Posts

Showing posts from April, 2024

মনে আছে কিনা

 মনে আছে কিনা  খাদিজা বেগম  মনে আছে কিনা আছে  নাকি ভুলে গেছো আমায়, দিবানিশি মনে পড়ে  ভুলতে পারি না তো তোমায়।। তোমার কাছে আমার স্বপ্ন  আমি রেখে ছিলাম জমা, নষ্ট কর না সেই স্বপ্ন  ওগো আমার প্রিয়তমা। আমি বলে তো দিয়েছি  আমার মনে প্রাণে কি চায়।। একটু খানি হাতটা ধরলে উঠে আমি ও দাঁড়াবো, বাধাবিঘ্ন ভেঙেচুরে  অপশক্তি কে হারাবো।। মন বাড়িয়ে বসে আছি  তোমার আশা তো ছাড়ি না, একটুখানি ভালোবাসা  আমি পেতে কি পারি না। বেঁচে আছি স্বপ্ন নিয়ে  স্বপ্ন পূরণ হবার আশায়।।

বিয়ে করতে ভয় লাগে

 বিয়ে করতে ভয় লাগে  খাদিজা বেগম  বিয়ে করতে ভয় লাগে খুব  যদি না হয় হৃদয়ের মিল,  যদি থাকে তার হৃদয়ে  আমার জন্য আটকানো খিল।। যদি না সে বোঝে আমায়  বারে বারে ভুল ধরে খুব, মানিয়ে না চলে যদি থাকে যদি মুখোশের রুপ। যদি সে হয় বদমেজাজি  না থাকে তার প্রেমময় দিল।। যদি সে হয় বিশ্বাসঘাত  খেলে আমার বিশ্বাস নিয়ে, যদি না পাই ভালবাসা  আমার সকল কিছু দিয়ে।  তার মুখের ওই কথার ভিতর  যদি না রয় শালীনতা, অকারনে কারনে সে  আমাকে দেয় যদি ব্যথা!  একটি শর্তে করবো বিয়া  সে যদি গো না হয় জটিল!!

আগামীকাল ঈদ

 আগামীকাল ঈদ  খাদিজা বেগম  কে বলেছে পড়তে তোমায়  কে বলেছে লিখতে? পড়ালেখা রেখে এসো  ঈদের চাঁদটি দেখতে।। দূর আকাশে চাঁদ উঠেছে দেখ চিকন বাঁকা, আগামীকাল ঈদ হবে ঈদ  এই কথাটাই পাকা।  জনে জনে বুক মিলাবো  মান অভিমান রুখতে।। নতুন কাপড় পড়ে আমরা  নতুন হয়ে যাব, শত্রুতা সব ভুলে গিয়ে এক টেবিলে খাব।। বড়দের কে সালাম দিয়ে  নেবো ঈদ সালামি, ঈদ আনন্দে সুখ ছড়াব আমরা তুমি আমি।  ভুল কর না নিজেরি মন  নিয়ন্ত্রণে রাখতে।।

বিশ্বজোড়া স্বপ্ন

 বিশ্বজোড়া স্বপ্ন  খাদিজা বেগম  বিশ্বজোড়া স্বপ্ন আমার  ঘুমানো যায় কি তা নিয়ে,  যুদ্ধগুলো সব থামাবো  শুধু ভালোবাসা দিয়ে।। আকাশছোঁয়া ঘর বানাবো  পরম ভালবাসার ছাদে, সেথায় নিয়ে রাখব ওদের  যারা রাস্তা পড়ে কাঁদে। শুইলে আমার ঘুম আসেনা  স্বপ্ন আমায় দেয় জাগিয়ে।। স্বপ্ন দেখি ওদের মুখে  দিচ্ছি খাবার নিজের হাতে,  ওদের খুশি দেখে আমার  খুশি ঝরে আঁখি পাতে।। কেমন করে ঘুমাবে চোখ  ওরা কাঁদলে অনাহারে, ধুঁকে ধুঁকে মরছে ওরা  অমানুষের অত্যাচারে। ওদের জন্য কিছু কর  ও মন নিজের লোভ দমিয়ে।।

অভিমানী

 অভিমানী  খাদিজা বেগম  তুমি আমার রাজা হলেও  আমি হইনি তোমার রানী, তাইতো পেলাম অবহেলা  অপমান আর চোখের পানি।। তুমি আমার স্বপ্ন হলেও  (আমি)হইনি তোমার স্বপ্নের রাত্রি, তাইতো আমি চিরকালি তোমার অনাদরের পাত্রী। অযতনে শুকিয়েছো যত্নে রাখা মোর প্রেমদানি।। আর কিছুদিন বেঁচে থাকতাম  প্রাণ যেত না প্রেম অসুখে, স্মৃতি জাগায় থাকতাম আমি প্রেম বিলাতাম তোমার বুকে। মরা কাঠে ফেলে রাখতে  আমিও থাকতাম মরার মত,  খুব নীরবে চলে গেলাম  বুকে নিয়ে অসীম ক্ষত।  চাইবো না প্রেম তোমার কাছে  আসবো না আর অভিমানী।।

