Posts

Showing posts from December, 2021

ভুল আর ভুল

 খাদিজা বেগম আমি কোন ভুল করতে চাইনা আর ভুল করতে চাইনা, তবু কেন আমি ভুল থেকে  কখনো নিস্তার পাইনা। আমার হাতের লেখা ভুল দু চোখের দেখা ভুল, চিন্তা-চেতনায় আছে ভুল শুধু ভুল আর ভুল।। ঘুরেফিরে আমি বারে বার ভুল করে যাই আবার, ভুল পথে খুঁজে বেড়াই আমি সঠিক পথ আমার।। চরণে চরণে চলি ভুল দুই কানের শোনা ভুল, ভুলের সাগরে ডুবে আছি পাইনা খুঁজে কোন কূল।। ভুল মানুষকে বেসেছি ভালো আমি ভাবিয়া সঠিক, আমি কি দিয়ে দেই সেই মাশুল ভেবে ভেবে পাই না দিক। ভুল থেকে বারে বার শিখি তবু নেই তার প্রয়োগ, আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে তাই জানাই ক্ষিপ্ত অভিযোগ। দুই চোখ থেকেও যেন অন্ধ দেখতে পাই না ভাল মন্দ, আমি কাটিয়ে উঠতে পারিনা ভুল সঠিকের দ্বন্দ্ব।। নিজের কাছে নিজেকে লাগে মস্তবড় অপরাধী, ভেসে যায় অনুতপ্ত চোখ নিরবে নিভৃতে কাঁদি।।

ভিন্ন ভিন্ন রাত

খাদিজা বেগম একই রাত জায়গা, কাল, পাত্র ভেদে হয়ে যায় ভিন্ন ভিন্ন কেউবা ঘুমে বিভোর আবার কেউবা ঘুম থেকে বিছিন্ন। কারো রাত কাটে প্রেম করে মনের মানুষ নিয়ে সাথে, কারো বিরহ অনলে দেহ, মন জ্বলে পুড়ে যায়  রাতে। কারো কাছে মরন যন্ত্রণা আসে শব্দ হীন চুপে চুপে, একই রাত এক একজনের কাছে আসে এক এক রুপে। কেহ রাত্রি জেগে জেগে করে মহান আল্লাহর ইবাদাত, কেউ বিভোর হয়ে ঘুমিয়ে কাটায় আরামে সারা রাত। কেউ করে চুরি ডাকাতি আর কেউবা চোর ডাকাত তাড়ায়, কেউ করে গুম,খুন, ধর্ষণ কেউ বা থাকে কারো পাহারায়। কেউ ড্যান্স করে ডিস্কো ক্লাবে নানান নেশা করিয়া পান, কেউ একমুঠো ভাতের লাগিয়া নিরবে দেয় অমূল্য প্রাণ। কেউ করে ষড়যন্ত্র আবার কেউ কেউ ষড়যন্ত্রের শিকার, লাঞ্ছিত, বঞ্চিত মানুষের রাত ভর শুধু হাহাকার ‌‌। যাদের হাতে থাকে সুরক্ষিত সকলের অর্থ,জান,মাল, সারা রাত জেগে জেগে তারা লুটপাট করেছে চিরকাল।

বাঁচাতে হবে

 খাদিজা বেগম কার তরে কেঁদে কেঁদে তুমি যাচ্ছ অশ্রুতে ভাসিয়া, সে তো আসবে না আর আসবে না দেখবে না আর আসিয়া। তাহার চেয়ে অধিক ভাল তার কথা যাও ভুলিয়া, হাসি খুশিতে নাচো গাও তুমি ঐ মনের দুয়ার খুলিয়া। একটি বৃক্ষে ফুটে কত ফুল আবার যায় ঝড়িয়া, তাই বলে কি না ফুটিয়ে ফুল ঐ বৃক্ষ যায় মরিয়া? মনের আশা ভাঙ্গে ভাঙ্গুক,তবু বাঁধ তুমি বুক, বাঁচাতে হবে হাসি নিয়ে মুখে ভুলে গিয়ে সব দুখ।

বিজয়

খাদিজা বেগম মনের ব্যাথায় ছেয়ে গেছে আমার সারা দেহ, তুমি ছাড়া বুঝবেনা আর আমার ব্যাথা কেহ। দুই নয়নে আঁধার দেখি ফিরিয়ে দাও আলো, ও গো আমার মনের মালিক  মনটা রাখো ভালো, জীবন চলে তাহার মত আমি পাই না গতি, তুমি চাইলে মিটে যাবে আমার সকল ক্ষতি। হাজার দুঃখ সুখ হয়ে যায় নেই তাতে সন্দেহ, ব্যাথার মাঝে পাই যখনই তোমারি স্নেহ। আমার জন্য ছুটে আসা ব্যঙ্গ আর তিরস্কার, তুমি চাইলে হতে পারে মুল্যবান পুরষ্কার। আমার চাওয়ায় কি আসে যায় তোমার চাওয়ায় সব হয়, তুমি চাইলেই আমি হবো জীবন যুদ্ধে বিজয়।।

কেন আমায় ছেড়ে গেলে?

 একটি প্রশ্ন ভাবিয়া মন বারেবারে শুধু কাঁদে, কেন আমায় ছেড়ে গেলে বলনা কোন অপরাধে? কষ্ট নামের ঢেউয়ে ভেঙ্গে গুড়া গুড়া বুকের পাঁজর, প্রতারণার ঝড়ে কেন উরে আমার ভালবাসার চাদর? দুচোখে নামে শ্রাবণের ঢল বাঁধ মানেনা শান্তনার বাঁধে, কেন আমায় ছেড়ে গেলে বলনা কোন অপরাধে ? কেন কাছে এসে ছিলে যাবে যখন দূরে চলে? কি আনন্দ পেয়েছো তুমি আমায় ভাসিয়ে অশ্রু জলে? তুমি আমার কৃষ্ণ ছিলে আমি ছিলাম তোমার রাঁধে, কেন আমায় ছেড়ে গেলে বলনা কোন অপরাধে? তোমার কাছে নেই তো এখন আমার কোন আর প্রয়োজন, তুমি আমায় তাড়াতে তাই করেছ এতো আয়োজন?  বীনা মেঘে বীনা বৃষ্টিতে পরছে বজ্র আমার ছাদে? কেন আমায় ছেড়ে গেলে বলনা কোন অপরাধে ? সুখের কথা বলে তুমি ফেলে দিলে দুঃখের ফাঁদে! কেন এতো কষ্ট দিলে বলনা কোন অপরাধে?

