Posts

Showing posts from July, 2023

আমি জানি জানি নিশ্চিত

 আমি জানি জানি নিশ্চিত খাদিজা বেগম  আমি জানি জানি নিশ্চিত আজকে আছি কাল রব না, তাইতো আমি মানুষ হবো  অন্য কিছুই আর হব না।। যাই হোক না ঐ অমানুষ রাজনীতিবিদ কিংবা ব্যবসায়ী, এই পৃথিবীর বিশৃঙ্খলার  জন্য শুধু ওরাই দাই। ও অমানুষ কেন তুমি তোমার কর্ম ফল ভাবনা।। ডাক্তার কিংবা ইঞ্জিনিয়ার শেষ বিচারে মূল্য নাই তার, কেউ দেখবে না তোমার দেহ খুজবে না কেউ সনদ পেপার। তোমার জন্য কত জনা সহ্য করলো বিড়ম্বনা।। অর্থ,বিত্ত সবি চিনলা চেনোনি ওই সহজ মানুষ, খুব সহজে যাদের ঠকাও ওরাই সত্যি কারের মানুষ। খুজলে পাবে সরল চোখে মানুষ হবার সম্ভাবনা।।

অপবাদ দেয় যদি লোকে

অপবাদ দেয় যদি লোকে খাদিজা বেগম  অপবাদ দেয় যদি লোকে  দেউক না আরও, দেউক না আরও, তুমি শুধু আমারি প্রেম তুমি নও তো অন্য কারও।। তোমায় আমি ভালোবাসি  লোকের কথায় কি আসে যায়, আমার ভালো চায়না লোকে তোমায় আমার হৃদয়ে চায়। প্রেমের কথা বলো প্রিয়  লেখক কথা এখন ছাড়ও।। লোকের কথায় প্রেম ছেড়েছে এমন প্রেমিক কি কেউ আছে? লোকে যত বাঁধা দিবে ততই আমরা আসবো কাছে। এই দুজানার মিল করে দাও  যদি তোমরা কেহ পারও!! আমরা দুজন দুজনারি  থাকবো জনম জনম ধরে, ভালোবেসে বেঁচে থাকবো  ভালোবেসে যাবো মরে। মরার ভয়ে প্রেম ছাড়বো না যদি ওগো আমায় মারও।।

গৃহিণী

 গৃহিণী  খাদিজা বেগম স্বামীর ঘরের বউ হয়েছি স্বামীর ঘরের এক গৃহিণী, অনাদর আর অবহেলায়  দিন কেটে যায় প্রতিদিনি। খুব সকালে উঠতে হবে রাতেও করতে হবে ডিউটি, তাদের মতে চলতে হবে  তবেই আমি হবো বিউটি। মোর মতের কি মূল্য আছে ? বেতন ছাড়া মুই চাকরানী।। তরকারিতে লবণ,মরিচ একটু কম বা বেশি হলে, ঘরের লোকের কথায় ঝালে আমার নয়ন ভাসে জলে। কেউ ভাবে না ইচ্ছে করে  আমি এমন ভুল করিনি।। রান্না ঘরে বারে বারে  তাড়াহুড়ায় পড়েছি হাত, গোল হলো না তবু রুটি আমার রান্নায় নাই কোন স্বাধ। একটি দিনও পাই নি ছুটি  পেয়েছি রোজ চোখের পানি।। ঘরটা যেন এক বিদ্যালয় এখন সবার আমি ছাত্রী, সবাই আমায় শিক্ষা দিচ্ছে খাইতে নাইতে দিবারাত্রি। তাদের কোথায় এই মনে হয়  তাদের কাছে আমি ঋণী।। আমি যেন কেনা দাসী কিংবা কোন একটা রোবোট, আমি যেন একলা একা তারা সবাই মিলে এক জোট। কেন এমন বাস্তব জীবন? অভিনয়ে মহারানী ।। বাবার ঘরে ছিলাম আমি বাবার কাছে এক রাজ কন্যা, স্বামীর ঘরে আসার পরে বুকে পাঁজর ভাঙা বন্যা। একটা নারীর জীবন যেন কঠিন কষ্টের এক কাহিনী।।

দুই শরীরে একই রক্ত

 দুই শরীরে একই রক্ত খাদিজা বেগম  বাবা তুমি আমি আমরা দুই শরীরে একই রক্ত, তোমার আমার এই বাঁধন টা সব বাঁধনের চেয়ে শক্ত। সন্তানদের আর বাবার বাঁধন হয়না কোনো দিনো ছিন্ন, বাবার জীবন কুরবানী হয় তার সন্তানদের সুখের জন্য। কত রকম না পাওয়াটা হাসি মুখে করে রপ্ত। সন্তানদের সুখ আনতে গিয়ে  বাবা সহ্য করে দুঃখ, বাবার সাথে কেউ বলোনা  উচ্চ কন্ঠে কথা রুক্ষ। বাবার প্রতী কৃতজ্ঞ লোক  মনে প্রাণে বাবার ভক্ত।। বাবা আমায় সব দিয়াছে  আমি কিছুই দেয়নি তারে, এই কথাটি ভেবে ভেবে  অশ্রু ঝরে বারেবারে। অনুতাপের জলে জলে  এখন রিক্ত আমি সিক্ত।।

মনের রাস্তার মোড়ে

 মনের রাস্তার মোড়ে খাদিজা বেগম  মনের রাস্তার মোড়ে মোরে  আমি দেখি তোমাকে, ঐ অপলক দুই চোখেতে  চেয়ে দেখছো আমাকে।। আবার দেখে ছুটছো তুমি  একা একা খুব একা,  সেই তুমিটা আসবে কখন এখনও অদেখা? আসলে কাছে মুগ্ধ হয়ে  দেখবো তোমায় দুচোখে।। একই সাথে দুজনাতে  দুঃখগুলো উড়াবো, খুব যতনে সঙ্গপনে  সুখের মাঝে হারাবো। না পারবো না থাকতে আমি  তোমাকে আর না দেখে।। তোমার প্রেমে অবুঝ এই মন  বুঝাইলেও বোঝেনা, তুমি ছাড়া অন্য কিছু  এখন আর মন খোজেনা। তোমায় যেন আমার জন্য  বিধাতা দেয় লিখে।।

বিবেকের আয়নাতে

 বিবেকের আয়নাতে খাদিজা বেগম  ব্যস্ত দিনের পরে রাতে দেখি বিবেকের আয়নাতে, আমাকে চোখ রাঙ্গায় ভয়ংকর এক হায়নাতে। আমার ভেতরে বাহিরে নাই নাকি মানুষের বৈশিষ্ট্য? আমি নাকি হায়েনার চেয়েও আরো বেশী নিকৃষ্ট। আমায় ডেকে কুকুর বলে আমরা হলাম প্রভু ভক্ত, তুই মানুষ প্রভুর সামনে পান করো মানুষের রক্ত। কুকুরের কাছে সবার চেয়ে দামী তার প্রভুর কথা, তোর প্রভুর কথার চেয়ে দামী তোর অর্থ ক্ষমতা। মুখে মুখে মধু ঢালিস আর মনে মনে বিষ রাখিস, অন্যের দোষ প্রকাশ করে তুই নিজের দোষ ঢাকিস। সমাজ ভালো রাষ্ট্র ভালো অনেক ভালো এই পৃথিবীটা, মানুষ ভালো বাহিরে লোভ লালসায় নোংরা ভিতরটা। যে ভিতরে বাহিরে ভালো সেই সৃষ্টি জগতের শ্রেষ্ঠ, আয় ফিরে সরল পথে থাকিস না আর পথভ্রষ্ট। অন্যের ভাসিয়ে দুই নয়ন তুই কর মনোরঞ্জন, এমন তো হতে পারে না কভু কোন মানুষের জীবন। তুই নিজেকে শুধরে নে শুধরে যাওয়া মানুষের কাজ, মানুষগুলো শুধরে গেলেই সুখে ভরবে এই সমাজ।

