Posts

Showing posts from March, 2024

কবে থেকে

 কবে থেকে খাদিজা বেগম  কবে থেকে বসে আছো  এই অন্তরে খুব গোপনে, তা না বুঝে তোমায় খুঁজে  ফিরি আমি জনে জনে‌‌।। তোমায় ডেকে ডেকে আমি  হয়ে থাকি পাগল পারা, তবু কেন দাওনি তুমি  আমার ডাকে কোন সাড়া? তোমায় দেখার জন্য কত  অশ্রু ঝরে দুই নয়নে।। কবে থেকে ভালবাসো  আমি বোকা বুঝিনি তা, মহাজ্ঞানী বলে তুমি  জানো আমার সকল কথা।। দাও দেখা দাও আমার চোখে ছুঁয়ে দেখি দুটি হাতে, অনুভবে পাই তোমাকে দিবা নিশি আমার সাথে। নিরিবিলি মিশে আমি  তুমার সাথে ক্ষণে ক্ষণে।।

সময় ফুরিয়ে যায়

  সময় ফুরিয়ে যায় খাদিজা বেগম লিখতে লিখতে কালি যেমন হঠাৎ করে শেষ হয়ে যায়, চলতে চলতে তুমিও তো অচল হবে এই দুনিয়ায়।। কালি ছাড়া কোন কলম কেউ রাখে না কারো হাতে, প্রাণটা তোমার উড়ে গেলে কেউ রাখবে না দুনিয়াতে। আপন জনে সবাই মিলে মাটির ঘরে রাখবে তোমায়।। তোমারি ঘর দালান কোঠা ভাগ করে সব সবাই নেবে, কেউ নেবে না পাপের বোঝা কাজ করো না আর না ভেবে।। কাজের আগে ভাবো তুমি পরে ভেবে লাভ হবে না, টাকা পয়সা জায়গা জমি তোমার সঙ্গে তো যাবে না। সময়টাকে কাজে লাগাও তোমার সময় ফুরিয়ে যায়।।

শাস্তি পাবে

 শাস্তি পাবে খাদিজা বেগম  থাকবা নারে থাকবা না আর  তুমি থাকবা না এই ভাবে, কালো চুল সব সাদা হবে  টানটান চামড়া ঝুলে যাবে।। রংবেরঙের এই দুনিয়ায়  আমার চোখে ঝাঁপসা হবে, কিসের আশায় কিসের নেশায়  ও মন ডুবে থাকো তবে? দুই সারিতে সাজানো দাঁত  এঁকেবেঁকে পড়ে যাবে।। প্রাণ থাকিতে দেহটাকে  তুমি কর মন নিয়ন্ত্রণ, প্রাণ পাখিটা উড়ে গেলেই  শেষ হবে মন সব আয়োজন।। যেই প্রেমেরি জোয়ারে আজ  ভেসে যাচ্ছো পাপের স্রোতে, সেই প্রেম একদিন বিলীন হবে কাজ হবে না অজুহাতে। ইচ্ছাকৃত পাপ করিলে  শেষ বিচারে শাস্তি পাবে।।

লোভ লালসা ছাড়ো

 লোভ লালসা ছাড়ো খাদিজা বেগম  তুমি আমায় ব্যথা দিয়ে  যদি হাসতে পারো, তবে আমায় ব্যাথা দিও  যত খুশি আরও।। আমি তোমার নাই বা থাকি  থাকুক তোমার হাসি, ওই হাসিটা অনেক দামি  আমি ভালোবাসি। যে তোমারে বাসলো ভালো  তারে কেন মারো?? তোমার বিবেক খেয়ে নিলো  লোভ নামের ঐ পোকা, যখন তুমি অন্যজনকে  দিয়ে যাচ্ছ ধোঁকা।। বিবেক ছাড়া মানুষ তুমি  বোঝনা লাভ ছাড়া, ভালো করে দেখো তোমায়  তুমি জিন্দা মরা। বাঁচার মত বাঁচতে হলে লোভ লালসা ছাড়ো।।

আউলিয়া

 আউলিয়া খাদিজা বেগম আউলিয়া ও হে আউলিয়া তুমিই একজন আউলিয়া, যদি থাকতে পারো তুমি  কাউকে কষ্ট না দিয়া।। তোমার মনটা স্বচ্ছ রাখ  আয়নার মত করিয়া, হাদিস কোরআন মতে তুমি  তোমারে লও গড়িয়া। তোমার মাঝেই উঠবে জেগে আল্লাহর পাগল আউলিয়া।। পিতা-মাতার সেবা করো যেওনা তা ভুলিয়া, পিতা-মাতা বড় আলেম  বিশ্ব সেরা আউলিয়া।। হালাল খাবে সত্য বলবে রাগের সময় থাকবে চুপ, তোমার মাঝেই উঠবে ফোটে ওই আউলিয়ার মহান রূপ। মাজার কিংবা গাছ তালাতে  নাই রে কোনো আউলিয়া।।

