Posts

Showing posts from August, 2022

আজি জন্ম নিলে তুমি

 আজি জন্ম নিলে তুমি                 খাদিজা বেগম এই দিনে এই ক্ষণে তুমি  এসেছিলে এই ধরায় আজ, রঙ ধনুতে রঙিন হলো ,  তাই বুঝি এই সতেরই মার্চ। শতো হাজার শিশুর সাথে,  আজি জন্ম নিলে তুমি, তোমার জন্মে ধন্য হলো,  আমার বাংলা মায়ের ভূমী। তোমার ডাকে উঠলো জেগে নিপীড়িত মানব সমাজ।। মুজিব তুমি নও তো শুধু,  আমাদের এই সোনার বাংলার,  সারা বিশ্বের গৌরব তুমি,  তুমি গরিব, দুঃখী সবার। তোমার ডাকে দাসত্ব ভেঙে স্বাধীন হলো নহাজারো দাস।।   তোমার জন্মের আনন্দে আজ,  আনন্দিত পৃথিবীর সব, তাই বাতাসে পাই পুষ্প ঘ্রাণ, শুনি পাখিদের কলরব। ইতিহাসের সর্ন পাতায় তুমি গর্বিত বারমাস।।

ভাগ্যহিনা- গান

 ভাগ্যহীনা  খাদিজা বেগম  আমি একজন ভাগ্যহিনা আমার চাওয়া অর্থহীন, তাই তো আমি চাইনি কিছু কারো কাছেই কোনদিন। আমার মধুর কথায়ও বিষ তাহা শুনতে কেউ চায় না, ওদের কথাই শুনে সবাই যারা নিকৃষ্ট হায়েনা। মিথ্যার সাথে যুদ্ধ করে  বেঁচে থাকাই হলো কঠিন।। জানি মিথ্যা খুব ঠুনকো কাচ  বেশিক্ষণ টিকে রয় না, সত্যের শক্তি আকাশ সমান যার তুলনা আর হয় না। সত্য পথে কাঁটা বেশি তবু তৃপ্ত চিরদিন।। চোর ডাকাতের ভিরে আমি মাঝে মাঝে যাই হারিয়ে, নদী কেটে কুমির আনি পাপকে ডাকি হাত বাড়িয়ে। অনুতপ্ত এই হৃদয়ে তাই যন্ত্রণা করে চিনচিন।।

তোর পাগল

 তোর পাগল খাদিজা বেগম তোর পিরিতে ঘর ছাড়িলাম তবুও না পাইলাম তোরে, তুই তো পাগল হইলি না রে বানাইলি তোর পাগল মোরে। তোর পিরিতে পাগল আমি তুই দাও পাগল বলে গালি, তোর পিছনে আসলে আমি ছুঁড়ে মারো ধুলাবালি। একটি পলক দেখতে তোরে  তাই কান্দে এই চোখ অঝোরে। যতো করিস অবহেলা ততই তোরে ভালো লাগে, তোর জন্য এই হৃদয়ে ভালবাসা আরো জাগে। একদিন শুনবি হাড়াই গেছি আমি খুঁজতে খুঁজতে তোরে।। তোর পিরিতে পিরিত তাই তোর কাছে যাই বারে বারে, তোর ছোঁয়াতে মোর নিরাময়  চাইলে বাঁচা তুই আমারে। সবার কাছে মরে গেলেও  বেঁচে রবো তোর অন্তরে।।

তরবারি

 তরবারি খাদিজা বেগম  তার রুপের ওই তরবারি আমায় করলো ফানা ফানা, মন ছুটে যায় তার পেছনে ভুলিয়ে দেয় নিজ ঠিকানা।। বইয়ের পাতায় তাহার ছবি লেখাপড়া সব অজানা, তারে লাগে আপন আপন আপন জনা সব অচেনা। তাহার মনের মধ্যখানে  গেড়েছে এই মন আস্তানা।। মন পাখিটা উড়তে চায় না মেলতে চায়না দুটি ডানা, বন্দী হতে চায় সে তাহার ভালোবাসার কয়েদখানা। বুঝাইলে ও মন বোঝে না  ছাড়িয়ে যায় সব সীমানা।। তার কাছে তে যাইতে এই মন করে বেড়ায় তালবাহানা,  তার পিরিতে পাগল আমি তার প্রেমেতে মন দেওয়ানা। তার চোখেতে প্রেম দেখেছি  পেয়েছি সুখের ঠিকানা।।

ব্যাথা

 ব্যাথা খাদিজা বেগম এই বুকেতে এত ব্যথা বুঝাবার নেই কোন ভাষা,  শ্বাস-নিঃশ্বাসে তীব্র কষ্ট আমার কঠিন হলো বাঁচা।। সব দিয়েছি আশায় আশায় পাবো বলে ভালোবাসা, সব নিয়া সে নাই হয়েছে ছাই হয়েছে আমার আশা। সূর্যের আলোয় আঁধার দেখি চৈত্রে দেখি ঘোর কুয়াশা ।। মন নিয়ে সে মন দিল না করিল সে খেল তামাশা, তার পায়েতে পিসাল সে আমার নিষ্পাপ ভালবাসা। চোখের জলে ডুবে থাকি তবু বুকে খুব পিপাসা।। হাজার স্বপ্ন দেখাই সে  করেছিল ভালোবাসা, মরার আগে পাইলে তারে একবার করিতাম জিজ্ঞাসা। কেমন করে ভুলবো আমি  ছাড়বো তারে পাবার আশা?

ঠাই দাও

 ঠাই দাও খাদিজা বেগম  এক পা দুই পা করে করে আজ এসেছি তোমার দ্বারে, ফিরাইও না তাড়াইওনা একটু ঠাই দাও গো আমারে।। খোলো খোলো প্রেমেরি দ্বার রাখিও না আর বাহিরে, কত শত দিন রজনী আমি খুজেছি তোমারে। ফিরাই দিলে বাঁচবো না আর  তুমি পাইবা না আমারে।। তোল তোল তুলিয়া লও আমায় তোমার মন মাজারে, সেথায় বসে জুরাবো প্রাণ বলবো কথা ঠারে ঠারে। হাতে ধরি পায়ে পরি  বিনয় করে কই তোমারে।। তোমায় ছাড়া বাঁচবো না গো  হারাবো ঘোর অন্ধকারে, ভালোবেসে বাঁচাও বন্ধু তুমি বাঁচাও গো আমারে। ফেরার দুয়ার বন্ধ করে  এসেছি আজ তোমার দ্বারে।।

ঢেউ খেলা চুল

ঢেউ খেলা চুল খাদিজা বেগম  ছায়া বরণ অঙ্গ তাহার ঢেউ খেলা চুল মেঘলা কালো, সেই মেয়েটি মন কেরেছে তারে আমার লাগে ভালো। হাসিতে তার পুষ্প ফোটে অমানিশায় ছড়ায় আলো, দেখলে তারে নয়ন জুড়ায় শুনতে কথা খুব ঝাঁঝালো। ‌ যত দেখি তারে আমি ততই যেন লাগে ভালো।। সে আমার জান্নাতের হুর লোকে বলে কালো কালো, মনমরা মোর জীবন পেল তার ছোঁয়াতে মন মাতালো। কারো কথার ধার ধারি না  তোমরা আমায় যে যাই বলো।। রুপ নামের ঐ তরোয়াল ঘ্যাচাং ঘ্যাচাং খুব ধারালো, আমার হৃদয় ক্ষত করে জানিনা সে কই হারা লো। তারা ছাড়া অন্ধ আমি  নাই কোথায়ও কোন আলো।।

ক্ষমা

 ক্ষমা খাদিজা বেগম  ক্ষমা করো ক্ষমা করো তুমি ক্ষমা করো বন্ধু, আদর করো শাসন করো সাথে ক্ষমা করো বন্ধু। তোমার পিতা-মাতা ভাই-বোন সবাই ভুলে গড়া মানুষ, প্রত্যেকের ভিতরে আছে ছোট কিংবা বড় দোষ। হাসির হাসির গল্প কর দিওনা সৎ ভাষণ শুধু।। সত্তিকারের মানুষ হতে অর্জন করো সৎ ব্যবহার, পাপকে ঝেড়ে পাপিকে লও কাছে টানো বারেবার। ভুল পথ থেকে সঠিক পথে  নিয়ে চলে যাও ও বন্ধু।। ভুল মানুষকে সুযোগ দিও তার ভুলগুলো সব শুধরাতে, জড়িয়ে না যায় যেন সে চিরস্থায়ী অপরাধে। শাসন করো ক্ষমা করো  গড়ে দাও সেই স্নেহের সিন্ধু।।

পিরিত নামের জাল

 পিরিত নামের জাল খাদিজা বেগম  পিরিত নামের জাল পাতিয়া  তুই আমারে ফাসাইলি, বিনা দোষে দোষী করলি চোখের জলে ভাসাইলি। আমি তোরে বাসলাম ভালো  তুই তো ভালো বাসলি না, আমারে তুই ফাঁসায় গেলি বন্ধু তুইতো ফাসলি না। নিবা ছিল প্রেমের আগুন  তোর হাতে তুই জ্বালাইলি।। জ্বলছি আমি পুড়ছি আমি  দিবানিশি শান্তি নাই, তোর পিরিতের অনলে তুই  পুড়ে পুড়ে করলি ছাই। প্রেমের আগুন জ্বালাইয়া তুই  এখন কোথায় পালাইলি।। কত কিরা কান্ড কারছ  হাত রাখিয়া এই হাতে, আজ আমি ক্ষতবিক্ষত  তোর দেয়া আঘাতে। পাইলে তোরে প্রশ্ন করতাম  আঘাত দিয়ে কি পাইলি??

