইতো তোমার লিখে দিলাম  আমার মনের মন পৃথিবীর সকল।। যত্নে রাখা এই মন আমার   অনাদরে তা ভেঙো না তুমি, কানায় কানায় প্রেম ভরা মন  তা করো না যেন মরুভূমি।। তোমার প্রেমে বোকা বলে  তাই দিও না কভু আমায় ধোঁকা।।

মনে পড়ে ভীষণ

 মনে পড়ে ভীষণ  খাদিজা বেগম  তুমি এখন কেমন আছো  তোমাকে খুব মনে পড়ে ভীষণ,  তুমি এখন কোথায় আছো  মনের মাঝে তোমার পাবার মিশন।। স্বপ্নে আসো স্বপ্নে হারাও  খুঁজলে তোমায় পাইনা আমার কাছে, তোমার নামের গান গাহিয়া  আমার মনের মন পাপিয়া নাচে। কোথায় আছো দাও বলে দাও তোমার খোঁজে ব্যস্ত আমার নয়ন।। তোমায় ভেবে ঘুমিয়ে যাই  স্বপ্নে এসে জাগিয়ে দাও আবার, তোমায় ভেবে ভেবে আমি  সময় পাইনা আমায় নিয়ে ভাবার।। তোমার মাঝে মন হারিয়ে  দায় হয়েছে আমার বেঁচে থাকা,  তোমায় ছাড়া প্রাণ চলে যায়  যায়না তো আর দেহের মাঝে রাখা। মন ঘুমায় না চোখ ঘুমায় না  জেগে জেগে দেখি তোমার স্বপন।।

ছাত্র সমাজ

 ছাত্র সমাজ  খাদিজা বেগম  এত যুবক এত শিশু  এত প্রাণের বলিদানের পরে, যারা চায় না দশের ভালো ঠকব না আর তাদের বিশ্বাস করে।। দেশ সংস্কার চায়না যারা  তারাই এখন স্বৈরাচারের দলে,  তাই সংস্কার রেখে দিয়ে  বারবার নির্বাচনের কথা বলে। ছাত্রদের এই আন্দোলনকে ধ্বংস করতে অনৈতিক পথ ধরে।। নেতারা সব দানব হয়ে  তুলছে চাঁদা করছে দখলদারি, তাজা রক্তের দাগের উপর  দাঁড়িয়ে এ কেমন বাড়াবাড়ি?? ছাত্র ছাড়া এদেশ আমার  যাচ্ছে যেন দুর্নীতিতে ভেসে, দেশে বাঁচাতে রাজনীতিতে দেশের জন্য চাই ছাত্রদল দেশে। স্বপ্ন দেখি ছাত্রসমাজ আমার এ দেশ নীতি দিয়ে গড়ে।।

হানডেট পারসেন্ট সত্য

 হানডেট পারসেন্ট সত্য  খাদিজা বেগম  বাঁচবো নাকি তা জানি না  মরে যাবো হানডেট পার্সেন্ট সত্য, মিথ্যে আমার এই বাড়ি ঘর মিথ্যে মিথ্যে সকল আধিপত্য।। রূপের আগুন নেভে যাবে  যৌবন জোয়ার মরুভূমি হবে, কত রাজা মহারাজা আসলো গেলো কেউ রইল না ভবে। থাকতে সময় করো রে মন  তুমি তোমার স্রষ্টার আনুগত্য। ধরলে মরণ ছাড়বে না আর আমায় নেবে ঘরের বাহির করে, তোমরা সবাই আগাই দেবে  তোমাদের ঐ হাতে হাতে ধরে।। এমন ভাঙ্গা ভাঙবে দেহ  শক্তিশালী মরণ নামের ঝড়ে,  এই দেহটা নিথর হয়ে  খুব নীরবে থাকবে তখন পরে। মরার আগে মন মরো না  নিজের ভিতর রেখে ঐ ঔদ্ধত্য।।