একদিন মুখে মুখে বলবে

 একদিন মুখে মুখে বলবে খাদিজা  একদিন মুখে মুখে সবাই বলবে তোমার মরার খবর, কাঁধের উপর নিয়ে চলবে তোমায় দেবে কবর। অন্ধকারে ঢেকে যাবে আলো শূণ্য তুমি, ডানে, বামে, উপর, নিচে থাকবে শুধু ভূমি। আপন জনা পর হবে সব কেউ রাখবে না খবর।। তোমার এতো অর্থ সম্পদ বুদ্ধি, জ্ঞান, ক্ষমতা, ভালো কর্ম ছাড়া কিছুই  কাজে আসবে না তা। তোমার খবর কেউ না জানলেও  জানে তোমার ঈশ্বর।। লোক ঠকিয়ে হাসার চেয়ে  কাঁদাই অনেক ভালো, ওই কবরে আলো পেতে  জ্বালাও সত্যের আলো। অন্যায় থেকে দূরে থাকো স্বচ্ছ রাখো অন্তর।।

এসো

 এসো  খাদিজা বেগম এসো নবিন এসো প্রবীণ বিদ্বেষ ফেলে কলম ধরি, স্বপ্ন দেখাই স্বপ্ন দেখি  মানুষ হয়ে মানুষ গড়ি। আমরা মানুষ মানুষ হলে  থাকবে না আর হত্যা, ধর্ষণ, কানায় কানায় ভরবে সুখে ভয়-ভীতিহীন সুন্দর জীবন। এসো নিজের ভুলের জন্য অন্যজনকে বলি সরি।। সব অন্ধকার ছেড়ে এসো এসো আলোর পথে চলি, প্রতিহিংসা ভুলে এসো  এসো আশার কথা বলি। সত্যের জন্য বেঁচে থাকি  সত্যের জন্যই আমরা মরি।। মানবপ্রেমে প্রেমিক হয়ে  প্রেম ছড়িয়ে দেবো বিশ্বে, কাজে কর্মে মানুষ হয়ে  থাকব মানবতার শীর্ষে । কুপ্রবৃত্তি শত্রু সবার তাহার সাথে আমরা লড়ি।। ধ্বংসের বদলে সৃষ্টি করি মিথ্যার বদলে সত্য ছড়াই, কুসংস্কার, মাজার পূজা ভিতর, বাহির থেকে তারাই। মানুষ বাঁচলে বাঁচবে ধর্ম  এসো মানুষ রক্ষা করি।। মানুষ বড় সবার উপর  তার ওপরে আর কিছু নাই, মানুষকে যে করবে ছোট তার জীবনটা হবেই তো ছাই। মানুষেরে ভালোবেসে ভক্তি, শ্রদ্ধা, সেবা করি।।

যারে আমি মন দিয়েছি

 যারে আমি মন দিয়েছি খাদিজা বেগম  যারে আমি মন দিয়েছি  সেই দিয়েছে আমায় ফাঁকি, কষ্ট কোথায় রাখি আমি এতো কষ্ট কোথায় রাখি? কষ্ট আমায় যন্ত্রনা দেয় থাকতে দেয় না একটু সুখে, ভিতর বাহির তোলপাড় করে পাঁজর ভাঙা ঝড় এই বুকে। কষ্টে আমার ঘুম আসেনা তার ভাবনায় জেগে থাকি।। কথা দিয়ে রাখল না সে  ভুলে গেলো অনায়াসে, সত্য ভেবে তাহার কথা  পরিণত হলাম লাশে। মিথ্যাবাদীর ফান্দে পারে  কান্দে আমার অবুঝ আঁখি।। ভালবাসার বিনিময়ে  দিলো না সে ভালোবাসা, এত কষ্ট দিলো আমায় এখন কঠিন হলো বাঁচা। শ্বাস নিঃশ্বাসে কষ্ট হয় খুব শুধু মৃত্যু পেতেই বাকি।।

একটু দাড়াও

 একটু দাড়াও খাদিজা বেগম  একটু দাড়াও, হে রূপসী তোমায় আমি ভালোবাসি, মনে মনে মন টানে খুব  তাইতো তোমার কাছেই আসি।। বকো জকো যাই কর না  তোমার সবই ভালো লাগে, দিবানিশি তোমার সাথে  আমার থাকার ইচ্ছা জাগে। পথ ভুলিয়ে দেয় আমাকে  তোমার মুখের মিষ্টি হাসি।। ইচ্ছে হলে শালিস বসাও  মামলা করো আমার নামে,  জানুক জানুক এই পৃথিবী  আমি পাগল তোমার প্রেমে। মালা দিও আমায় তুমি  না হয় দিও আমায় ফাঁসি।। তোমার প্রেমে মরতে রাজি  ছাড়তে রাজি না তোমাকে,  তুমি যেন আমার নিঃশ্বাস  এই প্রাণ বাঁচে না নাদেখে। নির্লজ্জ মন তোমার প্রেমে  বারবার বলে ভালবাসি।।

একা একা তোর বিরহে

 একা একা তোর বিরহে  খাদিজা বেগম  একা একা তোর বিরহে আহাজারি করে এই মন, আমার ব্যথা বুঝিস না তুই  বন্ধুরে তুই জানি কেমন?? দিনের পরে দিন চলে যায়  রাতের পরে রাত চলে যায়,  আর কতকাল কাঁদবো আমি  বন্ধুরে তোর আশায় আশায়। আসবি বলে আসিস না তুই  মিথ্যা বলিস যখন তখন।। ভিতরে চাই বাহিরে চাই মনে প্রানে চাই যে তোরে, তোর গভীরে ডুবে যেতে  ভিতর বাহির জ্বলে, পুড়ে। তোর বিরহে কেঁদে কেঁদে  অন্ধ হইবো কি এই নয়ন?? আয় ফিরে আয় আমার কাছে  চাইনা দামি শাড়ি, চুড়ি,  তোর কারনে মন দেওয়ানা  এই পাগলিটা শুধু তোরী। আর কেমনে বুঝাই তোরে  তোরে আমার খুব প্রয়োজন।।

বৃষ্টি বৃষ্টি

 বৃষ্টি বৃষ্টি খাদিজা বেগম বৃষ্টি বৃষ্টি ও বৃষ্টি রে  আমায় একটু ভিজিয়ে দে, চৈত্র মাসের তপ্ত তাপে  ঠোস পড়েছে আমার গায়ে।। কালো মেঘের ভেলায় চড়ে  আয় ছুটে আয় শীতল বৃষ্টি, তোর পানিতে গা ভিজিয়ে  তিক্ত জীবন করি মিষ্টি। অগ্নিঝরা দুপুর বেলা  দে জুড়িয়ে তোর পানিতে। মরুর বুকে ফসল ফলবে প্রাণ প্রাণে প্রাণ ফিরিবে, শাখা শাখায় ফুটবে পুষ্পা পুষ্পে পুষ্পে ফল ধরিবে। পিপাসিত ধুলায় ভরা চৌচির এই ক্ষেত ডুবিয়ে দে।। তোর পানিতে ভিজে ভিজে  তাজা হবে লতাপাতা,  তুই বিহনে সবার মাঝে  ভীষণ জ্বালা, পোড়ার ব্যথা। তোর অপেক্ষায় খাঁ খাঁ হৃদয় তোর পানিতে ভাসিয়ে দে।।