চাঁদের হাসি

  চাঁদের হাসি খাদিজা বেগম নিশি জেগে দেখি আমি নীল আকাশে চাঁদের হাসি, জ্যোৎস্নায় ভিজে ভিজে ভাবি তুমি আমি পাশাপাশি । আর কতো রাত জেগে রবো ? আমি তোমায় ভেবে ভেবে, আর কতো দিন খুঁজলে তোমায় তুমি আমায় দেখা দেবে। কি করে বুঝাই তোমারে   কত ভালোবাসি।। দিন কাটে না রাত কাটে না কাটে না যে সকাল-বিকাল, বৃষ্টির ছন্দে মন আনন্দে নৃত্য করতে হলো মাতাল। চোখে চোখে ভাসে ওই মুখ  ভোলা যায়না মিষ্টি হাসি।। গুন গুনিয়ে গান শুনিয়ে অলি ছুটৈ ফুলে ফুলে, কল কলিয়ে ছুটৈ যায় ঢেউ নদীর গভীর থেকে কুলে। তেমনি এমন ছুটে চলে তোমাতে হয়ে উদাসী।।

স্বপ্ন

 তোমার পায়ের খাদিজা বেগম  তোমার পায়ে পাড়া দিয়ে ঝগড়া করতে মজা পাই, ঝগড়া করি তোমার সাথে  অকারণে অযথাই। তোমার চামে চিমটি কেটে আমি অপার শান্তি পাই, বারে বারে তাই তো আমি তোমার পানে হাত বাড়াই। তুমি যখন যাও গো রেগে আমি হেসিয়া লুটাই।। তুমি যখন না না বলো তখন একটু জোর খাটাই, ঘুড়ির মতো ঘুরলে তুমি বস করিতে হই নাটাই। অভিমানী মনের বোমা প্রনায় রিমোটে ফাটাই।। বায়না ভরা চার্ট খানি তার  একে একে সব মিটাই, পাহাড় সমান মনটা তোমার ভালোবাসা দিয়ে গলাই। যখন তুমি বেশামাল হও সামাল দিতে দু'হাত বাড়াই।

স্বাধীনতা

 স্বাধীনতা খাদিজা বেগম স্বাধীনতা পেলাম শুধু আজো তো পেলাম না তার স্বাত, মাথা উঁচু করে আছে এই দেশেতে হাজারো জিন্নাত।। আজ আর নেই সে দানপ রুপি জলপাই রঙের ধ্বংসাত্মক ট্যাং, তবু আছে অর্থনীতি  ধ্বংস করা ঘুষখোর সব ব্যাঙ। ওরা ছুরি আর পিস্তলের বদলে পেতে রাখে কলমের ফাঁদ।। প্রতি অফিস আদালতের কোনায় কোনায় ঘ্যাঙ ঘ্যাঙ করে, দেখে যদি সাংবাদিকদের তারাতাড়ি সরে পরে। রাজাকারের চেয়েও ওরা  দেশের জন্য মহাবিপদ।। রক্ষক সাজা ভক্ষক ওরা  কুরে কুরে খাচ্ছে এ দেশ, ওদের সবার বিষ দাঁতগুলো এখনই করতে হবে শেষ।। ওরাই বড় দেশদ্রোহী  ষড়যন্ত্র করে দিন রাত রাত।।

স্বপ্ন

 স্বপ্ন খাদিজা বেগম স্বপ্ন ছিলো এক বালিশে  দু'জন মিলে রাখবো মাথা, দু'ভাগ করে নেবো দু'জন দুজনার সব দুঃখ ব্যথা। এক ব্রাশে করবো ব্রাশ মিলেমিশে আমরা দু'জন, পৃথক দুটি দেহে থাকবে দুজনার এক পবিত্র মন। আজও জেগে আছে মনে  সেই সকল স্বপ্নের কথা।। এক জনের জল ঝরলে চোখে অন্য জনে তা মোছাবো, এক জনের মন হইলে ক্ষতো অন্য জনে তা ঘোচাবো। ভেবে ভেবে আনমনা হয়  সেই সকল স্বপ্নের কথা।। এক পেলেটে খাবার খাবো পান করিবো এক গ্লাসে, ঘর ভাঙা ঝড় যদি আসে তবুও তো থাকবো পাশে। এখন আমি একা একা বইছি স্বপ্ন ভাঙা ব্যাথা।।

আয়রে আয়

 আয়রে আয় খাদিজা বেগম  আয়রে আয় আয় মন তোরে চায় আয় আয় আয়রে বন্ধু আয় আয়, তোরে ছাড়া বেঁচে থাকার আমার নেই তো কোন উপায়। দিবারাত্রি তোরে ডাকি আয় আয় আয়রে বন্ধু আয় আয়, তোর বিরহে জ্বলে আগুন বিরহিণীর এই কলিজায়। তোরে ছাড়া জিন্দা মরা আমার প্রাণটা বুঝি গো যায়।। জেগে ডাকি ঘুমে ডাকি আয় আয় আয়রে বন্ধু আয় আয়, এবার এলে রাখবো ধরে তোরে দেব না আর বিদায়। চোখের সাথে চোখ মিশাইয়া দেখবো তোরে চাইয়া চাইয়া।। সকাল বিকাল তোরে ডাকি আয় আয় আয়রে বন্ধু আয় আয়, একটি পলক দেখবো তোরে তাই তো আমার চোখ জ্বলে যায়। আয়রে বন্ধু আয় আয় একবার বূক ফেটে যায় প্রেম পিপাসায়।।

রাজনীতিবিদ

 রাজনীতিবিদ  খাদিজা বেগম  আমরা সবাই এক এক জনা অনেক বড় রাজনীতিবিদ, আজ আমাদের স্মরণে নাই  নয় মাসের সেই স্বর্ণ অতীত। কি হবে আই রাজনীতিতে নাই বা থাকে গণতন্ত্র? রাজনীতির রুপ ধরে রাজা যদি করে ষড়যন্ত্র! দেশের কথা বাদ দিয়ে সব  গাইছে দেখি দলিল গীত। কি হবে এই রাষ্ট্র দিয়ে নাগরিকগণ যদি পালায়? কি হবে এই সংসদ দিয়ে সন্ত্রাসীরা যদি চালায়? সততাকে ধ্বংস করে  ভাঙছে ওরা এই রাষ্ট্রের ভীত।। কি হবে এই আইন দিয়ে যদি দলের স্বার্থে হয় পাস? কি হবে এই নির্বাচনে  যদি কেন্দ্রে থাকে সন্ত্রাস?  রক্ষক সাজা ভক্ষ কাজে  কাজে ভাষণের বিপরীত।।

বসন্ত এসেছে

 খাদিজা বেগম  বসন্ত এসেছে বসন্ত এসেছে বসন্ত এসেছে  ও বন্ধু আমার বসন্ত এসেছে, জানিনা কখন আমার এই মন,  তোমাকে না দেখে সে ভালোবেসেছে। গাছে গাছে দেখো কচি কচি পাতা  ডালে ডালে কত যে পুষ্প ফুটেছে, ফুলে ফুলে দুলে কালিয়া ভোমোরা  ভালোবেসে খুব প্রণয়ন লুটেছে। তাই দেখে এই মন তোমার প্রণয়ে খুব ডুবে ডুবে এসে ডুব দিয়েছে।। হৃদয় কাননে প্রনায় কোকিলে  কুহু কুহু সুরে তোমাকেই ডেকেছে, নির্ঘুম রাত্রিতে জেগে জেগে মন  তোমারি মায়াবী সেই ছবিটা এঁকেছে। জেনে শুনে বুঝে আমার এই মন তোমার প্রণয় সাগরে ভেসেছে।। বাতাসে বাতাসে তোমারি সুরভী  আমারই ভেতরে যতোনে ডুকেছে, নেই কোন সেই বীর পবিত্র প্রেমের দুই চরণে তার মাথা না ঠুকেছে। ভিতরে বাহিরে তোল পার করে তোমাতে এই মন আশ্রয় চেয়েছে।।

