Posts

Showing posts from April, 2025

হাসনাহেনার ঘ্রাণ

হাসনাহেনার ঘ্রাণ  খাদিজা বেগম  তুমি হাসলে হাওয়ায় হাওয়ায়  ছড়িয়ে যায় হাসনাহেনার ঘ্রাণ, সেই ঘ্রাণেতে তোমায় পেতে  আকুল হয়ে ওঠে আমার প্রাণ।।  আমার থেকে দূরে গেলে  তখন আমি দেখি শুধু কালো,  তুমি এলেই ভোর হয়ে যায়  চারিদিকে ছড়ায় শুধু আলো। কে গো তুমি তোমায় দেখে  কষ্ট থেকে মন পেয়েছে ত্রাণ।। আমায় ছেড়ে আর যেও না দখল করে থেকো আমার দিল, কখন যেন তোমার সাথে  হয়ে গেছে আমার মনের মিল।। মনের কোকিল ডেকে ওঠে তুমি থাকলে আমার পাশে পাশে, শিমুল ফোটে পলাশ ফোটে আমার হৃদয় জুড়ে ফাগুন আসে। তুমি যেন শ্রেষ্ঠ তোফা  আমার জন্য ওই বিধাতার দান।।

ভালবাসার কলি

  ভালবাসার কলি খাদিজা বেগম হাজার রাতের স্বপ্ন তুমি তুমি আমার ভালোবাসার কলি, পুষ্প হয়ে ফোটার আগেই তোমার ঘ্রাণে মাতাল মনের অলি।। মনটা আমার খাঁটি সোনা ভুল করেও ভেবো না তো পিতল, একবার ভালো বেসেই দেখো তোমার হৃদয় করে দেবো শীতল। তোমার স্বপ্নে ভরে‌ গেছে আমার মনের সকল অলিগলি।। তোমার রূপে মুগ্ধ নয়ন মুগ্ধ আমার দুই নয়নের পাতা, তাই আপলক চেয়ে দেখি আমার এ মুখ বলে না তো কথা।। জনম জনম দেখতে দিও তোমায় দেখে মন জুড়িয়ে আসে, মন ভোমরা পাগল হয়ে পাখনা মেলে হাওয়ায় হাওয়ায় ভাসে। তুমি আমার সুখের স্বপ্ন আমি তোমার প্রেম অনলে জ্বলি।।

ভালবাসার কলি

  ভালবাসার কলি খাদিজা বেগম হাজার রাতের স্বপ্ন তুমি তুমি আমার ভালোবাসার কলি, পুষ্প হয়ে ফোটার আগেই তোমার ঘ্রাণে মাতাল মনের অলি।। মনটা আমার খাঁটি সোনা ভুল করেও ভেবো না তো পিতল, একবার ভালো বেসেই দেখো তোমার হৃদয় করে দেবো শীতল। তোমার স্বপ্নে ভরে‌ গেছে আমার মনের সকল অলিগলি।। তোমার রূপে মুগ্ধ নয়ন মুগ্ধ আমার দুই নয়নের পাতা, তাই আপলক চেয়ে দেখি আমার এ মুখ বলে না তো কথা।। জনম জনম দেখতে দিও তোমায় দেখে মন জুড়িয়ে আসে, মন ভোমরা পাগল হয়ে পাখনা মেলে হাওয়ায় হাওয়ায় ভাসে। তুমি আমার সুখের স্বপ্ন আমি তোমার প্রেম অনলে জ্বলি।।

ঘরের সুখের তালা

  ঘরের সুখের তালা খাদিজা বেগম ভাঙা ভাঙা ছোনের বেড়া ছিদ্র ছিদ্র নাড়ার চালা, এই বাড়িঘর নিয়ে আমার হইল একি ভীষণ জ্বালা।। চিরা তালির কাপুড় আমার সেলাই করতে করতে হয়রান, লবণ আনতে পান্তা ফুরায় এইভাবে কি আর চলে প্রাণ ? দুর্ভাগ্যটা কাটিয়ে দাও দূর করে দাও দুঃখের পালা।। আমিও তো তোমার দাসী তুমিও তো আমার মালিক, দয়া করে ক্ষমা করো ফিরে তাকাও এই আমার দিক।। শোনো শোনো ওগো  আমার প্রানের মালিক অন্তর্যামী, তোমারি প্রেম না পাই যদি ধ্বংস হয়ে যাবো আমি। দাও খুলে দাও আমার জন্য তোমার ঘরের সুখের তালা।।

সাক্ষী আছে

  সাক্ষী আছে খাদিজা বেগম সাক্ষী আছে সৃষ্টিকর্তা গোপন বলে তোমার কিছু নাই রে, নিজের ইচ্ছায় নিজের ভিতর নৈতিকতা পুষে রেখো তাই রে।। যা ভেবেছো মনে মনে সবি জানে তোমার অন্তর্যামী, তার বিচারে পাপী হলে তোমায় হতে হবে জাহান্নামী। তিনি হলেন ন্যায় বিচারক তিনি থাকেন সব অন্যায়ের বাইরে।। তার কাছে নাই ভুলের শাস্তি ইচ্ছাকৃত পাপের শাস্তি আছে, পাপীরা কেউ ক্ষমা পাইনি ধর্মগ্রন্থের কোন ইতিহাসে।। তিনি হলেন মহান স্রষ্টা শুধরে যাবার সুযোগ দিয়ে রাখে, তাদের ধ্বংস অনিবার্য তবু যারা অন্যায় পথে থাকে। হৃদয় থেকে আমরা যেন সত্য ন্যায়ের পথে চলতে চাইরে।।