প্রেম মঞ্জুরি

 প্রেম মঞ্জুরি  খাদিজা বেগম  তোমার হাতে পরাও যদি আমি হব তোমার চুড়ি, প্রেম আকাশে উড়াও যদি  আমি হব প্রেমের ঘুড়ি।। মনের পাতায় লিখলে আমায় আমি হব তোমার গল্প, অনেক ভালো বাসবো তোমায়  দাও যদি প্রেম অল্প অল্প। প্রেম যমুনায় ডুবাও যদি  আমি হব প্রেম ডুবুরি।। তোমার কন্ঠে গাইলে আমায়  আমি হব সুমধুর গান, রাত নিশিতে ডাকলে আমায়  আমি হব পূর্ণিমার চাঁন।। তোমার গলায় পড়লে আমায়  আমি হব সাতনূরি হার, তোমার অঙ্গে তোমার সঙ্গে  দুলবো আমি হাজারো বার। এই হৃদয়ের গভীর হতে তোমায় দেবো প্রেম মঞ্জুরি।।

ভয়ংকর ইটের ভাটা

 ভয়ংকর ইটের ভাটা  খাদিজা বেগম  এই গরমের পিছনে ঐ ইটের ভাটার ভয়ংকর হাত,  ইটের ভাটার কারণে আজ শাস্তি পাচ্ছে নিরপরাধ।। ফসলের মাঠ কেটে কেটে  খনন করছে গভীর কুয়া, দূষণমুক্ত বাতাসে আজ ভরে দিল বিষের ধুঁয়া। ইটের ভাটায় যাচ্ছে পুড়ে  স্বাধীনতার আনন্দ স্বাদ।। ইটের ভাটায় জ্বলছে আগুন  পুড়ছে সবুজ গাছ গাছালি, ইটের ভাটার বিরুদ্ধে আজ  জেগে ওঠো সব বাঙালি।। পাক হানাদার হতেও বেশি  ইটের ভাটার ভয়ংকর রূপ, দেশের এমন দুর্দিনে আজ  দেশপ্রেমিকরা কেন যে চুপ? তোমরা জাগলেই সূর্য উঠবে  শেষ হবে এই অন্ধকার রাত।।

গরম যাবে কমে

গরম যাবে কমে  খাদিজা বেগম  গাছ লাগালে বাড়বে সবুজ  গরম যাবে কমে, শিতল হাওয়ায় শান্তি আসবে  প্রতি দমে দমে।। গাছ আমাদের খাদ্য দিচ্ছে  দিচ্ছে বস্ত্র, ছায়া, তবু কেন গাছ কাটো ভাই  নাই কি একটু মায়া? গাছ যদি না দেয় অক্সিজেন  ধরে খাবে জমে।। গাছ লাগালে পাবো আমরা  দূষণমুক্ত হাওয়া,  সুস্থ সবল থাকবো আমরা  এটাই সবার চাওয়া। সবাই মিলে গাছ লাগিয়ে  পরিচর্যা করব, আমাদের দেশ আমরা আবার  সবুজ গাছে ভরব। গাছ আমাদের রক্ষা করবে  তুমুল ঝড়, গরমে।।

বিষন্নতা

 বিষণ্ণতা  খাদিজা বেগম  ভাবিনি তো এমন হবে  ছিল না তো এমন কথা, ভালবাসার বিনিময়ে  আমি পাবো বিষণ্ণতা।। অস্থির এ মন স্বস্তি পেতে  আজো শুধু তোমাকে চায়, আর পারিনা সইতে আমি  এত কঠিন বিরহের দায়।  কাছে এসে ভালবেসে  দূর করে দাও অস্থিরতা।। ভালোবাসা পাবার আশায়  তোমায় ভালো বেসেছিলাম, তোমার ঐ মন পাবার আশায়  আমার এ মন দিয়েছিলাম।। ডানা ভাঙ্গা পাখির মত  ভেঙে গেছে আমার আশা, তুমি নাই তাই শূন্য বুকে  আজ বেঁধেছে ঘর হতাশা। মগ্ন হয়ে এমন খুজে  শুধু তোমার স্মৃতির পাতা।।