দূর্নীতি

দুর্নীতি খাদিজা বেগম  জোরছে মারো মারো লাথি ঐ দুর্নীতির সব ঘাটিতে, চোর ডাকাতের ঠাঁই দেবো না বাংলা মায়ের এই মাটিতে।। প্রতিবাদী আওয়াজ তোলো নীতির পক্ষে কথা বল, দুর্নীতিবাজ পাপি সমাজ ভেঙেচুরে সামনে চলো। জ্বালো জ্বালো আগুন জ্বালো সততা  নামের কাঠিতে।। জেগে ওঠো মুক্তি সেনা যুদ্ধের মাঠে হিংস্র হায়না, রুখে দাড়াও দুর্নীতিবাজ যারা দেশের ভালো চায় না। শান করো ঐ নীতির অস্ত্রে  দুর্নীতিকে আজ ছাঁটিতে ।। নীতির সাথে সন্ধি করে  ফন্দি ফিকির করব শেষ,  নৈতিকতার সাথে গড়ব দুর্নীতিমুক্ত বাংলাদেশ। দুর্নীতিবাজ মারব ধরে  নৈতিকতার সুচটিতে।।

এগিয়ে যাও

 এগিয়ে যাও খাদিজা বেগম  এগিয়ে যাও সামনে আগাও না থেকনা কভু থেমে, সৎ সাহসী হয়ে আগাও না যেওনা নিচে নেমে।। বিবেক-বুদ্ধি যৌবন শক্তি  নিয়ে আগাও ক্রমে ক্রমে, নাই সততার মত সম্পদ থাকো ডুবে তারই প্রেমে। যেখানেই যাও যেথায় থাকো যাও এগিয়ে দমে দমে।। আকাশ হতে উঁচু তুমি দৃঢ় থেকো সত্য শ্রমে, অন্যের ক্ষতি করতে গিয়ে  থেকনা আর অপকর্মে। সঠিক পথে ফিরে এসো  এটাই বলছে সকল ধর্মে।। সবার ওপর তোমার স্থান  না যেও না নিচে নেমে, সত্যকে বিক্রি করো না পাগল হয়ে স্বার্থের প্রেমে। সত্য তোমায় মুক্তি দেবে  এগিয়ে নেবে উদ্যমে।।

সততা

 সততা  খাদিজা বেগম  সততা এমন একটি সম্পদ  যা কোন চোরে পারেনা চুরি করে নিতে, সততা এমন একটি সম্পদ যা কোন ডাকাত পারেনা ছিনিয়ে নিতে। সততা এমন একটি সম্পদ  যা কোন দোকানে কেউ খুঁজেও পাবে না, সততা এমন একটি সম্পদ  যা ক্রয় করার ক্ষমতা কারোর হবে না। সততা এমন একটি সম্পদ যা সৃষ্টিকর্তা দান করেছে মানুষের অন্তরে, এই সততা অদৃশ্য হয়ে যায়  লোভ-লালসা আর যৌনতার ফাঁদে পড়ে। মনেপ্রাণে তুমি লড়াই করো লোভ-লালসা আর নোংরা যৌনতার সাথে, সাবধান হও, ও মানুষ তুমি সতর্ক থাকো সাবধানে রাখো এই সততাকে। সততা ছাড়া অন্ধ তুমি দেখতে পাবে না আলো আঁধার, ভালো-মন্দ, ভালো আর লাগেনা ভালো মন্দিরে মাঝে ডুবে থেকে খুজতে হবে আনন্দ। পাপে পাপে পাপি হবে জালিম হয়ে জুলুম করবে তুমি মানব সমাজে,

মনে মনে

 মনে মনে খাদিজা বেগম  মনে মনে মন চলে যায়  আল্লাহ তোমার ঐ মদিনায়, তুমি চাইলে যাব আমি  নিয়ে চলো না গো আমায়। মনে মনে তাওয়াফ করি  চুম্বন করি আসওয়াদের গায়, উড়ে উড়ে মন চলে যায় আমার দেহ পড়ে কাতরায়। যাব বলে প্রস্তুত আছি   তোমার হুকুমের অপেক্ষায়।। সরল-সঠিক পথ টি দেখাও পথ ভ্রষ্ট করো না আমায়, দাও সাড়া দাও আল্লাহ আমার আমি ডাকিতেছি তোমায়। আশা পূরাও আল্লায় আমার  কান্দি আমি তোমার সেজদায়।। সকাল-সন্ধ্যা মাথা ঠেকাই  তোমার কুদরতি দুটি পায়, তুমি ছাড়া অচল আমি অন্ধ, বোবা, আর নিরুপায়। চলি ফিরি কথা বলি  আল্লাহ্ সবি তোমার দয়ায়।।

ঘুমের ঘোরে

 ঘুমিয়ে ঘোরে খাদিজা বেগম  ঘুমের ঘোরে এসে তুমি প্রেমের ঝলক যাও দেখাইয়া, জেগে উঠে খুজি তোমায়  কোথায় থাকো গো লুকাইয়া? এক পলকে আমার বুকে দিয়েছো আগুন জ্বালাইয়া, দাও নিভিয়ে প্রেমের আগুন ছাই করোনা আর পোড়াইয়া। সামনে পিছে পাইনা তোমায় খুঁজি আমি পাগল হইয়া।। তোমার প্রেমে জ্বলছে আগুন পুড়ছি আমি রইয়া রইয়া। ডানে খুঁজি বামে খুজি  খুঁজি অপলক তাকাইয়া, মরুর বুকে ঢেউ জেগেছে  আগে ছিলো যা শুকাইয়া। হাবুডুবু খাচ্ছি একা নাও তুলে নাও তোমার নায়ে, সারা জীবন করবো সেবা তোমার একটু প্রেমের দায়ে। আড়াল হতে হেসো না গো আমি তোমার নায়ের নাইয়া।। যেমন বলবে বাইবো তেমন ওগো তোমার পানে চাইয়া । চাইলে ফেলবো বাসের লগি নইলে বাইবো বৈঠা দিয়া, তুমি চাইলে পাল উড়াবো রাখবো প্রেমেতে ভাসাইয়া।।

একুশে ফেব্রুয়ারি

 একুশে ফেব্রুয়ারি খাদিজা বেগম  বছর শেষে ফিরে আসে সেই একুশে ফেব্রুয়ারি, মনে পড়ে ভাষাশহীদ  সাহসী আলোর দিশারী।। রফিক, শফিক সহ আরো  অগণিত ভাই বোন আমার, স্বৈরাচারী জালিম সরকার পাখির মত করল শিকার। আজো কানে ভেসে আসে সেই ভাই হারা আহাজারি।। তারা ছিল ভয়-ভিতীহিন সাহসী বীর সংগ্রামী, তাদের কাছে প্রাণের চেয়ে ন্যায় অধিকার ছিল দামি। মায়ের ভাষা দেই নি তারা  লাশ দিয়েছে সারি সারি।। আমরা হবো তাদের মত  কেউ হব না ধন পূজারী, লোভ লালসা ছেড়ে দিয়ে জিতে নেব ঈমান দাঁড়ি।। অগণিত শহীদ তারা  ছিলো ন্যায়ের অনুসারী।।

আজি জন্ম নিলে তুমি

 আজি জন্ম নিলে তুমি                 খাদিজা বেগম এই দিনে এই ক্ষণে তুমি এসেছিলে  এই ধরায় আজ, রঙ ধনুতে রঙিন হলো , তাই বুঝি এই সতেরই মার্চ। শতো হাজার শিশুর সাথে, আজি জন্ম নিলে তুমি, তোমার জন্মে ধন্য হলো, আমার বাংলা মায়ের ভূমী। মুজিব তুমি নও তো শুধু, আমাদের এই সোনার বাংলার,  সারা বিশ্বের গৌরব তুমি, তুমি গরিব, দুঃখী সবার।   তোমার জন্মের আনন্দে আজ, আনন্দিত পৃথিবীর সব, তাই বাতাসে পাই পুষ্প ঘ্রাণ,শুনি পাখিদের কলরব। আজি বাংলার ইতিহাসে, স্বাধীনতার ফের সুচনা, ইতিহাসের সর্ন পাতায়, তোমার সাহসী রচনা। তুমি মোদের বঙ্গবন্ধু, এই বাঙালী জাতির পিতা, অবাক বিশ্ব দেখলো চেয়ে,কি দারুণ দূরদর্শিতা। আজো আমরা তোমার জন্য,বাঙালি হিসেবে  ধন্য, তুমি যে এই বিশ্বের বিস্ময়, অতুলনীয় অনন্য। তুমি কতো যে কীর্তিমান, তুমি কতো যে বুদ্ধিমান, তাই তো তোমার সুনাম করে, কত শিল্পী গেয়েছে গান। কত জনা তোমার প্রেমে, তাই এঁকেছে কত  ছবি, তোমার নামের কবিতাতে,  কত জনা হলো কবি। বাংলার বুকে বয়ে চলা, আঁকাবাঁকা সকল নদী, তোমার কির্তন করছে যেন, ঢেউয়ে ঢেউয়ে নিরবধি। তু...