হেফাজতে রেখো

 হেফাজতে রেখো খাদিজা বেগম  পাপের পথে যাই না যেন  পথ দেখিয়ে দাও আমাকে, শুদ্ধ করো মুক্ত করো সব পাপ থেকে এই আত্মাকে।। হেফাজতে রেখো তুমি  চোখের দৃষ্টি মুখের কথা, নিভিয়ে দাও বুকের জ্বালা  জ্বলন্ত এই মনের ব্যথা। লোভ লালসা থেকে বাঁচাও  আমার পাপী দেহটাকে।। নিয়ন্ত্রণে রাখো তুমি  আমার মনের সকল চাওয়া, তুমি আমার হয়ে গেলেই হবে আমার সকল পাওয়া।। তুমি ছাড়া মিথ্যা সবি  এই দুনিয়ায় একটা ছায়া, ধরা যায় না ছোঁয়া যায়না  আযথা এক মিথ্যা মায়া। এ সব ছেড়ে যেতে হবে আমি যাবো তোমার ডাকে।।

এতো নিচে নেমেছ

 এত নিচে নেমেছ খাদিজা বেগম টানতে টানতে নিজেকে আজ  পশুর দলে এনেছ, জায়গা নাই আর নিচে নামার  এতই নিচে নেমেছ।। পশু হওয়ার দরজা খোলা সবার জন্য হাজারো, চাইলেই পশু পারবেনা তো মানুষ হতে আবারও। ভালো দামে কেন তুমি  এত মন্দ কিনেছ?? মানুষ হয়েও করছ তুমি  পাপের সাথে সমতা, অমূল্য ক্ষণ ব্যয় করেছ  অকারণে অযথা।। মানব দেহ চেনলে শুধু  চেননি তার আত্মাকে, তাইতো তুমি মেরে ফেলছো  তোমার আপন সত্তাকে। চেনার মত মন আছে যার সেই তো তারে চিনেছে।।

দাও ঈমানের আলো

 দাও ঈমানের আলো খাদিজা বেগম  চোখ থাকিতে অন্ধ আমি ভুল পথে যাই চলে, সেই ভুলেরি দিচ্ছি মাশুল  আমার চোখের জলে। চোখের আলো আলো তো নয়  দাও ঈমানের আলো, সেই আলোতে জয় করিব  সবার সকল ভালো। এমন ঈমান দান করো সাই  লোভে নাহি টলে।। তোমার আদেশ তোমার নিষেধ  যেন মেনে চলি, সুখে দুঃখে সব সময়ে  যেন সত্য বলি।। তোমার চরণ ছাড়া যেন হয় না এই শির নিচু, তুমি ছাড়া ছুটি না যে অন্য কিছুর পিছু । আমায় তুমি রক্ষা কর তোমার ক্ষমার বলে।।

শোনো ও ভাই

 শোনো ও ভাই খাদিজা বেগম  অপরাধী কাজ ছেড়ে দাও  শোনো ও ভাই চাঁদাবাজ, মায়ের মত এ দেশ তোমার  তোমারই তো এই সমাজ।। দেশের সন্তান হয়েও কেন  দেশকে করো অপমান, ন্যায়ের পথে থাকলে তোমরা  বৃদ্ধি পাবে দেশের মান। ন্যায়ের পথে আসরে ভাই  কর ন্যায়ের সাথে কাজ।। চাঁদাবাজি ছাড়ো আজি  ভাই, আর চাঁদা তুলনা, এই দেশ তোমার মায়ের মত  তুমি তারে ভুলো না।। এই দেশ আমার এই দেশ তোমার  দেশ আমাদের অহংকার, নৈতিকতা রক্ষা করে  মান বাড়াবো পতাকার। কাল-পরশু নয় চলে এসো  ন্যায়ের পথে তোমরা আজ।।

সহায়তা

 সহায়তা খাদিজা বেগম  মানুষের নাই আগের মত সহায়তার সেই মনোভাব, ভোগ বিলাসী মানুষ এখন  তাদের ত্যাগের বড় অভাব।। মানুষ এখন ভুলেই গেছে সহায়তার হাত বাড়াতে, বিপদ আপদ শোকের সময়  লোকের পাশে লোক দাঁড়াতে। মানুষ এখন ব্যবসা খোঁজে  সবকিছুতেই চায় নিজের লাভ।। পারস্পারিক সেই সম্প্রীতি এখন আর নাই লোকের মাঝে, তাই বিশ্বাস নাই, একতা নাই শৃঙ্খলা নাই এই সমাজে।। লাঞ্চিত বঞ্চিত ওদের জন্য  আবার আমরা মানুষ হব, ঐক্যবদ্ধ হয়ে আমরা একে অন্যের পাশে রব । তবেই হবে সবার মাঝে  ওই জান্নাতের সুখ অনুভব।।

কুমন্ত্রণা দেয়া শয়তান

 কুমন্ত্রণা দেয়া শয়তান খাদিজা বেগম  নিঃশ্বাস থামার আগে যেন আমার কলম থেমে যায় না, তার বিরুদ্ধে কলম চলুক যে মানুষের মঙ্গল চায় না।। এই মুখ থামার আগে যেন সত্য বলা থেমে যায় না, তার বিরুদ্ধে কথা জ্বলুক  যে এদেশের ভালো চায় না। চিন্তা থামার আগে আমার  ন্যয় বিচার থেমে যায় না।। এই প্রাণ যাওয়ার আগে যেন  নৈতিকতা ছেড়ে যায়না, মেনে না নেই কভু যেন মনের যত অন্যায় বায়না।। পাশ কাটিয়ে চলি যেন  কুমন্ত্রণা দেয়া শয়তান, সবার আগে আমি যেন  রক্ষা করি পূর্ণ ঈমান। আমার জিব্বা কভু যেন  কোন হারাম খাবার খায় না।।