শতভাগ সততা

 শতভাগ সততা  খাদিজা বেগম  অন্যজনার দোষ না খুঁজে তুমি খুঁজো  তোমার মাঝে কি কি আছে গুণ, তোমার গুন নিয়ে তুমি জ্বলে উঠো  পৃথিবী দেখুক তোমার আগুন। অন্যজনার পিছনে না লেগে তুমি শুধু তোমার পিছনেই লেগে থাকো, তবেই তুমি এগিয়ে যাবে ধীরে ধীরে  তোমার ওই স্বপ্ন নিয়ে জেগে থাকো। তোমার ভিতরের ঐ তোমারে তুমি  না চিনলে চিনবে না পৃথিবীর কেহ, তুমি যারে আয়নাতে চেনো সে তো তুমি নও সে ত একটা ঠুনকো মাটির দেহ। অমূল্য ধন তোমার আত্মাকে তোমার সত্ত্বাকে  অবহেলে ফেলে দিয়ে,  মিথ্যা আনন্দে মেতে আছো কেন মানুষ   ঠুনকো মাটির চাওয়া পাওয়া নিয়ে। শত বছর আয়ু লাগে না অশেষ বছর  সুখে শান্তিতে থাকতে হলে, শতভাগ সততা প্রতি চিন্তা-ভাবনায়  কথাবার্তায় কাজে কর্মে (দৃষ্টিভঙ্গিতে) লাগে।

প্রেম তরঙ্গে

প্রেম তরঙ্গে  খাদিজা বেগম  জলে ভেজা কাপড় হব আমি তোমার অঙ্গে অঙ্গে, আঠার মত আটকে রবো আমি তোমার সঙ্গে সঙ্গে।। আমি তোমার আত্মা হব থাকবো তোমার অন্তরালে, সুখ ছড়াবো তোমার মাঝে  কঠিন দুঃখ কষ্টের কালে।। মন রাঙিয়ে রাখবো তোমার  রং ধনুর ঐ রঙ্গে রঙ্গে।। এই পাগলটা তোমার পাগল  ধরে বেঁধে রাখো তারে,  প্রেম সোহাগে বন্দি রাখো তোমার মনের কারাগারে।। প্রেম পিপাসায় প্রাণ চলে যায়  দাও তুলে দাও প্রেম পেয়ালা, জ্বলে পুড়ে মরলাম আমি  দাও নিবিয়ে প্রেমের জ্বালা। প্রেম যমুনায় ভাসিয়ে দাও ভেসে যাব প্রেম তরঙ্গে।।

আমিও পারিনি

 আমিও পারিনি  খাদিজা বেগম  আমিও পারিনি তুমিও পারনি অভিমান ভুলে কাছে আসতে,  আমিও পারিনি তুমিও পারনি  ক্ষমা করে দিয়ে ভালবাসতে।। তুমি আমি বড় অহংকারি তাই পুষে রাখি শুধু অহংকার,  নিজেদের দোষে নিজেদের হাতে  আমরা ভেঙেছি তো সংসার। আজ দুজনেই তো পারি খুব করে বিরহের জলে জলে ভাসতে।। তোমার আমার সম্পর্কের  মূল্য আমরা কেউ বুঝিনি তো,  তাইতো অকারণে কারণে অযথা অভিযোগ তুলে করেছি ক্ষত।। আমার প্রতিটা শ্বাস-নিশ্বাসে  আজ মনে হয় খুব কষ্ট, একটু ধৈর্য ধরতে পারলে  জীবন হতো না এত নষ্ট। এখন বুঝেছি দুঃখ নিয়েই  হবে আমাদের সুখে বাঁচতে।। এই বুঝাটা আগে বুঝতে পারলে  হয়ত ভাঙতো না সংসার, বিয়োগ বেদনা সইতেও হতো না বইতে হতো নাতো এই হাহাকার। তোমাকে আমাকে হতো না কখনো  এত অভিনয় করে হাসতে।।

অজ্ঞাতার প্রাচীর

 অজ্ঞাতার প্রাচীর খাদিজা বেগম  আমি ভেবেছিলাম সূর্য দেখার জন্য  প্রতিদিন আমার ঘুম ভাঙ্গে, সেই ভাবনাটা ভুল, ঐ সূর্য টাই প্রতিদিন  দেখা করতে আসে আমার সঙ্গে। যেদিন আমার ঘুম ভাঙ্গে না  আমি গভীর ঘুমে বিভোর হয়ে থাকি, সেদিন আমায় দেখার জন্য সূর্যটা  জানালা দিয়ে করে ডাকাডাকি। আলোয় আলোয় ভরে গেছে পৃথিবী  অলসতা রেখে খুলনা দুটি আঁখি, তুমি আর কত থাকবে বল, ঐ অন্ধকারে এসো ছুটে এসো একটু আলো মাখি। যখন আমি থাকবো না হারিয়ে যাব  দিনের শেষে ঐ রাতের গভীরে, তখন তুমি জাগবে বজ্রপাতের মত  আঘাত করবে অজ্ঞতার প্রাচীরে। এসো কাছে আরও একটু এগিয়ে এসো  আমার তাপে তাপে করব উত্তাপ, তোমার তাপে জ্বলে পুড়ে ছাই হবে  এই পৃথিবীর সব অনাচার, পাপ। আমি যেমন জ্বলে পুড়ে কালো তাড়াতে  ছড়িয়ে দেই সোনালী আলো, তেমনি তোমায় বহু কিছু সহ্য করে  মন্দ তাড়াতে ছড়াতে হবে ভালো। তোমার আলোই সত্যিকারের আলো  আমি সূর্য তোমায় ছাড়া মলিন, তোমায় আলোকিত রেখো সর্বদা  কাজে, কর্মে, কথা বার্তায় চিরদিন। তোমার ভিতরে পুষে রাখলে কালো  লোভ লালসাতে ধরবে তোমায় চেপে, তোমার ভি...

