Posts

Showing posts from June, 2025

অমানিশার রাত

  অমানিশার রাত 🌃 খাদিজা বেগম আমার আকাশ আধার ভরা সেখানে নাই জোছনা ঝরা চাঁদ, আমার জীবন দুঃখ ভরা সেখানে নাই সুখ আনন্দের স্বাদ।। একলা চলার জীবন আমার একলা কেঁদে কেঁদে ভিজাই চোখ, ডানে বামে সামনে পিছে স্বপ্ন ভাঙ্গা সব হারানো শোক। এমন কেহ নেই তো আমার চলার পথে যে ধরিবে হাত।। আমার সূর্য মেঘে ঢাকা অন্ধকারে ঢাকা আমার দিন, মানব জীবন পেয়েও আমি প্রতিটা দিন টেনে যাচ্ছি ঋণ।। অন্যের মাথায় আমি বোঝাই আমার মাথায় ঋণের বোঝা ভাই, বুকের ভিতর এক দাবানল দিবানিশি পুড়ে পুড়ে ছাই। আর কবে যে দূর হবে মোর এই জীবনের অমানিশার রাত।।

পাপি বান্দা

 পাপি বান্দা খাদিজা বেগম  আমি তোমার পাপী বান্দা  ডুবে গেছি পাপের ভিতর,  পাপের গন্ধ দূর করে দাও  ছিটাইয়া দাও ক্ষমার আতর।। অন্ধকারের জগৎ থেকে  আলোর দিকে নাও আমাকে,  সত্যের আলো জ্বালিয়ে দাও  এই জীবনের বাঁকে বাঁকে।  ঈমানি নূর জ্বেলে দিয়ে  আলোকিত করো অন্তর।। যেই অন্তরে তোমায় রাখি  সেই অন্তরে রেখো না পাপ,  পাপ গুলকে মাপ করে দাও  কাবুল করো এই অনুতাপ। বাপের জ্বালায় জ্বলে পুড়ে  আমি হয়ে গেছি কাতর।।

শোনো মেয়ে

 শোনো মেয়ে  খাদিজা বেগম  শোনো মেয়ে বলছি তোমায়  তোমার জীবন অনেক বেশি মূল্যবান, তোমায় করতে মূল্যহীনা  তোমার পিছে লেগে আছে যে শয়তান।। সত্যি কারের প্রেমিক যারা  তারা হৃদয় রেখে দেহ ধরে না, দেহের সাথে লেনদেন করে এভাবে প্রেম ভালোবাসা করে না। পবিত্র প্রেম নষ্ট করে প্রেম করে না কভু কোন প্রেমবান।। যার চরিত্রের ঠিক থাকে না  ঠিক থাকে না তার করা ওয়াদা, তার সাথে প্রেম করো না কেউ  সে পারবে না দিতে প্রেমের মর্যাদা।। প্রেমের নামে ফাঁদ পেতে সে  সরল পেয়ে করে যাবে সর্বনাশ, তুমি তখন মরার মতন  সব হারিয়ে হবে জিন্দা লাশ।  কিছু ভুলের হয় না মাশুল  সেই ভুল করলে তুমি হবে অপমান।।

একটি গোলাপ ফুল 🌹

 একটি গোলাপ ফুল 🌹  খাদিজা বেগম  কেউ আমাকে ভালবেসে  আজও দেয়নি একটি গোলাপ ফুল,  ফুলের মালায় কেউ বাঁধেনি  এলোমেলো আমার মাথায় চুল।। কেউ আমার এই হাতটা ধরে  হাটে নিতো আমার সাথের পথ, কেউ কখনো মেলায় নিতো  আমার মতের সাথে তারি মত। সঠিক ভেবে যা দেখেছি  যা করেছি এখন দেখি ভুল।। কেউ আমাকে ভালোবেসে  ফেলে গেলেও তবু পেতাম দুখ,  এই জীবনে দেখলাম নাতো দুঃখ দেবার সেই মানুষটির মুখ।। দুঃখ আমার কানায় কানায়  কারন আমার দুঃখ পায়নি মন,  ভালোবাসা নাই বা পেলাম  দুঃখ পেতেও প্রয়োজন এক জন। জ্ঞানী গুণী সবাই বলে  দুঃখ হলো সুখে থাকার মূল।।

তোমার প্রিয়

 তোমার প্রিয়  খাদিজা বেগম  কারো প্রিয় হইবা না হই  আমায় তোমার প্রিয় করে নিও, অর্থ সম্পদ দাও বা না দাও  আমায় কানায় কানায় ঈমান দিও।। তোমার দেয়া এই দেহটা  চালাই যেন তোমার দেয়া মতে,  চলে চলি যেন আমি  তোমার সত্য সুন্দর ন্যায়ের পথে। পাপের পথে যাবার আগেই  তুমি আমায় অচল করে দিও।। তোমার দেয়া এই দুই কানে সাদা শুনে যেন তোমার বাণী, আমায় তুমি সেই পথে নাও যেই পথ ধরে চলে গেছে জ্ঞানী।। তোমার দেয়া দুই নয়নে  আমি দেখি যেন শুধু হালাল, আমি কভু হই না যেন  হারামী দের পক্ষে থাকা দালাল। আমি যেন দিবানিশি  হয়ে থাকি শুধু তোমার প্রিয়।।

ধনী হওয়া নয় অপরাধ

 ধনী হওয়া নয় অপরাধ  খাদিজা বেগম  গরিব মানুষ সারা জীবন  দুঃখ কষ্ট নিয়ে জীবন কাটায়, বজ্রপাতে মরে গরিব  ধনী থাকে সুরক্ষিত জায়গায়।। ঝড় তুফানেও উড়িয়ে নেয় খেটে খাওয়া গরিবের ঘর বাড়ি, ধনী থাকে খুব আরামে  ইট পাথরের বাড়ি সারি সারি।  এক পৃথিবী দীর্ঘশ্বাস  বুকে নিয়ে গরীব করে হায় হায়।। নদী ভাঙ্গন শুরু হলেও  ভাঙ্গিয়া নেয় গরিব লোকের ভিটা, গরিবের ধন সকলেই খায়  খেতে লাগে মধুর চেয়েও মিঠা।। ধনীদের ধন বিষাক্ত খুব  তা লাগে না তেমন কোন কাজে,  পাপ কর্ম আর বিশৃঙ্খলায়  খরচ করে সাধু সাধু সাজে। ধনী হওয়া নয় অপরাধ  যদি থাকো নৈতিকতার ছায়ায়।।

আল্লাহ্ তায়ালার ফরমান

 আল্লাহ্ তালার ফরমান খাদিজা বেগম  আঁধার পথে আর যেয়ো না  তোমার পথের দিশা কোরআন,  যেথায় থাকো যেমন থাকো  দৃঢ় রাখো তোমার ঈমান।। কোরআন রাখো আগে আগে  তার পিছনে চলো তুমি,  কোরআন ছাড়া শূন্য জীবন  যেমন ধুধু মরুভূমি ।। কোরআন পড়লে বুদ্ধি বাড়ে  বুদ্ধির সাথে বারে সম্মান।। যারাই কোরআন পড়ে বেশি  তারাই হয়ে উঠে জ্ঞানী,  তাদের কাছে প্রাণের চেয়ে  বেশি দামি রবের বাণী।  সন্ন্যাসী আর অলস লোকের  ধর্ম বলে নাই কিছু নাই,  কর্ম ছাড়া হয়না মানুষ  তাই তো আমরা কাজ করে খাই।।  সত্য ন্যায়ের পথে থাকো  এত আল্লাহ্ তালার ফরমান।।

মূর্খ থাকার জ্বলা

 মূর্খ থাকার জ্বলা  খাদিজা বেগম  এই চরণের প্রতি কদম  তোমায় ভেবে তোমার জন্য চলা,  এই বদনের প্রতি কথা  তোমায় ভেবে তোমার জন্য বলা।। এই জীবনের সব পরিশ্রম  তোমায় ভেবে তোমার জন্য করা,  তুমি আমার সৃষ্টি কর্তা  এই দেহ মন তোমার হাতেই গড়া।।  তুমি রহিম দয়ার সাগর  সেই সাগরের নাই কিনারা, তলা।। আজও ভুলতে পারিনা তো  তোমার দেয়া সুখময় সেই স্মৃতি,  হাজার দুখের মাঝেও আমি  তাই তোমাকে জানাই অশেষ প্রীতি।। তোমার হুকুম ছাড়া আমার  এই জীবনের কিছুই হয় না কভু, দুঃখ কষ্ট শোকের মাঝেও  আমায় মঙ্গল সুখ দিয়েছো প্রভু। জ্ঞানে জ্ঞানে দূর করে দাও  এই জীবনের মূর্খ থাকার জ্বলা।।

শোধরাতে চাই

 শোধরাতে চাই  খাদিজা বেগম  প্রতিদিনি করে যাচ্ছি  মহান স্রষ্টার আদেশ-নিষেধ অমান্য,  তবু নিজে না শুধরিয়ে  অন্যদের কে যাচ্ছি বলে জঘন্য।। ভেবে দেখি আমার চেয়ে  জঘন্য নাই এই পৃথিবীর উপরে,  মনে পাপের কালি ভরে  আমি ঝলমল থাকি আমার কাপড়ে। আমি কারো কষ্টের কারণ  হতাম নাতো বুদ্ধি থাকলে সামান্য।। তবু নিজে মহাপণ্ডিত  সাধু সেজে বসে আছে সমাজে,  এই সমাজটা ধ্বংস হলো  তলে তলে আমার হাতের অকাজে।। আর কবে যে মানুষ হবো  হৃদয় থেকে ছেড়ে দেবো শয়তানি, প্রতী কাজে চিন্তা ভাবনায়  মেনে চলবো মোহন স্রষ্টার সব বাণী। আমি মানুষ সৃষ্টির সেরা  তবে কেন হয়ে গেছি নগণ্য।। এখন থেকে শোধরাতে চাই  আমি আমার চিন্তা ভাবনা ব্যবহার,  নিজে নিজে ব্যস্ত থাকবো  সত্য, নিষ্ঠা, ত্যাগের কাজে বারে বার।।

আল্লাহ আমার রক্ষাকারী

 আল্লাহ আমার রক্ষাকারী  খাদিজা বেগম  আল্লায় আমার রক্ষাকারী  তাইতো আমি ভয় করি না কিছু, আমার আল্লাহর সেজদা ছাড়া  এই মাথাটা হবে নাতো নিচু।। ঝড় তুফানেও ভয় করি না  ভয় করি না দাবানল আর লাভা, অন্যায় কর্ম ছাড়া আমি  ভয় করি না সিংহ, বাঘের থাবা। সদয় আমি চলি যেন  আমার আল্লাহর বাণীর পিছু পিছু। যত পারি করি যেন  হৃদয় থেকে উপকারি কর্ম, কখনো যে ভুলে না যাই  আমি মুসলিম ইসলাম আমার ধর্ম।। আল্লায় আমার রিজিকদাতা  ভয় করি না শোক,দারিদ্র, ক্ষুধা, প্রাণ ভরে পান করি আমি  সকাল বিকাল আল্লাহ নামের সুধা। আল্লায় আমায় নিষ্পাপ রেখে  যেমন নিষ্পাপ নবজাতক শিশু।।