আয়রে আয়

 খাদিজা বেগম  আয়রে আয় আয় মন তোরে চায় আয় আয় আয়রে বন্ধু  আয়, তোরে ছাড়া বেঁচে থাকার খুঁজে পাই না তো উপায়।। দিবারাত্রি তোরে ডাকি আয় আয় আয়রে বন্ধু আয়, তোর বিরহে জ্বলে আগুন বিরহিণীর কলিজায়।। জেগে ডাকি ঘুমে ডাকি আয় আয় আয়রে বন্ধু আয়, এবার এলে রাখবো ধরে তোরে দেব না বিদায়।। সকাল বিকাল তোরে ডাকি আয় আয় আয়রে বন্ধু আয়, একটি পলক দেখবো তোরে আমার আঁখি জ্বলে যায়।

খবর আছে

খাদিজা বেগম  খবর আছে খবর আছে শুনে নিও আলযাযিরার খবর, গনতন্ত্রের নামে ষড়যন্ত্র করে খুড়ে স্বাধীনতার কবর। সময় নেই আর ঘুমাবার জেগে উঠতে হবে আমাকে তোমাকে, ষড়যন্ত্রের নীল নকশা ছিঁড়ে বাঁচাতেই হবে সোনার বাংলামাকে। লাথি মেরে ভেঙে দে মানবতার মুখস পরা সন্ত্রাসীর মুখ, গুলি করে ঝাঁজরা করে দে সাধু রুপি সব শয়তানদের পাপি বুক। দে দে তোরা আগুন লাগিয়ে পুড়িয়ে দে ঐ সব মাফিয়াদের দল,  চল চল, দেশটাকে নিয়ে আর করতে দেব না কাউকে কোন ছল। অগুনিত বিরঙ্গনা আর লাক্ষ শহীদের রক্তে, প্রাণে অর্জিত, এই দেশটাকে আর হতে দেব না কোন মাফিয়াদের হাতে শোষিত। আজ বিষ বৃক্ষে বৃক্ষে ভরে গেছে আমাদের এই সোনার বাংলা দেশ, এখনি সময় সেই বৃক্ষ কাটার না হলে অক্সিজেন হবে শেষ। আইনের পোশাকে লুকিয়ে থাকা এই দেশের কিট মাফিয়া সন্ত্রাস, রক্ষক সেজে ভক্ষণ করে করে দেশের করিতেছে সর্বনাশ। যুগ যুগ ধরে ষড়যন্ত্র করে মাফিয়ারা গণতন্ত্রের নামে, নেপথ্যে দেশটাকে জবাই করে জাহির করে নিজেদের দেশপ্রেমে। অন্যায় করতে ও অন্যায়ের পক্ষ নিতে ওদের লাগে বড় ভালো, মুসলিম পরিচয় ওরা মুনাফিক ওদের নেই ঈমানের আলো। এই দেশটাকে গড়ে যারা শরীরের ঘামে ভিজে...

মুখের কথা

 খাদিজা বেগম কারো কারো মুখের কথা সাপের চেয়ে হয় বিষাক্ত, বিষিয়ে দেয় প্রফুল্ল মন হৃদয়টা করে রক্তাক্ত। মানব মুখে যেন কোন সাপের কণ্ঠ থাকে যুক্ত, এক কথাতেই করে দেবে অসহায় এর অন্তর্ভুক্ত। আগুনের চেয়েও জ্বলন্ত, বুলেটের চেয়েও শক্ত, বুক ভরা অগ্নি লাভা স্বার্থের লোভে থাকে মত্ত। কথায় তাপে দগ্ধ করে সরল সহজ মানুষের মন, বাক বুলেটে হত্যা করে দেহ রেখে ভিতরের প্রাণ। কথায় চেয়ে চেঁচামেচি নোংরা মুখে অতিরিক্ত, হাসি খুশি ছাই করিয়া দু'চোখ করে অশ্রুসিক্ত। তীরের চেয়েও তীক্ষ্ণ,তলোয়ারের চেয়েও ধারাল, মানুষ হয়ে জন্ম নিয়েও তার মনুষ্যত্ব হারাল। হিংস্র পশুর মত যেনো কথা দিয়ে মারে থাবা, তার কাছে নাই শ্রদ্ধা, সম্মান, মানে না সে তার মা, বাবা। রক্তের বন্ধন প্রিয় ভাই, বোন সেখানেও নাই কোনো মায়া, আচার ব্যবহার পশুর মত শুধু দেখতে মানব কায়া। সেই মুখ যদি হয় কারো প্রাণের প্রিয়জনের মুখ কথার তীরে ঝাঁঝরা করে আপন জনের বুক। অশ্লীল ভাষা ত্যক করে শালীন ভাষায় করি ব্যাক্ত, মুখে তুলে নেই না যেনো কোনো নোংরা পরিত্যক্ত।।

আমাদের মা

খাদিজা বেগম বাংলা দেশটা আমাদের মা সব বাঙালি ভাই-বোন আমরা, কাউকে করলে কোন আঘাত খুলে নেবো তোদের চামড়া। সোনার বাংলার সোনার ছেলে নুর আমাদের গর্বিত ভাই, ভাইয়ের প্রতি অবিচারের অবিলম্বে সুবিচার চাই। একটি নুর আর নিভে যদি আমরা হবো সব দাবানল, দাউ দাউ করে উঠবো জ্বলে নীল নকশা সব হবে বিফল। লাভা হয়ে যাবো দেয়ে স্বৈরাচার আর অত্যাচারী, ডুবে যাবে লাভার তলে আর করো না   বাড়াবাড়ি। কলংকিত ইতিহাসের ঘৃণ্য সকল পাতায় পাতায়, ফেরাউনের মতো শাসক  হঠাৎ ধ্বংস হয়েই যায়। প্রতিবাদী কণ্ঠ তোলো  বাঘের মতো গর্জে ওঠো, কৃষক শ্রমিক ছাত্র সমাজ বাঁধ ভাঙ্গা জল হয়ে ছোট। আমরা হলে প্রতিবাদী হবেই অন্যায় অবিচার শেষ, সুখী হবো আমরা সবাই সুন্দর হবে আমাদের দেশ।