কোথায় যাব

 কোথায় যাব খাদিজা বেগম  কোথায় যাব কি করিব  উপায় বলে দাও আমাকে, পা থাকিতে অচল আমি  দাও সারা দাও আমার ডাকে।। চোখ থাকিতে অন্ধ আমি অন্ধ আমার এই দেহ মন,  সত্য সঠিক ন্যায়ের পথে  আমায় চালাও সারাটা ক্ষণ। শালীনতা বজায় রেখো  আমার কথা আর পোশাকে।। যেমন নিষ্পাপ এসেছিলাম  আমি তোমার দুনিয়াতে,  আমায় তুমি তেমন নিষ্পাপ  করে রেখো দিনে রাতে।। ভুল করেও হই না যেন  আমি কারো ক্ষতির কারণ, যেন আমি মেনে চলি  তোমার সকল শাসন বারণ।  তোমার কথা ভুলি না যে  সদা যেন মনে থাকে।।

তওবা দুয়ার খোলা

 আপন ভোলা  খাদিজা বেগম তওবা করো করো রে মন  আজো তওবার দুয়ার খোলা, অহংকারী পাপির জন্য  তৈরি আছে অগ্নি গোলা।। সুব্যবহার করো তুমি  কথা বলো সুন্দর ভাষায়, সুন্দর জীবন যাপন করো সত্য মানুষ হবার আশায়। অন্য জনকে ব্যথা দিয়ে  আর ভয় না পাপের ঝোলা।। লোক ঠকালে ঠকতে হবে  কাঁদালেও কাঁদতে হবে, আজ যে কর্ম করছো তুমি  কালকে তার ফল পেতেই হবে।। প্রকশ্য আর গোপন কর্ম  সকল কর্মের সাক্ষী যিনি, সেদিনের সেই শেষ বিচারের  তোমার বিচার করবেন তিনি।  আর কতকাল থাকবে তুমি  এমনি করে আপন ভোলা।।

ভাঙ্গা গড়ার জীবন

  ভাঙ্গা গড়ার জীবন খাদিজা বেগম ভাঙ্গা গড়ার এই তো জীবন প্রয়োজনে ভাঙবে তুমি, প্রয়োজনে গড়েবে তুমি তোমার সোনার দেহ ভূমি।। এক জীবনে বহু ঋতু আসবে যাবে কেউ থাকবে না, সবার স্বার্থে সবাই ব্যস্ত তোমার কথা কেউ ভাববে না। লক্ষ্য তোমার ঠিক করে লও হয়ে ওঠো দক্ষ আর্মি।। দুঃখগুলো সঠিক কজে জীবন জুড়ে ছড়ায় খুশি, অলস যারা কাজ না করে আপনারে আপনি দোষী। যত্ন নিয়ে স্বপ্ন লাগাও গড়ে তোল সুখের জীবন, তবেই তুমি সম্মান পাবে আনন্দময় হবে ভুবন। পরিশ্রমী সৎ মানুষ যে সেই তো হবে অনেকে দামী।।

ছাই হয়ে যায় তরী

 ছাই হয়ে যায় তরী  খাদিজা বেগম  প্রেম যমুনায় লাগলো আগুন  পুড়ে পুড়ে ছাই হয়ে যায় তরী, সহিতে না পারি আমি  কহিতে না পারি কি যে করি?? চোখ ইশারায় বুঝাই যারে  সে বোঝেনা আমার চোখের ভাষা, তবুওতো মন ছাড়ে না  মনে মনে তারে পাবার আশা। সাগর জলে ডুবে ডুবে  প্রেম পিপাসায় ছটফটিয়ে মরি।। কত কথা লিখলাম তারে আমার চোখের পাতায় ভরে, প্রেমের ভাষা বোঝে না সে  তাই দেখেনি এক বারো তা পড়ে।। কতবার তার হাত ধরেছি  নানারকম অজুহাতের ছলে,  তবুও সে যায় এরিয়ে চোখ ডুবিয়ে আমার চোখের জলে।।  প্রেম আগুনের কঠিন যুদ্ধে  আজো আমি একা একা লড়ি।। 

আকুতি

 আকুতি  খাদিজা বেগম ছেড়ে যেও না দূরে যেও না প্রতি দিনের এই আকুতি মোর, তোমায় ছাড়া বাঁচবো না গো  আসবে না আর এই জীবনে ভোর, আমার এ মন খুব নীরবে  আমায় ছেড়ে তোমার সাথে যায়, একা থাকতে পারবো না গো  এই মন তোমার সঙ্গী হতে চায়। প্রেম ভিকারি হয়ে এলাম  খোলো খোলো তোমার প্রেমের দোর। চোখ খুলিলেও দেখি তোমায়  চোখ মজিলেও দেখি তোমার রূপ, তুমি ছাড়া প্রান অসহায়  মন দিয়েছে তোমার প্রেমে ডুব।। স্বপ্ন হয়ে ঘুম তাড়িয়ে  তুমি থাকো চোখে সারা রাত, তোমার কাছে খুঁজে পেলাম  আমি আমার বেঁচে থাকার স্বাদ।  দিবানিশি তোমায় দেখি  কাটে না তো তোমায় দেখার ঘোর।

কাটার সাথে ফুল

 কাটার সাথে ফুল  খাদিজা বেগম  আমার দুঃখের কারণ তুমি  তুমি আমার মন খারাপের মূল, আমার কান্নার কারণ তুমি  এই ধারণা পুরোপুরি ভুল।। তখনও তো কেঁদেছিলাম  যেই জীবনে তুমি ছিলে না,  তখনো মন খারাপ হতো চাওয়া পাওয়া যখন মিলে না।  সুখের সাথে দুঃখ থাকবে  যেমন থাকে কাটার সাথে ফুল।। দুঃখটারে খারাপ ভেবে  আর অপচায় নয় অমূল্য ক্ষণ, দুঃখ ছাড়া হয় না জীবন  দুঃখ সয়েই সুখী হবে মন।। জীবন থেকেও অভাব বড়  অভাব কারো কভু তো ফুরায় না,  মনের আগুন মনে জ্বলে  হাজার সুখেও তো জুড়ায় না। অন্যের সুখে সুখী হলে  ও মন থাকবে না তো সুখের কূল।।

