Posts

Showing posts from February, 2024

ইটের ভাটার ধোঁয়া

 ইটের ভাটার ধোঁয়া খাদিজা বেগম ইটের ভাটার ধোঁয়ায় ধোঁয়ায়  নীল আকাশটা হলো কালো, ইটের ভাটার বিপক্ষে আজ প্রতিবাদী আগুন জ্বালো।। দূষণ মুক্ত রাখবো আমরা  লাল সবুজের এই বাংলাদেশ, অর্থ লোভীর মন্দ কাজে এই দেশ হতে দেব না শেষ। ভালো মনের মানুষগুলো  কাজের মাঝে ছাড়ায় আলো।। নীতিমালা মেনে চলবো রাখবো দূষণ মুক্ত বায়ু, তাতে এই দেশ ভালো থাকবে   বৃদ্ধি পাবে সবার আয়ু। এমন কর্ম কেউ করো না  যাতে ধ্বংস হয় পরিবেশ, ছোট সুখের জন্য কেহ ডেকো আনো না বড় ক্লেশ।। পরিষ্কার মন যাদের ভিতর তাদের সকল কর্ম ভালো।।

বেঁচে আছি বলেই

 বেঁচে আছি বলেই খাদিজা বেগম  আমি বেঁচে আছি বলেই  আমার দোষের নাই অনন্ত, মরার পরে রাখবে না আর  আমার গুনের কোন অন্ত।। একটা জনের এতটা দোষ  ধরো যদি দিনে রাতে,  কেমন করে বাঁচে সে জন  নির্দয় নিষ্ঠুর লোকের সাথে?? তোমার মুখের বিষ ছোবলে  আমার নিঃশ্বাস এখন ক্লান্ত।। তোমায় আমায় ভাগ করেছে  তোমার নোংরা কথার দেয়াল, একটু ভালো বাসতে যদি  রাখতে আমার একটু খেয়াল। আদর যন্তে রাখতে আমায়  ভাবতে তোমার খুব প্রিয়জন, হয়তো আমি বেঁচে থাকতাম  তোমার সাথেই আর কিছু ক্ষণ। অপমান আর অবহেলাই দিয়েছিলে শেষ পর্যন্ত।।

মানব সেবো

মানব সেবা  খাদিজা বেগম  তোমার চেয়ে ছোট মানুষ  মরে গেছে কত আগে, এতো বছর বেঁচে থেকেও  তোমার বাঁচার ইচ্ছা জাগে?? মানুষ হয়ে জন্ম নিয়ে  যদি বাঁচো পশুর মত, তোমার নোংরা কাজেকর্মে  মানব হৃদয় কারো ক্ষত। একটা মানুষ মানুষ হতে  বলো কত সময় লাগে?? পাপের পরে পাপ করে যাও  তবু করো না অনুতাপ ! যদি সত্য জ্ঞান না থাকে তোমার বেঁচে থেকে কি লাভ? যে মানুষের সেবার জন্য  সৃষ্টি হলো এই দুনিয়া, মহাপাপি হয়ো না কেউ  সেই মানুষকে কষ্ট দিয়া। মানব সেবো, মানব সেবো মানব সেবা সবার আগে।।

স্বার্থের কাছে

 স্বার্থের কাছে খাদিজা বেগম  স্বার্থের কাছে ভালবাসা  অরক্ষিত অসহায়,  রক্তের বাঁধন সেখানেও  মন ভুলানো অভিনয়।। টাকার কাছে হার মেনে যায় বারে বারে সরল মুখ, বিশ্বাস ঘাতক সু্যোগ পেলেই জোঁকের মত দেয় চুমুক। লোকের ভালো সয় না চোখে কাজের নামে হয় নয় ছয়।। অভিনয়ে পাকা যারা সফল হয়ে যায় তারা, সরল পথের পথিক যারা ষড়যন্ত্রে দিক হারা।। মানুষ রুপি শয়তান গুলো কানায় কানায় সমাজে, তাই তো বুঝি নৈতিকতা  এখন আর পাই না কাজে। আজ বারেবার হেরে গেলেও হবেই একদিন সত্যের জয়।।

পাগল

 পাগল খাদিজা বেগম  পাগল বললে বলতে পারো  আমার করার কিছু নাই, রাত পোহালে ছুটে আসি  তোমার দেখবো বলে তাই। মাতাল বললে বলতে পারো  প্রেমের নেশায় ধরেছে, তোমার চুলের ঘ্রানে ঘ্রাণে  আমায় মাতাল করেছে। তোমার প্রেমে জ্বলে পুড়ে   আমার এই মন হলো ছাই। মরার আগে মরে গেলাম  তবু আমার কবর নাই, তোমার খবর রাখতে রাখতে এখন আমার খবর নাই। একটি নজর দেখার জন্য প্রতিদিন রই দাঁড়িয়ে,  মারলে আমায় মেরে ফেলো  দিওনাগো তাড়িয়ে, যতন করে এই অন্তরে আমি তোমায় দিলাম ঠাই।।