উৎকৃষ্ট জীবন

 খাদিজা বেগম আমি যেনো কোন ধুলো মাটি  একদিন যাবো পবনে উড়ে, ধরে বেঁধে রাখবেনা কেউ মোরে যত্ন করে রাখবে মাটি খুঁড়ে। একদিন নিয়ে যাবে আমায় অদৃশ্য এক তীব্র হাওয়াতে, সব ছেড়ে চলে যাবো আমি তোমরা আর পারবেনা থামাতে। আমি ছুটে চলা সাদা মেঘ আমার ঠিকানা বহু দূরে, মিথ্যা মায়ার বন্ধনে তবু আমার হৃদয় জ্বলে পুড়ে। যদিও ঘড়ির কাঁটা থামে কখনো তো সময় থামেনি, যদিও ঘুমিয়ে থাকে দেহ ছুটেছে আত্মা দিন যামিনী আমি যাত্রা পথের পথিক ছুটে চলেছি দিক বেদিক, কখনো ভুল পথে আবার কখনো চলি আমি সঠিক। আমি জানিনা তো ভবিষ্যৎ বর্তমান চলছে অনিশ্চিত, কিছু ভয় কিছু তেজ আর আছে কিছু ভরসা কিঞ্চিত। কিছু সুখ কিছু দুঃখ আছে কিছু আনন্দ আর হতাশা, এরি নাম উৎকৃষ্ট জীবন তবুও বেঁচে থাকার আশা।

মানবতার তৈরি মনি

খাদিজা বেগম  ডরে ডরে কম্পিত ভীরু শঙ্কিত বুকের ভিতরে আমি শক্ত হাতেই সাহসের বীজ বপন করি, দারিদ্র্ তার কষাঘাত আর অসুস্থতার যন্ত্রণা, আমি এক লোভ ছাড়া এসব সমস্যাকে না ডরি। একের পর এক মিথ্যা কথা বদন বলতে বলতে যারা ঐ মিথ্যাবাদীর তালিকায় লিখেছে নাম, আমি তাদের হৃদয়ে চাষ করি সততার বানী সত্য বাদীর দু'চরণে করি ভক্তি ভরে প্রনাম। অর্থ ক্ষমতার মাতিয়া অন্ধ হয়ে যারা দেখেনা অধিকার বঞ্চিত সমাজের লাঞ্ছিত ছোট শিশু, তাদের চোখে লাগিয়ে দেই মানবতার তৈরি মণি যাতে তারা আর না হয় কভু পশুর চেয়ে নিচু।

হঠাৎ করে

খাদিজা বেগম এলো হঠাৎ করে ভালবাসার ঘরে বিশ্বাসঘাতকতা নামের তীব্র বজ্র বন্না, ভেসে গেলো মায়া মমতা আর বিশ্বাস রয়ে গেলো অব শেষে দু'চোখের কান্না। ভালবাসা হলো দুঃখ বেদনার স্মৃতি বেরিয়ে এলো তার দুর্গন্ধময় রুপ, থমকে দাঁড়ালো আমার সুন্দর পৃথিবী ভাষা হারিয়ে কন্ঠ নালি রয়েছে  চুপ।  কার কাছে যাবো কে করবে এর বিচার? আমার মনের মানুষ ভেঙেছে মন, পরের চেয়ে যেপর হয়েছে সে এখন যে ছিল আপনার চেয়েও আপনজন।

সম্পর্ক

খাদিজা বেগম ঘুমের ঘোরে দেখা স্বপ্নটা,ঘুম ভাঙলেই ভাঙ্গে সাথে সাথে, পানি ভর্তি গ্লাস ভেঙ্গে গেলে, পানি আর থাকেনা তাহাতে। যদি কেউ কারো বিশ্বাস ভাঙে, সাথে ভাঙ্গে সে কোমল মন, নিরবে নিরবে ক্ষত করে হৃদয়ে করে রক্ত ক্ষরণ ‌। আলোকিত পৃথীবি আঁধার হয় কলুষিত কালো মেঘে মেঘে, নিঃশ্বাস বন্ধ হয়ে যায়যায় বিশ্বাস ঘাতকের আবেগে। দু'জনের সম্পর্কটা ভাঙ্গে যদি একজনে রাখতে না চায়, দু'জন মিলে গড়ে সম্পর্ক ভাঙ্গে একজনের অবহেলায়। একা একা সম্পর্কটা ভাঙা গেলেও টিকিয়ে রাখা দায়, সম্পর্ক পুষে রাখার জন্য খুঁজলে পাবে হাজারো উপায়। মাটির শরীর মিশে যাবে ঐ মাটিতে রবে কর্মফল, সুখের নেশায় ডুবে থেকে অন্যকে দিওনা অশ্রুজল। যে জন নিজ স্বার্থ ত্যাগিয়া অন্য জনারে রাখিবে সুখে, সুখে অভাব হবেনা তার ডুবে থেকেও হাজার দুঃখে।

ভাস্কর্যের নামে মূর্তি

খাদিজা বেগম দে দে তুই ছেড়ে দে মুনাফিক,নবীজীর সুন্নাতি পাঞ্জাবি, আমরা মুমিন মুসলমান এ আমাদের ইমানি দাবি। আর একবার হাত লাগালে আল্লাহওয়ালার পাঞ্জাবিতে, জ্বলবে আগুন এই রাজপথে ঝরবে রক্ত ইমানি দাবিতে। পরোয়া করিনা তোদের ঐ জেল জুলুম আর ফাঁসিতে, মুনাফিকের মতো পারবোনা কভু ইমান ছাড়া বাঁচিতে। জেগে ওঠো ওহে মুসলমান শোনো শোনো কি বলে মাতালে? ওরা মারবে জুতা তালে তালে আল্লাহওয়ালাদের গালে গালে। এর পরেও কি চুড়ি পরে অপেক্ষা করবো ঘরে বসে, মুনাফিক আর নাস্তিকেরা কখন আমাদের মারতে আসে? বাঁচার মতো বাঁচবো আমরা,মরতে হলে মরবো বীরের বেশে, তবু ভীরু কাপুরুষ হবনা,এ পৃথিবীর কোন ক্লেশে। সৎ কাজের সঙ্গী হবো ভাই অসৎ কাজে বাঁধা দেবোই, আলেম ওলামাদের  অপমানের প্রতিশোধ নেবোই। আল্লাহ্ আমাদের হুকুম দাতা আমরা তার হুকুমের দাস, ভুলে গেলে তার হুকুম ভাই জাহান্নামে জ্বলবো বারমাস। চল চল,চল মুসলমান,যেতে হবে এখনই তো যুদ্ধে, ভাস্কর্যের আর মাজারের সব অশ্লীলতার বিরুদ্ধে। এক হও, এক হও ওরে ও ঈমানদার মুসলিম জনতা, বাঘের মতো হুংকার দিয়ে দেখাও ঈমানের কি ক্ষমতা! হাতে আল্লাহর তরবারি আর রাসূল নামের ঢাল। অন্যায়ে বিরুদ্ধে করবো লড়াই ঈমানের ...