বন্ধু শত্রু

 বন্ধু শত্রু  খাদিজা বেগম  মনের আকাশ বিষন্ন খুব  রোদ নাই আবার বৃষ্টি ও নাই, মন খারাপের মহা উৎসব  সুখ নাই আমার দুঃখ ও নাই।। চোখ ভিজিয়ে কাঁদার জন্য আমার একটা শত্রু ও নাই, মনটা খুলে হাসার জন্য  আমার একটা বন্ধু ও নাই। আমি যেন জিন্দা মরা  পোড়া পোড়া মন পোড়া ছাই।। এক জীবনে বন্ধু, শত্রু  পাশাপাশি দুটোই লাগে,  নইলে জীবন মরার মতন  মন মরে যায় মরার আগে।। এক জীবনে যেমন লাগে  আনন্দ, সুখ, হাসি, কান্না,  তেমনি লাগে প্রেম, বিরহ নাইবা থাকুক হীরা, পান্না। কোথায় গেলে বন্ধু, শত্রু  পাশাপাশি একসাথে পাই??

এতো পাপের কত শাস্তি

 এত পাপের কত শাস্তি  খাদিজা বেগম  শূন্য হতে এসে ছিলাম  আবার আমি শূন্য হয়েই যাবো আসা-যাওয়ার মাঝখানে মন তাই আপনাকে নিয়ে তুমি ভাবো।। মাটির শরীর মাটি হবে  শুধু কর্ম তোমার রয়ে যাবে, অর্থ সম্পদ সবাই নেবে  এ কর্ম ফল শুধু তুমি পাবে। তবে কেন যাচাই-বাছাই  ছাড়াই আমি নির্বোধভাবে খাবো?? জ্ঞান বুদ্ধি সব দিয়েছেন  ভালো মন্দ চেনা জানা জন্য, তবু কেন মানুষ হয়েও  স্বার্থসিদ্ধের জন্য তুমি বন্য?? যার বাড়ি ঘর তারি থাকবে  আমি শুধু একটা কুটুম পাখি,  হঠাৎ আমি উড়ে যাবো যখন তখন বন্ধ হবে আঁখি। একবার হিসাব কররে মন এত পাপের কত শাস্তি পাবো??

সাদা ধবধবে মন

  সাদা ধবধবে মন খাদিজা বেগম স্বচ্ছ সাদা ধবধবে মন খুব প্রয়োজন সবার মাঝে রাখা, কর্ম হয়ে চিন্তা ছড়ায় যায় না কবু তা কখনো ঢাকা।। চিন্তা ভাবনা পঁচে গেছে তার কাজকর্ম দূর গন্ধময় হবে, মানুষ নয় তো মানব কর্ম পৃথিবীতে অমর হয়ে রবে। তাইতো সবার আগে লাগে নিজের ভেতর নৈতিকতা থাকা।। পানির কাছে পানি ছুটে তেমনি ছোটে ময়লার কাছে ময়লা, স্বর্ণের খনি স্বর্ণ দেবে কয়লার খনি দেবে শুধু কয়লা।। যার ভেতর যা রাখিবে তাইতো প্রকাশ হবে কাজেকর্মে, পাপকে আমরা ঘৃণা করব এটাই আছে সকল মানব ধর্মে। পাপকে যারা বাসবে ভালো তাদের প্রতি থুথু ঘৃণা মাখা।।

