Posts

Showing posts from May, 2024

জন্মভূমি মা

 জন্মভূমি মা  খাদিজা বেগম  জন্মভূমি মা গো তুমি  আমার সোনার বাংলাদেশটা, এইখানে নাই দুঃখ, কষ্ট, কোন শান্তি সুখের শেষটা।। মনি, মুক্তা, হীরা, পান্না  তারো চেয়ে বড় খনি, কানায় কানায় সম্পদ ভরা  আমার প্রিয় দেশ জননী। দেশ বাঁচাতে ধ্বংস করব দেশ বিরোধী অপচেষ্টা।। যেতে চাই না আমেরিকা  হতে চাই না আমেরিকান, বাংলা আমার আমি বাঙালী  এটাই আমার বড় সম্মান।। দেশের জন্য রক্ত দেবো  প্রয়োজনে দেবো এই প্রাণ, সকল কিছু দিয়ে হলেও  রক্ষা করবো এই দেশের মান।  সাত জনমেও শেষ হবেনা  দেশটা ভালো বাসার তেষ্টা।।

কেঁদো না

 কেঁদো না  খাদিজা বেগম  আমি যদি যাই মরিয়া  তোমরা কেহ কেঁদো না, মরা ছাড়া দূর হবে না  আমার দুঃখ বেদনা।। কষ্টের জীবন চলে গেলে  কি বা তাতে আসে যায়, কত কষ্ট সইলাম আমি  একটু বেঁচে থাকার দায়। সারা জীবন দিল আমায়  এই জীবনে যন্ত্রনা।। বেঁচে থাকা বড়ই কঠিন  শ্বাস নিঃশ্বাসে কষ্ট হয়, মরার পরে সুখী হব  সুখে রাখবেন দয়াময়।। হয়তো কারো উপকারে  আমি আসতে পারি নাই,  তবু মনে এই সান্তনা  কারো ক্ষতি করি নাই। অজান্তে ভুল হয়ে গেলে  ক্ষমা করতে ভুলো না।।

মায়ের কোলে

মায়ের কোলে  খাদিজা বেগম  ভয় করিনা ঝড় জলোচ্ছ্বাস  আমি থাকলে মায়ের বুকে, আমার মায়ের বুকের ভিতর  আমি থাকি স্বর্গের সুখে।। ঝড় তুফানে ঘরের চালা  ভেঙ্গে চুরে উড়ে গেলেও, নিরাপদে থাকি আমি  মায়ের কোলে কাদা জলেও। মা জননী সেরা ডাক্তার  ভয় করিনা তাই অসুখে।। রবের পরে মায়ের স্থান কভু যেন ভুলে যাই না, মাকে ছাড়া একটি দিনও  একটু দূরে থাকতে চাই না। যেমন করে শিশু কালে  মা রেখেছে আমার খেয়াল, রাখবো মাকে তেমনি চোখে  হতে দেবো না তো আড়াল। মায়ের দিকে আসলে কষ্ট  আমি থাকবো তার সম্মুখে ।।

অমরত্ব

অমরত্ব  খাদিজা বেগম  আমার/ আবেগে আর বিবেকে  আমাকে ফেলে দিয়েছে  যেন দোটানায়? আমিতো/ আবেগ বিবেক এর    মাঝে পড়ে পৃষ্ঠ হয়ে  যাচ্ছি সর্বদায়। কেন যে/ আমি করতে পারি না এই  আবেগ বিবেক এর  ঠিক সমন্বয়! ওদের/ মাঝে এত দ্বন্দ্ব দেখে  সাহস হারিয়ে কান্দে  অবুঝ হৃদয়। কখনো/  আবেগের স্রোতে মন  ভাসিয়ে দিলে বিবেকে  ভাষণ শুনায়! শোন হে/ শুধু আবেগে চলো না  এভাবে চলা কি কোন মানবকে মানায়? আমার/  ডানে, বামে, পিছু মানা খুঁজে পাই না এই নিজেকে  রক্ষার উপায়, কখনো/ টানে বিবেকে আমায়  কখনো টানে আবেগে  দূর অজানায়। সহজ/ সরল পথটা ধরো মন সামনে চলার ঐ পথ  আলোকিত পথ, যে জন/  ডানে, বামে, পিছু চলে  সেই মানুষটা কারো জন্য  নয় নিরাপদ। আমার/ একটা বোঝা বইতে কষ্ট  তবু কেন দুইটা বোঝা  টেনে টেনে চলি, কেন এই/ আবেগ আর বিবেক  এক শরীরে দুই জ্বালা  নিয়ে আমি জ্বলি? আমার/ একটা হলে ভালো হতো  চিন্তা-চেতনায় হতো না  দিবানিশি লড়াই, ছিঃ ছিঃ ছিঃ/ আমি কি সব ভেবেছি  আমি জয় পেতে চাইনা...

