Posts

Showing posts from November, 2024

সুখ পাখি

 সুখ পাখি 🐦  খাদিজা বেগম  কাছের বলে আছে শুধু  দুই নয়নের অশ্রু ধারা, আমার মনে ব্যথা পেলে  ছুটে আসে শুধুই তারা।। এই জীবনের সাথী বলে  আছে আমার রক্ত ঝরা ক্ষত, তা তারাতে চেষ্টা করলাম  মলম দিয়ে ঔষধ খেয়ে কত।  আজ মনে হয় আপন বলে  আমার কেহ নাই তো দুঃখ ছাড়া।। এই নয়নে যা দেখিলাম  তার চেয়েও বেশি করলাম কান্না, আমি থাকবো হাসি খুশি  হয় তো আমার বিধাতাই তা চান না।। তাইতো আমি কেঁদেই চলছি  খুব গোপনে নিদ্রাহীনা রাতে, এই জীবনে আর হবে না  সুখের দেখা বুঝি আমার সাথে। জন্ম নেয়ার আগেই যেন  গেছে আমার সুখ পাখিটা মারা।।

তোমার প্রেমের রথে

তোমার প্রেমের রথে  খাদিজা বেগম  পথ দেখিয়ে নিয়ে চলো  না যাই যেন পথ ভুলে ভুল পথে, এই মুখের সব কথা যেন  বলি আমি তোমার আদেশ মতে। আমায় আমি দিয়ে দিলাম  ওগো দয়াল তোমার কাছে সপে, আমায় কভু ছোঁয় না যেন  এই পৃথিবীর লোভ লালসা পাপে। পাপের পথে নেওয়ার জন্য   কু বুদ্ধি দেয় ওরা শতে শতে।। তোমার আদেশ নিষেধ ছাড়া  আর কিছুই শুনি নাযে কানে,  অন্য কিছু দেখার আগে  তোমায় যেন দেখি গো সব খানে।‌। তোমার দয়া তোমার মায়া  না যায় যেন আমার থেকে সরে,  তুমি আমার রক্ষাকারী  দুঃখ নাই তাই যদিও যাই মরে। যদি পড়ে থাকি পথে  টেনে নিও তোমার প্রেমের রথে।।

হে দয়ালু

 হে দয়ালু  খাদিজা বেগম  হে দয়ালু দয়া করো করো তুমি করুনা আজ, অবহেলা করি না যে আদায় করতে রোজা, নামাজ।। আমি পাপি তোমায় জপি  ক্ষমা পাবার আশায় আশায়, ক্ষমা করো আল্লাহ আমার মৃত্যুর সময় তো এসে যায়। তোমার আদেশ মানা ছাড়া  আমি যেন করিনা কাজ।। মৃত্যু হলে পড়বে ঢলে মাটির দেহ মাটির গায়ে, জীবন মরণ তোমারি দান আমায় রেখো ক্ষমার ছায়ে।। মনে প্রানে চিন্তা ভাবনায়  মানুষ হতে পারি যেন, আমার কথা বার্তায় যেন  কারো কষ্ট হয় না কোন।  কভু যেন ভুলে না যাই  আমি তোমার হুকনের দাস।।।

পথপ্রদর্শক

 পথপ্রদর্শক  খাদিজা বেগম  তুমি আমার পথপ্রদর্শক জান্নাতের ঐ পথটি দেখাও, যেথায় গেছে শ্রেষ্ঠ নবী আমায় নিয়ে সেখানে যাও।। তুমি হিসাব গ্ৰহনকারী আমি মূর্খ তুচ্ছ অতি, আমায় তুমি ক্ষমা করো তোমার কাছে এই মিনতি। তুমি ছাড়া কেউ নাই আমার  হিসাব থেকে আমায় বাঁচাও।। তুমি আল্লাহ মহাজ্ঞানী আমায় তুমি জ্ঞান করো দান, শক্তি দিও সত্যি বলার কবুল করো আমার ঈমান।। এই পবিত্র মুখটি যেন মিথ্যে কথা আর বলে না, এই দু'চরণ কভু যেন পাপের পথে আর চলে না। আমি যেন তাই করি গো তাই বলি গো যা তুমি চাও‌।।

দেখতে ইচ্ছে করে

  দেখতে ইচ্ছে করে  খাদিজা বেগম  যত দেখি তোমার সৃষ্টি চোখ জুড়ায় না ভরে না মন, তোমায় দেখতে ইচ্ছে করে  দিবানিশি যখন তখন।। মুখের কথা চোখের দৃষ্টি আমার সবি তোমারি দান, তুমি আমার দয়ার সাগর তুমি রহিম হে রহমান। তোমার সৃষ্টির এত রং, রূপ  আমায় ভাবায় সারাটা ক্ষণ।। আল্লাহ আল্লাহ এ মধুর নাম ডাকতে লাগে বড় ভালো, যে ডেকেছে মনে প্রাণে সে পেয়েছে পূর্ণ আলো।। তুমি আমার রক্ষাকারী রক্ষা করো আমার ঈমান, লোভ-লালসা ধ্বংস করো হই না যেনো কভু বেঈমান। দয়া করো ক্ষমা করো  আমি চাইনা তোমার শাসন।।

তুমি আকবর

 তুমি আকবর  খাদিজা বেগম  তুমি আমার মালিক আল্লাহ আমি অধম তোমার চাকর, তুমি বিনা কেউ নাই আমার যে রাখিবে আমার খবর। তুমি আমার সৃষ্টিকর্তা আমি তোমার ক্ষুদ্র সৃষ্টি, আমার প্রতি সদায় রেখো এমনি করে দয়ার দৃষ্টি। সহজ করে দিও তুমি  এই জীবনের ছোট্ট সফর।।  তুমি আদেশ প্রদান কারী আমি হুকুম মানা দাসী, তোমার দেয়া সকল আদেশ আমি বড় ভালোবাসি।। তুমি আমার রিযিকদাতা তুমি আমার প্রতিপালক, যেথায় তাকাই দেখিতে পাই তোমার সৃষ্টির মিষ্টি ঝলক। তুমি রহিম হে রহমান  তুমি শ্রেষ্ঠ মহান আকবর।।

একটি প্রশ্ন

 একটি প্রশ্ন  খাদিজা বেগম  একটি প্রশ্ন ভাবিয়া মন  বারেবারে আমার নয়ন কাঁদে, কেন আমায় ছেড়ে গেলে  বলনা গো কোন সে অপরাধে? কষ্ট নামের ঢেউয়ে ঢেউয়ে  ভেঙে পড়ছে আমার বুকের পাঁজর, প্রতারণার দাবানলে  পুড়ে যাচ্ছে আমার সুখের চাদর? নয়নে আজ শ্রাবণের ঢল  বাঁধ মানেনা নয়ন কোন বাঁধে।। কেন কাছে এসে ছিলে  যাবেই যখন তুমি দূরে চলে? কি আনন্দ পেয়েছো গো  তুমি আমায় চোখ ভাসিয়ে জলে? তুমি আমার কৃষ্ণ ছিলে  আমি ছিলাম শুধু তোমার রাঁধে, সেই তুমি আজ বজ্র হয়ে  করছো আঘাত আমার মনের ছাদে। যে হাত দিয়ে করতাম আদর  সেই হাত ধরে কেন ফেলছ ফাঁদে।।