হৃদয় দুয়ার খোলা

হৃদয় দুয়ার খোলা খাদিজা বেগম  তুমি আমায় ভুলে গেলেও  আজও হয়নি তোমায় ভোলা, তুমি আসবে বলে তাই রেখেছি  আজও হৃদয় দুয়ার খোলা।। একটি দিনও দেয়নি দুয়ার  রাগে কিংবা অভিমানে, তোমার আশায় জেগে থাকি  আমার সৃষ্টিকর্তা জানে। তোমার স্মৃতি ফাগুন হয়ে  আমাকে দেয় আজও দোলা।। তোমার প্রতি আসেনা ক্রোধ  আসেনা মনে অভিযোগ, মনে মনে মন খোঁজে তাই  তোমায় ভালোবাসার সুযোগ। শ্বাস নিঃশ্বাসে আছো মিশে  তাই যাবে না তোমায় ভোলা।। তোমার দেয়া এই বিরহ  পোড়ায় যদি সারা দেহ, তবু তোমার চেয়ে আমার  হবে না আর আপন কেহ। আমার চোখে চিরদিনি  তুমি একজন আলাভোলা।। তুমি ছাড়া আর কারো মাল  এই বন্দরে হয়না খালাস, আসো বা না আসো তুমি  রোজ করিবো তোমায় তালাশ। নিজের চেয়েও ভালবাসি  তাই বুঝি গো হয় না ভোলা।।

মাহে রমজান

 মাহে রমজান খাদিজা বেগম  মাহে রমজান, মাহে রমজান ফের এসেছে মাহে রমজান, পাপীতাপী আছে যত  পাবে তারা পাপ থেকে ত্রাণ। রাখবো রোজা, পড়বো নামাজ  করবো এতিম, দুঃখীদের দান। বার মাসের সেরা এই মাস পবিত্র এই  মাহে রমজান, ক্ষমা পেতে দিনে রাতে সেজদায় পেতে রাখি গর্দান।। রোজা রেখে ইতিকাফে করবো নিজে নিজ আত্মদান, দুনিয়াদারি পিছে রেখে এগিয়ে নেব ইহসান। এই মাসেতে নাজিল হল মহান আল্লাহ্ দান আল-কুরআন।। চলবো মেনে হাদিস কুরআন  আল্লাহতালার সকল বিধান, লালন করবো পবিত্রতা ধারন করবো পূর্ণ ঈমান। ন্যায়ের পক্ষে থাকবো অটল রাখবো শক্ত নিজের স্থান।।

তোমায় নিয়ে

 তোমার নিয়ে খাদিজা বেগম  তোমায় নিয়ে কাটবো সাঁতার তাই কেটেছি পুকুর, ইচ্ছে হলে ভাসবো দুজন দিন কিংবা রাতদুপুর। তপ্ত হৃদয় তৃপ্তি পেতে ডুববো ঝুপুর ঝুপুর, মনে মনে বাজবে তখন ভালবাসার নুপুর। সেই পুকুরে চর জেগেছে তুমি আজ কতো দূর, তোমার নিয়ে থাকবো বলে তাই বেঁধেছি বাসা, তোমায় পেলে পূর্ণ হবে আমার সকল আশা। মধুর মধুর স্বপ্ন গুলো আজ বেদনা বিদুর। সেই আশা আজ অশ্রু হয়ে  ঝরে টাপুর টুপুর, যত বুঝাই মন মানে না  করতে চায় না সবুর। প্রেম বিরহে কাতর আমি  তুমি আর কত দূর?

হে কবি

 হে কবি খাদিজা বেগম হে কবি, এমন একটি কবিতা লিখে দাও, যা জাগাবে বিভ্রান্তকারী বোকা জাতিকে। যে কবিতায় জাগিয়ে তুলবে মানুষের, বিবেক-বুদ্ধি আর ঘুমন্ত অনুভূতিকে। হে কবি, এমন একটি কবিতা লিখে দাও, যা তাড়াবে দেশের ঘুষখোর দুর্নীতিকে। যে কবিতার প্রতিটা চরণে চরণে, শক্তি যোগাবে অসুস্থ দুর্বল ব্যক্তি কে। হে কবি, এমন একটি কবিতা লিখে দাও, যা সূর্যের মত আলো ছড়াবে চারদিকে। যে কবিতায় উজ্জীবিত করবে আবার, দুমড়েমুচড়ে ভেঙেপড়া বিচার-বুদ্ধিকে। হে কবি, এমন একটি কবিতা লিখে দাও যা জাতিকে এগিয়ে নিয়ে যাবে সম্মুখে। যে কবিতায় উদ্বুদ্ধ হবে দেশ প্রেম, দেশটাকে ভালোবেসে ধারণ করবে বুকে। হে কবি, এমন একটি কবিতা লিখে দাও, যা সৃষ্টি করবে মানব মনে মানবতা। যে কবিতায় থাকবে অধিকার বঞ্চিত, গরিব, দুঃখী, এতিম, অনাথদের কথা। হে কবি, এমন একটি কবিতা লিখে দাও, যা শুনবে পতিতালয় গড়ানো সমাজ। যে কবিতার কবরে দাফন করিব নারী শিশুদের দুশমন জীবিত লাশ। হে কবি, এমন একটি কবিতা লিখে দাও, যাতে মুক্তি পাবে অর্থ, ক্ষমতার দাস। যে কবিতায় উঠবে জোয়ার ভাসবে তরী, ফুটবে হাসি গরিব-দুঃখীর মুখে একরাশ। হে কবি, এমন একটি কবিতা লিখে দাও, যা এই দেশ...

তখন তখন

 যখন তখন খাদিজা বেগম  যখন-তখন বাজবে ঘন্টা  খাঁচার পাখি যাবে উড়ে, কারো কোন ক্ষমতা নাই  সেই পাখিটা রাখবে ধরে।। সেদিন তুমি সব হারিয়ে  খুব নিরবে রবে পরে, সবাই মিলে রাখবে তোমায়  অন্ধকারে বন্দি করে।। সময় থাকতে সঞ্চয় করো সত্য আলো ওই অন্তর।। দৃশ্যমান এক খাঁচার ভিতর  অদৃশ্য এক পাখির ভুবন, পাখি ছাড়া পরবে ধসে  খুলবে না আর তোমার নয়ন। সফল হতে সবুর লাগে মানুষ হও ধৈর্য ধরে।। ফুটবেনা আর ঠোঁটের হাসি বলবেনা আর কথা বদন, নড়বে না আর হাতের আঙ্গুল  চলবেনা আর তোমার চরণ। কখনো কেউ হয়না মানুষ মানুষের ওই খোলসা পরে।।

প্রাপ্তির জায়গায় শূন্য

প্রাপ্তির জায়গায় শূন্য খাদিজা বেগম  প্রাপ্তির জায়গায় শূন্য দেখি হিসাব কষে মিলে না ফল, যা করেছি সবি তো ভুল কর্ম সকল হলো বিফল।। কালো চুল সব সাদা হলো আর রং মেখে কি হবে বল, সাদা মনটা কালো হলো এযে পাপীর পাপের কুফল। সতেজ চামড়া ঝুলে গেলো চলে গেলো শরীরের বল, জেনা , সুদ, ঘুষ কিছু নেই বাদ ব্যাবিচারে খেয়েছি মল। লোভ লালসায় ডুবে থাকে অর্থ গ্ৰাসে করেছি ছল, কচু পাতার উপর জীবন পানির মতো করে টলমল। হবে যেতে শূণ্য হাতে আমার যাবার এসেছে কল,  পূর্বের সকল কুকর্ম আজ দু'নয়নে ঝরেছে জল। থাকতে জীবন তওবা কর মন আর করিস নে তুই কোন ছল, সাধু খোলস ভেঙে চুড়ে সত্যি সত্যি সৎ পথে চল।

জাগো জাগো ছাত্র

 জাগো জাগো খাদিজা বেগম জাগো জাগো ছাত্র সমাজ ঘুমাবে আর কত? দূর্নীতি বাজ জেগেছে আজ হিংস্র পশুর মতো। বিবেক বুদ্ধি নিয়ে জাগো শেখ মুজিবের মতো, উড়িয়ে দাও গুড়িয়ে দাও বেইমান আছে যতো। জেগে ওঠো সূর্য হয়ে ছড়িয়ে দাও আলো, অগ্নি হয়ে জ্বলে ওঠো পুড়িয়ে দাও কালো। জেগে ওঠো সাহস নিয়ে ভয় ভীতি সব ছেড়ে, বাঘের মতো গর্জে ওঠো ছুটে চলো তেড়ে। পাপড়ি মেলে ফুটে ওঠো ভরিয়ে দাও ঘ্রাণে, আশার প্রদীপ হয়ে জ্বলো আশা জাগাও প্রাণে। তোমরা জাগলে ধ্বংস হবে দূর্নীতির সব দুয়ার, জাগো জাগো ডাক এসেছে হাতে সময় নেই আর। জেগে ওঠো বায়ান্ন আর একাত্তরের মতো, তোমরা জাগলে ঘুচবে আবার দেশ মায়েরি ক্ষত ‌।

