Posts

Showing posts from October, 2024

তার সনে

 #কবিতা  -তার সনে  #কবি  #খাদিজা বেগম  পাখিটারে পুষে রাখলাম  দিবানিশি কত আদর যতনে, হারিয়ে যে না যায় পাখি  তাই রাখিলাম দুই নয়নে নয়নে।। বন্দি করে রাখিনি তো গুনা কিংবা লোহার কোন পিঞ্জিরায়,  মন উঠানে রাখছি তারে  যেন পাখি কোন কষ্ট না পায়। তবু পাখি ফন্দি করে  আমায় ছেড়ে চলে যাবে গোপনে।। যে যাবার সে চলে যাবে  হাজার ভালো বেসেও রাখা যাবে না, নিজ থেকে যে পালিয়ে যায়  তারে তোমরা কেহ খুঁজে পাবে না।। সে আসেনি থাকার জন্য  জেনেশুনেই তারে রাখতে চেয়েছি, সে তো ছিল নির্দোষ নির্ভুল  আমার ভুলেই আমি ব্যাথা পেয়েছি। সে আমাকে নিয়ে এলো  আমায় আবার নিয়ে যাবে তার সনে।।

উথাল পাতাল

 উথালপাথাল  খাদিজা বেগম  উথাল পাথাল প্রেমের ঢেউয়ে  কভু ভাসে কভু ডুবে আমার মন, তার পরশের প্রেমো জলে  জ্বলে জ্বলে পুড়ে দেহ সারাক্ষণ। কাছাকাছি আছি তবু  যোজন যোজন দূরে আমার মনে হয়, জানিনা তো আর কতটা  তার ভিতরে থাকলে ভরবে এই হৃদয়। তার আঙ্গুলে আঙ্গুল রাখলে  কানায় কানায় রঙিন হয়ে যায় জীবন।। তার ছোয়াতে এতটা রং  জানি না তা কোথা থেকে আসে,  জানিনা সে বাসে কিনা  আমার এ মন তারে ভালোবাসে।। ভালো শুধু বাসতে দিও  এই দাবিটা তুমি মেনে নিও, এই জীবনে তোমার কাছে  অন্য কিছুই আর চাইবো না প্রিয়। দুজনাতে থাকবো দুজন  ভাগ হবো না হয় যদিও মরণ।।

একবারও কি ভেবেছ

 একবারও কি ভেবেছ  খাদিজা বেগম  দেখছেন তিনি শুনছেন তিনি  তার কাছে নাই কোন কিছু গোপন, ভালো মন্দ সকল বিষয়  ও মন তুমি যা করেছ রোপণ।। আজকে যাহা রোপণ করছো  তোমার কথা এবং কাজের মাঝে, কালকে তুমি সে ফল পাবে লাভ হবেনা এতো ভালো সাজে। আপনা থেকে আপন তিনি  তার চরণে সব করে দাও অর্পণ।। যার জমিতে বসত করো  যার বিছানায় ঘুমাও আবার জাগো,  একবারও কি ভেবেছো মন  তোমরা দুজন দুজনার কি লাগো? যার পানিতে তৃষ্ণা মেটাও  যার খাবারে পেট ভরে খাও তুমি, তারে ছাড়া অন্য কাউকে  না দিওনা তোমার অন্তর্ভূমি। তার চাওয়াতে সব দিয়ে দাও  তার বেলাতে মন থেকো না কৃপণ।।

প্রাণ ওয়ালা

 #কবিতা- প্রাণ ওয়ালা  #খাদিজা-বেগম  ওয়ালা ওয়ালা ও মান ওয়ালা  তুমি যে সকল কিছুর মালিক, ওয়ালা ওয়ালা ও ধন ওয়ালা  তুমি ছাড়া সব কিছুই অলিক।। তুমি যে আমার রিজিক ওয়ালা তুমি খাওয়াইলেই আমি খেতে পারি, নেই তো তুমি ছাড়া আপন আমার  তোমার চরণে আমার ই বাড়ি। নিজেকে হারিয়ে খুঁজে ফিরি আমি  শুধুই তোমার নূরের ঝিলিক।। তোমার আলোয় আলোকিত করো  নইলে ডুবে যাব আমি পাপে পাপে, মাওলা আমায় রক্ষা করো গো  পাপি যেন না হই কারো অভিশাপে।। হাসিমুখে আমি আমার মরণ  যখন-তখন করবো বরন, শুধু লালসার ভয়ে ভীতু আমি  ওরা তো আমার বড় দুশমন। ওয়ালা ওয়ালা প্রান ওয়ালা  তুমি যে আমার মহান খালিক।।

হাতের কলম

 হাতের কলম  খাদিজা বেগম  মরণ যখন ধরবে তোমায়  তখন পড়বে হাতের কলম খসে, সময় থাকতে ধরো তুমি  ওই কলমের নিয়ম নীতি কষে।। অর্থের লোভে স্বার্থের লোভে  করো যদি কলোমে ভুল কর্ম,  তবে তুমি মনে রেখো  তোমার মাঝে নেইতো কোন ধর্ম। লোক দেখানো ধর্ম তোমার  তুমি নাই তো তোমার নিজের বশে ।। কালি ছাড়া কলম যেন  আঁস্তাকুড়ের আবর্জনার ময়লা, নৈতিকতা ছাড়া মানুষ  জাহান্নামের জ্বলন্ত এক কয়লা।। পাপের সম্পদ সবাই নেবে  কেউ নেবে না তোমার পাপের অংশ, তারা তোমার কেউ লাগেনা  যাদের জন্য করছ ঈমান ধ্বংস। ন্যায় বাঁচালে বাঁচবে তুমি  পাপ বাঁচালে তুমি পড়বে ধ্বসে।।

জীবন ভরা জ্বালা

 জীবন ভরা জ্বালা  খাদিজা বেগম  স্বপ্ন গুলো মরে গেছে  এবার আমার মরার পালা, বেঁচে থাকতে ভাল্লাগে না  আমার জীবন ভরা জ্বালা।। রাতে আমার ঘুম আসে না  ব্যথার পাহাড় নিয়ে বুকে,  কত ব্যথা রাখবো ঢেকে  লোক দেখানো হাসিমুখে।। হাজার জ্বালায় জ্বলে পুড়ে  আমার ভিতর বাহির কালা।। সাত সমুদ্র অশ্রু দিলো  বিধি আমার চোখের মাঝে, ক্যান দিল না সফলতা  আমার হাতের কোন কাজে?? সকল কাজে ব্যর্থ আমি  পাই না কারো ভালোবাসা, মরতে চাইলে তাও পারিনা  বেঁচে থাকার নাই তো আশা। চাবি রেখে বিধি হাতে  আমায় মাইরা রাখছে তালা।।

আত্মশাসন

 আত্মশাসন  খাদিজা বেগম  সবার উপর মানুষ বড়  তার উপরে পিতা-মাতার আসন, ছেলে মেয়ে অন্যায় করলে  তখন পিতা মাতায় করে শাসন। পিতা-মাতা মাথার মুকুট  সন্তান রাখে তাদের মাথায় তুলে, পিতা-মাতার নিয়ে সন্তান  গর্ব করে আনন্দে মন খুলে। এখন অনেক পিতা-মাতা  করছে দেখি পরকীয়ার ফ্যাশন।। তলে তলে চরিত্রহীন  উপর দিকে দেখায় চরিত্রবান, আমরা কেহ হতে চাই না  এমন নোংরা পেতা-মাতার সন্তান।। যদি থাকতে না পারো সৎ তোমরা সন্তান জন্ম দিও না কেউ,  অসৎ পিতা-মাতার জন্য  ছেলে মেয়ের বুকে যন্ত্রণার ঢেউ। নিষ্পাপ সন্তান শাস্তি ভোগে  নিজের পিতা-মাতার কারণ।। আত্মশাসন না জানলে মন পরের জন্য ভাঙ্গে আপন সংসার, নিজের ভুলে জ্বলবে আগুন  সৌন্দর জীবন পুড়ে হবে ছারখার।  অল্পতে মন তুষ্ট রাখো  ধৈর্য ধরো পাপকে করো বারণ।।

মেয়ের পানি

 মেঘের পানি  খাদিজা বেগম  আমি তোমার আকাশের মেঘ  তুমি আমার মেঘের পানি,  তোমায় ছাড়া প্রাণ হারাবো  আমি ধ্বংস হবো জানি।। আমি তোমার সাগরের ঢেউ  তুমি আমার ঢেউয়ের ছন্দ, তোমায় ছাড়া সব হারাবো  এই জীবনের সুখ আনন্দ। তুমি আমার ভোরের পাখি  দুই নয়নের ঘুম ভাঙানি।। আমি তোমার বাগানের ফুল  তুমি আমার ফুলের আলি, তোমায় ছাড়া মোমের মতন  পুড়ে পুড়ে আমি গলি।। আমি তোমার হৃদয়ের সুখ  তুমি আমার সুখের ভুবন,  সুখে দুঃখে থাকবো পাশে  তুমি আমি আমরা দুজন। কারো থেকে কেউ যাব না  দূরে সরে একটুখানি।।

প্রেমে পড়েছে

 প্রেমে পড়েছে  খাদিজা বেগম  ওগো তোমায় দেখে দেখে  আমার নয়ন তোমার প্রেমে পড়েছে,  ওগো তোমায় শুনে শুনে  আমার চরণ তোমার ঐ পথ ধরেছে।। তুমি ছাড়া এই পৃথিবীর  অন্য কিছু দেখে না দুই নয়নে, তোমার বাড়ি ঐ ঠিকানা ছাড়া আমার চলে না দুই চরণে। তোমায় নিয়ে স্বপ্ন দেখে  আমার এই মন স্বপ্নের ভুবন গড়েছে।। সেই ভুবনে তুমি আমি  ওগো প্রিয় শুধু আমরা দুজনে, ফুলে ফুলে হেলে দুলে  যেথায় নিত্য করে ভোমরার গুঞ্জনে।। কুহু কুহু কলরবে  ফাগুনের ফুল ফোটে সৌরভ ছড়িয়ে, তুমি আমি আমি তুমি  দুজন মিলে সেথায় থাকি জড়িয়ে।। দুঃখগুলো দূরে ঠেলে  আমি তোমায় সুখে দেবো ভরিয়ে।।

ভাবতে হবে তোমায়

 ভাবতে হবে তোমায়  খাদিজা বেগম  ডিম বেঁচে কেউ ধূমপান করে দুধ বেঁচে কেউ মত কিনে খায়,  কত রকম পাগল দেখলাম  পাগল ভরা এই দুনিয়ায়।। কেউ বা আবার নিচ্ছে খুঁজে  অপবিত্র মাঝে আরাম। হালাল জিনিস পায়ে ঠেলে  কেউ বা বুকে রাখে হারাম, বিষ খাবে না মধু খাবে আজকে ভাবতে হবে তোমায়।। সত্য বেঁচে কেউবা আবার  ধন-সম্পদের পাহাড় গড়ে, সব হারিয়ে কেউ বা আবার  সত্য দিয়ে জীবন ভরে।। চাঁদ দেখা যায় আপন চোখে  আপন করে যায় না পাওয়া, এই দুনিয়ার ধন সম্পদ সুখ সবই হলো মিথ্যে চাওয়া। মিথ্যে স্বপ্ন দেখতে দেখতে  সত্যি সত্যি কাল চলে যায়।।

খারাপ বাবা

 খারাপ বাবা  খাদিজা বেগম  আমার সন্তান জেনে গেছি  পৃথিবীতে আছে খারাপ বাবা,  তাইতো তাহার হৃদয় মাঝে  দিবানিশি বইছে অগ্নি লাভা।। আজকে ভাবি আবার কেন বিয়ে করলাম গড়লাম নতুন সংসার, ক্ষণিক সুখের জন্য কেন  পর করিলাম প্রাণের সন্তান আমার। বাবা হয়ে কেমন করে  হিংস্র পশুর মতো দিলাম থাবা।। ওদের চোখে অশ্রু দেখে  এখন রক্ত ঝরে আমার বুকে,  আর কোনোদিন সুখ পাবনা  দুঃখ নিয়ে মরব ধুঁকে ধুঁকে।। আমার সন্তান বুঝে গেছে  চরিত্রহীন তার বাবা লুচ্চা লম্পট, তাদের মনে আগুন জ্বেলে  তাদের বাবা অন্যের সাথে চম্পট। ও ভাই ভালো মানুষ হলে  কাবার চেয়েও বেশি সম্মান পাবা।।

নারী হয়ে

 নারী হয়ে  খাদিজা বেগম  নারী হয়ে জন্ম নিয়ে  ধর্ষিত হয় কত মা বোন মেয়ে, পশুর মতো উল্লাস করে  মা মেয়েদের একলা বাগে পেয়ে।। হায়েনার মতো তোমাদের হাত  শিকার করে নারীদের মান সম্মান, তোমাদেরকে জন্ম দিতে  কত নারী হারিয়েছে তার প্রাণ। তোমাদের পেট ভরাতে মা  কতটা দিন রয়েছে না খেয়ে।। কত লাথি কত গুঁতা  মায়ের পেটে দিয়েছিলে তুমি  তবুও মা হেসে ছিল  তার ছেলেটা উজ্জ্বল করবে ভূমি।। সেই ছেলে আজ নারীর নেশায়  বিবেক বুদ্ধি সব হারিয়ে অন্ধ, তার কাজে আর কথাবার্তায়  এই সমাজে ছড়ায় নোংরা গন্ধ। এসো আমার দোয়া করি  স্রষ্টার কাছে মানবিক গুণ চেয়ে।।