কষ্ট

 কষ্ট খাদিজা বেগম কষ্ট নামের একটি শব্দ লেখা হলো যুক্তবর্ণ দিয়ে,  কত গল্প কবিতা গান  লেখা হলো এই কষ্ট নাম নিয়ে।। কষ্ট কত যন্ত্রনা দেয় দেয় যে কত কুমন্ত্রণা, কষ্ট তীব্র কঠিন কঠোর সে শোনে না কোন সান্ত্বনা। হাজার কষ্ট সঙ্গী করে  তবু মানুষ যায় এগিয়ে।। কষ্ট নামের আগুন আছে তা নিভানোর নাই তো পানি, সেই আগুনে পুড়বে যত ততই অশ্রু ঝরবে জানি।। অধিক কষ্টে হারিয়ে যায় চোখের নিদ্রা মুখের কথা, সারা গায়ে ছড়িয়ে যায় মনের ক্ষত বুকের ব্যথা। নিজের কষ্ট ঢেকে তবু  রাখি মুখে সুখ সাজিয়ে।। কষ্ট নামের হাতিয়ারে ছিনিয়ে নেয় স্মৃতিশক্তি,  সুস্থ সবল মানব জীবন পাপে পাপে হয় আসক্তি।। কষ্টে কষ্টে ভেঙ্গে পরে বাঁচার স্বপ্ন আর মনোবল, জ্যন্ত মরা হয়ে দেহ মরার আগেই হয় যে অচল।।

আমার সকল পূর্ণতা

 আমার সকল পূর্ণতা  খাদিজা বেগম  হাড় কাঁপানো শীতেও যদি  আমি না পাই তোমার একটু উষ্ণতা, তবে আমি বলবো না গো  বলবো না গো তোমার সাথে আর কথা।। ফুল ফোটা ঐ বসন্তকালে  কোকিল হয়ে যদি তুমি না আসো, ভোমর হয়ে ফুলের বনে  গান শুনিয়ে আমার ভালো না বাসো। তবে আমি দেখাবো না  আমার মনের খুব গহীনের প্রেম ব্যথা।। বর্ষাকালের ঐ বৃষ্টিতে  যদি ভিজতে নাহি পারি এক সাথে, তবে আমি রাখবো না গো  আমার এই হাত কভু তোমার দু হাতে।। অগ্নিঝরা গ্রীষ্মে যদি  প্রেম যমুনায় ডুবে যেতে না পারি, তবে তোমার সাথে আমার  চিরতরে আড়ি আড়ি গো আড়ি। তুমি ছাড়া শূন্য সবি  তোমার মাঝে আমার সকল পূর্ণতা।।

বিনয়ী হও

 বিনয়ী হও খাদিজা বেগম  বিনয়ী হও বিনয়ী হও  বিনয়ী ছাড়া মানুষ হয় না কেহ, কৃতজ্ঞতায় ভরে রাখো  তোমার চিন্তা চেতনা আর দেহ।। বিনয় হলো মানুষের গুণ  বিনয়ী ভাব প্রকাশ কর কথায়,  অহংকারী অভদ্র লোক মানুষের প্রাণ বিষিয়ে দেয় ব্যথায়। বড়দের কে শ্রদ্ধা করো  ছোটদের কে করো তুমি স্নেহ।। বিনয় হলো নরম কোমল  শান্ত লোকের সত্য মিষ্টি ভাষা, বিনয়ী লোক ফেরেস্তার বড়  যার কাছে পায় সবাই ভালবাসা।। সকল কথায় কান দিও না  কিছু কথা যাও এড়িয়ে তুমি,  আপন মনে চাষ করে যাও  তুমি তোমার স্বপ্নে দেখা ভূমি। সকল দৃশ্যে চোখ দিও না   পাপি দৃশ্য মনে দাও জবেহ

আশা

আশা  খাদিজা বেগম  আশা নামের একটি ভেলায়  তুমি যদি উঠে বসতে পারো, তোমায় টেনে ফেলে দেবে  সাধ্য নাই তো এই পৃথিবীর কারো।। রাজা হতে রাজ্য লাগে  লাগে রে মন রানী‌ হাতে রাজা, বেঁচে থাকতে আশা লাগে  সেই আশারে লাগে ঘষামাজা। লক্ষ তোমার ঠিক থাকিলে বিজয় নিশ্চিত যতই তুমি হারো।। আসবে তুফান ভাসবে তুমি মাঝে মাঝে ডুববে তোমার ভেলা, সুখে দুখে মানব জীবন  এটাই হলো এই পৃথিবীর খেলা। আসা জাগাও আশা লাগাও  আশা ছাড়া প্রাণ বাঁচে না ভবে, আশায় আশায় প্রাণ ভরে লও আশা দিয়ে জীবন গড়তে হবে। মরার আগে মারবে তুমি  তোমার নিজের আশা যদি ছাড়ো।।

পাখি উড়ে যাবে

 পাখি উড়ে যাবে  খাদিজা বেগম  পুরান পাখি উড়ে যাবে  যাবেরে মন দূর আজানা দেশে, বাসার জায়গায় বাসা থাকবে  বসত করবে নতুন পাখি এসে।। ঘাম ঝরিয়ে ঘুম তারিয়ে  কি যতনে বেঁধেছিলাম বাসা, সুখে দুঃখে থাকবো বলে  বাসা ঘিরে ছিল কত আশা। সেই বসাতে হানা দিলা  মরণ এসে পাখি গেল ফেঁসে ।। একটি একটি খড়কুটা আর তার সাথে প্রেম ভালবাসা মিলে, বাসা বাঁধে উড়াল দিলো উড়ে গেল দূর আকাশের নীলে।। এমনি করেই সব পাখিরা  আপন দেশে যাবে উড়ে উড়ে,  কাছে থাকতে কাছের পাখি  অজুহাতে কেউ রেখো না দূরে।  আপনজনা পর ভেবো না  আপন করে রাখো ভালোবেসে।।

মানসিক ব্যাধি

 মানসিক ব্যাধি  খাদিজা বেগম  পরকীয়া কোন প্রেম নয়  অমানুষের এক মানসিক ব্যাধি, নিজেকে তাই শুধরে নিও তোমার মাঝেও হয়ে থাকে যদি।। মরণ ব্যাধি ক্যান্সার থেকেও পরকীয়া আরো সর্বনাশা, প্রেমের নামে হারায় ঈমান  সৃষ্টিকর্তার হারায় ভালবাসা। বিশ্বাসঘাতক অস্ত্র দিয়ে খনন করে চোখে অশ্রুর নদী।। ঘরের মানুষ পর করে সে  পরের মানুষ নিয়ে বাসা বাঁধে, অবুঝ মনে আগুন জ্বলে  প্রতারকের পরকীয়ার ফাঁদে। প্রতারণার শিকার হয়ে  কাঁদেরে মন দিবানিশি কাঁদে, ভেঙ্গে চুরমার স্বপ্নের সংসার  বিনা দোষে বিনা অপরাধে।। পরকিয়ার অভিশাপে  অভিশপ্ত পুড়ে নিরবধি।।

আমার সকল পূর্ণতা

 আমার সকল পূর্ণতা  খাদিজা বেগম  হাড় কাঁপানো শীতেও যদি  আমি না পাই তোমার একটু উষ্ণতা, তবে আমি বলবো না গো  বলবো না গো তোমার সাথে আর কথা।। ফুল ফোটা ঐ বসন্তকালে  কোকিল হয়ে যদি তুমি না আসো, ভোমর হয়ে ফুলের বনে  গান শুনিয়ে আমার ভালো না বাসো। তবে আমি দেখাবো না  আমার মনের খুব গহীনের প্রেম ব্যথা।। বর্ষাকালের ঐ বৃষ্টিতে  যদি ভিজতে নাহি পারি এক সাথে, তবে আমি রাখবো না গো  আমার এই হাত কভু তোমার দু হাতে।। অগ্নিঝরা গ্রীষ্মকালে  প্রেম যমুনায় ডুবে যেতে না পারি, তবে তোমার সাথে আমার  চিরতরে আড়ি আড়ি গো আড়ি। তুমি ছাড়া শূন্য সবি  তোমার মাঝে আমার সকল পূর্ণতা।।

