Posts

Showing posts from January, 2025

চান্দা বাজি ধান্দাবাজি

 চান্দাবাজি ধান্দাবাজ  খাদিজা বেগম  কর্মী মানেই চান্দাবাজি নেতা মনেই ধান্দাবাজি। এমন যদি হয় রাজনীতি  পদে পদে হয় দুর্নীতি। এমন নেতা কর্মী চাই না  তাদের চুলায় দিলাম আজি।। দেশের নেতা তারাই হবে  যাদের আছে নৈতিকতা,  নিজের স্বার্থ ভুলে যারা  দেশের জন্য হয় একতা।  হৃদয় থেকে মাটি দেবো  যারা করবে টেন্ডারবাজি।। যে নেতা খায় চরণ চেটে  তেমন নেতা চাইনা কেহ,  ওই নেতা চাই যার ভিতরে  নৈতিকতা ভরা দেহ।। দল মানে হয় যদি দলের  মনোনয়ন পত্র বেঁচা, সেই দল মানে জনগণের  বন্দি থাকার একটা খাঁচা।  অমন দলকে ভোট দিবো না  যারা করে চাপাবাজি।। প্রোমোশন এর কথা বলে  দলে দলে যারা খায় ঘুষ, ওই দলীয় প্রাণীগুলো  এই সমাজের নয় তো মানুষ। চাকরি দেবার কথা বলে  ওরা ঘৃণিত লোক চাকরি বাজি।। বিনা দোষে দোষী করে  কথায় কথায় মামলা দিয়ে,  দেশ আগাতে পারবে নাতো  কলুষিত ওই দল নিয়ে। এই সমাজের সন্ত্রাস ওরা  ওদের ব্যবসা মামলা বাজি।। নদী, নালা, খাল দখল  বাড়ি, দোকান, জমি দখল, ফসলের মাঠ আর খেলার মাঠ  দখল করে...

নারী হয়ে জন্ম নিয়ে

 নারী হয়ে জন্ম নিয়ে  খাদিজা বেগম  কেমন করে মুক্তি পাব  জানিনা তার উপায়,  নারী হয়ে জন্ম নিয়ে  পড়েছি ভীষণ দায়।। কথা বললে আসতে বল  শুনবে পড়ার লোকে,  সাজলে বলে কাজল যেন  দিও না দুই চোখে।  ওরা শুনতে চায় না কেহ নারীর মনে কি চায়?? কথার পিঠে বললে কথা  চুপটি করে থাকো, মুখটা খুলে হাসলে বলে আঁচলে মুখ ঢাকো।। পারলে ওরা বারণ করত এই শ্বাস-নিঃশ্বাস নিতে, কত নারী শিশু মারল  না আসিতে পৃথিবীতে। ভেবে বল নারী ছাড়া  পুরুষের সুখ কোথায় ?? তোমরা কি ভাই মরে গেছো  বিবেক টা নাই জিন্দা? নারীর প্রতি ঘরে বাইরে  কেন এত নিন্দা??

ফাগুন হাওয়ায়

 ফাগুন হাওয়ায়  খাদিজা বেগম  ফাগুন হাওয়ায় আগুন লাগে  মনের ভিতর আগুন লাগে লাগে রে, কুহু কুহু মিষ্টি সুরে  রিদ মাজারে জাগেরে প্রেম জাগে রে।। যেমন করে নদীর বুকে  ঢেউয়ের পরে ঢেউ জাগেরে বাতাসে, তেমনি করে উঠবো জেগে  আমি তোমার হৃদয়ের নীল আকাশে।  পুষ্প হয়ে থাকবো ফুটে আমি তোমার মনের বাগে বাগে রে।। ভালোবাসা রয় লুকিয়ে  ভালবাসার চোখের ভাঁজে ভাঁজে রে, ভালোবাসা পায় খুঁজিয়া  ভালোবাসার কথার মাঝে মাঝে রে।। জুলুম করে প্রেম হবে না  দিল থেকে প্রেম যদি নাহি আসে রে, স্বর্গীয় সুখ ভালবাসায়  যে ভালো মন থেকে বাসে বাসে রে।  ভালোবাসা মিশে থাকে  অভিমানে রাগে অনু রাগে রে।।

মন মাঝি

 মন মাঝি  খাদিজা বেগম সোনার তরী বাইয়া চলো বাইয়া বাইয়া চলো রে মন মাঝি, আর কতকাল নোঙ্গর করে  আমার সাথে করবা ধোঁকাবাজি।। সোনার তরী রাইখা ঘাটে  তুমি হয়ে গেছো পরবাসী, আমি এখন তোমায় ছাড়া  একা একা চোখের জলে ভাসি। আমায় ছেড়ে থাকবেই যদি  তবে কেন ডেকেছিলে কাজী?? আপন মানুষ হইয়া যদি  চালাক ভেবে আমাকে দাও ধোঁকা, সত্যি কারের শয়তান তুমি  ওই শয়তানের মতই তুমি বোকা।। বুকে রাখার কথা বলে  দুঃখে দুঃখেই রাখলাম আমায় তুমি,  তুমি ছাড়া দিশেহারা  প্রেম পিপাসায় বুকে মরুভূমি। আমায় থেকে দূরে থাকো  আমি তাতে কখনো না রাজি।।

চলে যাবার বেদনা

 চলে যাবার বেদনা  খাদিজা বেগম  চলে যাবার বেদনাতে  ভারি ভারি লাগে বুকের ভিতরে,  তোমাকে না দেখার পাহাড়  ব্যথা হয়ে ওঠলো জেগে অন্তরে।। বড় বেশি ব্যথা লাগে  ব্যাথা লাগে আমার বুকের বাম পাশে, আমার হাসি কাইরা নিয়া আমায় রেখে হাসো তুমি কার পাশে। একটু যদি বাসতে ভালো  আমায় যেতে হতো না ঐ কবরে।। অবহেলা করে করে  আমায় ঠেলে দিলে মরণ কুপে, বিশ্বাসঘাতক হয়ে তুমি  কত ছুরি মারলে চুপে চুপে? বিষ মাখানো ছুরি গুলো  একে একে মেরেছ এই কলিজায়,  এখন আমার দেহ রেখে  ভিতর থেকে প্রাণ পাখিটা চলে যায়। কোন দোষেতো শাস্তি দিলা  আমায় রেখে তোমার মনের বাহিরে।।

ফের জরিয়ে ধরি বাবা

 ফের জরিয়ে ধরি বাবা  খাদিজা বেগম  আজ কত দিন হয়ে গেল  এই প্রাণ খুলে ডাকা হয় নি বাবা, মন চায় বাবা বাবা বলে  ফের জড়িয়ে ধরি তোমায় বাবা।। আজ কতদিন তোমার সুবাস  নেয়া হয়নি তোমার শরীর থেকে,  খোঁজা হয় নি তোমাকে আর  আগের মতো বাবা বাবা ডেকে।  তোমায় ছাড়া কঠিন জীবন  আমি আগে বুঝিনি তো বাবা।। তুমি আমার পথ প্রদর্শক  তুমি আমার দুই নয়নের আলো,  তুমি ছাড়া অচল আমি  পৃথিবীটা যেন আঁধার কালো।। বাবা তুমি আমার কাছে  এই পৃথিবীর সেরা মানুষ ছিলে,  তোমার রক্ত এই শরীরে  তুমি মিশে আছো আমার দিলে।  মন চায় শক্ত করে ওই হাত  এই হাত দিয়ে ধরে রাখি বাবা।।

ব্যস্ত জীবন

 ব্যস্ত জীবন  খাদিজা বেগম  ব্যস্ত জীবন আসল জীবন  কাজকর্ম হীন জীবন মৃত্যুর মতন, তুমি আমায় ব্যস্ত রেখো  মরার আগে হয় না যেন মরণ।। পর উপকার করি যেন  আমার মুখের প্রতি কথায় কথায়, মন খুশিতে ভরে যেন  আমার লেখা প্রতি পাতায় পাতায়।  আমি যেন হই না কভু  কারো মনের দুঃখ কষ্টের কারণ।। আমার এই হাত মোছায় যেন  দুখি লোকের দুই নয়নের পানি, সদা যেন আমি মানি অদ্বিতীয় মহান স্রষ্টার বাণী।। মরার আগে মরতে চাইনা  হইতে চাইনা অভিশপ্ত মানুষ,  ধুয়ে মুছে সাদা করো  এই হৃদয়ে যত আছে কলুষ।  এই পৃথিবী ভুলে গেলেও  মনে যেন রাখি তোমার স্মরণ।। দেখছো তুমি শুনছো তুমি  দিবানিশি কিনা কি কাজ করি,  তোমার কাছে এই ফরিয়াদ  আমি যেন মানুষ হয়ে মরি। লোভ লালসায় ভিতর থেকে  আমায় কভু করে না যে হরণ।।