ওরা ভালো থাকুক

 ওরা ভালো থাকুক খাদিজা বেগম আমি যাদের আপন ভেবে  শক্ত করে ধরেছি হাত, তারাই আমায় ছেড়ে গেল দেখিয়ে না না অজুহাত।। আমার ভাবনা ভুল ছিল সব  তারা আমার জন্য নয়তো, তাদের মত চিন্তা ভাবনা আমার কাজে কর্মে নেই তো। ওদের মত পারব না তো স্বার্থের জন্য করতে আঘাত।। ভালোবেসে অন্ধ হয়ে করেছিলাম আমিও ভুল, কেঁদে কেঁদে আমি এখন  সেই ভুলেরি দিচ্ছি মাশুল।। আমি ওদের আপন ছিলাম  পর করেছে স্বার্থের জন্য, অর্থ শূন্য হলেও আমি হবো না তো বিবেক শূন্য। তবু ওরা ভালো থাকুক  ওদের জন্য এই মোনাজাত।।

কবে থেকে

 কবে থেকে খাদিজা বেগম  কবে থেকে বসে আছো  এই অন্তরে খুব গোপনে, তা না বুঝে তোমায় খুঁজে  ফিরি আমি জনে জনে‌‌।। তোমায় ডেকে ডেকে আমি  হয়ে থাকি পাগল পারা, তবু কেন দাওনি তুমি  আমার ডাকে কোন সাড়া? তোমায় দেখার জন্য কত  অশ্রু ঝরে দুই নয়নে।। কবে থেকে ভালবাসো  আমি বোকা বুঝিনি তা, মহাজ্ঞানী বলে তুমি  জানো আমার সকল কথা।। দাও দেখা দাও আমার চোখে ছুঁয়ে দেখি দুটি হাতে, অনুভবে পাই তোমাকে দিবা নিশি আমার সাথে। নিরিবিলি মিশে থাকি  তুমি আমি ক্ষণে ক্ষণে।।

সাযাইয়া দাও

 সাজাইয়া দাও  খাদিজা বেগম  তোমরা আমায় সাজাইয়া দাও  সাদা রঙের শাড়িতে, হাতে হাতে তুলিয়া দাও চাকা ছাড়া গাড়িতে।। তোমরা আমায় মাফ করে দাও দোয়া করো সেজদাতে, ফের আবারও দেখা হবে সবার সাথে জান্নাতে। থাকবো না আর পরের বাড়ি  যাব আপন বাড়িতে।। তোমরা আমায় ডেকো না কেউ  এই নয়ন আর খুলবে না, আমার জন্য দোয়া করতে তোমরা কেহই ভুলবে না।। মহা যাত্রার যাত্রী আমি  দাও আগাইয়া কবরে, ওইখানেতে গিয়ে আমি  থাকবো অনেক আদরে। কেউ ভুলনা হবেই তোমায় এই দুনিয়া ছাড়িতে।।

না হয় যেন পুড়িতে

 না হয় যেন পুড়িতে খাদিজা বেগম  ডানা ভাঙ্গা পাখি যেমন পারে না আর উড়িতে, চরণ ছাড়া ঘোড়া তেমন  পারে না আর ঘুড়িতে।। ধর্ম ছাড়া মানুষ তেমন  সৃষ্টিকর্তা না চেনে, প্রতিদিনই পাপ করে যায়  নিজেকে সে না জেনে। তাই নিজেকে আঘাত করে  লোভ লালসার ছুরিতে।। মানুষ করে মানুষেরে  সুযোগ পেলেই উপকার, মানব রুপি দানব গুলো  করবে শুধু অপকার।। অন্যের ক্ষতি করে কেন করছ নিজের সর্বনাশ? সত্য ছাড়া করছ বহন  কেন তোমার জিন্দা লাশ। হারাম থেকে দূরে থাকো না হয় যেন পুড়িতে।।🔥

খোলা চুলের ঘ্রাণে

 খোলা চুলের ঘ্রাণে খাদিজা বেগম খোলা চুলের ঘ্রাণে ঘ্রাণে  হৃদয় পাগল হয়ে গেছে, অগ্নি রূপের আগুনে মন মোমের মত গলে গেছে।। তার ভাবনায় দিবানিশি  উদাস উদাস থাকে এই মন, তার মুখের এই মিষ্টি হাসির  শব্দ আসে সারাটা ক্ষণ। নিয়ে গেছে সে আমার মন  চুরি করে নিয়ে গেছে।। মায়া ভরা মায়াবী রূপ আমার চোখে চোখে ভাসে, স্বপ্ন হয়ে রাত নিশিতে খুব নীরবে কাছে আসে। ধরাছোঁয়ার বাইরে থাকে  ডাকলে আমায় দেয় না সাড়া, তার নয়নের ইশারাতে  আমায় করলো দিশাহারা। তার প্রেমের ওই যমুনাতে  আমার এমন ভেসে গেছে।।

সময়ের দাম দিও

 সময়ের দাম দিও খাদিজা বেগম  কতজনে কত কিছু  বেঁচে জীবন করলো ছাই,  সততা নয় বিবেক ও নয়  আমি সবজি বেঁচে খাই।। স্রষ্টার দেওয়া অমূল্য ধন  সত্য, বুদ্ধি, জ্ঞান দেহ, ক্ষুধার দায়ে প্রাণ গেলেও  বেঁচে খায়ো না কেহ। মানুষ হয়ে বাঁচতে হলে নৈতিকতা থাকা চাই।। সত্য যদি হারিয়ে যায় বেঁচে থেকে কি হবে, যাই করো না কেউ রবে না বেশি দিন আর এই ভবে। আসা যাওয়ার মাঝেরে ভাই তোমার আমার পরীক্ষা, তোমায় আমায় করতে যাচাই   দিলেন কিছু ক্ষণ ভিক্ষা। নিজের সময় কাজে লাগাও সময়ের দাম দিও তাই।।