এখনো

 এখনো  খাদিজা বেগম  এখনও তোমার কথা মনে হলে  মনের উঠান জুড়ে বৃষ্টি নামে, এখনো তোমার কথা ভেবে ভেবে  মন ডুবে যায় তোমার মিষ্টি প্রেমে।। আমাকে ভালোবেসে চলে গেছো  তবু স্মৃতি হয়ে আছো বুকে, সত্যি কি ভালো আছো আমায় ছেড়ে  আছো কি গো অনেক বেশি সুখে? এখনো তোমায় খুঁজি চলতি পথে  আমার সামনে পিছে ডানে বামে।। খুব সহজ করে বলেছিলে সেইদিন  তুমি আমায় ভুলে যেও প্রিয়, এখনো ভুলে যেতে পারিনি তাই  পারলে তুমি ক্ষমা করে দিও।। এখনো অনুভবে পাই তোমাকে  মন খুশিতে নাচে তোমার ঘ্রাণে,  এখনো তোমার হাসির শব্দ এসে  দোলা দিয়ে যায় এই আমার প্রাণে। এখনো তোমার নামে চিঠি লিখি ভালোবেসে ভরে রাখি খামে।।

তোমার চাকর

 তোমার চাকর খাদিজা বেগম ২২/১১/২০১৯ তুমি আমার মালিক আল্লাহ আমি অধম তোমার চাকর, তুমি বিনা কেউ নাই আমার যে রাখিবে আমার খবর। তুমি আমার সৃষ্টিকর্তা আমি তোমার ক্ষুদ্র সৃষ্টি, আমার প্রতি সদায় রেখো এমনি করে দয়ার দৃষ্টি। তুমি আদেশ প্রদান কারী আমি হুকুম মানা দাসী, তোমার দেয়া সকল আদেশ আমি বড় ভালোবাসি। তুমি আমার রিযিকদাতা তুমি আমার প্রতিপালক, যেখানে চাই দেখিতে পাই তোমার সৃষ্টির মিষ্টি ঝলক। যত দেখি তোমার সৃষ্টি জুড়ায় না চোখ  ভরে না মন , দিনে দিনে ইচ্ছে জাগে তোমায় দেখি সারাটা ক্ষণ। মুখের কথা চোখের দৃষ্টি আমার সবই তোমার দান, তুমি আমার দয়ার সাগর তুমি রহিম হে রহমান। আল্লাহ আল্লাহ এ মধুর নাম ডাকতে লাগে বড় ভালো, যে ডেকেছে মনে প্রাণে সে পেয়েছে পূর্ণ আলো। তুমি আমার রক্ষাকারী রক্ষা করো আমার ঈমান, লোভ-লালসা ধ্বংস করো হই না যেনো কভু বেঈমান। তুমি আমার পথপ্রদর্শক জান্নাতের ঐ পথটি দেখাও, যেথায় গেছে শ্রেষ্ঠ নবী আমায় নিয়ে সেখানে যাও। তুমি হিসাব গ্ৰহনকারী আমি মূর্খ তুচ্ছ অতি, আমায় তুমি ক্ষমা করো তোমার কাছে এই মিনতি। তুমি আল্লাহ মহাজ্ঞানী আমায় সুজ্ঞান করো হে দান, শক্তি দিও সত্যি বলার কবুল করো আ...

শীত এসেছে

 শীত এসেছে  খাদিজা বেগম  শীত এসেছে শীত এসেছে  বলছে ভোরের ধোঁয়া ধোঁয়া কুয়াশা, খেজুর গাছে খেজুরের রস  পান করিতে মনে বড় তিয়াসা।। বন্ধু আমার রসের চাষি   গাছে গাছে পেতে রাখে তার হাঁড়ি, শীতের রাতে শীতল ঐ রস  আমায় দিতে বন্ধু আমার আনাড়ি। ঘর ছেড়ে মন তার কাছে যায় পূরণ করতে হৃদয়ের প্রেম পিয়াসা ।। শীত এসেছে হাওয়ায় হাওয়ায়  ঠান্ডা হাওয়া থরথরিয়ে বুক কাঁপে, বন্ধুর ছোঁয়ায় মন গলে যায়  কুসুম কুসুম উষ্ণ প্রেমের ঐ তাপে।। বন্ধু আমার মন বোঝেনা  ব্যস্ত থাকে রসের হাড়ি নিয়ে,  খুব বিপদে পড়ে গেছি  বন্ধুয়ারে আমার অবুঝ মন দিয়ে। বন্ধু আমার খুব আনাড়ি  বুঝালেও সে বোঝেনা প্রেম পাশা।।

প্রেম নেশায় মন

 প্রেম নেশায় মন  খাদিজা বেগম  এই পৃথিবীর সবাই দেখলো  পারুর প্রেমে দেবকে মরে যেতে, কেউ দেখেনি দেবের প্রেমে  পারুর অবুঝ হৃদয় পুড়ে যেতে।। বাসলে ভালো ধরে রেখো  হাত ছেড়ো না জাতের দোহাই দিয়ে,  বাসলে ভালো পাপ করো না লোক জানিয়ে করে নিও বিয়ে। ভালোবাসার মানুষটারে  চায় সকলে আপন করে পেতে।। ভালোবাসা পায়ে ঠেলে  দেবের মত ভুল করে কেউ মরে, পারুর মতো ভুল মানুষকে  ভালবেসে কেউ হাহাকার করে।‌। ভালোবাসা যেন কোন  দুটি দিকে ধারালো এক অস্ত্র,  প্রেম হলেও জ্বালা আবার  না হলেও গায়ে অগ্নি বস্র। দেহের ভেতর মন থাকে না  প্রেম নেশায় মন যখন থাকে মেতে।।

মাটির নিচে

 মাটির নিচে  খাদিজা বেগম  যত উপরে যাওনা কেন  মাটির নিচে তোমাকে যেতে হবে, কোনো ক্ষমতা কারো হাতে নাই  যে ক্ষমতার বলে থাকবে ভবে।। বলতো কোন সে ক্ষমতার  বলে হয়েছ অহংকারী এত, তোমার চেয়ে ক্ষমতাধর  ছিলেন যারা তারা হয়েছে গত। পাপের পিছে না ছুটে আর  তুমি এবার মানুষ হও তবে।। মানব ঘরে জন্ম নিলেই মানুষ তারে বলা যাবে না, মানুষ হলে সেই মানুষে ওই  হারাম খানা কভু খাবে না।।  ঘুড়ির মত উড়ে চলেছ  ঐ বাতাসের বেগে আকাশে, যখন প্রাণ সুতা ছিড়বে  লাভ হবে না কোনো তালাশে। মাটির দেহ মাটির ভিতর  খুব নিরবে গিয়ে লুকিয়ে রবে ।।