মন ধরেছে প্রেম নেশাতে

 মন ধরেছে প্রেম নেশাতে খাদিজা বেগম মন ধরেছে প্রেম নেশাতে চাই জারাতে তোমার প্রেমে, মেঘে মেঘে আকাশ ভরা  থেমে থেমে বৃষ্টি নামে।। একলা একলা মন উতালা  তোমায় কাছে পাবার আশায়, এলোমেলো বইছে বাতাস  ক্ষণে ক্ষণে বিজলী চমকায়। এই বৃষ্টিতে তোমায় পেতে মন দিওয়ানা ক্রমে ক্রমে।। ভিজে ভিজে অবুঝ এই মন  ঘুরে বেড়ায় প্রেম ভাবনাতে, অবশেষে যদি মেলে  তোমার প্রেমে মোর বরাতে। হাবুডুবু খায় মন আমার  তোমার প্রেমের জলে নেমে।। তোমায় ভেবে দিন কেটে যায়  কোনমতে যেমন তেমন, রাতে আমার ঘুম আসে না  শুধু তোমায় খুঁজে নয়ন। আমি যেন আটকে গেছি  তোমার প্রেমের তপ্ত জ্যামে।।

দিনরাত কাজ করে

  দিনরাত কাজ করে খাদিজা বেগম মানুষ দিনরাত কাজ করেও  এক মুঠ ভাতের জন্য কান্দে, ক্ষুদ্র ভুলের জন্য তবু  আইনে শ্রমিক ধরেই বান্দে।। মানুষের থেকে নাম কাটাইয়া  নাম লেখাইছে পশুর দলে, তাই তোরা পশুর মতো  কর্ম করে, কথা বলে। সহজ সরল মানুষগুলো  বন্দী থাকে ওদের ফান্দে।। এত কিছু দেখে শুনে  আমি কাকে বলব পাগল, সুস্থ জনার ভিতরে আজ  পাগল থেকেও বেশি গন্ডগোল। ভালো কাজের রয় না ওরা  মিশে থাকে হাজারো মন্দে।। বড় বড় অপরাধী  কেউ থাকেনা জেলে বন্দি,  দেশের ক্ষতি দশের ক্ষতি  করায় যেন ওদের ফন্দি। ছোটখাটো চোর ডাকাতদের  নিয়েই সবাই থাকে দ্বন্দ্বে।।

কষ্ট রাখার জায়গা নাই

 কষ্ট রাখার জায়গা নাই খাদিজা বেগম  কষ্ট রাখার জায়গা নাই আর  তাই গড়িয়ে পড়ে চোখে, দরজা খুলে হাসি তবু  যেন সুখি ভাবে লোকে। কষ্টে কষ্টে জীবনটা শেষ কষ্টের বোঝা ভিশন ভারী, মাঝে মাঝে বলে এই মন চল চলে যাই সবি ছাড়ি। আর কতকাল কাঁদবো আমি  সুখের দরজায় মাথা ঠুকে।। সুখের দরজায় তালা দেওয়া তার চাবি নাই আমার কাছে, আষ্টেপিষ্টে জড়িয়ে রেখে  দুঃখ আমায় ভালোবাস। দু'চোখ ভরা দুঃখের সাগর  আগুন ভরা আমার বুকে।। হাজার হাজার যন্ত্রণাতে  আমার হৃদয় যাচ্ছে পুড়ে, আমার দেহো ভিতর থেকে  কষ্টেরা খায় কুরে কুরে । ভাগ্য দোষে কান্দে এই মন বুকের ভিতর ধুকে ধুকে।।

এতো ব্যাথা

 এত ব্যাথা খাদিজা বেগম  এত ব্যথা নিয়ে কেউ কি  বেঁচে থাকতে পারে? কেন এত ব্যাথা দেয় সে  ভালোবাসি যারে? এই পৃথিবীর চেয়েও সে দামি আমার কাছে, যেমন দামি প্রাণ পাখি টা  মাটির দেহের কাছে। সে আমারে চায় না তবু  অবুঝ মন চায় তারে।। রাজমহলে মন বসে না  তারা ছাড়া আমার, তারে নিয়েই সুখে থাকবো  হোক না সে ঘর নাড়ার । প্রেম ভিখারী হয়ে ফিরি তারি দ্বারে দ্বারে। দেখতে সুন্দর মায়া নাই তার  আমার প্রতি কোন, তবুও মন চায় তাহারে ভালবাসতে ক্যানো? মন বোঝেনা প্রেম বোঝেনা  বোঝেনা আমারে।।

দূরে দূরে

 দূরে দূরে খাদিজা বেগম  দূরে দূরে রাখতে রাখতে  রেখেই দিলে কবরে, তুমি কাছে টেনে নিতে  পারলেনা আর আমারে।। তুমি ভালো না বাসিলেও আমি ভালো বাসিবো, তুমি কাছে না ডাকিলেও আমি কাছে আসিবো। আজো তোমার কাছেই আজি  তোমার মনের ভিতরে।। ভালোবেসে ভালোবাসা  পায়নি আমি কখনো, তবু তোমায় ভালোবাসি  কবর থেকে এখনো। তোমার পোশাক হয়ে থাকি খুব জড়িয়ে তোমারে।। তুমি যখন পাগল থাকো  অনেক তৃষ্ণার তিয়াসে, তখন আমি পানি হয়ে  থাকি তোমার গ্লাসে। তোমার চোখের আড়াল হলেও  থাকি তোমার অন্তরে।।

হায়েনার দল

 হায়েনার দল খাদিজা বেগম  দিন দুপুরে হামলা হলো  কেউ দেখেনি হামলাকারী, বিবেকে শূন্য মানুষগুলো  কেউ হলো না মামলাকারী। চোখ থাকিতেও দেখলো না কেউ  কান থাকিতেও শুনল না কেউ, এই সমাজে চলছে এখন সত্যের ওপর কুত্তার ঘেউ ঘেউ। কানা, বধির, অন্ধ সমাজ কেউ শুনে না আহাজারি।। মানব সমাজ দখল নিল  এখন হিংস্র হয়েনার দলে, মানুষগুলো অসহায় তাই  ভেসে যাচ্ছে চোখের জলে। সব কিছুরই সীমা আছে  আর কারিস না বাড়াবাড়ি।‌  অতি বাড় বাড়িস না কেউ  ভেঙে যাবি ঝড় তুফানে, কত রাজা মহার রাজা পুড়ে গেলো ওই শ্মশানে। রাস্তার কুত্তার মত কেন  রাস্তায় করো মারামারি?? স্বাধীন দেশে জন্ম নিয়েও  তোরা কাদের পোষা কুত্তা? লাখ মানুষ শহীদ হয়ে এনে দিলো যে স্বাধীনতা। সেই শহিদের দুশমন তোরা  তোরা জালিম অত্যাচারী।।