শাড়ীর কুঁচি

শাড়ীর কুঁচি  খাদিজা বেগম  আমার শাড়ীর কুঁচি গুলো  যদি তোমার হাতে ধরতে পারো, তবেই তোমার সাথে আমার  ভালোবাসা হতে পারে গাঢ়।।  তুমি আমার লাম্বা চুলে  বেনি গেঁথে দিতে পারো যদি, তেল মাখিয়ে চুল গুছিয়ে  আমার খোঁপা বাঁধতে পারো যদি। তবেই আমার হিরো হবে যদি বারবার আমার কাছে হারো।। এই কপালে তোমার হাতে  যদি দিতে পারো পিট পড়িয়ে, তবেই থাকব শুধু তোমার  পৌষের কাঁথা হয়ে মন জড়িয়ে।। আলতা দিয়ে পা রাঙিয়ে যদি নূপুর বাঁধতে পারো পায়ে, মেহেদীর রং চুড়ি দিয়ে যদি দিতে পারো হাত সাজায়ে। তবেই তুমি কাছে এসো  ভালবেসে বাসবো ভালো আরো।।

চোখের দেখায়

চোখের দেখায়  খাদিজা বেগম  চোখের দেখায় জাগে নেশা  তা জানিনি তোমায় দেখার আগে, ভালো লাগে ভালো লাগে  তোমায় দেখতে আমার ভালো লাগে।। তোমার মত এত সুন্দর  এই জীবনে আর দেখিনি চোখে, জনম জনম দেখব তোমায়  যা খুশি তাই বলে বলুক লোকে। ঘ্রাণ ছড়াবো মন ভরাবো আমি রবো তোমার পুষ্প বাগে।। যেমনি খুশি তেমনি উড়াও আমি শুধু তোমার হাতের ঘুড়ি, মনের দুয়ার খোলা আছে যা খুশি তাই করতে পারো চুরি।। তোমায় শুধু দেখতে দিও  চোখের আড়াল হয়ে যেয়ো না গো, এই বুকে কান পেতে শোনো  তুমি আমার কত আপন লাগো। যত দেখি মন ভরে না  তোমায় দেখার ততই তৃষ্ণা জাগে।।

তুমি আসবে

 তুমি আসবে  খাদিজা বেগম  আমি জানি তুমি আসবে  উঁচু উঁচু পাহাড় গুলো সরিয়ে, তুমি আসবে আমার কাছে  সাত সমুদ্র তের নদী পেরিয়ে।। আমি জানি তুমি আসবে বৃষ্টির জলে ভিজে ভিজে শ্রাবণে,  ফুলের ঘ্রাণে ভ্রমর হয়ে  উড়ে উড়ে আসবে তুমি ফুল বনে। পৌষের রাতে আসবে তুমি  উষ্ণ প্রেমের চাদর গায়ে জড়িয়ে।। তোমাকে যে আসতেই হবে  বাসতেই হবে এই আমাকে খুব ভালো,  তুমি ছাড়া আমার জীবন  শুধু আঁধার ভরা তাতে নাই আলো।। তুমি আমার সোনার রবি  তোমার ছোঁয়ায় আলোকিত হই আমি,  তোমাকে না দেখলে নয়ন  মন মাঝারে বেড়েই চলে পাগলামি। মরণ আমায় টেনে নেবে  ভুল করে যাও যদি আমায় এড়িয়ে।।

প্রাণ শিকারি

 প্রাণ শিকারি  খাদিজা বেগম  চারিপাশে প্রাণ শিকারি  আমায় নিয়ে করে উল্লাস, বারে বারে দুই চোখে তাই ভেসে উঠে আমারি লাশ।। এই নিয়তির হাতে যেন  আমি একটা মোমের পুতুল, জ্বলে পুড়ে গলে গলে  আলো ছাড়াই আঁধারের কূল। আমি তো নই আমার কেহ  আমি যেন নিয়তির দাস।। জন্ম থেকে বন্দী আমি  কায়া নামের জেল খানাতে,  সেথায় টর্চার করছে আমায়  দিবানিশি ছয় জনাতে।। দেহের ভেতর শূন্য শূন্য  আমি যেন নেই আমাতে, কখন যেন যোগ দিয়েছি  কাফন পরা ঐ জামাতে। দেহ ছেড়ে কোথায় যাব  কোথায় পাবো আপন আবাস??

কচু পাতার ওপরে

 কচু পাতার ওপরে  খাদিজা বেগম  কচু পাতার ওপরে জল  যেমন করে টলমল করে,  এমন জীবন নিয়ে মানুষ  কেমন করে গর্ব করে?? যে দেহটা পোকায় খাবে  মিশে যাবে ওই মাটিতে, কেমন করে সেই দেহটা  পাপের পথে চায় হাঁটিতে? প্রাণ যাবে যাক তোমার বিবেক  তুমি রাখো যত্ন করে।। বিবেক ছাড়া শুধু আবেগ  নিয়ে চলে পশুদের দল, মানব রুপি পশুরাই তো  ঝরায় অন্যের নয়নের জল।। আর কতকাল থাকবে তুমি লোভ লালসায় ডুবে বেহুঁশ? মানুষেরে ভালোবেসে  মানুষ হয়ে ওঠো মানুষ। ত্যাগে ত্যাগে তেগী হয়ে  নিজেকে লও মানুষ করে।।  

ডাকবো তোমায়

 ডাকবো তোমায়  খাদিজা বেগম  ডাকবো তোমায় কি নাম ধরে মন চায় ডাকি প্রণয়িনী, হৃদয়ে চায় ডাকি তোমায়  ভালোবেসে সুবাসিনী।। ডাগর ডাগর নয়ন দেখে  মন চায় ডাকি সুনয়না, তোমায় দেখার পরে যেন এই হৃদয়ে প্রেম সূচনা।  ওগো প্রিয়া তোমায় যেন  জনম জনম ধরে চিনি।। তুমি আমার রাতের আকাশ  জোছনা ঝরা পূর্ণিমা চাঁদ, তোমার জন্য জেগে ছিলাম  যেন কত হাজারো রাত।। নাকি আমি ডাকবো তোমায়  সারাটা দিন প্রিয়তমা, ঘুম তাড়িয়ে ডাকবো তোমায় সারাটা রাত অনুপমা। নাকি ডাকবো চিরদিনি মন শিকারি মায়াবীনি।।

ও পেয়ারি

 ও পেয়ারি  খাদিজা বেগম  ওঠো ওঠো প্রিয় আমার  ঘুমাইও না ঘুমায়ো না /তুমি আর, ওঠো ওঠো ও পেয়ারি  প্রেম পিপাসায় এই মন করে /হাহাকার।। তোমার কথা ভেবে ভেবে  তোমার প্রেমে ডুবে গেছে /আমার মন, স্বর্গীয় প্রেম পাবার আশায়  কেঁদে কেঁদে শ্রাবণ ধারা /দুই নয়ন। আমার ডাকে দাও সাড়া দাও   রাগ করনা ও পেয়ারি /দাও পেয়ার।। তুমি আমার প্রানের প্রিয়  শ্বাস নিঃশ্বাসের স্রোত ধারা /এই বুকে, তুমি ছাড়া বাঁচবো না তাই  তোমারি নাম যপি সুখে /আর দুঃখে।। তুমি আমার ভালোবাসা  আসান দাতা আমার সকল /মুশকিলে, তোমারি প্রেম আলো হয়ে  দিবানিশি জ্বলে আমার /এই দিলে। ও পেয়ারী পেয়ার দাতা দাও খুলে দাও তুমি তোমার /প্রেমের দ্বার।।

ঘুমাইয়োনা

 ঘুমাইওনা  খাদিজা বেগম  ঘুমাইওনা ঘুমাইওনা  ওগো আমার প্রাণের সখী, তোমার হাতে মুছিয়ে দাও  আমার অশ্রু ভরা আঁখি।। কথা ছিল তুমি আমি  আমরা থাকবো পাশাপাশি, সেই তুমি আজ চিরনিদ্রায়   আমি অশ্রু জলে ভাসি। না বলা যে কত কথা  মনে রয়ে গেছে বাকি।। কেমন করে ঘুমাও তুমি  আমাকে না ঘুম পাড়িয়ে,  কেমন করে চলে যাচ্ছ  আমার ভেজা চোখ এড়িয়ে।। তোমায় ডেকে ডেকে দেখো  আমি হলেম দিশেহারা, তবু কেন নিরব তুমি  খোলো না চোখ দাও না সাড়া? তুমি ছাড়া আপন হারা  যেন ডানা ভাঙ্গা পাখি।।

কষ্ট কষ্ট লাগে

 কষ্ট কষ্ট লাগে  খাদিজা বেগম  আজকে আমার অনুভবে জাগে  শ্বাস-নিশ্বাসে ভিশন কষ্ট কষ্ট লাগে, আজকে আমার অনুভবে জাগে  খাবার চিবিয়ে খেতেও কষ্ট কষ্ট লাগে । আজকে আমার অনুভবে জাগে  কথা বলাতেও আমার কষ্ট কষ্ট লাগে, আজকে আমার অনুভবে জাগে  চরণ বাড়িয়ে দিতেও কষ্ট কষ্ট লাগে।  আজকে আমার অনুভবে জাগে  দুটি চোখ খুলে তাকাতে কষ্ট কষ্ট লাগে,  আজকে আমার অনুভবে জাগে  মাথায় চিরুনি করতে কষ্ট কষ্ট লাগে। আজকে আমার অনুভবে জাগে  সোজা হয়ে বসে থাকতে কষ্ট কষ্ট লাগে, আজকে আমার অনুভবে জাগে  বিছানাতে শুয়ে থাকতে কষ্ট কষ্ট লাগে। আজকে আমার অনুভবে জাগে  প্রতিটা অঙ্গ বহিতে কষ্ট কষ্ট লাগে, আজকে আমার অনুভবে জাগে  আমার চোখের আলোতে ঝাপসা ঝাপসা লাগে।  আজকে আমার অনুভবে জাগে  শরীর নীরবে নিস্তেজ হয়ে যাচ্ছে খুব, হয় তো এখন আমার মৃত্যু খুব নিকটে  মৃত্যুর বুকে হাসি মুখে আমি দিয়ে চাই ডুব। আমি মৃত্যুকে সাধুবাদ জানাই, জন্মের আগে অবধারিত এই মৃত্যু  মৃত্যুকে আজ স্বাগতম আর সালাম জানাই।  আমি আর কোন অসুস্থতাকে  এই জরাজীর্ণ শরীরে সহিতে ত...

তোমার বুকে

 তোমার বুকে  খাদিজা বেগম  তোমার বুকে আমার নিঃশ্বাস  হয়তো কভু আর পড়বে না, তোমার বুকে থাকতে চেয়ে  নয়নের জল আর ঝরবে না।। হয়তো তোমার শরীর ঘেঁষে  আমার শরীর আর থাকবে না,  ভুলতে ভুলতে ভুলে যাবে  হয়তো আমায় আর ডাকবে না।  ভুল করেও তুমি আমার  ঠিকানার পথ আর ধরবে না।। আমি চাইলেও বাঁচবো না আর  ধরে রাখতে পারব না প্রাণ, তবু আমার হৃদয় জুড়ে  থাকবে শুধু তোমারি ঘ্রাণ।। তোমার ঘ্রাণে ঘ্রাণে আমি  চিরতরে নয়ন বুজবো, নয়ন বুজে বুজে আমি  শুধু তোমার ছোঁয়া খুজবো। হাজার জনম তোমায় ছুঁয়ে  থাকলেও জানি মন ভরবে না।।

কাঁচা ফলে

 কাঁচা ফলে  খাদিজা বেগম  কাঁচা ফলে হাত দিওনা  ফল পাকিলে রসালো হয়,  কাঁচা ফলে স্বাদ লাগেনা  ওই ফল লাগে বিস্বাদ ময়।। বোকার মত ফল ছিড়না  সেই ফল আছে বলে গাছে, প্রতিটা দিন ফল পাকাবে  তা কি গাছের সাধ্য আছে?  সময় দিও ফল পাকিতে  নইলে ভাঙবে গাছের হৃদয়।। শোন নাগর ও রসিয়া  তোমার গাছের যত্ন নিও, প্রয়োজনে পানি দিও  আগাছা সব কেটে দিও।। যেমনি গাছের যত্ন নেবে  তেমনি দেবে তোমাকে ফল, অযতনে রাখলে ও গাছ  ঝরবে গাছের নয়নের জল। গাছটা হলো কাঁচের মতন  আগলে রেখো ভাঙ্গনের ভয়।। অল্প ঝড়েই ভাঙ্গে পড়ে  লাগে নাতো জোড়া তাতে, আদর করে পুষে রেখো  তুমি তোমার নিজের হাতে। দিবানিশি রোমান্স করে তুমি কাটাও সুখের সময়।।