মহা স্বপ্ন

 মহা স্বপ্ন  খাদিজা বেগম  পৃথিবীর) সকল লোকে স্বপ্ন দেখে অভিন্ন বা ভিন্ন সপ্ন (সবার, অনেকে)স্বপ্ন ভাঙা কষ্ট নিয়ে   ক্ষণে ক্ষণে নয়ন মুছে (আবার।। কারো স্বপ্ন মেঘের মতো  বৃষ্টি হয়ে যাচ্ছে ঝরে, কারো স্বপ্ন মাছের মত  জল না পেয়ে যাচ্ছে মরে।  কারো স্বপ্ন প্রণ বাঁচা বার  অনাহারীর পেটের খাবার।। কারো স্বপ্ন তুলার মত  হাওয়ায় হাওয়ায় যাচ্ছে উড়ে, কারো স্বপ্ন পাখার মত এক জায়গাতে যাচ্ছে ঘুরে।। আমার স্বপ্ন মহা স্বপ্ন  মহা আকাশ সমান বিস্তার, সূর্যের মত তপ্ত স্বপ্নে  ভিতরের ভয় করি নিস্তার। অনিয়মের মুখোমুখি  লড়াই করি জয়ী হবার।। স্বপ্নটাকে গেঁথে রাখি  ভালবেসে হৃদয় মাঝে, স্বপ্নটাকে চোখে রাখি  দিবানিশি সকল কাজে। স্বপ্ন টাকে ভিত্তি করে  স্বপ্ন দেখি কাল দাঁড়াবার। স্বপ্ন যত শক্তিশালী  দুর্বল হবে শত্রু তত, স্বপ্ন যত বড় হবে  ছোট হবে মনের ক্ষত। স্বপ্নটাকে যত্নে রাখি  স্বপ্ন ছাড়া নাই হারাবার ।।

ও বাবা

 ও বাবা  খাদিজা বেগম  ও বাবা) আমার নামের সাথে আমি  খুব যতনে তোমার নামটি (লেখি, ও বাবা) আমায় দেখার সাথে আমি  স্মৃতির দুয়ার খুলে তোমায় (দেখি।। ও বাবা) রক্ত হয়ে বইছো তুমি  আমার সারা শরীর জুড়ে, তবুও) তোমার আদর পাবার আশায়  আমার অবুঝ হৃদয় পুড়ে।  ও বাবা) তোমার স্নেহ ছাড়া যেন  এই পৃথিবীর সবি মেকি।। ও বাবা) একি রক্তে গড়া মোদের  বাবা মেয়ের দুটি কায়া, দেখ না) দুইজন থাকি দুই প্রান্তে  তবু কমে নি তো মায়া। ও বাবা) তুমি থাকো মাটির নিচে  আমি মাটির উপর থাকি,  বারেবার) মন তোমাকে ভেবে কাঁদে  খুব নীরবে ভিজে আঁখি। ও বাবা) তুমি ছাড়া সবার চোখে  আমি আমরা গাছের ঢেঁকি।।

মন মেলে না

 মন মেলে না  খাদিজা বেগম  এখন) প্রেম যমুনায় চর জেগেছে  তাতে প্রেমের নাও চলে না, চলে) প্রেমের নামে অশ্লীলতা  তাকে তো আর প্রেম বলে না।। এখন) প্রেম করিতে মন লাগেনা  ওদের লাগে শুধু দেহ, যারা) দেহ দিয়ে প্রেম করিবে  তারা মানুষ নয় তো কেহ। প্রেমে) জ্বলে প্রেমিক জনা তবু রীতিনীতি তার টলে না।। ও যার) ভিতরে নাই নৈতিকতা প্রেম করো না কেউ তার সাথে,  হিংস্র)পশুর সাথে প্রেম করিলে  কাঁদতে হবে দিনে রাতে।। অনেক) আগের সেই প্রেম ভালোবাসা  ছিল লোকের লাজুক চোখে,  এখন) লজ্জা শরম সব হারিয়ে  অসভ্যতা করে লোকে। এখন) দেহের সাথে দেহ মেলে  মনের সাথে মন মেলে না।।

আজ এসো না বৃষ্টি

 আজ এসো না বৃষ্টি  খাদিজা বেগম  আজ এসো না বৃষ্টি তুমি  যাও ফিরে যাও তোমার দেশে,  তোমার জলে আগুন জ্বলে  প্রবাসীরে ভালোবেসে।। বারে বারে তুমি এসে  পাগল করে দাও আমাকে,  এই পাগলামি কে থামাবে  সে যদি না পাশে থাকে। নির্দয়া রে ভালোবেসে  আমি গেলাম যেন ফেঁসে।। পারের বারে এলে তুমি  সাথে নিয়ে এসো তাকে, বিরহী মন জেগে ওঠে  তোমার মেঘের ডাকে ডাকে।। একলা ঘরে বৃষ্টির শব্দে  মনটা নাচে তা ধিন তা ধিন, ঝটপটিয়া মন মরে যায়  যেমন মরে জল ছাড়া মিন‌‌। তার বিরহ বিষে বিষে  আমি মরে যাব শেষে।। 