তালাক

 তালাক খাদিজা বেগম  পরকীয়া ঢাকতে গিয়া  নির্দোষীকে দিলা তুমি তালাক, ঘৃণিত কাজ করেও তুমি তোমায় ভাবলা তুমি অনেক চালাক।।  দুনিয়াতে সন্তান এনে  চোখের জলে ছেড়ে দিয়ে তাদের, কাদের নিয়ে মাস্তি করো তুমি এখন আনন্দ দাও কাদের? তুমি থাকো মহাসুখে তোমার সন্তান চোখের জলে তলাক।। আপন জনা পর করিয়া  পরকে নিয়া করেছো যে মাস্তি, তোমার পাপের সাক্ষী তিনি  যানি দিবেন তোমার পাপের শাস্তি।। পর মানুষটা আপন করে  আপন মানুষ পর করেছ তুমি,  জালায় জ্বালায় আপন জনার  মন করেছো ধুধু মরুভূমি। এমন জ্বালান জ্বালিয়েছো  সে যেন তার ঘরটা ছেড়ে পালাক।।

সেরা তোফা

 সেরা তোফা  খাদিজা বেগম  নয়ন খুলে দেখার চেয়ে  তোমায় ভালো লাগে নয়ন বুজে, কত সময় চলে গেল  বন্ধু আমার তোমায় খুঁজে খুঁজে।। সামনাসামনি দেখার চেয়ে  ভীষণ মজা লাগে আড়াল থেকে, মন জুড়াবো প্রাণ ভরাবো  তোমায় চুরি চুরি করে দেখে। ভালোবেসে রাখবো তোমায়  আমার মাঝে খুব যতনে গুজে।। এই জীবনে তোমায় ছাড়া একটি দিনও যায় না যেন কভু, মরণ এলো থাকবো পাশে  তোমায় ছেড়ে যাবো নাতো তবু।। তুমি আমার উপর আলার  দেয়া সেরা তোফা জেনে নিও, হয় যদিও মান অভিমান  তা ভাঙ্গাবার আমায় সুযোগ দিও। তখন আমায় ক্ষমা করো যদি তোমায় কষ্ট দেই না বুঝে।।

স্বৈ্যাচারীর

 স্বৈরাচারীর খাদিজা বেগম  স্বৈরাচারীর ওই মনোভাব, আজ এখনো যাদের মাঝে আছে, পালিয়ে যা পালিয়ে যা তোরা তোদের স্বৈরাচারীর কাছে।। বাঙালিরা ভয় করে না  রুখে দিতে জানে সকল অন্যায়, একে একে চার স্বৈরাচার ভেসে গেল বীরের রক্ত বন্যায়। বাঙালিরা দূর্জয় দূর্বার ন্যায় বাঁচাতে যুদ্ধ করেই বাঁচে।। টক বগিয়ে রক্ত ফোটে  অন্যায় দেখলে বাঙালিদের চোখে, ঐ বায়ান্ন আর একাত্তর এই 24শের সব জানে সব লোকে।। ইতিহাসের পাতা থেকে  মানুষে লয় শিক্ষা গ্রহণ করে, অমানুষের বেলায় শুধু  কুত্তার মত লোভের লালা ঝরে। ন্যায় অন্যায় বোধ নাই ভিতরে  তাই কি তোরা পরিনত দাসে।। নিজের বিবেক বুদ্ধি থাকলে  আয় ছুটে আয় সত্য ন্যায়ের পথে, স্রষ্টার বাণী সত্য মেনে  মত মিলিয়ে আয় নৈতিকতার মতে।। দেশটা রেখে দলের পিছে  লেজ নাড়িয়ে ঘোরা কিসের আশে?? #yunusgovernment #রাষ্ট্রসংস্কার #khadijabegum #picturechallenge #কবিতা #বাংলাদেশের #খাদিজা #সচেতনগরীক #বাংলাদেশেরখবর

আশা হবে পূর্ণ

 আশা হবে পূর্ণ  খাদিজা বেগম  আশা করতে করতেই একদিন  হঠাৎ তোমার আশা হবে পূর্ণ,  তাই থেকনা নিরাশ হয়ে  নিরাশ হতে হতেই হবে শূন্য।। আশায় আশায় বুক বেঁধে লও  নিজের হাতে জ্বালাও আশার বাতি, মনে প্রাণে আশা রাখো ভয় পেয়ো না দেখে আঁধার রাতি। একটু পরেই ফুটবে আলো  সোনার রবি উঠবে তোমার জন্য।। সুখ বলো আর দুঃখ বলো  চিরস্থায়ী নয় তো কোনো কিছু,  জেনে বুঝেও তবু কেন  দুঃখ বাড়াও ছুটে সুখের পিছু।। হাসির পরেই কান্না আসবে  কান্নার পরেই আসবে আবার হাসি, হাসি কান্নার হিসাব রেখে  এসো আমরা সত্য ভালোবাসি। তোমার যা তা তুমি পাবেই অযথা আর মন করোনা ক্ষুণ্ন।।

মনের ঘরে

 মনের ঘরে  খাদিজা বেগম  যারে দেখার জন্য পাগল  পাগল আমার অবুঝ দুটি নয়ন, সেই তো আমায় পাগল বলে যার জন্য দুই চোখে ঝরে শ্রাবণ।। যারে রাখি মনের ঘরে  সেই তো আমায় দূরে ঠেলে রাখে,  আমি থাকি যার আশাতে সেই তো অন্য জনার আশায় থাকে। তারে ছাড়া ভাল্লাগেনা  ভাল্লাগেনা এমন সুন্দর ভুবন।। কেন তারে ভালবাসি  কেন তারেই লাগে এত ভালো,  তারে ছাড়া সব অন্ধকার  সে যে আমার দুই নয়নের আলো।। কেমন করে বুঝাই তারে তারে ছাড়া বড় একলা লাগে, তারি পাশে থাকার জন্য  মনের মাঝে দারুণ ইচ্ছা জাগে।  বিধির কাছে এই ফরিয়াদ  তারে আমার করে দিও আপন।।

চুপি চুপি

 চুপি চুপি মন  খাদিজা বেগম  চুপি চুপি মন নিয়ে সে  পালাইছে রে পালাইছে, তার প্রেমেতে আমারে সে  ফালাইছে রে ফালাইছে।। মনের খোঁজে ঘুরে বেড়াই তার পেছনে পেছনে, সে যে বড় সেয়ানা লোক  আসে শুধু স্বপনে।  পিরিত নামের আগুন জ্বেলে আমারে সে জ্বালাইছে।। কানায় কানায় উপছে পড়া  সেই সুন্দরী ললনা, মন নিয়ে সে মন দিল না  দিলো শুধুই ছলনা।। প্রেম বিহনে কষ্টে কষ্টে  আমার দেহ ভরেছে,  দেহের মাঝে তার বিরহে  বিরহ ঘড় গড়েছে। তার পিরিতে পুড়ে পুড়ে  আমার মনটা গালাইছে।।

যাদুর শহর

 যাদুর শহর  খাদিজা বেগম  যাদুর শহর ঢাকার শহর  এই শহরে সব পাওয়া যায় টাকায়,  টাকায় টাকায় কথা বলে  কাঠের পুতুল নয়ন খুলে তাকায়।। এই শহরটা রঙিন শহর দয়া মায়া ভালবাসা শূন্য, টাকা ছাড়া কেউ চেনে না  যেন সবাই পাগল টাকার জন্য। সহজ সরল মানুষ পেলে  তাকে নিয়ে ষড়যন্ত্র পাকায়।। এই শহরে অনেক বেশি  মসজিদ মন্দির গির্জা মাজার আছে, ধর্ম ব্যবসায় মগ্ন মানুষ  পরিণত যেন জিন্দা লাশে।। ভাল মন্দ যাচাই-বাছাই  করার জ্ঞান নাই অনেক লোকের মাঝে, শয়তানেরা মেকআপ করে  লোক ঠকিয়ে ভাল মানুষ সাজে। সুন্দর কাপড় পরে গায়ে  হৃদ মাঝারে পাপের কালি মাখায় ।। ইচ্ছে হলে নাইট ক্লাবে  মাতাল হয়ে নিজের শরীর নাচায়, খাল কেটে যে কুমির আনে তারে পাগল ছাড়া আর কে বাঁচায়? এই শহরটা প্রতিটা ক্ষণ   চিৎকার করে সম্ভ্রম হারা কান্নায়।।