বাবার আদর

 বাবা আদর খাদিজা বেগম  বাবা আদর পাই না আমি  হয়ে গেলো আজ কত দিন, বাবা ছাড়া দিশেহারা  জীবন হয়ে গেলো কঠিন।। আমি হাঁটলে হাঁটতাম সদা আমার বাবার আঙুল ধরে, বাবার মত কেউ নাই পাশে এখন হাঁটবো কেমন করে। দিবানিশি একটা ব্যথা আমার বুকে করে চিনচিন।। আমার ব্যথায় কাঁদতো বাবা মুছে দিতো নয়নের জল, এই পৃথিবী কাঁদায় আমায় করে নানা রকমের ছল। বাবা ছাড়া অন্ধকার সব কোন আলো খুঁজে পাই না, বাবা ছাড়া এই পৃথিবী এক মুহূর্ত আমি চাই না। বাবা আমায় মাফ করে দাও তোমার কাছে হাজারো ঋণ।।

খোলা জানালাতে

 খোলা জানালাতে খাদিজা বেগম (খোলা) জানালাতে চেয়ে থাকি  ওগো তুমি আসবে বলে, (তোমার) অপেক্ষাতে বুক ভেসে যায়  দুই নয়নের নোনা জলে।। আর কত কাল কাঁদবো আমি   কাঁদাবে গো এমনি করে, কেন কাছে এসেছিলে যদি দূরেই থাকো সরে? কেন আমায় বেঁধেছিলে তোমার ভালোবাসার ছলে।। আজ বুঝেছি প্রেম করনি করেছ প্রেম এর অভিনয়, অভিনয়ে মুগ্ধ হয়ে  দিয়ে দিলাম আমার হৃদয়।। এখন তোমায় আর দেখি না আমার খোলা জানালাতে, গ্রিলের ফাঁকে হাত রাখে মন এখনো তো তোমার হাতে। তোমার এই রূপ স্মরণ করে দিবানিশি এই মন জ্বলে।।

মন ভাঙিলি

 মন ভাঙিলি খাদিজা বেগম  কেমন করে তুই আমারে শত্রুর মত আঘাত দিলি, তুই তো আমার দুই নয়নে পরম বন্ধু হয়েই ছিলি।। কোথায় গেল ভালবাসা আমার জন্য তোর মামাতা, কোন কারনে ভুলে গেলি  দিলি আমায় এত ব্যথা? দূরেই যদি ফেলে দিবি  কেন কাছে টেনে নিলি? এতো ভালো বাসলাম তারে  তুই দিলি না তার কোন দাম, তোরে ভাল বেসে আমি  পেলাম শুধু শুধু বদনাম।। রং বদলানো গিরগিটি তুই  মানুষ ভেবেই করেছি ভুল, তাই দিয়ে যাই চোখের জলে  তোরে ভালোবাসার মাশুল। মনের মাঝে থেকে আমার  কেমন করে মন ভাঙ্গিলি??

ভালবাসা নাই

 ভালবাসা নাই খাদিজা বেগম  ভালোবাসা নাই নাইরে নাই  ভালবাসা নাই ভুবনে,  ভালোবাসা ভেবে কাউকে  ঠাঁই দিও না তোমর মনে।। ভালোবেসে রাখবে যারে খুব গোপনে নিজের মনে,  সেই ভাঙিবে তোমার ঐ মন  ধীরে ধীরে খুব যতনে। ভালোবাসলে দিবানিশি  শ্রাবণ ঝরবে দুই নয়নে।। ভালোবাসা ভেবে তুমি  যারে চাইবে আপন করে, আপন কভু হবে না সে আগুন দেবে তোমার ঘরে।‌। ভালোবেসে ভালো নাইরে  এই দুনিয়ায় কোন প্রেমিক, মিথ্যা ভালোবাসা পেতে  ছুটে চল না দিক বেদিক। দায়িত্ব ছাড়া নাই কিছু আর মানব জাতির এই জীবনে।।

একটু খানি

একটুখানি খাদিজা বেগম  একলা ঘরে একটুখানি  হয় যদি হোক মারামারি, অরও একটু ধাক্কাধাক্কি হয় যদি হোক জোরাজুরি।। তুমি আমি হোক না একটু  কথায় কথায় কাটাকাটি, একটুখানি নির্জনে  আঙ্গুল ধরে হাটাহাটি। হাঁটতে হাঁটতে হোক না একটু  ভালোবাসার আলাপচারি।। হয় যদি হোক তোমার আমার  খুব গোপনে ধরাধরি, হয় যদি হোক নিয়ম ভেঙ্গে  একটু খানি বাড়াবাড়ি ।। হয় যদি হোক মাঝে মাঝে  দুজন মিলে দৌড়াদৌড়ি, প্রেমের জন্য হয় যদি হোক একটু খানি হুড়োহুড়ী। এমনি করেই তুমি আমি  হয়ে যাবো বুড়োবুড়ি।। কোন কিছুই হয় না যেন শুধু একটি জানের মতে, ততেই সংসার ধ্বংস হবে রক্ত ঝরবে হৃদয় হতে। হয় যদি খুব বাড়াবাড়ি  ভেঙ্গে যাবে খুশীর হাঁড়ি।।