আমি একা

 আমি একা  খাদিজা বেগম  চারিদিকে নীরবতা  আমি একা চুপচাপ বসে আছি, খুব অসহায় হয়ে আমি  তোমার স্মৃতির জলে জলে ভাসি।। এই পৃথিবীর কোনে রঙে  রঙিন হয়ে ওঠে না মন আমার,  তোমার গায়ে জড়ানো ওই  সাদা কাফন চোখে ভাসে বারবার। তোমার সাথে যেন আমার  কবর হলো আনন্দ সুখ হাসি।।  শেষ কবে যে হেসেছিলাম  খুশি ছিলাম তাও জানিনা আমি, তোমায় ছাড়া ভাল্লাগে না  এই বাড়ি ঘর এত দামি দামি।। খুব নীরবে জল গড়িয়ে  গড়িয়ে যায় আমার দুটি চোখে, তোমায় ছাড়া পাগল পাগল  তাই তো আমার পাগল বলে লোকে। আজ তুমি নাই তবুও তো  আমি তোমায় আজো ভালোবাসি।।

ফুল বাগানের অলি

 ফুল বাগানের অলি খাদিজা বেগম  বারে বারে এই মনে চায়  তোমার সাথে আমি কথা বলি,  তোমার হাতের ওই আঙুলে  আঙ্গুল রেখে একি পথে চলি।। এক পেয়ালায় ঠোঁট ভিজিয়ে  প্রেমের সুধা পান করিতে মন চায়, সবুজ লতার মতন এই মন মনে মনে তোমার সাথে জড়ায়। কেমন করে বুঝাই তোমায়  একা একা প্রেম আগুনে জ্বলি।। এই মনে চায় এক পুকুরে  দুজন মিলে আমরা ডুবে থাকি, ভালোবেসে তোমায় আমি  খুব যতনে বুকের মাঝে রাখি।। তোমায় নিয়ে জেগে জেগে  প্রতিটা রাত হাজার স্বপ্ন দেখি,  তোমায় ভেবে তোমার নামে  সারাটা দিন গান, কবিতা লেখি। ভালোবেসে কাছে এসো ওগো আমার ফুল বাগানের অলি।।

প্রিয় বলে ডাকলে

 প্রিয় বলে ডাকলে  খাদিজা বেগম  তুমি আমায় প্রিয় বলে ডাকলে  মনের মাঝে সুখেরি ঢেউ খেলে,  তুমি আমার কাছাকাছি থাকলে  প্রজাপতি এই মন ডানা মেলে।। বরফ যেমন সূর্যের উষ্ণ ছোঁয়ায়  গলে গলে মিশে নদীর জলে,  তোমার ছোঁয়ায় মন মিশে যায় আমার  খুব নিরবে তোমার মাঝে গলে। প্রাণ হারাবো মরে যাবো  কভু তুমি আমায় ছেড়ে গেলে।। তোমায় পেয়ে সব পেয়েছি আমি  তাই তোমাকে হারাতে আর চাই না,  তোমায় ছাড়া দুঃখী দুঃখী লাগে আমি অন্য কোথাও সুখ পাই না। কানায় কানায় সুখ ভরা ঐ স্বর্গ তার চেয়েও তুমি বেশি দামি, তোমার হাতের আলতো যাদুর ছোঁয়ায়  এক পৃথিবী সুখ পেয়েছি আমি।  স্বর্গের জীবন নরক হবে আমার  শুধু তোমার অবহেলা পেলে।।

আমার হলো পরাজয়

 আমার হলো পরাজয়  খাদিজা বেগম  শুভ সকাল শুভ দুপুর  শুভ সন্ধ্যা বলে কি আর শুভ হয়,  তুমি ছাড়া সব অশুভ  বুকের ভেতর আগুন জ্বলে সব সময়।। ভালো থেকো সুখে থেকো  বললে কি আর ভালো থাকা যায়,  তুমি আমার প্রাণের প্রিয়  তোমায় ছাড়া আমার বেঁচে থাকা দায়। তোমায় ছাড়া আমি বুঝি মরে যাব মনে মনে জাগে ভয়।। তোমায় ছাড়া বিরহী মন  ভরে না তো দামি গয়না শাড়িতে, শাড়ি দিয়ে ফাঁসি দেবো  যদি তুমি না আসো গো বাড়িতে।। নিয়ম করে ঘন্টা ধরে  কথা বললে কি আর কোরো মন জুড়ায়, কেমন করে বললে আমি  বুঝবে তুমি তোমাকে মন কাছে চায়। তোমায় কত ভালবাসি  তা বোঝাতেই আমার হলো পরাজয়।।

বিয়োগ করে নিও না

  বিয়োগ করে নিও না খাদিজা বেগম তোমার খোপার বাসি হওয়া ফুলের মত আমায় ফেলে দিও না, তোমার হাতের চুরির মত তুমি আমার এই হৃদয় ভেঙো না।। অবহেলা করো না গো জল ফেলো না তুমি আমার নয়নে, তোমার আমার মায়ার বাঁধন তুমি জনম জনম রেখো যতনে।। চিরদিনি বাসবো ভালো থাকবো আমি তোমার প্রেমে দেওয়ানা।। তোমার চোখের কাজল ভেবে তুমি আমায় কভু ধুয়ে ফেলো না, আমারি প্রেম খেলনা ভেবে আমার হৃদয় নিয়ে তুমি খেলো না।। তোমার কানের দুলের মতন যখন তখন মায়ার বাঁধন খুলো না, মন মাঝারে রেখো আমায় তুমি আমায় কোনদিনো ভুলনা। তোমায় তুমি আমার থেকে ভুল করেও বিয়োগ করে নিও না।।