আত্মীয়

 আত্মীয় খাদিজা বেগম  তুমি যাদেরকে আত্মীয় ভাবো  তারা সকলেই তো আত্মীয় না, সেই তো আত্মীয় বিপদের দিনে  যে তোমারে কভু একা ছাড়ে না।। কোনদিনও ভুলে যেওনা গো তুমি কাহারো আদর যত্ন দেখে, প্রয়োজন শেষে ছুড়ে ফেলে দিবে তোমার ভিতরে কষ্ট মেখে। অপ্রয়োজনীয় ফেলানো টিস্যুর দিকে কেহ কভু ফিরে দেখেনা।। আত্মীয় হতে আত্মা লাগেরে আরো লাগে ত্যাগে ভরা হৃদয়, আত্তার মিলে আত্মীয় হয় শুধু রক্তের বাঁধনে নয়। আত্মীয়দের ভুল ত্রুটি কভু  আত্মীয়দের মনে থাকে না।। আত্মীয়তার বাঁধন কখনো স্বার্থের টানে ছিড়ে যাবে না, মানুষ হবে তো মানুষের মতো ফেরেস্তা ভেবে ভুল করো না। নিজের অর্থ, সম্মান রাখো  নিজ দায়িত্বে কাউকে দিওনা।। খোলা রেখ চোখ, বিবেক বুদ্ধি হিসাব রেখিও সব বিষয়ে, হিসাব বিহনে তোমার জীবনে দুর্দশা আসবে এক সময়ে। যে তোমাকে খুব বিশ্বাস করে তার বিশ্বাস ভেঙে দিওনা।।

সময়ের অপচয়

 খাদিজা বেগম সময়ের অপচয়  যে তার বর্তমান সময়ের অপচয় নাহি করে, সময়টাকে খুব গুরুত্ব সহকারে ব্যবহার করে। ভবিষ্যতে সেই হবে খুব গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি, সে আঁধারের হবে আলো, কুসংস্কারের হবে মুক্তি। চলার পথের সকল বাঁধা পার হবে সে নির্ভয়ে, আসবে যত বাঁধা ছুটবে তত বাঁধভাঙ্গা জল হয়ে। এগিয়ে যাবার সংকল্প নিয়ে যে প্রতিদিন চলে, হিমালয়ের মতো অটল সে কোন কিছুতেই নাহি টলে। দূর আকাশের মতো দুঃখ থেকে থাকে বহু বহু দূরে, না পাওয়ার বেদনায় খাঁটি হয়ে যায় নিজে নিজে পুড়ে। কোন অজুহাতে, কোন অভিযোগে থামানো যায় না তারে, শেষ, শেষ বলে শেষ করে দিও না সুন্দর জীবনটারে। রাতের শেষে সূর্য ওঠে, ভাটার শেষে জোয়ার আসে, ঘুম শেষে জেগে ওঠে, কান্নার শেষে সব লোকে হাসে। বারেবারে পিছিয়ে যাওয়া মানে পিছনে পরে থাকা নয়, তীর পিছে গিয়েই সামনে যাবার গতি করে সঞ্চয়। যেতে হবে বহুদূরে ঝড়, তুফান পাড়ি দিয়ে তোমাকে, ধরো ধরো হাল, তুলিয়া দাও পাল, যদি হিম্মত থাকে। হে যুবক যুদ্ধ করো অন্যায়, অনিয়মের সাথে, কুপ্রবৃত্তি আর অলসতার সাথে লড়ো দিনে রাতে। নীতি-নৈতিকতা ধরে রেখে জেগে ওঠো আগামী প্রভাতে দুঃখের মাঠে রোপণ করো সুখের বিচি...

তোমার শত্রু তুমিই

 খাদিজা বেগম তোমার শত্রু তুমিই  যে তোমাকে খেতে দিলো  তার রিজিক নাও কেরে, কেন তুমি এত লোভী  তারেই খেতে হবে মেরে? যে তোমাকে হাসতে শেখায়  তারে তুমি কেন কাঁদাও? যে শিখালো বাঁচতে তারেই কেন মরন উপহার দাও। তোমার ভিতর লোভ-লালসাই তোমায় খাচ্ছে কুঁড়ে কুঁড়ে।। যে তোমাকে নিজের হাতে টেনে তুললো গর্ত থেকে, ওঠার পরে সর্ব প্রথম কেনো গর্তে ফেললে তাকে? তোমার ভিতরে হিংস্র পশু মানবতা নাই অন্তরে।। অকৃতজ্ঞ মানুষ হলো নিম্ন শ্রেণীর নিকৃষ্ট জন, অন্য জনা কেউ লাগেনা ফুরায় যখন তার প্রয়োজন। তোমার শত্রু তুমিই নিজে  খুঁজে দেখো পাবে তারে।।

মহান সৃষ্টিকর্তা

 মহান সৃষ্টিকর্তা খাদিজা উ তুমি আমি আমরা সবাই  এ পৃথিবীর সবই মিথ্যা, যদি তুমি নাহি চেনো  তোমার মহন সৃষ্টি কর্তা। তোমার চেয়ে আরো বেশি  ছিল কত জ্ঞানীগুণী, ছিল রাজা মহারাজা  এই পৃথিবীর সেরা ধনী। এখন তাদের সব ইতিহাস আজকে তারা স্মৃতির পাতা। কতজনা পান করিতো  পানি সোনা রূপার গ্লাসে, কতজনার চারিপাশে  ভরা ছিল দাসে দাসে। সোনার খাটে থাকতো শুয়ে  দাসী টিপে দিতে মাথা। সঠিক পথে চলো রে মন যায় যদি যাক কান্দিয়া দিন, মিথ্যে মস্তির পিছে ছুটে নিজেকে কেউ করোনা বিলীন। প্রাণ হারালেও হারাবে না  তোমার কার্য কলাপ কথা।। যেমন কর্ম তেমনি ফল  শেষ বিচারে তুমি পাবে, কান্দাইওনা কাঁদতে হবে  জুলুম করো না কেউ ভবে। ক্ষণিক সুখের জন্য যেন কেউ দিও না কাউকে ব্যথা।।  

হাতটা ধরো বাবা

 হাতটা ধরো বাবা  খাদিজা বেগম  আমার হাতটা ধরো বাবা  তোমার সাথে হাঁটতে চাই, আমি তোমার হাতটা ধরে  নীল আকাশটা দেখতে চাই। কতদিন হয় বাবা আমি  তোমার সাথে চলি না, কত কথা মনের ভেতর  মন খুলে তা বলি না। রাগ করোনা আমার সাথে  তোমার কাছে ক্ষমা চাই।। তুমি আমার বন্ধু বাবা  তোমার সাথে রক্তের বাঁধন, তোমার পরশ পাবার জন্য  কান্দে আমার দুই নয়ন। মন ডেকে যায় বাবা বাবা  তোমার কোন সাড়া নাই।। তোমার মত কেউ রাখে না  আমার খবর বারে বার, তুমি ছাড়া এই পৃথিবী  আমার কাছে অন্ধকার। তোমার জন্য বিরহী মন  পুড়ে পুড়ে হলো ছাই।।