গরীব মানুষ সস্তা

 গরিব মানুষ সস্তা খাদিজা বেগম  এই দুনিয়ায় সবি দামি  শুধু গরিব মানুষ সস্তা,  আর কত কাল চলবে এমন  গরীব লোকের দুরবস্থা ? যারা খাটে দিনে রাতে  তাদের পেটটা থাকে খালি, সুদখোরেরা ঘুষখোরেরা  পায় সমাজের হাতে তালি। গরিব লোকের ঘাম ঝড়িয়ে ওরা ভরে টাকার বস্তা ।। চাল জুটিলে ডাল জোটে না  তেল জুটিলে জোটে না নুন, দিনে খেলে রাতে উপোস  অনাহারে জ্বলে আগুন। রাজনীতিতে নাম লেখালে  আঙ্গুল ফুলে হয় কলা গাছ, শ্রমিক, কৃষক, জ্বেলে, তাতীর টেনেটুনে যায় বারো মাস। জনগণের নেই তো এখন কোন নেতার প্রতি আস্থা।। ঘাম জড়িয়ে কাম করে যে  দুনিয়াতে নাই তার মূল্য, দুর্নীতিবাজ মজুমদারী  ভগবানের সমতুল্য। গোরিব লোক না থাকলে ভবে হতো ধনীর কি অবস্থা??

কিছু তো বলো

 কিছু তো বলো খাদিজা বেগম  কিছু তো বলো কিছু তো বলো কেন এমন নীরব হলে, খুব নীরবে কি কি লিখে যাও তোমার দুটি চোখের জলে?? তুমি কেঁদো না, না কেঁদো না গো এমনি করে তুমি কেঁদো না, সইতে পারি না, না পারি না গো তোমার এত শতো বেদনা। আমার চোখে অশ্রু ঝরে তোমার চুপ থাকার ফলে।। তোমার মুখে যা বলিবে তাই  হৃদয় দিয়ে আমি শুনবো, তোমার কথা শোনার জন্য দিনের পরে দিন গুনবো।। ওগো তোমার কথার সাথে আমার প্রাণ পাখিটা বাঁচে, নাই কিছু আর কোন চাওয়া এমনি থেক আমার কাছে। দূরে যেওনা ছেড়ে যেওনা মরে যাবো গো বিরহে জ্বলে।।

এই নবান্নে

 এই নবান্নে খাদিজা বেগম  এই নবান্নে কৃষক খুশী নতুন ধানের ঘ্রাণে ঘ্রাণে, সেই খুশী টা যায় ছড়িয়ে বাতাস হয়ে প্রাণে প্রাণে।। হাতে হাতে ধান কাটারি  মুখে মুখে গান ধরেছে, ধুম পরেছে ধুম পরেছে ধান কাটাতে ধুম পরেছে। নতুন চালের পিঠার ঘ্রাণে কৃষকের মন ঘরে টানে।। সেই ধান বেঁচে কৃষক আনে বৌ এর জন্য রঙিন শাড়ি, খুশিতে বৌ শাড়ি পরে ঘুরে বেড়ায় সারা বাড়ি। বৌ এর খুশি দেখে কৃষক খুশিতে হয় আত্মহারা, দুজন মিলে খুশীর দেশে যায় হারিয়ে যেন তারা। কেউ ধান উড়ায় হাওয়ায় হাওয়ায় কেউ ঢেঁকিতে সেই ধান ভানে।।

সততা

 সততা  খাদিজা বেগম  সততা এমনি একটি দৌলত চোরেও পারেনা চুরি করে নিতে, সততা এমনি এক সম্পদ ডাকাতেও পারে না ছিনিয়ে নিতে। সততা এমনি একটি দৌলত  সারা দুনিয়াতে খুঁজেও পাবে না, সততা এমন এক সম্পদ  যা কেনার টাকা তোমার হবে না। সততা এমনি একটি দৌলত  যা মানুষ পুষে তার অন্তরে, সেই সততা শেষ হয়ে যায়  মানুষ যখন লালসাতে পড়ে। মনেপ্রাণে তুমি লড়াই করো মন সকল নোংরামি যৌনতার সাথে, সাবধান হও, ও মানুষ তুমি খুব সাবধানে থাকো এ ধরাতে। সত্যের আলো না রাখিলে মনে  তুমি বুঝবে না ভালো ও মন্দ, তুমি পাপে পাপে হবে পাপিষ্ট  ফুরাবেনা কভু তোমার দ্বন্দ্ব । জীবনের চেয়ে বড় সম্পদ যদি কিছু থাকে তা হলো সততা, তোমার জীবন দিয়ে হলেও ভাই রক্ষা করা চাই নীতি নৈতিকতা।।