সাদা সাদা চুলে

 সাদা সাদা চুলে  খাদিজা বেগম  চলে যাবার সময় হলো  বলছে আমার সাদা সাদা চুলে, প্রস্তুতি নাও বিদায় জানাও বলছে আমার অগুনতি ভুলে।। কালো কালো চুল গুলো  ধীরে ধীরে হয়ে গেলো সাদা,  সাদা হৃদয় দাগ লেগেছে  পাপে পাপে হয়ে গেলো কাদা। অনুতাপে মন কাঁদে সাই তোমার দ্বারে এসে দুই হাত তুলে।। ভুল হয়েছে মাফ করে দাও ওগো রহিম হে রহমান আমার, তোমার ক্ষমার দ্বার খুলে দাও  ভুল হলেও আমি শুধু তোমার।। তোমার হতে এসেছিলাম  আবার আমি তোমার কাছেই যাব, তুমি আমার শেষ ভরসা  তুমি ছাড়া আশ্রয় নাহি পাব।  পথ ভুলে যায় যদি ভুলে  আমায় টেনে নিও তোমার কূলে।।

বুদ্ধিমতী

 বুদ্ধিমতী  খাদিজা বেগম  বিয়ে আমি করবো নাতো  মেয়ে না হয় যদি বিদ্যাবতী, দুধের আলতা চাইনা আমি  হতেই হবে তাকে বুদ্ধিমতী।। তার রঙেতে রঙিন হব তার হাসিতে হৃদয়ের ফুল ফুটবে, মরুর বুকে আসবে জোয়ার  তার ছোয়াতে এই বুকে ঢেউ উটবে। তার নয়নের পাতা খুললেই  ঝাল মলিয়ে উঠবে সোনার জ্যোতি।। শাহাজাদী চাইনা আমি  চাই মানবিক গুণাবলীর মানুষ, যে জন মনে প্রাণে পুষে  ক্ষমা ধৈর্য নৈতিকতার জৌলুস।। তার চাওয়াতে তার পাওয়াতে  মিশে থাকবে আমার চাওয়া পাওয়া, সুখে-দুখে বইবে শুধু  তার আর আমার মাঝে স্বর্গের হাওয়া। আমরা দুজন এই জীবনে  কভু কারো করব নাতো ক্ষতি।।

জীবন প্রদীপ

 জীবন প্রদীপ  খাদিজা বেগম  মোমের মত গলে গলে  ফুরিয়ে যায় আমার জীবন প্রদীপ, একটু জ্বলে একটু নেবে আমার প্রানের প্রদীপ করে টিপ টিপ।। এইতো বুঝে নিভে যাবে  আঁধার হবে আমার রঙিন ভুবন, উঠবে না আর আমার রবি  খুলবে না আর আমার দুটি নয়ন। ডুবো ডুবো করে করে  ডুবে যাবে দেহ নামের এই শীপ।। জ্বলবে না আর জীবন প্রদীপ  বলবে না আর এই জীবনে কথা, ভাসবে না আর জীবনের শীপ চিরতরে ছেড়ে যাবে ব্যথা। যে ব্যথাতে কাঁদত নয়ন  ঝড়ত পানি যখন তখন চোখে, যে ব্যাথাতে জ্বলতো আগুন  খুব নিরবে থেমে থেমে বুকে। এই জীবনের বেদনা সব  চিরতরে হয়ে যাবে সজীব।।

ছোটবেলা

 ছোটবেলা খাদিজা বেগম  ফের পেতে চাই ছোটবেলা  এক বিছানায় ভাই-বোন মিলে ঘুমাবো, একজন একটু কষ্ট পেলে  তারে আদর করে সবাই চুমাবো।। সূর্য ওঠার আগে উঠে  ওজু করে পড়ব নামাজ সকালে, পড়ালেখা শেষ করে রোজ  সবাই মিলে খেলব খেলা বিকালে। সুযোগ পেলেই পড়ার ফাঁকে  আমরা গল্প কবিতা গান জমাবো।। সবার আগে ঘুমাবে যে  সেই ঘুচাতে আমাদের সব বিছানা, ছোটবেলার মধুর বাঁধন  স্বার্থের টানে হয়ে গেছে অজানা।। এখন সবাই ব্যস্ত থাকি  আপন আপন সংসার সন্তান স্বজনে, পর করেছি ছোটবেলা রক্তের বাঁধন মনে রাখি ক'জনে? আয়না সবাই এক থালায় খাই খেতে খেতে জান্নাতের সুখ নামাবো।।

জাহান্নামের বড়ি

 জাহান্নামের বাড়ি  খাদিজা বেগম  আমার বন্ধু বাইন্ধা রাখছে  একটি গাছে দুইটি রসের হাড়ি, সেই হাঁড়ির রস পান করিতে  এই দুনিয়ায় কত পাড়া পাড়ি ।। রসিক জনে রস চিনে তাই  গাছের কাছে হয়ে থাকে নত, ঝড় তুফানে ভাঙ্গে না যে  ওই গাছ আগলে রাখে নিজের মত।  কুয়াশার রাত হিমেল হাওয়া  না হলে গাছ রস দেবে না তারি।। যতই তারে মারো কাটো  কেটে কেটে কারো খন্দ খন্ড, সে পেতে চায় ভালোবাসা  ঘৃণা করে বিশ্বাসঘাতক বন্ড। এক হাঁড়িতে জান্নাতের সুখ  আর এক হাড়ি ভরা অগ্নি লাভা, না ভাবিয়া ধরলে হাঁড়ি  ও বোকা মন তুমি পুড়ে যাবা। সস্তা রসে নিয়ে যাবে  খুব সহজে জাহান্নামের বাড়ি।।

অন্ধ

 অন্ধ খাদিজা বেগম  যখন তুমি অন্ধ ছিলে  তখন ছিলাম তোমার সাথী, হাতে ধরে পথ দেখাতাম সঙ্গে থাকতাম দিবারাতি।। এখন দেখছো তোমার চোখে  নানান রঙের এই দুনিয়া, এখন তুমি যাচ্ছ রেগে আমার মুখের ডাক শুনিয়া। আবর্জনা ভেবেই আমায় যখন তখন মারছো লাথি।। তখন আন্ধ ছিল নয়ন  এখন তোমার বিবেক অন্ধ, এখন আর নাই সেই ফুলের ঘ্রাণ  ব্যবহারে পাই দুর্গন্ধ। চোখে দেখার অহংকারে এখন দেখতে পাও না সত্য, মিথ্যে সুখের নেশায় তুমি  সত্যি সত্যি হলে মত্ত। আবার তুমি অন্ধ হবে বন্ধ হবে মাতামাতি।। বলছি তোমায় থাকতে সময়  ভেতর করো আলোকিত, সেই আলোতে এই পৃথিবী হোক না আবার পুলকিত। লোক ঠকিয়ে লাভ হবেনা  ওরে মূর্খ আত্মঘাতী।।

বিশ্বকাপ

 বিশ্বকাপ খাদিজা বেগম  বিশ্বকাপ বিশ্বকাপ  এলোরে এলো বিশ্বকাপ, জনে জনেতে আনন্দ ঢেউ বিশ্ব জুড়ে খুশীর ছাপ। রাত্রি জেগে দেখব খেলা দেখব খেলা দিন ভরিয়ে, প্রিয় দলের বিজয়য়েতে যাব খুশির সীমা ছাড়িয়ে। দোকানপাটে রাস্তা ঘাটে শুধু খেলার কথা আলাপ। বিশ্বজুড়ে খেলার খুশী  বাতাসে বইছে খেলার ঘ্রাণ, প্রাণে প্রাণেতে বইছে প্রণয়  এই খেলা দেখে জুড়াব প্রাণ।। কেহ বা হারে কেহ বা জিতে  কেহ বা কাঁদে কেহ বা হাসে, তবু খেলার উল্লাসেতে উল্লাসিত হৃদয় ভাসে। তবু এ বুকে আশা রেখেছি  আমরাই পাব বিশ্বকাপ।।