শাসন করা আসন

 খাদিজা বেগম এই সমাজের শাসন করা আসন গুলো দখল নিলো অযগ্য লোকে, তাই তো অন্যায় দেখতে দেখতে এখন অন্যাকেই ন্যায় মনে হয় চোখে। প্রকাশ্যে চলছে গুম, খুন, হত্যা, চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি কালোবাজারি, দেখেও যেন কেউ দেখে না, শুনেও যেন কেউ শুনে না কারো আহাজারি। এই সমাজের সেই দুঃসাহসী বীর সন্তানেরা আজ আর নেই যেন কেউ, তাদেরকে তারিয়ে বেড়ায় গণতন্ত্রের মুখস পরা হিংস্র কুকুরের ঘেউ ঘেউ। ঐ মুখস খুলতে হবে, ভাঙতে হবে ঐ কুকুর গুলোর বিষাক্ত দাঁত, নিরবে নিভৃতে সইবোন আর কোন অত্যাচারী জালীমদের আঘাত। এই সমাজটা হয়ে গেছে অপরাধে অপরাধে একটা কালো আঁধার রাত, পেতে হলে আলোকিত সমাজ করতে হবে হাতে হাত রেখে প্রতিবাদ। আমরা জাগলে রাত পোহাবে আসবে আবার দুয়ারে আলোকিত প্রভাত, জাগো জাগো বীর সন্তান তোল তোল তোমাদের বত্রিশ কোটি হাত।

কোথায় সেই মুসলমান?

খাদিজা বেগম হে মুসলমান,শক্ত করো ঈমান ভেবনা নিজেকে কখনো অসহায়, সত্য কথা বলো সৎ পথে চলো অটুট থাকো তুমি আল্লাহর ভরসায়। মনের খুশিতে নিজের ইচ্ছায় চললে চলে যাবে ঐ জাহান্নামের পথে, আল্লার খুশিতে পরিচালনা করো নিজেকে মত মিলাও কুরআনের মতে। ফুলের সুবাস আর কাঁটার যন্ত্রণা সবি মুমিনের কাছে সমান, বিপদে আপদে সুখে স্বাচ্ছন্দ্যে কিছুতেই টলেনা তো মুমিনের ঈমান। হাজার অভাব,অনাটন,দুঃখ,কষ্টেও তাকওয়া বান মুমিন শ্রেষ্ঠ, ঈমানের বলে বলিয়ান মুমিন কখনো হয়ে যায়‌ না পথভ্রষ্ট। কাঁটা ঝরানো পথে হেঁটে হেঁটে যদি হয় মুমিনের রক্তে লাল পথ , তবুও মুমিন চলবে সরল পথে বলবে সত্য কথা আল্লাহর শপথ। অগ্নিকুণ্ডে পুড়বে মুমিন লাভা সাগরে ডুববে ঈমানি পরিক্ষা দিতে গিয়ে, প্রয়োজনে রক্ত দিবে জীবন দিবে তবুও মরবে তার ঈমান নিয়ে। কোথায় সেই মুসলমান এখন, যার বুক ভরা আছে ঈমানি হিম্মত, কোন ডরে কাঁপে না থরে থরে বীরের মতো চলে সে কুরআনের পথ।

একটি নজর

খাদিজা বেগম তোমায় একটি নজর দেখার জন্য আকলি বকলি করে দু'নয়ন, তোমার একটু ছোঁয়া পাবার জন্য অপেক্ষায় থাকি সারাক্ষণ। তোমার একটি কথা শোনার জন্য প্রতিক্ষার প্রহর গুনতে থাকে কর্ণ, তোমার কাছে আমার যেন সকল  আত্মমর্যাদাবোধ চূর্ণ বিচূর্ণ। আমার মনটা আর নেই তো আমার সারাক্ষণ শুধু তোমার কথাই বলে, তোমার কাছে যাবার বায়না ধরে নানান রকম অজুহাতে ছলে। জানিনা তুমি কি জাদু জানো,কি দয়ে আমায় কাছে টানো ও মায়াবিনী? তোমাকে চেয়েছি তোমাকেই পেয়েছি তবুও যে তোমাকেই চাইবো প্রতিদিনই।

ওহে আল্লাহ্

 ওহে আল্লাহ্ আমার, পথ প্রদর্শনকারী তোমার সাহায্য পেতে করি আহাজারী। দেখিয়ে দাও সত্য সুন্দর সরল পথ জান্নাতের দিকে চলে গেছে যে পথ। ওহে আল্লাহ্ আমার, ঈমান রক্ষাকারী আমাকে আমার উপর দিওনা ছাড়ি। আমায় লোভ লালসা করে নিবে গ্রাস তোমার ভিতরে করতে দিওগ মোরে বাস। ওহে আল্লাহ্ আমার নিরাপত্তা দানকারী বন্ধ কর শত্রু দের হিংস্র খবরদারি। সকল শত্রুদের বানিয়ে দাও বন্ধু

মানুষ মরণশীল

 খাদিজা বেগম মানুষ মরণশীল, মানুষ পচনশীল নোংরা, এবং মানুষ অদৃশ্য, তবুও তা বুঝতে চাই না আমরা। তবুও গুটিয়ে রাখি, সহযোগীতার দুটি হাত, নোংরা কর্মে আনন্দ পাই, সহযে করে যাই অপরাধ। তবুও ভাবিনা কভু, কেন জাগে না অনুশোচনা? কেন ভাল কাজে মন বসে না আসেনা প্রেরণা? গাড়ি,বাড়ি জমিদারি তাহা জন্ম সুত্রে পাওয়া যায়, টাকা হলে লেখা যায় নিজ নামটি ধনীর তালিকায়। সুন্দর চরিত্র আর পরোপকারী মানুষিকতা, ধীরে ধীরে নিতে হবে নিজেকে অর্জন করিয়া তা। মানুষ মরার আগে কারো যেন এমন না হয়! তীব্র লোভ-লালসার কারণে বিবেক মরে যায়। স্বার্থপরতার জন্য অবিচারের গন্ধ ছড়ায়, দূরনীতির বাঁধ গড়ে সৎ উন্নয়নের ধারায়। কেহ অদৃশ্য হবার আগে যেন অদৃশ্য হয় না, তাহার ধৈর্য্য ক্ষমতা আর ক্ষমা করার ক্ষমতা।।

ওহে আল্লাহ্

 খাদিজা বেগম ওহে আল্লাহ্ আমার, পথ প্রদর্শনকারী তোমার সাহায্য পেতে করি আহাজারী। দেখিয়ে দাও সত্য সুন্দর সরল পথ জান্নাতের দিকে চলে গেছে যে পথ। ওহে আল্লাহ্ আমার, ঈমান রক্ষাকারী আমাকে আমার উপর দিওনা ছাড়ি। আমায় লোভ লালসা করে নিবে গ্রাস তোমার ভিতরে করতে দিও মোরে বাস। ওহে আল্লাহ্ আমার নিরাপত্তা দানকারী বন্ধ কর শত্রু দের হিংস্র খবরদারি।