দুর্ভাগা

 দুর্ভাগা  খাদিজা বেগম  দুর্ভাগা এই দুটি নয়ন  যেথায় পড়ে লাগে আগুন,  এই কপালে জোটেনি তো আজো একটু খানি ফাগুন। দুই নয়নে শ্রাবণ ধারা  শুকায় না তা কোন কালে, আমার ভাগ্য বন্দি যেন  কঠিন দুঃখ কষ্টের জালে। সুখের আশায় হাত বাড়ালে দুঃখ আসে ফিরে দ্বিগুন।। দুঃখ আমার রক্তে আছে  আছে মিশে শ্বাস নিঃশ্বাসে,  তাইতো বুঝি চোখের জলে  খুব নীরবে এই বুক ভাসে। ঘর বাড়ি নাই, নাই প্রিয়জন  শুধু দুঃখ আমার আপন, দুঃখের স্রোতে ভেসে যাচ্ছে  আমার যত সুখের স্বপন। জন্ম থেকে জ্বলছি আমি  আমার বুকে জ্বলে উনুন।।

জীবনের প্রয়োজনে

 জীবনের প্রয়োজনে  খাদিজা বেগম  ও যার মঙ্গলো কামনাতে  আমার নয়ন দুটি কানতে,  আজকে আমি দিশেহারা  তারি করা কুচক্রান্তে।। একদিন যারে বিশ্বাস করে  দিয়েছিলাম আমার সকল, বিশ্বাসঘাতক হয়েছে সে  আমার সবি আজ বেদখল। ভালোবাসাও হয় অভিশ  আগে কি তা কেহ জানতে।। যারে আমি ভেবেছিলাম  বুকের ভেতর থাকা জীবন, এতটা দিন পরে এসে  আজ দেখি সে আমার মরণ।। যারে পেতে পাগল ছিলাম  তার থেকে আজ আমি চাই ত্রাণ, যার সুবাসে মাতাল ছিলাম  আজ তাতে পাই বিষাক্ত ঘ্রাণ। এই জীবনের প্রয়োজনে   আজ বাধ্য হই ও সব মানতে।।

গালি দিচ্ছ

 গালি দিচ্ছ  খাদিজা বেগম  বেশ্যা বলে গালি দিচ্ছ  ওহে পুরুষ তুমি কারে, রাত গভীরে চোরের মত ওই বাহুতে জড়াও তারে?? তার অধিকার না পেয়ে সে  বাধ্য হয়ে ব্যাচে দেহ, সকল পুরুষ মানুষ তো নয়  মানুষ তোমরা কেহ কেহ। পশু পাখি জোর করে না  কি প্রেম ওদের ব্যবহারে।। নারীর দেহ ছাড়া কিছুই  দেখতে চায় না পুরুষের চোখ, রাত কাটে না নারী ছাড়া  দিনে সাজে খুব সাধু লোক।। জীবিত থাকতে ভোগ করো খুব  মারলে দাও না তার জানাজা, একদিন সাধুর খুলবে মুখোশ  ভোগ করবে সেও কঠিন সাজা। নির্ভয়ে থাকুক সকল মানুষ  আপন হয়ে এই সংসারে।।

লজ্জা লজ্জা লাগে

 লজ্জা লজ্জা লাগে  খাদিজা বেগম  বারে বারে তোমার সাথে  প্রেম করিতে ইচ্ছা জাগে,  কেমন করে বলবো তোমায়  আমার লজ্জা লজ্জা লাগে।  তোমায় দেখেই হলো আমার  এই হৃদয়ের প্রেম সূচনা, তাইতো তোমায় বারবার দেখি তা দেখেও কি বুঝনা। কেমন করে বুঝাই বলো তোমায় দেখতে খুব ভাল্লাগে।। ভাল্লাগে ওই মুখের কথা  তোমার চলাফেরা সবি, তোমার প্রেমে পরে আমি  হয়ে গেলাম যেন কবি।। আলতো ছোঁয়া পাবার আশায়  আমি তোমার কাছে আসি,  কেমন করে বলবো ওগো  আমি তোমায় ভালোবাসি।  আমার এ মন হারাতে চায় তোমার মধুর প্রেম সোহাগে।।