প্রেম হয় ভারী মিষ্টি

 প্রেম হয় ভারী মিষ্টি  খাদিজা বেগম  মেঘ বিহনে ঝরে না তো  পৃথিবীতে একফোঁটাও বৃষ্টি, প্রেমিক হৃদয় ছাড়া কভু  কোরো মনে প্রেমের হয় না সৃষ্টি।। কেউ জানে না কেউ বোঝেনা  কি দেখে যে কার প্রেমে কে পড়ে, কোন মায়াতে আটকে থাকে  দুটি মানুষ জনম জনম ধরে।  যুগ যুগ দেখার পরেও তাদের  দেখার নাই শেষ পরেনা তো দৃষ্টি।। ভালোবাসা হয়ে গেলে  তা রয়ে যায় মরনেরও পরে,  কেউ কাউকে ছেড়ে যায় না  শেষ বেলাতেও রাখে যত্ন করে।। হাজার দুঃখ কষ্ট এলেও  দুইজন মিলে করে মোকাবেলা,  সহযোদ্ধা হয়ে থাকে  কেউ করে না কাউকে অবহেলা। জোর করে প্রেম হয় না কভু  হৃদয় থেকেই প্রেম হয় ভারী মিষ্টি।।

মন খোঁজে যারে

 মন খোঁজে যারে  খাদিজা বেগম  আমার এই মন খোঁজে যারে  কি করে যে পাব তারে,  এদিক সেদিক ঘুরে ফিরে  খুঁজি তারে বারে বারে।। প্রতিটা দিন চোখে মেলে  কত শত জনের দেখা,  তবু মনে হয় পৃথিবী  তারে ছাড়া ফাঁকা ফাঁকা। সে বিহনে যন্ত্রনা হয়  মন ভরে যায় হাহাকারে।। নতুন নতুন কত যে মুখ  কারো মাঝে আমার সে নাই,  যারে নিয়ে স্বপ্ন দেখি  যারে আমি মন থেকে চাই।। যারে ছাড়া হৃদয় কাতর বুকে জ্বলে প্রেমের শিখা,   বড় জানতে ইচ্ছে করে  সে আছে কি এই ভাগ্যে লেখা। তারে ছাড়া আমি যেন  বন্দি কোন কারাগারে।।

প্রকাশ করেছি

 প্রকাশ করেছি  খাদিজা বেগম  প্রকাশ করেছি নয়নে নয়নে  বড় ভালোবাসি ভালোবাসি খুব,  ডুবে গেছি আমি নীরবে নীরবে যখন দেখেছি তোমার ঐ রূপ।। গলে গেছি আমি মোমের মতন  তোমার রুপের আগুনে আগুনে,  ফুলের মতন পাপড়ি ছড়িয়ে  হৃদয় ভরেছে ফাগুনে ফাগুনে। চারিদিকে শুনি কোকিলের গান  তার মাঝে ওলি ফুলে দিলো ডুব।। প্রকাশ করেছি ছবি একে একে  শিল্পীর মতো আবির ছড়িয়ে,  বৃষ্টির মতো নয়নের জল  তোমার দুয়ারে ঝরিয়ে ঝরিয়ে।। প্রকাশ করেছি কাগজ-কলমে  এসেছি তোমার হতে পৃথিবীতে,  দুটি হাত ভরে নাও ভালোবাসা  আমার এই প্রেম চাই তোমাকে দিতে। তোলপাড় মন ঝড়ের মতন  গন্ধ ছড়ানো পোড়া পোড়া ধূপ।।

এত নিষ্ঠুর হলে

 এতো নিষ্ঠুর হলে  খাদিজা বেগম  যতই তোমায় আপন ভাবি  তুমি আমায় ততই ভাবো পর পর,  কেন এত নিষ্ঠুর হলে  নির্দয় হলে তুমি আমার উপর।। কেন তুমি আগের মত  চাও না করতে আমার সাথে দেখা, আমায় দেখলে পথ ঘুরে যাও  তুমি আমায় রাখো একা একা। ভালো নাই মন ভালো নাই প্রাণ  তবুও তো লও না আমার খবর।। তোমায় ছাড়া একা একা  দুই নয়নে শুধু অশ্রু ঝরে, তোমার দেয়া অবহেলায় অবশেষে একদিন যাব মরে।। একটুখানি বাসলে ভালো  একটুখানি থাকলে আমার পাশে,  আমি এত তাড়াতাড়ি  পরিণত হতাম না তো লাশে। বেঁচে থাকতে পাইনি যারে  চাইনা আমি সে দেখুক মোর কবর।।

খেলার ময়দান

 খেলার ময়দান  খাদিজা বেগম  পৃথিবীটা যেন একটা  মস্ত বড় খেলার ময়দান,  নিয়ম মেনে খেলবে যারা  তাদের জন্য আছে সম্মান।। শত রকম খেলা আছে  আছে লাখে লাখ খেলোয়ার, গভীর বুদ্ধির খেলার কাছে  হার মেনে যায় সব তলোয়ার। নিয়ম ভেঙ্গে খেলবে যারা  তারা পাপি হয় অপমান।। এই পৃথিবীর খেলার মাঠে  দিবা কিংবা রাতের বেলা, প্রতি ক্ষণে ক্ষণে চলছে  অদৃশ্য আর দৃশ্যের খেলা।। একটা মানুষ কভু দর্শক  আবার কভু খেলোয়ার হয়, খেলার মাঝে ডুবে থেকে  তৈরি কর নিজ পরিচয়। খেলা হলো খুশির খোরাক   খেলার মাঝে দুঃখ পায় ত্রাণ।।।

তুমি আমার জন্মভূমি

 তুমি আমার জন্মভূমি  খাদিজা বেগম  ও জননী শোনো তুমি  ভালোবাসি তোমায় ভালোবাসি,  আমি তোমায় ভালোবেসে  হাসতে হাসতে নিতে পারি ফাঁসি।। তোমার প্রেমে পাগল হয়ে দিতে পারি এই শরীর রক্ত, তোমার প্রেমে প্রাণ দিয়েছে  একাত্তরের লাখো লাখো ভক্ত। তুমি আমার মহারানী  আমি তোমার সেবা করা দাসী।। ভালবাসি শাপলা ঝিলে  নাও ভাসিয়ে শাপলা টেনে তুলতে, ভালোবাসি রঙ বেরঙের শাপলা ভেজা জলের ঢেউয়ে দুলতে।। ভালোবাসি প্রথম বৈশাখ  বটতলা আর শিমুলতলার মেলা,  ভালোবাসি চঞ্চল ছেলের  হাডুডু আর কানামাছি খেলা।  তুমি আমার জন্মভূমি  সেই গৌরবে সুখে আছি ভাসি।।

প্রেমে পড়েছি

  প্রেমে পড়েছি খাদিজা বেগম  প্রথম যেদিন তোমায় দেখি  সেদিনইতো তোমার প্রেমে পড়েছি, নিজেরি পথ ভুলে গিয়ে  তোমার পিছে তোমারি পথ ধরেছি।। তোমায় দেখার পরেই যেন  নেমে এলো এই জীবনে আনন্দ, তোমার পরশ পেলেই যেন  মনে মনে মন পেয়ে যায় স্বাচ্ছন্দ। তোমায় নিয়ে হাজার স্বপ্ন  রাত্রি জেগে জেগে আমি গড়েছি।। প্রতি ক্ষণে ক্ষণে আমি  তোমাকে পাই আমার প্রতি নিঃশ্বাসে, এমনি করেই পাবো তোমায়  আমার এই মন দিয়েছি সেই বিশ্বাসে।। তোমাকে খুব ভালোবাসি  একথাটি কভু ভুলে যেও না, তোমায় পাবার স্বপ্ন আমার  কোনদিনও যেন ভেঙে দিওনা। তুমি আমার আমি তোমার  এই বিশ্বাসে মন থেকে প্রেম করেছি।।

দেশ জননী

 দেশ জননী  খাদিজা বেগম  দেশ জননী জন্মভূমি  জন্ম থেকে তোমায় আমি চিনি, তোমার আলো, বাতাস, পানি সবকিছুতেই হয়ে গেছি ঋণী।। এ জগতে তোমার চেয়ে  আমার কাছে কেহ নাই তো আপন,  তোমার বুকেই থাকবো আমি  হয় যদিও তাতে আমার মরণ।। মরি কিংবা বাঁচি আমি  থাকবো তোমার সন্তান চিরদিনি।। মাগো তোমার সম্মান রাখতে  জ্ঞানে গুনে বড় হতে হবে,  সূর্য হয়ে জ্বলবে তুমি  তোমার আলো ছড়াবে এই ভবে।। তুমি হবে অনুকরণ  তোমায় দেখে শিক্ষা নেবে সবে,  তোমার কোলে জন্ম নেয়া  আমার জীবন তবেই সার্থক হবে। তোমার সম্পদ সম্মান নিয়ে  আর দেব না করতে ছিনিমিনি।।

শিক্ষক জাতির মাথা

 শিক্ষক জাতির মাথা  খাদিজা বেগম  শিক্ষা জাতির মেরুদন্ড হলে  শিক্ষক হবে জাতির মাথা,  সেই শিক্ষক হয় যদি দুর্নীতিবাজ  ঘুচবে না সেই জাতির ব্যথা।। তেঁতুল গাছে ধরে শুধু তেতুল  কাঁঠাল আশা করাটা ভুল,  দুর্নীতিবাজ শিক্ষক থেকে জাতি  শিক্ষা নিলে হারাবে কুল। শিক্ষার্থীরা পাবে শুধু সনদ  কেউ পাবে না নৈতিকতা।। যেমন কচু থেকে কচু ছড়ায়  লিচু থেকে ছড়ায় লিচু,  দুর্নীতিবাজ শয়তান জেনেও  কেউ যেওনা তাদের পিছু।। মানুষ হলে সৎ নীতিবান মানুষ  ধ্বংস হত দুর্নীতিবাজ, তবেই নৈতিকতায় নৈতিকতায়  আলোকিত হত সমাজ। এসো নৈতিকতার চর্চা করি  শুদ্ধ রাখি চিন্তার পাতা।।

বাংলা মায়ের অঙ্গে

 বাংলা মায়ের অঙ্গে  খাদিজা বেগম  বাংলা মায়ের অঙ্গে অঙ্গে  সবুজ সবুজ বর্ণের শাড়ি জড়ানো, সবুজ শাড়ির মাঝে মাঝে  আঁকাবাঁকা নদী, পাহাড় ছড়ানো।। মাগো তোমার আঁচল ভরা  শিশির ভেজা টকটকে লাল গোলাপ ফুল,  তোমার শাড়ির পাড়ে পাড়ে  নীল সাগরের ঢেউয়ে ভরা সুন্দর কূল। সুন্দরবনের সুন্দরী গাছ  গাছে গাছে আছে মধু ভরানো।। তোমার গলায় তারার মালা  ঝলমল সূর্যের টিপ রয়েছে কপালে,  তোমায় দেখেই ঘুমাই রাতে  আবার দেখবো বলে জাগি সকালে।। রূপে, গুণে, ধনে ভরা  এমনি দেশ পেয়ে ধন্য হয়েছি, হে জননী জন্মভূমি লাখো প্রাণের দামে তোমায় পেয়েছি।। তোমার সম্মান তোমার সম্পদ  রক্ষা করতে দিতে পারি পরানো।।