কোথায় দেখতে চাই

 কোথায় দেখতে চাই  খাদিজা বেগম  এসো) আমাকে নিয়ে ভাবি এই আমাকে আমি কি  এই প্রশ্ন করেছি কোথায় দেখতে চাই আমি আমাকে? তার) জন্য আমাকে কি কি করা উচিত ঠিক  তা কি কভু করেছি, শাসন করেছি কি এই মনটাকে? আমি) কোথায় থাকবো তা ঠিক করতে হবে  এখনি এই আমাকে ভেবে চিন্তে মন সামলে রাখে। আমি) যখন সূর্যের সামনে থাকি ঠিক  তখনি আমার এ ছায়াটাও আমার (সামনে থাকে। আমি) যখন সূর্যের পিছনে থাকি ঠিক  তখনি আমার এ ছায়াটাও আমার (পিছনে থাকে।  আমি) যখন সূর্যের ডানের পাশে ঠিক  তখনি আমার এ ছায়াটাও আমার (ডানেই থাকে। আমি) যখন সূর্যের বামের পাশে ঠিক  তখনি আমার ঐ ছায়াটাও আমার বামেই থাকে। আমি) যখন সূর্যের নিচের দিকে ঠিক  তখনি আমার এ ছায়াটাও আমার চিচেই থাকে। আমি) যখন সূর্যের উপরে থাকি ঠিক  তখনি আমার এ ছায়াটাও আমার মাথায় থাকে। আমি) যখন সূর্যের থেকে দূরে যাই ঠিক  তখনি আমার এ ছায়াটাও আমার দূরেই থাকে। আমি) যখন সূর্যের থেকে আঁধারে থাকি তখন আমি পাই না আমাকে খুঁজে শুধু দেখি ঐ তাকে। যেন) আমারি সে ছায়াতে আমাকে গিলে খেয়ে  তার অন্ধকার পেটের ভিতরে সে আমাকে র...

প্রেমের বাজারে

 প্রেমের বাজারে  খাদিজা বেগম  স্বপ্নে এসে স্বপ্নে হারাও  পাই না খুঁজে তোমারে, তুমি এমন কি শান্তি পাও  পাগল করে আমারে।। ঘুমের ঘোরে আসো তুমি  জেগে থাকলে আসো না, তোমায় এত ভালোবাসি  তুমি কেন বাসো না? পাষাণ এরে ভালবেসে  এই মন কাঁদে আহারে।। তুমি ছাড়া আগুন জ্বলে  আমার প্রেমের খামারে, ভালবেসে নিভিয়ে দাও  বলছি প্রেমের আবদারে।। তুমায় ছাড়া মরুভূমি  এই হৃদয়ের মাঝখানে, তুমি আসলে জোয়ার আসবে  মন ডুবাবো সেখানে। এমন সরল মন পাবা না  এই না প্রেমের বাজারে।।

মধুর ঝিলে

 মধুর ঝিলে  খাদিজা বেগম  পথের সাথী হয়ে তুমি  আমার পথে এসেছিলে,  তোমার কথায় মুগ্ধ করে  আমার মনটা কেড়ে নিলে।।  তোমার রুপে বিভোর হয়ে  তখন ছিলাম শুধু চেয়ে,  এখন আমি মাতাল মাতাল  তোমাকে না কাছে পেয়ে।  দিবানিশি খুঁজে মরি  আমার শান্তি নাই এই দিলে।। খুঁজে খুঁজে ক্লান্ত হয়ে  ভাবি বসে একা একা,  এখন তোমার সাথে আমার  কেন যে আর হয়না দেখা? ঘর ছেড়েছি তোমার টানে  পথে পথে এখন থাকি,  তোমায় ছাড়া কষ্টে আছি  ঝরঝরিয়ে ঝরে আঁখি। তোমায় পেলে স্বর্গ পেতাম  ডুবে যেতাম মধুর ঝিলে।।

ব্যস্ত সময়

 ব্যস্ত সময়  খাদিজা বেগম  তুমিও ব্যস্ত আমিও ব্যস্ত  আমাদের যায় ব্যস্ত সময়, আর কি হবো না আগেরি মতন  এই ভেবে ভেবে তাই জাগে সংসয়।। তিক্ত কাজের চাপে ভুলে গেছি  থাকতে মিষ্টি প্রেমের পরশে, ভুলে গেছি বুঝি প্রেম ভালোবাসা  তাই এই মন ভরে আছে আক্রোশে। থাকি একি ঘরে তবু বহুদূরে  মন কেঁদে ওঠে হারাবার ভয়।। তোমার আমার মাঝে কেন আজ  মোবাইল নামের বিষাক্ত দেয়াল, কাছের মানুষ দূরে রেখে কেন  দূর মানুষের এতটা খেয়াল।। প্রতিটা দিন নানা কাজে শেষ রাতের শরীর ভীষণ ক্লান্ত, বারে বারে মন হাহাকার করে  যেন এ হৃদয়টা খুব অশান্ত। মন যেতে চায় দূর অজানায়  এসো না সেথায় জুড়াবো হৃদয়।।