হৃদয়টা চাই সাদা

 হৃদয়টা চাই সাদা  খাদিজা বেগম  পাড় ঘাটাতে বসে আছি  আমি পারের নাইয়া,  কে কে যাবি ওই পাড়েতে আমি যাব লইয়া।। পয়সা করি লাগবে না রে  হৃদয় টা চাই সাদা,  পার করিতে পারব না তো  যদি থাকে কাদা।  পাপ পবিত্র হয়ে এসো মনে প্রানে ধুইয়া।। পাড়ের সময় যায় বইয়া যায়  আসবে না আর ফিরে,  ডানা ভাঙ্গা পাখি যেমন  আর ফেরেনা নীড়ে।। সময় থাকতে শুধরিয়ে লও শাসন করো তোমায়,  অন্যের ওপর দোষ চাপালেও চাপানো যায় না দায়।। তোমার কর্ম যাবে না তো  তোমায় কভু থুইয়া।।

কান্দাইও না

 কান্দাইও না  খাদিজা বেগম  তোমার নামটা লইয়া কান্দি  ডাকি তোমায় বারেবারে, তোমার দয়া পাবার আশায়  ঘুরি তোমার দ্বারে দ্বারে।। তুমি যদি না চাও ফিরে  বেঁচে থাকার কোন পথ নাই, তুমি আমার বন্ধু আল্লাহ  বিপদ কালে দিও গো ঠাই। তুমি আমার শেষ ভরসা  বাঁচাইয়া লও গো আমারে।। তুমি যদি না দাও সারা  বলো আমি কোথায় যাবো? তুমি ছাড়া অচল আমি  পদে পদে পা আটকাবো।। তোমার মত দয়ার সাগর  আর কোথায়ও নাই দ্বিতীয়, সেই তুমি যে আমার আল্লাহ  ভালবাসার বান্ধব প্রিয়।  দয়া করে ক্ষমা করো কান্দাইওনা আর আমারে ।।

চিনচিন করে

চিনচিন করে  খাদিজা বেগম  চিনচিন করে বেজে ওঠে  ক্ষণে ক্ষণে বিয়োগ ব্যাথা,  চোখের সামনে ভেসে ওঠে  ভালবাসার স্মৃতির পাতা।। যারে মনে রেখেছি খুব চাইলেই কি যায় তারে ভোলা,  খুব সহজে আসে যায় সে  আজো মন তার তরে খোলা।  তার স্মৃতিতে পৃষ্ঠ হচ্ছি  বুকের ভিতর ঘুরছে যাতা।। মনের মাঝে খোদাই করে  লিখেছি যার নামটি আমি,  সেই দিল না এই মনের দাম তার চোখে নই আমি দামি।। তবু যে সে আমার কাছে  দুই নয়নের দুটি তারা, প্রতি রাতের স্বপ্ন আমার  স্বাস চলেনা তারে ছাড়া। তবুও সে আমার মনে  মন জুড়ানো প্রনয় দাতা।।

বৈচিত্র

 বৈচিত্র খাদিজা বেগম  মানুষ ছাড়া এই পৃথিবীর  সকল সৃষ্টি মানব মিত্র, মন্দ চিন্তা যে জন পোষে  তার দোষে সে অপবিত্র।। সৎ মানুষকে গুম, খুন করে  মা, বোন, শিশু, ধর্ষণ করে, গাছপালা বন উজাড় করে  সব মন্দ কাজ মানুষ করে। শান্তিপূর্ণ পৃথিবীতে  মানুষ ছড়ায় যুদ্ধের চিত্র।। অন্য জনের কথা বার্তা  কাজ কর্মে কে সম্মান করো, যেন তা না হয় ক্ষতিকর  ভাল কিছু আঁকড়ে ধরো।। পশু, পাখি, লতা, পাতা  বৃক্ষ মাঝে ও বৈচিত্র, ভিন্ন পথের ভিন্ন মতের  ওড়াও হতে পারে মিত্র। ভোগ বিলাসী জীবন রেখে পুষে রাখি সুচরিত্র ।।

নজর

 নজর  খাদিজা বেগম  তোমার চোখের ওই নজরে  ঘায়েল হলো আমার এ মন,  দেখিনা আর তুমি ছাড়া  এই নয়নে আমি এখন।। দূর আকাশে দেখি ভাসে তোমার মিষ্টি মুখের হাসি,  বৃষ্টি হয়ে ঝরে পড়ে  তোমারি প্রেম রাশি রাশি। সেই প্রেমেতে পাগল হয়ে  ভিজি আমি যখন তখন।। তোমার নজর নজর তো নয়  যেন প্রেমের বন্দিশালা, বন্দি করে রেখেছো মন  না লাগিয়ে কোন তালা।। আপন হয়ে আসলে কাছে  রেখে দেবো ভালবেসে, তোমায় পেলে নিঃস্ব হবো  সব হারাবো দিনের শেষে। তোমার নজর পড়ার পরেই  শান্ত বুকে বইছে প্লাবন।।  