মনের মানুষ

 মনের মানুষ  খাদিজা বেগম  তার মত ঐ মায়াবী মুখ  আর দেখি নাই এই ভুবনে,  বিধির কাছে এই মোনাজাত  তারে এনে দাও জীবনে।। আমার এমন মধুর ঘুমটা  হায়রে হায় কে ভেঙ্গে দিল,  ঘুমের ঘরে মনের মানুষ  আমার কাছে এসেছিল। বিধি তুমি ঘুম ঢেলে দাও  ঘুম ঢেলে দাও দুই নয়নে।। ঘুমাতে চায় ঘুমাতে চাই  আমি জনম জনম ধরে,  মনের মানুষ আসে যদি  আবার আমার ঘুমের ঘরে।। তুমি আমায় কাদাইও না  ভাসাইও না চোখের জলে,  তার বিরহে দিবানিশি  আমার এ মন শুধু জ্বলে। মিলেমিশে এক হতে চায়  তার সাথে মন মনে মনে।।

যাওয়ার যাত্রী

  যাওয়ার যাত্রী খাদিজা বেগম জানি একবার গেলে পরে কভু আমি আর আসবো না ফিরে, যারা গেছে কেউ আসেনি তোমাদের এই ভালোবাসার নীড়ে।। তবুও তো যেতে হবে একে একে যাচ্ছি আমরা সবে, আসা যাওয়ার যাত্রী আমরা কেউ রবো না রবো না এই ভবে। আপন খবর নাই আপনার খুব নীরবে যাচ্ছি ধীরে ধীরে।। আজ তোমাদের জানাই আমি বিদায় ছালাম আমার বিদায় ছালাম, দুঃখ দিতে চাইনি আমি তোমাদেরকে তবুও কাঁদলাম।। সারা জীবন নিয়ে গেলাম দিয়ে যেতে পারলাম না তো কিছু, আজ আমাকে মাফ করে দাও ঋণের বোঝায় বোঝায় মাথা নিচু। আমার কর্ম পর হবে না আপন হয়ে থাকবে আমায় ঘিরে।। তোমরা সবাই আমার কাছে প্রিয় থেকেও ছিলে খুব প্রিয় জন, কোনদিন হয়নি জানা সবার কাছে আমি ছিলাম কেমন! চোখের সামনে থাকবো না আর থেকে যাব তবু মন গভীরে।।

তোমার অপেক্ষাতে

 তোমার অপেক্ষাতে  খাদিজা বেগম  আমার এই মন সারাটা ক্ষণ  শুধু তুমি তুমি করে ডাকে,  আমার এই চোখ দিবানিশি  শুধু তোমার অপেক্ষাতে থাকে।। ভালোবাসা পাবার আশায়  বারেবারে তোমার দ্বারে আসি,  বুঝতে চাও না কেন তুমি  তোমায় আমি কত ভালবাসি।  তোমার হাতে হাত রাখিলে  শান্তি উড়ে আসে ঝাঁকে ঝাঁকে।। ভালোবাসা খুব প্রয়োজন  ভালোবাসা ছাড়া হয়না জীবন,  তুমি কাছে না টানিলে  আমায় টেনে নিয়ে যাবে মরণ।। তুমি আমার কাছে এলে  আমি যেন প্রাণ খুজে পাই বুকে,  দূরে দূরে থাকলে তুমি  প্রাণ মরে যায় যেন ধুঁকে ধুঁকে। কাছে থেকো পাশে রেখো  জীবন চলার প্রতি বাঁকে বাঁকে।।

তোমাকে চিনেছি

 তোমাকে চিনেছি  খাদিজা বেগম  চিনেছি চিনেছি তোমাকে চিনেছি  তুমি যে আমার স্বপ্নের রানী, দেখেছি দেখেছি তোমাকে দেখেছি  দিয়েছ ঘুমের ঘরে হাতছানি।। ইশারাতে ডেকে নিয়ে গেছো তুমি  অচেনা অজানা কোন এক দেশে, ঘুমন্ত প্রেম জাগিয়ে দিয়েছো  ঘুমের ঘরেতে খুব ভালোবেসে। মনের ঘরে আমি পেয়েছি তোমাকে  সুভাষ ছড়ানো এক ফুলদানি।। তোমার ফুলের সুভাষে সুভাষে আমার এ মন ওলি হয়ে উড়ে,  তোমার প্রেমের আগুনে আগুনে  আমার এ মন পতঙ্গ পুড়ে।। তোমার প্রেমের যমুনাতে আমি  সাঁতার কাটবো তুমি হলে রাজি, জনম জনম থাকবো প্রেমো জলে  প্রেমের তরীর হয়ে রবো মাঝি। ভালোবেস আমি সম্মান দেব  তুমি হয় রবে খুব সম্মানি।।

প্রেমের অনাহারে

 প্রেমের অনাহারে  খাদিজা বেগম  তোমার ঐ মুখ দেখার পরে  ভুল হয়ে যায় আমার বারে বারে,  মনের মানুষ দূরে রেখে  কভু কেউ কি ভালো থাকতে পারে।। তোমার চোখের চাহনিতে  আমার মনে প্রেম জাগাইয়া দিলে। ভাল্লাগেনা লেখা পড়া  মন বসে না পরার ওই টেবিলে,  আমার এমন ঘুরে এখন  প্রেম ভিক্ষারী হয়ে তোমার দ্বারে।। যা বলে মন মনে মনে  তা পারিনা তোমায় বলতে ফোনে,  না বলা সব কথাগুলো  অশ্রু হয়ে নামে চোখের কোনে।। সবাই কি আর বলতে পারে  ভালবাসার কথা সহজ করে,  ভালোবাসি তোমায় আমি  তাই লিখেছি চোখের পাতা ভরে।  চোখ দেখেও না পড়িলে  আমি মরবো প্রেমের অনাহারে।।

পাপের গন্ধ

 পাপের গন্ধ  খাদিজা বেগম  চেয়ে দেখো ভালো করে  কাঁচা চুলে পাক ধরেছে,  সোনার দেহ মলিন হইছে  টানা চামড়ায় ভাঁজ পড়েছে।। পাপ জেনেও এখনো তো  করে যাচ্ছ প্রতিদিন পাপ, শেষ বেলাতে এসো তোমার  মনের মাঝে নাই অনুতাপ। অন্যায় কর্ম না ছাড়িয়া  তোমার আত্মা ভুল করেছ।। নৈতিকতা রেখে তুমি  ষড়যন্ত্রের পথ ধরেছো,  সত্য ন্যায়ের চর্চা ছেড়ে  মিথ্যা দিয়ে মন গড়েছো।। চোখ থাকিতে অন্ধ তুমি  দেখতে পাও না ভালো মন্দ,  তোমার কাছে কেউ যেত না  যদি থাকতো পাপের গন্ধ। তুমি মরার আগেই তোমার  বিবেক বুদ্ধি জ্ঞান মরেছে।।

আমার হয়ে থাকিস

আমার হয়ে থাকিস খাদিজা বেগম  আমাকে তুই ভালোবেসে  শুধু আমার হয়ে থাকিস,  তোর বুকেতে হৃদয় করে  আমাকে তুই আগলে রাখিস।। তোরি হয়ে থাকবে বলে  তোর প্রেমেতে মন পড়েছে,  তোরে নিয়ে হাজার স্বপ্ন  মনে মনে মন গড়েছে। এই হৃদয়ে ক্ষত হলে  তোর হাতে তুই মলম মাখিস।। ভুল হলে তুই শুধরিয়ে দিস প্রয়োজনে দিস কান মলে, তবু আমায় একা ফেলে  কখনো তুই যাসনা চলে।। আমাকে তুই ডুবিয়ে দিস ভালোবাসার ঋণে ঋণে, চোখে চোখে রাখিস আমায়  এ জীবনের বাকি দিনে।  চিরতরে ঘুমায় যদি  তোর স্মৃতিতে আমায় আঁকিস।।

তুমি আসবে বলে

 তুমি আসবে বলে  খাদিজা বেগম  প্রিয় তুমি আসবে বলে  বসে আছি মনের দুয়ার খুলে,  তোমার জন্য এ মন আমার  সাজিয়েছি প্রণয় ফুলে ফুলে।। এই হাতে হাত রেখে তুমি  আসবে বলে কথা দিয়েছিলে,  তোমার কথা শোনার পরে  প্রেম আনন্দে বান জেগেছে দিলে। আমায় দেয়া সেই কথাটা  তুমি যেন যেওনা গো ভুলে।। তোমার প্রেম ছটফটিয়ে  মরে আমার প্রেম পিপাসু হৃদয়,  ঘুম বিহনে কাতার নয়ন খুঁজে বেড়াই তোমাকে সব সময়।। তুমি এসো শ্রাবণ হয়ে  দাও ভিজিয়ে তোমার শীতল জলে,  তোমার পথে চেয়ে থেকে  বুকের ভিতর থেকে থেকে জ্বলে। তোমায় নিয়ে নাও ভাসাবো  ঢেউ খেলানো প্রেম যমুনার কূলে।।

টাকার টানে

 টাকার টানে  খাদিজা বেগম  টাকার টানে ঢাকায় এলাম  এসে দেখি স্বার্থপরে ভরা,  দুই নয়নে বৃষ্টি ঝরে  চারিদিকে মানবতার খরা।। ঢাকায় এসে পা রাখিতেই  ছিনতাইকারী সব নিয়েছে লুটে, হেঁটে চলার পথ দেখিনা  কানায় কানায় গাড়ি ভরা রুটে। ইট পাথরের এই শহরে  সবাই যেন ইট পাথরের গড়া।। আজ কতদিন খাইনি আমি  এই শহরের কলের পানি ছাড়া, কাজের খোঁজে গেলে কাছে  ওরা সবাই করে আমায় তারা। এই শহরে এত মানুষ  এত খাবার তবু ক্ষুধায় মরি, একটি কাজের সন্ধান চেয়ে  কত জনার পায়ে পায়ে ধরি।  নির্মমতার এই শহরে  সব মানুষের মনুষত্ব মরা।।

বাবার কষ্ট ঢাকা

  বাবার কষ্ট ঢাকা খাদিজা বেগম মা আমাকে স্কুলে নেন বাবা দেন তার খরচা টাকা, মায়ের কষ্ট প্রকাশ পেলেও থাকে বাবার কষ্ট ঢাকা।। মা আমাকে জন্ম দিল খুব যতনে করলো লালন, খুব সহজে পারত না মা! বাবা যদি না করিত মায়ের প্রতি দায়িত্ব পালন।। বাবার শাসন মায়ের আদর থাক সকলের গায়ে মাখা।। মা আমাকে গোসল করায় পোশাক পরায় খাবার খাওয়ায়, খুব সহজে পারতো না মা যদি বাবা না রাখিত মাকে তার সম্মানে ছায়ায়।। বাবা মায়ের রক্তে, ঘামে  বেড়ে ওঠে সন্তানের প্রাণ, সন্তান হয়ে কেউ ভুলনা বাবা-মায়ের এই অবদান। দুজন মিলে গড়িয়ে দেয় ভবিষ্যতে চলার চাকা।।

চর্চা করতে হবে

 চর্চা করতে হবে  খাদিজা বেগম  মহান স্রষ্টার শ্রেষ্ঠ সৃষ্টি  মানুষ হয়ে জন্ম নিলাম ভবে,  তাই মানবিক গুণাবলী  আমাদেরকে চর্চা করতে হবে।। জন্মের সময় আমরা কাঁদলাম  মৃত্যুর সময় কাঁদে যেন ভুবন,  তাই আমাদের গড়তে হবে  সত্য ন্যায়ের ত্যাগী সুন্দর জীবন। কারো ক্ষতি করব না কেউ  এসো আমরা শপথ করি তবে।। অর্থ সম্পদ জায়গা জমি  এর চেয়েও বড় হলো ঈমান,  এটা সেটা নাই দেখিয়ে  পথভ্রষ্ট না করে যেন শয়তান।। আমরা মানুষ সুবিচারক  সবার আগে করবো নিজের বিচার,  নিজেদের ভুল শুধরে নেব  করবো না ভুল ফিরে ফিরে আবার। আমরা মানুষ হবে না তো  অন্যায় কর্ম না ছাড়িবো যবে।।