পুরুষের মন

 পুরুষের মন খাদিজা বেগম  পুরুষের মন ভোমরার মতন  নতুন ফুলে ফুলে উড়ে, কোন নারীর সাধ্য নাই তো  ভালোবেসে রাখবে ধরে।। যেই পুরুষের বিবেক আছে   আছে ধর্মের পবিত্র জ্ঞান,  সেই তো শুধু বুঝতে পারে  স্ত্রীর নিরব মান অভিমান। পুরুষ চায়না ভালোবাসা  কান্দে নতুন ফুলের তরে।। চরিত্রহীন পুরুষেরে  তোমরা ভালো বেসো না কেউ, যদি বাসো ভালো তবে  বুকে হইবে যন্ত্রনার ঢেউ।। তারে দিয়ে মিটিয়ে লও  তুমি তোমার চাহিদা সব, বেতন বীণা কাজের লোক সে  দান করেছেন তোমাকে রব।। তার ভুলেতে তোমার সংসার  ভেঙ্গোনা আর বারে বারে,  তোমার মনে ঠাই দিওয়ানা  যেন মন না ভাঙতে পারে। কুকুরের চোখ মলের দিকে  যতই ঘি দাও যত্ন করে।।

ডাকাত এখন দেশে

 ডাকাত এখন দেশে  খাদিজা বেগম  চোর গিয়েছে চুরি করে  ডাকাত তখন দেশে, গুনার খাঁচা কেটে আছি লোহার খাঁচায় ফেঁসে।। আর কতকাল ঠকবো আমরা  মীরজাফরের ছলে? গরিব দুঃখী আর কতকাল  ভাসবে চোখের জলে? শয়তানেরা দিচ্ছে ধোঁকা  পীর সন্ন্যাসীর বেশে।। ঘুমে বিভোর তা ভেবো না  সজাগ আছি আমরা, সময় হলেই উঠব খেপে  তুলে নেব চামড়া।। যা যা ভালো হয়ে যারে  ভালোবেসে এই দেশ, আমরা সবাই ভালো হলে  থাকব নাতো আর ক্লেশ। হাসিখুশি থাকবে লোকে জীবন কাঁটবে হেসে।।

পালাই পালাই

 পালাই পালাই  খাদিজা বেগম  পালাই পালাই করে এই মন  বলনা রে তুই আমার সাথে যাবি,  তোরে নিয়ে চলে যাব  এই কথাটি বারে বারে ভাবি।। তুই ছাড়া আর ভাল্লাগেনা  নিজের ঘরে পরবাসী লাগে, তোরে নিয়ে নতুন করে  আমার বেঁচে থাকার ইচ্ছা জাগে।  সারা জীবন থাকিস আপন তোর কাছে মোর ভালবাসার দাবি।। রাত গভীরে তোরে নিয়ে  এই লোকালয় যাব আমি ছাড়ি, তোরে নিয়ে মেঘের ভেলায়  ভেসে ভেসে দেব আমি পারি। তোর ঐ হাতটা থাকলে হাতে  যা দেখি সব চোখে লাগে ভালো, তুই ছাড়া সব আঁধার দেখি দিনদুপুরেও দেখি সবি কালো। ভেবে চিন্তে বলনা রে তুই  তুই চাইলে এই আমার প্রাণটাও পাবি।।

আধো ছোঁয়া দিয়ে

 আধো ছোঁয়া দিয়ে  খাদিজা বেগম  আধো রাতে আধো ঘুমে  আমি আধো আধো দেখি তোমার মুখ, আধো হাসি মাখানো ঠোট আধো আধো ভালোবাসা ভরা চোখ।। স্বপ্নে দেখি সেই তোমাকেই  দেখি যারে প্রতিদিন এই উঠানে, হাসতে দেখি খেলতে দেখি  সেই তোমাকে দেখি আমার উদ্যানে। রাতে দেখি দিনে দেখি  তবু দেখার পিপাসাতে ফাটে বুক।। মন চায় আরও বেশি দেখি ছুঁয়ে দেখি তোমার হাতের আঙুলে, সকাল হলেই তোমায় দেখি যেন সবার আগে আমার চোখ খুলে।। আধো আধো ছোঁয়া দিয়ে  কেন আমার ঘুম ভেঙ্গে যাও পালিয়ে, কেন আসো কেন যে যাও কি শান্তি পাও তুমি আমায় জ্বালিয়ে। তুমি এলে লাগে সুখ সুখ  তোমায় ছাড়া লাগে যেন মোর অসুখ।।

তোমার ফুলের সুবাস

 তোমার ফুলের সুবাস  খাদিজা বেগম  হাওয়ায় হাওয়ায় যখন আসে  তোমার ফুলের সুবাস আমার নাকে, তখন আমার মনের কোকিল  তোমার প্রেমে মিষ্টি সুরে ডাকে।। তুমি কি গো শুনেছো তা  শুনেছে কি ঐ মায়াবী হৃদয়, কুহু কুহু সুরে কোকিল উড়ে উড়ে ঘুরে ঘুরে কি কয়? তুমি আমার বসন্ত তাই  মনের শাখে ফাগুন হাওয়া মাখে।। সবুজ সবুজ কচি পাতায় হৃদয় বাগান আজ উঠেছে ভরে,  আর কোনো দিন ভাঙ্গে না যে  তোমাকে না পাবার নিষ্ঠুর ঝড়ে।। যখন তুমি কথা বলো  তোমার সুন্দর কাঁপা কাঁপা ঠোঁটে, আবাক হয়ে দেখি চেয়ে তখন যেন ওই ঠোঁটে ফুল ফোটে। মন ভোমরা মধুর নেশায় ঘুরে বেড়ায় তোমার ফুলের বাঁকে।।

আমি আর নাই

 আমি আর নাই খাদিজা বেগম  শূন্য থেকে এসেছিলাম  আবার শূন্যে যাবো মিলে, আসা-যাওয়ার মাঝখানে তাই  দাগ দেব না কারো দিলে।। হাসিখুশি থাকবো নিজে  কাউকে আমি কাঁদাবো না,  আমার কাছে মূল্যহীন সব  অন্যের জায়গা জমি সোনা।  মানব জীবন নষ্ট হবে  লোভ লালসা মন পাঁচিলে।। যতটুকু সময় আছে  যাব শুধু ভালোবেসে,  নষ্ট হতে দেব না ক্ষণ  হিংসা নিন্দা আর বিদ্বেষে।। তার আদেশ আর নিষেধগুলো  মনে রেখে পথ চলে যাই,  যেতে যেতে চলে যাব  তোমরা শুনবে আমি আর নাই। মানব হৃদয় অনেক নরম  পাপী হবে তা ভাঙ্গিলে।।

তেল

 তেল  খাদিজা বেগম কথা বলার ফাঁকে ফাঁকে  যে জন অতিরিক্ত তেল মাখে, চকচকে তার চতুর কথায়  ফতুর করে ফেলে দেবে তোমাকে।। অতিরিক্ত তেলের খাবার  স্বাদ হলে ও স্বাস্থ্য রাখে ঝুঁকিতে,  চরণ চাটা কুকুরগুলো  মাথায় রাখলে মাথা হবে ঠুকিতে। খুব কৌশলে এড়িয়ে যাও আপন করে কাছে রেখ না তাকে।। সবার কাছেই ভালো লাগে  শুনতে নিজের প্রশংসার সুর, চাটুকারের ও প্রশংসা  শুনতে লাগে আরো মধুর।। স্বভাব যাদের চরণ চাটা  তারা কাজের চেয়ে কথা বেশি কয়,  এমনি মানুষ থাকলে পাশে  নিশ্চিত ভাবে তোমার হবে পরাজয়।  ভালো মানুষ পাশে রেখো  যারা শুধরে দেবে তোমার ভুলটাকে।।

প্রাণের বলি দান

 প্রাণের বলি দান  খাদিজা বেগম  পিছন থেকে পকেট মারো  সামনে দিয়ে করো দান,  ভাবছো হেসে কেউ বুঝে না  ওরে চালাক সোনার চান।। দেখছি সবি দুই নয়নে  শুনছি সবি দুই কানে, সময় হলেই বুঝতে পারবে  এই চুপ থাকার কি মানে।  তোরা কেন এত নিষ্ঠুর  তোদের নাই কি রে ঈমান?? এই দেশেতে জন্ম নিয়েও  কেন কর ছলনা, কেন দেশটা ভালোবেসে  সঠিক পথে চলনা? হবে কেন তোমরা আজও  এই সমাজের চাঁদাবাজ, করবে কেন ঘুষ বানিজ্য  ন্যায়ের সাথে কর কাজ। কোন লালসায় ভুলে গেলে  এত প্রাণের বলি দান?

জোছনার কোলে

 জোছনার কোলে  খাদিজা বেগম  জোছনার কোলে রাত্রি ঘুমায় চাঁদের আলো জড়িয়ে গায়, সে তো ধরা ছোঁয়ার বাইরে যার কোলে মন ঘুমাতে চায়।। রাত্রির বাতাস পাতায় পাতায়  জাগিয়েছে প্রেমের কাঁপন, তুমি ছাড়া দূরে কাছে  আমার কেহ নাই তো আপন।  কেঁপে কেঁপে ওঠে এই বুক  ঘুম আসে না তোমার মায়ায়।। ঘাসের বুকে ঘুমিয়েছে  খুব নীরবে শিশিরের জল, তোমার বুকের অপেক্ষাতে  ঘুমহীনা চোখ জলে ছলছল।। আদর মাখা পাখা ঝাপটায়  যেন দূরের কোনো পাখি, তোমায় ছাড়া ভাল্লাগেনা  রাত কাটেনা মোর একাকী। প্রতিটা দিন চাই তোমাকে  আমার বুকের এই কলিজায়।।

মনুষ্যত্বের মাপকাঠিতে

 মনুষ্যত্বের মাপকাঠি  খাদিজা বেগম  কত মাটির পথ ঘাট রাস্তাগুলো  ধীরে ধীরে হয়ে গেছে পিচ ঢালাই, রাস্তায় হেঁটে চলা কত মানুষ  আজো ওরা মানুষ হতে পারে নাই।। কত ঘোড়া, গরু, গাধার গাড়ির  পরিবর্তে চলে ইঞ্জিন চালিত, কত স্বাধীন চেতা মানুষগুলো  ঐ কুকুর এর মত হয় পালিত। গাঁধা যেমন ঘোরে মুলার পিছে স্বার্থের পিছে ঘুরে মানুষ পুড়ে ছাই।। কত শত গ্রাম ভরে গেছে  ইট পাথরের তৈরি করা শহরে,  কত মানুষ আজও চলে গেছে  বন্য বর্বর অসভ্যদের বহরে।। বিবেক বুদ্ধি সহানুভূতি  আজকে কেন নাই মানুষের ভেতরে? স্বার্থের লোভে ধীরে ধীরে  বর্বর হয়ে গেছো তোমরা কি করে? তোমরা মানুষ মানুষ কি-না  মনুষ্যত্বের মাপকাঠিতে হোক যাচাই।।

ভোট দেব না

 ভোট দেব না  খাদিজা বেগম  ভোট দেবো না ভোট দেবো না  আমি এমন কোন দলের প্রতীকে, যাদের মূর্খ কর্মকাণ্ডে  সতীনের ঘর করতে হবে মেয়েকে।। কাঁদবে যখন আমার মেয়ে  ঘুম আসবে না আমার দুটি নয়নে,  হাসিখুশি মেয়ের ওই মুখ  মলিন যেন না হয় কভু জীবনে। শ্রাবণ হয়ে ঝরে না যে কোন ধর্ম কারো মেয়ের দুই চোখে।। ধর্ম হল বর্ম স্বরূপ  মনুষ্যত্ব আর বিশ্বাসের চেতনায়, সেই ধর্মকে বিষ মাখা তীর তৈরি করে ওরা মারছে কলিজায়।। ধর্মে দিলেও ঐ পশুরা  নারী জাতির দেয় না ন্যায্য অধিকার, ঘরে বাইরে ফূর্তি করে ধর্মের নামে করে ওরা অত্যাচার। শ্রেষ্ঠ নবীর মত করে  কজন ভালবাসো নিজের স্ত্রীকে?? ভোগের জন্য নয় তো বিয়ে  বিয়ে হল মুসলমানের ইবাদাত, খুশি থাকো খুশি রাখো  কারো জীবন কেউ করোনা তো বরবাদ। প্রথম স্ত্রী বেঁচে থাকতে  কেউ শুনেনি বিয়ে করতে নবীকে।। ধর্ম রাখো বুকের ভেতর  কাজে কর্মে ভরে রাখো স্বচ্ছতা, পৃথিবীকে দেখিয়ে দাও  স্বার্থ ভুলে বীর বাঙালির একতা। ত্যাগে ত্যাগে ত্যাগী হয়ে  মানুষ বলে দাও পরিচয় নিজেকে।।

পদচিহ্ন

 পদচিহ্ন  খাদিজা বেগম  পা নেই বলে ভেবো না কেউ  পদচিহ্ন রেখে যেতে পারবো না,  চেষ্টা করে যাবো বার বার  মরার আগে এই চেষ্টা তো ছাড়বো না।। মানুষ বড় জ্ঞানে গুনে  প্রমাণ করে রেখে যাবো আবারো,  প্রয়োজনে অধিক সম্পদ  ডেকে ডেকে আনবে বিপদ হাজারো। নিজের কাজে ব্যস্ত থাকবো  অন্যের ক্ষতি করার চিন্তা করবো না।। আমি মানুষ সৃষ্টির সেরা  এটা বললে কি আর কেহ শ্রেষ্ঠ হয়? কাজকর্ম আর ব্যবহারে থাকে সত্যি কারের মানব পরিচয়। রূপ দেখে বা কন্ঠ শুনে  খুব সহজে পশু পাখি চেনা যায়, এই দুনিয়ার মানুষগুলো  হাজার দেখে জেনে শুনেও চেনা দায়। যাচাই-বাছাই না করে ভাই  আমরা কোন পথ কিংবা মত ধরবো না।।