হাসির দামে কান্না

 হাসির দামে কান্না  খাদিজা বেগম  মিথ্যে মায়ার বাঁধন দিয়ে  আমার হৃদয় নিয়ে গেছো তুমি, তখন তোমায় বিশ্বাস করে  আজ হয়েছি পাগল পাগল আমি।। হাসির দামে কান্না কিনে  এখন আমি ভাসি চোখের জলে, ভালোবাসা সর্বনাশা  আজ ভালো নেই ভালোবাসার ফলে। নষ্ট কাঁচে পা কেটেছি  ভুল করেছি তোমায় ভেবে দামি।। মূল্যহীনা কাঁচের টুকরা  হীরা ভেবে গলায় পড়ে ছিলাম, ঘাড়ে এখন ঘা হয়েছে  আমার জীবন হচ্ছে যেন নিলাম।। তোমার সাথে দেখা হয়ে  দিনে দিনে বাড়লো আমার কষ্ট, ফুলের মত সুন্দর জীবন  ধীরে ধীরে হয়ে গেল নষ্ট। কত ভালো বেসেছিলাম শুধু জানে আমার অন্তর্যামী।।

আত্মসম্মান

 আত্মসম্মান খাদিজা বেগম  আত্মসম্মান সবার আগে  তারপরেতে তোমার অন্য সকল, আত্মসম্মান ছাড়া থাকলে  তোমার আত্মা হয়ে যাবে দখল।। আত্মা ছাড়া থাকলে তুমি  তুমি হবে চরণ মোছা পাপোশ, আত্মসম্মান রক্ষার বেলায়  তাই করো না কারো সাথেই আপস। কথাবার্তা চলাফেরায়  সবকিছুতে থাকতে হবে আসল।  বড় সাবধান থাকতে হবে  আত্মসম্মান বোধ অক্ষুণ্ণ রাখতে, নৈতিকতার চাদর দিয়ে  রোজ নিজেকে হবেই হবে ঢাকতে।। আত্মসম্মান মানে হলো  সৎ গুনাগুন নিজের ভিতর রাখা,  চিন্তা ভাবনায় স্বচ্ছ থাকা  হোক না যতই জীবনের পথ বাঁকা। আত্মসম্মান ছাড়া মানুষ  আসল ছেড়ে আগলে রাখে নকল।।

আমি বড় একা

 আমি বড় একা  খাদিজা বেগম  একা আমি বড় একা  তুমি ছাড়া আমার আর তো কেহ নাই, এত বড় পৃথিবীতে  তোমায় ছাড়া হৃদয় পোড়া গন্ধ পাই।। নদীর বুকে পানি থাকে  পানির বুকের উপর খেলা করে ঢেউ, মানব মনে স্বপ্ন থাকে  স্বপ্ন পূরণ করার জন্য থাকে কেউ।। পুড়া দুচোখ যেখানে চায়  আগুন লেগে সব হয়ে যায় পুড়ে ছাই।। ফুলের বুকে মধু থাকে  অলির বুকে থাকে কত বাসনা, হৃদ মাজারে থাকো তুমি  তবু কেন আমার কাছে আসো না।। হাত বাড়িয়ে কান্দি আমি  চোখ মুছিয়ে করো আমায় করুনা, আপন বলে এই জীবনে  শুধু তুমি তুমি আমার একজনা। তুমি আমার আমার থেকো  শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত তোমায় চাই।।

প্রেমের ভূমি

  প্রেমের ভূমি খাদিজা বেগম লিখে দিলাম প্রেমের ভূমি দখল নিও তুমি, ঠিক সময়ে চাষ করিও আমার প্রেমের ভূমি।। অনাদরে অবহেলে রেখোনা তা ফেলে, ভালোবাসা দিলে বন্ধু ভালোবাসা মেলে। আমার জমি হয়না যেন কভু মরুভূমি।। প্রেম পিপাসায় ফেটে ফেটে হয় না যেন চৌচির, চারিপাশে রেখো তুমি প্রেম যমুনার প্রাচীর।। আগাছাতে হয় না যেন জমির ফসল নষ্ট, পরগাছাতে দেয় না যেন আমায় কভু কষ্ট। অল্প সময় থাকবে কিন্তু এই মাটিতে মৌসুমী।।