উদ্ভাসিত হৃদয়

 উদ্ভাসিত হৃদয়  খাদিজা বেগম  উদ্ভাসিত হৃদয় আমার  বৃষ্টির জলে ভিজে ভিজে নাচে,  উল্লাসিত এ মন আমার  তোমায় আপন করে পাবার আশে।। প্রেম রোমাঞ্চে রোমাঞ্চিত  তোমায় দেখে প্রেম জেগেছে মনে,  আনন্দিত এ মন আমার  নিরজনে যেতে তোমার সনে। দুঃখ কষ্ট দূর হয়ে যায়  তুমি থাকলে আমার পাশে পাশে।। উচ্ছ্বাসিত এ মন আমার  মনে মনে তোমার কাছে টানে, ওগো তোমার মুখের কথায়  জানিনা তো কি যে জাদু জানে।।  তোমায় দেখলে দুঃখ হারায়  সুখ ভরে যায় মনের কানায় কানায়,  তুমি ছাড়া খুব অসহায়  আমাকে কি একা একা মানায়। তোমায় দেখলে সুখ সুখ লাগে  তাই তো এমন তোমায় ভালোবাসে।।

অন্যের প্রতি শ্রদ্ধা

 অন্যের প্রতি শ্রদ্ধা  খাদিজা বেগম  অন্যের প্রতি শ্রদ্ধা রাখো  ভক্তি রাখো, রাখো ভালোবাসা,  তবেই তুমি রাখতে পারো  সত্তিকারের মানুষ হবার আশা।। অন্যের প্রতি কৃতজ্ঞ হও  অন্যের সাথে বলো শালীন কথা,  তোমার কথায় কাঁদে না যে  অন্য কোন লোকে যথা তথা।। অন্য মানুষ আছে বলেই  তোমার জীবন এতো সুন্দর খাসা।। অন্যে তোমার নাম রাখিল  অন্যে তোমার জন্ম দিল, যখন তুমি অচল ছিলে  অন্য লোকে পাশে ছিল।। এখন তুমি বাক শিখেছ  রাগ শিখেছো শিখছো একা চলা, তাই বলে আজ যা খুশি তাই  যারে তারে যাবে না তো বলা।  আমরা সবাই অন্যের জন্য  হয়ে থাকবো নির্ভরযোগ্য বাসা।। আবার যখন অচল হবে  অন্য লোকেই করবে তোমার সেবা,  মরে গেলেও মাটি দেবে  তাই অন্যকে সদা সম্মান দেবা। অন্যজনের করলে ক্ষতি  আর হবে না মানুষ হয়ে বাঁচা।।

প্রেমের অনুরাগে

 প্রেমের অনুরাগে খাদিজা বেগম  এক মুহূর্ত না দেখিলে  তোমায় দেখার ইচ্ছা ইচ্ছা জাগে, তোমায় দেখে চোখ ফেরে না  মনের মাঝে মায়া মায়া লাগে।। তোমার চোখে চোখ পরিলে  আমার চোখে নেশা নেশা ধরে, তুমি যদি না বুঝো গো  বল তোমায় বুঝাই কেমন করে।  এই পৃথিবী এত সুন্দর তা বুঝে নি তোমায় দেখার আগে।। তুমি আমার হাতটা ধরে  হাটো যদি আমার পাশে পাশে, তখন যেন পৃথিবীতে  জান্নাতের সুখ শান্তি নেমে আসে।। তুমি যখন কথা বলো  আমি যেন কবিতার গান শুনি, তুমি যখন দূরে থাকো  আমি তখন প্রতিটা ক্ষণ গুনি। তোমায় ছাড়া মনের বাগের ফুল ঝরে যায় প্রেমের অনুরাগে।।

ভালোবাসি তোমাকে খুব

 ভালোবাসি তোমাকে খুব  খাদিজা বেগম  রাত গভীরে টিনের চালে  বৃষ্টি নামে যখন টুপ টুপ, তখন আমার স্বপ্নের ঘরে  ভেসে বেড়ায় তোমারি রূপ।। তুমি আমি চোখাচোখি  তুমুল বৃষ্টি ভেজা রাতে, খুব নিরবে বসে আছি  ধোঁয়া ওঠা চার কাপ হাতে। চায়ে ভেজা ওই ঠোঁট দেখে মন দিয়েছে প্রেমেতে ডুব।। এমন কেউ কি আছে ভবে  সারা দেয়নি প্রেমের ডাকে, এ মন যদি প্রেমে পড়ে  আমার কি বা করার থাকে।। এই পৃথিবীর সব নিরুপায়  অদৃশ্য এক প্রেমের কাছে,  প্রেম ঠেকাবার সাধ্য কি আর মানবজাতির কাছে আছে। জানুক জানুক এই পৃথিবী  ভালোবাসি তোমাকে খুব।।

ছিদ্র কলসে জল

 ছিদ্র কলসে জল  খাদিজা বেগম  তোমার কোন লাভ হবেনা  তলা ছিদ্র কলসে জল রেখে, মন্দ কর্ম না ছাড়িলেও লাভ হবে না ভাল কিছু শেখে।। পানি ধরে রাখতে হলে  ছিদ্রটারে বন্ধ কর আগে, ভালো কিছু করতে হলেও  তেমনি আগে মন্দ ছাড়া লাগে। মন থেকে কেউ ভালো হলে   নিজেই সরে আসে মন্দ থেকে।। শক্ত পোক্ত শিকড়ের গাছ  পড়েনা তো শিকড় সহ উপড়ে, ভালো কাজে উস্কে থেকো যেমন আগুন উস্কে রাখে হাপরে।। মিথ্যা কথা বন্ধ করো  একজন সত্যবাদী হতে হলে, এমন কর্ম কেউ করো না  যাতে কারো চোখ ভরে যায় জলে। মানুষ হতে চাইলে তুমি  ভালো পথে চলো মন্দ রেখে।।

প্রেমের গাছে

 প্রেমের গাছে  খাদিজা বেগম  খুব আনন্দে উঠেছিলাম  আমি একটা প্রেমের গাছে,  নামতে গিয়ে হাত ভাঙ্গেনি  পা ভাঙ্গেনি মন ভাইঙ্গাছে।। সাঁতার কাটতে নেমেছিলাম  প্রেম যমুনার মিঠা জলে, সেই জলেতে এত জ্বালা  উঠলে পরেও আরও জ্বলে। ভালোবাসা এমনি হয়  মন ভরে না প্রেমের চাষে।। একটুখানি সুখের আশায়  পান করেছি প্রেমের সুরা, সেই প্রেমেরি ঝড়ে পড়ে  এই দেহ মন গুঁড়া গুঁড়া।। প্রেম করিলেও কাঁদতে হবে  না করিলেও কাঁদতে হবে,  সুখের নামে দুঃখ দেবে  প্রেম এমনি হয় এই ভবে। প্রেমে জীবন প্রেমে মরণ  প্রেম ছাড়া কি কেহ বাঁচে।।

মন বসে না কাজে

 মন বসে না কাজে  খাদিজা বেগম  আজ কতদিন দেখা হয় না  তোমার আমার মাঝে, আমরা দুজন দুইজনাকে ভাবি সকাল সাঝে ।। আজ কত রাত কথা হয় না  তোমার সাথে আমার, মনের মাঝে জমে আছে  কথা হাজার হাজার।  রাত নিশীথে তোমার নুপুর  আমার কানে বাজে।। কত ফাগুন শেষ হয়েছে  তোমায় ছাড়া একা,  জানিনা আর হবে কি না  তোমার সাথে দেখা।। তুমি ছাড়া দিনগুলো সব  বিষণ্ণতায় ভরা,  কানায় কানায় বর্ষাকালেও  আমার বুকে খরা। তোমায় খুঁজে পাগল পাগল  মন বসে না কাজে।।

চরিত্রহীন

 চরিত্রহীন  খাদিজা বেগম  আমি যখন আশায় থাকি  তোমায় কাছে পাবার আশা নিয়ে, তুমি তখন অন্য জনে  মাস্তি কারো আমায় ফাঁকি দিয়ে।। আমি সইলেও সইবে না রব  আমার সাথে প্রতারণা করা,  সেই বিচারক সবই জানেন শেষ বিচারে খাইবা তুমি ধরা। কোন লালসায় ভুলে গেছো  তোমার আমার পবিত্র এই বিয়ে।। বিয়ের নামে বন্দি করে  তোমার ঘরে রেখে দিলে আমায়,  তুমি ব্যস্ত অন্যের সাথে  প্রয়োজনে পাইনা আমি তোমায়।। রক্তের বাঁধন ছেড়ে এলাম  তোমায় ভেবে সবার চেয়ে দামি,  চরিত্রহীন দুর্গন্ধময় আজকে দেখি সেই তোমাকে আমি।। এরপরেও কেমন করে  প্রেম করিবো তোমার কাছে গিয়ে।।

নাক ঠেকিয়ে

 নাক ঠেকিয়ে  খাদিজা বেগম  নাক ঠেকিয়ে ঠেকিয়ে মন  তোমার থেকে নিতে চায় ঘ্রাণ, দূরে দূরে থাকো যদি  কাঁদে আমার বিরহী প্রাণ।। হাত বাড়িয়ে বাড়িয়ে মন  মাখিতে চায় আদর সোহাগ,  লাশের মতন নিরুপায় মন  তুমি ছাড়া আমি নির্বাক। ঝড় উঠেছে মনের মাঝে  তুমি ছাড়া পাবো না ত্রাণ।। বুকের সাথে বুক মিলিয়ে  এসো না প্রেম করি দুজন,  প্রেমের ক্ষুধায় প্রাণ জ্বলে যায়  আর থেকো না দূরে সুজন।। বল বল প্রেমিক ছাড়া  কে বুঝিবে প্রেমিকার মন, কেমন করে বুঝাই তোমায়  তোমায় আমার খুব প্রয়োজন। শুইলে আমার ঘুম আসেনা  দুই নয়নে বিরহের বান।।

শোনো অফিসার

 শোনো অফিসার  খাদিজা বেগম  শোনো শোনো শোনো অফিসার অমানুষ অফিসার, ঐ গরিব দুঃখীর প্রতি কেন এত অবিচার।। ভবিষ্যতে বিচার হবে মনে রেখো তা তোমারও,  সে বিচারের দিন আসার আগে শোধরাতে পারো।। সামান্য ভুলে গরিবের পেটে আর কত লাথি?  আজ থেকে জ্বালাও মনের মাঝে ন্যায়ের বাতি।। তোমার জীবনে কত শত আছে ভুল আর পাপ, তাই নিয়ে তোমার ভিতরে নাইতো কোন অনুতাপ।। আজ থেকে তুমি অফিসার এই কথা ভুলে যাও,  একজন মানুষ হয়েই মানুষের পাশে দাঁড়াও।। আজ রাতে তোমার মাথাটা রেখে কোমল বালিশে,  তোমার ঐ আঙ্গুল তোলো তোমার দিকে নালিশে।। কত শত পাপে ভরা তুমি, তবু দাও কারে সাজ, তুমি তুচ্ছ, হুকুমের দাস, ভেবেছিলে মহারাজা।। ধনী বল অথবা গরিব এক স্রষ্টার গড়া,  স্রষ্টার আদেশ-নিষেধ না মানিলে খাবে ধরা।। মানুষ তোমায় হতে হবে কাজে কর্মে মানুষ, কথার আগে কাজের আগে রাখতে হবেই হুশ।। ভালোবাসার হাত বাড়াও সুখে ভরে যাবে বুক, সৎ গুণে গর্বিত হও ধ্বংস হবে অসুখ।।