যারে দেখার জন্য

 যার দেখার জন্য  খাদিজা বেগম  যারে দেখার জন্য পাগল  পাগল আমার অবুঝ দুটি নয়ন, সেই তো আমায় পাগল বলে যার জন্য হয় দুই নয়নে শ্রাবণ।। যারে রাখি মনের ঘরে  সেই তো আমায় দূরে ঠেলে রাখে,  আমি থাকি যার আশাতে সেইতো অন্য জনার আশায় থাকে। তারে ছাড়া ভাল্লাগেনা  ভাল্লাগেনা এমন সুন্দর ভুবন।। কেন তারে ভালবাসি  কেন তারেই লাগে এত ভালো,  তারে ছাড়া আধার নয়ন  সে যেন এই দুই নয়নের আলো।। কেমন করে বুঝাই তারে তারে ছাড়া বড় একলা লাগে, তারি পাশে থাকার জন্য  মনের মাঝে দারুণ ইচ্ছা জাগে।  বিধির কাছে এই ফরিয়াদ   তারে আমার করে দিও আপন।।

কি উদ্দেশ্য

 কি উদ্দেশ্য  খাদিজা বেগম  বুঝতে কেন চাও না তুমি  কেন আমি তোমায় দেখে হাসি, কি উদ্দেশ্য নিয়ে আমি  যখন তখন তোমার কাছে আসি।। হাজার কাজের অজুহাতে  তোমার কাছে আসি ঘুরে ফিরে, মন চায় থাকি তোমার সাথে  তোমার ছোট্ট ভালোবাসার নীড়ে। সকাল সন্ধ্যা নিয়ম করে  মন চায় বলি তোমায় ভালোবাসি।। বাসলে ভালো বলে দিও  আমি বলতে পারি নাতো লজ্জায়, বলতে এসেও মুখ থেমে যায়  জানিনা কি হবে প্রথম সজ্জায়।। মন চায় যারে প্রান চায় যারে  ফিরে আসি তারে চাইতে গিয়ে, মন বোঝেনা যে মানুষে ফেঁসে গেছি তারে এই মন দিয়ে।। সুখের দামে দুঃখ কিনে আমি এখন চোখের জলে ভাসি।।

আমার ছায়া

 আমার ছায়া  খাদিজা বেগম  তুমি আমি পাশাপাশি  আজও আমরা বসে আছি দুজনে, আমার ছায়া হয়েই থেকো আমার শরীর ঘেষে ঘেষে ভুবনে।। মন বোঝে না তুমি আর নেই  তোমায় খুঁজে পাগল পারা এখনো, মাঝে মাঝে  মাঝ নিশিতে  হাত বাড়িয়ে তোমায় খুঁজি কখনো।। হাত বাড়ালে পাই না তোমায় তবু মিশে আছো আমার এই মনে।। মন খারাপের কারণ তুমি  তোমার ভাবনায় উদাস উদাস আমার মন,  আমার স্মৃতির পাতায় পাতায়  শুধু তুমি ভেসে থাকো সারাক্ষন।। চলে গেছো বহুদূরে  তবু আছো এই হৃদয়ের মাঝখানে,  তোমায় ছাড়া চাইনা জীবন  বাধ্য হয়ে বেঁচে আছি মন জানে। ঘরে আমার মন বসে না  রাত্রি কাটে শুধু তোমার স্বপনে।।

আগুন ছাড়া জ্বলে

 আগুন ছাড়া জ্বলে  খাদিজা বেগম  তুমি এলেই সুবাস আছে  কানায় কানায় মন ভরে যায় আমার,  তুমি যেন ফুলের বাগান  ফুলের মত সুভাষ আসে তোমার। যেমন করে পাপড়ি মেলে  পুষ্প ফোটে তেমন তোমার হাসি, তোমার ঘ্রানের মাদকতায়  আমি মাতাল হয়ে ছুটে আসি।  তাই বলে যে তুমি আমায়  মাতাল বলে ডেকো না তো আবার।। তোমার ঘ্রাণে জাগলে নেশা  তাতে কেন দোষী হবো আমি? এই অন্তরে দোষ নাই আমার  আমি কেমন জানে অন্তর্যামী।। তুমি এলে তোমার সাথে  মনের উঠান জুড়ে আসে বৃষ্টি,  তোমার ছোঁয়ায় কত যে সুখ  আনন্দ হয় হৃদ মাঝারে সৃষ্টি। আমায় ছেড়ে দূরে গেলে  আগুন ছাড়া জ্বলে পুড়ে ছারখার।।

ভীষণ ভালোলাগা

 ভীষণ ভালোলাগা  খাদিজা বেগম  তুমি আমার অন্যরকম  এই হৃদয়ের ভীষণ ভালোলাগা, তোমায় ভেবে ভেবেই আমার  হাজার রাত্রি হয়েছিল জাগা।। অনেক অনেক ভালবেসে   আমি রাখবো তোমায় যত্ন করে, হারিয়ে যে না যাও তুমি  তাই রাখিবো মন বাহুতে ধরে।  আমায় ছেড়ে যেও নাকো  দিও নাকো এই হৃদয়ে দাগা।। তুমি আমার সুখ শিহরণ  হাজার হাজার আনন্দ ঢেউ মনে, এই জীবনে চাইনা কিছুই  তোমি যদি থাক আমার সনে।। তোমায় পেয়ে পেলাম যেন  আমার দেহের হারানো প্রাণ ফিরে,  তুমি যেন সুখের মতো  বইছো আমার প্রতিটা রগ শীরে।। তোমায় ছাড়া ভেঙ্গে যাব  যন্ত্রণারা দেবে আমায় ভাগা।।।

মানবে না তার নেতৃত্ব

 মানবে না তার নেতৃত্ব  খাদিজা বেগম  স্বাধীন মানুষ দাস কেন হও,  দাসের মত করো দলের দাসত্ব, তুমি কর চাঁদাবাজি  তোমার দলে করে দেশের রাজত্ব।। অভিশাপে অভিশাপে  ভারী করো কেন পাপের বোঝা,  তোমার নেতা ভালোই আছেন  তার জীবনটা অনেক বেশি সোজা। ভিতর থেকে জেগে ওঠো  বিবেক বুদ্ধি নিয়ে থাক জাগ্রত।। তোমার নেতার কাছে তুমি  শুধুমাত্র একটা পোষা কুকুর, তার লাভেতে পালছে তোমায়  একলা বসে ভাবো একটা দুপুর। লোকের মুখে অনেক শুনছি  ভাত ছিটালে কাকের অভাব হয় না, টাকা ছিটায় তোমার নেতা শুধু তোমার কাক নাম মুখে কয় না। যে নেতায় দেয় অন্যায় হুকুম  তোমরা কেহ মানবে না তার নেতৃত্ব।।

কেমন আছেন?

 কেমন আছেন ? খাদিজা বেগম  কেমন আছেন না বলে গো তুমি কেমন আছো যদি বলতে, এই আঙ্গুলে আঙ্গুল রেখে  তুমি আমার সাথে যদি চলতে।। অন্যরকম হতেও পারতো  তোমার আমার এই গল্পটার শেষটা, আপন করে ধরে রাখার একটুখানি করতে যদি চেষ্টা। ফাগুন হাওয়া হয়ে যদি  তুমি আমার ফুলবাগানে দুলতে।। তোমার হাওয়ায় ভেসে যেতাম  মেঘের মতো দূর আকাশের নীলে,  তোমার তীরে নোঙ্গর ⚓ করতাম  আমায় একটু ভালবাসার দিলে। মনে মনে শুনতে চাইছি  তোমার মুখে ভালোবাসার কথা,  মনের চাওয়া মনেই রইল  প্রেমের বদলে পেলাম শুধু ব্যথা।  মন বেসেছে এত ভাল  তাই পারিনা তোমায় আজো ভুলতে।।

আনন্দ ঢেউ

 আনন্দ ঢেউ  খাদিজা বেগম  তোমার মুখে হাসি ভরা  দিবানিশি আনন্দ ঢেউ মনে, মনে মনে পাগল এ মন  মন ভেজাতে তোমার ঢেউয়ের সনে।। সাত সমুদ্র ঢেউয়ের পানি  বাইন্ধা রাখো শুকনা কাপড় দিয়া,  প্রেম পিপাসায় প্রাণ চলে যায়  প্রেম বিহনে ফাটে আমার হিয়া। বাঁধ মানে না বাঁধ ভাঙ্গা জল   শুনছি তাহা বলে জনে জনে।। ফোটা ফোটা শিশির বিন্দু  মহাসাগর গড়ে তোলে যদি,  তোমার জলেও ভাঙবে বাঁধন  সেই জলেতে আমি গড়বো নদী।। নদীর বুকে কাটবো সাঁতার  ইচ্ছে হলেই ডুবে যাবো তাতে,  ভয় করিনা ঝড় তুফানে  থাকলে আমার এই হাত তোমার হাতে। ফাগুন হাওয়া হয়ে এসে  দোলা দেবো তোমার ফুলের বনে।।