বিদায়

 বিদায় খাদিজা বেগম  সুখের সময় জলদি জলদি  যায় কেন যায় ফুরিয়ে যায়? হাজার দিনেও হয়না ঘন্টা  আসে যখন দুঃখের সময়।। সম্পর্কটা থাকলে ভালো কথা বলার নাই কোনো শেষ, সম্পর্কটা মন্দ হলে কথা বলতে হাজারো ক্লেশ। যার সৃষ্টি এই আমি তুমি  সবি চলে তারি কথায়।। জোয়ার ভাটার মতন জীবন বারে বার হয় পরিবর্তন, এক জীবনে সবি আসবে  হাসি, কান্না, সুখ চিরন্তন।। গরিব শুধু কাঁদে না রে রাজা রানী তাঁরাও কাঁদে, মাঝে মাঝে তারাও পরে এই জীবনের কঠিন ফাঁদে। সব সময়ে তা হবেনা মানুষের মন ঠিক যেমন চায়।। চাওয়ার পাওয়ার অমিল হিসাব না মিলিয়ে যেতে হবে, না চাইলেও যেতে হবে থাকবে না কেউ এই ভবে। না নিলেও তুমি বিদায় জীবন তোমায় দেবে বিদায়।।

পাপের ভাগ

 পাপের ভাগ খাদিজা বেগম  ওই করনার মহামারী  এখন চলে গেছে বলে, ভাবছো তুমি মরবা না আর  হারাম খাচ্ছ তলে তলে।। ওই করোনা নাইবা আসুক  আসবে ঠিকই তোমার মরণ, শেষ বিচারের কথা তুমি  দিবানিশি রাখো স্মরণ। মানব জীবন ধন্য কর  সততা আর ত্যাগের বলে।। দুই দিনের এই দুনিয়াতে  লোক ঠকিয়ে লাভ হবে না! অর্থ সম্পদ সবই রবে  একদিন তুমি আর হবে না।। সম্পদের ভাগ সবাই নেবে  তোমার পাপের ভাগ নেবে না, অসৎ পথে অর্জন করে  কাউকে কিছু আর দেবে না। সময় থাকতে সুপথ ধর ভাসো অনুতাপের জলে।।।

কথা হচ্ছে রেকর্ড

 কথা হচ্ছে রেকর্ড খাদিজা বেগম  কথার আগে সালাম দিয়া খুব সাবধানে কথা বলো, সকল কথা হচ্ছে রেকর্ড  তোমায়, আল্লাহ করছে ফলো।। অনর্থ্যক আর বাজে কথা  কেউ বলো না কোরো মুখে, কর্কশ কন্ঠে ধমক দিয়ে জল ফেলনা কারো চোখে। সুন্দরভাবে উত্তমরূপে  সদা সত্য কথা বলো।। ঈমানদারগণ দৃঢ় থাকে তাদের কথা এবং কাজে, ক্ষমার নীতি অবলম্বনে শান্তি ছড়ায় সবার মাঝে।।  মূর্খ, বোকা, অজ্ঞ লোককে সাধ্যমত যাও এড়িয়ে, না জেনে না বুঝে কথা বলো না কেউ আগ বাড়িয়ে। জ্ঞান খাটিয়ে কৌশল করে সৎ উপায়ে কথা বলো।।

আপন ভেবে

 আপন ভেবে খাদিজা বেগম প্রাণের চেয়ে আপন ভেবে যারে দেবে মনে ঠাই, সেই সুযোগে মন ভাঙ্গিবে এই দুনিয়ায় আপন নাই।। ভালোবেসে যারে দেবে  তুমি তোমার দেহ মন, সেই তো তোমায় ফেলে দেবে ফুরালে তার প্রয়োজন। ভালবাসলে পুড়বে তুমি  জ্বলে পুড়ে হবে ছাই।। ভালোবাসা মরিচিকি   তার পেছনে ছোট না, ভালোবেসে নিঃস্ব হবার  আছে অশেষে ঘটনা। ভালোবেসে ভালোবাসা  পায় নি কেহ কোনদিন, তোমারি মন নিয়ন্ত্রণে  রাখো তুমি চিরদিন।। তোমার দায়িত্ব পালন করতে  দায়িত্বশীল হও তুমি তাই।

পাপের শাস্তি

 পাপের শাস্তি খাদিজা বেগম  যখন নদী অশান্ত হয় ঢেউয়ে ঢেউয়ে কূল ভেঙ্গে যায়, যখন কেহ অমানুষ হয়  তার কথাতে মন ভেঙ্গে যায়। যে কূল ধরে রাখে নদী  তার হৃদয়ে যত্ন করে, সেই নদীতে তার কূল ভেঙ্গে  হারাতে চায় দূর সাগরে। এই দুনিয়ার কেউ সুখী নয় বেঁচে থাকার এই অবস্থায়।। মাঝে মাঝে সাগর টাও  ছুটে আসে তার কূল ছেড়ে, নদীর সাথে প্রেম করিতে কত কিছু নেয় সে কেরে। তবু নদী নদীর জায়গায় সাগর থাকে ঐ সাগরে, নিজের চাওয়া পাওয়ার জন্য লাভ কি অন্যের ক্ষতি করে? পাপের শাস্তি পেতে হবে থাকবে না কেউ এই দুনিয়ায়।।