ও মাঝি তুই

 ও মাঝি তুই খাদিজা বেগম  ও মাঝি তুই পাল তুলে দে  ছেড়ে দে মোর জীবন তরী, ঘাটে ঘাটে নাও ভিরালে   আমার হয়ে যাবে দেরি। সময় মতো না যাই যদি  গুনতে হবে জরিমানা, আরো কত সইতে হবে  না জানি গো সেই যন্ত্রণা। যেতে হবে অনেক দূরে  ধরে আছি দূরের পারি।। এই তরীটার তলা দিয়ে  ওঠে নানান রকম পানি, সেচের উপর রাখো তারে নইলে ডুবে যাবো জানি। ছিদ্রগুলো সেরে দিলেও  আমায় ছেড়ে যাবে তরী।। এই তোরিটা মোমের তৈরি  আগুন পেলেই যাবে গলে, হাঁতুড় দিয়ে করলে আঘাত মিশে যাবে জলের তলে। সত্য পথে চালাও তরী  চলে যাবে সরাসরি।। ডুবাইও না আমার তরী  লোভ লালসার পথে চলে, ধ্বংস হয়ে যাবো আমি  পাপে পাপে ভারী হলে। ভেবেচিন্তে চালাও তরী  ওরে ও মন অহংকারী।।

বিষধর সাপ

  বিষধর সাপ খাদিজা বেগম  বিশ্বাসঘাতক কথা বলে  মিষ্টি মিষ্টি দেখতে নিষ্পাপ, বিশ্বাসঘাতক প্রাণীর চেয়ে  অনেক ভালো বিষধর সাপ। সাপের রূপে সাপ থাকে তাই  দেখলে তারে সতর্ক হই, বিশ্বাসঘাতক চেনা যায় না  মরণ কামড় না দিলে সই। দেখতে ওরা মহা মানব সহজ সরল কার্যকলাপ।। বাবার মতো স্নেহ দেবে  মায়ের মত ভালবাস, স্রষ্টার নামে প্রতিশ্রুতি মন ভোলাতে দেবে আশা। মানুষ নিঃস্ব করার জন্য  ওগুলো তার মিথ্যে সংলাপ।। অভিনয়ে পাকা ঘাতক দেহ রেখে মনে ঢুকে, অভিনয় কে সত্য ভেবে সরল মানুষ তাতে ঝুঁকে। ঝুঁকলে পরেই শিকার করে ওরা পশুর চেয়েও খারাপ।।

আমার ভাগ্য

 আমার ভাগ্য খাদিজা বেগম  আমার ভাগ্য লিখতো যদি  আমার মায়ের হাতে, স্বপ্ন ভাঙা কোন কান্না  লিখতো না মা তাতে। ভাগ্য দাতা ভাগ্য লিখলো  কান্নার কালি দিয়ে, তাই বুঝি এই জীবন যাচ্ছে  দুঃখ, কষ্ট নিয়ে। দয়াল রে আর কান্দাইওনা  আমায় দিনের রাতে।। দুঃখের অনল কায়া রেখে  কলিজাতে পুড়ে, যারে ভাবি কাছের মানুষ  সেই চলে যায় দূরে। শ্রাবণ ধারা মত ঝরে অশ্রু আঁখি পাতে।। কানায় কানায় কষ্ট ভরা উপচে উপচে পড়ে, বুকের ভিতর মন মরে যায়  কষ্টে ছটফট করে। আমার জন্য সুখ নাই বুঝি তোমার এই ধরাতে।।

প্রবৃত্তি

 প্রবৃত্তি খাদিজা বেগম  প্রবৃত্তি আর প্রবৃত্তিতে একে অন্যের প্রতিযোগী, প্রভৃত্তিদের ফান্দে পড়ে  আমরা মানুষ কষ্টে ভুগি।।  প্রভৃতিরা তাড়াকরে  দিবানিশি মনে মনে, ঘুমের ঘরেও শান্তি দেয় না অশান্তি দেয় ক্ষণে ক্ষণে। প্রভৃতিকে দমন করতে সদা সত্যের সাথে জাগি।। এই দুনিয়ার ভোগ বিলাসে  প্রবৃত্তি দেয় খুব উৎসাহ, দেহের ভিতর বসত করে দেহে বাড়ায পাপের দাহ। বিবেক বুদ্ধি মাটি দিয়ে  বাজায় মনটা কে ডুগডুগি।। প্রভৃত্তিদের তালে তালে  তাল মিলাবে যে মানুষে, মানুষে থেকে পশু হবে ধ্বংস হবে নিজের দোষে। প্রভৃতিকে হার মানাতে  ছেড়ে দিও রাগারাগী।। প্রবৃত্তিকে শাসন করো এরিয়ে যাও খুব কৌশলে, প্রভৃতিকে প্রশ্রয় দিলে মানব জনম যায় বিফলে। পশুর চেয়েও অধম হল  কত মানুষ নফসের লাগি।। মানব জীবন শ্রেষ্ঠ জীবন  পেয়েও যেন হয় না বিফল, অনুতপ্ত চিত্ত নিয়  তার চরণে দাও চোখের জল শেষ বি।চারের কথা ভেবে তার প্রতি হও মনোযোগী।।

হারিয়ে যাওয়া স্বপ্ন

 হারিয়ে যাওয়া স্বপ্ন খাদিজা বেগম  রাত্রে আমার ঘুম আসে না  যতই থাকি নয়ন বুঁজে, নয়নও দুইটা চেয়ে চেয়ে  হারিয়ে যাওয়ার স্বপ্ন খুঁজে। অপেক্ষাতে রাত্রি জাগি  খুলবে কখন সৌভাগ্যের দ্ধার, রাত পোহাবে সূর্য উঠবে  হারিয়ে যাবে সব অন্ধকার। ভাগ্য আমার দ্বার খোলে না  দুঃখের মাঝে আমায় গুঁজে।। সুখ ভেবে ডুব দিয়ে দেখি দুঃখের নদের কিনারা নাই, সোনা ভেবে হাত বাড়িয়ে  দেখিয়া সোনার জায়গায় সব ছাই। আমার সাথে হচ্ছেটা কি  কেহো বলে দাও না মুঝে ?? মনের মাঝে আগুন জ্বলে  দিবানিশি পুড়ে হৃদয়, চাওয়া-পাওয়ার মিল হলো না দূর হলো না দুঃখের সময়। বাস্তবে নাই সুখের দেখা  স্বপ্নে আসে সেজে গুজে।।

পত্রিকাতে

 পত্রিকাতে খাদিজা বেগম  পত্রিকাতে আমিও একদিন হয়ে রবো শিরোনাম, মূল্যহীন আজ আমার জীবন  মরার পরেই পাবে দাম। এই দুনিয়ার এই তো রীতি হারানো ধন খুব দামি, হাতের কাছে থাকলে তাহা তা নিয়া হয় পাগলামি। আজকের কান্না কেউ শুনবে না যতই কেঁদে যাই অবিরাম।। আমার জন্য কাঁদবে সবে আমার মৃত্যু হবার পরে, সত্যি যদি বাসতে ভালো রাখতে আমায় যত্ন করে। আরো কিছু সময় হয় তো  সবার মাঝে আমি থাকতাম।। কেউ মরে না রোগে শোকে   মানুষ মরে অবহেলায়, বড় আজব এই দুনিয়া মানুষের ভয় মানুষ পালায়। ধর্মের লেবাস পরে কেহো  আর করনা‌ কভু কুকাম।।