আশার প্রদীপ জ্বালো

 আশার প্রদীপ জ্বালো খাদিজা বেগম  যতটা ক্ষণ ঘুমে থাকি  ততক্ষণি থাকি আমি ভালো, জাগলে দেখি দুই নয়নে  মোর পৃথিবী শুধু কালো।। চিরতরে ঘুমাতে চাই  ঘুম পাড়িয়ে দাও গো অন্তর্যামী, জেগে থাকতে কষ্ট হয় খুব  এভাবে আর পারিনা তো আমি। এই হৃদয়ে দাও জ্বলিয়ে  ভালোবেসে তোমার প্রেমের আলো।। কি বা হবে চেয়ে থেকে  দেখি যদি সব অন্ধকার, আপন বলে ছিলো যে জন  এখন তো সে আর নেই আমার।। যতই বুঝাই এই মনটাকে  মন মানে না কোন যুক্তি, এ যন্ত্রণা সহেনা আর প্রাণ চায় বারে বারে মুক্তি। প্রাণ বাঁচানো প্রিয় আমার  এই বুকে ফের আশার প্রদীপ জ্বালো।।

কোকিল পাখি

 কোকিল পাখি  খাদিজা বেগম  তুমি আমার কোকিল পাখি  তোমার ডাকে ফাগুন আসে ফুল ফোটে, তোমার মুখের মিষ্টি সুরে  ফুলে ফুলে ভোমরা বসে প্রেম লোটে।। তুমি এলে পৌষ মাস আসে আমার অঙ্গে অঙ্গে কাপন ওঠে খুব, তুমি এলে জোয়ার আসে  সেই জোয়ারে ভেসে ভেসে মন দেয় ডুব। তুমি আমার পূর্ণিমা রাত তোমার ছোঁয়ায় জোসনা ঝরা চাঁদ ওঠে।। তুমি আমার এমন একজন  যারে একদিন না দেখলে দুই চোখ কাঁদে,  যার সাথে মন মনে মনে  হারিয়ে যায় যখন তখন অবাধে।। তুমি আমার শরৎ ঋতু  সাদা সাদা মেঘের ভেলা আকাশে, তুমি আমার নদীর দুই কূল  প্রাণ জুড়িয়ে হাটি তোমার বাতাসে। তুমি আমার বাঁধ ভাঙা জল তোমার জলে মরুর বুকে ঢেউ ছোটে ।।

বাহু পেতে ধরো

 বাহু পেতে ধরো  খাদিজা বেগম  ভেঙ্গে যখন পড়ে যাবো  তুমি আমায় বাহু পেতে ধরো, কষ্ট পেলে কাঁদবো যখন  চোখ মুছিয়ে একটু আদর করো।। কষ্টের ওপর আরো কষ্ট  কোনদিনও তুমি দিও নাকো,  হাজার কষ্ট দূরে ঠেলে  তুমি আমার তোমার মনে রাখো।  ভুল করে ভুল হয়ে গেলে  ক্ষমা করে ভালোবেসো আরো।। অসুখ হলে পাশে থেকো  হাত বুলিয়ে দিও আমার মাথায়, এই জীবনে আর কিছু নয়  সুখে-দুখে পাই যেন গো তোমায়।। দুঃখ কষ্ট ভয় করিনা  আমার হাতে থাকলে তোমার ওই হাত,  খুব নিরাপদ লাগে আমায়  জান্নাতের সুখ অনুভব হয় দিন রাত।  তোমার আমার এই বাঁধনটা  থাকে যেন আমরা মরার পরও।।

কঠিন শাস্তি

 কঠিন শাস্তি খাদিজা বেগম  নয়ন খুলে যা দেখি সব চারিদিকে শুধু তোমার নেয়ামত, পা বাড়িয়ে সামনে চলি  এত আমার প্রতি তোমার রহমত।। হাত বাড়িয়ে যা ধরি হব তার পেছনে শুধু তুমি আর তুমি, সাগর পাহাড় ঝর্না দিয়ে   সাজিয়েছো তুমি সুন্দর এই ভূমি। তোমার আদেশ তোমার নিষেধ  তোমার বানী আমার কাছে আমানত।। বিবেক বুদ্ধি সব দিয়েছো  চলতে যেন পারি আমি সুপথে, পাপে ডুবে যাই না যেন কথা বলি না যে তোমার দ্বিমতে।। ভুলে তবু পথ ভুলে যাই  তোমার ভয়ে আমি শোধরাই নিজেকে, ক্ষমার আশায় কাঁদি সেজদায়  পাপ ছেড়ে দেই আমি তোমায় না দেখে। যেমন তোমার অসীম দয়া  তেমন কঠিন শাস্তির আছে আলামত।।

আগুন দিও না

 আগুন দিও না  খাদিজা বেগম  পুষ্প হলে ঝরে যেতাম  পাখি হলে মরে যেতাম তাই হয়েছি আমি তোমার কবিতা, প্রেম মাখিয়ে সোহাগ দিয়ে একে একে পড়ে নিও সবিতা।। ঝর্না হলে ঝরে যেতাম  বৃষ্টি হলে পড়ে যেতাম তাই হয়েছি আমি তোমার গানের সুর, ভালোবেসে শুনলে আমায়  তোমার দুঃখ কষ্ট হয়ে যাবে দূর। সুরে সুরে কোরআন পড়ি  স্রষ্টার সুরে জীবন গড়ি, সুর ভেঙ্গো না তোমার কাছে দাবি তা।। উর্মি হলে ভেঙ্গে যেতাম  বরফ হলে গলে যেতাম তাই হয়েছি ভালোবাসা তোমারি,  ভুল করেও ভুলো না যে তোমার মাঝে আমার বসত ঘরবাড়ি।। সূর্য হলে ডুবে যেতাম  আগুন হলে নিভে যেতাম  তাই হয়েছে আমি তোমার ভাবনা,  দিনে রাতে মিশে রব  তোমায় ছেড়ে আমি কভু যাব না। মানুষের মন মোমের মতন  মনে আগুন দিও নাতো ললিতা।।

নিকোটিনের ধোঁয়া

 নিকোটিনের ধোঁয়া  খাদিজা বেগম  যেদিন তোকে দেখেছিলাম  সেদিন থেকেই তোর প্রেমেতে পুড়ে, নিকোটিনের ধোঁয়া হয়ে  আমার জীবন যাচ্ছে উড়ে উড়ে।। আগে যদি জানতাম আমি  তোরে দেখে লাগবে আগুন প্রাণে, ডানা মেলে মন পতঙ্গ  উড়াল দেবে তোর আগুনের ঘ্রানে। তোর চলার পথ ছেড়ে আমি  চলে যেতাম যোজন যোজন দূরে।। কত কথা বলে এ মন  রাত্রি জেগে একলা একলা রাতে, কোন কথা বলে না মুখ  দেখা হয়ে যায় যখন তোর সাথে।। দেখলে তোকে চেয়ে থাকি  দুই নয়নে পরে নাতো পলক,  পুড়ে পুড়ে ড়ে ছাই হয়ে যাই  তবু দেখতে চাই তোর রূপের ঝলক। তোকে দেখে জন্য এ মন  দিবানিশি দিগ্বিদিক ঘুরে।।