ছেড়ে দাও নোংরামি

 ছেড়ে দাও নোংরামি  খাদিজা বেগম  বিবেক বুদ্ধি সবি আছে  তবু কেন কর তুমি ছেছড়ামি, ধর্ম কর্ম সব অভিনয়  তুমি একটা হারাম খাওয়া হারামি।। তুমি রাস্তার বখাটে লোক  নারীরে প্রতি নয় তো তুমি শ্রদ্ধা ভান,  চোখ দিয়ে খাও গিলে গিলে  নারীদেরকে করো তুমি অপমান। আর কতকাল করবা তুমি  লেজ নাড়িয়ে চরণ চেটে চামচামি?? ভিতর থেকে বিশ্বাস কর  এক স্রষ্টাকে মেনে চলো তার বাণী,  সত্যের কাছে নিজেকে দাও  মুক্ত করে মুক্ত হস্তে কোরবানি।। আলহামদুলিল্লাহ বলরে মন  বেঁচে আছো তুমি আজ এই খবরে, তোমার চেয়ে বয়সে ছোট  তারা শুয়ে আছে মাটির কবরে।। নিজের কথা চিন্তা করেই  সৎ হয়ে যাও ছেড়ে দাও সব নোংরামি।।

একাকার

 একাকার  খাদিজা বেগম  তুমি ছাড়া দিশাহারা  সুখ শূন্য বুক করে শুধু হাহাকার, দিবানিশি তোমার কথাই  খুব গোপনে মনে পড়ে বারে বার।।  পূর্ণিমা রাত ছাড়া যেমন রুপালি চাঁদ যায় হারিয়ে আধারে,  তেমনি তুমি ছাড়া আমি  ছাই হয়ে যাই রোজ বিরহ আঙ্গারে। কেউ দেখেনা প্রেম পিপাসায়  ছটফটিয়ে যাচ্ছে মরে মন আমার।। জল থেকে মাছ ডাঙ্গায় এসে  যেমন করে ছটফটিয়ে মরে রে, তেমন করে মন মরে যায়  বন্ধু তোমায় কাছে পাবার তরে রে।। প্রেমের তৃষ্ণা বড় তৃষ্ণা,  লজ্জার কথা বলা যায় না হায়রে হায়,  মনে প্রাণে যাচ্ছে যারে  এই মুখ কেমনে মুখ ফুটে চায় চায়রে চায়। এই মন চায় খুব তোমার সাথে  মিলেমিশে হয়ে থাকি একাকার।।

শোন মেয়ে

 শোন মেয়ে  খাদিজা বেগম  শোনো মেয়ে তোমার সাথে  এই জীবনে আমার দেখা না হলে, ভালবাসি ভালবাসি  এই কথাটা থাকতে হতো না বলে।। এত বেশি ভালো লাগে  তোমায় ভালো না ভেসেও পারিনা,  ছেড়ে দিলে মরে যাব  তাইতো তোমায় আমি কভু ছাড়ি না। তোমায় যদি হারাই আমি  ডুবে যাব অশ্রু জলের অতলে।। তোমায় দেখেই সার্থক নয়ন  তোমায় ছাড়া দেখতে চাই না আর কিছু,  তোমায় যে জন গড়ি আছেন  দেখার সাধ্য হয়নি আমার তার কিছু।। তোমায় দেখেই পাগল পাগল  তারে দেখলে খুশিতে প্রাণ হারাবো,  জানিনা সে কত সুন্দর  তার দিকে এই চোখ কেমনে বাড়াবো।  তোমায় চাই তার সেজদায় পড়ে তারে দেখি প্রতিটা ফুল ফসলে।।

বাংলা একাডেমি

 বাংলা একাডেমি  খাদিজা বেগম  একাডেমি একাডেমি  প্রাণের বাংলা একাডেমী শোনো, তোমার চোখে রোগ হয়েছে  নারী লেখক পড়ছে না তাই কোনো।। নারীর প্রতি বিদ্বেষ রেখে  তুমি কিসের দেশের সেবা করো,  আল্লাহর দোহাই লাগে তোমার  বৈষম্যের পথ থেকে তুমি সরো। ভালো লেখক চেনার আগে তোমায় তুমি ভালো করে চেনো।। দেশের ভালো হবে না তো বিষ বৈষম্য পেটে পেটে নিয়ে, বৈষম্যের পথ ছেড়ে এসো  মানুষেরে প্রাপ্য সম্মান দিয়ে।। সাবধান করে দিচ্ছি তোমায়  তোমার চোখের ডাক্তার দেখাও আগে, আমরা দেব টাকা পয়সা  যদি তোমার চিকিৎসাতে লাগে। নারীর প্রতি বিদ্বেষী লোক  কেউ মানবো না আমরা কোনদিনো।।

জীবনের মূল

 জীবনের মূল খাদিজা বেগম  তোমরা সবাই সত্য সঠিক  আমার বেলায় সব হয়ে যায় মিথ্যা, ভুল,  ভুলের পরে ভুল করে যাই  তাইতো আমি জীবনভরে দেই মাসুল।। হিসাব নিকাশ করতে কাঁচা  সারা জীবন আমারি হয় সব ক্ষতি, না করে লোক যাচাই-বাছাই  নির্বিচারে ভাবি সবাই কে সতি। তাইতো আমি রোজ ডুবে যাই  খুঁজে পাই না আমি জীবন নদীর কূল।। না করে ও পাপ মন অনুতাপ ওই পাপীকে কঠিন শাস্তি না দিয়ে,  লাশের মতন আমি চুপচাপ  খুব নীরবে অন্যায় দেখি দাঁড়িয়ে। মাঝে মাঝে ভাবি আমি  আমি মানুষ কিনা, নাকি অমানুষ? কেন আমার এতটা ভয়  বীর লোক সৎ হয় ভীত লোকের মন কলুষ। সত্য সাহস যে হারাবে  সে হারাবে তার জীবনে মূল।।

কবিতা আমি

 কবিতা আমি  খাদিজা বেগম  তার বিহনে গিটার আমি  শরীর ছাড়া আমার প্রাণ, ছন্দ ছাড়া কবিতা আমি  ফুল বিহনে আমার ঘ্রাণ।। জানিনা কবে লাগাবো তার  তারের সাথে বাঁধিবো সুর, সবার কাছে গায়েব আমি  কাছে থেকেও অনেক দূর।  দিনরাত্রি কাঁদিয়া মরে সুর বিহনে আমার গান।। দুঃখ বেশি অনেক বেশি  সুখের চেয়ে লাগেরে লাগে,  দুঃখ ছাড়া সুখ পিপাসা  কখনো কারো হৃদয়ে জাগে? এই পৃথিবীর পুষ্প বনে ঘ্রাণ ছড়িয়ে পুষ্প ঝড়ে,  এই সমাজের ভেতরে রোজ সুখ বিলিয়ে মানুষ মরে। পূর্ণিমাতে জোসনা ঝরে  অমানিশায় হারায় চাঁন।।

আশা হবে পূর্ণ

 আশা হবে পূর্ণ  খাদিজা বেগম  আশা করতে করতেই একদিন  হঠাৎ তোমার আশা হবে পূর্ণ,  তাই যেওনা নিরাশ হয়ে  নিরাশ হতে হতেই হবে শূন্য।। আশায় আশায় বুক বেঁধে লাও  নিজের হাতে জ্বালাও আশার বাতি, মনে প্রাণে আশা রাখো ভয় পেয়ো না দেখে আঁধার রাতি। একটু পরেই ফুটবে আলো  সোনার রবি উঠবে তোমার জন্য।। সুখ বলো আর দুঃখ বলো  চিরস্থায়ী নয় তো কোনো কিছু,  জেনে বুঝেও তবু কেন  দুঃখ বাড়াও ছুটে সুখের পিছু।। হাসির পরেই কান্না আসবে  কান্নার পরেই আসবে আবার হাসি, হাসি কান্নার হিসাব রেখে  এসো আমরা সত্য ভালোবাসি। তোমার যা তা তুমি পাবেই  অযথা আর মন করোনা ক্ষুণ্ন।।