নিজ জানাজা

 নিজ জানাজা  খাদিজা বেগম  জানিনা কোন অপরাধে  যাচ্ছি কেঁদে পাচ্ছি সাজা, কি এমনটা করেছি পাপ  মাফ করনি মহারাজ।। আর ঝরাবে কত বারি  এই দুঃখিনির দুই নয়নে,  মাপ করে দাও হে দরদী  ভুল যদি হয় তোমার সনে। পাপে পাপে কাতর এই মন  মাপে মাপে করো তাজা।। দাও আমাকে তুমি তোমার  ভালবাসার হাত বাড়িয়ে,  দোষ গুলোকে ধ্বংস করে  গুনে গুনে দাও ভরিয়ে।। এই জীবনে আমি কভু  করিনি তো কারো ক্ষতি,  তবু কেন দাও থামিয়ে  তুমি আমার চলার গতি। মাঝে মাঝে মন চায় আমার  পড়ে ফেলি নিজ জানাজা।।

আগের মত আবার

 আগের মত আবার  খাদিজা বেগম  আগের মত পাইনা আমি  তোমার মুখের কথায় মিষ্টি,  আগের মত নেই তো তোমার  আমার প্রতি প্রেমের দৃষ্টি।।  তোমার উগ্র ব্যবহারে  প্রেম জাগে না আমার মনে, মরণের সাধ জাগে এখন  এই মনেতে ক্ষণে ক্ষণে। উপচে উপচে অশ্রু ঝরে  দুই নয়নে নামে বৃষ্টি।। বলোনা গো কেন তুমি  আগের মত এখন আর নাই,  কেন তোমার ব্যবহারে  আমার অন্তর পুড়ে হয় ছাই।। কেন এত ত্রুটি খুঁজো  আগের মত গুণ খোঁজ না,  আমি তো সেই আগের মত  তুমি কেন তা বোঝনা। এসো আগের মত আবার  আমরা করি প্রেমের সৃষ্টি।।

প্রেম হলো নিলাম

 প্রেম হলো নিলাম  খাদিজা বেগম  এই জীবনে আমি তোমার  ভালোবাসা নাই বা পেলাম,  তবুও তো আমি তোমার  অবহেলার পাত্রী হলাম।। তোমার আচার ব্যবহারে  জেনে গেছি অনেক আগে,  তবু তোমায় ভালবাসি  ভালবাসার ইচ্ছা জাগে। জানিনা কোন অপরাধে  আমার এই প্রেম হল নিলাম।। তোমার মুখেই বললে তুমি  আমি তোমার চোখের বালি,  তবু তোমায় ভালোবেসে  এই হৃদয়ের মাঝে পালি।। তোমার ঘৃণা আমার কাছে  সৃষ্টিকর্তার পরে দামি, তবুও তো এই সান্তনা  তোমার ঘৃণার পাত্রী আমি।  তোমার মনটা নাই বা পেলাম  ঘৃণার বদলে এই মন দিলাম।।

সমস্যা

 সমস্যা  খাদিজা বেগম  এখানে সেখানে শুধু সমস্যা  সমস্যা দেখে কভু ডরায় না মানুষে,  আপন কাজের দক্ষতা দিয়ে  সব সমস্যা চিবিয়ে চিবিয়ে খায় চুষে।। যতটা কঠিন লাগে সমস্যা  ততটা কঠিন নয় সমস্যা বুঝলে, খুঁজে দেখো পেয়ে যাবে সমাধান সব সমস্যার সমাধান মিলবে খুঁজলে।। অন্ধকারের গর্তে গর্তে  সমস্যা দেখে পালিয়ে বেড়ায় ইঁদুরে,  মাথাটা খাটিয়ে করো সমাধান  সমাধান করে দিতে পারে নাতো সিদুরে।। যতটা সরল ভেবেছো দুনিয়া  ততটা সরল নয়তো কঠিন দুনিয়া, নিজের নয়নে না দেখিয়া তুমি  বাড়িয়ে দিও না ঐ পা কারো কথা শুনিয়া।। পশুরা শিকার ধরে ধরে খায় ধরতে ব্যর্থ হলে সে থাকবে না খেয়ে, না খেয়ে না খেয়ে থাকতে থাকতে  শিকারির হাতে সেও যাবে শিকার হয়ে।। সত্য মিথ্যা ভিন্ন ভিন্ন  একই সাথে কভু তাদের মিশিয়ে দিওনা, মন্দ জেনেও মিথ্যা জেনেও  কভু তাদের কে কাছে টেনে যেন নিও না।। ভুল কারীদের ক্ষমা করে দাও  ষড়যন্ত্র কারীদের দাও শাস্তি, যত পারো হাসো প্রাণ খুলে বাঁচো  পরের ক্ষতি না করে তুমি কর মাস্তি।। এই দুনিয়ার যুদ্ধক্ষেত্রে   আমরা সক...

চোখের বরষা

 চোখের বরষা  খাদিজা বেগম  এই সমস্যা সেই সমস্যা  জীবন মানে সমস্যা,  মানব জীবন গড়তে হলে  চাই সকলের তপস্যা।। শুদ্ধ আত্মা পেতে হলে  করো কঠিন সাধনা,  ভুলগুলোকে শুধরে নিয়ে  করো আত্মার মার্জনা। যদি আত্মা অসুস্থ হয়  কর তারে চিকিৎসা।। করো মাঝে দ্বন্দ্ব হলে  করে দিও মীমাংসা, ভালো মন্দ বুঝতে পারলে করো নিও প্রশংসা।। জিততে হলে পুষে রাখো  একের পর এক জিজ্ঞাসা,  সত্যি কারের মানুষ হতে রাখো জ্ঞানের পিপাসা। সব সমস্যার এক সমাধান  কর্মের উপর ভরসা।। সৃষ্টির শ্রেষ্ঠ সেরা তুমি  ধ্বংস করো তোমার দোষ, কর্ম গুণে স্বর্গ নরক  কর্ম গুণে হও মানুষ। তোমার কর্মে না নামে যে  কারো চোখের বরষা।।

রিনিঝিনি বৃষ্টি

 রিনিঝিনি বৃষ্টি  খাদিজা বেগম  বন্ধু আমার মন আকাশে  রিনিঝিনি বৃষ্টি,  তার বৃষ্টিতে মন ভেজাতে  লাগে ভারি মিষ্টি।। বন্ধু আমার প্রেমের সাগর  আমি সেই সাগরের ঢেউ,  তারে কত ভালোবাসি  তা জানেনা তো কেউ। বন্ধুর মুখে এত মায়া  সরে নাতো দৃষ্টি।। বন্ধু আমার সবুজ পাহাড়  স্বচ্ছ ঝর্না ধারা  বাঁচবো না আর একটি দিন  আমি তারে ছাড়া।। বন্ধু আমার জাদু কারি  জাদু জানে ভিশন, তার ভাবনায় মন ডুবে যায়  মন মানে না শাসন। বন্ধু আমার শ্বাস-প্রশ্বাসে প্রাণ বাঁচানো কৃষ্টি।।

জন্ম থেকেই গরিব

 জন্ম থেকেই গরীব  খাদিজা বেগম  টাকা আছে পয়সা আছে  আছে অনেক অনেক বাড়ি গাড়ি, দুই নয়নে ক্ষণে ক্ষণে  তবু ঝরে পরে অশ্রুর বারি।। সন্তান ছাড়া খা খা করে  সন্তানহীনা পিতা মাতার বুকে,  কেউবা আবার রাস্তায় থাকে  নিজের সন্তান বুকে নিয়ে সুখে। এই দুনিয়ায় গরিব ভরা  সব গরিবের মনে আহাজারি।। রাজকীয় খাবার খেয়ে  কারো কারো ঘুম আসে না চোখে,  না খেয়ে ও পথের মাঝে  কি আনন্দে ঘুমায়ে রয় লোকে।। সন্তান, সম্পদ কিছুই নাই যার  তারাও তো তার ভরসায় বাঁচে,  হাত নেই পা নেই তাদেও মন পুলকিত হয়ে হয়ে নাচে। জন্ম থেকেই গরিব মানুষ  তবে করছো কিসের অহংকারী।।

ভাগ্যের দুয়ার

 ভাগ্যের দুয়ার  খাদিজা বেগম  খুলি খুলি করে ও তো  আর খুললো না আমার ভাগ্যের দুয়ার, আমি যেন হতভাগা  শিকার হলাম অদৃশ্য এক জুয়ার।। ঘুরি ঘুরি করেও তো  আর ঘুরলো না আমার ভাগ্যের চাকা, হাজার দুঃখ কষ্ট দিয়ে এই দুঃখিনীর কপাল খানা ঢাকা। যন্ত্রণাতে ভরা এ বুক  এই বুকেতে নাই যন্ত্রণার শুমার।। হবে হবে করে ও তো  আর হলো না মানুষ হয়ে বাঁচা, ঝরা পাতার মতো করে  ঝরে গেল আমার সকল আশা।। স্বপ্ন ছিল অনেকে বড়  হব বাবা মায়ের সেরা সন্তান, ভাগ্য দোষে দোষী হলাম  পারি নাই তো দিতে তাদের সম্মান। ফুটি ফুটি করেও তো  ঝরে গেল আশার পুষ্প আমার।।

স্মৃতির কাটা

 স্মৃতির কাটা  খাদিজা বেগম  কথা কও না দেখা দাও না  তবুও তো থাকো মনের মাঝে, তোমার স্মৃতি কাটা হয়ে বারে বারে বুকের ভিতর বাজে।। ভালোবেসে কাছে এসে  চলে গেছো যোজন যোজন দূরে,  বিরহী মন যখন তখন  তোমার স্মৃতির অনলে যায় পুড়ে।  ভুলতে গেলেও ভোলা যায় না  মনে পড়ে সকাল বিকাল সাঁঝে।। ভালোবাসো নাইরে বন্ধু  ভালোবাসো নাই আমাকে কভু, এক বুক ব্যথা নিয়ে আমি  তোমার জন্য দোয়া করি তবু।। যেথায় থাকো ভালো থাকো  কষ্ট পাও না যেন আমার মত, তোমার বুকে হয় না যেন  কোনদিনও রক্ত ঝরা ক্ষত। তোমার স্মৃতির গন্ধ মাখা  আজো আমার মনের ভাঁজে ভাঁজে।।

বুক ভেঙ্গে যায়

 বুক ভেঙ্গে যায়  খাদিজা বেগম  যেমন নদীর গভীরের ঢেউ  ভাঙ্গে গিয়ে নদীর কূলে কূলে,  তেমনি করে বুক ভেঙ্গে যায়  নিজের প্রতি করা ভুলে ভুলে।। কেউ দেখি না নিজেদের ভুল  অন্যদের ভুল দেখি বারে বারে, কেউ ভাবি না আপন ভুলে  আপন জীবন ভরলো হাহাকারে। আপনাকে সঠিক ভেবে  আপনা থেকে চড়ে উঠি শূলে।। আপনার ভুল ধরতে হলে  সবার আগে মানুষ হওয়া লাগে,  আপনার ভুল ধরতে পারলে  আমি শুধরে যেতাম অনেক আগে।। আমরা সবাই দেখতে মানুষ  সত্যিকারের মানুষ কি আর আছি,  মনুষ্যত্ব ধ্বংস করে  ভুল করেও হায়েনার মত হাসি। সত্য চোখে দেখলে দেখি  আমি নিজেই নিজের দুঃখের মূলে।।