আঙ্গুল লাগাও গালে

 আঙ্গুল লাগাও গালে খাদিজা বেগম চুল সরানোর অজুহাতে যখন আঙ্গুল লাগাও গালে, জ্বলে পুড়ে ছাই হয়ে যাই আমি তোমার প্রেমের ঝালে। একের পরে এক এক করে  নানান রকম অজুহাতে, তুমি যখন সময় কাটাও ঘুরে ঘুরে আমার সাথে। তখন এ মন দোয়া করে তোমার পেতে এই কপালে।। ওই চোখেতে বড় মায়া দেখলে একবার চোখ সরেনা, ঐ হাতের ঐ যাদুর ছোঁয়া একবার পেলে মন ভরে না। তোমায় নিয়ে স্বপ্নে বিভোর  আমার সরল দুটি নয়ন, মন বলে যায় মনে মনে  তোমায় আমার খুব প্রয়োজন। ধীরে ধীরে ফেঁসে গেছি, আমি তোমার প্রেমের জালে।।

নারী হওয়ার দায়

 নারী হওয়ার দায় খাদিজা বেগম  আমি নইত তোমার মত শিকল বাঁধা আমার পায়, খাঁচার পাখির মত জীবন  শুধু নারী হওয়ার দায়।। তুমি চাইলেই উড়তে পার মেলতে পার দুই ডানা, যেথায় খুশী ছুটতে পার তোমার যেতে নাই মানা। বলতে পার সকল কথা  স্বাধীনভাবে সব জায়গায়।। আমারও তো কথা আছে  তোমার শোনার সময় নাই। তোমার ইচ্ছার কাছে আমার   ইচ্ছা গুলো পুড়ে ছাই।। তোমরা সবাই স্বার্থপর খুব  নিঃস্বার্থ প্রেম বোঝো না! ত্যাগের মাঝে অসীম শান্তি তোমরা কেন খোঁজো না? নিজের কথাই বল শুধু  কেউ শুনো না মন কি চায়??

স্বার্থের কাছে

 স্বার্থের কাছে খাদিজা বেগম  স্বার্থের কাছে ভালবাসা  অনিরাপদ অসহায়,  রক্তের বাঁধন সেখানেও আজ মন ভুলানো অভিনয়।। ভোগের কাছে হার মেনে যায় বারে বারে ত্যগী জন, বিশ্বাস ঘাতক সু্যোগ পেলেই ছুরি চালায় আজীবন। লোকের ভালো সয় না চোখে সেবার নামে তাই নয় ছয়।। অভিনয়ে পাকা যারা সফল তারা চিরকাল, সরল পথের পথিক যারা ষড়যন্ত্রে বেসামাল।। মানুষ রুপি শয়তান গুলো কানায় কানায় সমাজে, তাই বুঝি ভাই কাজের নামে  ওরা থাকে অকাজে। আজ বারেবার হেরে গেলেও হবেই একদিন সত্যের জয়।।

ইটের ভাটা

 ইটের ভাটা খাদিজা বেগম  ইটের ভাটার যাচ্ছে পুড়ে সবুজ সবুজ ফসলের মাঠ,  ইটের ভাটার খাচ্ছে গিলে সোনালী ধান সোনালী পাট।। ইটের ভাটায় অসুস্থ হয়  সুস্থ সবল মানব দেহ, ইটের ভাটার মালিক যারা  তারা মানুষ নয় তো কেহ। মানুষ হইলে খুলে দিত মনুষ্যত্বের মহা কপাট।। মানুষ রূপে দানা ওরা  সবুজ বৃক্ষ করে লোপাট, বায়ু দূষণ করে করে  ওরা হচ্ছে দূষণ সম্রাট।। ৫০ বছর আগে থেকে চিনে ইটের ভাটা বন্ধ, আর কতকাল জ্বলবে ভাটা  সোনার এ দেশ করবে মন্দ। বন্ধ করো বন্ধ করো ইটের ভাটার হিংস্র চোটপাট।।