সেই প্রতিবাদ

 সেই প্রতিবাদ  খাদিজা বেগম  ক্ষুধা লাগলে খাচ্ছ খাবার  পিপাসায় পান করছো পানি,  অন্যায় দেখলে তোমাদের ঐ চোখে কেন পড়ে ছানি ।। অন্যায় দেখলে নেই তোমাদের  একাত্তরের সেই প্রতিবাদ, চুপ করে দেখে যারা  তারাও নয় নিরপরাধ । কাজে কর্মে কথাবার্তায়  ছাপ রেখে যায় সকল জ্ঞানী।। এমন কথা বলো না কেউ  যাতে হবে অন্যের কষ্ট,  এমন কর্ম করো না কেউ  যাতে ধন ও মান হয় নষ্ট। ওই সাপ থেকে দূরে থাকো যেন গায়ে না লাগে বিষ, সাপের চেয়েও পাপ ভয়ংকর  কেন পাপে কাছে রহিস? অন্যায়কে না বল আজি  যদিও দেয় মন উস্কানি।। বিবেক রেখে মনের কথায়  চলতে যদি থাকো তোমরা,  অপরাধী হবে বটি তোমরা হবে মিষ্টি কুমড়া। বেড়ে যাবে এই সমাজে  বিশৃঙ্খলা হানাহানি।। তার চেয়ে এই ভালো সবার  নিয়ম নীতি মেনে চলি, সবাই মিলে চর্চা করি  মানবীয় গুনাবলী।। জীবন সাজাই আমরা সবাই   সৎ উপদেশ সদা মানি।।

কোরবানি দাও

 কোরবানি দাও  খাদিজা বেগম  হাজার হাজার লক্ষ টাকায়  পশু কিনে কোরবানি দাও,  গোশত গুলো ফ্রীজে রেখে সপ্তাহ জুড়ে মাস ধরে খাও।। নারী-ভুরি, পায়া, চামড়া  সকল অংশ খাও আনন্দে, পেট ভরে যায় কারো শুধু  সেই কোরবানির ময়লার গন্ধে। ওই বুকে হাত রেখে বল  কোরবানি দাও, না লোক দেখাও?? কি আসে যায় কোটি টাকায়  কেনা পশু জবাই দিলে, যদি নাহি খেতে পারো  সবাই মিলে এক টেবিলে।।  টাকা হলে বনের পশু  সবাই পারে করতে জবাই, মনের পশু জবাই করতে  মনুষ্যত্ব ভরা মন চাই। ত্যাগে ত্যাগে ত্যাগী হয়ে  লালসা ত্যাগ করা শেখাও।।

ঈদের খুশির ঝড়

ঈদের খুশির ঝড় খাদিজা বেগম  দারুন খুশির ঢেউ জেগেছে  সব মানুষের হৃদে হৃদে,  নতুন পোশাক পড়বে সবাই  ঘোরাঘুরি করবে ঈদে।। মান অভিমান ভুলে গিয়ে  বুক মিলাবে হাসিমুখে,  ধনী গরীব মিলেমিশে  ঈদ কাটাবে সুখে সুখে। ঈদের খুশির ঝড় তুফানে   উড়ে যাক সব দুষ্ট ক্ষিদে।। লোভ লালসা ভুলে গিয়ে  সত্য ন্যায়ের পাশে রবে, মানব হতে এমনটাই তো  আশা করে মহান রবে।। ছোটখাটো ভুলগুলো সব  মাফ করে দাও ঈদ আনন্দে, নতুন করে জেগে উঠিত  প্রতিটা প্রাণ ছন্দে ছন্দে জাগিয়ে দাও দরদী মন খুশি ছড়াও তার তাগিদে।।

এই করিলাম শপথ

 এই করিলাম শপথ  খাদিজা বেগম  এই করিলাম শপথ আমি  এই করিলাম আমি শপথ,  আমার মত চলবো আমি  এই পৃথিবীর প্রতিটা পথ।। যেই সমাজে করলো দোষী  আমার ভাঙ্গা অঙ্গ দেখে,  সেই সমাজে গুণ ছড়িয়ে আমি যাবো আগুন রেখে। সেই আগুনে পুড়ে যাবে  এই সমাজের যত আপদ।। মানুষ বড় জ্ঞানী গুণে  তাকে কেন কর ছোট? মানুষেরে সম্মান দিয়ে  তোমরা মানুষ হয়ে ওঠো।। কুসংস্কার আচ্ছন্ন লোক  অন্ধ লোকের চেয়েও অন্ধ, এদের বিবেক বুদ্ধি সবই  বোকার স্বর্গে যেন বন্ধ। কুসংস্কার পোষা মানুষ  এই সমাজের বড় বিপদ।।

নিজেকে তুই সামলা

 নিজেকে তুই সামলা খাদিজা বেগম  ও তোর নিভে যাবে রূপের আগুন  ঝলমলে রূপ হয়ে যাবে কয়লা, ও তোর যৌবন জোয়ার থাকবে না আর  সেথায় জমে থাকবে শুধুই ময়লা। ও তোর রূপ যৌবনের অহংকারে   আর দেখাইস না অন্যের উপর শক্তি, ও তোর কু কর্ম ফল তোরি থাকবে  এ থেকে তুই পাবি না তো মুক্তি। ও মন পবিত্র জন না পেলে তুই  প্রয়োজনে থেকে যাবি একলা।। জানি একলা থাকার জ্বালা অনেক  যে জ্বালার নাই কোন সীমা রেখা, তবু জ্বালার শেষে পাবিরে তুই  কল্পনাতীত অসীম সুখের দেখা।। জানি মরে যাব বাঁচব না কেউ  চলে যাবো দুদিন আগে পরে, ও তোর মনব জীবন শ্রেষ্ঠ জীবন  নষ্ট করিস না আর নোংরা কর্ম করে। ও তোর কু কর্মফল কেউ নেবে না  সময় থাকতে নিজেকে তুই সামলা।।

পুঁই এর ডগার মত

 পুঁই এর ডগায় মত  খাদিজা বেগম  পুঁই এর) ডগায় মত এ মন আমার  নুয়ে নুয়ে থাকে ঝুঁকে, যদি) একটুখানি ঠাই করে দাও   মাচা পেতে তোমার বুকে।। নির্ভাবনায় বাই তো এ মন  তোমার বুকের জমিন জুড়ে, তুমি ছাড়া একলা একলা এ মন যাচ্ছে জ্বলে পুড়ে। এমন করে মারতে চাই না  তোমায় ছাড়া ধুঁকে ধুঁকে।। আমার এ মন যখন তখন  তোমায় দেখতে করে বায়না, ওই মন তোমার কত পাষান  আমায় দেখতে কি সে চায় না?? তোমার দিকে ঝুঁকতে ঝুঁকতে  মন রয়েছে অনাদরে, একটুখানি বাসলে ভালো  মন তোলে নাও আদর করে। ইচ্ছে করে তোমার সাথে  আমি থাকি সুখে-দুঃখে।।

বীরের কন্ঠ

 বীরের কন্ঠ খাদিজা বেগম  বীরের কন্ঠ শুনলে পরে  আশার প্রদীপ ওঠে ফুটে,  কুকুরের দল সেই ফুলগুলো হিংস্র থাবায় নিচ্ছে লুটে।। হিংস্র কুকুর ঠাঁই পাবে না বীর বাঙালি বাংলাদেশে, আমরা যোদ্দা যুদ্ধ করবো  মরব নীতির সাথে হেসে‌। অন্ধকারকে বিদায় দেবো  ভোরের আলো হয়ে উঠে।। ছাইদ যেমন বুক পেতেছে স্বৈরাচারীর গলির মুখে, ষড়যন্ত্র রুখে দেবো  যতই গুলি চালাও বুকে। একটি সাঈদ ঘুমিয়েছে  কোটি সাঈদ জেগে আছি, বৈষম্যের বাঁধ ভেঙে আমরা  থাকবো সবাই পাশাপাশি। এমন সুন্দর দেশটায় আমার  সাত জনমের ভাগ্যেই জোটে।।

হেলমেট পরা

 হেলমেট পরা  খাদিজা বেগম  মুখে মুখে বেশ তো বলো  মানবতার দারুণ বুলি, ন্যায্য দাবি চাইতে গেলেই  কেন তোমরা চালাও গুলি? আর কত রক্ত দেব দেবো আরও কতটা প্রাণ? তৈরি আছি বাঙালিরা  তোমায় দিতে প্রাণ বলিদান ।।  ন্যায্য কথা বলবোই আমরা  যতই ভাঙ্গ মাথার খুলি?? আমরা তোমার প্রজা তো নই  তুমিও নও মোদের রাজা, তবু কেন কথায় কথায়  নিচ্ছো জেলে দিচ্ছ সাজা? তোমার সন্তান বিদেশ রেখে  কেন দেশের সন্তান মারো?  সন্ত্রাসীদের পুষে রেখে  তোমরা কাদের বিচার করো?  হেলমেট পরা ওই বাহিনী  বল কাদের কুত্তা গুলি??

মেধা শূন্য

 মেধা শূন্য  খাদিজা বেগম  তোদের যখন এতই রক্তের  ছিল প্রয়োজন বলতি আমাকে, বল মেধা শূন্য করলি কেন তোরা  আমার সোনার এই বাংলা মাকে? এই শরীরেও বইছে কত রক্ত  শহীদ ভাইয়ের মত খুব লাল, আমিও বাঙালি ভালোবাসি বাংলা  ন্যায্য কথা বলি সদা চিরকাল। পাখির মতন দুটি ডানা মেলে  আমার সাহসী ভাইটি গেল উড়ে,  বোবার মতন ছটফটিয়ে আমি  যেন বেঁচে থেকে মরি জ্বলে পুড়ে। পাহাড়ের মত ঐ ভাইটি আমার  গুলিতে গুলিতে লুটিয়ে পরেছে, তবুও তো তার অটল নীতিতে  শেষ পর্যন্ত সে লড়াই করেছে। চোখে চোখে ভাসে লাল লাল রক্ত  দুটি কানে আসে স্বজনের কান্না, আমাকে মারার আগে যেন তোরা  অন্য কাউকে কভু আর মারিস না। জেলে নিলে নিতি এই আমাকে ধরে  গুলি দিলে দিতি এই আমার বুকে, ঘুম পাড়িয়ে দে মোরে চিরতরে  বেঁচে থেকে আমি মরি ধুঁকে ধুঁকে।

বাঙালি

 বাঙালি  খাদিজা বেগম  আজ আমরা নই মুক্তি যোদ্ধা  নই জনগণ নই রাজাকার, আমরা সবাই এক বাঙালি  এ দেশ তোমার আমার সবার।। আজ আমরা নই আওয়ামীলীগ  নাই বিএমপি কিংবা জেপি, বাংলার সন্তান সব বাঙালি  কেন ভাইয়ের ওপর খেপি ? এদেশ মোদের জন্মভূমি  জন্ম সূত্রেই সম অধিকার।। আজ এ দেশে হিন্দু, মুসলিম  বৌদ্ধ, খ্রিস্টান ভেদাভেদ নাই, দেশের তরে আমরা সবাই  আজ বাঙালি বাঙালি ভাই। দুঃখের দিনে বন্ধু হবো  আপন রব সবাই সবার।। আমরা হলে ছত্রভঙ্গ  তাতে হবে শত্রুদের লাভ, দুর্নীতিবাজ ঘৃণা করব  হয় যদিও সে কারো বাব। বাংলাদেশের শত্রু যারা  তারাই চাইবে বাঙালির ভাগ, সব বাঙালি বীরের সন্তান  দেশের জন্য থাকবো সজাগ।  রক্তে কেনা এই দেশেতে   আর ঠাঁই দেব না স্বৈরাচার।।

হেলমেট পরা

 হেলমেট পরা  খাদিজা বেগম  মুখে মুখে বেশ তো বলো  মানবতার দারুণ বুলি, ন্যায্য দাবি চাইতে গেলেই  কেন তোমরা চালাও গুলি? আর কত রক্ত দেব দেবো আরও কতটা প্রাণ? তৈরি আছি বাঙালিরা  তোমায় দিতে প্রাণ বলিদান ।।  ন্যায্য কথা বলবোই আমরা  যতই ভাঙ্গ মাথার খুলি?? আমরা তোমার প্রজা তো নই  তুমিও নও মোদের রাজা, তবু কেন কথায় কথায়  নিচ্ছো জেলে দিচ্ছ সাজা? তোমার সন্তান বিদেশ রেখে  কেন দেশের সন্তান মারো?  সন্ত্রাসীদের পুষে রেখে  তোমরা কাদের বিচার করো?  হেলমেট পরা ওই বাহিনী  বল কাদের কুত্তা গুলি??