তোমার মাকে

  তোমার মাকে খাদিজা বেগম তোমার মাকে বলো না যে অবুঝ- অচল, মূর্খ -বৃদ্ধ, তোমার জন্য মৃত্যুর সাথে মা করেছে তীব্র যুদ্ধ।। এই পৃথিবীর রূপ দেখাতে মা সয়েছে শত কষ্ট, সেই মাকে যে ব্যথা দেবে সন্তান নয়তো সে পথভ্রষ্ট। সদা তোমায় থাকতে হবে মায়ের কথা কাজে শুদ্ধ।। মায়ের সাথে করতে হবে বিনয় করে সৎ ব্যবহার, যেন তোমার ব্যবহারে নয়নের জল না আসে তার।। আমার মায়েরে নাই তুলনা মাগো আমার দরদী মা, মায়ের মত এত ত্যাগী পৃথিবীতে কেউ হবে না। মায়ের সেবা করে যে জন ধন সম্মানে সে সমৃদ্ধ।।

হারিয়ে ফেলেছি

  হারিয়ে ফেলেছি খাদিজা বেগম হারিয়ে ফেলেছি এক এক করে জীবনের সব সুন্দর দিন গুলি, রয়ে গেছে শুধু মাথার ভেতরে সেই ভালবাসার মানুষের ঋণ গুলি।। যাদের হাতটা ধরে ধরে আমি হাটতে শিখেছি পৃথিবীর পথে পথে, যাদের আদেশ উপদেশ ধরে মত মিলিয়ে যাই ন্যায়ের মতে মতে।। যাদের আচার ব্যবহার দেখে শিখেছি শ্রদ্ধা, ভক্তি, বিনয়, ত্যাগ, কাজে মনোযোগ বজায় রাখতে নিয়ন্ত্রণে রাখতে নিজের রাগ।। যাদের কণ্ঠ শুনে শুনে আমি আজ কথা বলি মিষ্টি মধুর সুরে, কোথায় হারিয়ে গেল আজ তারা দৃষ্টির সীমা ছাড়িয়ে কত যে দূরে।। আজ তাদেরকে খুব মনে পড়ে মনে পড়ে যায় ছোট্টবেলার কথা, তাদের আদর তাদের শাসন এখন মেলে না এই কপালে যথা তথা।। যতটা হয়েছি ধীরে ধীরে বড় ঠিক যে ততটা সরে গেছি দূরে আমি, থাকতে তাদের চিনতে পারিনি হারিয়ে বুঝেছি তারা ছিল খুব দামি।। স্বপ্ন আমার তাদের মতন ভালোবাসা দিয়ে যাবো জনে জনে, সহযোগিতার দুই হাত বাড়িয়ে আমি থেকে যাব মানুষের মনে মনে।। নীরবে নীরবে উপকার করে যাব করব না কভু কোন মানুষের ক্ষতি, উপকারীজন আলোর মতন তার চারিদিকে ছড়িয়ে বেড়ায় জ্যোতি।।

এত কষ্ট

 এতো কষ্ট  খাদিজা বেগম  আমার মনে হয় এখনি  আমি যাব বুঝি মরে, আর দিও না এতো কষ্ট  এই মিনতি তোমার তরে।। মন চায় তোমার ভালবাসায়  আমি হয়ে থাকি ঋণী,  তোমার সাথের সাথী হয়ে  বেঁচে থাকি চিরদিনী। দাসী হয়ে থাকতে দিও  আমায় তোমার পায়ে পড়ে।। হাতে ধরি পায়ে পড়ি  করি আমি এই অনুরোধ, ভুল হয়েছে বারেবারে  তাই নিয়োনা সেই প্রতিশোধ।। তুমি যদি শাস্তি দাও গো  কে করিবে আমায় ক্ষমা,  তুমি আমায় মাফ করে দাও  আমার প্রাণের প্রিয়তমা।  এই দুনিয়া চাইনা আমি  ঠাই করে দাও এই অন্তরে।।

মা শব্দটি

 মা শব্দটি  খাদিজা বেগম  মা শব্দটি বললে মুখে  মন ভরে যায় মহা সুখে, মা মা বলে ডাকি যত আনন্দ ঢেউ জাগে বুকে।। আমার মায়ের মুখ দেখিতে  মধুর চেয়েও বেশি মিষ্টি, যত দেখি চোখ ফেরে না  ভরে না তো আমার দৃষ্টি। যে সন্তানের মা নাই ভবে  তার জীবনটা ভরা দুঃখে।। মা শব্দটি অতি ক্ষুদ্র  শুধু একটি বর্ণ দিয়া,  সেই মাইয়ারে মাঝে আমি  খুঁজে পেলাম এই দুনিয়া।। মায়ের মত কারো কাছে  আদর স্নেহ রয় না এত,  মার মমতা বাতাস হয়ে  বইতে থাকে অবিরত।  মা বিহনে কত শিশু  মরে যাচ্ছে ধুঁকে ধুঁকে।।

রোবটের মত

 রোবটের মত  খাদিজা বেগম  কাকে বলব আমার কথা  আমি কিছুই ভেবে পাইনা,  এই রোবটের মত জীবন  এক মুহূর্ত আমি চাইনা।। সুখ না পেতেই হারিয়ে যায়  দুঃখ কেন যে হারায় না,  আশা গুলো ফুরিয়ে যায়  ক্ষত কেন ফুরায় না। যা ভেবে হাত বাড়িয়েছে  হাতে পেয়ে দেখি তাই না।। যে ভাবে না আমায় নিয়ে  তারে কেন ভাবি আমি,  যে দিল না আমারি দাম  তারে কেন ভাবি দামি।। যার কারণে অশ্রু আসে  আজো আমার চোখের কোনে, তবু কেন তারে আমি  খুব যতনে রাখে মনে।  কিছু পাবার আশা করে  এখন আর এই হাত বাড়াই না।।

সাহস

 সাহস খাদিজা বেগম  যদি সাহস না থাকে ঐ  তীব্র দুঃখের সাগরে ডুব দেবার,  সুখ হবে না সুখ হবে না  এই জীবনে এই ভুবনে তোমায়।। সুখ সেতো লুকিয়ে রয়  যন্ত্রনাময় অগ্নি দুঃখের ভেতর,  দুঃখটাকে করলে আপন  সুখী হবে তোমার দুঃখী অন্তর। দুঃখের সময় ধৈর্য ধরো  দুঃখের পরে আসবেই সুখ আবার।। যদি তুমি ভয় কর ভাই  পাড়ি দিতে গভীর দুঃখের নদী,  তবে তোমার সুখের জমি  সারা জীবন থাকবে অনাবাদী।। যেমন আসে রাত শেষে দিন  তেমন আসে দুঃখের শেষে ও সুখ,  শক্ত হাতে হাল ধরো ভাই  তোমায় দেখে পালিয়ে যাক ঐ দুঃখ। তবুও তো কিছু দুঃখ  মনের কোনায় কোনায় থাকে সবার।।

বেঈমান

 বেঈমান  খাদিজা বেগম  বেঈমান বেঈমান তুমি বেঈমান  প্রেমের নামে করে গেছো বেঈমানি,  আমার চোখে ভালোবাসার  ধুলো দিয়ে করে গেছো শয়তানি।। ভালোবাসা দেবার নামে দিয়ে গেছো নিঃস্ব করে আমাকে, দুঃখ ছাড়া সব হারালাম অনেক বেশি বিশ্বাস করে তোমাকে। জনে জনে শুনি আমি  তুমি নাকি করো প্রেমের আমদানি।। এতটা পথ চলার পরে  কোন হিসাবে ছেড়ে দিলে আমার হাত, এই প্রশ্নটার উত্তর খুঁজে  দুই নয়নে শ্রাবণ ঝরে সারারাত।।  চলেই যখন যাবে দূরে  তবে কেন এল কাছে এতটা, বল আমি কেমন করে  সইবো তোমার চলে যাবার ক্ষতটা। যেই প্রেম ছাড়া মরি আমি  তুমি করো সেই প্রেমেরি রপ্তানি।।

জানতে চেয়েছিলে

  জানতে চেয়েছিলে খাদিজা বেগম তুমি জানতে চেয়েছিলে আমি কেমন আছি, তার উত্তরে দিয়েছিলাম এই মুখ ভরা হাসি।। নিশ্চয়ই তুমি ভেবেছিলে আমি অনেক সুখী, জানো, দুঃখ ঢাকার জন্যই বেশি হাসে দুঃখী। মরে যাবার আশা নিয়ে এখনো তো বাঁচি।। মরণ ছাড়া আশা নাই আর কোন কিছু পাবার, মরার পরে হারানো প্রেম আমি চাইবো আবার।। এ জগতে নাইবা হলো তোমার আমার মিলন, ঐ জগতে সাথী হবো তুমি আমি দুজন। খুব গোপনে তোমায় ভেবে চোখের জলে ভাসি।।

মানুষ হবার ইচ্ছা

 মানুষ হবার ইচ্ছা খাদিজা বেগম  আমার সময় ভাগ করেছি  আমি অনেক ভাগে ভাগে, সত্যি কারের মানুষ হতে  ভাগ নিজেকে করা লাগে।। সকল ভাগের প্রথম ভাগটা  মহান স্রষ্টা ইবাদাতে, তার আদেশের বাইরে কভু  নিজের ইচ্ছায় না যাই যাতে। সাদা হৃদয় ভরতে চাই না পাপ কালিমার দাগে দাগে।। দ্বিতীয় ভাগ আমার কর্ম  নৈতিকতার সাথে করি, অনৈতিক পথ ধরবো না তো  যদিও বা আমি মরি।। তৃতীয় ভাগ সৎব্যবহার  শালীন পোশাক সুন্দর কথা, আমার হতে যাতে কভু  কোন মানুষ না পায় ব্যথা। আজ নিজেকে ভাগ করে দাও  যদি তোমার ইচ্ছা জাগে।। চতুর্থ ভাগ চিন্তার জন্য  একা একা চিন্তা করো,  অতীত নিয়ে চিন্তা কর  ভবিষ্যতের চিন্তা করো। আগাছা সব ঝেড়ে ফেলে  পুষ্প ফুটাও চিন্তার বাগে।।

উপকারি গাছের

 উপকারি গাছের খাদিজা বেগম  উপকারি গাছের সাথে  ডাল থাকে না  ছাল থাকে না থাকে না রে পাতা,  কেউ খোঁজেনা কেউ বোঝেনা কেউ ভাবে না  গাছেরও প্রাণ আছে আছে ব্যাথা।। গাছ যেভাবে নিঃশেষ করে  নিজেকে দেয় পরের তরে ঢেলে,  পরোপকার কর মানুষ  তুমি একটুখানি সুযোগ পেলে।  ধূপ নিজেকে পুড়ে পুড়ে  গন্ধ বিলায় ভুলো না সে কথা।। মানুষ কোন গাছ বা ধূপ নয়  তুমি মানুষ সৃষ্টির সেরা এক জীব, তোমার একটু সহায়তায়  হতে পারে অনেক জীবন সজিব।। যেখানে রাত শেষ হয়ে যায়  সেখান থেকে একটি দিনের শুরু,  এই পৃথিবীর পাঠশালাতে  আমরা ছাত্র নই তো শিক্ষা গুরু।  অনেক কিছু শেখার বাকি  তাই খাটিয়ে দেখো তোমার মাথা।।