ইউ আর গ্রেট

 ইউ আর গ্রেট  খাদিজা বেগম  লাল রং মানে বিপদ সংকেত  ইংরেজিতে বলে তাকে রেড রেড রেড, তুমি খেলেই তোমায় খাবে হাঁদা জর্দা ইয়াবা পান সিগারেট।। ওসব থেকে দূরে থাকো  নিজেকে দাও নিজে নিজেই সুরক্ষা, নেশা মানে খুব ভয়ংকার অঙ্গে অঙ্গে ঢেলে দেবে ঘা যক্ষা। সুস্থ সবল থাকতে হলেই  সন্ধ্যা হলে ঘুমিয়ে যাও এ টু জেড।। সকাল সকাল পাখির মতো  বেড ছেড়ে দাও সূর্য উঠার আগে,  সুস্থ জীবন করতে যাপন  কিছু নিয়ম নীতি মানা লাগে।। নানা রঙের পাকা ফল আর জুস জাতীয় শাকসবজি ভালো, ভালো খেয়ে ভালো থেকো  ভালো কাজে লোক সমাজে দাও আলো। তোমার কাছে শিখবে সবাই  সবার কাছে তুমি হবে ইউ আর গ্রেট।।

ছাত্র সমাজ

 ছাত্র সমাজ  খাদিজা বেগম  শোন নীতি বেঁচা রাজনীতিবিদ  ছাত্র সমাজ রাজনীতিতে না এলে, টাকার জন্য সেই তো কবেই  বিপ্লব বন্দি করে দিতে জেলে।। নিতি ছাড়া ভাল্লাগে না  মিথ্যে কথার খই ফোটানো বুলি, আমরা ভুলে যাবো না কেউ  নির্বিচারে কে চালাচ্ছে গুলি। আমরা দুর্জয় আমরা দুর্বার  আমরা বাংলা মায়ের যোদ্ধা ছেলে।। ঝাঁঝে ত্যাজে পূর্ণ এই মুখ  মুখে মুখে জ্বলে অগ্নি বাণী, সইবো না আর সইবো না আর  দেশ জননীর দুই নয়নের পানি।। দেশ বাঁচাতে বেঁচে আছি  দেশের জন্য যুদ্ধ করতে তৈরি, কামান বিমান ভয় করিনা আবহাওয়া হোক না যতই বৈরী। দেশের শত্রু সব জ্বালাবো মনের মাঝে অগ্নি লাভা জ্বেলে।।

তালাচাবি

 তালা চাবি  খাদিজা বেগম  তালা চাবি তালা চাবি  তালা চাবি তালা চাবি তালা, তালা ছাড়া ঘুম আসে না চোর ডাকাতে দিচ্ছে আমায় জ্বালা।। তালার উপর ডাবল তালা  এরপরেও ধন হয়ে যায় চুরি, চাবি ছাড়াই তালা খুলে এমন চোরের হয়না কভু জুরি। এই দুনিয়ার শুরু থেকে  শুরু হলো তালা চাবির খ্যালা।। তালা মিথ্যে চাবি মিথ্যে  এসব যেন শুধুই চোখের ধাঁধা,  তালা দিয়ে কি আসে যায়  মনের ঘরে যদি থাকে কাদা।। চোরে যখন চুরি করে  মালিক দেখে খিল খিলিয়ে হাসে, হাজার রকম চুরি আছে  মানুষ বাঁচে হাজার উপবাসে। কানায় কানায় পূর্ণ হলেই  গলায় পড়বে একটা ফাঁসির মালা।।

নোংরা চিন্তা ত্যাগে

  নোংরা চিন্তা ত্যাগে খাদিজা বেগম যখন তাদের দুই হৃদয়ে খুব গোপনে মিলনের স্বাদ জাগে, তখন যেন দুই ভুবনের মধ্যে খানে ভূমিকম্প লাগে।। সেই কাঁপনে কেঁপে কেঁপে নরবর নরবর করে দৃঢ় দেহ, ভেঙ্গে চুরে একাকার হয় সেই কাঁপনে ঠিক থাকে না কেহ। সাদা হৃদয় দাগ ভরে যায় নানান রঙে নানান রকম দাগে।। দুই ভুবনের দুই বাসিন্দা এক হয়ে যায় বিনা সুতার টানে, মরুর বুকে জোয়ার আসে মন ডুবে যায় ভালবাসার বানে।। আলো আছে কালো আছে তেমনি আছে ভালো মন্দ ভবে, বিবেক বুদ্ধি জাগাও মানুষ তোমায় শ্রেষ্ঠ মানুষ হতে হবে। মানুষ হয়ে ওঠো মানুষ হিংসা নিন্দা নোংরা চিন্তা ত্যাগে।।

ভাই বড় ধন

  ভাই বড় ধন খাদিজা বেগম ভাই বড় ধন রক্তের বাঁধন তারে দেখলে জুড়ায় নয়ন, ভাইয়ের মতন হয় না কেহ একজন বনের কাছে আপন। বাবার মত ভাইটি আমার ভালো মন্দে রাখে খবর, বিপদ কালে শান্তনা দেয় ও বোন আমার তুই ধৈর্য ধর। বাবার পরে ভাইয়ের স্থান মান্য করি ভাইয়ের শাসন।। এক মায়েরি গর্ভ হতে এসেছি এই পৃথিবীতে, তাইতো চলে মান অভিমান আনন্দ হয় তার কৃতিত্বে। ভাই আমার ভাই, ভাইকে নিয়ে বোনের চোখে শত স্বপন ।। ভাইয়ের সম্মান বোনের চাওয়া ভাইয়ের গর্বে গর্বিত বোন, ভাই ছাড়া বোন জ্যান্ত মরা সকল বোনের ভাই প্রয়োজন। বোনের প্রতি কেউ রাখে না এত খেয়াল ভাই এর মতন।। #ভাই   #khadijabegum #বোন #খাদিজা #বাংলাদেশ #বরিশাল #picturechallenge

সফল হবার দৌড়ে

 সফল হবার দৌড়ে  খাদিজা বেগম  সফল হবার দৌড়ে যারা  জুতার তলা ক্ষয় করেছো প্রতিদিন, তারা হয়তো বা জানো না  জীবন দৌড়ে অনেক লোকে চরণহীন।। তোমরা যারা জীবন যুদ্ধে  যুদ্ধ করে হয়ে গেছো বাহাদুর, অনেক জনার যুদ্ধ অঙ্গ  নাই শরীরে তাই হৃদয়ে করুন সুর। সফলতার সংজ্ঞা ভিন্ন  ভিন্ন রঙে সফলতা হয় রঙিন।। কেউ সফল হয় লোক ঠকিয়ে  কেউ সফল হয় অন্য লোককে জিতিয়ে,  কেউ সফল হয় ভোগ বিলাসে  কেউ সফল হয় নিজের যা কিছু সব বিলিয়ে।। চিন্তা ভাবনায় যে যেমন লোক  তেমনি হয় তার চেতনা চরিত্র, তার কিছু ধন থাক বা না থাক  ধবধবে মন সাদা শুদ্ধ পবিত্র। মানব জনম সফল করতে  তোমার নীতি তুমি রাখো অমলিন।।

গুণীজন

  গুণীজন খাদিজা বেগম ও গুণীজন কথা বলো কথা বলো আর থেকো না চুপ, তোমরা যদি চুপ হয়ে যাও সমাজ দেবে আস্তাকুড়ে ডুব।। গুণীর কাজে আলো বেশি অগ্নি থেকেও আরো বেশি তাপ, গুণীর কোথায় ছাই হয়ে যায় এই সমাজের জেগে ওঠা পাপ। গুণের চর্চা করো ও মন দাও জ্বালিয়ে মনে গুণের ধূপ।। যেই সমাজে নাই গুণীজন সেই সমাজটা যেন বালুর চর, যে মানুষের নাই গুণ চর্চা সে যেন এক ছাওনি ছাড়া ঘর।। চুপ থেকেও ইবাদত হয় সেই চুপ থাকো যদি স্রষ্টার ভয়, মৃত্যুর ভয়ে চুপ থাকাটা এতো কোন মানুষের কাজ নয়। রূপের চর্চায় লাভ হবে না মাটি হবে তোমার সুন্দর রূপ।।