মেধা শূন্য

 মেধা শূন্য  খাদিজা বেগম  তোদের যখন এতই রক্তের  ছিল প্রয়োজন বলতি আমাকে, বল মেধা শূন্য করলি কেন তোরা  আমার সোনার এই বাংলা মাকে? এই শরীরেও বইছে কত রক্ত  শহীদ ভাইয়ের মত খুব লাল, আমিও বাঙালি ভালোবাসি বাংলা  ন্যায্য কথা বলি সদা চিরকাল। পাখির মতন দুটি ডানা মেলে  আমার সাহসী ভাইটি গেল উড়ে,  বোবার মতন ছটফটিয়ে আমি  যেন বেঁচে থেকে মরি জ্বলে পুড়ে। পাহাড়ের মত ঐ ভাইটি আমার  গুলিতে গুলিতে লুটিয়ে পরেছে, তবুও তো তার অটল নীতিতে  শেষ পর্যন্ত সে লড়াই করেছে। চোখে চোখে ভাসে লাল লাল রক্ত  দুটি কানে আসে স্বজনের কান্না, আমাকে মারার আগে যেন তোরা  অন্য কাউকে কভু আর মারিস না। জেলে নিলে নিতি এই আমাকে ধরে  গুলি দিলে দিতি এই আমার বুকে, ঘুম পাড়িয়ে দে মোরে চিরতরে  বেঁচে থেকে আমি মরি ধুঁকে ধুঁকে।

বাঙালি ভাঈ

 বাঙালি ভাই খাদিজা বেগম  পুলিশ বল আর্মি বল  তোমরা মোদের বাঙালি ভাই, ন্যায্য দাবি চাইতে গেলে  গুলি কর না আল্লাহর দোহাই।। ভাইয়ের বুকে গুলি করে  কিসের দায়িত্ব কর পালন,  অত্যাচারীর পক্ষ নিয়ে  কিসের ধর্ম করো লালন? কোন লোভেতে লোভী হইয়া  তোমার ঈমান করেছ ছাই? তোমার বাবাও গরিব ছিল  ঠিকই আমার বাবার মতন, আমায় যদি মেরে ফেলো  শুকাবে না বাবার নয়ন।। মায়ে কানবে বোনে কানবে  তোমায় দেবে খুব অভিশাপ, ভাই হয়ে ভাই ভাই কে মারো তবু তোমার নাই অনুতাপ। তুমি মানুষ মানুষ কি না  আজ নিজেকে কর যাচাই।।

রক্ত নদী

 রক্ত নদী  খাদিজা বেগম  রক্তে রক্তে বইছে নদী  ভরছে অলিগলি,  অবুঝ শিশুর রক্ত নিয়ে  আর খেলো না হলি। রক্তে রক্তে ভেসে যাচ্ছি  ক্ষণে ক্ষণে ডুবে, তবু আমি আসবো ফিরে  সূর্য হয়ে পূবে।  রক্তের হিসাব নেবোই একদিন  যাচ্ছি আমি বলি।। বিশ্ববাসী সাক্ষী থেকো  নিষ্ঠুর গণহত্যার, বাংলা মায়ের বুকেই হবে  ওই খুনিদের বিচার। তোমরা কেমন আর্মিন, পুলিশ  বিবেক বুদ্ধি কোথায়? তোমার পাপে জ্বলবে তুমি  পাপ নেবে না নেতায়। না ফুটিতে ছিঁড় না ফুল  শিশু ফুলের কলি।।

ভাঙতে হবে

 ভাঙতে হবে  খাদিজা বেগম  ভাঙতে হবে ভাঙতে হবে  জেলের তালা ভাঙতে হবে, আনতে হবে আনতে হবে  বীর সেনাদের আনতে হবে।। যুদ্ধ করে বাঁচব আমরা  যুদ্ধ করেই বাচাব ন্যায়, যুদ্ধ করেই ধ্বংস করব  একে একে সকল অন্যায়। আয় বাঙালি দলে দলে  এখন যুদ্ধে যেতে হবে।। ঘর ছেড়ে আয় রাজপথে আয়  কন্ঠে কন্ঠে আগুন জ্বালা,  ভেঙ্গে চুরে ঘুরিয়ে দে  উড়িয়ে দে লৌহ তালা।। বুকের মানিক বাঁচাতে আজ  দেবো বুকের রক্ত ঢেলে,  বুকের মানিক রাখবো বুকে  থাকতে দেবো না ওই জেলে।  বুকের মানিক বুকে এলেই  তবেই বুকটা শান্ত হবে।।

আর্মি পুলিশ বিজিবি

আর্মি পুলিশ বিজিবি  খাদিজা বেগম  আর্মি পুলিশ বিজিবি ভাই  এদেশ তোমার আমার সবার, এখন সময় দ্বন্দ্ব ভুলে  এক হয়ে সব যুদ্ধে যাবার।। ন্যায় বাঁচাতে অস্ত্র ধরো  লড়াই করো ন্যায়ের জন্য, ন্যায়ের জন্য মরলে শহীদ  বেঁচে গেলেও তুমি ধন্য। তোমার হাতেই ধ্বংস করো  একে একে সব মিথ্যাচার।। এদেশ তোমার আমার সবার  রাজনীতিবিদ বা বিচারপতি,  স্বৈরাচারকে রুখে দাঁড়াও  জেগে ওঠো দেশের প্রতি। ন্যায়বিচার আর মানবসন্তান এ ছাড়া কি রাষ্ট্র থাকে?  বিবেকের চোখ খুলে দেখো  স্বৈরাচারী খাচ্ছে তাকে।  বিবেকের কান পেতে শোন  মানুষের বুক ফাটা চিৎকার।।

মুখে বলো বন্ধু বন্ধু

 মুখে বলো বন্ধু বন্ধু আঘাত করো শত্রুর মত, খুঁজে খুঁজে লবন ছিটাও  যেথায় আছে আমার ক্ষত।। পিপাসাতে চাইলে পানি  আমাকে দাও আগুন ঢেলে, জলাতঙ্ক হলে আমার  সাগরে দাও তুমি ঠেলে। বাঁধ ভাঙ্গা জলের স্রোতে  ভাসিয়ে দাও স্বপ্ন যত।। তোমার মত বন্ধু যেন এই পৃথিবীর কারো হয় না, ফুট ফুটে এক শয়তান তুমি  তুমি নমরুদ তুমি হায়েনা।। তোমার মত ঘৃণিত জীব আসে না যে দুনিয়াতে, তোমার ধ্বংস চেয়ে চেয়ে  আমি কাঁদি মোনাজাতে। তোমার জন্য ডুবেছে প্রাণ  ভেসেছে লাশ শত শত।।

স্বৈরাচার

 স্বৈরাচার  খাদিজা বেগম  একে একে তিন স্বৈরাচার  উঠলো জেগে বাংলার বুকে,  কত শত মানুষ খেল ওদের মানব খেকো মুখে। সত্য কথা বলতে গেলেই আমাদের মুখ ধরে চেপে, ন্যায্য দাবি চাইতে গেলেই  পাগলা কুত্তার মত ক্ষেপে। স্বৈরাচারীর অত্যাচারে  আমরা মরছি ধুঁকে ধুঁকে।। ক্ষমতাহীন থাকলে ওরা  ওদের কথায় যরে মধু, ক্ষমতাটা হাতে পেলেই  সন্ত্রাসীরা হয় ওদের বন্ধু।। ভালো মানুষ খাবার ভেবে  গুম করে খায় খুন করে খায়,  হাজার রকম নাটক করে  নেয় না কোন খুনের দায়। কথায় কথায় রক্ত ঝরায় গুলি করে বীরের বুকে।।

মূল নন

 মূল ধন খাদিজা বেগম  জীবন তরী বাইলাম শুধু  পাইলাম না তার কোন কূল, জীবন খাতার পাতায় পাতায়  লেখলাম যা তার সবই ভুল।। সত্য ভেবে মিথ্যা টাকে  আঁকড়ে আমি ধরেছি, শেষ বেলাতে এসে দেখি  লাভ ভেবে লস করেছি? মানুষ হয়েও ছিলাম যেন  কারো হাতের এক পুতুল।। ভালো চর্চা ছেড়ে দিয়ে  মন্দ চর্চা করেছি, তাইতো আমি মরার আগেই  কখন যেন মরেছি।। সাদা মনটা হারিয়েছি  নানা রকম রং মেখে, আমি মহা ভুল করেছি মুল ধন হাতে না রেখে। সময় থাকতে ধন চিনি নাই  চিনি নাই রে আমার মূল।।

বন্ধু বন্ধু

 বন্ধু বন্ধু  খাদিজা বেগম  মুখে বলো বন্ধু বন্ধু আঘাত করো শত্রুর মত, খুঁজে খুঁজে লবন ছিটাও  যেথায় আছে আমার ক্ষত।। পিপাসাতে চাইলে পানি  আমাকে দাও আগুন ঢেলে, জলাতঙ্ক হলে আমার  সাগরে দাও আমায় ঠেলে। ঐ বাঁধ ভাঙ্গা জলের স্রোতে  ভাসিয়ে দাও স্বপ্ন যত।। তোমার মত বন্ধু যেন এই পৃথিবীর কারো হয় না, ফুট ফুটে এক শয়তান তুমি  তুমি নমরুদ তুমি হায়েনা।। তোমার মত ঘৃণিত জীব আসে না যে দুনিয়াতে, অভিশপ্ত প্রাণী তুমি মাপ পাবে না আখেরাতে। তোমার জন্য ডুবেছে প্রাণ  ভেসেছে লাশ শত শত।।

বাবার চরণ ধ্বনি

 বাবার চরণ ধ্বনি  খাদিজা বেগম  যাহার কাছে বাবা আছে  তার তো ভয় নাই ঝড় তুফানে, পৃথিবীতে যার বাবা নাই  সেই তো জানে বাবার মানে।। বাবা ছিলেন মধ্যবিত্ত  আমি ছিলাম তার রাজকন্যা, হাজার অভাব অনটনেও  সেথায় ছিল সুখের বন্যা। এখন আমি বাবা ছাড়া  ব্যথার পাহাড় আমার প্রাণে।। বাবার আসার চরণ ধ্বনি  আজো শুনি আমার কানে, আজো আমার নয়ন ভিজে  বাবার ভালোবাসার টানে।। ভুলতে পারি না তো বাবা  তোমায় ভোলা যাবে না তো,  তোমার বিয়োগ ব্যাথায় ব্যাথায়  বুকের ভেতর বইছে ক্ষত। কেন তুমি চলে গেলে  এমন কোন সে অভিমানে??

শেষ দেখাটা

 শেষ দেখাটা  খাদিজা বেগম শেষ দেখাটা দেখার জন্য  কেউ এসো না আমার মরার পরে, বেঁচে থাকতে লওনি খবর  আমার জীবন চলছে কেমন করে।। আমার প্রতি কোন দরদ  মায়া দয়া নাই তোমাদের মনে, তবু জানি লোক দেখাতে  অশ্রু চোখে আসবে জনে জনে।  তোমাদেরই অবহেলায়  আমি গেছি অনেক আগেই মরে।। তোমরা সবাই ভালো থেকো  দোয়া ছাড়া নাই তো কিছু দেবার, বেঁচে থাকতে খবর নিও  এখন থেকে তোমরা সবাই সবার।। দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে  কেউ পড়না যেন নোংরা লোভে, এমন আচার ব্যবহার কি  সৃষ্টির সেরা মানুষেরে শোভে? তোমাদের কাজ কর্ম দেখে  আমার হৃদয় ভেঙ্গে রক্ত ঝরে।। ভিক্ষা চাইনি কারো কাছে  হাত পেতেছি সহযোগিতা পেতে,  আমার সে হাত কেউ দেখনি  আপন সুখে সবাই ছিলে মেতে। কত আঘাত সইছি আমি  আর কিছুদিন বেঁচে থাকার তরে।। কতজনকে বলছি আমি  আমার দুঃখ কষ্টের কথা খুলে,  সবার কথাই বলতো সবাই  সফল হবার নিজ প্রসঙ্গ তুলে। আমার জায়গায় বসে তোমরা  কেউ ভাবেনি একটু সময় ধরে।। আমি যখন কলম কেনতে  না পেরে চোখ ভাসাই অশ্রু জলে, তোমরা তখন পাখি হয়ে  ঘুরে বেড়াও...