রাখাল

 রাখাল খাদিজা বেগম  রাখাল রাখাল বলে তোমরা  কাউকে ঘৃণা করনা আর, এই দুনিয়ায় অমর বানী  নিয়ে এলো তারাই বারবার। হরযত ইয়াকুব, হয়ত আইউব, মূসা, হারুন নবী রাখাল, লালন পালন করত তারা নিজের হাতে পশুদের পাল। রাখাল পেশা উত্তম পেশা  ঘৃণ্য পেশা সুদের কারবার।। চাষাভুসা বলে তোমরা  কাউকে ছোট করো না আর, ঐশী বানী নিয়ে এলো  নবী হয়ে তারাই বারবার। কৃষক ছিল হরযত আদম চাষ করিত নিজ হাতে তার।। ইদ্রিস নবী দর্জি ছিল নূহ নবী ছিল কাঠমিস্ত্রি, হযরত ইসমাইল ও ইব্রাহিম তারা ছিলেন রাজমিস্ত্রি। ঐ কাবাঘর নির্মাণ করে  ভালবাসা পেলেন সবার।। ঘৃণা করো ঘুষের টাকা চুরি করা আর ডাকাতি, ঘৃণা করো মিথ্যে কথা যে পেশাতে অন্যের ক্ষতি। পরিশ্রমী হয়ে তোমরা  সৎ পেশায় খাও হালাল খাবার।। প্রয়োজনে না খেয়ে রাও  তবু খেও না অন্যের হক, সব জায়গাতেই অপরাধী  এই দুনিয়ার ওই প্রতারক। জাহান্নামে জ্বালতে হবে  শেষ বিচারে পাবে না ছাড়।।

কলুষিত

 কলুষিত  খাদিজা বেগম  লোভে লোভে কলুষিত  হয় না যেন আমার এই মন, পবিত্র আর স্বচ্ছ রেখো  ঠিক যেন ওই আয়নার মতন। পাপে পাপে অপরাধী  হই না যেন আমি কভু, ত্যাগে ত্যাগে ত্যাগী করো  আমার দয়া করো প্রভু। বন্ধু শত্রু সবার প্রতি  রাখি যেন শ্রদ্ধা, সম্মান। ভয়ে ভয়ে মুখ লুকিয়ে  হই না যেন কচ্ছপ, ইঁদুর, গড়ো আমায় সত্যের পক্ষে  প্রতিবাদী বীর বাহাদুর। আমি যেন রাখতে পারি শ্রেষ্ঠ সৃষ্টি মানুষের মান।। ঘৃণায় ঘৃণায় ঘৃণিত লোক হই না যেন এই ধরাতে, কারো যেন কোনো ক্ষতি  করি না এই আমার হাতে। সুখে, দুঃখে ভুলি না যে  এই প্রান তোমার মহিমার দান।।

মনের জ্বালা

 মনের জ্বালা খাদিজা বেগম  মনের জ্বালা নিভিয়ে দাও  আর পারিনা আমি পুড়তে, অগ্নির ভিতর ঘুরছো জীবন আর পারিনা আমি ঘুরতে।। এই দেহেতে এত জ্বালা  পুড়ে পুড়ে আমি কয়লা, কুড়ে কুড়ে খাচ্ছে আমায়  যত কথা সব না বলা। চাইছে যেতে প্রান পাখিটা দূর অজানার দেশে উড়তে।। মাঝে মাঝে নিশ্বাস নিতে  আমার অনেক কষ্ট লাগে, কেমন করে থাকবো বেঁচে বার বার মৃত্যুর সাধ জাগে? চোখের পাতা বন্ধ রাখলেও  চোখের পানি থাকে ঝরতে।। ব্যথায় ব্যথায় জর্জরিত  আমার দেহের ভিতর বাহির, দয়া করে দাও মেখে দাও একটু ভালবাসার আবির। সবার মত আমিও চাই  হাজার বছর ধরে বাঁচতে।।

এটাই চলছে

 এটাই চলছে খাদিজা বেগম  চাঁদাবাজা আর ঘুষখোরেরা  এখন আছে অনেক তুঙ্গে, জ্ঞানীগুনি জেলে আছে  এটাই চলছে এখন বঙ্গে।। রাজপথে আজ পাগলা কুকুর যখন-তখন কামড়ে ধরে, মানুষগুলো খুব অসহায় আহাজারি করে মরে। চোর পুলিশের জোট বেঁধেছে কেহো নেই আজ সত্যের সঙ্গে।। দলে দলে দলাদলি  কেউ ভাবে না দেশের কথা, রাজনীতিতে নাই গনতন্ত্র ষড়যন্ত্রকারি নেতা। আয় ছুটে আয় মুগুর নিয়ে  কুকুরের দাঁত দেবো ভেঙ্গে।। ভয়ে ভয়ে না মরিয়া  আমরা লড়াই করে মরবো, মরার আগে দেশমাতাকে  নৈতিকতার সাথে গড়বো। সত্যের পক্ষে উঠে দাঁড়াও  মানব রক্ত থাকলে অঙ্গে।। সত্যি কারের মানুষেরা কোনদিনও তো মরে না, অত্যাচারী জালিম যারা  তাদের কভু তো ছাড়ে না। তাদের সাথে জাগ্রত চোখ তারা রঙিন বীরের রঙে।।

বেকার

 বেকার  খাদিজা  এই অফিসে ঐ অফিসে  ছুটে চলি চাকরির আশায়, লাখে পাবে একজন চাকরি অন্যদের দিন যায় হতাশায়। কেউ বোঝে না মোর যন্ত্রণা বেকার জীবন খুব বেদনার, দিবানিশি হৃদয় কাঁদে  কোনো শব্দ নেই সেই কান্নার। মূল্যহীন সব বেকার জীবন দাম মেলে না এই দুনিয়ায়।। চাকরির পিছে ছুটতে ছুটতে  মনের মানুষ মোর চলে যায়, রাখতে পারি নাই তো তারে ভাগ্যের কাছে আজ নিরুপায়। ভালবাসার বাঁধন ছিড়ে শূন্য হৃদয় করে হায় হায়।। বেকার বেকার আমি বেকার  চারিদিকে খুব অন্ধকার, টেনে হিচরে চলে না আর ভাই, বোন, পিতা-মাতার সংসার। আমি এখন মস্ত বোঝা  আমার পিতা-মাতার মাথায়।।

সবাঈ আমার অচেনা

 সবাই আমার অচেনা খাদিজা বেগম  যুগ যুগ ধরে চিনি যাদের সবাই আমার অচেনা, এই পৃথিবীর মানুষগুলো  নিজেও নিজের অজানা। মুখের কথায় হাতের কাজে  তাদের মাঝে ভিন্নতা, পরের সুখে মন জ্বলে যায়  লাগে বুকে খুব ব্যথা। আপন বলে জানছি যাদের  তারাও আমার আপন না।। তাদের স্বপ্নে গিলে খেলা  আমার সুখের স্বপ্নটা, তাদের আমি মাফ করেছি মাফ করেনি হৃদয়টা। তাদের চোখে আমার স্বপ্ন  যেন কোন স্বপ্ন না।। এমন আঘাত দিলে কেন  ক্ষত হইলো গভীরে, সবাই মিলে থাকবো সুখে  আজও তাহা ভাবীরে। একা একা সুখে থাকার  স্বপ্ন কেহো দেখনা।। সুখে দুঃখে মেলে থাকবো আমরা সকল মানুষে, সুখের সময় তাড়িয়ে দাও উপকারী জন কোন দোষে। স্বার্থ চেনো অর্থ চেনো কেন সত্য চেনো না।।