হিসাব সোজা

 হিসাব সোজা খাদিজা বেগম  বুঝো বা না বুঝো তুমি  হিসাব সোজা বরাবর, দুঃখ দিলে দুঃখ পাবে  দুঃখ আসবে ফের আবার। যে বৃক্ষটা লাগাবে আজ কাল পাবে সেই বৃক্ষের ফল, কাউকে যদি কাঁদাও তুমি  তোমার চোখেও ঝরবে জল। তার অভিশাপ পাও বা না পাও তুমি কাঁদবে হাজার বার।। কষ্ট দেবার আগে কাউকে  ভেবে নিও নিগূঢ়ে, ওই কষ্ট টাই আসবে আবার  তোমার কাছে ফের ঘুরে।। কাউকে কিছু দিতে হলে  দিও তোমার সুখের ভাগ, বহুগুনে ফেরত এসে  মুছে দেবে দুঃখের দাগ। অন্যজনার ঘর ভাঙ্গিলে  তুমি হবে যাযাবর।।

দুঃখ নিয়ে বাঁচতে শেখো

 দুঃখ নিয়ে বাঁচতে শেখ খাদিজা বেগম এক এক জনার কাছে জীবন  এক এক রকম লাগে রে, এক এক সময় এক এক ইচ্ছা  সবার মাঝে জাগে রে।। তাই তো দেখি আজকে যারে  ভালোবাসে প্রাণ দিয়ে, কালকে তারেই মেরে ফেলে  নিজের হাতে প্রাণ নিয়ে। তাই বলি ভাই ধৈর্য ধরো ঝগড়া করার আগে রে।। অধিকারের দাবি তুলে  ভাঙো কেন নিজের ঘর, কিসের নেশায় মাতাল হয়ে  আপন মানুষ কারো পর।। তোমার দুঃখের কারণ যদি  ভেবে থাকো ঘরের লোক, মন দিয়ে ভাই চেয়ে দেখো  সেই লোকেরও ভেজা চোখ। তোমার জীবনে ছারখার হলো  তোমার রাগে রাগে রে।। সব ছেড়ে দাও যদিও হও  বাউল সাধক যাযাবর, তোমার সাথে দুঃখ ছিল  দুঃখ রবে জীবনভর, দুঃখ নিয়ে বাঁচতে শেখো এমনি বাঁচা লাগে রে।।

সকলের জন্য

 সকলের জন্য  খাদিজা বেগম  রাত সকলের জন্যই আসে ঘুম সকলের আসে না, প্রেম সকলের প্রাণে জাগে  সবাই ভালো বাসে না।। রাত পোহাবে সূর্য উঠবে  ভর সকলের হবে না, ফুল ফুটিবে বনে বনে  ঘ্রাণ সকলে পাবে না। কষ্ট নিয়ে সবাই বাঁচে  চোখ সকলে ভাসে না।। সবার জন্যই খোলা সুপথ সবাই তাতে চলে না, সবার জন্য সত্য কথা সবাই সত্য বলে না। সবার জন্য লেখা পড়া  সবাই জ্ঞানী হবে না, একের সম্পদ অন্যে নিবে  কর্মফল কেউ নেবে না। কাজের আগে ফলের কথা  কেন চিন্তায় আসে না??

বই মেলা

 🇧🇩বই মেলা 🇧🇩 খাদিজা বেগম এই মেলা - শুধুই একটা বই মেলা নয় এ যে লেখক পাঠক মেলা, নতুন নুতান বইয়ের ঘ্রাণে মন করে দেয় পাঠক পাগলা ।। অমর ভাষা শহীদ - রফিক, জব্বার, বরকত,সালাম,শফিক, তাদের প্রাণে কেনা ভাষা ঘ্রাণ ছড়াচ্ছে আজ দিগ্বিদিক। মাতৃভাষা অমূল্য ধন এই ভাষা নয় পুতুল খেলা।। নাম নাজানা কতো জীবন ভাষার জন্য হলো বলি, আমার ভাইয়ের রক্ত দিয়ে ভাষার শত্রু খেললো হলি। আমার ভাইয়ের সেই প্রতিদান প্রতি দিন দেয় প্রাণে দোলা।। ফেব্রুয়ারি ২১ তারিখ ভাষা দিবস করি পালন, মায়ের মুখের মিষ্টি ভাষা শ্রদ্ধার সাথে করি লালন। গর্ভধারী, জন্মভূমি যার নাই বুঝে সে তার জ্বালা।। ২১শের হাত ধরে ধীরে (ধীরে) ৭১ এসেছে বাংলায়, ৯ মাস ধরে যুদ্ধ করে (করে) ডিসেম্বরে এলো বিজয়। এই বই মেলা প্রাণের মেলা বাঙালির প্রাণ হয় উজালা।‌। ভালো বইটা পড়ে পড়ে আলোকিত হবে তুমি, তোমার সেবার অপেক্ষাতে তোমার এই দেশে জন্মভূমি। মন্দ লেখা পড়ে যে জন তাহার জীবন হবে কালা।। সব লেখকের সেরা লেখক তোমার আমার সৃষ্টিকর্তা, তাহারা বইটা কিনবে আগে অর্থ জেনেই পড়তে হয় তা। নইলে তোমার শুরু হবে ধীরে ধীরে ধ্বংসের পালা।। এখানে গান, কবিতার বই গল্প, ছাড়ার বই, উপ...