সুনয়না

 সুনয়না খাদিজা বেগম  আমার চলার পাশ দিয়ে এক  সুনয়না হেঁটে চলে, ঢেউ খেলানো অঙ্গ তাহার  হেসে হেসেই যেন গলে।। সেই নয়নার নয়ন মাঝে  যখন আমার নয়ন পড়ে, বুকের মাঝে তোলপাড় করে  যেন ভালোবাসার ঝড়ে। আমার চলার পথ ভুলে যাই  সেই নয়নার হাসির ছলে।। সেই নয়নার মুখের কথা  শুনতে লাগে গানের মত, এ মনে চায় শুনি তারে দিবানিশি অবিরত।। সেই নয়নার দুটি নয়ন  যেন কাজল দিয়ে আঁকা, তার ছোঁয়াতে কানায় কানায়  নানান রঙের খুশি মাখা। আমার এ মন ডুবে গেছে  তার পিরিতের অথৈ জলে।।

দেশের ডাকে

 দেশের ডাকে  খাদিজা বেগম  দেশের ডাকে সাড়া দিয়ে  আমরা যোদ্ধা যুদ্ধ করে ছিলাম, আজকে কেন সে দেশ আমার  চাঁদাবাজির হাতে হচ্ছে নিলাম?? তোমরা কেমন রাজনীতিবিদ  দেশের চেয়ে দলকে ভাবো বড়? নিজের দলের জন্য তোমরা  বারে বারে দেশের ক্ষতি কর? চাঁদাবাজি আর করোনা  তোমাদেরকে সাবধান করে দিলাম!! নইলে আবার যুদ্ধ হবে  চিরতরে ধ্বংস হবে তোমরা,  যুদ্ধ করতে তৈরি আছি  এই দেশের সব ঘরে ঘরে আমরা।। আমরা অস্ত্র ধরতে জানি  করতে জানি দেশ জননীর সেবা, দেশের শত্রু তোমরাই এখন  যারা চাঁদা দেবা কিংবা নেবা।  ধান্দা বাজি চন্দা বাজি  ছেড়ে দিয়ে লোভের মুখে দে লাগাম।।

দাম বেড়েছে

 দাম বেড়েছে  খাদিজা বেগম  দাম বেড়েছে দাম বেড়েছে  নিত্য পণ্যের ওই বাজারে বাজারে, সিন্ডিকেটের দল বেড়েছে  চোর বেড়েছে আজ হাজারে হাজারে।। পুলিশ গুলো ঘুমে বিভোর  সানি পড়ছে দুই নয়নে নয়নে, রাজনীতিবিদ নির্বাচন চায়  ভিক্ষার মতো রাজ ভবনে ভবনে। ওরা চায়না দেশের ভালো  তা শোনা যায় ওদের কথার বাহারে।। এত এত নেতা কর্মী  বেতন ছাড়া রাজনীতিতে কি করে ? ওদের নাই তো জমিদারি  প্রশ্ন করো ঐ নেতাদের কে ধরে?  দেশের জন্য হাত হারালো  পা হারালো চোখ হারালো গরিবে, দেশের জন্য জীবন দিল  স্বপ্ন ছিল আদর্শ দেশ গড়িবে। রাজনীতির ওই পোশাক পরে  আর ভেঙ্গোনা তোমরা কেউ এই দেশটারে।।

এখনো

 এখনো  খাদিজা বেগম  এখনো চমকে চমকে ওঠে এই মন  ঘুম ভেঙ্গে যায় তোমার ডাকে ডাকে,  এখনো তোমায় দ্যাখে আমার নয়ন  দিবানিশি হাজার কাজের ফাঁকে ফাঁকে।। এখনো না বুঝে মন খুজে তোমায়  ঘুমের ঘোরে হাত বাড়িয়ে রাতে, এখনো বিছানাতে হাত বুলিয়ে  অশ্রু ঝরে পড়ে আঁখি পাতে। এখনো তোমার স্মৃতি পাখির মত মন গগনে উড়ে ঝাঁকে ঝাঁকে।।   এখনো জানালাটা খুলে রাখি বসে থাকি তোমার আসার আশায়, এখনো বৃষ্টি হলে তোমার সাথে  আবার আমার ভিজে যেতে মন চায়।। কখনো কি তোমাকে আর পাবো না  ঘুম আসেনা এই ভাবনা ভেবে,  জোনাকি খেলা করে ঝোপে ঝাড়ে  বারে বারে দেখি জ্বলে নেবে। তোমাকে ছাড়া শূন্য শূন্য লাগে  প্রাণ চলে যায় মৃত্যুর হাঁকে হাঁকে।।

দেশকে দিলাম

 দেশকে দিলাম  খাদিজা বেগম  দেশকে দিলাম আমায় আমি  সাথে দিলাম আমার ছেলে, আমার সম্পদ আমার সন্তান  দেশ বাঁচাতে দিলাম ঠেলে।। আমার কলম আমার খাতা আমার লেখা আমার স্বপ্ন,  সকল কিছু দেশের জন্য  দেশের ওপার নাই আর কোন। প্রয়োজনে দেশের জন্য  আমার রক্ত দেব ঢেলে।। দেশ বাঁচিলে বাঁচব আমি  বাঁচবে আমার আদরের ধন, জীবন মরণ দেশের সাথেই  খুলবো না এই দেশের বন্ধন।। দেশের জন্য থাকবো সজাগ  বাসবো ভালো আমাদের দেশ, লোভ লালসা পুষে রেখে  কেউ করোনা সোনার দেশেটা শেষ। দেশের ক্ষতি করছে চোরা  সোনার দেশা অবহেলে

গায়ে হলুদ

 গায়ে হলুদ  খাদিজা বেগম  লাগিয়ে দাও লাগিয়ে দাও  গায়ে হলুদ লাগিয়ে দাও,  লাগিয়ে দাও লাগিয়ে দাও  পায়ে আলতা লাগিয়ে দাও।। আজকে কন্যার গায়ে হলুদ  কালকে কন্যার বিয়ে হবে,  নাচে গানে মজিয়ে দাও  আজ আনন্দ করো সবে।  ঢুকিয়ে দাও ঢুকিয়ে দাও  মুখে মিষ্টি ঢুকিয়ে দাও।। লাগিয়ে দাও লাগিয়ে দাও  মেহেদির রং লাগিয়ে দাও,  আলপনাতে আলপনাতে  ঐ দুটি হাত রাঙিয়ে দাও।। হলুদ শাড়ি পরিয়ে দাও  হলুদ উড়না জড়িয়ে দাও, নানান রঙের রং মাখিয়ে  রঙিন করে সাজিয়ে দাও। ছোট বড় সবাই মিলে  দাও দাও তারে আশীর্বাদ দাও।।

বড় ইচ্ছে করে

 বড় ইচ্ছে করে খাদিজা বেগম  আজকে বড় ইচ্ছে করে তোমার সাথে কথা বলতে,  সবুজ গাছের ছায়ায় ছায়ায়  তোমার হাতটি ধরে চলতে।। আজকে আমার ইচ্ছে গুলো  অশ্রু হয়ে যায় গড়িয়ে, তুমি ছাড়া কে মুছিবে কার দরদী হাত বাড়িয়ে? এই বুকেতে স্বাদ জেগেছে  তোমার সাথে আবার মিলতে।। তোমার আমার স্মৃতিগুলো  এখন শুধু বইছি আমি, আজ বুঝেছি তুমি ছাড়া  আর কিছু নাই আমার দামি।। তোমার স্মৃতির সুর তুলে মন আজো ভীজে আমার নয়ন, তুমি ছাড়া দিশেহারা  আজ তোমাকে খুব প্রয়োজন। মরণ আমায় নিয়ে চলো  আর পারিনা আমি জ্বলতে।।

তার আঙ্গুলে

 তার আঙ্গুলে  খাদিজা বেগম  এখন আমার এই মনেতে  বারে বারে একটি চাওয়া, তার আঙ্গুলে আঙ্গুল রেখে  আমি নেব প্রেমের ছোঁয়া।। তার নয়নে নয়ন রেখে  আমি দেখবো আমায় চেয়ে, জান্নাতের সুখ নেব আমি  তারে আপন করে পেয়ে। তারে ছাড়া লাগে যেন   যা দেখি সব ধোঁয়া ধোঁয়া।। জীবন মরণ চাইছে এমন  থাকতে তারি সাথে সাথে, এই হৃদয়ে ঝড় উঠেছে  তারে পাবার বাসনাতে।। মন মানে না কোন শাসন  ছুটে বেড়ায় তার ঠিকানায়, তারে ছাড়া পথ দেখিনা  দেখিনা তো কোন উপায়। তারে পেতে মোনাজাতে  প্রতি ক্ষণে করি দোয়া।।

আত্মসম্মান

 আত্মসম্মান  খাদিজা বেগম  কত ধমক খেলাম আমি  খেলাম কত থাপ্পর, লাথি, শুধু শুধু অকারণে  গালি খেলাম দুকান পাতি।। আত্মসম্মান বলে কিছু  যদি থাকতো আমার কাছে, তবে কি আর পরিণত   হতাম আমি তাহার দাসে। আমার নাই কি কোন স্বপ্ন  তাহাই খুঁজি দিবা রাতি।। স্বপ্নটারে আঁকড়ে ধরে  মানুষ হয়ে উঠবো আবার,  দুঃসাহসি মনের বলে  ভাঙবো আমার বন্ধ দুয়ার।। আমি তখন আশ্রয় দেবো  আশ্রয়হীনা মানুষের দল, আমি আমার মানব জীবন  জ্ঞান খাটিয়ে করবো সফল। আমার প্রতি সইব না আর  অমানুষের মাতামাতি।।

খেলার পুতুল

 খেলার পুতুল  খাদিজা বেগম  আমি তোমার খেলার পুতুল  তুমি খেলছো আমায় নিয়ে,  ইচ্ছে হলেই হাসাও আমায়  ইচ্ছে হলেই দাও কাঁদিয়ে।। মনের আগুন তুমি জ্বালাও নয়ন তোমার নামে গলে, তুমি ভাসাও সুখের স্রোতে  তুমি ডুবাও কষ্টের জলে। তুমি আমায় বাঁচিয়ে দাও  মৃত্যুর কোলে ঠেলে দিয়ে।। তুমি আমার চতুর্দিকে   আমি তোমার মাঝেই থাকি, সুখে দুঃখে দিবানিশি  তোমায় করি ডাকাডাকি।। তোমার গাছে ফুটে আছি  আমি তোমার কাননের ফুল, সব যদি হয় ঐ ইশারায়  তবে আমার কেন হয় ভুল?? ভুল পথে যে না যাই আমি  নিয়ে চলো পথ দেখিয়ে।।

ধর্মের নামে

 ধর্মের নামে  খাদিজা বেগম  ধর্মেরে নামে ধুম চলেছে  চারিদিকে বেঁচা কেনা, ধর্মের লেবাস পড়ে শয়তান  তাই ওদের কে যায় না চেনা।। শয়তানেরা ধর্ম বেঁচে  বেঁচে ধর্মের পবিত্র নাম, সহজ সরল মানুষেরা  কিনতে গিয়ে দেয় প্রাণের দাম। ঐ শয়তানদের সঙ্গে তোরা  কেউ রাখিস না লেনা দেনা।। ধর্মের নামে নাই পতাকা  নাই ফুল, রাষ্ট্র, সাগর, পাখি। তবু ওড়া পতাকা দেয়  মানুষেরে ডাকি ডাকি।। ধর্ম হলো মনের বিশ্বাস  সৃষ্টি কর্তার আদেশ নিষেধ, ধর্ম নিয়ে মানব মাঝে  কোন ধর্মে নাই ভেদাভেদ। ধর্মগ্রন্থ নিজে পড়ে  ধর্মের অর্থ জেনে নেনা।।

কাপুরুষের দলে

 কাপুরুষের দলে  খাদিজা বেগম  এই পৃথিবীর কিছু মানুষ  পুরুষ নামের কাপুরুষের দলে,  নারীদের মান হানি করে  যেথায় সেথায় নানা রকম ছলে।। ঘরের ভিতর বউ রাখিয়া  কেহ অন্য নারীর পিছে ছুটে,  দাঁত কেলিয়ে হাসে কেহ  নারী জাতির সম্মান লুটে লুটে। কেউ বা আবার বিয়ের নামে  নিচ্ছে যৌতুক নানা ছলে বলে।। টিপ দেখিলে কপাল মাঝে  কেউবা আবার ব্যাঙের মত লাফায়, দুধের বাচ্চা ধর্ষণ করে  কেউবা আবার পৃথিবীটা কাঁপায়।। হিজাব পরা নারী দেখলে  কারো কারো পাগলামিটা বাড়ে, সত্যি কারের মানুষ যারা  তারাই অন্যের সম্মান রাখতে পারে।  অভিশপ্ত হয় না যেন তোমার জীবন কারো চোখের জলে ।।

আমার নবী

 আমার নবী খাদিজা বেগম  আমার নবী দয়াল নবী ছিল হাজার দুঃখের দুঃখী, মায়ের গর্ভে এতিম হলো ছয় বছরে হয় অনাথ মুখী। আপন বলে নাই রে ভাই, বোন এই দুনিয়ায় লোকের মাঝে, তবু সবাই বাসতো ভালো  তাহার ভালো ভালো কাজে। ওরা তাহার বন্ধু ছিল যারা ছিল সত্যের উপর সুখী ।। ছিল নাতো তার অক্ষর ঞ্জান পাঠ করিতেন তবু কুরআন, সৃষ্টিকর্তার পরেই তাহার সব মানুষের উপর সম্মান।। ন্যায়ের পথের পথিক যারা তারা চিনলো আল্লাহর নবী, আল্লাহর নবী ছাড়া চিনলো মোনাফিকের দলে সবি। বহুমুখী পথ ছাড়িয়া এখন থেকে হও এক মুখী।।

পৌষের রাতে

 পৌষের রাতে  খাদিজা বেগম  পৌষের রাতে তোমার সাথে  বসে আছি তোমার হাতে হাত রেখে,  তুমি আমি ভিজে গেছি  শিশির ভেজা জোছনা ভেজা রং মেখে।। আমরা দুজন দুজনাতে  চেয়ে আছি পলকহীনা সারারাত, আরো বেশি কাছাকাছি  চলে যেন এসেছিল দূরের চাঁদ। তবু আমার চোখ জুড়াইনি ওগো তোমার মায়াবী ঐ মুখ দেখে।। জনম জনম দেখিতে চাই  রোদের আগে তোমাকে রোজ সকালে,  গোধূলির রং মাখিতে চাই  তোমার গায়ে গা ঘেঁষে রোজ বিকালে।। তুমি চাইলে চলে এসো তোমার আশায় রেখেছি হাত বাড়িয়ে, তোমায় ভালো বেসে বেসে  ভেসে যাব অজানাকে ছাড়িয়ে। ভালোবেসে চাই তোমাকে  তোমাকে চাই আমি আমার মন থেকে।।