হাসিটা ফুলের মত

 হাসিটা ফুলের মত  খাদিজা বেগম  যারে নিয়ে স্বপ্নে ভাসি তার হাসিটা ফুলের মত, ঘ্রাণ ছড়িয়ে প্রাণ জুড়িয়ে  দূর করে দেয় মনের ক্ষত।। যারে পেতে বিভোর আমি  আমার স্বর্গ তারি বুকে, তার কথাতে কষ্ট ভুলে  আমি থাকি হাজার সুখে। তার চলাতে ঢেউ খেলে যায়  হৃদয় ভেজে অবিরত।। তার রুপেতে আগুন জলে  দেহে ফোটে ফাগুনের ফুল, সেই মেয়েটি কাজল কালো তার প্রেমেতে হৃদয় মশগুল।। সে যদি গো ভালবেসে তার হাত রাখে আমার হাতে,  ভয় করিনা চলতে আমি  বন্ধুর পথে আঁধার রাতে। মনে মনে স্বপ্ন বুনি  তাকে নিয়ে কত শত।।

চোখের পানিতে ভাসি

 চোখের পানিতে ভাসি  খাদিজা বেগম  তুমি কাদালে আমিও কাঁদি  তুমি হাসালে আমিও হাসি, তুমি মারিলে আমিও মরি তুমি বাঁচালে আমিও বাঁচি।। ঘুম পাড়ালে ঘুমিয়ে থাকি  জাগিয়ে দিলে আবার জাগি, তবুও কেন হই অপরাধী  কোন কারণে দোষের ভাগী। তুমি আমার মালিক ওগো  আমি তোমার সেবার দাসী।। তোমাকে ছাড়া আমি অচল নড়াচড়ার উপায়ও নাই, তবুও আমি কেমন করে  পাপ করে যাই বলনা গো সাঁই? তোমার দয়া ভরা ঐ হাতে তোমারি তো এই সৃষ্টি আমি, সেই আমি যেন না হই কখনো কারো বিচারে পাপি আসামি। তোমার কাছে এই চাওয়া নিয়ে  আমি চোখের পানিতে ভাসি।।।

হয়তো আমি

 হয়তো আমি  খাদিজা বেগম  হয়তো আমি সেই গাছের ফুল  ঝরার পরে যে ঘ্রাণ ছড়ায়, ফোটার পরে কেউ দেখে না  অনাদরে থাকে ধরায়।। হয়তো আমি সেই নদীর কূল  যে নদীতে থাকে না জল,  কানায় কানায় আশা ভরা  সদা করে শুধু উজ্জ্বল। হয় তো আমি সবুজ বৃক্ষ শান্তি খুঁজে মন যার ছায়ায়।। হয়তো আমি অন্ধকার রাত  তবু রেখে যাব সকাল, হয়তো আমি বৈশাখী ঝড়  তবু ধ্বংস করব মাকাল।। হয়তো আমি শ্রমিক লোকের  শক্ত হাতের এক হাতিয়ার,  অলস, অজ্ঞ, অসুস্থ লোক  সইতে পারে না আমার ভার। হয়তো আমি সস্তা মাটি  দামি লোকে যেথায় দাড়ায়।।

তুমি খুঁজবে

 তুমি খুঁজবে  খাদিজা বেগম  যেদিন আমি থাকবো না আর  প্রেম হবে এই মান অভিমান, অবহেলা হবে যত্ন আমি হব আসমানে চাঁন।। রাত্রি জেগে বসে থাকবে  দূর আকাশে চেয়ে কাঁদবে, আমার স্মৃতি যত্ন করে  তোমার হৃদয় মাঝে বাঁধবে। আমার প্রতি থাকবে না রাগ  আমায় করবে না অপমান।। সেদিন তুমি খুঁজবে আমায়  পেতে একটু প্রেমের ছোঁয়া, এমনটা যে না হয় কারো আল্লাহর কাছে করি দোয়া। তুমি আমায় আমি তোমায়  আসো যত্ন করে রাখি, জীবনটা তো চলেই যাবে  আর কটা দিন আছে বাকি। এসো দু'জন দুজনারে  করি আরও একটু সম্মান।।

যত দেখি

 যত দেখি  খাদিজা বেগম  যত দেখি চেয়ে থাকি আহা কি যে সুন্দর ওই মুখ, আগে আমি জানিনি তো  দেখার মাঝেও এতটা সুখ।। আনমনা মন তোমায় ভেবে  বারে বারে হয় উদাসী, সীমার বাহির করে আমায়  তোমার হাতের অসীম বাঁশি। চঞ্চল দেহ চলে না আর  কান্নায় কানায় প্রেমের অসুখ।। তুমি ছাড়া কে সারাবে  আমার এমন কঠিন ব্যাধি,  ক্ষণে ক্ষণে হাসি আমি  ক্ষণে ক্ষণে আবার কাঁদি।।  স্বপ্নে হারাই তোমার সাথে  স্বপ্নে সাজি তোমার বধু, স্বপ্নে এসে তোমাকে দেই প্রেম পেয়ালা ভরা মধু। স্বপ্ন ভেঙে একলা আমি  ধুকধুক করে আমার এই বুক।।