হে সমাজ

  হে সমাজ খাদিজা বেগম শোনো শোনো হে স্বার্থপর তুমি বড় খুব স্বার্থপর হে সমাজ, তোমার দ্বারে ধর্না দিয়ে কেটে গেছে আমার চল্লিশ বছর আজ।। কত কথা বলছি আমি তোমার কানে তুমি কিছুই শোনোনি, ক্ষত হৃদয় করছো ক্ষত তুমি আমার এই হৃদয়টা খননি। সমাজসেবার নামে তুমি তলে তলে করে বেড়াও মন্দ কাজ।। কারো ভালো দেখলে তোমায় টিপটিপানি রোগ শুরু হয় চোখে, কেউ মরেছে শুনলে পরে ঘর ভরে দাও মায়া কান্নার শোকে।। জীবিত লোক ক্ষুধায় মরে তবু তোমরা মাজারে দান করো, কোথায় গেল বিবেক বুদ্ধি লোকের মুশকিল দেখলে কেন সরো? আমরা ঐ এক স্রষ্টার সৃষ্টি এই সমাজে কেহ নয় তো কারো দাস।।

শেষ পথ ধরব

 শেষ পথ ধরব  খাদিজা বেগম  আমার যা যা দরকার তা নেই  কষ্ট আছে, কষ্ট দিয়ে কি করব? আমার অনেক অনেক ক্ষুধা  খাবার তো নেই, এখন কি শেষ পথ ধরব? মন যেতে চায় বহু দূরে  কি আসে যায় আমার মনের চাওয়াতে? যাওয়ার জন্য নেই তো উপায়  আমি যেতে পারব না তো হাওয়াতে! অঙ্গহীনা অঙ্গ আমার  কেমন করে এই জীবনটা কে গড়ব?? তোমরা যারা শক্তিশালী  শারীরিক আর মনুষ্যত্বের দিক দিয়ে, এই হাত ধরে নিয়ে চলো  তোমাদের এই দরদী হাত বাড়িয়ে।। অচল জীবন লাশের মতন  জীবিত জন অচল থাকতে পারে না, চলার জন্য আকুল বাসনা  সেই বাসনা মরার আগে ছাড়ে না। একটু দয়া না করিলে  ও ভাই আমি ধুঁকে ধুঁকেই তো মরব।।

তুলনাহীন

 তুলনাহীন  খাদিজা বেগম  রহমত আর বরকত দিয়ে  কানায় কানায় পূর্ণ তোমার জীবন, তোমার সাথে নাই তুলনা  তুমি হলে তুলনাহীন একজন।। মূল্য দিয়ে কেউ পাবে না  তুমি একটা অমূল্য ধন ভবে, লোভ-লালসা মনে পুষে  তুমি কেন মূল্যহীনা হবে? কি নাই বলে দুঃখ করো তোমার জন্য সৃষ্টি সুখের ভুবন।। রোজ সকালে সূর্য আসে  তোমায় দিতে তার সোনালী আলো,  পাখিরা গায় তোমার জন্য  গেয়ে গেয়ে কয় ওঠো ভোর হলো।। ফুল বাগানে ঘ্রাণ ছড়িয়ে  ফুল ফোটে রোজ তোমার জন্য হেসে, এই পৃথিবী শুধুই তোমার  তারে ভালো রেখো ভালোবেসে। তরুলতা ফসলের মাঠ  পশু পাখি সবাই তোমার আপন।। তোমার জন্য বৃষ্টি নামে  তোমার জন্য ছয়টি ঋতু বদলায়,  কে তোমাকে দুঃখ দিল  তাতে কিবা এমন আসে আর যায়? মন্দ মানুষ এড়িয়ে যাও  তোমার মত সাজাও তোমার ভুবন।।

যাচাই-বাছাই

 যাচাই-বাছাই খাদিজা বেগম রাস্তা দিয়ে যেতে যেতে হঠাৎ শুনি এক মানবের চিৎকার, কাছে গিয়ে দেখি বন্দী তার প্রতি খুব মায়া হলো আমার।। হাতে পায়ে শিকল বাঁধা তারি সাথে বড় বড় তালা, কেঁদে কেঁদে বলল আমায় ১৬ বছর সয়েছি এই জ্বালা। বিনা দোষে শাস্তি খেটে জীবন আমার হয়ে গেল ছারখার।। মুখের কথা বিশ্বাস করে আমি মুক্ত করে দিলাম তারে, সেই অকৃতজ্ঞ মুক্ত হয়েই হঠাৎ অস্র ধরল আমার ঘাড়ে।। মনে মনে ভাবি তখন স্বাধীন থাকার যোগ্যতা নাই তোমার, স্বাধীনতা সয়না সবার সেই শিক্ষাটা পেয়ে গেলাম এবার। যাচাই-বাছাই না করে আর দাম দেবনা কারো মুখের কথার।।

চোখ বুজিলে

  চোখ বুজিলে খাদিজা বেগম চোখ বুজিলে দেখিতে পাই দেখিতে পাই তার মায়াবী সুন্দর মুখ, ওই মুখেতে এত মায়া যত দেখি ততই লাগে আমার সুখ।। চোখ বুজেও দেখে চোখে তা জানি নি প্রেমে পড়ার আগে, কোন জাদুতে কেমন করে অচেনা জন এত আপন লাগে। জানিনা তার নাম ঠিকানা তার হাসিটা গোলাপ রাঙা লাল টুকটুক। আহা কি যে মধুর মধুর কানে বাজে তার কাকনের মিষ্টি সুর, তার সুরের ঐ তালে তালে মন চলে যায় দূর থেকে বহু দূর। আমার বুকের শূন্য খাঁচায় তারে পোষার জন্য ব্যাকুল আমার বুক।।

পদক চাই না

  পদক চাই না খাদিজা বেগম পদক চাইনা সনদ চাইনা চাইনা কোন সম্মাননা পেতে, বর্ণমালার মালা গেঁথে চাই সকলের কন্ঠে রেখে যেতে।। মায়ের ভাষা বাংলা ভাষা ফুলের মত মায়ের গন্ধ মাখা, বাংলা ভাষায় ভরে দেবো গান কবিতা উপন্যাসের শাখা। বর্ণমালার ঘ্রাণে ঘ্রাণে মানুষ রবে মানবতায় মেতে।। জ্ঞানের প্রতীক হয় যদি বই বইয়ের প্রতীক হবে বর্ণমালা, এই মালাটা রাখলে সনে জুরাইয়া যায় না পাওয়ার সব জ্বালা।। এই মালাতে জাগিয়ে দাও ঘুমন্ত মন তোমার বিবেক বুদ্ধি, বর্ণমালা পড়ে পড়ে বৃদ্ধি করো আপন আত্মশুদ্ধি। তোমার কর্ম ফসলের ক্ষেত যা খুশি আজ লাগাও তোমার ক্ষেতে।। ভালো কিছু লাগাও যদি ভবিষ্যতে তার ফল পাবে ভালো, অবহেলায় দিন ফুরালে দুই নয়নে দেখবে শুধুই কালো। ভুল করো না ও ভোলা মন তুমি তোমার নিজের মূল্য দেতে।।

সম্মান

 সম্মান  খাদিজা বেগম  শুক্র শনি বৃহস্পতি  প্রতিটা দিন আমার কাছে সমান,  প্রতিটা দিন বিছনা ছাড়ি  শুনতে পেলেই পবিত্র ঐ আজান।। অফিস আমার প্রতিটা দিন  সকাল থেকে রাত বারোটার পরেও,  আমি কারো মন পেলাম না  বিনা টাকায় এত খাটনি করেও। ভাত কাপড়ের জন্য কেন  পরের ঘরে ঠেলে দিলে বাজান?? কাজের দামে খাদ্য বস্ত্র  তবু খাওয়ার খোঁটা কথায় কথায়, কথা আমি কম জানি না  পড়ে গেছি ছেলে মেয়ের মায়ায়।। পান থেকে চুল খষলে পড়ে  আমায় কুলার উপর রাইখা ঝাড়ে, হাতে মারে পায়ে মারে  কথায় মারে আমায় বারে বারে। ভুল করেও দেয়নি আমায়  মানুষ বলে একটুখানি সম্মান।। 

যখমে যখমে

 যখমে যখমে  খাদিজা বেগম  হৃদয় আমার যখমে যখমে খন্ড খন্ড হয়েছে তোমার প্রেমে, লন্ডভন্ড করেছো কলিজা অশ্রু হয়ে তা গলছে ক্রমে ক্রমে।। ভালোবাসা নয় কোন অপরাধ ভালোবাসি বলে আমাকে মেরেছ এভাবে, আপন মানুষ হয়েও কেমনে  চেয়ে দেখো তুমি মেরেছো আমায় কিভাবে?  ভালোবাসা সে তো আত্মার দাবি  আর কত তারে লুকাবো মিথ্যা শরমে?? ভালোবাসা ছাড়া বাঁচে না আত্মা  আত্মা বীহনে কেমনে বাঁচিব বলো না? ঐ অহংকার বিদ্বেষের পথ  রেখে দিয়ে এসো এক হয়ে হাটি চলনা! ধনের হিসাব আবীর হিসাব  উঁচু-নিচু সব হিসাব নিকাশ রেখে, মানুষ হিসাব করি আজ থেকে  মানুষের ত্যাগ আর নৈতিকতা দেখে। এই পৃথিবী থেকে অকালে হারাবে আর কত প্রাণ ভুল বিচারের গরমে?? ৬+৬+৬+৬+৩