মন হারালাম

 মন হারালাম  খাদিজা বেগম  তোকে দেখে মন হারালাম  তোরি পথে পা বাড়ালাম, হাজার বছর ধরে বুঝি আমি তোকেই চেয়েছিলাম।। না চাহিতে মন দিয়েছি  তাই করিস না অবহেলা, ভালবেসে খুব যতনে  আগলে রাখিস সারাবেলা। মন ভাঙ্গিলে কেমন করে  দেবো আমি তোর প্রেমের দাম?? তুই যে আমার স্বপ্নের ভুবন  তোর ভেতরে আমার বাড়ি, তুই ছাড়া মন মরে যাবে  হৃদয় করবে আহাজারি।। হাজার বছর ধরে আমি  যেন শুধু তোরি ছিলাম, আমার বলে যা কিছু সব  একে একে তোরে দিলাম। এই প্রেম আমার কর না যেন  কোন পণ্যের মত নিলাম।।

তোর ভাবনায়

 তোর ভাবনায়  খাদিজা বেগম  রাত আসে তো ঘুম আসে না  জেগে থাকি তোর ভাবনায়, তুই যে আমার ঘুমের ঔষধ  ঘুম পাড়িয়ে দিতে আয় আয়।। মনে মনে দিবানিশি  তোরি পানে চেয়ে থাকি, তোরে ভেবে হাওয়ায় হাওয়ায়  আমার আদর সোহাগ মাখি। কেমন করে বোঝাই তোরে  তোরে আমার হৃদয়ে চায়।। দূর আকাশে চাঁদ উঠেছে জোছনার ঢেউ লাগে প্রাণে, বনে বনে ফুল ফুটেছে মন দেওয়ানা তারি ঘ্রাণে।। একটু কাছে ডেকে নিয়ে  একটু ভালো বাস না আমায়, একটুখানি বাসলে ভালো  তোরে রাখবো এই কলিজায়। তোর পিরিতে পুড়ে গেলাম  জ্বলে গেলাম তোর পিপাসায়।

বাসবো ভালো চরম

 বাসবো ভালো চরম  খাদিজা বেগম  তোমায় আমি ভালোবাসি  বাসবো ভালো জনম জনম,  তুমি চাইলে নিতে পারো দেব আমার আল্লাহর কসম।। তোমায় অনেক ভালো লাগে  তাই তো এত ভালবাসি, দূরে থাকতে পারিনা তো তাই তো তোমার কাছে আসি। তোমায় ছাড়া ভাল্লাগেনা  বলতে নাই আজ লজ্জা শরম।। ভিখারিনী হতে পারি  আমি তোমার প্রেমের দায়ে, হতে পারি সেবার দাসী  ঠাই করে দাও যদি পায়ে।। তোমার প্রেমের তৃষ্ণায় আমার  আগুন লেগে গেছে মনে,  দিবানিশি চাইছে এ মন  আমি থাকি তোমার সনে। একটু ভালো বেসে দেখো  তোমায় বাসবো ভালো চরম।।

তোমার ইচ্ছা মত

 তোমার ইচ্ছা মত  খাদিজা বেগম  তোমার ইচ্ছায় চলছি আমি  বলছি আমি তোমার ইচ্ছা মত, তবে কেন আমার মাঝে  তুমি ইচ্ছা জাগাও শত শত।। তোমার ইচ্ছার কাছে আমার  ইচ্ছা গুলো জ্বলে পুড়ে ছারখার, আমার পোড়া ইচ্ছা নিয়ে  তবু তোমার কাছেই কাঁদি বারবার। তোমার হাতে ঘুচিয়ে দাও  আমার সকল ইচ্ছা পোড়া ক্ষত।। তোমার ইচ্ছায় ঘুমিয়ে যাই  আবার তোমার ইচ্ছায় আমি জাগি, তোমার ইচ্ছায় কাঁদি আমি  আবার হাসি তোমার প্রেমের লাগি। তোমার আমার ইচ্ছার দ্বন্দ্বে  বারে বারে তোমার সাথে হারি, শেষের দ্বন্দ্বে হারি না যে  তুমি আমায় যেওনা গো ছাড়ি। এখন আমার হারিয়ে দাও ওগো তোমার যত খুশি তত।।

আলোর দিকে হাত বাড়াও

 আলোর দিকে হাত বাড়াও  খাদিজা বেগম  মানুষ হয়েও কেন তুমি  কুত্তার পিছে কুত্তার মতো /লেচ নারাও? ভালো মন্দ বোঝোর পরেও  কেন তুমি পাপের পথে /পা বাড়াও? পাপের পথে কামাই করে  কত পাপী গড়ে গেছে /রাজপ্রাসাদ, সেই প্রাসাদে দেয়াল ফেটে  আজও ইটে ইটে করে /আর্তনাদ। তোমায় তুমি ভাবলে মানুষ  তোমার ভিতর থেকে আজি /লোভ তাড়াও।। লোভ লালসা ছাড়া মানুষ  এই দুনিয়ায় কোনদিনও /আসেনি,  লোভের সাথে যুদ্ধ করছে  তবু মানুষ কভু লোভে /ভাসেনি। মানুষের মূল সম্পদ হলো  মনুষ্যত্ব তা হারিয়ে /ফেলো না, তা হারালে হয়ে যাবে  তুমি কারো দোকানে এক/খেলো না। বিবেক জাগাও বুদ্ধি জাগাও  কালো রেখে আলোর দিকে /হাত বাড়াও।।

যেওনা দেশটা ভুলে

 যেওনা দেশটা ভুলে  খাদিজা বেগম  পালাবো না পালাবো না  যতই বলে চোরের দলে,  ঠিকই চোরা পালাইয়া যায়  মালিকেরা সজাগ হলে।। দেশের জন্য সজাগ থেকো  আর থেকে না ঘুমে বিভোর, দেশ বাঁচাতে রও আপোষহীন  তোমরা হও আরো কঠোর। সাধুর ভেসে ঘুরছে চোরা  করছে চুরি না না ছলে।। তোমরা যদি ঘুমিয়ে যাও চোর ডাকাতে লুট করিবে,  দেশ জননী কাঁদবে বসে  আরো কাঁদবে সব গরীবে।। তোমরা যারা দেশের ছেলে  কেউ যেওনা দেশটা ভুলে,  দেশ মাতা কে ভালোবাসো  তোমাদের ওই হৃদয় খুলে। রক্ষা করো তোমাদের দেশ  তোমাদের জ্ঞান আর কৌশলে।।

তুমি আমার উপন্যাস

 তুমি আমার উপন্যাস  খাদিজা বেগম  তুমি আমার ছন্দ ভরা  সাগরের ঢেউ কবিতার গান /উপন্যাস,  তোমায় আমি যতই শুনি যতই পড়ি মেটে না তো /মনের আশ।। প্রতিটা দিন নতুন তুমি  যতই পড়ি এ পড়ার শেষ /হবে না, নতুন পাতার নতুন ঘ্রাণে  আমার হৃদয় কেন পাগল /হবে না? তোমার পাতায় ডুবে থেকেই  যায় যদি যাক কেটে আমার/বার মাস।। তোমার শব্দ মিঠা মিঠা  চরণ গুলো ছোট ছোট/ ধারালো, যখন থেকে পড়ছি তোমায় তখন থেকেই আমার এ মন/ হারালো।। নতুন সুরে নতুন তালে প্রতিদিনই শুনি তোমার/নতুন গান, যত শুনি ততই যেন  শোনার জন্য অধীর হয়ে /থাকে কান। তবু হাজার বছর ধরে  যেন আমি তোমার গানের/উপবাস।।

চোখের কারাগারে

 চোখের কারাগারে  খাদিজা বেগম  তোমার চোখের কারাগারে  আমায় তুমি বন্দী করে/ রেখেছ, যখন তখন যেথায় সেথায়  আমায় তুমি অপলকে/ দেখেছ।। চুপি চুপি তোমার ওই চোখ  দিবানিশি আমায় দিচ্ছে /পাহারা, মুক্তি পাবার পথ দেখি না  আমি দেখি শুধু তোমার /চেহারা। আমার হৃদয় জুড়ে তুমি কখন যেন তোমারি রং /মেখেছ।। ভালবাসার দেয়াল হয়ে  তুমি আমায় ঘিরে থাকো/ সারাখন, তুমায় ছাড়া অন্য কিছু  ভাবে না মন আর দেখে না /দুই নয়ন।। ওই নয়নের দৃষ্টি দিয়া  বান মেরেছো তুমি আমার/নয়নে, তাই বুঝি গো বদলে গেলাম  মন হারালাম আমি তোমার /শয়নে। তোমার হাতের রং তুলেছে  আমায় তুমি তোমার মনে /এঁকেছ।।

মরণ

 মরণ খাদিজা বেগম  মরণ থেকে বেঁচে থাকার  নাই নাই নাইরে প্রতিরোধ নাই, মরণ থেকে মুক্তি পাবার  নাই নাই নাইরে প্রতিকার নাই।। জন্ম থেকে চলছি আমি  মরণ নামের পথের দিকে, ধীরে ধীরে হচ্ছি আমি  একটু একটু করে ফিকে। মরণ রোগের চিকিৎসা নাই নাই নাই নাইরে চিকিৎসক নাই।। আমার ভিতর মরণ থাকে  একবারো না দেখলাম তাকে, সময় হলেই ধরবে আমায় নিয়ে যাবে সে আমাকে।। তবু আমি কেমন করে  মরণ ভুলে ভুল পথে যাই? ভুলে ভুলে সোনার জীবন  পুড়ে পুড়ে করেছি ছাই। তবু আমি কোন কারণে  কেন করি যা খুশি তাই??

ক্ষুধার্ত মন

 ক্ষুধার্ত মন  খাদিজা বেগম  হাজার ক্ষুধায় ক্ষুধার্ত মন  আমি কেমন করে করব /দমন? পেট জ্বলে যায় পেটের ক্ষুধায় তারে দেখার ক্ষুদায় জ্বলে /নয়ন।।  টাকার ক্ষুধায় ছুটে বেড়াই  শূন্য পকেট নিয়ে আমার /সাথে, টাকার ক্ষুধায় কেউ বেঁচে খায়  নিজের বিবেক বুদ্ধি নিজের/ হাতে। যৌবন ক্ষুধায় অন্ধ হয়ে  কেউবা করে অন্ধকারে /শয়ন।। পবিত্র মন দেহ ছাড়া  নাই মানুষের কোন আলো /নাইরে,  হাজার ক্ষুধার এই দুনিয়ায়  নৈতিকতা ছাড়া মুক্তি /নাইরে।। ক্ষুধার লাগাম টেনে রাখো  রাখো তোমার নৈতিকতার /হাতে, নইলে তুমি চলে যাবে  মনুষ্যত্ব রেখে ক্ষুধার /সাথে। কালকে তুমি সব হারাবে  আজ নিজেকে না করিলে /শাসন।।

ছেলে যুদ্ধে গেছে

 ছেলে যুদ্ধে গেছে  খাদিজা  আমার ছেলে যুদ্ধে গেছে  বলে গেছে মা কেঁদনা , বিজয় নিয়ে আসবো ফিরে  আঁচল দিয়ে আর বেদনা।। স্বৈরাচারী শত্রুর সাথে  যুদ্ধ করা নয়তো সোজা, তাই তো মায়ে ছেলের জন্য  নামাজ পড়ে রাখে রোজা। ছেলের মাথায় হাত দিয়ে মা  বলে কভু ভয় পাবে না।। মাযের মাঝে দেশের মাঝে  তিল পরিমাণ নাই ব্যবধান, ছেলের চোখে মায়েরা সব  সর্বকালেই সমান সমান।। দেশ বাঁচাতে দেশের ছেলে  যুদ্ধ করবে দেশের জন্য, এতে কি আর ভয় করে মা  সব মায়েরা হবে ধন্য।  জ্বলবেই আগুন ছেলের রক্তে  দেখলেই মায়ের চোখের কান্না।।

দেশ বাঁচাতে

 দেশ বাঁচাতে  খাদিজা বেগম  ছেলে আমার যুদ্ধে যাবে  মাথায় দিলাম লাল কাপড়টা /বেঁধে, হাতে দিলাম বিজয় নিশান  তবু মায়ের মনটা ওঠে /কেঁদে।। বিদায় বেলা দোয়া পড়ে  ফু দিয়েছি আমার ছেলের /বুকে,  সাহস দিলাম শক্তি দিলাম  নয়নের জল মুছে হাসি /মুখে স্বার্থপরের মত করে  পারবনা তো ছেলে রাখতে/ বেঁধে।। বারে বারে ঘুরে ফিরে প্রশ্ন করে বিবেক আমার /কাছে, দেশের ছেলে দেশ বাঁচাবে  নইলে কি দেশ এমনি এমনি /বাঁচে? দেশ বাঁচাতে আমার ছেলে  অস্ত্রের মুখে দিলাম ঠেলে /সেই দিন, দেশ বাঁচাতে ন্যায় বাঁচাবে  ভুলনা কেউ বীর শহীদদের /সেই ঋণ। সন্তান হারা মা জননী গর্ব করে যাচ্ছে শুধু/কেঁদে।।