যদি ডাকাত হও

  যদি যাকাত হও খাদিজা বেগম যদি ডাকাত হও তুমি আমি হবো গহনা, কোন রাত্রিতে আসবে তুমি ওগো আমায় কহনা? চোরের মত চুপি চুপি এসো আমার বাড়িতে, তোমার জন্য রাখবো পিঠা আমার রসের হাড়িতে। সম্পদ দিবো থলে সহ আর কি দেব কহনা? তোমার দেখলে ভয় লাগেনা ভালবাসতে মনে চায়, তোমার ভাবনায় দিবানিশি ডুবে থাকে এ হৃদয়। করি তোমারে আহ্বান তবু কেন আহনা? তুমি আমার চোর ডাকাত তাই নিঃস্ব হতে আর ভয় নাই, তুমি এসো তাড়াতাড়ি আমি নিঃস্ব হতে চাই। সব হারিয়ে গড়ে নেব একটা প্রেমের মোহনা।

এই পৃথিবী সেই পৃথিবী

 এই পৃথিবী সেই পৃথিবী খাদিজা বেগম  এই পৃথিবী সেই পৃথিবী যেখানে বেশিরভাগ মানুষ নিজের ইচ্ছায়, অন্য মানুষের ক্ষতি করে লাভবান হয়। সত্যিকার অর্থে এদের ভিতরে সততা নাই, এই ক্ষনিকের লাভে মনুষ্যত্বকে করেছে ছাই। এই পৃথিবী সেই পৃথিবী,  যেখানে বোকা মানুষ নিজেকে খুব চালাক ভেবে, সৎ ও সরল মানুষের সব কেড়ে নেবে। সত্যিকার অর্থে এদের মধ্যে বোধ বুদ্ধি নাই, তাই ক্ষন লাভে মেতে ধ্বংস হয় চিরস্থায়ী। এই পৃথিবী সেই পৃথিবী, যেখানে অন্ধ মানুষগুলো চেনে ভালো মন্দ, আলো ভরা যাদের চোখ তারা ছাড়ায় দ্বন্দ। সৎ পথের পথিক ওরা যারা লেংড়া লুলা, শক্ত চরণের অধিকারী তারাই পথভোলা। এই পৃথিবী সেই পৃথিবী এখানে তারাই সত্যবাদী যাদের কন্ঠ স্তব্ধ, ওরাই বলে মিথ্যে কথা যাদের কন্ঠে উচ্চ শব্দ। তারাই মানে নিয়মনীতি যারা শোনতে পায়না কানে, দুর্নীতিবাজ ও রাই বেশি যারা নিয়মনীতি জানে। এই পৃথিবী সেই পৃথিবী যার যার বেশতো দোজোক সেই গড়ে নিজের হাতে, ও মানুষ তুমি পার পাবা না কোন অজুহাতে। মাটির দেহ মাটি হবে হাড়গোলো যাবে খসে। পাপেরে বোঝা রাখবা কোথায় ভাব বসে বসে? এই পৃথিবী সেই পৃথিবী  টাকা-পয়সার জন্য সন্তান পিতা মাতা মারে, ...

এসেছিল প্রেম

 এসেছিল প্রেম খাদিজা বেগম  এসেছিল প্রেম ধুম করে, নিয়েগেছে মন গুম করে। যেন দুমরে মুচড়ে গেছি  কালবৈশাখী ঝরে পড়ে। বুঝেশুনে ওঠার আগে  হারিয়েছি জীবনের সব, কেমন করে বেঁচে আছি  যানে শুধু আমারই রব। জ্বলছে আগুন পড়েছে হৃদয় অন্তর জুড়ে খা খা করে।। এমন করে আর কতদিন তার স্মৃতিতে আমি ভাসবো, যে আমাকে ভুলে গেছে তারে আমি ভালো বাস বো । প্রেমের ছোঁয়া বলিয়া সে  দাক দিয়াছেন এই অন্তরে।। না ভাবিয়া করলে পিরিত মরার আগে মরতে হবে, শত হাজার দুঃখের সাথে  রাত্রি জেগে লড়তে হবে। কিছু ভুলের হয় না মাসুল অনুতপ্ত করে মরে।।

পত্রিকা ওয়াল

 ওহে পত্রিকা ওয়ালা খাদিজা বেগম  ও হে পত্রিকা ওয়ালা, একটু দাড়াও না ভাই,  তোমাকে আমার কিছু কথা শুনাতে চাই। সে যেন তার পত্রিকায় না ছাপে আর, নিঃস্ব হয়ে যাওয়া ছবি কোন ধর্ষিতার। সে যেন ছেপে দেয় ধর্ষণকারীর ছবি, তার কাছে আমার শুধু এই টুকুই দাবি। যাতে সমাজের লোকে চেনে ধর্ষণকারী, তাকে দেখে আমরাও সাবধান হতে পারি। ওহে পত্রিকাওয়ালা একটু দাড়াও না ভাই, তোমাকে আরো কিছু কথা শোনাতে চাই। সে যেন তার পত্রিকায় না ছাপে আর, প্রিয়জন হারাবার কষ্ট হাহাকার। সে যেন ছেপে দেয় খুনি দের নোংরা ছবি, সাথে যেন থাকে তার মালিকের ছবি । যা দেখে চিনে রাখে আমাদের এই সমাজ, কে নীতিবান আর কে বা খুনি সন্ত্রাস। ওহে পত্রিকাওয়ালা একটু দাড়াও না ভাই, তোমাকে আরো কিছু কথা শোনাতে চাই। সে যেন তার পত্রিকায় না ছাপে আর, গাড়িতে চাপা পড়া অসহায় লাশটার। সে যেন চেপে দেয় ঐ ঘাতকের ছবি, সাথে যেন থাকে তার হেলপারের ছবি। যাতে কোন অপরাধী পালিয়ে না থাকে, সমাজের লোকে যেন ধরে ফেলে তাকে। ওহে পত্রিকাওয়ালা একটু দাড়াও না ভাই, তোমাকে আরো কিছু কথা শুনাতে চাই। সে যেন তার পত্রিকায় না ছাপে আর, চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি ও চোরাকারবার। ...

অদম্য আশা

 অদম্য আশা খাদিজা বেগম  যদি কেউ অদম্য আশা পুষে- রাখতে পারে তার মনে, তারে কেহ দমাতে পারবে না- সবাই হারবে তার সনে। সে এগিয়ে যায় তার মত- ভাগ্য হোক যতই বৈরী দৃঢ় বিশ্বাস রেখে নিজের- পথ নিজেই করে তৈরি, ক্ষুধা-দারিদ্র্যতার যন্ত্রণা- তার সাথে কেউ পারবেনা, শীত-গ্রীষ্ম আর বর্ষাতেও- সে কারো সাথে হারবে না। শীতের কুয়াশা ভেদ করে সে- সূর্যের মতো উঠবে জ্বলে, রোদে পুড়ে না অদম্য আশা- ভিজে না বৃষ্টির জলে। সে কারো ধার ধারে না আর- ছাড়ে না অদম্য আশা, তার স্রষ্টার প্রতি রাখে সে- শ্রদ্ধা ভরা ভালোবাসা। অনায়াসে বয়ে বেড়ায় সে- সহস্ত্র কষ্টের ক্ষত, উত্তাল ঢেউয়ের মতো ছুটে- বেড়ায় সে অবিরত। নিজে নিজে নিয়েছে শপথ- কিছুতেই হবে না ভ্রান্ত, তার লক্ষ্যে সে না পৌঁছে কভু- নিজেকে রাখবেনা শান্ত। তার পথে আসে যত বাঁধা- ভেঙে করে চুরমার, পরিশ্রম, ধৈর্য, নৈতিকতায়- নিজেকে গড়ে দুর্বার মরণেও সে মরে না থাকে- কর্মের মাঝে জীবিত,  কোন অর্থ ক্ষমতায় নয়- সে সততায় গর্বিত।

আমি একদিন

 আমি একদিন খাদিজা বেগম  আমি একদিন এসেছি অন্ধকার থাকে চোখ বন্ধ করে হ্যাঁ আবার চলে যাব চোখ বন্ধ করে সেই অন্ধকারে আমি একদিন ঘুমের ঘরে এসেছি এই স্বপ্নের দেশে, যতক্ষন আছি থাকবো পাশাপাশি সত্যকে ভালবেসে। এই ঘুম যখন ভাঙ্গবে শেষ বিচারের মাঠে থাকব আমি, এমন কিছু সঙ্গে নেবো যাতে পাব বিচারকের সালামি। এখন তাই ছেড়েছি ভাই অন্যায়, অবিচার বিচারের ভয়  আজ করো মন বিচারের ভয় কাল হবে তুমি বিজয়। একদিন এসেছি কাঁদতে কাঁদতে আবার কাঁদিয়ে চলে যাব, যতটুকু ভালোবাসা দেবো আমি ঠিক ততটুকুই পাব।  তাড়িয়েছি ভাই হিংসা, অহংকার, লোভ, ক্রোধ, বিদ্বেষ, নাই কোন অভিযোগ নিরবে মানে যাই মালিকের নির্দেশ। তার কাছে ভাই সততার চেয়ে নাই  আর কিছুই দামি, আরাম-আয়েশ আর সুখের বিনিময় কিনেছি আমি। তার খুশিতে খুশি থাকব নিজের খুশি দেবো কোরবানি, পলকে পলকে মেনে চলবো তার কোরআনের বাণী। আমার আমার বলে ডেকে আনবো না আমার বিপদ আমার মতামত উড়িয় কুড়িয়ে নেব কোরআনের মত।