পার করে দাও

  পার করে দাও খাদিজা বেগম   পার ঘাটাতে বসে আছি আমি পারের আশা নিয়ে, পার করে দাও ওগো দয়াল তোমার দয়ার নৌকা দিয়ে।। প্রতারকের পাল্লায় পরে আমি হলাম প্রতারিত, পয়সা করি নাই তো হাতে ঋণে ঋণে জর্জরিত। পাওনা ধারে ছিঁড়ে খাবে তাই আমারে লও বাঁচিয়ে।। বাকি জীবন করবো সেবা শুধু তোমার গোলাম হয়ে, তোমার হুকুম মেনে চলব দিবানিশি সব বিষয়ে।। বিপদকালের বন্ধু তুমি আমারে দাও তোমার আশ্রয়, তোমার আশ্রয় যে পেয়েছে তার ভিতরে নাই কোন ভয়। পার করে দাও পারের মালিক রহমান এর নাও ভাসিয়ে।।

হাসপাতালে

 হাসপাতালে  খাদিজা বেগম কারো জীবন ষোলআনার ষোল আনাই হাসপাতালে, হাসপাতালের বাহিরে তার যাওয়া হয়নি কোন কালে।। কারো আসে দুর্ঘটনায়  আহত বা নিহত লাশ, কেউ ফিরে যায় সুস্থ হয়ে সেই খুশিতে করে উল্লাস। আহাজারি করে কেহো চুম্বন করে লাশের গালে।।  কেউবা শিশু কোলে নিয়ে আজানের সুর শুনায় কানে,  সুস্থ জীবন ভিক্ষা চেয়ে কান্নায় ভাসে চোখ এইখানে প্রতিদিনি আসে রুগী প্রতিদিনি নতুন জীবন, প্রতিদিনি বেড় হয় লাশ যায় ছিড়ে যায় মায়ার বাঁধন। ভাগ্যের নির্মম পরিহাসে কেউ হাসে কেউ ভাসে জলে।।

গাধার মত

 গাধার মত  খাদিজা বেগম  গাধার মতো খেটে গেলাম  মিথ্যা মায়ার সংসারে, ওরা এখন কেউ চেনে না  স্বার্থ ছাড়া আমারে।। কত অন্যায় করছি আমি  গড়তে ওদের ভবিষ্যত, ভালো মন্দ না ভাবিয়া  ওদের মতোই দিছি মত। অনুতাপে মন পুড়ে যায় কি করেছি আহারে।। হালাল হারাম ভুলে ছিলাম  প্রিয় জানার আদরে, বিবেক বুদ্ধি ঢেকে দিলাম  লোভ লালসার চাদরে।। দিনে দিনে দিন হলো শেষ  নামলো চোখে অন্ধকার,  দায়িত্বহীন এর মত আমি  পূরণ করছি সব আবদার। দায়িত্ব নিয়ে শাসন করতে  পারি নাই তো আমারে।।

অর্জন করার আগে

 অর্জন করার আগে  খাদিজা বেগম  না পাওয়া ঐ জিনিসগুলো  কেন এত সুন্দর লাগে? জানি পাব না তবুও  বার বার পাবার ইচ্ছা জাগে।। চাওয়ার আগে পেয়েছি যা অনেকেরই নাই সে সব তা, তবু কেন মনে পুষি এতটা না পাবার ব্যাথা? মানব জীবন চলবেই এমন  সুখ আর দুঃখের মধ্যভাগে।। দুঃখ যাবে সুখের বাড়ি চির দুঃখী কেউ রবে না, সুখ ও যাবে দুঃখের বাড়ি চির সুখী কেউ হবে না।। রাত্রি যেমন দিনে লুকায়  দিনটা তেমন রাতে লুকায়, তিনি হলেন ন্যায়বিচারক  সে কাউকে না কভু ঠকায়।  লোভ লালসা বর্জন করো  অনেক অর্জন করার আগে।। লোভ লালসা থাকলে মনে  অর্জন করা ধন থাকে না, যেমন তলা ছিদ্র কলসি তার ভিতর জল রাখে না। সুখ দুখের ওই হিসাব রেখে  মানুষ হতে হবে ত্যাগে।।

সীমারেখা না ছাড়িয়ে

 সীমারেখা না ছাড়িয়ে  খাদিজা বেগম  সঠিক পথে চলো রে মন  ভুল পথে পা না বাড়িয়ে,  যা প্রয়োজন মিটিয়ে লও  সীমারেখা না ছাড়িয়া।। পাপের পথে গিয়েই যদি  করতে থাকো ভালো কর্ম, তবে তুমি অবিশ্বাসী  মাননা তো কোন ধর্ম। তোমায় তুমি রক্ষা করো  ওই ভিতরের পাপ তাড়িয়ে।। নিজের সাথে নিজের যুদ্ধ  দিবানিশি যাও চালিয়ে,  কভু যেন আলো থেকে  কালোতে না যাও পালিয়ে।। তোমার মাঝে বসত করে  একটা মহা শয়তানের জোট, ওরা ক্ষিপ্ত ঝড়ের মতো তোমায় করে ওলোটপালোট। ওদের সাথে যুদ্ধ করে  পাপ বাসনা যাও এড়িয়ে।। তোমায় তুমি ব্যস্ত রাখো  সুন্দর চিন্তা চেতনাতে,  ভালো কর্মে ব্যস্ত থাকলে  সফল হবেই প্রতী খাতে। দুই চরণে মন্দ চিন্তা  দিবানিশে যাও মাড়িয়ে।।