বাংলাদেশ

 বাংলাদেশ খাদিজা বেগম  বাংলাদেশ ও ও বাংলাদেশ  তুমি মোদের সবার গর্ব, তোমার জন্য যা করার তাই  জীবন দিয়া হলেও করবো। তুমি মোদের জন্মভূমি আমরা তোমার বুকের সন্তান, মোদের কাছে সবার চেয়ে  অনেক বড় তোমার সম্মান। তোমার ক্ষতি করবে যারা  তাদের সাথে লড়াই করবো।। ন্যায়ের সাথে চলবো আমরা  বলবো সদা সত্য কথা, দুর্নীতির ঐ ছুরি দিয়ে  যে তোমাকে দেবে ব্যাথা। তাকে আমরা ছাড় দেব না  আইনের মুখোমুখি করবো।। তোমার জন্য তোমার সন্তান  সদা তৈরি থাকে যুদ্ধে, তোমার মান যে নষ্ট করবে যুদ্ধ করবো তার বিরুদ্ধে। লাখো প্রাণে কেন এই দেশ তাকে আমরা রক্ষা করবো।।

অন্তর্যামী

 অন্তর্যামী খাদিজা বেগম  আমার মাঝে তুমি থাকো  তোমার মাঝে থাকি আমি, তবু কেনো দেখা দেয় না  কেন তোমার এই পাগলামি?? চোখে চোখে রাখো তুমি তবু কেন হই পথভ্রষ্ট? তুমি আমার সুখের রাজ্য  তবে কেন এত কষ্ট?? লোভ লালসা ছেড়ে দিয়ে  কেমনে মানুষ হবো আমি?? আমার চেয়ে ভালই জানো  আমার ভিতর বাহির সবি, আমায় চলাও তোমার মতে  এটাই শুধু আমার দাবি। পথ হারিয়ে যাবে আমার  আমার মতে চললে আমি।। তোমার হাতেই কর্ম করি  তবু কেন হয় অপরাধ? ভুল করিতে চাইনা আমি  ভুল হয়ে যায় তবু দিন রাত? যেমনি চালাও তেমনি চলবো  মাফ করে দাও অন্তর্যামী।।

একাকীত্ব

 একাকীত্ব  খাদিজা বেগম এই জীবনে একাকীত্ব  সবার জন্য খুব গুরুত্ব, একাকী না হলে কারো জানা হবে না চরিত্র। একাকীত্ব জীবন তোমায়  পাঠ করাবে তোমার চারপাশ, শক্তি দেবে সাহস দেবে গড়বে শিকল ভাঙ্গানো দাস। ভিতর থেকে তুলবে গড়ে  মজবুত করে মনুষত্ব।। একাকিত্বের চিন্তা নিয়ে  তুমি চিন্তা করলেই বুঝবে, জান্নাত নাকি জাহান্নামেই  মৃত্যুর পরে তোমায় খুঁজবে। সঠিক পথে ন্যায়ের সাথে  পালন করছ কি দায়িত্ব?? একাকীত্বে মগ্ন থেকে সৃষ্টি খুঁজে তার স্রষ্টাকে, একাকীত্ব অমূল্য ধন  যা পাবে না সকল লোকে। সৃষ্টিকর্তা ছাড়া ভবে আর কিছুর নাই স্থায়িত্ব।। একাকিত্বে পবিত্র হয়  কলুষিত পাপি চিত্ত, একাকীত্বই জ্ঞানী জনার অমর নাম, যশ, খ্যাতি বিত্ত। একাকীত্ব ব্যক্তির চিন্তায়  প্রকাশিত হয় ব্যক্তিত্ব।। একাকীত্ব তোমায় দেবে  মেঘের বাড়ি বরফের ঘর, আরো দেবে আনন্দ সুখ  বড় বড় স্বর্ণ পাহাড়। এই ঐশ্বর্য পাবে না সে যার ভিতরে রয় পশুত্ব।। একাকীত্ব গোপনে দেয় আত্মহত্যার কুমন্ত্রণা, তবু তোমায় বাঁচতে হবে  তুচ্ছ করে সব যন্ত্রণা। বেঁচে থেকে দাও বুঝিয়ে  বেঁচে থাকার ক...

শোনো শোনো

 শোনো শোনো খাদিজা বেগম  শোনো শোনো অহংকারী  আমার বোকা মনটা শোনো, আমি একজন অক্ষম মানুষ  ক্ষমতা নাই আমার কোনো। সব ক্ষমতার মালিক তিনি  আমি তার হুকুমের দাস, তার হুকুমে বেঁচে আছি  তার হুকুমেই হবো যে লাশ। তার পলকের বাইরে যেতে  আমি পারব না কখনো।। যার বদনে কথা বলি  যার নয়নে আমি দেখি, যার চরণে হেঁটে চলি তারে যায় কি দেওয়া ফাঁকি? তার ছবিটা এই হৃদয়ে সত্য রঙে রয় ছাপানো।। তিনি আমায় খাওয়ালে খাই না খাওয়ালে উপবাসে, আমাকে সে ক্ষমা করে তার করুনায় ভালবাসে। তার চরণে আমার জীবন  মরন কোরবানি হয় যেনো।।

শেষ

 শেষ খাদিজা বেগম  শেষ শেষ বলে আর কেঁদোনা  শেষ বলে নাই কিছু ভবে, শেষের পরে নতুন করে  নতুন কিছুর শুরু হবে। লাগলে ভাটা নদীর বুকে  নদী তাতে নাহি ডরে, ভাটার পরে আসবে জোয়ার  কানায় কানায় দেবে ভরে। একি ভাবে যায় না সময়  এই কথাটা জানে সবে। শেষ বিকালে সূর্য ডুবে  এই পৃথিবী হারায় আলো, ঠিক সকালে সূর্য উঠে  দূর করে দেয় সকল কালো। হেরে গেলে কেঁদো না তাই  হারার পরেই জিতবেই তবে।। তোমার চলার পথটি তুমি  ঠিক করে লও ওহে পথিক, ওই পথ ধরবে তুমি যে পথ  তোমার বিবেক বলবে সঠিক।। দ্বিধাদ্বন্দের মধ্যে থাকলে হারার আগেই তুমি হারবে।।

হে বিদ্রোহী

 হে বিদ্রোহী  খাদিজা বেগম  কলম নামের অস্ত্র দিয়ে  কালি নামের বুলেট চালাও, হে বিদ্রোহী স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে আজ আগুন জ্বালাও।। খোলো খোলো মিথ্যার বিরুদ্ধে   সত্যবাদীর ওই মুখ খোলো, চলো চলো সব দুর্নীতির বিরুদ্ধে আজ যুদ্ধে চলো। প্রতিবাদী হয়ে এসো অবিচারের বিরুদ্ধে দাড়াও। তোলো তোলো বিজয় নিশান হবেই হবে জনতার জয়, মরার আগে মরো না কেউ  আসল মৃত্যু তোমাদের ভয়। বাংলা মাকে রেখে তুমি হে বাঙালি ভাই কোথায় যাও?? মিথ্যা মৃত্যুর ভয়ে ভয়ে সত্যি সত্যি মরেছ আজ, তাই তোমাদের খামচে খাচ্ছে  সন্ত্রাসীদের কালো সমাজ, বীরের জাতি হয়েও কেন  মুখ লুকিয়ে নেক পালাও?? দেশের টাকা পাচার করে  ওরা দেশের ভালো চায়না, গরিব দুঃখীর শত্রু ওরা পেট ভরে ভাত খেতে দেয় না। ভাঙো ভাঙো দুঃশাসনের দ্বার  তোমাদের দেশ তোমরাই বাঁচাও।।