ইফতারি

 ইফতারি খাদিজা বেগম ইফতারিতে তোমরা খাবে  আনার, আঙ্গুর, আপেল, খেজুর, আমার রোজা রোজা তো নয়  আমরা কৃষক, শ্রমিক, মজুর।। দানবেরাও খায় না এত  তোমরা যত করো পাচার, কেউ দেখনা, কেউ বুঝনা  গরিব দুঃখীর কি হাহাকার! সিন্ডিকেটের রাজা তোমায় সালাম জানাই হুজুর হুজুর।। নেতার লক্ষ্য লোকের ভাল চোরের লক্ষ্য চুরি করা, ভেবেচিন্তে বল রে মন  কারা নেতা কারা চোরা?? এই দেশেতে লোকের চেয়ে  দালাল এবং দালাল প্রচুর, এই দালালের খপ্পরেতে  কত মানুষ হলো ফতুর। আইন আদালত এখন যেন অন্ধ, বোবা এবং আঁতুড়।।

জামাই

জামাই খাদিজা বেগম  যৌতুক নেয়া জামাই আমি  ঘুমাই শ্বশুরের দেয়া খাটে, বৌকে নিয়ে থাকি আমি  শ্বশুরেরে দেয়া একটা ফ্লাটে।। রোজার সময় ইফতারি খাই  শ্বশুরের দেয়া ইফতারিতে, শ্বশুর বাড়ির দেয়া গরু আমি কোরবানি দেই কোরবানিতে। মাঝে মাঝে বলে লোকে  আমি ছেলেটা খুব বখাটে।। শ্বশুর আমার অনেক ভালো শুধু বৌটা আমার খ্যাপাটে, মাঝে মাঝে লাথি মারে  শুইতে দেয় না বাবার খাটে।। আরও দাবি গাড়ির চাবি  শ্বশুর দিল আমার হাতে, বাবার কাছে পাবে মেয়ে  আমি কেন নাক গালালাম তাতে। এখন আমি চিন্তায় মরি  কি হবে শেষ বিচারের মাঠে?? এত কিছু নিয়েও আমি  দেয়নি বউয়ের দেনমোহর, আমার ভিতর নাই বুঝি আর এখন মানুষের অন্তর। শান্তি নাই আর আমার বুকে  অনুশোচনায় বুক ফাটে।। বড় বাড়ির জামাই আমি আজ সকলের কাছেই ছোট, জামাই হবার আগে তোমরা যেন মানুষ হয়ে ওঠো। যৌতুক নিয়ে করলে বিয়ে  মান হারাবে পথে ঘাটে।। স্বরবৃত্ত ৪/৪,মাত্রাবৃত্ত ১০

জ্ঞানী মানুষ

 জ্ঞানী মানুষ খাদিজা বেগম  কোথায় সেই সে জ্ঞানী মানুষ  রাজার চেয়েও ক্ষমতা যার, তার জ্ঞানে সে চৌচির করবে  স্বৈরাচারী রাজার চেয়ার।। কোথায় আছে তার জ্ঞান ভান্ডার বোমার মত কখন ফাটবে, সে দেখাবে মু্ক্তির সেই পথ  সবাই তার সে পথে হাঁটবে। কোথায় গেলে পাবো তারে  তারে এখন সবার দরকার।। জ্ঞানীর সে জ্ঞান অস্ত্রের চেয়ে আরও বেশি খুব শাণিত, জ্ঞানীর কথা বজ্রের চেয়ে  আরও বেশি খুব ধ্বনিত।। জ্ঞানীর দৃষ্টি ঝড়ের মত নোংরা করে দেয় পরিষ্কার, জ্ঞানীর লেখার সূত্র ধরে নতুন নতুন হয় আবিষ্কার। জ্ঞানী তুমি কোথায় আছো  খুলে দিয়ে যাও রুদ্ধ দ্বার।।

ফল পাবি না

 ফল পাবি না  খাদিজা বেগম  কোনো দানে ফল পাবি না  যদি অন্যের হক খাও মেরে, কোন রোজায় কাজ হবে না  যদি অন্যের ধন নাও কেরে।। মুসলিম হলো সেই মানুষটি  যার এক রবে দৃঢ় বিশ্বাস, হাজার বিপদ আপদেও  সে কখনো হয়না হতাশ। তার সততা সে দেবেনা  যদিও যায় জীবন ছেড়ে।। মানুষ কভু করে না ভাই  প্রতারণা করার ধান্দা, ভিতর বাহির যাদের সাদা তারাই আল্লাহর প্রিয় বান্দা। নামাজা, রাজার চেয়ে বড় সবার সাথে সৎ ব্যবহার, কাজ হবে না হজ, যাকাতে  কথাবার্তা ভালো না যার। সঠিক পথে চলতে হলে  কোরআন হাদিস পড়ে নেরে।।

ন্যায় অন্যায় বোধ

 ন্যায় অন্যায় বোধ খাদিজা বেগম  কেন তুমি অন্য জনার  বারা ভাতে দিয়েছ ছাই? তোমার ভিতর বিবেক বুদ্ধি  ন্যায় অন্যায় বোধ কিছুই কি নাই?? কত কষ্ট করার পরে  এক থালা ভাত সামনে আসে? কেউ যখন তা ছিনিয়ে নেয় ক্ষুধার জ্বালায় নয়ন ভাসে। কাউকে যদি কাঁদাও তুমি তোমায় কাঁদতে হবে রে ভাই!! অন্যের ক্ষতি না করিলে তোমার ক্ষতি ও হবে না, কেন কর অপরাধ ভাই  এই ভবে তো কেউ রবে না!! অন্যের সম্পদ অন্যের সম্মান  রাখলে তুমি যত্ন করে, একদিন তুমি যত্নে থাকবে  এই দুনিয়া ছাড়ার পরে। একার ভালো ভালো তো নয় ভালো থাকবো আমরা সবাই।।