মেঘের মত চুল

 মেঘের মত চুল খাদিজা বেগম  মেঘের মতো চুলগুলো তার  আহা ফুলের মত হাসি,  তার প্রেমেতে মন দিওয়ানা  আমি তারে ভালোবাসি।। তার চুলেতে ঢেউ খেলে যায়  ওই দখিনা হাওয়ায় হাওয়ায়, সেই ঢেউতে হারিয়ে যেতে  বারে বারে আমার মন চায়। তাইতো আমি ঘুরে ফিরে  বারবার তারি কাছে আসি।। মনের মত মন পেয়েছি  চায়না কিছু এই দুনিয়ায়,  ভালোবেসে রাখবো তারে  আমার বুকের এই কলিজায়।। তারি সাথে নাচবো আমি  তারি সাথে আমি গাইবো,  এক জনমে নয় গো শুধু  সব জনমেই তারে চাইবো।  তারি স্বপ্নে বিভোর হয়ে  এই মন হয়ে যায় উদাসী।।

নিখিল জাহানের রব

 নিখিল জাহানের রব  খাদিজা বেগম  তুমি বিচার দিনের মালিক  তুমি নিখিল জাহানের রব, তুমি অসীম করুণাময়  তোমার জন্য প্রশংসা সব।। আমি শুধু তোমার গোলাম  তোমার কাছেই সাহায্য চাই,  সঠিক পথটি দেখিয়ে দাও  তুমি ছাড়া প্রদর্শক নাই।  তোমার নামটি যপে যপে  পাখির কন্ঠে হয় কলরব।। হই না যেন পথভ্রষ্ট লোক  হই না যেন অভিশপ্ত, তোমার আদেশ তোমার নিষেধ  করতে পারি যেন রপ্ত।। তোমার হুকুম তামিল করে  রাতের আঁধার যায় যে সরে,  খুব সকালে সূর্য ওঠে  আলোয় আলোয় দেয় যে ভরে। তোমার আদেশ মান্য করে  ফুল ছড়িয়ে দেয় তার সৌরভ।।

পাখির মত উড়ে

 পাখি মত উড়ে  খাদিজা বেগম  মনটা আমার পাখির মত  উড়ে উড়ে খুঁজে তোমায়, ভালবেসে কাছে টেনে  তুমি কেন নাও না আমায়?? তোমায় ছাড়া ভাল্লাগেনা  এই দুনিয়ায় কোন কিছু, আমার এই মন পড়ে থাকে  শুধু তোমার পিছু পিছু। এই বিরহ সয়না প্রাণে  মনে মনে মন তোমায় চায়।। তুমি এলে মন খুশিতে  ফুলের মত পাপড়ি মেলে, কষ্ট ভুলে হাসে এ মন তোমার হাতের ছোঁয়া পেলে।।  আজ কতদিন হয়ে গেল  তোমায় আমি পাইনা কাছে, তাড়াতাড়ি চলে এসো  অনেক কথা জমে আছে।  তুমি ছাড়া নেই তো আমার  বেঁচে থাকার কোন উপায়।।

রাত্রি হলো ভোর

 রাত্রি হলো ভোর খাদিজা বেগম তোর অপেক্ষায় জেগে জেগে  আমার রাত্রি হলো ভোর, তবুও তো আইলি না তুই  নিলি নাতো মোর খবর।। মন পতঙ্গ উড়ে উড়ে  তোর বিরহে পুড়ে যায়, কেমন করে বুঝাই তোরে  তোরে আমার মনে চায়। জানিনা তো কেন এত পাষাণ পাষাণ হৃদয় তোর।। তোরে কাছে পাবার জন্য  অশ্রু ঝরে নয়নে, কাছে এলে সুখী হতাম  ভালো থাকতাম দুজনে।। আমার প্রতি থাকলে মায়া  আমায় দূরে রাখতি না, কাছে এসে বাসতি ভালো  সরে সরে থাকতি না। আমি যেন তোর কাছে  মাটির তৈরি এক কবর।। 

টিপ না দিলে

 টিপ না দিলে  খাদিজা বেগম  টিপ না দিলে কপাল শূন্য  চুড়ি ছাড়া শূন্য হাত, তুমি ছাড়া শূন্য আমি  শূন্য আমার এই বরাত।। তোমার মাঝে আমার সকল  আনন্দ সুখ পূর্ণতা,  তুমি ছাড়া শেষ হবে না  এই জীবনের শূন্যতা।  তোমায় ছাড়া চাইনা আমার  একটি দিনের ও হায়াত।। কথা ছাড়া শূন্য এ মুখ  শব্দ ছাড়া শূন্য কান, চন্দ্র সূর্য ছাড়া শূন্য  শূন্য শূন্য ওই আসমান।। তুমি আমি একটি জোড়া  একটি বাসার দুটি পাখি,   আমরা দুজন ভালবেসে  দুজনাকে আগলে রাখি। খুব আনন্দে যাক না কেটে  তোমার আমার প্রতিটা রাত।।