যদি আর ভাল না বাস

 খাদিজা বেগম যদি আর ভাল না বাস যদি আর কাছে না আসো। ভেবো না ‌আমি ভুলে যাবো আমি তোমায় খুঁজে নেবো। উত্তর থেকে ঐ দক্ষিণে পূর্ব থেকে ঐ পশ্চিমে, মাটি থেকে ঐ আকাশে খুঁজব আমি তোমার প্রেমে। খুঁজতে খুঁজতে না হয় যাবো এ পার হতে আখিরাতে, তবুও তোমায় খুঁজে পাবো বেঁধে রাখবো নিজের হাতে।

আল্লাহ্ দয়াময়

 আর কেউ না জানুক তুমি তো জানো ওগো আমার আল্লাহ্ দয়াময়, কতো দুঃখ, কতো কষ্ট, কতো যন্ত্রণার আগুনে পুড়ে পুড়ে জ্বলে হৃদয়। এ পৃথিবীর ফেতনা ফ্যাসাদ হতে বাঁচাও ওগো আমার আল্লাহ্ দয়াময়, তোমার করুনার চাদরে জড়িয়ে রেখে তুমি দাও আমাকে আশ্রয়। আর কেউ না শুনুন তুমি তো শোনো ওগো আমার আল্লাহ্ দয়াময়, আমার হৃদয় ভাঙা কান্নার আওয়াজ থামিয়ে দাও ওগো স্নেহময়। রক্ষাকর আমায় তুমি বিশ্বাসঘাতক হতে ওগো আমার আল্লাহ্ দয়াময়, বিশ্বাস ঘাতকের বিষ দেখা যায় না চোখে ক্ষয় করে দেয় অবুঝ হৃদয়। দয়া চাই, ক্ষমা চাই, চাই তোমার করুন ওগো আমার আল্লাহ্ দয়াময়, আমার এ কঠিন জীবন সহজ করে দাও আমার সাথী হয়ে থেকো সবসময়। আমায় একা ছেড়ে দিওনা এই পৃথিবীতে ওগো আমার আল্লাহ্ দয়াময়, আমায় ভুল পথে নিয়ে যাবে ঐ শয়তান ভুলিয়ে দেবে নিজের পরিচয়। আমি তোমার দাসী, তুমি আমার মালিক ওগো আমার আল্লাহ্ দয়াময়, কখনো ভুলে যাই না যেন আমি এই কথাটি আমার যেন কভু ভুল না হয়। হিংসা, অহংকার, ক্রোধ দূর করে দাও ওগো আমার আল্লাহ্ দয়াময়, তোমার আদেশ নিষেধের পবিত্র দেয়ালে আমাকে বন্দী রেখো সবসময়। শক্তি দাও, সাহস দাও, দাও ঈমানি হিম্মত ওগো আমার ...

বাংলাদেশ

খাদিজা বেগম বাংলাদেশ প্রিয় বাংলাদেশ আমার সোনার বাংলাদেশ, তুমি আছো তুমি রবে সাদা কভু তোমার হবেনা শেষ। নয় মাস ধরে যুদ্ধ করে জয় করেছি এই বাংলাদেশ, চলবে না আর তোমার প্রতি কারো জুলুম কারো আদেশ। বাংলাদেশ প্রিয় বাংলাদেশ তুমি যে আমার ভালোবাসা, তোমাকে কত যে ভালোবসি সেকথা বোঝাবার নাই ভাষা। বাংলাদেশ প্রিয় বাংলাদেশ লাখো শহীদের বাংলাদেশ, রক্ত সাগরে কেন এই দেশে  আজ আর নাই কোন ক্লেশ। 16 ই ডিসেম্বর এই দিনে 1971 সালে, একটি ফুল হয়ে ফুটে ছিলে পৃথিবী নামের বৃক্ষ ডালে। বাংলাদেশ প্রিয় বাংলাদেশ প্রাণ দিয়ে কেনা বাংলাদেশ, যত দূরে যাই তবুও পাই মনে মনে তোমার আবেশ। তোমায় ছেড়ে যেতে চাই না তো  কোথায়ও পাই না এতো আয়েস, মরিয়া গিয়া থাকিবো শুইয়া তোমার বুকে করবো প্রবেশ।

তোমার পায়ে

খাদিজা বেগম  তোমার পায়ে পাড়া দিয়ে ঝগড়া করতে আনন্দ পাই, ঝগড়া করি তোমার সাথে  অকারণে আর অযথাই। তোমার চামে চিমটি কেটে আমি অপার সুখের হারাই, বারে বারে তাই তো আমি তোমার পানে দু'হাত বাড়াই। তুমি যখন যাও গো রেগে আমি হেসে হেসে লুটোই, রেগে মেগে আগুন হলে প্রেমের জলে পদ্ম ফুটাই। তুমি যখন না না বলো তখন একটু জোর খাটাই, ঘুড়ির মতো ঘুরলে তুমি বস করিতে আমি নাটাই। অভিমানী মনের বোমা প্রনায় রিমোট টিপে ফাটাই, বায়না ভাড়া চার্ট খানি তার একে একে সবই মিটাই। পাহাড় সমান মনটা তোমার ভালোবাসা দিয়ে নারাই, যখন তুমি বেশামাল হও সামাল দিতে দু'হাত বাড়াই। তুমি আমি কখনো এক কখনো বা ভিন্ন লড়াই, কখনো এক মোহনাতে এসে ভালোবেসে জরাই। থামবে না আর থামবে না গো টক, মিষ্টি, ঝাল, তিক্ত লড়াই, তুমি ছাড়া নাই কেহ নাই যার কাছেতে পাবো গো ঠাই। অহংকারী এই মন আমার করে যদি মিথ্যে বড়াই, থাকবে সে তার মত করে ভালো থাকবে তোমায় ছাড়াই। সেই অহংকার ভেঙে দিয়ে আমায় বেঁধে রেখ আটকাই, প্রয়োজনে রেখ আমায় তোমার কাছে বেঁধে লটকাই। তোমায় ছাড়া বাঁচবো না গো হবো তোমার বিরহে ছাই, তোমার প্রাণে প্রাণ মিশেছে ভিন্ন হবার আর উপায় নাই।।