শহীদ দিবস

 শহীদ দিবস  খাদিজা বেগম একুশ মানেই শহীদ দিবস ফেব্রুয়ারি এলেই আসে, আমার ভাইয়ের রক্ত ভেজা লাল লাশ চোখে চোখে ভাসে। মায়ের মুখের ভাষার জন্য রক্ত দিলো বাংলার ছেলে, কত জনে জীবন দিল  কত জনে গেলো জেলে। ভাষা শহীদ ঠাই নিয়েছে  এখন বিশ্ব ইতিহাসে।। প্রাণের চেয়ে অনেক দামি  আমার মায়ের মুখের ভাষা, এই ভাষাতে স্বপ্ন দেখি বুনি রঙিন রঙিন আশা। মায়ের ভাষায় হাসি, কাঁদি   মুছে ফেলি নয়নের জল, মায়ের ভাষায় প্রকাশ করি এই হৃদয়ের কথা সকল। মায়ের মত মায়ের ভাষার যত্নে রাখবো সারা মাসে।।

একুশ

 একুশ  খাদিজা বেগম  আজ একুশের এই গৌরবে বাঙালিরা গর্বিত সব, বিশ্ব জুড়ে সবার মাঝে মাতৃভাষা চর্চার উৎসব।। মায়ের ভাষা সেরা ভাষা এই ভাষাতে ছুটে চলি, মায়ের ভাষা মধুর ভাষা এই ভাসাতে কথা বলি। এই ভাষাতে পুষ্প ফোটে  বিশ্বজুড়ে ছাড়ায় সৌরভ।। আজ একুশে শহীদ দিবস শ্রদ্ধার সাথে করি স্মরণ, সারা জীবন করব আমরা এই শহীদের অনুসরণ।‌ মাতৃভাষা, মাতৃভূমি ভালবাসবো জীবন দিয়ে, শত্রুর থেকে রক্ষা করবো উজ্জ্বল করবো যত্ন নিয়ে।। মাতৃভাষায় আলো ছড়ায় কন্ঠে কন্ঠে হয় কলরব।।

তোমায় ডাকি

 তোমায় ডাকি খাদিজা বেগম  আমি যখন রাত্রি জেগে বেকূল হয়ে তোমায় ডাকি, তুমি তখন ঘুমের দেশে  ঘুমে বিভোর তোমার আঁখি।। আসবে বলে বসে আছি  ঘুম আসে না এই নয়নে, কথা দিয়ে যায় কি ভুলে   কভু করো আপন জনে ? কেমন করে ঘুমাও বল তুমি আমায় দিয়ে ফাঁকি?? আমি যখন থাকবো না গো সেদিন তুমি আমায় ডাকবে, রাত্রি জেগে থাকবে বসে  আমার স্মৃতি মনে রাখবে।। ভালোবাসো নাইরে বন্ধু  তুমি আমার মত করে, বাসার মত বাসলে ভালো  ব্যাথা দিতে না অন্তরে।। মন তোমাকে আজও ডাকে আয় ফিরে আয় প্রাণের পাখি।। 🐦🐦

গান

 গান খাদিজা বেগম  টানেরে মন আমার টানে জারি, সারি, বাউল গানে, গান ছাড়া তাই ভাল্লাগে না মন ভেসে যায় গানের বানে।। গানের রাজা হাসন রাজা  লালন শাহ আর পাগলা কানাই, ভাওয়াইয়া আর ভাটিয়ালি এই গান শুনে ভাই শান্তি পাই। গান গেয়ে ধান কাটে চাষি  মাঝি মাল্লা বৈঠা টানে।। রবীন্দ্র আর নজরুলের  গানে গানে কাঁদি, হাসি, গানে গানে জেগে উঠি ভালবেসে হই উদাসী। গানের তালে অঙ্গ দোলে  গানে বলে মনের কথা, মনের শান্তি বড় শান্তি  কষ্ট পোষা না অযথা। গানে গানে খুঁজে নিও বুঝে নিও সৃষ্টির মানে।।