প্রেমের উপবাসে

 প্রেমের উপবাসে  খাদিজা বেগম  পায়ের চিহ্ন গায়ের গন্ধ  সবি তোমার আগের মতই আছে, মুখের হাসি হাতের কাঁকন  আজো শুনি আমার কানের কাছে।। এখন শুধু নাই গো তুমি  চলে গেছো যোজন যোজন দূরে, তোমার স্মৃতি আগুন হয়ে  দিবানিশি আমায় হৃদয় পুড়ে। তুমি ছাড়া আমি যেন  পরিণত হয়ে গেছি লাশে।। ঘরে আমার মন বসেনা  বাইরে আমার ভাল্লাগেনা কিছু, তোমায় ছাড়া প্রাণ বাঁচে না  নয়ন ঘুরে তোমার স্মৃতির পিছু।। কথা দিয়ে ভুলে গেছো  চলে গেছো না ফেরার ঐ দেশে, তুমি ছাড়া শূন্য বুকটা  ভরে গেছে আজ হাজারো ক্লেশে। মন মরে যায় ছটফটিয়ে  ওগো তোমার প্রেমের উপবাসে।।

অহংকারে উড়ছ তুমি

 অহংকারে উড়ছ তুমি  খাদিজা বেগম  তুমি যারে শত্রু ভেবে  তাড়িয়ে দাও তোমার থেকে দূরে, সে জন তোমার বন্ধু ছিল  তোমার শত্রু তোমার অন্তর জুড়ে।। তাইতো তুমি কথায় কথায়  বলছো মিথ্যা যাচ্ছো এত রেগে, অহংকারে উড়ছ তুমি  একবার দেখ বিবেক নিয়ে জেগে। আপনারে রেখে তুমি  ভুল করেছো পরের পিছে ঘুরে।। আগে নিজে শুধরে নিয়ে  অন্যজনার ত্রুটি ধরো পরে,  মানুষ হতে পার বে নাতো  হিংসা, নিন্দা, পরো চর্চা করে।। নিজ দায়িত্ব পালন করো  ভেবেচিন্তে নৈতিকতার সাথে, তোমার জন্য ঝরে না যে  দুঃখের অশ্রু কারো আঁখি পাতে। অন্যের ক্ষতি করতে গিয়ে  আর ফেল না নিজের কপাল পুড়ে।।

ভালবাসায় ঘিরে

 ভালবাসায় ঘিরে  খাদিজা বেগম  প্রেম পিপাসায় কাতর হয়ে  বারেবারে আসি তোমার নীড়ে, তাড়িয়ে দাও যতই আমার  আমি তবু আসি ফিরে ফিরে।। তোমায় কত ভালোবাসি  তা বোঝাবার নাই তো কোন ভাষা,  বকো জগো জাই কর তাই  আমার কাছে লাগে ভিশন খাসা। কত ভালো বাসি তোমায় পারতাম যদি দেখাতাম বুক চিরে।। তোমায় শুধু বাসবো ভালো  আর কিছু নাই চাওয়া পাওয়া আমার, দূর থেকেই বাসবো ভালো  নাইবা আমায় কাছে ডাকলে তোমার।। এই হৃদয়ে তোমার বাড়ি  দিবানিশি তোমার চলাফেরা, এই নয়নে তুমি আমার  সুনয়না সবার চেয়ে সেরা। রিদ মাজারে রাখছি তোমায় খুব যতনে ভালোবাসায় ঘিরে।।

মীর জাফর

 মীর জাফর  খাদিজা বেগম  তুমি কেন ভুলে যাচ্ছ তোমার চলছে কিছু দিনের এক সফর, তুমি কেন হয়ে যাচ্ছ ঘৃণিত লোক বিশ্বাসঘাতক মীর জাফর?? সফর শেষে ফিরতে হবে  যেতে হবে তোমায় আপন ঠিকানায়,  কোন কারণে পাপি হচ্ছ  কেন নিচ্ছ এত পাপের দায় মাথায়? আপন আপন ভাবছো যাদের  তারা সবাই পরের চেয়েও আরও পর।। আপন বলতে আছে শুধু  তোমার অঙ্গে দিয়ে করা কর্মফল, কর্মফলে ছাড়বে না তো  তুমি যতই ফেলো তোমার চোখের জল।। পাপের পথের সুখের চেয়ে  পূণ্য পথের দুঃখ ভালো চিরকাল, তাতেই তোমার মানব জনম  ধন্য হবে ভালো থাকবে তোমার পরকাল। সোনার অঙ্গ পচে যাবে  পোকায় খাবে কেউ নেবে না সেই খবর।।

বাসলে ভালো

 বাসলে ভালো  খাদিজা বেগম  ভালবাসি ভালবাসি  বললে কি আর ভালোবাসা হবে? বাসলে ভালো ভালোবাসার  মানুষের ভুল ক্ষমা কর তবে। দামি দামি গাড়ি বাড়ি  দিলে কি আর দিল মিলে যায় কারো? দিল পাবেনা তুমি কভু  যদি অশ্রু না মুছাতে পারো। ভালোবাসা পবিত্র খুব  তা পাবে না পাপি লোকে ভবে।। ভালোবাসা ত্যাগে বাঁচে  ভোগে ভোগে ভালোবাসা মরে, স্বার্থ অর্থ বোঝেনা প্রেম  নিজের জীবন বিলাই অন্যের তরে।। সবার উপর ভালোবাসা  তার উপরে নাই পৃথিবীর কিছু, বিশ্বাস ছাড়া প্রেম হবে না  বিশ্বাসঘাতক ছুটে পাপের পিছু। আসল প্রেমিক দেহ চায় না  সে মন পাবার অপেক্ষাতেই রবে।।

এ আমার ইবাদাত

 এ আমার ইবাদাত  খাদিজা বেগম  আমি মানি না মানি না মানুষের ভেদাভেদ  তোমাদের ঐ সমাজ আর ধর্মের নীতি, যেখানে নাই ভালবাসা দয়া, মায়া আর প্রেম নাই মানুষে মানুষের মাঝে কোন সম্প্রীতি। আমি মানি না মানি না কোনদিনও মানবো না গুম, খুন, করা দল চাঁদা তোলা রাজনীতি, যে নেতা নেত্রীদের ভেতরে নাই ইনসাফ  মনে মনে শুধু খাই খাই মুখে স্বদেশ প্রীতি।  আমি মানি না মানি না তাদের মানুষ বলে  ও যারা স্বার্থ ছাড়া তার নয়নে দ্যাখে না,  এই পৃথিবী এই ধর্ম সবি মানুষের তরে  তবু ওরা মানুষেরে এখনো বড় দ্যাখে না?? আমি মানি না মানি না তাদের বিবেক আছে  বিবেকবান লোকের থাকে কথা কাজে মিল, তারা ধর্ষণ কারী নেতার নেতৃত্বে  কভু করতে পারে না মিটিং আর মিছিল। আমি মানি না মানি না আমার গর্ভধারী  আর আমার রাষ্ট্র আমার চোখে সমান,  এই পৃথিবীর বড় মা মায়ের বড় রাষ্ট্র  রাষ্ট্রের জন্য মা দেয় ছেলে বলিদান। আমি মানি না মানি না পরদেশে পরবাসে  রোহিঙ্গা হয়ে থাকা মানুষে হাসতে পারে,  কানায় কানায় মন হাসি খুশিতে ভরে  পরদেশে আপনার মতন বাঁচতে পারে। আমি মানিনা মানিনা দল...