কাজের বুয়া

 কাজের বুয়া  খাদিজা বেগম  আমার ঘরের কাজের বুয়া  পালাই গেছে শুনছি পাশের /বাড়িতে, যাবার আগে নিয়ে গেছে  যা ছিল ধন দৌলত আমার /হাঁড়িতে।। খুন করেছে গুম করেছে  যেতে যেতে সে করেছে /ডাকাতি, তার দলীয় লোকের হাতে  ছিল অনেক আর্মি অস্ত্র /চাপাতি। গণহত্যার লাশ লুকাতে  আগুন দিয়ে গেছে লাশের /গাড়িতে।। সাজানো একা বাগান ছিল  সেথায় ছিল অনেক রঙের /ফুল পাখি,  বুয়া তাদের হাত কেটেছে  পা কেটেছে অন্ধকরছে /দুই আঁখি।। এই বুয়া কে ঠাই দিয়েছে  যে বা যারা ভালোবেসে /তার ঘরে,  সেই মানুষে কোন হিসাবে  মানবতার বন্ধু হবে /কি করে? তাইতো আমি মামলা করেছি  বিচার চেয়ে থানায় থানায় /ফাঁড়িতে।।

দুই দেশতে

 দুই দেশেতে  খাদিজা বেগম  না দিয়েছ একটি দোমক  না মেরেছ একটি থাপ্পড়, তাই তো তোমায় ভোলা যায় না  কেঁদে কেঁদে রাত্রি হয় ভোর।। তুমি ছিলে আশার প্রদীপ  আমার দুঃখ সুখের সাথী, তাইতো তোমায় মন ভোলে না  মনে রাখে দিবা রাতি। তোমার মত কেউ দেবে না  আমায় এত এত আদর।। আমি কি চাই বলার আগেই  তুমি সবি বুঝে যেতে, মুগ্ধ হয়ে থাকতে চেয়ে  যখন আমায় কাছে পেতে। না করেছ কোনদিনও  আমার প্রতি তীল অভিযোগ, তাইতো আমি পারিনা তো সইতে তোমার আমার বিয়োগ। কোন দোষেতে দুই দেশেতে  তোমার আমার ঠিকানা ঘর??

বাঙালি বলে ওঠো

  বাঙালি বলে ওঠো  খাদিজা বেগম  ভাই আর বলনা পাহাড়ি পাহাড়ি  আর করনা ভাই নিজেকে নিজেরা ছোটো,  বাংলার কোলে জন্ম যাদের  তারা নিজেদের বাঙালি বলে ওঠো।। বাংলার নদী ঝর্না পাহাড়  শাপলা শালুক নীল সাগরের ঢেউ, এসো মিলেমিশে তা দেবো পাহারা তাহা নিয়ে যেতে কভু পারে না যে কেউ। বাংলা মায়ের সুভাষ ছড়াতে  এসো বাঙালিরা সবে ফুল হয়ে ফোটো।। কারো সমতলে জন্ম হলেই  সেতো হবে না ভাই কোন সমতলি লোক, বাংলার কোলে জন্ম হলেই  বাঙালি বলে সদা করো উপ ভোগ।। লাল সবুজের পতাকার তলে  আমরা থাকবো বাঙালি বলে বলে,  কোন শত্রুরা সুযোগ পাবেন না  তোমরা আমরা মিলেমিশ এক হলে। দেশের স্বার্থ সবার উপরে  দেশের স্বার্থে এসো দেশপ্রেম লোটো।।

বীর সেনাদের দেশে

 বীর সেনাদের দেশে  খাদিজা বেগম  দেশের শত্রু আজও আছে  বন্ধু সেজে বীর সেনাদের দেশে, স্বৈরাচারের দোসর ওরা  উঠছে জেগে চোর ডাকাতের বেশে।। জাগতে হবে দেশ প্রেমিকদের  দেশের তরে প্রতি ঘরে ঘরে, দেশ বাঁচাতে মারতে হবে  দেশের শত্রু গুলো ধরে ধরে। দেশের শত্রু ঘুষ বাণিজ্য যাতে দেশের মেধা যাচ্ছে ফেঁসে।। যুদ্ধে যাব যুদ্ধে যাব  বল না তোরা কে কে আছো রাজি?? ধান্দাবাজির চান্দাবাজির  হাতগুলো সব ভেঙে দেব আজি। কালো হাতের কালো ছোবল  দেশ জননীর হাসি নিল কেড়ে, দেশের শত্রু সবার শত্রু  আর দেবনা ঐ শত্রুদের ছেড়ে। শত্রু ধ্বংস করার পরেই দেশ জননী আবার উঠবে হেসে।।

ভর দুপুরে

 ভর দুপুরে  খাদিজা বেগম  ভর দুপুরে নূপুর পায়ে  কে হেটে যায় কে হেঁটে যায়? তার নুপুরের ঝংকারে সে আগুন দিলো এই কলিজায়।। ওই সুন্দরী সুন্দর করে  হেঁটে হেঁটে চলে গেল, তার চরণের চলা দেখে  আমার হৃদয় গলে গেল। মন মাতানো বেলি ফুলের  মালা ছিল তার ঐ খোপায়।। তার চুড়ির ঐ রিনিঝিনি মিষ্টি মিষ্টি মধুর ধ্বনি, আজও আমার কানে বাজে  ঠিক তেমনি আমি শুনি।। জানিনা তার নাম ঠিকানা  এখন আমি কি যে করি?  তার প্রেমেতে দিল দেওয়ানা  যেন আমি মরি মরি। সেই পথ ধরে আজো ঘুরি শুধু তারে পাবার আশায়।।

সাধনা

 সাধনা  খাদিজা বেগম  তোমার প্রেমে পড়ে গেছে  পড়ে গেছে আমার মন, তোমায় ছাড়া অন্য কিছু  তাই দেখে না এই নয়ন।। স্বপ্ন হয়ে থাকো তুমি  আমার সাথে সারারাত, বাস্তবেতে তোমায় পেতে  করি কত মোনাজাত। মনে মনে এমন করে  তোমার সনে ভ্রমণ।। আমার প্রেমে পড়েছে কি  তোমার ও মন বলোনা, দুটি মনে মিলে গেলে  এই হাত ধরে চলনা।। যেতে যেতে ভুলে যাবো  পিছনের সব বেদনা,  তোমায় পেলেই পূরণ হবে এই জীবনের সাধনা। তোমার সাথে এক সুতাতে  গেঁথে রাখবো এই জীবন।।

প্রশ্ন করো

 প্রশ্ন করো  খাদিজা বেগম  আজ তোমাকে প্রশ্ন করো  বিবেকের ঐ আয়নার সামনে /দাঁড়িয়ে,  তুমি কভু মুছেছো কি  কারো অশ্রু তোমার ঐ হাত /বাড়িয়ে?? পিছে পড়ে থাকা লোকের  দুই হাত ধরে নিয়েছে কি /এগিয়ে, কারো ফাটল ধরা বন্ধন  করেছো কি অটল জোড়া /লাগিয়ে? নিজের ভেতর নৈতিকতা  রেখেছো কি লোভ লালসা /তাড়িয়ে?? অন্ধ লোকের চোখের আলো  হয়ে তুমি কি তার সাথে / চলেছ ? বোবো লোকের কন্ঠ হয়ে  তুমি কি তার মনের কথা/ বলেছ? চরণ ছাড়া পঙ্গলোকের   চলতি পথে তুমি কি হাত/ ধরেছে? কারো ভাঙ্গা ভাঙ্গা হৃদয়  তুমি কি খুব ভালোবেসে/ গড়েছ? যদি উত্তর হয় শুধু না  তবে তুমি সীমা গেছে /ছাড়িয়ে।।

বলছি লাখো শহীদ

 বলছি লাখো শহীদ  খাদিজা বেগম  আমরা বলছি লাখো শহীদ  কবর থেকে বলছি দেশের /কথা, দেশের শত্রু দশের শত্রু  ধান্দাবাজি চান্দাবাজি /নেতা।। এখন থেকে চাঁদা চাইলে  ওদের ধরে নেতা গিরি/ ছুটা, এখন থেকে ঘুষ চাইলে কেউ ওরে ধরেও দালাল গিরি/ টুটা। ওরা শুধু টাকা বুঝে  বুঝে না তো দেশের ব্যাথা।। চাঁদা দিলেই দিবে তোমরা  দেশ জননীর বুকে মাঝে /গুলি, ঘুষ দিলেও ভাঙবে তোমরা  দেশ জননীর সবুজ মাথার/ খুলি। দেশ জননী মায়ের সন্তান  তোমরা হিন্দু মুসলিম বৌদ্ধ /খ্রিস্টান,  ধর্ম নিয়ে করলে ভাংচুর  তাতে নষ্ট হবে দেশের /সম্মান। দলের পক্ষ ধর্মের পক্ষ  রেখে তোমরা বলো সত্য /কথা।।

পূর্ণিমারতেও অমানিশা

 পূর্ণিমাতেও অমানিশা  খাদিজা বেগম  তোমার সাথে তাল মিলিয়ে আকাশের গায় আজ অভিমান, পূর্ণিমাতেও অমানিশা   এখনো তো ওঠেনি চাঁন।। ভার করে আর রেখনা মুখ  হাসো হাসো অভিমানী, ঝরে যেন না পরে ওই  তোমার চোখের টলমল পানি।  তোমার মুখটা মলিন হলে  আমার বুকটা ফেটে খান খান।। তোমার হাসির শব্দ শুনে  ঝরে পড়বে নীল জোছনা,  দেখো দেখো কান ধরেছি একটুখানি তো হাসো না।। দূর আকাশে ছেয়ে গেছে  দেখ কালো কালো মেঘে,  এতো এতো দুঃখ দেখে  আমার কান্না উঠে জেগে। তোমার কষ্টে কষ্টে আছি  জানিনা তা কি পরিমান??

জীবন খাতা

 জীবন খাতা  খাদিজা বেগম  আজ পড়েছি জীবন খাতা  ভুলে ভরা তার প্রতিটি/পাতা, আজ দেখেছি বন্ধুর বেসে  চারিপাশে আমার অগ্নি /দাতা।। একের পরে এক এক করে  ভুল করেছি বারে বারে /আবার, এতটা ভুল যায় না গোনা  গুনতে গেলেও ভুল হাজারে /হাজার। কেউ জানে না কত জ্বালায়  জ্বলছি আমি সইছি কত /ব্যথা।। এমন আগুন কে নিভাবে  যা নিভে না সাত সাগরের /জলে, দুই নয়নে যায়না দেখা  থেকে থেকে জ্বলে দৃষ্টির /তলে।। ভুলে ভরা আমার অঙ্গ  ভুল করেছি তাই তো পায়ে /পায়ে,  ওই হাতে হাত রেখে আমি  ভুল করেছি ভালোবাসার /দায়ে। ভুলেও ভোলা যায় না তারে সে যে আমার মনের সুতোয় /গাঁথা।।

স্বপ্ন দেখা জগৎ

 স্বপ্ন দেখা জগৎ  খাদিজা বেগম  স্বপ্ন দেখা জগৎ আমার  ভেঙ্গে গেল শুধু তোমার ফাঁকিতে, স্বপ্ন ভাঙা স্বপ্ন গুলো  ঝড়ে পড়ে এখন আমার আঁখিতে।। তোমার কথা বিশ্বাস করে  এখন আমি বুঝি বিষপান করেছি, ছটফটিয়ে মন মরে যায় মরার আগে আমি যেন মরেছি। স্বপ্ন আমার পূর্ণ হতো  তোমার কথা তুমি যদি রাখিতে।। আমায় তুমি ফাঁকি দিলেও  তোমার জন্য আমার কোনো ফাঁকি নাই, ভুলে যাওয়ার জন্য তোমায়  এতো যত্ন করে মনে রাখি নাই।। ভাটার পরে যেননি করে আবার জোয়ার আসে ফিরে নদীতে, তেমনি করেই ফিরে এসো চাই তোমাকে জড়িয়ে ধরে কাঁদিতে।। পূর্ণিমার ঐ জোছনা রাতে  আবারো চাই দুজন জোছনা মাখিতে।।

সাদা রঙের পোশাক

 সাদা রঙের পোশাক  খাদিজা বেগম  সাদা রঙের পোশাক পরে  লাভ হবে না কালো থাকলে অন্তরে, পাপে ভরা তোমার তরী  ঠাঁই পাবে না ঐ পবিত্র বন্দরে।। ভাল মন্দ চেনার জ্ঞান  ভাল ভাবে আছে তোমার ভিতরে, তবু এত দুর্গন্ধময় মন্দ কর্ম তুমি কর কি করে? কর্মফল তো বিশ্বাস কর  তবু কেন ধরে আছ মন্দরে?? অন্তর নামের টিকিট নিয়ে  ভুবন নামের রেল গাড়িতে উঠেছ,  সেই টিকিটটা নষ্ট করে  নিরুদ্দেশের পথে তুমি ছুটেছ। ঠিক করে লও তোমার টিকিট টিকিট ছাড়া উপায় নাই সেই প্রান্তরে।।