অঙ্গে অঙ্গে

 অঙ্গে অঙ্গে  খাদিজা বেগম অঙ্গে অঙ্গে ব্যথা ভরা  মাথা থেকে পা পর্যন্ত, একটা দেহে এত ব্যথা  আমার ব্যাথার নাই অনন্ত।। পায়ে ব্যথা হাতে ব্যথা  ব্যথা আমার বুকের ভেতর, ব্যাথার চোটে ঘুম আসে না  ব্যথায় ব্যথায় আমি কাতর। ব্যথার বিষে খেলো চুষে  এই জীবনে সব বসন্ত।। ব্যথা থেকে মুক্তি চেয়ে  অশ্রু দিয়ে লিখি আর্জি, হে রহমান, দয়া করো  কবুল করো আমার মর্জি।।   এত কষ্ট নিয়ে আমার  কি বা দরকার বেঁচে থাকার? ব্যথা থেকে দাও আমায় ত্রাণ  ব্যথায় ব্যথায় জীবন ছারখার। তোমার শান্তি ঢেলে দিয়ে  তুমি রাখো আমায় শান্ত।।

আজ মনে হয়

 আজ মানে হয় খাদিজা বেগম  আজ মনে হয় ভালোবাসা  কানায় কানায় গেছে ভরে, আরো বেশি বাসলে ভালো  উপচে উপচে যাবে পরে।। আমায় তুমি এত বেশি  ভালোবাসা দিওনা আর, মাঝে মাঝে ভয় জাগে খুব তোমার আমার এই প্রেম হারাব। জানাম জানম থেকো তুমি  আমার হয়ে এই অন্তরে।। অতিরিক্ত প্রেম বিষাক্ত বিষিয়ে দেয় সুন্দর জীবন, সবকিছুতে সীমারেখা  টেনে রাখা খুব প্রয়োজন।।   বেশি বেশি কাছে এলে  যেতে হবে দূরে সরে, এখন থেকে আসবে কাছে  খুবই অল্প অল্প করে। দুজনারে দুজন মিলে সারা জীবন রাখবো ধরে।।

প্রেম দাও অফুরন্ত

 প্রেম দাও অফুরন্ত খাদিজা বেগম সারা অঙ্গে ব্যথা ভরা  মাথা থেকে পা পর্যন্ত, একটা দেহে এত ব্যথা  আমার ব্যাথার নাই অনন্ত।। পায়ে ব্যথা হাতে ব্যথা  ব্যথা আমার বুকের ভেতর, ব্যাথার চোটে ঘুম আসে না  ব্যথায় ব্যথায় আমি কাতর। ব্যথার বিষে খেলো চুষে  এই জীবনে সব বসন্ত।। ব্যথা থেকে মুক্তি চেয়ে  অশ্রু দিয়ে করি আর্জি, হে রহমান, দয়া করো  কবুল করো আমার মর্জি।।   এত কষ্ট নিয়ে আমার  কি বা দরকার বেঁচে থাকার? ব্যথা থেকে দাও আমায় ত্রাণ  ব্যথায় ব্যথায় জীবন ছারখার। আমায় তুমি মাফ করে দাও  তোমার প্রেম দাও অফুরন্ত।।

সোনার টুকরা

 সোনার টুকরা  খাদিজা বেগম  সন্তান হলো সোনার টুকরা  তোমরা যন্ত নিও তাহার, তবে একটা সময় পরে  তারে গড়তে হয় অলংকার। টুকরা সোনা নয়তো কভু  ব্যবহারের উপযোগী, তারে পুড়ে পুড়ে গড়ো  নইলে হবে ভুক্তভোগী। শেখাও তারে দারিদ্রতা  তীব্র ক্ষুধার ঐ হাহাকার।। সন্তান হল সোনার মাটি  কাদা থাকতে আকৃতি দাও, সকল প্রকার লোভের সাথে  তারে যুদ্ধ করতে শেখাও। চলতে গিয়ে পড়ে যাবে  তবু চলতেই হবে আবার,  বলতে গিয়ে থেমে যাবে  তবু বলতেই হবে বারবার। সে যেন তার কোন যুদ্ধে মৃত্যুর আগে মানে না হার।।

পুতুল খেলা

 পুতুল খেলা খাদিজা বেগম  ভালবাসি বলেই তোমায়  কর এত অবহেলা, মনের মাঝে রাখি বলেই  মন নিয়ে এই পুতুল খেলা।। ভালো বাসবো না বাসবো না এত দুঃখ, কষ্ট দিলে, এই মন থেকে ছুঁড়ে ফেলব তুমি আগে যেথায় ছিলে।  থাকবো আমি আমার মত  সব এড়িয়ে খুব একেলা।। ডাকলে তুমি দাও না সারা ডাকি ততই মধুর সুরে, কাছে আসি বলেই আমি  তুমি সরে থাকো দূরে। আমি ভাবী তোমায় নিয়ে  তোমার ভাবনায় অন্য কেহ, আমি খুঁজি প্রেমময় মন তুমি খোঁজা নতুন দেহ! প্রেম দিয়ে প্রেম পেলাম না তো  ব্যথা পেলাম এই বুক জুড়ে।।