পা নেই

 পা নেই  খাদিজা বেগম  ও যার পা নেই তুমি বলো  তারে নিজের পায়ের উপর দাঁড়াতে, যে পারেনা সামনের দিকে  নিজের ইচ্ছায় একটি চরণ বাড়াতে।। মুখ আছে তাই বলছো কথা  বলার আগে একবার ভেবে বলো না, পা আছে তাই চলছো তুমি  চলার আগে একবার ভেবে চলো না। এমন পথে পথ চলনা  যাতে লোকের অভিশাপ পাও দিন রাতে।। দয়া করো কৃপা করো  অসুস্থ লোক অসহায়দের বেলাতে,  পাগল হয়ে যেও না ভাই  বিবেক রেখো এই পাগলের মেলাতে।। সেই তো ধনী যার কাছে তার  সকল অঙ্গ সুস্থ সবল স্বাভাবিক, সেই তো গরিব যায় মাঝে নাই নিম্নতম মানুষের গুণ মানবিক। নিজের মতে সব পাবে না  তার মতে হয় কিছু কিছু হারাতে।।

দিল পুড়ে যায়

 দিল পুড়ে যায়  খাদিজা বেগম  ঠান্ডা ঠান্ডা ফাগুন হাওয়ায়  দিল পুড়ে যায় আমার,  হাওয়ায় হাওয়ায় নাকে আসে  চুলের সুবাস তোমার।। দখিন দুয়ার খুলে রাখি  তোমায় দেখব বলে, আশায় আশায় নিরাশ হয়ে  চোখ ভেসে যায় জলে। তুমি আমার সুচিত্রা সেন  আমি উত্তমকুমার।। ফাগুন হাওয়ায় ঢেউ খেলে যায়  ফুলে ফুলে অলি, তাই দেখিয়া একা একা  প্রেম অনলে জ্বলি।। কত ফাগুন গেল আমার  তোমায় ভেবে ভেবে,  আর কতদিন জ্বলার পরে  তুমি দেখা দেবে। ধুঁকে ধুঁকে মারছে আমায়  তোমার প্রেমের বিমার।।

স্বামী-স্ত্রী

 স্বামী-স্ত্রী  খাদিজা বেগম স্বামী স্ত্রী দুজন যেন দুটি ঠোঁটের মতন, একি সাথে ওরা কথা বলে একি সুখে ওরা হাসে। একি কারণে ওরা দুজনে একটু দূরে সরে যায়, আবার একি কামনা নিয়ে দুই জনাতে কাছে আসে। স্বামী স্ত্রী দুজন যেন দুটি চোখের মতন, এক জনের দুঃখে দুজন মিলে এক হয়ে কাঁদে। একি সাথে ঘুমায় আবার একি সাথে তারা জাগে, একি স্বপ্নে বিভোর হয়ে বন্দি থাকে একি ফাঁদে। স্বামী স্ত্রী দুজন যেন দু'চরণের মতন, একে অন্যের উপরে কিংবা থাকে ওরা পাশাপাশি। একি সাথে বসে থাকে এক সাথে ফের হাঁটে দুজনেই একই সাথে করে ওরা ভালোবাসা বাসি। স্বামী স্ত্রী দুজন যেন দুটি হাতের মতন, তারা দুজনে এক সাথে মিলে কাজকর্ম করে। আবার একি সাথে দুজনে কাজের শেষে বিরাম, সর্বদা তৈরি থাকতে দুজনে একে অপরের তরে। স্বামী স্ত্রী দুজন যেন দুটি কানের মতন একি সাথে শুনে তারা সদা এক ঈশ্বরের বাণী, ঈশ্বরকে হাজির নাজির জেনে মেনে তারা করে  শুধু দু'জনে করে পবিত্র ভালবাসার কাহিনী। স্বামী স্ত্রী দুজন যেন একটি নাকের মত, একি সাথে শ্বাস নেয় তারা ফের একি সাথে ছাড়ে। একি সুবাসে নেশা জাগায় দু'জনের দুটি মনে, সে নেশাতে হারায় দুজন...