প্রাণের ময়না পাখি 🐦

 প্রাণের ময়না পাখি 🐦  খাদিজা বেগম শ্বাসে শ্বাসে যায় আর আসে  আমার প্রাণের ময়না পাখি, কোন দিন যেন যাবে উড়ে  চিরতরে দেবে ফাঁকি।। এই পাখিটা ধরা ছোঁয়ার   বাইরে বাইরে গিয়ে থাকে, এই ক্ষমতা নাই তো কারো  কেহ তারে বেঁধে রাখে।  যেদিন পাখি দিবে ফাঁকি  বন্ধ হবে আমার আঁখি।। পাখি ছাড়া হাত চলে না  পা চলে না অচল দেহ,  এই পাখিটা এত দামি  কিনতে পারে নাতো কেহ।। আপনা আপনি আসে পাখি  আপনা আপনি সে যায় চলে, একবার গেলে ফিরবে না আর  যতই কাঁদি চোখের জলে। এই পাখিটা নিয়ে তাইতো  আমি অনেক ভয়ে ভয়ে থাকি।।

পারবে না আর দাবাতে

 পারবে না আর দাবাতে  খাদিজা বেগম জেগে ওঠা এই জাতিকে  পারবেনা কেউ পারবে না আর দাবাতে, প্রাণ বিলিয়ে দেওয়া জাতি ভয় করে না কোন হিংস্র থাবাতে।। সূর্যের মতো আলোকিত  আমার এ দেশ শুধু আলো ছড়াবে, আকাশ সমান পাহাড় হয়ে  আমার এ দেশ পৃথিবীতে দাঁড়াবে। রক্ত দিয়ে গর্ব সাগর  আমার প্রাণের প্রিয় দেশের আঘাতে।। দেশের সুনাম বৃদ্ধি করতে  প্রয়োজনে জীবন দেবো বলিদান, তবু আমরা মানবো না কেউ  দেশের প্রতি কারো কোন অপমান।। নৈতিকতায় অটুট থাকবো  রাখবো সদা দেশের প্রতি সুদৃষ্টি, আমার এ দেশে স্বপ্নের মত মধুর চেয়েও বেশ মধুময় সুমিষ্টি। আলোয় আলোয় ভরা এ দেশ  তারে কভু কেউ পারবে না নিভাতে।।

তেঁতুল

 তেঁতুল  খাদিজা বেগম  শত রোগের উপকারে  লাগে যারে তার নাম তেঁতুল,  টক টক মিষ্টি এই ফলটাকে  তোমরা খেতে করো না ভুল।। তেতুল যত পুরান হবে  ততই বাড়বে তার গুণমান, তেতুল যেন ফলের রাজা  সকল রোগের এক সমাধান। তুলনা নাই এই জগতে  তেঁতুল ফলটা যেন অতুল।। উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে  মেদ কমাতে তেঁতুল খাবে, হাত-পা জ্বালাপোড়ায় তেতুল  খেলে ভালো হয়ে যাবে।। বমি বমি ভাব দূর হবে  বাতের ব্যথা ভালো হবে, ক্যান্সার রোগের ঔষধ তেঁতুল  এর সমান ফল নাই আর ভবে। ভিটামিনের উৎস তেতুল  এই তেঁতুলের পুষ্টি প্রতুল।।

ভুল মানুষ

 ভুল মানুষ  খাদিজা বেগম  যারে আমি ভেবেছিলাম  আমার চেয়েও অনেক আপন,  সেই আমাকে মরার আগেই  দিয়ে দিলো জিন্দা দাফন।। বন্ধু ভেবে দিয়েছিলাম  যার গলাতে আমার গাঁথা মালা, সেইতো আমার জীবনটারে  শত্রুর হয়ে করলো ঝালাপালা। যার ছোঁয়াতে সুখী হতাম  সেই তো আমার দুঃখ-কষ্টের কারণ।। যারে পাবার বাসনাতে  আমার অবুঝ মন হয়ে যায় মাতাল, সেই মানুষটা আমায় রেখে অন্যের প্রেমে ডুবে সকাল-বিকাল।। যারে এত বিশ্বাস করে  সব দিয়েছি রাখিনি তো বাকি,  বিশ্বাসঘাতক হয়ে সেই তো  চিরতরে দিয়ে গেছে ফাঁকি। ভুল মানুষকে বিশ্বাস করে  এখন কেঁদে কেঁদে ভাসাই নয়ন।।

মেয়ে

মেয়ে  খাদিজা বেগম  ভুল করেছি ভুল করেছি  তোমার কাছে ভালোবাসা চেয়ে, সেই ভুলেরি মাশুল দিয়ে  দুই নয়নে অশ্রু যাচ্ছে বেয়ে।। হৃদয়হীনা প্রেম বোঝেনা  বুঝেও কেন তা বুঝি নি আমি, যে জন মনের দাম দিল না  আমি তারেই কেন ভাবি দামি?  আর তো কাউকে মন দেব না  শিখে গেছি এত ব্যাথা পেয়ে।। হৃদয় হীনার প্রেমে পড়ে  বৃষ্টি ঝরে দুই নয়নে আমার, ভুলতে গেলেও যায় না ভোলা  মনে পড়ে যায় বারে বার।। অগ্নিঝরা ওই রুপেতে  পতঙ্গ মন পুড়ে পুড়ে মরে,  তারে ছাড়া ভাল্লাগে না  তারে আমি বুঝাই কেমন করে? বুঝেও কেন বুঝতে চাও না  তোমায় কত ভালবাসি মেয়ে।।

প্রেমো মালি

 প্রেমো মালি খাদিজা বেগম  ধীরে ধীরে চোখের নিচে  জমে গেছে দুঃখের কালি, আজ কতদিন হয়ে গেল  সুখের সাথে নেই মিতালী।। রাতের পরে রাত্রি আসে  তবুও তো ঘুমায় না চোখ, থেকে থেকে জ্বলে বুকে  শুধু তোমায় হারানো শোক। তোমায় ছাড়া শূন্য জীবন  সবি লাগে খালি খালি।। হাত বাড়ালে পাইনা তোমায়  তবু তোমায় মনে রাখি,  তোমার সকল স্মৃতিগুলো  একটি একটি করে আঁকি।। জানি পাবো না গো তোমায়  তবু মনটা আশায় থাকে,  মনে মনে অবুঝ এ মন  দিবানিশি তোমায় ডাকে। আমার পরান যায় জ্বলিয়া   দাও দেখা দাও প্রেমো মালি।।