সাঁতার কেটে যাচ্ছি

 সাঁতার কেটে যাচ্ছি খাদিজা বেগম  অকুল অতল অন্ধকারের  অশ্রু জলে সাঁতার কেটে যাচ্ছি, কোথাও নাই কোনো আলো  চারিদিকে ঘুরে ঘুরে চাচ্ছি।। জানিনা তো কাটবে কখন  জীবন থেকে এই আধারের পালা?  কেন আমার এই জীবনে  কোন কারনে এত দুঃখ জ্বালা?? মন যা চায় তা কেন পাই না  যা চাই না তা কেন আমি পাচ্ছি?? এই জীবনটা যেন কেমন  সদা যেন উল্টাপাল্টা লাগে,  বেঁচে থাকার চেয়ে আমার  বেশি বেশি মরণের স্বাদ জাগে।। নাই অভিযোগ নাই অনুযোগ  সবার প্রতি শুধু ভালবাসা, কাউকে যেন কষ্ট না দেই  মনে মনে একটাই আমার আশা। হালাল রিজিক দিও বিধি  হয় যদি হোক নুন ভাত চাইনা কাচ্চি।।

নিজেই নিজের অভিশাপ

  নিজেই নিজের অভিশাপ খাদিজা বেগম যে মানে না সত্য বাণী মানুষ বলে আমি তাকে মানি না, যার কথাতে অশ্রু ঝরে  তা তো কোন মানব মুখের বাণী না।। বিশ্বস্ত জন বিশ্বাসঘাতক হয়ে যখন ক্ষত করে কলিজায়, তখন যেন নিজের কাছে নিজেকেই খুব বেশি লাগে নিরুপায়। চোখের পাতা বেয়ে বেয়ে খুব নীরবে যে জল ঝরে তাতো পানি না।। বুকের ভেতর রক্ত তুফান হওয়ার পরে অশ্রু গড়ায় নয়নে, বারবার ব্যর্থ হবার পরে সফলতা আসবে সবার জীবনে।। হাল ছেড়ো না বিশ্বাস রেখো যতটা ক্ষণ নিঃশ্বাস আছে ভেতরে, অনাআদরের পরেই তোমার ভরবে জীবন আদরে আর আদরে। নৈতিকতা ছাড়া প্রাণী নিজেই নিজের অভিশাপ সে জ্ঞানী না।।

মনের ভাঁজে ভাঁজে

 মনের ভাঁজে ভাঁজে  খাদিজা বেগম  এত ক্ষত করে গেছো  তুমি আমার এই হৃদয়ের মাঝে, খুব যন্ত্রণা হচ্ছে সেথায়  রক্ত ঝরছে সকাল বিকাল সাঁঝে।। এমন জায়গায় করছ ক্ষত  তাতে মলম লাগাবার নাই উপায়, ধীরে ধীরে কামড়ে কামড়ে  সেই ক্ষত টা যেন খাচ্ছে আমায়। সেই ক্ষতটা ভুলে থাকতে  ডুবে থাকি হাজার রকম কাজে।। ভালোবাসা দিবে বলে  এ হৃদয়ে প্রবেশ করে ছিলে, কোন দোষেতে হৃদয়টারে   ভেঙেচুরে টুকরা করে দিলে?? ভাঙা হৃদয় নিয়ে আমি  টেনেহিঁচড়ে চলছি আমার দেহ, দুঃখ দিলেও তুমি আমার  তুমি ছাড়া নাইরে আমার কেহ। অনুভবে অনুরাগে  তোমাকেই পাই মনের ভাঁজে ভাঁজে।।

নাট্যমঞ্চে

 নাট্যমঞ্চে  খাদিজা বেগম  ওহে এই পৃথিবীর নাট্যমঞ্চে  তুমি আমি আমরা সবাই নাট্যকার,  কভু অভিনেতা অভিনেত্রী  না হলে কি টিকে থাকতো এই সংসার?? চলছে নাটক জনম জনম ভরে  কেউ জানি না কি চলছে কার অন্তরে,  দেহ দেখে দেহ চিনি আমরা কেউ দেখি না কারো মনের প্রান্তরে। মিষ্টি হাসি দিয়ে ঢেকে রাখি বিষাক্ত সব দুঃখ, কষ্ট, হাহাকার।। ওহে সুন্দর মনের মানুষ আমার  তোমার ওই নাম ডাকতে চাইনা এই মুখে, ডাকলে তোমায় ওহে কিংবা ওগো  কানায় কানায় আনন্দ হয় এই বুকে।। তোমার ওই নাম ডাকার মত আছে  ডানে বামে সামনে-পিছে কতজন? তবু আমায় কেন বলছো তুমি  তোমার ঐ নাম ধরে ডাকতে গো স্বজন? এমন নামে ডাকবো তোমায় আমি  যে নাম ধরে কেউ ডাকেনি কভু আর।। ❤️  #খাদিজাবেগমেরকবিতা #সচেতনগরীক #yunusgovernment #নতুনবছর #khadijabegum  #newphoto #রাষ্ট্রসংস্কার #অভিনেতা #অভিনেত্রী

বুকের তৃষ্ণা

  বুকের তৃষ্ণা খাদিজা বেগম তুমি ছাড়া কে মিটাবে বলো মিটাবে এই আমার বুকের তৃষ্ণা, আমার এ মন মনে মনে শুধু তোমায় ডাকে কৃষ্ণা কৃষ্ণা কৃষ্ণা। তোমার রূপে মুগ্ধ হয়ে আমি তোমার জন্য হয়ে গেলাম রাধা, তোমার প্রেমে জ্বলে পুড়ে আমি ছাই করেছি শত হাজার বাঁধা।। তুমি কেন আমায় দোষী ভাবো ভালোবাসি এতো আমার দোষ না।। কোন থানাতে নালিশ করব আমি তুমি আমার ঘুম করেছ চুরি, আমার হৃদয় দখল নিয়ে তুমি হৃদয় জুড়ে চালাও বাহাদুরি।। পরগাছা আজ আমার কাছে আমি আমার ভিতর তোমার মালিকানা, তোমার কাছে হাঁটু গেড়ে বসে আশ্রয় চাইলে করো না গো মানা। জনম জনম বাসব ভালো তোমায় তাতে তুমি আমায় যতই করো ঘৃণা।।

এই হৃদয়ের রাঁধা

 এই হৃদয়ের রাঁধা  খাদিজা বেগম  তোর আশাতে থাকতে থাকতে এই কালো চুল হয় যদি হোক সাদা,   তবু ওতো তুই ছাড়া কেউ  হবে নাতো এই হৃদয়ের রাধা।। জীবনে চাই মরণে চাই  তারপরেও চাই শুধু চাই তোকে,  তোকে ছাড়া ভাল্লাগেনা এই পৃথিবীর কোন কিছুই চোখে। তোর পিরিতে স্বচ্ছ জীবন  হয় যদি হোক মাখন কাঁদা কাঁদা।। সেই কাঁদাতে পুতুল গড়ে  চোখ জুড়াব তোরি সুন্দর রূপে, যেথায় থাকিস সুখে থাকিস  আমি থাকবো তোরি প্রেমের কুপে।। ইচ্ছেমতো কাটবো সাঁতার  আবার ডুবে যাবো ক্ষণে ক্ষণে, জনম জনম থাকবো আমি  ভালোবেসে তোরি ছোঁয়ায় সনে। তোর প্রেমেতে রাজ্য ছেড়ে  প্রেম ভিখারি কত শাহজাদা।।