সত্য মিথ্যা

 সত্য মিথ্যা খাদিজা বেগম  সত্যকে আজ মিথ্যা বানাও নোংরা মিথ্যা বানাও সত্য, তোমরা কেহ মানুষ তো নও  নাই তোমাদের মনুষ্যত্ব। উপর দিকে মানুষের রূপ ভিতর দিকে হও মুনাফিক, কেন এত মিথ্যা বলো  থাকতে সত্য বলার তৌফিক? মায়া-দয়া মমতা হীন  তোমরা যেন একদল দৈত্য?? মানুষ হয়ে জন্ম নিয়ে কাজে কর্মে তোমরা পশু, তোমাদের ভয় আতঙ্কিত বৃদ্ধ, যুবক, নারী, শিশু। ক্ষমতা আর টাকার জন্য  ডুবে আছো লোভ লালসায়, তোমায় দেখে শয়তান গুলো  নিজের কাজে খুব লজ্জা পায়। আর কতকাল চলবে এমন  থাকবে পাপে পাপে মত্ত??

জাগো জাগো

 জাগো  খাদিজা বেগম ০৮/০৩/২০২০ ৮+১০ জাগো, জাগো, জাগে ওঠো,  ও মা ,মাতা, মামনী, মাতৃকা, জননী, জনি, প্রসুতি,  ও প্রসু, অম্বিকা, অম্বালিকা। জাগ্রত হও আজ থেকে   ঐ নিকৃষ্ট অশুর বিনাশে, আজ থেকে দেখিয়ে দাও   লড়ার শক্তি নারীরও আছে। ওঠো, ওঠো, জেগে ওঠো   সই, সখি, সাথী, সহকর্মীনী, আপা, বুবু, বোন, বুয়া,  ও তনয়া, বান্ধবী, ভগনী । ভিতরে বাহিরে জ্বলো  তুমি কঠোর অনল হয়ে,  জালিম জ্বালিয়ে তুমি  ছাই করো সেই অনলে পুড়িয়ে। এসো, এসো, চলে এসো  কন্যকা, কুমারী, মেয়ে, কন্যা, এসো আত্মজা, অঙ্গনা,  মানবী, মানষী, ও ললনা । এসো রণক্ষেত্রে গিয়ে  দানব গুলোকে করবো ধ্বংশ, মূল থেকে তুলে ফেলবো ঐ কুচক্রী দানবের বংশ । চলো, চলো, চলো ভাবি,  ও ননদ, বেয়াইন, পিসি, কাকীমা , জেঠীমা, খুরি,   জন্মদাত্রী, ও মামী, ও মাসি । চলো আজ থেকেই গড়ি আমরা এক নয়া অভীযান, যার মাধ্যমে খতম করবো  নারীদের সকল দুশমন । তোলো তোলো নারী তোলো  সবুজ জাগরনের পাল, শক্তহাতে ধরো তুমি  ধরো সম্মান রক্ষার হাল । ধর্ম, বর্ন, নিঃস্ব, ধনী পদ, পদবী, দেশী-ব...

দেশ বাঁচাতে

 দেশ বাঁচাতে খাদিজা বেগম  বাংলাদেশে বাঙালি নাই  হিন্দু, মুসলিম, বৌদ্ধ ভরা, মসজিদ, মন্দির, গির্জার সেবায় দিবানিশি ব্যস্ত ওরা।। বাংলাদেশে বাঙালি নাই  নানান দলের দলীয় লোক, দলের সেবায় ব্যস্ত সবাই  দেশের প্রতি নাই কারো চোখ। স্বাধীন দেশে পরাধীন সব  ওরা অন্যের কাছে ধরা।। বাংলা দেশে বাঙালি নাই এখন দেখি সব স্বার্থপর, সুযোগ পেলেই বিদেশে যায় দেশের গালে মারে থাপ্পড়। বাংলার জন্য বাঙালি হও বুকে রাখো পবিত্রতা, বাংলা দেশটা ভালবেসে দেশের জন্য বল কথা। দেশ বাঁচাতে বাঁচাও নীতি নৈতিকতায় থাকো করা।। দেশ না থাকলে কোথায় থাকবে তোমাদের দল, মসজিদ, মন্দির, কোথায় রাখবে তোমাদের পা? কোথায় গিয়ে করবে ভীর ? প্রতিবাদের মুখ খোলো না  তোমরা কি ভাই সবাই মরা??,

এক হয়ে যাই

 এক হয়ে যাই খাদিজা বেগম  তুমি আমি এক হয়ে যাই  একি বৃক্ষের নিচে এসে, ভালোবেসে থাকি আমরা একটু দূরে একটু কাছে।। তুমি আমি এক হয়ে যাই  একি ছাদের নিচে এসে, তুমি আমি হারাই দুজন  দুজনাকে ভালোবেসে। এমনি করে যায় যদি যাক দুটি জীবন সুখে ভেসে।। তুমি আমি এক হয়ে যাই প্রেম চাদরের নিচে এসে, আমরা দুজন মিলেমিশে হারিয়ে যাই অচিন দেশে। তুমি আমার এমনই জন তোমায় দেখে পুলকিত মন, তুমি ছাড়া মূল্যহীন সব ঝলসানো এই রঙিন ভুবন। তোমার ছোঁয়ায় ঢেউয়ের মত  কষ্ট গুলো উঠে হেসে।।