পবিত্র প্রেম

 পবিত্র প্রেম খাদিজা বেগম  পবিত্র প্রেম স্বর্গীয় দান- তাহা স্বর্গ হতে আসে, স্বপ্ন দেখায় ধৈর্য্য শেখায়- পবিত্রতা ভালোবাসে। যে মানুষ হইতে পারেনা- পুণ্য প্রেমের যাতনা, সে হারিয়ে ফেলেছে সততা- তার নাই কোন চেতনা। প্রেমের দহনে ক্ষণে ক্ষণে- যেজনে পড়তে জানে না, সে দেখতে শত উজ্জ্বল হলেও- হবে না তো খাটি সোনা। প্রেমের জ্বালা কঠিন জ্বালা- সহিতে পারা মুশকিল, তবু দৃঢ় চিত্তে সইতে হবে- পবিত্র রাখিবে দিল। তবুও যদি নিষেধে ভেঙ্গে- লাগাও পাপের পরশ, তুমি হবে চিরদোষী আর- গোছাতে পারবেনা দোষ। তখন থেকে হয়ে যাবে ওই- পশুর চেয়ে নিকৃষ্ট,  নিজের ভিতর থাকবে না- পবিত্রতার উৎকৃষ্ট। সত্ত সঠিক পথে চলতে গেলে পেতে হয় বেশি কষ্ট, হারাম কাজে আরাম বেশি-তবু হবেনা পথ ভ্রষ্ট। পাপের বিশ্বে বিষয়ে উঠবে- অভিশাপ পাবে জীবন, অনুশোচনায় ভোগে ভোগে- কাঁদবে তুমি আজীবন।

তোমাকে চাই

 তোমাকে চাই খাদিজা বেগম  তোমাকে চাই, তোমাকে চাই,  এ মন বলে বারে বার, সে কথা এই মুখে বলার আমার নাই যে অধিকার। মনে মনে এই মন ধরে  তোমাকে পাবার বায়না, ধরতে গিয়ে ফিরে এই হাত ধরার উপায় সে পায়না। ও বন্ধু শুনতে কি পাও না  প্রেমিক মনের হাহাকার।। তোমায় নিয়ে স্বপ্ন দেখি  জেগে জেগে করি ভোর, জানি জানি গো সেই তুমিই  আমার রাখনা খবর। প্রেমের বদলে দিলা ঘৃণা  যন্ত্রনা আর তিরস্কার।। তবুও তো ভালবাসি  ভুলে থাকতে পারি না, ঐ দূর থেকে দেখবো তোমায়  তাই বুঝি গো মরি না। তবুও মন খুব গোপনে করে না পাবার চিৎকার।।।

ভাগ্যটাকে

 ভাগ্যটাকে  খালিজা বেগম  ভাগ্যটাকে ছেড়ে দিলাম  এক বাহুতা নদীর স্রোতে, দুর্ভাগা এই ভাগ্য আমার  পড়েনি কারো যোগ্য হতে। যদি ডুবে যায় যাক না সে  আর না পারে কভু ভাসতে, দুঃখটাকে রেখে দিলাম  নিজের মতো করে বাঁচতে। সুখের আশায় কাঁদবো না আর কেউ দিবে না বাঁধা হাসতে।। দুঃখ নিয়ে সুখী হবো ঝঞ্ঝাট আর যন্ত্রণাতে, সুযোগ দেবো না আর কাউকে  আমার ঘায়ে নুন ছিটাতে। তিরস্কার কে করবো গ্রহণ  পুরুষকার ভেবে দুই হাতে।। যত আসে আসুক  বাঁধা  থামাবে না আর চলার গতি, আমায় যারা করবে ঘৃণা  ভালোবাসা তাদের প্রতি। দুঃখের সাথে লড়বো পাঞ্জাব  ভয়ে যাব না পালাতে।।

জগত থেকে মহা জগত

 জগত থেকে মহাজগতে খাদিজা বেগম  জগত থেকে মহাজগত আমার ভিতর করি ধারণ, এই আমাতে করে দুঃখ, হাসি, কান্না, সুখ বিচরণ।। সাগর থেকে মহাসাগর দুই নয়নে করি ধারণ, মাঝে মাঝে উপচে পরে  মানে না সে কোন বারণ। নোনা থেকে আরো নোনা জানিনা এই জলের কারণ! আকাশ থেকে দূর মহাকাশ আমার ভেতর বসত করে, কখনো মেঘ, বৃষ্টি, রোদ্দুর বজ্রপাত হয় এই অন্তরে। একই রকম রয়না কিছু ক্ষণে ক্ষণে পরিবর্তন ।। দাবানল আর অগ্নি লাভা ধারণ করি সেই জাহান্নাম, যেথায় জালিম বসত করবে এই দুনিয়ায় করে কুকাম। জানবে না কেউ বুঝবে না কেউ জ্বলছে দেহ পুড়ছে এই মন।।

ললাট পেতে

 ললাটে পেতে খাদিজা বেগম  ললাট পেতে বসে আছে বিরহিনীর বিরহী মন, এই বুঝি গো আসবে তুমি খুব সোহাগে করবে চুম্বন।। দু'চোখ বুজে জেগে আছে বিরহিনীর দুটি নয়ন, এই বুঝি গো আসবে তুমি করবে আমায় ফের আলিঙ্গন। দিন কাটেনা রাত কাটেনা  তুমি ভালো নেই আর এখন।। আমার এই মন তোমায় নিয়ে করিতে চায় প্রণয় ভোজন, তুমি ছাড়া বলবো কাকে? তোমায় আমার খুব প্রয়োজন, প্রেম পিপাসায় বুক ফেটে যায় এক যুগ সমান এক একটা ক্ষণ ।। আর থেকো না দুরে দুরে সত্যি সত্যি যাবো মরে, কত জ্বালায় জ্বলছি আমি জানে আমার এই অন্তরে। আর কত দিন তোমার আশার আশায় আশায় কাঁদবো এমন।।

ও মন তুমি

 ও মন তুমি  খাদিজা বেগম  ও মন তুমি মনে রেখো  কভু ভুলো না এই তথ্য, দেহের চেয়ে এই প্রান বড়  প্রানের চেয়ে মনুষ্যত্ব।। বল তুমি কোথায় ছিলে কোথায় পেলে এই অস্তিত্ব? কেন তোমার তার সাথে আজ কোন কারণে এই দূরত্ব? কেন তোমায় গ্রাস করেছে লোভ লালসা আর আমিত্ব? কার হুকুমের গোলাম তুমি  করছ কার প্রতিনিধিত্ব? কে বানিয়েছে তোমায় কর্তা কোথায় পেলে এই কর্তিত্ব? জবাব দিহি মাথায় রেখে চালিয়ে যাও সব দায়িত্ব ! পালিয়ে যাও কেন তুমি সত্য পথটি ছেড়ে নিত্য, সৃষ্টিকর্তার আদেশ নিষেধ ভিতর থেকে দাও গুরুত্ব, মন থেকে সৎ মানুষ হলে হারাবে না মনুষ্যত্ব।।

তোমাকে হারাবার ব্যথা

 তোমাকে হারাবার ব্যথা খাদিজা বেগম  তোমাকে হারাবার ব্যথা  এ বুকে আর সয় না, এক বুক শূন্যতা নিয়ে আর বেঁচে থাকা যায় না ।। অচল হয়ে পড়েছে পা পারি না আগাতে, বন্ধ হচ্ছে বিরহী চোখ  পারিনা জাগাতে। এতো কষ্ট এতো দুঃখ মেনে নেওয়া যায় না।। শেষ হয়েছে আহার, নিদ্রা অনুভূতি সকল, বেদনা সব এক হয়েছে আমায় করছে দখল।  অপাস হয়ে গেছে কন্ঠ মুখে কথা কয় না ।। আঁধার দেখি দুই নয়নে  অশ্রুর বৃষ্টি নেমে, থেমে থেমে চলে নিঃশ্বাস হয়তো যাবে থেমে। সহিতে পারিনা আমি এ যন্ত্রণা সয় না।।

যে সুখের

 যে সুখের (১৪) খাদিজা বেগম যে সুখের নাই রং আকৃতি নাই কোনো স্বাদ আর সুবাস, তবুও সে সুখের জন্য আমরা হয়ে থাকি দাস। যে সুখের নাই সুনিদৃষ্ট  কোন আখ্যা আর ব্যাখ্যা, তবুও সে সুখের জন্য আমাদের বুক করে খা খা। সে সুখ পেতে মানুষ করে   মানুষের সর্বনাশ।। যে সুখ পেতে দিবানিশি  এক করে ছুটছে সবাই, অবুঝ মানুষ কেউ বুঝে না এই দুনিয়ায় সেই সুখ নাই। রাজা ছাড়ে রাজ মহল তার পেতে সেই সুখের নিবাস।। সুখ শব্দটা একটা জাদু মানুষ ঘুরায় ধাঁধাতে, ভালো লাগে এই মানুষকে  বারে বার কাঁদাতে। আমরা সবাই স্বাধীন মানুষ আর থাকবো না সুখের দাস।।