বৃষ্টি পড়ে

 বৃষ্টি পড়ে  খাদিজা বেগম  বৃষ্টি পড়ে বৃষ্টি পড়ে  সকাল সন্ধ্যা বৃষ্টি পড়ে,  সারাটা দিন তোমার কথা  বারে বারে মনে পড়ে।। রাত গভীরে ঘুম ভেঙ্গে যায়  বৃষ্টির শব্দ আসে কানে,  তার পরে ঘুম পালিয়ে যায়  জেগে থাকি তোমার টানে। আসলে তুমি এই বৃষ্টিতে  বাসবো ভালো মিষ্টি করে।। বৃষ্টির সুরে গাইছে এ মন  হিয়া নাচে বৃষ্টির ছন্দে, আনমনা মন হারিয়ে যায়  ভেজা দোলন চাঁপার গন্ধে।। বৃষ্টি ভেজা কদম ফুলে  হিমেল হাওয়া দোল দিয়ে যায়, সেই দোলেতে পাগল হয়ে  আমার এ মন তোমাকে চায়। এই বৃষ্টিতে এই মন চায় খুব  তোমায় দেখি দৃষ্টি ভরে।।

সেই প্রতিবাদ

সেই প্রতিবাদ  খাদিজা বেগম  ক্ষুধা লাগলে খাচ্ছ খাবার  পিপাসায় পান করছো পানি,  অন্যায় দেখলে তোমাদের ঐ চোখে কেন পড়ে ছানি ।। অন্যায় দেখলে নেই তোমাদের  একাত্তরের সেই প্রতিবাদ, চুপ করে দেখে যারা  তারাও নয় নিরপরাধ । কাজে কর্মে কথাবার্তায়  ছাপ রেখে যায় সকল জ্ঞানী।। এমন কথা বলো না কেউ  যাতে হবে অন্যের কষ্ট,  এমন কর্ম করো না কেউ  যাতে ধন ও মান হয় নষ্ট। ওই সাপ থেকে দূরে থাকো যেন গায়ে না লাগে বিষ, সাপের চেয়েও পাপ ভয়ংকর  কেন পাপে কাছে রহিস? অন্যায়কে না বল আজি  যদিও দেয় মন উস্কানি।। বিবেক রেখে মনের কথায়  চলতে যদি থাকো তোমরা,  অপরাধী হবে বটি তোমরা হবে মিষ্টি কুমড়া। বেড়ে যাবে এই সমাজে  বিশৃঙ্খলা হানাহানি।। তার চেয়ে এই ভালো সবার  নিয়ম নীতি মেনে চলি, সবাই মিলে চর্চা করি  মানবীয় গুনাবলী।। জীবন সাজাই আমরা সবাই   সৎ উপদেশ সদা মানি।।

ঝরা পাতা

 ঝরা পাতা  খাদিজা বেগম  তোমার জন্য আমারি প্রেম  কভু ছিল না তো মিছে, ঝরা পাতা ভেবে তুমি  তবু আমায় গেছো পিষে, শুকনো পাতার মতো করে  ভেঙে গেছে আমারি মন, তবু তোমায় ভালোবেসে  আজো কাঁদে আমার নয়ন। তোমার মত পারবো না তো ভুলে যেতে এক নিমিষে।। তুমি এখন আস না আর  আমার চোখের সীমানাতে,  তবু আমি মিশে থাকি  অনুভবে তোমার সাথে।। তোমার মত আমি তো নই  ভালোবেসে যাবো ভুলে, আসবে বলে বসে আছি আমার মনের দুয়ার খুলে। তোমায় ছাড়া প্রাণ বাঁচে না  মরে যাচ্ছি বিয়াগো বিষে।।

বেদনার ভার

 বেদনার ভার  খাদিজা বেগম  এত ব্যথা বেদনার ভার  সহিতে তো পারিনা আর, ব্যথাগুলো দূর করে দাও  এই প্রার্থনা করি বারবার।। তুমি আমার আমি তোমার  এর মাঝে নেই অন্য কেহ, লাশের মতো টেনছি তবু  আমি আমার জিন্দা দেহ। আমার প্রতি একটু দয়া  বলো হয় না কেন তোমার?? যন্ত্রণাতে কাঁদি আমি  তুমি চুপটি করে শোন, দুই নয়নের অশ্রু আমার তুমি মুছে দাও না কেন?? তোমায় এত ভালোবাসি  তাই বলে কি দেবে কষ্ট,  কষ্টে কষ্টে জীবন আমার  হয়ে গেছে খুব অতিষ্ঠ। স্বাদ নাই আমার বেঁচে থাকার  দাও খুলে দাও ওপারের দ্বার।।