মন ভেঙ না

 খাদিজা বেগম  আমি তোমায় দিলাম প্রিয় এই হৃদয়ের সাদা পাতা, তোমার মত লিখে নিও তোমার মনে চাইবে যা যা। আমি তোমায় দিলাম প্রিয় সুরভিত পুষ্প বাগান, তোমার মত ফুল তুলিও যতখুশি নিও তার ঘ্রাণ। আমি তোমায় দিলাম প্রিয় চপল কাঁচের প্রণয় ছাতা, সেথায় দু'জন আড়াল হবো দূর করিব সকল ব্যাথা। আমি তোমায় দিলাম প্রিয় আমার প্রেমের অতল সাগর, ডুবে ডুবে সাঁতার কেটো কেউ না যেন দেখে নাগর। আমি তোমায় দিলাম প্রিয় ভালবাসার কোমল কাঁথা, মান অভিমান ভেঙ্গে দিয়ে হবে আমার প্রণয় দাতা। আমি তোমায় দিলাম প্রিয় কানায় কানায় সুখ ভরা নাও, যেমন খুশী যখন খুশী তোমার মনের মতো চালাও। আমি তোমায় দিলাম প্রিয় আমার বাঁধ ভাঙা হাসি, এই হাসিটার যত্ন নিও যায়না যেন কান্নায় ভাসি। আমি তোমায় দিলাম প্রিয় এক ফোঁটা প্রেম পদ্ধ পাতা, অবহেলায় ফেলে দিয়ে দিওনা গো আমায় ব্যাথা। আমি তোমায় দিলাম প্রিয় আমার মনের গোপন চাবি,  তুমি আমার মন ভেঙে না তোমার কাছে একটাই দাবি।।

শূন্য বাড়ি

 খাদিজা বেগম আমি তোমার শূন্য বাড়ি সাজিয়ে নিও তোমার মত, গুছিয়ে রেখে আমার তুমি ভালবেসে পাগলের মত। জনম জনম রাখিবো তোমার আমি আমার ভিতর, খুব যতনে রাখিবো আদরে যেখানে থাকে আমার অন্তর। কখনো দিবো না তোমায় একটু খানি ব্যথা, বলবো না কোন দিন তোমায় কোন কঠিন কথা।  তোমার সুখেই আমি সুখ সাগরে ভাসবো ততই যত্ন নিবে ততই তোমায় ভালো বাসবো। যদি রাখ আমায় তুমি অযতনে অবহেলায় চোখের জলে ভেসে যাব না ফেরার ভেলায়।

হে আমার চোখ

খাদিজা বেগম হে আমার চোখ তুমি কি মহান আল্লাহকে দেখতে চাও?। তবে দেখোনা আর অশালীন দৃশ্য‌,এখনি চোখ ফিরাও। হে আমার কর্ণ তুমি কি শুনতে চাও না,আল্লাহর সালাম? তবে এখন থেকেই শোন আল্লাহর পবিত্র কালাম। হে আমার হাত তুমি কি ধরতে চাও অসীম সুন্দর হুর, তবে অপবিত্র কাজ কর্ম থেকে এখনি হতে হবে দূর। হে আমার মুখ তুমি কি খেতে চাও না জান্নাতের খাবার? তবে মিথ্যে বলবনা আর, সত্যবাদী হতেই হবে এবার। হে আমার হৃদয় অনুভব কর জাহান্নামের অগ্নি কষ্ট, তবে আর তোমায় কোন লালসায় করিবেনা পথভ্রষ্ট। হে আমার মন এক আল্লাহ্ ছাড়া বাঁচানোর নাই তো কেহ, তবে কোন কষ্ট থেকে বাঁচতে,অপবিত্র করোছো এ দেহ?

তুমি আর নেই আমার

খাদিজা বেগম  যেই দিন শুনেছি তুমি আর নেই আমার হয়ে গেছো অন্য কারো এখন, জীবনের মাঝ পথে একা ফেলে গেছ এই আমাকে নেই আর প্রয়োজন। সেই দিন থেকে একটা ব্যথার পাহাড়  আমার উপর চড়ে বসেছে, ব্যথার চাপে চাপে পাঁজরের হাড় ভেঙে আমার অশ্রুতে বুক ভেসেছে। অদেখা আগনে পুড়ে যাই না দেখা কষ্টে কষ্টে অদেখা ক্ষত রক্তাক্ত, ঝড়ো হাওয়ার মতো উড়ে গেছে আমার জীবনের সব আশা। তোমারি কারণে আমার হৃদয় ভেঙ্গে  হয়ে গেছে টুকরো টুকরো পাথর, সতেজ দেহটা হয়ে গেছে নিথর এখন মৃত্যু যন্ত্রণাতে কাতর।

বলবো না

 খাদিজা বেগম আমার অনেক ভয় লাগে । সংসদ ভরা সন্ত্রাসীতে, না না সে কথা আর বলবো না   আমি মরিতে চাই না ফাঁসিতে। মোদের বেতনভুক্ত হয়েও পুলিশ সন্ত্রাসীদের দাস, না না সে কথা আমি বলবো না আমি হতে পারবো না যে লাশ। দুর্নীতি গতি বিদ্যুৎ গতি ঢিমা দুদকের অভিযান না না সে কথা আমি বলবো না আমি পারবো না হারাতে প্রাণ। শত্রুর ভয়ে কাঁপে থরোথর জোয়ান নামের কুঁজো বৃদ্ধ, না না সে কথা আমি বলবো না আমি হতে চাই না গুলি বিদ্ধ। অন্ধ উকিল বিচারপতি মিলে আদালতে কানামাছি খেলে, না না সে কথা আমি বলবো না আমি যেতে পারবোনা তো জেলে। দেশমাতৃকার সেবা ভুলেছে চোরের চরণ চাটা আমলা, না না সে কথা আমি বলবো না আমি ভয় পাই ওদের হামলা।

তেমনি আছি

 খাদিজা বেগম কেন যে আমি তোমাকে এতো ভালোবাসিলাম? সুখের দামে দুঃখ কিনে অশ্রুতে ভাসিলাম । বারে বারে আজ আমার এই শুধুই মনে হয় তোমায় দেখার আগেই বুঝি আমি ভালো ছিলাম। তোমাকে ভালোবাসতে বাসতে আমি একি করিলাম?  নিজেকে তো নিজেই, মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিলাম। স্বার্থের বাজারে নিঃস্বার্থ ভালোবাসা কেঁদে মরে কি এমন সুখ পেয়েছ আমাকে নিঃস্ব করে ? আমার চেয়েও তোমাকেই ভালবেসে ছিলাম তাই বুঝি আমার ভালবাসা হয়েছে নিলাম! কিসের আশায় এমন করে বদলে গেলে তুমি? সুখে ভরা এ বুক‌ আমার করলে মরুভূমি। সময়ের সাথে সাথে পারিনি তো বদলে যেতে এখনো তেমনি আছি আগে যেমন ছিলাম।