ও বিধি গো

 ও বিধি গো  খাদিজা বেগম  ও বিধি গো তুমি কেন  এতো দুঃখ লিখেদিলে কপালে? সুখ সাগরে ডুবে দেখি জ্বলে পুড়ে ছাই জ্বলন্ত তাফালে।। সাধনার ফুল না ফুটিতে  কেন ঝড়ে পড়ে ফুলের মুকুল?  গড়ার আগেই ভেঙে পড়ে কেন আমার জীবন নদীর দুকূল। ভোর না হতেই কেন আমার  তিমির রাত্রি নেমে আসে সকালে।। তুমি ছাড়া কেউ জানে না  আমার বুকের লুকানো এই ব্যথা, মনের ক্ষত দাও শুকিয়ে  জানি তুমি শুনবে আমার কথা।। তাইতো আমি বারেবারে  তোমার চরণ তলে বসে কাঁদি, আশা ভাঙ্গা আশা ভুলে  তোমার আশায় আবার আশা বাঁধি। পথ দেখিয়ে নিয়ে চলো  চলি না যে আমি আমার খেয়ালে।।

জিহাদ

 জিহাদ  খাদিজা বেগম  সব জিহাদের বড় জিহাদ  অন্যায় থেকে নিজে দূরে থাকা, নিজের স্বার্থ ভুলে গিয়ে  সকলেরে একটু ভালো রাখা।। দ্বিধা দ্বন্দ্ব সব তারিয়ে  সত্য কথা বলতে হবে মুখে, লোভ লালসা ধুয়ে মুছে  মানবতা রাখতে হবে বুকে। সরল পথেই চলতে হবে  সময় আসুক যতই আঁকাবাঁকা।। ছোট্ট জীবন যায়না যেন  তোমার পাপের অপরাধে ডুবে, ঐশী আদেশ নিষেধ মেনে  সূর্য হয়ে জেগে থাকো পুবে।। পবিত্রতা ডুবে গেলে  ডুবে যাবে তোমার মানব জীবন,  পবিত্রতা রক্ষা করো  তাতে তোমার হয় যদিও মরণ।  তোমার সত্য সুন্দর জীবন  পাপে পাপে পড়ে না যে ঢাকা।।

বৈশাখ

 বৈশাখ  খাদিজা বেগম  বছর শেষে আবার এলো  এলরে আজ এলো বৈশাখ, মেঘের কোলে বিজলি দোলে  আকাশ জুড়ে ঐ মেঘের ডাক।। তরণি আর তরুণ সাজে  রঙিন রঙিন পোশাক পড়ে, গাইছে সবাই নাচছে সবাই শিশু বৃদ্ধ কেউ রবে না ঘরে। অতীতের সব দুঃখ কষ্ট  এই আনন্দে হারিয়ে যাক।। আয়রে তোরা কে কে যাবি  ঐ বৈশাখী মেলার মাঠে, বসছে মেলা দেশটা জুড়ে  পাড়ায় পাড়ায় সব তল্লাটে।। মেলায় আছে নাগরদোলা  তালের পাখা মাটির হাড়ি, একতারা ঢোল বাঁশের বাঁশি  কিনতে চলো তাড়াতাড়ি। চারিদিকে মাদল বাজে  আরো বাজে বাজেরে ঢাক।।

মেঘ ডাকিলে

 মেঘ ডাকিলে  খাদিজা বেগম  দূর আকাশে মেঘ ডাকিলে  এই মন ডাকে তোমায় মনে মনে, বৃষ্টি ভেজা ফুলের মতন  ভিজে যেতে চায় মন তোমার সনে।। মেঘের মতন ভেসে ভেসে  মনের আকাশ জুড়ে এসো তুমি,  তুমি ছাড়া মন সাহারা  বুকের ভিতর অগ্নি মরুভূমি। তোমায় ভেবে কাটে না ক্ষণ  দুই নয়নে শ্রাবণ ক্ষণে ক্ষণে।। আমি নদী তুমি তার জল  তোমার জলে আমি ডুবে থাকি,  ডুবে ডুবে তোমার সনে  দিবানিশি প্রেমের মাখা মাখি।। তালের পাখায় যেমন থাকে  প্রাণ জুড়ানো শীতল বাতাস মিশে, তেমনি করে তোমার সাথে  মিশে যেতে মন হারালো দিশে। কাজল ভ্রমর হয়ে এসো  বসো তুমি আমার ফুলের বনে।।

জ্যোৎস্নার আদর

 জ্যোৎস্নার আদর  খাদিজা বেগম  না না নারে পারি নারে তোমায় ভালো না ভেসে আর থাকতে, তোমার প্রতি লুকানো প্রেম  পারিনা তো লুকিয়ে আর রাখতে।। উপচে পড়া সাগরের জল  যেমন করে ছড়িয়ে যায় গ্রামে,  তেমনি করে আমার এ মন  যায় ছড়িয়ে শুধু তোমার প্রেমে। তোমার প্রতি এতটা প্রেম  পারব না তো কিছুতেই আর ঢাকতে।। জানে যদি জানুক লোকে  আমি তোমার ভালোবাসার পাগল, তুমি আমি দুজন মিলে  ভালবেসে হবো প্রেমের যুগল।। তোমায় নিয়ে স্বপ্ন দেখি  তোমার আমার একটা সুখের বাড়ি,  একা একা মন মানে না  তোমার কাছে আসবো তাড়াতাড়ি। চাঁদনী রাতে আসবো আমি  শিশিরভেজা জ্যোৎস্নার আদর মাখতে।।