গুণের চর্চা

 গুণের চর্চা  খাদিজা বেগম  রুপের চর্চার চেয়ে তুমি  বেশি করো গুণের চর্চা,  ওই রুপ তোমার মলিন হবে  সোনার শরীর হবে খরচা। মানব গুণে গুণান্বিত  হতে পারো যদি তুমি,  তোমার গুণের বৃষ্টি ঝরে  সবুজ হবে মরুভূমি। সরল সঠিক পথে চলো  পথ চলনা যেন তেরচা।। জীবন যুদ্ধ বড়ই কঠিন  তাই সময়ের নয় অপচয়,  নিজের প্রতি দাও গুরুত্ব  থাকতে তোমার নিজের সময়।। তোমার গুণে জ্বলবে আগুন  হবে না তা কভু মলিন, দেহ তোমার মাটি হলেও  গুণ হবে না কভু বিলীন। মনের রাজ্যে গড়ে তোল  নৈতিকতা ভরা মোর্চা।

ঘুষখোর আমলা

 ঘুষখোর আমলা  খাদিজা বেগম  আমজনতার বেতনে খাও  ওরে শালার কামলা, আবার তাদের উপর করো  ষড়যন্ত্রের হামলা।।  দুর্নীতিতে নীতি খাইছো  তোরা সবাই মিলে,  শিক্ষা অঙ্গন খাইছো তোরা  হাসের মতো গিলে। দেশের সুনাম করছো মলিন  ওরে ঘুষখোর আমলা।। প্রতিটা খাত খেয়ে খেয়ে  তোরা করছো সবার, তোদের জন্য শিক্ষা অঙ্গন  ভিন্ন চাইছো আবার। এত বেশি দিস না তোরা  দেশ মাতাকে কষ্ট, বুদ্ধি থাকলে গড়িয়া লও  সুনাম ভরা রাষ্ট্র।। সাবধান করে দিচ্ছি ছেড়ে  লোভ লালস সামলা।। ভাল আমলা আছে বলেই এই দেশের সবকিছু এখনো টিকে আছে । ্র্ দুর্নীতির ভিতরে ডুবে থাকলেও এখনো আছে, সবকিছু এখনো শেষ হয়ে যায়নি, তাই সচেতনতা দরকার, প্রতিটা মানুষের, প্রতিটা নারী, পুরুষের,  প্রতিটা কর্মকর্তা, কর্মচারীর। এই দেশ আমাদের তাই আমাদেরকে আগে ভালো হতে হবে, তারপরে দেশটা অটোমেটিক ভালো হয়ে যাবে,  আমি কাউকে ছোট করার জন্য লিখেছি। এই লেখাটা আমি লিখেছি যেন, আমরা সবাই সচেতন হতে পারি, আরো সাবধানে নীতি-নৈতিকতা হৃদয়ে পুষে রাখতে পারি, আরো বেশি করে নিজেকে শাসন করার মাধ্যমে নিজের হৃদয় থেক...

মন মাতানো পরশ

 মন মাতানো পরশ  খাদিজা বেগম  তুমি এলে তুমি গেলে  আমার) বিরহ তো গেলো না,  একি প্রেম না কি ছলনা  তুমি) বলনা গো বলো না।। কাছে আসে ভালবেসে  ভাসাও স্বপ্ন জোয়ারে,  দূরে গেলে খুঁজি শুধু  দিবানিশি তোমারে। ভয়ে ভয়ে থাকি আমি  আমায় যেন ভুল না।। তুমি এলে বৃষ্টির মতো  ঝরঝর করে সুখ ঝরে, তুমি গেলে পুড়ে যায় মন  দুই নয়নের জল পড়ে।। কাছে থাকো পাশে রাখো  সয়না বিয়োগ ব্যথা আর, শুনতে কি গো পাওনা তুমি  এই হৃদয়ের হাহাকার! মন মাতানো পরশ তোমার  হয়না তো তার তুল না।।

আহ্ আহারে

 আহ্ আহারে  খাদিজা বেগম  ভালোবাসো নাইরে বন্ধু  ভালোবাসো নাই আমারে, ভালবাসি বলেই আমি  ভুলতে পারি না তোমারে।। খুব সহজে ভুলে গেছো  নাও না আমার কোন খবর,  হয় তো মরে গেলেও আমি  দেখবে না আর আমার কবর। মিষ্টি কথার মায়ায় পরে  ভুল করেছি বারে বারে।। এত বেশি ভালবাসি  মন ভোলে না তাইতো তারে, আমার ভুলেই আমি কাঁদি  এই দোষ দেবো আমি কারে? ভালোবাসা ভেবে আমি  হাত বাড়ালাম দাবানলে,  জীবন জ্বলে পুড়ে ছারখার  তোমার মিথ্যা প্রেম অনলে।  শ্বাস-নিঃশ্বাসে বড় কষ্ট  প্রাণ চলে যায় আহ্ আহারে।।

বাস্তবতার চাপে

 বাস্তবতার চাপে  খাদিজা বেগম  জীবন সঙ্গী করে যে জন  দুশ্চরিত্রের সাথে চলে, জাহান্নামের আগুনে সে  মরার আগেই যাচ্ছে জ্বলে।। দুশ্চরিত্র নয় তো শুধু  অবৈধ প্রেম পরকীয়া,  আরো আছে অহংকারী  কথা বলে ধমক দিয়া।  লুকোচুরি করে বেড়ায়  কথায় কথায় মিথ্যা বলে।। এক বিছানায় যার শুতে হয়  বিশ্বাসঘাতক সঙ্গীর সাথে, তার যন্ত্রণা শেষ হবে না মন পুড়ে তার দিবারাতে। এমন সঙ্গী হয় না যেন  এই পৃথিবীর কোন লোকের, যে সঙ্গীটা সখু না হয়ে ব্যথা হয়ে রবে বুকের। বাস্তবতার চাপেও তবু  দুঃখির হাসি মুখ ঝলমলে।।