বাঁচার জন্য আত্মহত্যা

খাদিজা বেগম স্বাধীন পুরুষ ব্যবসা করে চালায় তারা পতিতা লয়, বন্দী নারী পণ্য তাতে সভ্য সমাজ নীরবে রয়। আমি নারী পুরুষ অধীন তাই তো বুঝি পতিতা আজ, বেশ্যা বলে খানকি বলে বলে কতো কি এ সমাজ। পত্নী রাখে মাথায় তুলে রবের পরে পতির স্থান, সেই পতি যায় পতিতা লয় ধ্বংস করে নিজের সম্মান। সীমালংঘন করে ওরা হায়না হয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ে, বিষাক্ত সাপ হয়ে ওরা বিষ দাঁত বসায় ঝরিয়ে ধরে। যৌন ক্ষুধায় রাক্ষস ওরা নারী শিশু করে শিকার, মানবতা ধ্বংস করে কেরে নিয়ে যায় অধিকার। মুনাফিকের কর্ম হলে আমানতের খিয়ানত হয়, লাগামহীন আজ মোদের সমাজ একেই বলে সভ্যতার জয়। পতি নারীর রক্ষাকারী বলেছে ঐ হাদীস কুরআন, সেই পতি আজ রাক্ষস হয়ে কেড়ে নেয় যে নারীদের মান। দেখেও যেন দেখে না কেউ এই সমাজের অধঃপতন, শুনেও যেন শুনে না কেউ সমাজ যেন আজ অচেতন অন্ধ মোদের সমাজ পতি বধির যেন সকল জ্ঞানী , মাংসখেকো পশু গুলো ঝরায় নারীর চোখের পানি।  রক্ষিতা কয় ধর্ষিতা কয় কলঙ্কিনী আর অসতী , পুরুষ নামে পশু ওরা জাহান্নামে ওদের গতি। হে বিধাতা সাক্ষী তুমি কোথায় নেই নিরাপত্তা, সম্ভব হলে করতো নারী বাঁচার জন্য আত্মহত্যা। ((আমার ভাইয়েরা আমার উপর রাগ ক...

স্বাধীনতা

স্বাধীনতা  খাদিজা বেগম যাদের ডাকে যুদ্ধে গেলাম  বাংলা মাকে স্বাধীন করলাম, আজকে দেখি তাঁরাই এখন  পরাধীনতাকে করছে সালাম। যাদের ডাকে ঝাঁপিয়ে পড়ে রক্ত সাগর দিলাম গড়ে, আজকে দেখি তাঁরাই এখন রক্ত নিয়ে খেলা করে। যাদের ডাকে উদ্ধার করলাম ভোট অধিকার গনতন্ত্র, আজকে দেখি তাঁরাই এখন চালায় ঘৃণ্য ষড়যন্ত্র। যাদের ডাকে সাড়া দিয়ে মা, বোনদের বিলীন সম্ভ্রম। আজকে দেখি তাঁরাই এখন ধর্ষণকারীর অভয় আশ্রম। যাদের ডাকে এক হয়ে সব স্বাধীনতা করলাম সন্ধি, আজকে দেখি তাঁদের হাতে স্বাধীনতা মোদের বন্দী। শিক্ষিত জন কেঁদে মরে কর্ম খুঁজে বয়সটা শেষ, দক্ষ কর্মীর অভাবে ভাই লক্ষ্যচ্যুত আমার এদেশ ‌। কৃষক শ্রমিক পায় না মূল্য, পুঁজিবাদী করছে গ্ৰাস ,  দেশ প্রেমিকরা হচ্ছে গুম, খুন আজ রাজত্ব করছে সন্ত্রাস। ভেবে ভেবে যুগ কেটেছে এভাবে আর ভাববে কত? মরার আগে এক বার মরো বীর বাঙ্গালী বীরের মতো। জেলের ভয়ে ফাঁসির ভয়ে মিউ মিউ করে না প্রতিবাদী, ভয়ে ভয়ে হয় যে কাতর  স্বার্থবাদী , অপরাধী। জীবন মৃত্যু আল্লাহ হাতে ঈমান ছাড়া কিছুই নাই, অত্যাচারী দমন করতে তবে কেনো মিথ্যে ভয় পাই। আমরা কজন মুক্তি সেনা মানবতার...

খুঁজি তোরে

 খাদিজা বেগম বারেবারে খুঁজি তোরে তবু খুঁজে পাই না, ফের ফিরে আয় তোকে ছাড়া আমি কিছু চাই না। তোকে ছাড়া আমার জীবন এখন আর চলে না, কন্ঠ আমার থেমে থাকে কিছুই তো বলে না। আমার রাত-দিন সব একাকার ভোরের রবি ওঠে না, ফুলের বাগান জঙ্গল এখন আর কোন ফুল ফোটে না ‌‌। এ জীবন জড় বস্তুর মতন কোন অনুভূতি নাই, ঘুরে ফিরে একটি চাওয়া ফের আমি তোরে চাই। আর একটা দিন থাকলে দূরে যাব আমি হারিয়ে, কাছে এসে ভালবেসে রাখ আমায় জড়িয়ে।

ছেড়ে যাবে না তো

 খাদিজা বেগম বহুবার বহুদিন বহু মাস ধরে তুমি আমায় বলেছিলে, কখনো ছেড়ে যাবেনা তো ! সেই তুমিই আমাকে ছেড়ে গেলে আমি তোমার হয়েই আছি থাকবো আজীবন আগেই মতো। বহু সকাল বহু বিকাল বহু বছর ধরে আমায় তুমি বলেছিলে, কখনো ভুলে যাবে না তো! সেই তুমিই আমাকে ভুলে গেলে আমি তোমাকে ভুলিনি, মনে রেখেছি আগেই মতো। এ বুকের মাঝে আমাকে হৃদয় করে শত যতনে রেখেছিলাম, ভালবেসে পাগলের মতো। সেই তুমিই ভেঙ্গেছো এ বুকের পাঁজর হাজার আঘাতে আঘাতে, হৃদয় করেছো রক্তাক্ত।  চলে যাবে আমাকে ছেড়ে তাই বুঝি নিয়েছিলে তুমি বহু বার, আমার হতে অঙ্গীকার! তোমাকে ছেড়ে আমি যাবো কোথায়? মৃত্যু ছাড়া নেই কেউ আর, অপেক্ষায় থাকবে আমার। তোমাকে সুখী করা ছাড়া আমার  ছিলনা কোন আশা সে আশা পূর্ণ হলোনা, হতে পারিনি আমি তোমার যোগ্য এ আমারি দুর্ভাগ্য আমার কপাল ভালো না।। চেষ্টায় ত্রুটি ছিলোনা। তবুও তুলবো না কোন অভিযোগ করবো না কোন অভিমান দেবো না তোমাকে সাজা, তোমার কাছে আমার এই মিনতি আমার শেষ বিদায়ের কালে আমাকে দেবে তুমিই যানাজা।