ছলাকলা

 ছলাকলা  খাদিজা বেগম  আঁকাবাঁকা চললে তুমি  শেষ হবে না তোমার চলা,  এলোমেলো বললে তুমি  শেষ হবে না তোমার বলা।। সরল পথের পথিক হয়ে  চলো তুমি আলোর দিকে,  জেনে বুঝে বল কথা  কথা বলার নিয়ম শিখে। জয় পরাজয় যাই আসুক না  তাতে হবে না উতলা।। ষড়যন্ত্র করছে ওরা  ছয় ডাকাতে দিবা রাত্রি, পথ ভুলিয়ে তোমায় নিয়ে  হবে জাহান্নামের যাত্রী।। তুমি তো ভাই জান্নাতি লোক  সেথায় তোমার সুখের বাড়ি,  এই দুনিয়া দুদিন পরে  তোমায় যেতে হবে ছাড়ি। ফেঁসে যেন না যাও তুমি  দেখে ওদের ছলাকলা।।

কেন কুলে এসেই তরী ডুবে

 কেন কূলে এসেই তরী ডুবে খাদিজা বেগম  কেন / কূলে এসেই তরী ডুবে ডুবে না তা মাঝ নদীতে, তখন / সচেতন মন ভুল করে না তার দায়ভার কাঁদে নিতে।। হয় তো / মাঝ নদীতে তুফানা ভারি  আচার মারে তরীতে ঢেউ, আবার / সেই আচারে ছিটকে পরে অসচেতন মাঝি কেউ কেউ। দায়ভার / যে জন বইতে জানে নিজে তারে হয়না তো কাঁদিতে।। যদি / বারে বারে কূলে এসেই  খুশীতে দাও বৈঠা ছেড়ে, তুমি / কেমন করে উঠবে পারে  তোমায় জলে নেবে কেড়ে।। তুমি / সুখে থাকো দুঃখে থাকো  থাকতে হবে খুব সচেতন, সদা / আবেগ স্রোতে ভাসালে মন নষ্ট হবে মানব জীবন। জীবন / নদীর পার হয়ে যাও সোজা  তোমার বিবেক আর বুদ্ধিতে।।

আমি কেন অন্ধকারে

  আমি কেন অন্ধকারে  খাদিজা বেগম  প্রতিটা দিন সূর্য উঠে  আলোকিত হয় এই আখিল, আমি কেন অন্ধকারে  আমার জীবন কেন জটিল?? হাজার রঙে রঙিন ভুবন  কেন আমার চোখে কালো,  দাও ফিরিয়ে ওগো দয়াল  আমার অন্ধ চোখের আলো। আমার চোখের জলেও কি  গলে না গো তোমার ওই দিল।। কোন কারণে অন্ধ আমি  পাচ্ছি এত বড় সাজা, একটু আলো ভিক্ষা দাও গো  ওগো আলোর মহারাজা।। হয়তো তোমায় দেখার আগে  এই চোখ দেখবে না আর কিছু,  কৃতজ্ঞ তার ভাষা নাই আর তাই করেছি মাথা নিচু। তোমায় দেখার আশায় যদি থাকে থাকুক দুচোখ কাহিল।।

বন্ধ করো

 বন্ধ করো  খাদিজা বেগম  বন্ধ করো বন্ধ করো  বিদ্যালয়ের কু রাজনীতি, নৈতিকতা শিখুক ওরা প্রাণে প্রাণে হোক সম্প্রতি।। শত আবরার হচ্ছে টর্চার  কুরাজনীতির ঐ বিদ্যালয়, রাজনীতিতে খেয়ে নিল কত দেশ প্রেম ভরা হৃদয়! শিক্ষাঙ্গন স্বাধীন করো  দূর করো সব ভয় ভীতি।। বিদ্যালয়ে শিখতে দিও  স্বদেশ প্রেম আর মানবতা,  তবেই ওরা মানুষ হবে  কেউ দেবে না কাউকে ব্যথা।। তবে ওরা বুঝতে পারবে  কারে বলে গণতন্ত্র,  তবেই ওরা ভাঙতে পারবে  সকল প্রকার ষড়যন্ত্র। তবেই ওরা পুষবে মনে  ভালোবাসা দেশের প্রতি।। কু রাজনীতি বৃদ্ধি করে  বাড়ি-গাড়ি, ক্ষমতার লোভ,  দেশের প্রতি দশ এর প্রতি  বৃদ্ধি করে দানবীয় ক্ষোভ। মুক্ত চিন্তা করতে দিও  তবেই উঠবে জেগে নীতি।।