মন নিড়ানো ভালবাসা

 মন নিড়ানো ভালবাসা  খাদিজা বেগম  কারো হতে দয়া পেতে  কোনদিনও আমি চাইনি,  চেয়েছিলাম ভরসার হাত সেই হাত আমি আজও পাইনি। বিশ্বাস করে ধরি যার হাত  বিশ্বাসঘাতক হয়ে যায় সে,  মানব রূপে কত পশু  জানিনা এই দুনিয়াতে।  আপন যাদের ভেবে ছিলাম  আমি তাদের আপন হইনি।। অন্যজনার দয়া নিতে  ভাল লাগে না পৃথিবীতে, মন নিড়ানো ভালোবাসা  এই মন চাচ্ছে শুধু দিতে।  দেওয়ার আশায় দিন চলে যায়  কেউ নিল না ভালোবাসা,  প্রেমের নামে ওরা করে  ধন সম্পদের নোংরা আশা। আইন বোঝে না ফাইন বোঝে না  কথা বলে সব বেআইনি।।

একলা পথের পথিক

 একলা পথের পথিক  খাদিজা বেগম  একলা পথের পথিক আমি  আমার আগে পিছে কেউ নাই,  দিনে একলা রাতে একলা  আমার ডানে বামে কেউ নাই। উপর অলা ওই ওপরে  আমি তারি ছায়াতলে, সে ছাড়া আর কেউ জানে না  বুকে কত আগুন জ্বলে। সবার কাছে পর হয়েছি আজ আমার নাই বলে কামাই।। সোনা দেখে দু হাত বাড়াই  পরে দেখি ছাই সবি ছাই, কপাল দোষে দোষী আমি  সব কিছুতে তাই হেরে যাই। রাত গভীরে সবাই ঘুমায় আমি চলছি নিরুদ্দেশে, জানিনা তো কোথায় যাব  দুই নয়নের জলে ভেসে। যারে আমি বাসি ভালো  তার বাবা চায় ধনী জামাই।।

অভিনয়টা

 অভিনয়টা  খাদিজা বেগম  আমি) তোর অভিনয় দেখে দেখে  অভিনয়টা শিখে গেছি,  এখন আর নাই কোন দুঃখ  এই তো) আমিও বেশ ভালো আছি। তোর অভিনয় খুব চমৎকার  আমি মুগ্ধ ছিলাম তাতে, মধুর মত মিথ্যা বলে  অশ্রু ঝরাও আঁখি পাতে। মন ভুলাতে আমিও এখন  তোরি মত করে হাসি।। চোখ জুড়াতে সেজে থাকি পরিচ্ছন্ন পরিপাটি,  এখন আমার কারো সাথেই  হয় না কথার কাটাকাটি। নিজের থাসে ব্যস্ত থাকি নিজের স্বপ্ন পূরণ করতে, কারো কথা ভেবে ভেবে  চোখ দেবনা কভু ঝরতে। এখন আমি আমাকেই অনেক বেশী ভালবাসি।।

হৃদয় গলে

 হৃদয় গলে  খাদিজা বেগম  তোমার কথায় হৃদয় গলে  যদি অশ্রু হয়ে ঝরে, আমি কোথায় রাখবো তোমায়  বাসবো ভালো কেমন করে।। যেই হৃদয়ে তোমায় রাখি  সেথায় ক্ষত কর না আর, তোমার কথায় কষ্ট হয় খুব  ফেটে যেতে চায় এই অন্তর।  কে তোমাকে করবে আদর  আমি যদি যাইগো মরে।। যেই বুকেতে তোমায় রাখি  যত্ন করে সারাটা রাত, কেমন করে পারো তুমি সেই বুকেতেই দিতে আঘাত।। বড় বেশী ভালোবাসি  তাই পারিনা দুঃখ সইতে,  তুলতে পারি না অভিযোগ  পারি না তো কীছু কইতে। ঘুচিয়ে দাও হৃদয়ের ঘা  জড়িয়ে লও প্রেম চাদরে।।

এই শহরটা

 এই শহরটা  খাদিজা বেগম  আলো ভরা এই শহরটা  ভালোবাসার শহর নয়, এই শহরে বাসলে ভালো  দুই নয়নে বৃষ্টি হয়।। এই শহরে টাকা ওরে  সবাই ধরতে পারে না,  টাকার নেশা বড় নেই  এই নেশা তো ছাড়ে না। এই শহরে হয় প্রতিদিন  মানবতার পরাজয়।। এই শহরে অনেক বেশি  ভালোর চেয়ে মন্দ লোক, সাধু সেজে ঘুরে বেড়ায়  বন্ধু রুপে প্রতারক।। চোখ ধাঁধানো এই শহরে  পদে পদে অন্ধকার, সরল সোজা লোকের জন্য দীর্ঘশ্বাস আর হাহাকার। এই শহরে থাকা যায় না  খুব নিশ্চিন্তে নির্ভয়।।