চোখের পাতায়

খাদিজা বেগম বইয়ের পাতায়, কাগজের খাতায় ছাড়াও আরো কিছু লেখা ছিল চোখের পাতায়, যে লেখা লিখা যায় না তো কোন কলমে যে কথা বলা যায় না তো কোন ভাষায়। দু'আঁখি পাতে লিখেছি যার জন্য আমি সেই তো অন্ধ অন্য কারো ভালোবাসায়। সেই কথা গুলো গুমরে গুমরে কাঁদে আর পুষ্পের মত ঝরে পড়ে বিষাদ নিরাশায় , বুঝে না অবুঝ মন ঝর্না হয়ে ঝরে নয়ন কোন ভুলের মাশুলে এ বুক ভেসে যায়? যে বুঝল না আবেগ মাখানো ভালবাসা কেনো এ মন তাঁরেই পাগলের মত চায়? কাঁদতে চাই না আমি তবুও অশ্রু ঝরে নির্ঘুম আঁখি জানি না কোন আশায়, ভুলতে চাই তারে আমি তবুও মনে পরে সত্যি সত্যি কষ্ট পেলাম মিথ্যা ভালবাসায়।

তোর পাগল

খাদিজা বেগম তোর পিরিতে ঘর ছাড়িলাম তবুও না পাইলাম তোরে, তুই তো পাগল হইলি না রে বানাইলি তোর পাগল মোরে। তোর পিরিতে পাগল আমি তুই দাও পাগল বলে গালি, তোর পিছনে আসলে আমি ছুঁড়ে মারো ধুলাবালি। তুই মারিলে ব্যাথা পাই না খুশী লাগে এই অন্তরে, বাহিরেতে রক্ত ঝরে পিরিত জাগে মোর ভিতরে। যতো করিস অবহেলা ততই তোরে ভালো লাগে, তোর জন্য এই হৃদয়ে ভালবাসা আরো জাগে। দূরে থেকে দেখবো তোকে এ ছাড়া নাই কিছুই দাবি, এভাবে আর কাঁদবো কতো  আমায় কতো আর  কাঁদাবি? একদিন শুনবি হাড়াই গেছি আমি খুঁজতে গিয়ে তোরে, সবার কাছে মরে যাবো বেঁচে রবো তোর অন্তরে।। তোর পিরিতে পিরিত তাই তোর কাছে আই বারে বারে, তোর ছোঁয়াতে মোর নিরাময়  চাইলে বাঁচা তুই আমারে। না চাইলে তুই মরে যাবো দেখবিনা আর পথের ধারে, খুঁজবি তখন আনমনে তুই পাবিনা আর তুই আমারে।।

ব্যাথা

খাদিজা বেগম এই বুকেতে এত ব্যথা বোঝানোর নেই কোন ভাষা,  শ্বাস-নিঃশ্বাসে তীব্র কষ্ট আমার কঠিন হলো বাঁচা।। সব দিয়েছি আশায় আশায় পাবো বলে ভালোবাসা, সব নিয়া সে নাই হয়েছে ছাই হয়েছে আমার আশা।। চোখের জলে ডুবে থাকি তবু জাগে প্রেম পিপাসা, সূর্যের আলোয় আঁধার দেখি চৈত্র দেখি ঘোর কুয়াশা ।। মন নিয়ে সে মন দিল না করিল সে খেল তামাশা, তার পায়েতে পিসাল সে আমার নিষ্পাপ ভালবাসা।। মরার আগে পাইলে তারে একবার করিতাম জিজ্ঞাসা, কেমন করে ভুলবো তারে ছাড়বো তারে পাবার আশা?

ছোট্ট একটা জীবন

 খাদিজা বেগম বড় বড় কষ্টে গড়া আমার ছোট্ট একটা জীবন, কষ্টের ভারে অচল আমি পাই না বেঁচে থাকার কারণ। ব্যথার পাহাড় ধরে না আর দুই নয়নে ঝরে শ্রাবণ, জীবন আমার ভাল্লাগেনা ভালো হতো হলে মরণ। আদর সোহাগ পেলাম না তো আমি পেলাম শুধু শাসন, খাঁচায় পোষা পাখির মত আমার বন্দী থাকার জীবন। ভাগ্য আমার বিপক্ষে আজ তাই তো সুখী হতে বারণ, দুঃখী হতে পারব না তাই পরেছি সুখের আবরণ। হাসিমুখের আবরণে হয় ক্ষত মণ রক্তক্ষরণ, তবু চলে যাই সম্মুখে হাসিমুখে বাড়াই চরণ। মৃত্যু বুঝি শত্রু আমার  তাই করেনা দাওয়াত গ্ৰহণ। মুক্তি দেয় না আমারে সে করেনা এ জীবন হরণ।।

তরবারি

খাদিজা বেগম  তার রুপের ওই তরবারি আমায় করলো ফানা ফানা, মন ছুটে যায় তার পেছনে ভুলিয়ে দেয় নিজ ঠিকানা।। বইয়ের পাতায় তাহার ছবি লেখাপড়া সব অজানা, তারে লাগে আপন আপন আপন জনা সব অচেনা।। মন পাখিটা উড়তে চায় না  মেলতে চায়না দুটি ডানা, বন্দী হতে চায় সে তাহার ভালোবাসার কয়েদখানা।। তার কাছে তে যাইতে মন খুঁজে কত যে বাহানা,  তার পিরিতে পাগল আমি আমি শুধু তার দেওয়ানা।।

ঠাই দাও

খাদিজা বেগম  এক পা দুই পা করে করে আজ এসেছি তোমার দ্বারে, ফিরাইও না তাড়াইওনা একটু ঠাই দাও গো আমারে।। খোলো খোলো প্রেমেরি দ্বার রাখিও না আর বাহিরে, কত শত দিন রজনী আমি খুজেছি তোমারে।। তোল তোল তুলিয়া লও আমায় তোমার মন মাজারে, সেথায় বসে জুরাবো প্রাণ বলবো কথা  ঠারে ঠারে।। তোমায় ছাড়া বাঁচবো না আর হারাবো ঘোর অন্ধকারে, ভালোবেসে বাঁচাও বন্ধু তুমি বাঁচাও গো আমারে।।