তোমার প্রেমে

  তোমার প্রেমে  খাদিজা বেগম  তোমায় প্রেমে মন টানে খুব  দেহ ভরা তাই পাগলামি, তুমি এখন আমার চোখে  আমার চেয়েও আরও দামি।। স্বপ্ন দেখি তোমায় নিয়ে দুই নয়নের ঘুম তাড়িয়ে, আমায় তুমি টানছো কাছে মায়া মাখা হাত বাড়িয়ে । তোমার সে হাত ধরে আমি প্রেম যমুনার জলে নামি।। আমার সাথে বললে কথা  কি বা ক্ষতি হবে তাতে? কি বা এমন ধ্বংস হবে  রাখো যদি হাত এই হাতে?? নষ্টামি নয় দুষ্টামি নয়  সত্যি সত্যি ভালোবাসি, এই প্রেম আমার নয় অভিনয় হৃদয় থেকেই কাছে আসি। তোমায় কত ভালবাসি  শুধু জানে অন্তর্যামী।।

নদী ভাঙ্গা কূল

 নদী ভাঙ্গা কূল খাদিজা বেগম তুমি/ আমার যত সুন্দর ভাব আমি তত সুন্দর নয়ত, ঢেউ এর/ চোটে ভেঙে যাওয়া আমি নদী ভাঙ্গা কূলের মত। ভালবেসে আমার পাশে  কখনো তো কেউ দাঁড়ায়নি, কারো স্বার্থে উর্দ্ধে উঠে  দরদী হাত কেউ বাড়ায়নি। দুঃখ কষ্টের ঢেউয়ে ঢেউয়ে ভাঙছি আমি অবিরত।। এমনি করেই বিলীন হব  হারিয়ে যাব নদীর স্রোতে, আমার জন্য কাঁদবে না কেউ  খোঁজবে না কেউ আমায় পেতে। বাস্প হয়ে ভাসব আমি বৃষ্টি হয়ে ঝরে পরব, বাতাস হয়ে বইব আমি তপ্ত হৃদয় সিতল করব। মলম হয়ে সারিয়ে তুলব যত রক্ত মাখা ক্ষত।।

প্রেমে পড়ব

 প্রেমে পারব খাদিজা বেগম  তুমি চাইলেই ভালবাসবো আমি তোমার প্রেমে পাড়ব, না দেখে ও না ছুঁয়ে ও  প্রেম কাহিনী আমি গড়ব।। প্রেম জগতে ঘর বানাব তুমি আমি রইবো একা, থাকবে না কেউ তার ভিতরে কেউ দেবো না কাউকে ধোঁকা। তুমি বাতাস হয়ে এলে  আমি পাতা হয়ে নড়ব।। করবে যত মান অভিমান  একে একে সব ভাঙ্গাব, বারে বারে হেরে গিয়ে আমি তোমার ঠোট রাঙাবো। কায়ায় কায়ায় হবে না তো তোমার আমার মধুর মিলন,  তবো মায়ায় টানে রবো তুমি আমি জনম জনম। তুমি হলে মরুভূমি  আমি বৃষ্টি হয়ে ঝড়ব।।

ভয় পেয়ো না

 ভয় পেয়ো না খাদিজা বেগম  হঠাৎ করে ঝর তুফানে যদি নিবে আশার বাতি, ভয় পেয়ো না অন্ধকারে শেষ হবে এই আঁধার রাতি। বিশ্বাসী জন হতেও পারে বিশ্বাস ঘাতক তোমার চোখে, ইতিহাসে বিশ্বাস ঘাতক সকল বিশ্বাস যোগ্য লোকে। অন্ধ বিশ্বাস করবে যাকে সেই তো হবে আত্মঘাতি।। যাচাই বাছাই করে নিও কাউকে বিশ্বাস করার আগে, বিশ্বাসী লোক হলেও কিন্তু নিজের নজর রাখা লাগে। অন্যের দোষে মন ভেঙ্গো না তোমার আছে সততার জোর, সেই জোরেতে সামনে আগাও চেয়ে দেখ আলোকিত ভোর। কেউ না থাকুক তোমার সাথে   তুমি থেকো তোমার সাথী।