ভুল বোঝাবুঝি

ভুল বোঝাবুঝি  খাদিজা বেগম  সন্দেহ হয় যদি মনে  করো না ভুল বোঝাবুঝি,  মুখমুখি কথা বলো   নয়ন খুলে সোজাসুজি।। পিছনের ঐ কথা শুনে  অশান্তি কেউ কর না আর, চোখ, কান খোলা রেখে চলো  সাবধান হওয়া খুবই দরকার। কভু ভালো রেখে মন্দ  কেউ কর না খোঁজাখুঁজি।। এক জীবনে সুখ আর দুঃখ  সন্দেহ আর ঝই ঝামেলা, অবিশ্বাস আর বিশ্বাস নিয়ে  এমনি করেই যাবে বেলা।  না না রং আর নানা রূপে  একই মানুষ দেখবে আবার,  ওই প্রকৃতির মত মানুষ  পরিবর্তন হয় বারেবার। তবু রেখো মনে ধরে  অমূল্য ধন সত্য পুঁজি।।

ও‌ জনতা

 ও জনতা খাদিজা বেগম  ও জনতা রও একতা  ভাঙতে সকল সিন্ডিকেট, আর কতকাল থাকবে তোমরা  ওদের মুখের চকোলেট?? বলে যদি অন্যায্য দাম  সেই জিনিস কেউ কিনবে না, ন্যায়ের পথে চলবেনা যে  তারে তোমরা চিনবে না। এমনি করেই ভাঙবে তোমরা সিন্ডিকেটের সব মার্কেট।। আদালতের চেয়ে বড়  তোমাদের জ্ঞান বিচার বোধ, অন্যায় রুখতে গড়তে হবে  সবাই মিলে প্রতিরোধ।। আম জনতার থাকলে নীতি  ভাঙবে সকল দুর্নীতি, সচেতন হও সবার জন্য বিলিয়ে দাও প্রেম প্রীতি। এমনি করেই রক্ষা করো নিজে নিজের সুখ পকেট।।

আমরা দেশের ছেলে

 আমরা দেশের ছেলে খাদিজা বেগম  দেশ আমাদের মা জননী  আমরা দেশের ছেলে, দেশের তরে থাকবো সজাগ স্বপ্ন ডানা মেলে।। খুব সকালে পাখির আগে  আমরা উঠবো জেগে, দেশ গড়িতে ছুটবো আমরা  সূর্যের আলোর বেগে। দেশের জন্য কাজ করিব বুকের স্বপ্ন ঢেলে।। দেশের সন্তান আমরা সবাই সাহেব, শ্রমিক, জেলে,  আমরা নেব দেশ এগিয়ে লোভ লালসা ফেলে।।। নৈতিকতা দেশের মুকুট রাখবো যতন করে, অনৈতিক কাজ করব না কেউ শপথ দেশের তরে। দুঃখ ডেকে আনবো না কেউ  এই দেশ অবহেলে।।

তোমার পাগল আমি

 তোমার পাগল আমি  খাদিজা বেগম  কি করিলে পাবো তোমায়  শিখিয়ে দাও তুমি, তোমায় পেলে চাইনা কিছু  এই জীবনে আমি।। কোথায় তোমার ঠিকানাটা  কোথায় তুমি থাকো, ক্ষণে ক্ষণে শুনী কানে  তুমি আমায় ডাকো। তুমি আমার কাছে ওগো  সবার চেয়ে দামি।। এই অন্তরে কত ক্ষত দুঃখ, কষ্ট আমার, ক্ষত গুলো সেরে যেত ছোঁয়া পেলে তোমার। তুমি কোথায় আমি কোথায়  কেন দাওনা দেখা? তুমি ছাড়া পৃথিবীতে  আমি বড় একা। আমায় তুমি ধরে রাখো তোমার পাগল আমি।।

নৈতিকতার আলো

 নৈতিকতা আলো খাদিজা বেগম  জ্বালো জ্বালো মনে জ্বালো  নৈতিকতার আলো, তবেই তোমার দূর হবে সব  চতুর্দিকের কালো।। বলো বলো মুখে বলো  সত্য ন্যায়ের কথা, কথা বলো না, না বুঝে কভু যথাতথা। অতি কথায় ভীষণ ক্ষতি  অল্প কথা ভালো।। হ্যাঁ এর সাথে হ্যাঁ, না বলে নিজের কথা বলো, না এর সাথে না, না বলে নিজের পথে চলো।। অন্যের সাথে তাল মিলিয়ে যেওনা ভুল পথে, বিবেক বুদ্ধি জ্ঞান খাটিয়ে  চলো সঠিক মতে। সত্য দিয়ে সাজিয়ে দাও সকল এলোমেলো।।