জান্নাতের পাখি

 জান্নাতের পাখি খাদিজা বেগম  আমার কোলে এসেছিল জান্নাতের এক পাখি, খুব আদরে পুষতাম তারে তবু দিল ফাঁকি।। খাবার তুলে মুখে দিতাম আমি আমার হাতে, চোখে চোখে রাখতাম তারে সদা দিনেরাতে। তবু গেছে পাঁজর ভেঙে কষ্ট কোথায় রাখি?? সেই পাখিটা ছিল আমার দুই নয়নের আলো, পাখি ছাড়া দিশেহারা সবি দেখি কালো। তবু পাখির নাম ধরিয়া কান্দে আমার আঁখি।। বুকের মাঝে ঘুম পাড়াইতাম ঘুম পাড়ানী গানে, সেই বুক আমার ডুবে গেছে তার বিরহের বানে। আয় ফিরে আয় সোনা মুখি  তোরে ছুঁয়ে দেখি।।

দোয়া

 দোয়া খাদিজা রাব্বির হামহুমা কামা- রাব্বায়ানি সাগিরা। দোয়া করো ওহে সন্তান- আল্লাকে বিশ্বাসীরা। আল্লাহুম্মা ইন্নি আস- আলুকাল জান্নাত, ওয়াআউযুবিকা মিনান্নার।- করো এই মোনাজাত। লা ইলাহা ইল্লা আংতা- সুবাহানাকা ইন্নি কুংতুম, মিনাজ জ্বলেমিন। পড়লে- বিপদগুলো হবে গুম। রব্বি যিদনী ইলমা- বলে বলে দোয়া করো, আল্লাহুম্মা ফাক্কিহনি- ফিদ দীন। পাঠ করো। আস্তাগফিরুল্লাহ বলো- আস্তাগফিরুল্লাহ, সুখে দুঃখে সদা রাখো মুখে- আলহামদুলিল্লাহ। হারামের পরিবর্তে দাও- মোরে হালাল রিজিক, স্বচ্ছলতা দান করো আল্লাহ- দুজাহানের মালিক। তুমি ছাড়া হই না যেন আমি- আর কারো মুখাপেক্ষী, তুমি আমার রক্ষাকারী-ও হে মহান রক্ষী। আমার আপন জন দিয়ে- এ হৃদয়টা জুরিয়ে দাও, তোমার প্রিয়জন যে পথে- আমায় সে পথে চালাও।

যার কাছে নাই

 যার কাছে নাই খাদিজা বেগম যার কাছে নাই অন্যজনার  সহজ সরল বিশ্বাসের দাম, মানুষ রূপে অমানুষ সে বহন করে মানুষের নাম। যার কাছে নাই মনুষত্ব অন্যের প্রতি ভালোবাসা, তার হৃদয়ে বসত করে হিংসা, নিন্দা, লোভ-লালসা।  সদা খোঁজে ক্ষনিকের লাভ  সে খুজে না হালাল হারাম।। যার কাছে নাই নিরাপত্তা লোকের চোখে ভয়ংকর ত্রাস, মানব রূপে দানব সে জন অন্যের সম্পদ করে খায় গ্ৰাস। অন্যের চোখে কান্না দিয়ে লুটে নিয়ে যায় লোকের আরাম।। যার কাছে নাই মান মর্যাদা  অন্যের প্রতি সহানুভূতি, সাধু রূপে শয়তান সে জন রাখে মিথ্যা প্রতিশ্রুতি। নিপীড়িত মানুষেরা  ভয় করে দেয় তারে সালাম।। যার কাছে নাই নৈতিকতা  তার কাছে সব চাটুকার দল, দলে দলে চাঁদা তুলে সভ্য সমাজ করে বিকল‌। সব অসভ্য জোট বেঁধেছে মূল্যহীন আজ শ্রমিকের ঘাম।। যার কাছে নাই বিবেক-বুদ্ধি  সেই নেশা চোর পাপ ভিখারি, ষড়যন্ত্রের পায়ে হাঁটে মানব রূপে, লোক শিকারি। চোর ডাকাতের ব্যবহার তার তার হাতে সে করে কুকাম।।

পুলিশ ভাইয়া

 পুলিশ ভাইয়া খাদিজা বেগম পুলিশ ভাইয়া ভুলে গেছো  তুমি গরীব দুঃখীর ছেলে, কার হুকুমে গরীব দুঃখী  বিনা দোষে রাখছো জেলে? জনগণের বেতন ভুক্ত হয়েও কেন পুলিশ ভাইয়া, জনগণকেই শোষণ কর  মিথ্যা মিথ্যা মামলা দিয়া? গরীবে দুঃখী খেলনা করে  আর কতকাল যাবে খেলে?? পুলিশ ভাইয়া ভুল করো না  তোমার এই‌ দেশ মাতা ভুলে, সন্ত্রাসীদের দুয়ার গুলো  তোমার ভুলে যাচ্ছে খুলে! দেশের সম্মা নষ্ট হচ্ছে  জ্ঞানীগুনি থাকছে জেলে। পুলিশ ভাইয়া জেগে ওঠো  তোমার দেশের তরে তুমি, দুর্নীতিবাজ দূর করে দাও  ওরাই করছে দেশ মরুভূমি। দেশের সুনাম উজ্জ্বল করো দেশের তরে দাও প্রেম ঢেলে।। এই বিশ্বটার শীর্ষে থাকবে আমার সোনার বাংলাদেশটা, সত্যের সাথে থাকবো আমরা  উপরে ফেলব মিথ্যার শেষটা। দেশমাতা চায় ভালোবাসা  ওরে দেশের গুষখোর ছেলে।।

মায়াবী হাত

 মায়াবী হাত খাদিজা বেগম  যখন তোমার মায়াবী হাত  আমার মাথায় দাও বুলিয়ে, মাথার ব্যথা বুকের জ্বালা  ধীরে ধীরে যায় পালিয়ে। যখন তুমি মুচকি হেসে  আমায় ধরো খুব জড়িয়ে, তখন আমি স্বর্গ ধরি  আমার দুটি হাত বাড়িয়ে। স্বর্গ তখন আমায় নিয়ে  কোথায় যেন যায় মিলিয়ে।। যখন তুমি ডাকো আমায়  তোমার কাছে ইশারাতে, তখন আমি পাগল হয়ে  ছুটি আসি প্রেম পাড়াতে।। তোমার মাঝে নিজে নিজেই হারিয়ে যায় মন ডুব দিয়ে।। যখন তুমি আলতো করে আদর মাখো আমারি গায়, তখন আমার চেয়ে সুখী  হয়না কেহো এই দুনিয়ায়।। প্রেম ভিক্ষারী হয়ৈই থাকবো যেন দিও না তাড়িয়ে ।।