পরকিয়ায়

 পরকীয়ায় (১৩) খাদিজা বেগম পরকিয়ায় পর করে দেয়  আপন মানুষ গুলো, আকাশ সমান নৈতিকতা  সব করে দেয় ধুলো। বিবেক বুদ্ধি সব হারিয়ে  মানুষ হয় অমানুষ, ন্যায় অন্যায় বোধ হারিয়ে সে হয় পাপিষ্ট কলুষ। জীবন যেন হয়ে ওঠে  জাহান্নামের চুলও।। পরকীয়া করে যারা  তারা সাধু সাজে, তাদের জন্য অশান্তি হয়  এই মানব সমাজে। পিতা মাতা হয়েও কেন  পরকিয়ায় দুলো। ঘরের চেয়ে আর নেই কোন  বিশুদ্ধ বিদ্যালয়, সেই ঘরে যদি ভাঙতে থাকো  সন্তান শিখবে কোথায়? কেমন করে নিজ সন্তানের  আগামী দিন ভুলো।।

আমি কাল রাত

আমি কাল রাত (১২) খাদিজা বেগম আমি কাল রাত জেগে ছিলাম  একটি ফোনের আশায়, আসলো না তার কোন ফোন  মন ভাঙলো নিরাশায়। খুব বেশি আশা ছিল না  কেন ফোন দিল না, সব দিয়েছি যারে আমি  সে তো মন দিল না। তারি ঐ নিরব আঘাতে  ঘা হয়েছে হৃদয়।। কেন করে অবহেলা  নিজে হয়ে সাথী? কেন দু'পায় মাড়িয়ে যায়  প্রেমের অনুভূতি। এই প্রাণ পাখি যায় যায় বারে বার বিদায় জানায়।। সারা জীবন যা শিখিনি  তা শিখালে রাতে, নিজের দায়িত্বটা দিতে নেই অন্য কারো হাতে। যুদ্ধ করে বেঁচে রবো  মানবো না পরাজয়।।

জলের উপর

 জলের উপর খাদিজা বেগম  জল ওপর জল পড়েছে  তাই জেগেছে উর্মি, প্রেমের উপর প্রেম পরেছে  তাতে কেন শরমি। শরম লজ্জা রেখে দিও  সকল অপকর্মে, ন্যায়ের সাথে গড়বো জীবন  এটাই আছে ধর্মে। আয়নার মত স্বচ্ছ রেখো  তোমার অন্তর ভূমি।। মেঘের উপর মেঘ জমেছে  নামবে বুঝি বৃষ্টি, প্রেমের উপর প্রেম জমেছে  তাই সরে না দৃষ্টি। জনম জনম আপন থেকো  পর হইয়োনা তুমি।। চোখ বুজনা লক্ষী সোনা পড় চোখের পাতা, তুমি ছাড়া পড়বে কে গো  এই হৃদয়ের কথা। তুমি আমার ভালোবাসা  সবার চেয়ে দামী।।

মদিনাতে

 মদিনাতে খাদিজা বেগম  মদিনাতে বসত করে আমার মনের ময়না, আমি থাকি অন্য দেশে  এমন জ্বালা সয়না। অঙ্গগুলো জিকির করে মদিনা নাম ধরে, পাখি হলে যেতাম উরে  থাকতাম না আর ঘরে। মদিনার ওই জমজমের জল  ভুলে থাকা যায়না।। রাত্রের পরে রাত্রি জেগে  সেজদায় পড়ে থাকি, মদিনাতে যাবো বলে  আল্লা তোমায় ডাকি। তুমি মহান পূরণ করো  এই অধমের বায়না।। মদিনাতে নবীর রওজা  আমি সেথায় যাবো, সেথায় আছে বিশেষ পাথর  আমি চুমু খাবো। আত্ম গাছে বহু আগে  দেহ থাকতে চায় না।।

প্রশ্ন করোনা

 প্রশ্ন করোনা খাদিজা বেগম  কেন তোমায় ভালোবাসি  আমায় প্রশ্ন করো না, সেই প্রশ্নের নেই কোন উত্তর  আমি দিতে পারব না। তোমার মাঝে পেলাম খুঁজে বেঁচে থাকার প্রেরণা, যেমন রাখবে তেমন থাকবো শুধু এই হাত ছেড়না।  আমি তোমার পূজারি ফুল  তোমায় করি আর্চনা।। মনে মনে রাত্রি দিনে  আমি যারে খুজেছি, তোমায় পেয়ে আজ মনে হয় তারে আমি পেয়েছি। তোমায় পেতে করেছি যে  আমি কত প্রার্থনা।। আজ পেয়েছি তোমায় আমি  ছেড়ে কভু যাবো না, তোমার মাঝে মন সপেছি তাই আমার নাই ভাবো না। প্রাণ বাঁচানো নিশ্বাস তুমি  তোমায় ছাড়তে পারবো না।।

তুমি ছাড়া কেউ পারেনা

 তুমি ছাড়া কেউ পারেনা খাদিজা বেগম  তুমি ছাড়া কেউ পারেনা - মাটি ছাড়া বানাতে এই মাটি, তুমি আল্লাহ অদ্বিতীয় -তোমার চেয়ে আর নাই খাঁটি। তুমি ছাড়া কেউ পারেনা - পানি ছাড়া বানাতে এই পানি, তুমি ছাড়া কেউ জানেনা - তোমার এই সৃষ্টির কাহিনী। মানুষ ছাড়া মানুষ- বানিয়েছ তুমি মাটি দিয়ে, কেউ পাবে না কূলকিনারা-তোমাকে নিয়ে ভাবিতে গিয়ে। তোমার কুদরতি মুখে - যাহা বলো তাহা হয়ে যায়, মাটির মানুষ হাটে, আবার মাটিতে মিশে যায়। মাটির দুই খান চোখ- বানিয়ে তাতে দিয়েছ আলো, দেখে শুনে চলি যেন - সকলেরে রাখি যেন ভালো। আকাশ ছাড়া আকাশ - বানিয়েছ স্তরে স্তরে, নানা রঙে রঙ করে- খুঁটি ছাড়া রেখেছে তা ধরে। সেই আকাশে সূর্য আসলে- আলোকিত হয়ে যায় দিন, সেই আলোতে ঘুম ভাঙে - জাগে স্বপ্ন হাজারো রঙিন। আগুন ছাড়া আগুন - জ্বালিয়ে রাখ তুমি গোপনে, কেউ দেখেনি যা নয়নে- আল্লাহ তুমি তা দেখাও স্বপনে।

ব্যবধান

 ব্যবধান খাদিজা বেগম  বুঝালে ও বোঝেনা মন তোমার আমার ব্যবধান,  ব্যাকুল এ মন অকুল হয়ে  করে শুধু তোমায় ধ্যান।। জানি তোমায় ভালোবাসা আমার মহা অপরাধ, তবুও মন ভালোবাসে জেগে জেগে সারা রাত। তোমার ছোঁয়া পাবার জন্য  কান্দে আমার অবুঝ প্রাণ।। তোমার নামটি লইয়া লইয়া দুই নয়নে ঝরে জল, বুকের মাঝে খা খা করে মরুভূমির অবিকল।। প্রেম বিহনে জ্বলছি আমি কেমন করে পাব ত্রাণ।। তুমি থাক রাজপ্রাসাদে আমার ঘরে নাই চালা, আমার বলে আছে আমার তোমায় না পাবার জ্বালা। আমি বন্ধু আমানিশা  তুমি পুর্নিমার ঐ চাঁন।।

হাসির ফাঁসি

 হাসির ফাঁসি খাদিজা বেগম ০৫/১২/২০১৯ মধুর মধুর কথার সাথে  ঝরে যেন জোছনা মুচকি মুচকি হাসি তাহার যেন প্রেমের ঝর্না। ঠোঁটের ডগায় কাব্য গাঁথা কণ্ঠে  মায়াবী সু্র, ঐ পরশে যাদু আছে দুঃখ কষ্ট যায় দূর। ফুলের চেয়ে আরো ভালো  লাগে তারি হাসি, সর্বনাশী কালো কেশী দিলো হাসির ফাঁসি। তবু লাগে ভীষণ খুশি  তাহার মুখের হাসি, তারে কিযে ভালো লাগে কতো ভালোবাসি। এমনি করে আর হেসো না  তারে  করছি মানা, ঐ হাসিতে ফাঁসি হবে   আরো কত জনা ? মিষ্টি মিষ্টি হাসির ছলে হলো হৃদয় হরণ, হারিয়ে গেলাম তাহার মাঝে  হলো আমার মরণ। তার হাসিতে মন উঠানে ঝরে প্রেমের শ্রাবণ, পিপাসিতো মরুর বুকে জাগে সুখের প্লাবন। ঢেউ খেলানো অঙ্গ তাহার প্রনয় ঢেউয়ে ভরা, তার প্রেমেতে মন ডুবেছে  হলাম দিসে হারা। মনে প্রাণে চায় তাহারে খুব আদরে পুষি, তারে চাওয়া হয় যদি দোষ আমি  হবো দোষী?