হে বিচারপতি

 হে বিচারপতি খাদিজা বেগম  ৬+৬+৬+৪ হে বিচারপতি, বিচারের নামে  কেন এত কর অবিচার?  তোমার বিবেক অন্ধ রেখেছো  তাই তো বেড়ে গেছে অত্যাচার। হাজার হাজার আসছে মামলা  থানায় থানায় অপরাধী, যুগ যুগ ধরে চলছে মামলা  তবু সুবিচার পেতে কাঁদি। পঁচা বিচারক তোমার দুই চোখ  অন্ধ হলেই তো হতো ভালো, সত্য মিথ্যা দেখে ও দেখ না তাই এই সমাজটা হলো কালো‌। কেমন করে যে মূর্খের মত  দিয়েছো নিজেকে নিজে বেচে, আর এক বোকা কিনে নিয়ে গেছে  পাপের রাজ্যে হেসে হেসে। কুচক্রীদের চক্রান্তের  চক্রান্তকারী তুমি ও তো, তোমার কারনে গড়েছে পাপিরা পাপিষ্ট দল শত শত। যারে দিয়ে ভূত তাড়াব আমরা  সেই তার ভিতরে আছে ভূত, ও হে বিচারক আর কতকাল  থাকবে নোংরা অদ্ভুত।  শুধু একবার তুমি হয়ে দেখ  মানুষের মতো পবিত্র, শত সহস্র অনিয়ম ধুয়ে ফুটে উঠবে এই ধরিত্র।   নারী শিশু ওরা সকলেই মানুষ  দাও বেঁচে থাকার অধিকার, বাঁচার মতন বাঁচতে দাও তুমি  এবার তো করো সুবিচার।

স্বপ্ন ভাঙতে দেব না

 স্বপ্ন ভাঙতে দেব না  খাদিজা বেগম  কতকাল ধরে বসে আছি আমি   সুখের খবর শুনবো বলে, ফুটে না আমার সেই আশার ফুল  উঠে না আশার রবিটা জ্বলে। সুখের খবর আসবে আসেবেই বুকের ভিতরে এই বিশ্বাস, আমার স্বপ্ন ভাঙতে দেব না  থাকতে আমার এ নিশ্বাস।। বারে বারে আমি পরাজিত হয়ে  নতুন কিছু তো শিখেছি হেরে, জয়ের নেশায় তাই তো জেগে উঠে  প্রতিদিন ছুটে চলেছি তেড়ে। প্রাণ হারালে ও বেঁচে যাব আমি  মরে যাবো আমি মান হারালে, মান ছাড়া কেহ হয় না মানুষ  কি লাভ মানুষ রূপে দাঁড়ালে। ধীরে ধীরে ডুবে যাতে চাই না আমি  কালো হতাশার গভীর তলে, বারবার পড়ে গেলে ও দাঁড়াবো দাঁড়াবই তো আমি আলোর বলে। পশুর মতন চাইনা কাটুক  আহার, নিদ্রা, যৌন কর্মে, মানুষের মতো চলবো ভুবনে  যেমনটি বলা আছে ধর্মে। মানুষের মত ধৈর্য ধরবো  গড়ব নিজেকে ধৈর্যশীল, হিংসা, নিন্দা সব ধুয়ে মুছে সুখ ছড়াব যে অনাবিল। একদিন আসবে সুখের খবর  হয়তো সেদিন আমি আর নাই, তোমরা সকলে শান্তিতে থেকো  এটাই আমি শুধু মোনাজাতে চাই। একার শান্তি শান্তি তো নয়  সেই শান্তিতে নাই মনের সুখ,  সেই মানু...

শ্রমিক

 শ্রমিক  খাদিজা বেগম  রোদে পোড়া শ্রমিক আমি  আমার গায়ের রঙটি কয়লা, ঘামে ভেজা শ্রমিক আমি  আমার শরীর ভরা ময়লা।  ক্ষুধার জ্বালায় জ্বলে মরি  জীর্ণ শীর্ণ দেহ নিয়ে, তবুও ভাই কাজ করে যাই কাস্তে, কোদাল, লাঙ্গল দিয়ে। ফসল ফলাই ভালবেসে  দিনের শেষে কাঁদি একলা।। মনের সুখে খাচ্ছ খাবার  দিন কাটাচ্ছ হেসে খেলে, তবুও নাই কৃতজ্ঞ বোধ শ্রমিক দেখো অবহেলে। কাঁদা মাখা নগ্ন পায়ে  কাজ করে যাই শক্ত হাতে, তোমরা তবু মূল্য দাও না কঠিন কাজের অনুপাতে। দিচ্ছ জবাই শ্রমিকদের কে  যেন শ্রমিক পোষা বয়লা।।