অমূল্য ধন মা

 অমূল্য ধন মা খাদিজা বেগম পুর্নিমার ঐ চাঁদের মত আমার মায়ের মুখ, যত দেখি মন ভরে না লাগে শুধু সুখ। মায়ের হাসি অনেক দামি কেনা যায় না তা, মূল্য দিয়ে পাওয়া যায় না অমূল্য ধন মা। মায়ের চোখে কান্না দেখলে ভাঙ্গে আমার বুক।। মায়ের মুখে হাসি দেখলে হাসে আমার মন, কেউ হবে না মায়ের মত এত আপন জন। মায়ের দোয়া শ্রেষ্ঠ দোয়া তা পেয়েছে যে, সে চলে যায় সবার উপর তাকে থামায় কে? আদর যত্নে রাখবো মাকে না পায় যেন দুখ।।

পোষা পাখি

 পোষা পাখি খাদিজা বেগম তুমি আমার খাঁচায় পোষা  কোন পোষা পাখি নয়ত, আমি তোমায় বেঁধে রাখবো  না হয় চলে যাবে হয়ত।। শুরু থেকেই তুমি স্বাধীন যদি মন চায় চলে এসো, প্রজাপতির মতো উড়ে ফুলের পাপড়ি জুড়ে বসো। তোমায় ছাড়া হৃদয় ভরা এখন শত শত ক্ষত।। মনে রেখো জেনে রেখো তুমি ছাড়া কেউ নাই আমার, তোমার স্মৃতির সাগরের ঢেউ  চোখ ভিজিয়ে যায় বারে বার।। তুমি আসলে আসবে বৃষ্টি  ভিজবো দুজন একই সাথে, মরুর বুকে ফুটবে পুষ্প ঘ্রাণ ছড়াবে দিনে রাতে। স্বপ্ন দেখি তুমি আমি এক হয়েছি আগের মত।।

দেখা হলে

 দেখা হলে খাদিজা বেগম সেলফি দেব সেলফি নেব  তোমার সাথে দেখা হলে, দুই জনাতে ভেসে যাবো  তখন সুখের অশ্রু জলে।। জ্ঞান হারাব মাতাল হব সুখের শরাব পান করিয়া, মন হারাব অনেক দূরে  দুইজনার দুই হাত ধরিয়া। আজ নয় কাল নয় কোন একদিন তোমার সাবনে আসবো চলে।। আমায় দেখার এই আকাঙ্ক্ষা কেন তীব্র হতে দাও না? তোমার আমার ভালবাসা গভীর হোক তা কি গো চাও না? চাওয়ার আগে পেয়ে গেল তাহার মূল কেউ রাখে না, তাই তো এখন ঘরের মানুষ আদর করে কেউ ডাকে না। পরের মানুষ অনেক ভালো সব মানুষে তাহাই বলে।।

আবেগ

 আবেগ দিয়ে খাদিজা বেগম  আবেগ দিয়া চলে না রে চলে না তার দুনিয়া, কত পাপি ধ্বংস হলো তার বানী না শুনিয়া।। যা কিছু তাই বলোনা ভাই কথা বলো ভাবিয়া, নইলে তোমায় টেনে নেবে  জ্বলন্ত ঐ হাবিয়া। কভু যেন পা ফেলনা পাপ পুণ্য না জানিয়া।। বোকার মতো ছুটছো তুমি  কার পিছনে বল না? তোমার পিছে মরণ ছুটছে  চতুর্দিকে ছলনা। মুলার জন্য মরছো কেন  গাধার মত খাটিয়া, মানব জীবন শেষ করো না  পশুর চরণ চাটিয়া। সত্য, মিথ্যা, হালাল-হারাম  সদা চল মানিয়া।।

ভিখারিনী

 ভিখারিনী  খাদিজা বেগম  আমি একজন ভিখারিনী   হাত পাতি তাই বারে বারে, রাজার রাজা হয়েও কেন ঘুরাও আমায় দ্বারে দ্বারে? আমির হয়েও কেন তুমি  ফিরিয়ে নাও তোমারি দান? ভালবেসে সৃষ্টি করেও  কর কেন তার অপমান? আমি পাপী, অবুঝ মূর্খ  বুঝি বার জ্ঞান দাও আমারে।। এই অন্তরে বসত কর  ওগো আমার অন্তর্যামী, বলার আগেই বুঝে যাও সব  কি বলিতে চাইছি আমি। তবু কেন কাঁদাও আমায় খুব নীরবে চুপিসারে।।  আমার চোখের আলো তুমি তুমি আমার যা কিছু সব, আমি তোমার অপরাধী মাফ করে দাও হে আমার রব! দেখিয়ে দাও তোমারি পথ অন্ধ, অবুঝ এই বান্দারে।।