কেমন করে বুঝাই

 কেমন করে বুঝাই খাদিজা বেগম  কেমন করে বুঝাই তোমায়  তুমি গেলে যায় না সময়, কেমন করে বল না গো আমি বেঁধে রাখব তোমায়? দিবানিশি যপে এই মন  বন্ধু তোমার নামটি ধরে, দিন কাটে না রাত কাটেনা দুই নয়নে অশ্রু ঝরে, তুমি ছাড়া বলবো কাকে এই মন শুধু তোমাকে চায়।। হাতে ধরি পায়ে পড়ি যেওনা গো আল্লাহর দোহাই, তুমি ছাড়া জ্বলে পুড়ে এই দেহ মন সব হবে ছাই। মরার আগেই কেটোনা বাঁশ কবর দিও না গো আমায়।। বিরোহিনীর দুই নয়নে  ঘুম আসেনা একা একা, তুমি ছাড়া দিশেহারা সবি যেন ফাঁকা ফাঁকা। তুমি ছাড়া বাঁচবো না গো নাই তো বাঁচার কোন উপায়।।

দাম্পত্য জীবন

 দাম্পত্যের জীবনে  খাদিজা বেগম  দাম্পত্যের জীবনে আমার কিংবা  তোমার বলে কোন কথ নাই বলতে হবে আমাদের, এই কথাটি  তাই সকলের মনে রাখা চাই। ছেলে হোক মেয়ে হোক কিংবা কোন  সন্তান কখনো নাই বা হোক, এই নিয়ে কেউ কাউকে মন্দ বলনা যে  যা বলে বলুক মন্দ লোক। সুখ হোক দুখ হোক কিংবা তীব্র  অশান্তিতে কাটুক জীবন, তবু কেউ কাউকে দোষী করনা যেন  আদরে মুছিয়ে দাও নয়ন। একজনে অসুস্থ হলে অন্য জনে  তারে সেবা করিও যতনে, একজনে করলে ভুল অন্য জনে  ক্ষমা করে শুধরে দাও গোপনে। দূরত্ব বারাবে না দুজনার মাঝে  ছোট ভুল বড় করে ধরে, একজনের দোষ অন্য জনে ঢাকবে  বুকের মাঝে আড়াল করে। প্রকাশ্যে কেহ তুলনা কারো দিকে  কোন অভিযোগের আঙুল, জীবন সঙ্গীটা ফেরেশতা তো নয়  তার থাকবেই কিছু কিছু ভুল। মান অভিমানের ঝড় ওঠিলে   একজনের অবুঝ হৃদয়, ভালোবেসে কাছে টেনে নিও তারে  ঠাই দিও মনে মিষ্টি কথায় ।  কারো মনে দুঃখ দিয়ে অন্য জনে তোমরা কেউ সুখ খুঁজে নিও না, বোকা ভেবে ধোঁকা দিয়ে হৃদয়ের গড়া বিশ্বাস ভেঙ্গে দিও না। নিজের নাম যেন নিজের হাতে  লিখনা কেউ মুনা...

স্বামী স্ত্রীর

 স্বামী স্ত্রী খাদিজা বেগম স্বামী স্ত্রী দু'জন যেন দুটি ঠোঁটের মতন, একই সাথে বলে কথা একই সুখে হাসে। একই কারণে তারা একটু দূরে সরে যায় আবার একই কামনা নিয়ে দুজনে কাছে আসে। স্বামী স্ত্রী দু'জন যেন দুটি চোখের মতন এক জনের দুঃখে দুজন মিলে কাঁদে, একই সাথে ঘুমায় তারা একই সাথে জাগে একই স্বপ্নে বিভোর থাকে ভালবাসার ফাঁদে। স্বামী স্ত্রী দু'জন যেন দু'চরণের মতন একে অন্যের উপর কিংবা পাশাপাশি, একই সাথে বসে আবার একই সাথে হাঁটে দুজনেই একই হয়ে করে ভালোবাসা বাসি। স্বামী স্ত্রী দু'জন যেন দুটি হাতের মতন দুজন মিলে একই সাথে কাজকর্ম করে, আবার একই সাথে নেয় তারা দুজনে বিরাম সদা প্রস্তুত থাকে তারা একে অন্যের তরে। স্বামী স্ত্রী দু'জন যেন দুটি কানের মতন একই সাথে শুনে তারা একই ঈশ্বরের বাণী, ঈশ্বরকে হাজির নাজির জেনে সদায় তারা শুধু দু'জনেই করে পবিত্র প্রেমকাহিনী। স্বামী স্ত্রী দু'জন যেন একটি নাকের মতন একই সাথে শ্বাস নেয় আবার একই সাথে ছাড়ে, একেই ঘ্রাণে নেশা জাগায় দু'জনের দুটি মনে সেই নেশাতে হারায় প্রেমিক মন বারে বারে। স্বামী স্ত্রী দু'জন যেন রাত্রি দিনের মতন একে অপরের ম...

সত্য বলবোই

 সত্য বলবোই  খাদিজা বেগম আমি সত্য বলবো, আমি সত্য বলবোই কখনো আমি মিথ্যে বলবো না, আমার পিতা-মাতা, কিংবা নিজের বিপক্ষে যদিও চলে যায় তা। মিথ্যা বলে দেবনা অন্যকে কষ্ট হবো না পথভ্রষ্ট কোন বিপথগামী, অবিচল চলে যাবো সত্য পথে মিথ্যার আশ্রয় নেবনা  আমি। আমি মুসলিম, নই কোন মুনাফিক নই তো মিথ্যেবাদী প্রতারক, নিজে ঠকলেও অন্যকে ঠকাবনা হবো না কখনো কারো কাছে ঠক। সত্য হলো সূর্যের আলোর মত নিজের শক্তিতে উদ্ভাসিত, শত মিথ্যায় ঢাকা যায় না সত্য নিজ মহিমায় প্রকাশিত। যখন রাষ্ট্র মানো, সমাজ মানো মেনে চলো পরিবার, ধর্ম, তখন রাষ্ট্রে, সমাজে, পরিবারে গর্ব ছড়ায় তোমার কর্ম। যখন মানবে না রাষ্ট্রের আইন, হাদীস কুরআনের আদেশ, তখনি শুরু হবে ধ্বংসের পালা গর্বিত জীবন হবে শেষ। যখন লড়বে লোভ লালসা আর  কুপ্রবৃত্তির বিরুদ্ধে গিয়ে, আল্লাহ, তোমাকে করবে সম্মানিত ঈমানি শক্তি আরো বাড়িয়ে দিয়ে। যখন লোভে লালসার দিকে ছুটবে পাপে লিপ্ত হয়ে মজা লুটবে, তখনি তোমার ভাগ্যে অপমান অবহেলা আর ঘৃনাই জুটবে। ধর্মের দোহাই দিয়ে কুকর্ম করে ধরা খেলেই বলে দ্বিতীয় বউ, এই সমাজের সাধু সাজা শয়তান ধরা না খেলে তো চিনতো কেউ। হেফাজত ...

শোন মেয়ে

 শোনো মেয়ে খাদিজা বেগম শোনো মেয়ে, মন দিয়ে শোনো- সেই ছেলে ভালবাসেনা, যে তোমার কান্নায় কাঁদে না- তোমার হাসিতে হাসেনা। শোনো মেয়ে তাকে দিও না যে- তোমার মনের তথ্য, যার ভিতরে নাই বিবেচনা- সিটে ফোটা মনুষত্ব। ভাঙ্গ যদি ওই সৃষ্টিকর্তার- কঠোর নিষেধ বাণী, কখনো ফুরাবেনা তোমার- অনুশোচনার পানি। সেই ছেলেটির নাই কোন ধর্ম- নাই তার কোন চরিত্র, যে প্রেমের নামে নষ্ট করে- অমূল্য ধন সতীত্ব। নষ্ট করো না পিতামাতার- ভালোবাসা আর আস্থা, তাদের তুমি কষ্ট দিও না- নিজেকে করো না সস্তা।

পাখি

 পাখি  খাদিজা বেগম  আমার একটি পখি আছে  ভালবাসা তার নাম, ইষ্টু কুটুম আসলে ঘরে  তাদের করে প্রণাম। তার গায় সেও মাখাতে চায় ভালবাসার বদনাম।। সেও বুঝে সেও খুঁজে  একটু ভালবাসা, একটু আদর সোহাগ পেতে  সেও করে আশা। সেও দেখে স্বপ্নের সঙ্গী দিনরাত্রি অবিরাম।। সেও করে ডাকাডাকি একলা থাকতে চায় না, মাঝে মাঝে সেও করে  উড়ে যাবার বায়না। সেও জানে প্রেম বিহনে এই জীবনের নাই দাম। একটু প্রেমের জন্য সেও এই খাঁচাটি ছাড়বে, ভালোবাসার ছোঁয়া পেতে মরার আগেই মরবে। অচিনপুরে যাবে উড়ে যেথায় প্রেমের আঞ্জাম।।