হাসপাতালে

  হাসপাতালে খাদিজা বেগম হাসপাতালে হাসপাতালে সেবার বদলে কেন যে হয়রানী, পরীক্ষাগারে তালা কেন কেন রোগীর চোখে চোখে পানি।। হাসপাতালে ডাক্তার থেকে কেন এত বেশি বেশি দালাল, কর্তৃপক্ষ খুব নীরবে হারামীদের প্রকাশ করে হালাল। দেখেও যারা কেউ দেখেনা তাদের চোখে পড়ে থাকুক ছানি।। জনগণের বেতন খেয়ে দাও না যারা জনগণকে সেবা, মরার পরে কেমন করে স্রষ্টার কাছে জবাবদিহি দেবা ?? নিজের কর্মে সৎ না হয়ে করে যাচ্ছ তোমরা যার যা খুশি, অন্যের কাঁধে দোষ চাপিয়ে শেষ বিচারে পার পাবা না দোষী। মানুষ সেবা করো মানুষ মেনে চলো মোহন স্রষ্টার বাণী।।

বিরক্ত লাগে

 বিরক্ত লাগে  খাদিজা বেগম  এই জীবনে কেউ বুঝিনি  বোঝেনি এই মনে প্রাণে কি চায়?  সবাই শুধু ভুল বুঝেছে  কভু কেহ বুঝতে চাইনি আমায়!! ব্যর্থ আমি সবার কাছে  ব্যর্থ আমার প্রতিটা কাজ কর্ম, ব্যর্থ ব্যর্থ এই খেলাতে  ব্যর্থ হওয়াই যেন আমার ধর্ম। ব্যর্থ শেষে সফল আসে  বেঁচে আছি সফলতার আশায়।। আমার কষ্ট আমারি থাক  আমি কাউকে ভাগ দেব না তারি, জনে জনে সুখ বিলাবো সুখ ভাগ করে দেবো বাড়ি বাড়ি। খুব বিরক্ত লাগে আমায়  না লাগাটাই অস্বাভাবিক হত,  তুমি থাকো মহাসুখে  আমার হৃদয় ভরা হাজার ক্ষত। কে আমাকে মলম দেবে জানিনা সে কত দূরে কোথায়??  #খাদিজাবেগমেরকবিতা #khadijabegum #খুববিরক্তলাগে #কবিতা

একটা কিছু লেখো

  একটা কিছু লেখো খাদিজা বেগম একটা কিছু লেখো তুমি একটা কিছু লেখো আমার জন্য, সেই লেখাটা পড়ে পড়ে আমি বারে বারে হব ধন্য।। তোমার লেখায় জাদু আছে হয়তো তোমার তাহা নেইতো জানা, পাখির মত তোমার লেখায় রং মাখানো আছে রঙিন ডানা। ওই ডানাতে উড়ে যাব আমি হব দুঃখ, কষ্ট শূন্য।। রাত পোহালে নয়ন খুলে চেয়ে থাকি তোমার লেখা পড়তে, তোমার লেখায় বন্দি নয়ন তাইতো চায় না অন্যদিকে সরতে।। কোন সে হাতে লেখ তুমি এত প্রেম ভালোবাসা ঢেলে, যত পাড়ি তোমার লেখা ততই সুখের প্রদীপ উঠে জ্বেলে। হে অনন্যা জ্ঞানের ধারা তোমার পড়ে আমি হব পূর্ণ।।

ধরা দাও না ক্যানো

 ধরা দাও না ক্যানো  খাদিজা বেগম  তুমি ছাড়া আমার কোন  নাই ভরসা উপায়া আপায় কোনো, তুমি আমার আশার প্রদীপ  তোমার আশায় বসে আছি শোন।। তুমি আমার স্বপ্ন আশা  ভালোবাসা বন্ধু বান্ধব প্রিয়,  এই হৃদয়ের মান অভিমান  ভেঙে চুড়ে কাছে টেনে নিও।  ভুল যদি হয় ক্ষমা করো  দূরে ঠেলে দিও নাগো যেনো।। হয়তো তুমি চাও না বুঝি  অন্য কেহ আমার বন্ধু হবে,  তোমার চাওয়াই আমার চাওয়া  তোমায় পেলে চাইনা কিছু ভবে।। তোমার প্রেমে শিক্ত করো  রিক্ত করো করো আমায় পাগল, তোমার পাগল হতে পারলে  ওগো প্রিয় আমি হবো সফল।  মনে মনে পাই তোমাকে  হাত বাড়ালে ধরা দাও না ক্যানো??

ক্ষুধা লাগে

 ক্ষুধা লাগে  খাদিজা বেগম  ক্ষুধা লাগে ক্ষুধা লাগে  আমার ক্ষণে ক্ষণে ক্ষুধা লাগে, একটি ক্ষুধা না মিটিতে অন্য ক্ষুধা মনে মনে জাগে।। এত ক্ষুধায় ক্ষুধার্ত মন  ক্ষুধার জ্বালায় হৃদয়টা হয় কাতর, অনুভূতি ভরা মানুষ  তোমরা ভাবছো কেন আমার পাথর? ক্ষুধার কাছে হার মেনে মন অগ্নি হয়ে জ্বলে উঠে রাগে।। হাজার ক্ষুধা এক জীবনে  আমার ধরে হাজার দিকে টানে,  ভাগে ভাগে ভাগ করে নেয়  হাজার রকম কথা বলে কানে।। শত রকম অনুভূতি  এক শরীরের কেমন করে সইবো, ওরা যেন ফেরেশতা সব মানুষ ছাড়া কার কাছে কি কইবো?? মানুষ ভেবে পশুর কাছে  গিয়ে আমি মন ভরেছি দাগে।।  

এই বছরে

 এই বছরে  খাদিজা বেগম  আসছে নতুন এই বছরে  এসো ভাসাই নৈতিকতার তরী, কারো ক্ষতি করব না কেউ  এসো আমরা সবাই শপথ করি।। নিজের বুকে হাত রাখিয়া  শপথ করি মনের ভিতর থেকে,  জ্বলে উঠবো আলো হয়ে  বিশ্ব যেন অবাক চোখে দেখে।  পিছনের সব ভুল শুধরিয়ে সবার আগে আপনাকে গড়ি।। শপথ করি শপথ করি  আমরা মানুষ হওয়ার শপথ করি,  যেমন মানুষ এসেছিলাম  তেমন মানুষ হয়েই যেন মরি।। লোভ লালসা দূরে ঠেলে  নৈতিকতা রাখব পুষে বুকে, মানুষ হয়ে থাকব পাশে  অন্যজনার আপদ বিপদ দুঃখে। সকল মন্দ ত্যাগ করি  ভালো কাজে এই জীবনটা ভরি।।

কুকুরের পা চেটে

 কুকুরের পা চেটে  খাদিজা বেগম  মানব জীবন শেষ করো না  ওরে মানুষ কুকুরের পা চেটে,  জীবনটাকে ধন্য করো ও মন সত্য সঠিক পথে খেটে।। মানব জীবন আর পাবে না  এই জীবনটা সবার চেয়ে সেরা,  একবার চলে গেলে জীবন  এই জীবনে আর হবে না ফেরা। ক্ষমতা আর টাকার লোভে  নিজের ঈমান ফেলো না কেউ ছেঁটে।। প্রাণের চেয়ে বড় সম্পদ নিজের ভিতর মনুষ্যত্ব থাকা, যার প্রাণ সে নিয়ে যাবে  তা যাবে না দেহের ভিতর রাখা। সম্পদ বলে শুধুই তোমার  নিজের তৈরি কর্মফল আর ঈমান,  মন্দ কর্মে শাস্তি পাবে  ভালো কর্মে পাবে তুমি সম্মান। ওই কবরে কেউ যেও না বেইমান হয়ে পাপের পথে হেঁটে।।

আমার বন্ধু হবে

 আমার বন্ধু হবে  খাদিজা বেগম  তুমি কি গো আমার বন্ধু হবে  আমার শুধু একটি বন্ধু প্রয়োজন,  বন্ধুর সাথে হাতে মিলিয়ে  বন্ধ করব আমার মৃত্যুর আয়োজন।। বন্ধু ছাড়া বড় শূন্য লাগে কোন কাজে খুঁজে পাই না পূর্ণতা,  কানায় কানায় দুঃখ ভরা মনে  বুকের ভেতর আকাশ সমান শূন্যতা।  যারে খুঁজি আপন করে আমি  তুমি আমার হবে কি সেই আপনজন?? চারিপাশে এত মানুষ আমার  সবার ভিড়ে খুঁজি তোমায় গোপনে, আঁখি বুঝে ঘুমাই যখন আমি ঘুমের ভিরে দেখি তোমায় স্বপনে।। কত প্রশ্নের উত্তর খোঁজে বেড়াই স্বপ্নের তুমি বাস্তব হয়ে কি আসবে? অশ্রু জলে ডুবে গেলে আমি  সুখের স্রোতে এই হাত ধরে কি ভাসবে?  তোমার সাথে একি পথে চলতে চাই  মনের কথা বলতে চাই হে প্রিয় জন।।