মাকে জড়িয়ে ধরা

  মাকে জড়িয়ে ধরা খাদিজা বেগম আর হবেনা আর হবে না মা, মা বলে মাকে জড়িয়ে ধরা, মায়ের চোখের জল মুছিয়ে খুব যতনে মাকে আদর করা।। মায়ের বুকের বিছানাতে শিশুকালে নিদ্রা যেতাম আমি, সেই মাকে আজ মাটি দিলাম তাকে দেখে রেখো অন্তর্যামী। কেমন করে ভুলবো আমাকে মায়ের ভিতর থেকে আমি গড়া।। খুব আনন্দে খেতাম আমি মায়ের হাতের দুধ কলা ভাত মাখা, মা ছাড়া আজ দিশেহারা জীবন আমার লাগে ফাঁকা ফাঁকা।। আমার গায়ের কাঁথা ছিল আমার মায়ের ভালোবাসার আঁচল, হাত চলে না, পাওয়া চলে না মাকে ছাড়া আমি এখন অচল। এই হৃদয়ের কানায় কানায় মাগো তোমার স্মৃতি দিয়ে ভরা।।

তোমাকে চাই

  তোমাকে চাই খাদিজা বেগম আজান শুনলে নামাজ পরি ক্ষুধা লাগলে পেট ভরে খাই, সময় মতো গোসল করি আবার রাত্রি এলেই ঘুমাই।। যেন বেঁচে থাকার জন্য প্রতিটা দিন বেঁচে থাকি, যন্ত্রণাতে ভরা এই বুক শুধু মরণ হতে বাকি। এত জ্বালায় জ্বলছি আমি জ্বলে পুড়ে জীবনটা ছাই।। আলোকিত দিন কিংবা রাত কোনটাতে নেই আমার সাধ , তোমার বিয়াগো ব্যাথায় ব্যাথায় এই জীবনটা হলো বরবাদ। ফুলে ফুলে প্রজাপতি মিষ্টি মধুর কোকিলের গান, তুমি বিনে কোনোটাতেই ভরে না তো শূন্য এই প্রাণ। মনে মনে মন কেবলি তোমাকে চাই তোমাকে চাই।।

আগলে রাখার তৃষ্ণা

আগলে রাখার তৃষ্ণা  খাদিজা বেগম  কে আমাকে ভালবাসে কে আমাকে করে ঘৃণা,  আগের মতো এসব নিয়ে  আমি এখন আর ভাবি না।। যাকে নিয়ে ভাবতাম আমি  যে জন ছিল ভাবনার নায়ক,  সেই তো দূরে চলে গেছে  দিয়ে গেছে বুক ভরা শোক। তার বিরহে দিবানিশি  বুকে বাজে অগ্নিবীণা।। এখন শুধু কানায় কানায়  এই দেহ মন ভরা অসুখ, তারি সাথে চলে গেছে  এই জীবনের সবটুকু সুখ।। তাইতো আমি সব ভুলে আজ  শুধু আমায় নিয়ে ভাবি,  বেঁচে থাকার জন্য আমার  ভিতর থেকে আত্মার দাবি। আজ জেগেছে এই আমাকে  আগলে রাখার অনেক তৃষ্ণা।।

মরণের স্বাধ জাগে

 মরণের স্বাধ জাগে  খাদিজা বেগম  তুমি কেন আমার সাথে  কথায় কথায় জ্বলে ওঠো রাগে,  মধুর কথা বললেও আমি  তোমার কাছে বিষের মতই লাগে।। যারে এতো ভালোবাসি  সে খুশি হয় আমার চোখের জলে, মাঝে মাঝে তাই মনে হয়  এই পৃথিবী ছেড়ে যাবো চলে। এই অপমান থেকে বাঁচতে  বারে বারে মরণের স্বাধ জাগে।। যারে আমি এই অন্তরে  জায়গা দিলাম আদর যত্ন করে,  তার অন্তরে ঠাই না পেয়ে  আমার অন্তর ছটফটিয়ে মরে।। এই বেহাইয়া বেলাজা মন  তবু কেন তারেই ভালোবাসে,  তারে কাছে পাবার আশায়  মোনাজাতে চোখের জলে ভাসে। তারে সঁপে দেওয়ার জন্য  পুষ্প ফোটে ভালোবাসার বাগে।।

অশ্রুর ঝর্না নামে

 অশ্রুর ঝর্না নামে  খাদিজা বেগম  চোখের কাছে ছিলে যখন  একটি দিনও দেখিনি তো চেয়ে,  একটি বারো ছুইনি তোমায়  বারে বারে হাতের কাছে পেয়ে।। এত কাছে ছিল তবু  পারিনি তো কাছে টেনে নিতে,  দূরে গেছো তাই খুজি আজ  একটুখানি ভালবাসা দিতে। তোমার প্রেমে পাগল এ মন  ও মায়াবী জাদু কারি মেয়ে।। ফিরে এসো অভিমানী  আমায় তুমি যেও না গো ফেলে,  দূরে দূরে আর থেকো না মনের মাঝে প্রেমের আগুন জ্বেলে।। তুমি যে কে ছিলে আমার  আজ তোমাকে হারিয়ে তা বুঝি,  তোমায় ছাড়া দিশেহারা  বারে বারে তাই তোমাকে খুঁজি। তোমায় ভেবে উদাস চোখে  অশ্রুর ঝর্না নামে বেয়ে বেয়ে।।

চেষ্টা করি

  চেষ্টা করি খাদিজা বেগম নামও চাই না যাশও চাই না আমি চাই না কোন খ্যাতি, সত্যি কারের মানুষ হবার চেষ্টা করি দিবা রাতি।। চেষ্টা করি অন্যের দুঃখে দুঃখী হয়ে সুখ জাগাবার, আশা ভাঙ্গা মনের ভিতর রঙিন আশার গাছ লাগাবার। চেষ্টা করি অন্ধকারে জ্বেলে দিতে আশার বাতি।। বারে বারে চেষ্টা করি পথভ্রষ্টকে পথ দেখাবার, মুছে দিতে চেষ্টা করি দুঃখীর বুকের সব হাহাকার।। শান্ত মনের মানুষ আমি কভু চাইনা বাড়াবাড়ি, প্রয়োজনে প্রলয় হবো ধ্বংস করবো অন্যায়কারী। আমি হলাম নৈতিকতার নৈতিকতাই আমার সাথী।।

চোখের বারি

 চোখের বারি  খাদিজা বেগম  চোখের পাতা বন্ধ করলেও বন্ধ হয় না চোখের বারি, ফোঁটা ফোঁটা পড়তে থাকে  অবিরত কাড়ি কাড়ি।। হাজার কষ্ট চেপে রেখে  এই নিদারুন গহীন বুকে,  অভিনয়ের মিষ্টি হাসি  দিবানিশি রাখি মুখে। স্বপ্ন থেকে সুখ আসে না  সুখ দিয়েছে যেন আড়ি। চারিদিকে চেয়ে দেখি  আসলে তো কেউ সুখী নয়, সবাই করে সারা জীবন  সুখে থাকার এক অভিনয়।। জীবন যেন কষ্টেরি নাম কষ্ট ছাড়া হয়না জীবন, যেদিন কষ্ট থাকবে না আর  সেদিন আসবে ছুটি মরণ।  তখন আমি সুখের চোটে  নয়ন বুজে দেবো পাড়ি।।

সত্য অনুসরণে

 সত্য অনুসরণে  খাদিজা বেগম  ভয় করো না ভয় করো না  ভয় করো না মরনে,  সাহস নিয়ে মরে যারা  তারাই থাকে স্মরণে।। বীর সাহসী যোদ্ধা যারা  তারাই হলো শ্রেষ্ঠ জন, জালিম ধ্বংসকারী তারা  বারবার তাদের প্রয়োজন।  শ্রেষ্ঠ মানুষ চিনে নিও  তাদের কাজের ধরনে।। ভয় মানুষের আসল মৃত্যু  ভয় পেলে কেউ বাঁচে না, মানুষ যারা তারা কভু  অন্যের কথায় নাচে না।। প্রাণ হারালেও মানুষ কভু  অনৈতিক পথ ধরে না, মরার পরেও অমর থাকে  মানুষ কভু মরে না। পবিত্র সুখ আছে শুধু  সত্য অনুসরণে।।

সাক্ষী অন্তর্যামী

 সাক্ষী অন্তর্যামী  খাদিজা বেগম  অবহেলা পেয়ে পেয়ে  এই শিখেছি আমি, পৃথিবীতে মানুষ হলো  সবার চেয়ে দামি।। মানুষেরে মানুষ ছাড়া  কেহ সম্মান দেয় না, অমানুষের কাছে মানুষ  কভু সম্মান পায় না।  মানুষ হতে মায়া লাগে  শিখে নিও তুমি।। জ্ঞানী হতে শিক্ষা লাগে  শিক্ষা ছাড়া বোকা,  বোকা হলে সারা জীবন  খেতে হবে ধোঁকা।। অপমান বা সম্মান করো  তাহা ফেরত আসবে, ঠিক করে লও ভবিষ্যতে  কাঁদবে নাকি হাসবে। কি ভেবেছ কি করেছো  সাক্ষী অন্তর্যামী।।

ফেলে দেয়া খাম

  ফেলে দেয়া খাম খাদিজা বেগম খারাপ সময়ের হাত ধরে ভালো সময় আসে, হাজারো কষ্ট পাস কাটিয়ে সব মানুষে বাঁচে। বল না, তুমি তোমায় ভাবছো কেন এতটা দুঃখী, মনে রেখো দুনিয়াতে কেহ নয় তো পূর্ণ সুখী। হাসি কান্নার এইতো জীবন সুখে দুঃখে মেলানো, হাজারো ফুল পাখি কবিতা আছে এই মন ভোলানো। তবু রাতের মত ফিরে ফিরে ফের দুঃখ আসে, তবুও প্রতিটা রাত শেষে সোনালী সূর্য হাসে। আজকে তুমি দুঃখ পেয়েছো তাইতো ভিজেছে বুক, একটুখানি ধৈর্য ধরো কাল পাবে তুমি সুখ। কান্না ছাড়া হয়না জীবন তাই তুমি আজ কাঁদো, কান্নার সুতা দিয়ে তুমি তোমার জীবন বাঁধো। দুঃখের জীবন হলেও তো সেই জীবনটা তোমার, মরণের দুয়ার থেকে তাই ফিরিয়ে আনো আবার। দুঃখ বলো সুখ বলো চিরস্থায় কিছু তো নাই, দুঃখের অনলে পুড়ে পুড়ে দুঃখটা হবে ছাই। চিরদিনি সোনা পুড়ে পুড়ে আরো বেশি খাঁটি হয়, খাঁটি সোনা হতে হলে দূর করে দাও পোড়ার ভয়। মিলনের সুখ পেতে হলে সহ্য কর বিরহ, বিরহ জ্বালাতে জ্বলে নাই এমন তো নাই ভবে কেহো। বিশ্বাসঘাতকতার বিষে আহত হলে মন, ঝর্নার মতন হবেই মনে রক্তক্ষরণ। তবুও তোমাকে বেঁচে থাকতে হবে এই পৃথিবীতে, অন্যদের দোষে কেন যাবে আত্মহত...