ভোলা মন

 ভোলা মন খাদিজা বেগম  ও ভোলা মন মন রে আমার  তুই কেন যে ভুলে থাকিস মরণ,  এমনি করে যাবে না তো  ওরে ও মন তোর সারাটা জীবন।।  তোরও একদিন মরন হবে  তোরও একদিন লাশটা থাকবে পরে,  সময় থাকতে নিজেকে তুই এক মানবিক মানুষ লওনা গড়ে। স্রষ্টার আদেশ নিষেধ গুলো  সকল কাজের আগে রাখিস স্মরণ।।  মানুষ হতে পারবি না তুই  মানব রূপে জন্ম নিলে ভবে,  সৎ মানবিক কাজে-কর্মে  মানুষ তোকে মানুষ হতেই হবে। বিবেক ছাড়া হয় না মানুষ  আবেগ সে তো পশু পাখিরও থাকে, সত্যি কারের মানুষ যারা  তারা সদা নৈতিকতা রাখে।  আজকে না হয় কালকে ছাড়বি  তোকে ছাড়তেই হবে মায়ার ভুবন।। 

শুভ সকাল

 শুভ সকাল  খাদিজা বেগম  খুব সকালে উঠে দেখি  মেসেঞ্জারে শুভ সকাল লেখা,  তাতেও আমার মন ভরে না  ওগো তুমি এসে দাও গো দেখা।। যখন তখন কুরিয়ারে  তুমি পাঠাও উপহারের ডালা, তাতেও আমার মন জুড়ায় না কমে না তো পোড়া মনের জ্বালা। তোমায় ছাড়া তোমার সখি  শেষ হয়ে যায় ওগো প্রানের শখা।। তুমি বিনে মন বসে না  তোমার এত দামি সোনার ঘরে,  দিন চলে যায় উদাস উদাস  রাত নিশিতে চোখের পানি ঝরে।। আর কতকাল বিদেশ থাকব  মরার পরে মাটি দিতে আসবা, আমার স্মৃতি মনে করে  আমার মত চোখের জলে ভাসবা। তুমি আমি জোড়ার পাখি  তাই পারিনা থাকতে একা একা।

মন বিরহে পুড়ে

 মন বিরহে পুড়ে  খাদিজা বেগম  আজ কত রাত চোখে নাই ঘুম  মন বিরহে পুড়ে পুড়ে ছাই, কেঁদে কেঁদে দিশেহারা  তুমি আমার আশেপাশে নাই।। তুমি ছিলে যখন কাছে  এই পৃথিবীর সবি ছিল মোর, এখন আমার শূন্য জীবন  প্রতিটা রাত জেগে জেগে ভোর। এখনতো ভালোবাসি  এখনতো আমি তোমায় চাই।। তুমি কোন সে অভিমানে চলে গেছো এতো এতো দূর, তোমার কানে পৌঁছায় না কি  আমার এতো হাহাকারের সুর?? যদি পারো চলে এসো  নিবিয়ে দাও এই জলন্ত বুক,  তোমার মাঝেই জমা আছে  এই জীবনে সব আনন্দ সুখ। তোমায় ছাড়া আমি এখন  তোমার স্মৃতির মাঝে খুঁজি ঠাই।

অল্প থাকুক

 অল্প থাকুক  খাদিজা বেগম  অল্প থাকুক টাকা পয়সা  ছোট্ট থাকুক আমার বাড়ি গাড়ি,  তুমি শুধু সঙ্গে থেকো  আমার সাথে দিও নাগো আড়ি।। অল্প থাকুক ঠোঁটের হাসি  ছোট্ট ছোট্ট আশা থাকুক মনে, ভোমর হয়ে উড়ে উড়ে  গান শুনিও আমার ফুলের বনে।  তোমার বুকে থাকতে দিও  সেথায় আমার ভালোবাসার বাড়ি।। বেশি কিছু চাইনা আমি  এ জীবনে শুধু তোমায় চাই গো, পৃথিবীতে স্বর্গ পাবো  আমার করে যদি তোমায় পাইগো।। তোমায় পেলে পূর্ণ হব  তুমি ছাড়া শূন্য শূন্য লাগে,  দিবানিশি আমার শুধু  তোমায় ভালবাসার ইচ্ছা জাগে। একটি চাওয়া তোমার কাছে  তুমি আমায় যেওনা গো ছাড়ি।।

দূর যেতে দিও না

 দূরে যেতে দিও না  খাদিজা বেগম কাছে কাছে রেখো প্রিয়  আমায় তুমি দূরে যেতে দিও না,  মন ডুবেছে তোমার প্রেমে  হয়ে গেছি আমি তোমার দিওয়ানা।। পাগল বললে বলুক লোকে  আমি পাগল সে তো তোমার জন্য, তোমার প্রেমে মরে গেলেও  আমার জীবন হয়ে যাবে ধন্য।  আনা আনা গুনে গুনে  বাসবো ভালো তোমায় ষোলো আনা।। তুমি ছাড়া মিথ্যা আমি,  মিথ্যে আমার এই দুনিয়া দারি, প্রাণ পাখিটা উড়ে যাবে  কভু যদি যাওগো আমায় ছাড়ি।। তুমি আমার নিঃশ্বাস হয়ে  আমার বুকের বামের দিকে থাকো, প্রেমের ডালে বসে তুমি  দিবানিশি কুহু কুহু ডাকো।  তোমায় নিয়ে উড়বো আমি  দূর অজানায় খুলে সুখের ডানা।।