বৃষ্টি ভেজা

 বৃষ্টি ভেজা  খাদিজা বেগম  বৃষ্টি ভেজা ঠান্ডা হাওয়া যেন কেমন কেমন লাগে, এমন ক্ষণে মনে মনে কি যেন কি ইচ্ছে জাগে।। দিন কাটে না রাত কাটে না কাটে না যে সকাল-বিকাল, বৃষ্টির ছন্দে মন আনন্দে লাগে শুধু মাতাল মাতাল। এত অস্থির হয়নি এমন  ওগো তোমায় দেখার আগে।। গুন গুনিয়ে গান শুনিয়ে অলি ছুটে ফুলে ফুলে, কল কলিয়ে ছুটে যায় ঢেউ নদীর গভীর থেকে কূলে।। তেমনি এমন ছুটে চলে তোমার পানে অবিরত, তোমায় ছাড়া পুড়ে পুড়ে হৃদ মাঝারে প্রেমের ক্ষত। অলি হয়ে উড়ে এসো  তুমি এসো পুষ্প বাগে।।

অ্যাম্বুলেন্স

 অ্যাম্বুলেন্সের সাইলেন্স  খাদিজা বেগম  অ্যাম্বুলেন্সের সাইলেন্স শুনে  অশ্রু ঝরে ঝর ঝরিয়ে,  বারেবার চোখ মুছিলেও অশ্রু ঝরে গড় গড়িয়ে।। অ্যাম্বুলেন্সে করে আমি  নিয়েছিলাম হাসপাতালে, বাবা আমার আর ফেরেনি  চলে গেছে চিরকালে। এখন আমি বেঁচে আছি বাবা হারা শোক জড়িয়ে।। আমি যদি আগে জানতাম বাবা আমার ফিরবে না আর, আমার সাথে বেঁধে রাখতাম  একই সাথে থাকতাম আবার।। হয়তো থাকতাম ওই কবরে  নয়তো থাকতাম পৃথিবীতে, বাবা ছাড়া হত না তো  এভাবে দিন রাত কাঁদিতে। আজও হাসতে পারিনা তো  বাবা তোমার শোক সরিয়ে।।

তার সনে

 তার সনে খাদিজা বেগম  সোনার পাখি পুষে রাখি দিবানিশি কত আদর যতনে, হারিয়ে যে না যায় পাখি  তাইতো রাখি দুই নয়নে নয়নে।। বন্দি করে রাখি নিতো  গুনা কিংবা লোহার কোন পিঞ্জিরায়,  মন উঠানে রাখছি তারে  যেন পাখি কোন কষ্ট না পায়। তবু পাখি ফন্দি করে  আমায় ছেড়ে চলে যাবে গোপনে।। যে যাবার সে চলে যাবে  হাজার ভালো বেসেও রাখা যাবে না, নিজ থেকে যে পালিয়ে যায়  কভু তারে কেহ খুঁজে পাবে না।। সে আসেনি থাকার জন্য  জেনেশুনেই তারে রাখতে চেয়েছি, সে তো সদা নির্দোষ নির্ভুল  আমার ভুলেই আমি ব্যাথা পেয়েছি। সে আমাকে নিয়ে এলো  আবার আমায় নিয়ে যাবে তার সনে।।

তোমার ঋণের বোঝা

 তোমার ঋণের বোঝা  খাদিজা বেগম  কোনদিনও পারব না মা  শোধ করিতে তোমার ঋণের বোঝা, আমার জন্য করছ দোয়া  করছ মানত রাখছো কত রোজা।। আমার জন্য কেঁদেছ মা বিধাতার পায় মাথা রেখে রাতে,  কত কিছু চেয়েছ মা আমার জন্য তোমার মোনাজাতে। এখন আমি মা হয়েছি  তাই বুঝেছি মা হওয়া নয় সোজা।। কতশত রাত জেগেছো  অসুখ হলে আমার খেয়াল রাখতে, কত কান্না করেছ মা শুধু আমার মুখের হাসি দেখতে।। তোমার হাসি রাখবো ধরে  তোমায় কাঁদতে দেব না আর আমি, তুমি মাগো অমূল্য ধন  তোমার মুখের হাসি অনেক দামি। মাগো তোমার পায়ের নিচে  আছে আমার ঐ জান্নাতের দরোজা।।

অভিশাপ দাও

 অভিশাপ দাও  খাদিজা বেগম  আজকে আমি দোয়া চাইনা  চাইনা তোমার কাছে ক্ষমা,  আমায় তুমি অভিশাপ দাও  তোমার দুই হাত তুলে ওমা।। তোমার দেয়া অভিশাপে  ধ্বংস হোক এই দুঃখী কপাল, শেষ হয়ে যাক অমানিশা  জেগে উঠুক নতুন সকাল। নিপাত যাক এই বুকের কষ্ট  যা রয়েছে বুকে জমা।। অভিশাপে অভিশাপে  মরে যাক সব দ্বিধা দ্বন্দ্ব,  জীবন থেকে হারিয়ে যাক  এই জীবনের সকল মন্দ।। অভিশাপ দাও অভিশাপ দাও  চাই না তোমার কাছে দোয়া, তোমার দেয়া অভিশাপে  পূরণ হবে মনের চাওয়া। বৃষ্টির মত অভিশাপ দাও দিও না মা দাড়ি কমা।।

চোখ রাঙিয়ে

 চোখ রাঙিয়ে  খাদিজা বেগম  চোখ রাঙিয়ে শাসন করা  এতো আমার প্রতি তোমার অধিকার, শাসন কারার আগে তুমি  ভালো করে ভেবে নিও বারে বার।। অকারণে করলে শাসন শান্ত এ মন হয়ে যাবে বিদ্রোহী, আর হবে না ভালোবাসা  পাবেনা আর আমার মাঝে আরোহী। সুশাসনের সুন্দর জীবন  তোমার কাছে আশা করে মন আমার।। এই জীবনে আসবে তুফান  অশ্রু জলে ভেসে যাবে দুই নয়ন, চোখ মুছিয়ে কাছে রেখো জনম জনম পাশে থাকো আমরণ। ভুলে ভরা এই জীবনটা  তোমার ক্ষমা ছাড়া হবে যে ছারখার।।

ঘর ছেড়েছি

 ঘর ছেড়েছি  খাদিজা বেগম  যার হাত ধরে ঘর ছেড়েছি  পথের মাঝে সেই যদি দেয় হাত ছেড়ে, তার আগে এই জীবন আমার  যেন মরন নামের বন্ধু নেয় কেড়ে।। যার ভরসায় রক্তের বাঁধন  ছেড়ে এলাম থাকবো বলে শান্তিতে, সেই যদি দেয় আমায় কষ্ট  রাখে না খোঁজ আমার মনের ক্লান্তিতে। কথায় কথায় ধোমক দিয়ে  থাপ্পর মারার জন্য আসে সেই তেড়ে।। এত ভালোবেসেও যদি  একটু ভালোবাসা না পাই আমি তার,  তার ঘরেতে থেকেও যদি  প্রেম পিপাসায় হৃদয় করে হাহাকার।। তবে আমি ভুল করেছি  ভুল মানুষের হাত ধরেছি ঠিক ভেবে, তাইতো আমার জীবন প্রদীপ  এসব কথা ভেবে জ্বলে আর নেবে। আমার মতো ভুল করিলে  সুখের আশায় দুঃখ যাবে যে বেড়ে।।

আজো দেখতে পাওনি

 আজো দেখতে পাওনি  খাদিজা বেগম  খুঁটি আছে বেড়া আছে আছে আমার ঘরের ছাউনি,  দেখার মত দৃষ্টি নাই তাই  তুমি আজো দেখতে পাওনি।। খুঁটির ভেতর খুঁটি আছে  বেড়ার ভিতর আছে বেড়া, তার ভিতরে আর বাহির  ওই অদৃশ্য এক ক্যামেরা। আমি আছি সব জায়গাতে শুধু তুমি দেখতে চাওনি।। মনের মনিকোঠা থেকে  এই আমাকে যে চেয়েছে, আমি তো তার হয়ে গেছি  এই আমাকে সে পেয়েছে।। আমার কাছে আছে ক্ষমা  দয়া মায়া ভালোবাসা, তাকে আমি সব দিয়েছি  যে করেছে পাবার আশা। আজও কেন শুদ্ধ মনে  তুমি আমায় হয়ে যাওনি।।