হয়তো আমি বুঝিনি

 হয়তো আমি বুঝিনি খাদিজা বেগম হয়তো আমি বুঝিনি তা আমাকে যা বুঝিয়েছো তখন, সেই কথাটাই বোঝার জন্য বসে বসে আমি ভাবছি এখন।। আমি হালাল এক সাধারন তোমার মত নই তো জ্ঞানীগুণী, তাই তো প্রশ্ন করে করে জ্ঞানীগুনির উত্তর আমি শুনি। মানুষ হওয়ার চেষ্টা করি জানিনা তা আমি হব কখন?? মনের দৃষ্টির নাই সীমানা তাইতো আমি নয়ন বুঝে দেখি, মনের কথা বোঝার জন্য তাই তো আমি আমার মত লেখি।। আমার ভেতর আমি আছি আমার সাথে আছে আমার এক মন, মনের কথা আমি শুনি আবার আমি মন কে করি শাসন। কাকে আমি কি বোঝাবো নিজেরই তো জ্ঞান নেই বোঝার মতন।।

ক্ষমা করো

 ক্ষমা করো  খাদিজা বেগম  ক্ষমা করো ক্ষমা করো  ভুল কারী কে বারবার ক্ষমা করো, ক্ষমা করে করে তুমি  তোমাকে এক মহামানব গড়ো।। ভুলে ভরা মানব জীবন  ক্ষমা ছাড়া অচল হয়ে যাবে,  আজকে তুমি করলে ক্ষমা  আগামীতে তুমিও ক্ষমা পাবে। কর্কশ রুক্ষ অশ্লীল ভাষা করা থেকে তুমি দূরে সরো।। মনুষ্যত্ব বজায় রেখে  শালীন ভাবে সুন্দর কথা বলো, নৈতিকতা রক্ষা করে  ভেবে চিন্তে প্রতিটা পথ চলো।। ক্ষমা ছাড়া থাকবে না কেউ  সবাই যাবে যন্ত্রনাতে ভেসে, সব সম্পর্ক আগলে রেখো  খুব যতনে গভীর ভালোবেসে। আজকে থেকে হিংসা, নিন্দা,  গীবত রেখে ক্ষমা করা ধরো।।

এসো এসো

  এসো এসো  খাদিজা বেগম  তুমি আমার পরান পাখি সেই তুমি দাও যদি ফাঁকি,  থাকবে না আর কিছুই আমার  চাওয়া পাওয়ার হিসাব বাকি।। পরিণত হয়ে যাব  সাদা কাফন পরা লাশে,   এই দুনিয়া ছেড়ে যাব  তারা হব দূর আকাশে। প্রতিটা দিন দেখব তোমায়  খুলে রেখে আমার আঁখি।। তুমি আছো তুমি রবে  এই হৃদয়ে রাখবো তোমায়,  যত দূরেই যাই না আমি  দেবো না তো ভুলতে আমায়।। চাওয়া পাওয়া তোমায় ঘিরে  তুমি আমার প্রাণের বিত্ত,  তোমাকে চাই আপন করে  শ্বাস-নিঃশ্বাসের মত নিত্য। এসো এসো অভিমানী  আদর করে বুকে রাখি।।

মায়াবী বদন

 মায়াবী বদন  খাদিজা বেগম  উড়ু উড়ু ছিল এই মন  সেই থেকে মন আর উরে না এখন, যখন আমি দেখেছিলাম  তোমার সুন্দর ওই মায়াবী বদন।। সেই থেকে এই মনের মাঝে  জেগেছে খুব রঙিন রঙিন আশা,  উরু উরু এই মন পাখি  তোমায় নিয়ে বাঁধবে প্রেমের বাসা।  যখন তখন উদাস হয়ে তোমায় দেখে আমার দুটি নয়ন।। তুমি হাসলে হাসে এই মন  ঐ হাসিতে যেন মধু ঝরে,  বললে কথা সুবাস ছড়ায়  ঐ কথাতে যেন জাদু করে।। ঢেউ খেলা না তোমার চালায়  এই হৃদয়ে যেন তুফান ওঠে,  কোমল হাতের আলতো ছোঁয়ায়  মনের মাঝে প্রেমের পুষ্প ফোটে। তোমার প্রেমে মন মজেছে  তোমায় বিনে বাঁচে না এই জীবন।।

অবহেলা সয় না

 অবহেলা সয় না  খাদিজা বেগম  আমি তারি প্রেমিক হলে  সে প্রেমিকা কেন হয় না, সয় না সয় না এই পরানে  এতো অবহেলা সয় না।। আমি হলে একজন পুরুষ  সে হয়ে যায় একজন নারী, আমি একজন কিশোর হলে  সে হয়ে যায় এক কিশোরী। যে কথাটা মন শুনতে চায়  সে কথা সে কেন কয় না।। আমি একজন তরুণ হলে  সে হয়ে যায় এক তরুণী,  আমি তারি স্বজন হলে  কেন হয় না সে সজনী।। আমি তারি রাজা হলে  সে কেন যে হয় না রানী,  এই চোখ যারে দেখতে পাগল  সে ঝরায় এই চোখের পানি। মনে মনে মন ধরেছে  তবু তারে পাবার বায়না।।

স্বদেশ

 স্বদেশ  খাদিজা বেগম  স্বদেশ আমার মা জননী  তোমার হয়না কোন তুল্য, তোমার হাসি খুশির কাছে  তুচ্ছ আমার প্রাণের মূল্য।। তোমার সম্মান রক্ষা করতে  জেগে আছি তোমার সন্তান, তোমার জন্য হাসিমুখে  দিয়ে যাব প্রাণ বলি দান। তোমার শত্রু পোড়াবো তাই আমি জ্বলছি অগ্নি তুল্য।। তোমার কোলে জন্ম নিয়ে  এসেছি এই পৃথিবীতে,  আবার চলে যাব আমি  এই প্রাণ তোমায় দিতে দিতে।। তুমি যে এক অদ্বিতীয়  সকল চোখের বিস্ময় তুমি, তুমি আমার চোখের মণি  প্রাণের প্রিয় জন্মভূমি। সারা জীবন থাকবো মাগো আমি তোমার আনুকূল্য।।

রাফা মনি

  রাফা মনি খাদিজা বেগম ছোট্ট মেয়ে রাফা মনি সবার চেয়ে ভালো, একদিন রাফা বড় হয়ে দেশ করিবে আলো।। লেখাপড়া শিখে রাফা বড় মানুষ হবে, রাফার মত মানুষেরা অমূল্য ধন ভবে। তাদের কথায় তাদের কর্মে দূর হয়ে যায় কালো।। রাফার চোখে স্বপ্ন ভরা মুখে মিষ্টি কথা, রাফার ছোয়ায় দূর হয়ে যায় দুঃখী মনের ব্যথা।। আজ রাফাকে সম্মান দিয়ে সম্মান করা শেখাও, আজ রাফাকে সত্য বলে সততার পথ দেখাও। জ্বালো জ্বালো ত্যাগের আলো রাফার মনের জ্বালো।।

আসল ধর্ম

  আসল ধর্ম  খাদিজা বেগম  মন্দ লোকের সঙ্গী হলে  কিংবা করলে পক্ষপাতি,  কোন কালেও জ্বলবে না আর আলোকিত আশার বাতি।। মন্দ থেকে দূরে থাকো  মন্দ কাজকে করো ঘৃণা,  মানুষ কভু হয় না মানুষ  একজন ভালো সঙ্গী বিনা। ভালোর সন্ধ্যান না করিলে  ভোর হবে না আঁধার রাতি।। দেখে শুনে চলো রে মন ভেবেচিন্তে করো কর্ম, নৈতিকতার রক্ষা করা  এটাই সবার আসল ধর্ম।। ক্ষুদ্র স্বার্থে যে খেয়েছে  মনুষ্যত্ব বিক্রি করে, সেই মানুষটা মানুষ তো নয়  শয়তান থাকে তার অন্তরে। অমানুষেও ফের মানুষ হয় হতে পারলে ভালোর সাথী।।

মনের মানুষ

 মনের মানুষ  খাদিজা বেগম  ও বিধাতা তুমি যদি  আমার মনের মানুষ দিতে, দিবানিশি মেতে থাকতাম রোমান্স আর খুনসুটিতে।। ঝগড়াঝাটি রাগারাগী  করতাম না তারি সাথে, চোখে চোখে রাখতাম তারে  শত কাজের অজুহাতে। দিবানিশি ব্যস্ত থাকতাম  তারি হাতের আদর নিতে।। হাসি গানে দিন কাটাতাম সুখের স্রোতে ভেসে ভেসে,  খুব আনন্দে থাকতাম দুজন  দুজনারে ভালবেসে।। সঙ্গী বিনা একলা জীবন  বড় শূন্য শূন্য লাগে, ভালোবাসার লেনাদেনা  করার জন্য ইচ্ছা জাগে। একা একা ভাল্লাগেনা  এমন সুন্দর পৃথিবীতে।।

ভুলে ভরা মানুষ

 ভুলে ভরা মানুষ  খাদিজা বেগম  কি দিয়ে যে কেমন করে  তোমায় আমি করব খুশি,  ভুলে ভরা মানুষ আমি  হাজার দোষে দোষে দোষী।। মিথ্যে কথা বলবো না আর  বলার পরেও মিথ্যা বলি,  অন্যায় পথে চলবো না আর  বলেও অন্যায় পথে চলি। তবু তোমায় ভালোবাসে  আমার মনের মাঝে পুষী।। মনে মনে ভাবি একটা  কাজে কর্মে আর একটা হয়,  আমায় দেখে আমারি তো  মাঝে মাঝে লাগে খুব ভয়।। জানিনা কার পাল্লায় পড়ে  আমার শত্রু হলাম আমি,  কেমনে তোমার বন্ধু হব  দাও বলে দাও অন্তর্যামী। ইচ্ছে করে না হলেও  আমরা কেহ নই নির্দোষী।।

পরান পাখি

 পরান পাখি  খাদিজা বেগম  তোমার মায়ায় পরান কান্দে  ওরে আমার পরান পাখি,  চলে যেতে চাও কেন আজ  তুমি আমায় দিয়ে ফাঁকি।। হাজার দুঃখের দুঃখী ছিলাম  তখন তুমি কেন যাওনি,  দুঃখ থেকে মুক্তি পেতাম  তা কি তখন তুমি চাওনি। এখন আমি সুখে আছি  আর কয়টা দিন সুখে থাকি।। এইতো আমি ভালো আছি  খুব আনন্দে মহা সুখে,  তবু কেন তুমি আমায়  আজ ঠেলে দাও মৃত্যুর মুখে।। আর কিছুদিন থাকো তুমি  থাকো আমার নিঃশ্বাস হয়ে,  তোমায় ছাড়া মরে যাবো  সোনার দেহ যাবে ক্ষয়ে। ধরা দাওনা ছোঁয়া দাও না  কেমনে তোমায় ধরে রাখি।।

আর কিছুটা সময়

 আর কিছুটা সময়  খাদিজা বেগম  সারা জীবন নয় তো দয়াল  সারা জীবন তো নয়,  তোমার ধরায় থাকার জন্য  দাও কিছুটা সময়।। সুখের জন্য নয়তো দয়াল  নয়তো কারো মায়ায়,  আর কিছুটা সময় পেলে  শুধু ডাকবো তোমায়। তোমার নামে মধু মাখা  ও নাম খুব মধুময়।।  দিবানিশি তোমায় ডাকি  তবজি ধরে ধরে, তোমায় ডাকি যখন তখন  সেজদায় পড়ে পড়ে।। ও দয়াময় তুমি উত্তম  আমি পাপী আদম,  আমি তোমার বিচারালয়  চলছি প্রতী কদম।  ক্ষমা করে দিও আমায়  দয়ার সাগর ও দয়াময়।।