আজকের দিনটা

 আজকের দিনটা  খাদিজা বেগম  আজকের দিনটা অন্যরকম  বন্ধু তোমার কোমল হাতের ছোঁয়ায়, আমি যেন ডুবে গেলাম  বন্ধু তোমার মিষ্টি হাসির মায়ায়।। এক পলকে কেটে গেল  সারাটা দিন যেন তোমার সাথে,  জানিনা কি জাদু আছে  বন্ধু তোমার যাদু ভরা হাতে।  আমার এ মন লুকাতে চায়  বন্ধু তোমার ভালবাসার ছায়ায়।। তোমার পায়ে পা মিলিয়ে  হাঁটলে আমার জান্নাতের সুখ লাগে, এত সুখের অনুভূতি  আজকের মতো পাইনি কভু আগে।। চায়ের কাপে ঠোঁট ভিজিয়ে  তুমি যখন তাকাও আমার পানে, আমি যেন হারিয়ে যাই তোমার মাঝে চায়ের টানে টানে। সারা জীবন রাখবো তোমায় ভালোবেসে আমার সকল দোয়ায়।।

চিন্তার দৃষ্টি

 চিন্তার দৃষ্টি  খাদিজা বেগম  ও যার চিন্তার দৃষ্টি কালো  তার ভিতরে নাইরে কোন আলো, স্বচ্ছ সুন্দর চিন্তা করো  চিন্তাতে মন হতেই হবে ভালো।। ভালো চিন্তা আলো হয়ে  ছড়িয়ে যায় কাজে কর্মের মাঝে, মন্দ চিন্তায় দ্বন্দ্ব ছাড়ায় কাজ করে বেড়ায় আজেবাজে। ভালো চিন্তায় ভালো কাজে  দূর হয়ে যায় মনের যত কালো।। মন ভরে লও মানবতায়  তবেই তুমি মানুষ হতে পারবে,  ভিতর থেকে ভাল হলেই  বাহিরের সব মন্দ তোমায় ছাড়বে।।  মনের ভিতর ঠাই দিলে লোভ তোমার দেহ পাপে ডুবে যাবে,  পাপে পাপে পাপী হবে  তোমায় ধরে কর্মফলে খাবে। মন্দ চিন্তা ঝেড়ে ফেলে  তাই হৃদয়ে ভালো চিন্তা জ্বালো।।

সত্যিকারের মানুষ

 সত্যি কারের মানুষ  খাদিজা বেগম  নোংরা মনের মানুষ যারা  তাদের চিন্তা ভাবনা নোংরা নোংরা,  কি আসে যায় তাতে এমন  খুব পরিষ্কার হলেও তাদের চামড়া।। সাদা সাদা পোশাক পরে  কালা কালা চিন্তা করে যারা,  নিজেদের ভোগ বিলাসিতায়  এই সমাজটা নোংরা করে তারা। নোংরা চিন্তা ছেড়ে দিয়ে  ভালো মনের মানুষ হবো আমরা।। আমরা মানুষ মানুষ হলে  এই সমাজে বইবে সুখের হাওয়া,  অন্য কিছু হবার আগে  মানুষ হওয়া সব মানুষের চাওয়া।। মানুষ হয়ে জন্ম নিয়ে  থাকো যদি পশুর মত কাজে,  ভেবে দেখো অমানবিক  কর্মকাণ্ড মানুষের কি সাজে ? সত্যি কারের মানুষ সেই জন  ক্ষতি হয় না যে মানুষের দ্বারা।। 

উদাসী মানুষ

 উদাসী মানুষ  খাদিজা বেগম  দোষে ভরা ভুলে ভরা  আমি হলাম এক উদাসী মানুষ,  কেন আমায় ভালোবেসে  আমার প্রেম তুমি হলে অবুঝ?? একের পরে এক এক করে  প্রতিটা দিন করে গেলাম যে ভুল, আমি জানি কেঁদে কেঁদে  তুমি দিচ্ছ সেই ভুলেরি মাশুল।  কেন আমার মন হলো না  তোমার মনের মত এতো সবুজ?? ভালোবাসা চাইছো যত  ততই তোমায় দিয়েছি তো ব্যথা,  কেউ না জানুক আমি জানি  আমার সকল অপরাধের কথা।। তুমি বলেই যত্নে আছি অন্য লোকে আমায় যেত ছেড়ে,  মাপ না চাইতে মাপ করেছ  ভালবেসে মন নিয়েছো কেড়ে। এত এত দোষ করেছি  দেখনি তো তবু আমার সেই দোষ।।

আমায় খুঁজে পেলাম না

 আমায় খুঁজে পেলাম না  খাদিজা বেগম  কত কিছু পেলাম আমি  শুধু আমি আমায় খুঁজে পেলাম না,  কত কিছু বসলাম ভালো  শুধু আমার আমি ভালো বাসলাম না।। ক্ষমতা আর অর্থোর প্রেমে  মত্ত থেকে আমি গেছি হারিয়ে,  সুখে থাকার লোভে লোভে  অসততায় গেছি আমি জড়িয়ে।  হালাল হারাম জানার পরেও  কেন হারাম ছেড়ে হালাল খেলাম না? শেষ বিচারে বিচার হবে  তবু আমি করে গেলাম অপরাধ,  মন্দ কর্মে লিপ্ত থাকতে  দাঁড় করালাম শত শত অজুহাত।। মানুষ রুপে জন্ম নিয়েও কেন আমি মানুষ হতে পারলাম না,  ছেড়ে দেবো বলে বলে  আজো আমি পাপের কর্ম ছাড়লাম না। এই দুনিয়া ভালই বুঝলাম  আখেরাতের ভাল কেন বুঝলাম না।।