জন্মভূমি মা

 জন্মভূমি মা খাদিজা বেগম  জন্মভূমি মা আমার মা  তোমার কোলে দুঃখ ভোলে, প্রাণ জুড়িয়ে আসে আমার  তোমার মিষ্টি মধুর বোলে ।। তোমায় নিয়ে হাজার স্বপ্ন  আমার বুকের মাঝে জমা, সবার চেয়ে প্রিয় তুমি তুমি আমার প্রিয়তমা। খুব সকালে পাখির গানে আমার আঁখির পাতা খোলে।। ভাটির গানে দার টেনে যায় মাঝি নৌকার বাদাম তুলে, মাঝ নদীতে ইলিশ ধরে  মাছ ভরা নাও আসে কূলে। যেথায় গিয়ে পড়ে দুচোখ  সেথায় দেখি অমূল্য ধন, যা দেখি ভাই তাতেই যেন  আমার সার্থক দুটি নয়ন। শাপলা শালুক ঝিলের জলে  ঢেউ খেলে যায় দোলে দোলে।।

প্রেম করিস না

 প্রেম করিস না খাদিজা বেগম  তুমি আমার প্রেমো বৃক্ষ  আমি তোমার ডালের পাতা, তুমি আমার ফেলে দিলে  কে আর বুঝবে আমার ব্যথা? একটা বৃক্ষের একটা পাতায়  যায় না কেটে সারা জীবন, নতুন নতুন লাবন্যময়  সবুজ পাতার হয় প্রয়োজন। লাবন্যহীন পাতা ফেলে  বৃক্ষে রাখে নতুন পাতা।। বৃক্ষ পাতার প্রেম ক্ষণিকের সে প্রেম রয় না চিরকালে, পাতার সাথে মন জড়ালে প্রাণ হারাবে তার অকালে।। প্রেম সে তো নয় কোন শান্তি প্রেমে জ্বালা, প্রেমে পোড়া, শান্তিতে কেউ থাকতে চাইলে প্রেম করিস না যেন তোরা। প্রেম বলে কিছু নাই রে প্রেম সে তো এক মিথ্যা কথা।।

প্রেমের ছোঁয়া

 প্রেমের ছোঁয়া  খাদিজা বেগম  প্রেমের ছোঁয়া দেবার ছলে প্রাণের আগুন দেয় জ্বালিয়ে, তোমরা এমন প্রেম কর না এই প্রেম থেকে যাও পালিয়ে।। প্রেমের নামে মন করে যা  আসলে তা সব পাগলামি, নিয়ন্ত্রণে রাখো ও মন তোমার মনটা অনেক দামি। মন যেন না চালায় তোমায় তুমি রাখ মন চালিয়ে।। কাউকে তুমি মন দিওনা মনের মূল্য দেবে না কেউ, মনের ভিতর রাখবে যারে সেই তো তুলবে মন ভাঙ্গা ঢেউ।‌। সুখে থাকতে কিলায় যদি কাউকে প্রেমের ভুতে এসে, তখন সেজন পাগল হবে এক জনারে ভালবেসে। মোমের মতন পুড়বে তখন  কাঁদবে নিজের মন গলিয়ে।।

লাগাম টানো

লাগাম টানো খাদিজা বেগম  লাগাম টানো লাগাম টানো  তোমার চাওয়া পাওয়ার প্রতি, অল্পতে মন তুষ্ট রাখো অতি চাওয়া ভীষণ ক্ষতি। সব কিছুতে খুঁজলে পাবে দেওয়া আছে সময় সীমা, শয়তানেরও মেধা আছে  দেখাইওনা জ্ঞান গরিমা। কোন জ্ঞানের ফল পাবে না  সৎ না হলে মতিগতি।। সত্যি কারের মানুষ হতে  হতেই হবে তোমায় ত্যাগী, লোভ লালসা আশ্রয় দিলে হবে হায়না রোগের রোগী। কাজে কর্মে কথা বার্তায় টেনে রেখো সীমারেখা,  এই জীবনের প্রতিটা ক্ষণ তোমার থাকবে কিন্তু লেখা। কৃতজ্ঞ হও স্রষ্টার প্রতি  ঠিক রাখো তার নিয়ম নীতি।।

কুঁড়ের ঘরে বাস

 কুঁড়ের ঘরে বাস খাদিজা বেগম  তুমি থাকো অট্টালিকায় আমার কুঁড়ের ঘরে বাস, তোমার দেখেই হয়ে গেল  আমার কি যে সর্বনাশ।। মন বোঝে না তুমি ছাড়া  তাতে আমার দোষটা কি? তোমার প্রেমে মন ভুলে যায় ধনী, গরীব কোনটা কি? তুমি চাইলে আমি হব  তোমার চরণ সেবার দাস।। কাছে আসার নাই অধিকার  দূর থেকে তাই দেখে যাবো, আমি তোমায় ভালোবেসে  সুখ না পেলেও দুঃখ পাবো। গরিব ধনীর হয় না মিলন  এই মন আগে জানতো না, ভালোবেসে তাই তো পেলাম  জীবন ভরে যন্ত্রণা। তবু এই মন স্বপ্ন দেখে  তোমার নিয়েই বার মাস।।