না ভাবিয়া

 না ভাবিয়া  খাদিজা বেগম  আগে পিছে না ভাবিয়া  ভুল করেছি আমি তারে মন দিয়া,  এখন আমার দিবানিশি  কান্দে নয়ন জ্বলে পুড়ে যায় হিয়া।। যাচাই বাছাই না করিয়া  শুধু বিশ্বাস করেছিলাম তার কথা, আজ বুঝেছি বিবেক থেকেও  বিবেকহীনাই ছিলাম তখন অযথা।  ভালোবাসার ফাঁদে ফেলে  আমাকে সে নিঃস্ব করল সব নিয়া।। প্রথমে সে মন নিয়েছে  মিষ্টি মিষ্টি মিথ্যা কথার ছলনায়, পরে হাজার প্রতিশ্রুতি  স্রষ্টার কসম করে মিলন মোহনায়। প্রথম প্রথম বলেছিল  বাঁচবে না সে আমায় বিনে একটি দিন, সব নিয়ে সেই পালিয়েছে এখন তারে খুঁজে পাই না কতদিন।। নিজের ভুলে সব হারাইয়া  কান্দো কেন মন অন্যকে দোষ দিয়া।।

শেষ বিদায়ের খবর

 শেষ বিদায়ের খবর  খাদিজা বেগম  খুব সকালে ঘর ছেড়েছি আবার ফিরে আসব বলে ঘরে, কতজনেই ফিরবো না আর  চলে যাব না ফিরিবার তরে।। মন জানো না জানো নারে  তুমি তোমার শেষ বিদায়ের খবর, জানলে তুমি রাখতে ধরে  তোমার মাঝে সততা আর সবর। ফুলের মত কখন যেন  তোমার জীবন যায় নিরবে ঝরে।। ঘুমের আগে কত জনা  ভেবেছিলো খুব সকালে উঠবে, রাতের শেষে ঘ্রাণ ছড়িয়ে  যখন গাছের ফুলগুলো সব ফুটবে।। ফুল ফুটেছে ঘ্রাণ ছুটছে  ঘুম ভাঙেনি তবু অনেক লোকের, হঠাৎ করে কানে আসে  লোকের চিৎকার স্বজন হারা শোকের। তুমি আমি চলে যাচ্ছি  ধীরে ধীরে নিজের অগোচরে।।

পথ খুঁজে লও

 পথ খুঁজে লও  খাদিজা বেগম  ও হে পথিক পথ খুজে লও এটা তোমার অস্থায়ী ঠিকানা, চাইলে তুমি জিরাইয়া লও যখন তখন জাগবে প্রাচীর সীমান।। যার চোখেতে যে দেখেছে  তার পথ চলা পথের শেষের ওই দেয়াল,  এই পৃথিবীর ক্ষুধা তৃষ্ণা  রং রূপ থেকে সে হয়েছে বেখেয়াল। যখন তখন যেথায় সেথায়  চিরনিদ্রায় সে শুয়েছে বিছানা।। গোড়া কাঁটা লতার মতন  ধীরে ধীরে হয়ে যাবে অদৃশ্য, খুব নীরবে এই নিদারুণ  দৃশ্য দেখবে চেয়ে চেয়ে এই বিশ্ব। ঘুম ভাঙাতে পারবে না কেউ  পথ না খুঁজে চোখ বুজনা,  কোন ভরসায় ঘুমাও তুমি  কেনো নিজের পথ খুঁজো না?  আজ ঠিক করে লাও এখনই  তোমার পথের ঠিক নিশানা।।

চ্যাম্পিয়ন

 চ্যাম্পিয়ন  খাদিজা বেগম  ৫+৫+৫+৫ চ্যাম্পিয়ন চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ চ্যাম্পিয়ন,  বারে বারেই রেখেছে তার বিশ্ব মাঝে নিদর্শন।। ভাষার মাঠে বায়ান্নতে চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ, মায়ের কথা বাঁচাতে গিয়ে কত ছেলেরা হয়েছে শেষ। বিশ্বজুড়ে এখনো আছে জ্বলন্ত সেই উদাহরণ।। চ্যাম্পিয়ন ঊনসত্তর এর গণঅভ্যুত্থানে, একাত্তরে যুদ্ধে জয়ী জয়ের নেশা এই প্রাণে প্রাণে।। নব্বই এর চ্যাম্পিয়ন ঐ স্বৈরাচারী ধ্বংস করে,  আবারো সেই স্বৈরাচারীরা দেশের বুকে শোষণ করে। ফের আমরা চব্বিশ এ দূর করেছি দুঃশাসন।। আমরা বীর মহা যোদ্ধা ভয় করিনা হেরে যাবার,  লড়াই করে বাঁচতে জানি ঘুরে দাঁড়াতে জানি আবার। ন্যায়ের পক্ষে লড়ব সদা ভয় করিনা তাতে মরণ।।

অভিশাপ দাও

  অভিশাপ দাও  খাদিজা বেগম  আজকে আমি দোয়া চাইনা  চাইনা তোমার কাছে ক্ষমা,  আমায় তুমি অভিশাপ দাও  তোমার দুই হাত তুলে ওমা।। তোমার দেয়া অভিশাপে  ধ্বংস হোক এই দুঃখী কপাল, শেষ হয়ে যাক অমানিশা  জেগে উঠুক নতুন সকাল। নিপাত যাক এই বুকের কষ্ট  যা রয়েছে বুকে জমা।। অভিশাপে অভিশাপে  মরে যাক সব দ্বিধা দ্বন্দ্ব,  জীবন থেকে হারিয়ে যাক  এই জীবনের সকল মন্দ।। অভিশাপ দাও অভিশাপ দাও  চাই না তোমার কাছে দোয়া, তোমার দেয়া অভিশাপে  পূরণ হবে মনের চাওয়া। বৃষ্টির মত অভিশাপ দাও দিও না মা দাড়ি কমা।।

প্রেম ছাড়া প্রাণ

প্রেম ছাড়া প্রাণ  খাদিজা বেগম  প্রেম ছাড়া প্রাণ বাঁচে না গো  আমি তোমায় বলেছিলাম বারেবার, এক বিন্দু প্রেম দাওনি তবু কেমন প্রেমিক মন বোঝো না প্রেমিকার?? মন মরেছে সেই তো কবে  তোমার থেকে পাওয়া তুচ্ছ তাচ্ছিল্যে, তোমার কাছে প্রেম চেয়ে রোজ  মাসুল দিলাম চোখের জলের অমূল্যে। ভালবাসায় অন্ধ হয়ে  আমি পেলাম ঐ কবরে অন্ধকার।। থাকো থাকো তুমি থাকো  পৃথিবীতে থাকো মেতে আনন্দে, ঝরে পড়া পুষ্প আমি  মন ভরাতে পারবো আর সুগন্ধে।। প্রেমের তৃষ্ণায় কাতর করে  তুমি চলে গেছ অন্য ঠিকানায়, পাথর বেঁধে ডুব দিয়েছি  কষ্ট থেকে বাঁচার কোনো অজানায়। হয়তো বা ভুল ভাঙবে একদিন  সেদিন আমায় পাবে নাতো ফের আবার।।