Posts

Showing posts from June, 2023

শোনো আল্লাহ্

 শোনো আল্লাহ্ খাদিজা বেগম  শোনো আল্লাহ ওগো আল্লাহ শোনো আমার ফরিয়াত, সহজ করো সরল করো সঠিক করো আমার পথ। মিথ্যে পথে না যাই যেন  সত্য পথের সন্ধ্যান দাও, আমার কর্ম হোক না তেমন  তুমি যেমন করে চাও। তোমার চাওয়াই পূরণ করো  এটাই আমার মোনাজাত।। চলার পথে হাজার বাঁধা এই বাঁধ ভাঙ্গার শক্তি দাও, কষ্টের মাঝে বন্দী আমি কষ্ট থেকে মুক্তি দাও। আমি বড় অপরাধী  মাফ করে দাও অপরাধ।। অশ্রুসিক্ত দুচোখ আমার  অনুতাপে ভেসে যায়, তুমি ছাড়া আর কেউ নেই যে শান্তি দেবে এই হৃদয়।। হে রহমান রহিম আল্লাহ ঘুচিয়ে দাও মোর আঘাত।।

ঝাড়ু

 ঝাড়ু খাদিজা বেগম ঝাড়ু, ঝাড়ু, দে ঝাড়ু দে ওহে ঘুষখোর তোর ভিতরে, তোর ভিতরটা ভরে গেছে  লোভ লালসার অন্ধকারে।  দেশের শত্রু সেই ঘৃণিত  ঘুষের টাকা ধরে যার হাত, তারে ধরে ফাঁসি দিয়ে  দাও বুঝিয়ে ঘুষ অপরাধ। ঘুষখোরেরা জঘন্য লোক  দেশের সুনাম নষ্ট করে।। ঘুষখোর থেকে দূরে থাকো ঘুষখোর হয়না কারো আপন, ঘুষখোরেরা ভেঙে দিল বীর, শহীদদের মুক্তির স্বপন।। ঘুষের কাছে বন্দী হয়ে  দেশের মেধা যাচ্ছে মরে।। রক্ষক সাজা ভক্ষক ঘুষখোর জোট বেঁধেছে চোরের সাথে, দেশের সুনাম করছে চুরি খুব নীরবে ঘুষের হাতে। নৈতিকতার আলো জ্বালা ওরে গুষখোর তোর অন্তরে।। ওদের হাতের কলম যেন  বিষে ভরা বিষক্ত সাপ, ওই কলমে যে কাজ করে  সেই কাজেই হয় দেশের খারাপ। সময় থাকতে জেগে ওঠো  কলম ধরো দেশের তরে।। লাখো যোদ্ধার রক্তে কেনা  আমাদের এই সোনার দেশটা, ঘুষখোরমুক্ত গড়বোই আমরা  সদা তাই সৎ থাকার চেষ্টা। ধন সম্পদে মান সম্মানে তবেই দেশটা যাবে ভরে।।

তোয়ায় দেখতে চাই

তোমায় দেখতে চাই খাদিজা বেগম  সকল কিছু দেখার আগে  আল্লাহ, তোমায় দেখিতে চাই, দয়া করে দেখা দিও  আমার কোন যোগ্যতা নাই। চেতনা আর চিন্তা জুড়ে  তুমি থেকো এই অন্তরে, চোখ বুজিলে খুলিলেও সদা যেন পাই তোমারে। তুমি থেকো মনে আমার  সব যদিও ভুলিয়া যাই।। আলোচনা শুরুর আগে  যেন আমি করি সালাম, কাজের আগে বলি যেন  বিসমিল্লাহ এই সুন্দর কালাম। সব মালিকের সেরা মালিক  আল্লাহ তোমার করুণা চাই। মুখের কথা চোখের আলো সব যদিও হারিয়ে যায়, তোমায় পেলে সবই পাবো হারাই না যে আল্লাহ তোমায়। তোমার আছে অনেক জনা  তুমি ছাড়া আমার কেউ নাই।।

এই বর্ষাতে

 এই বর্ষাতে খাদিজা বেগম  এই বর্ষাতে তোমার সাথে মন চায় ভিজে ভিজে নাচি, এসো না গো চলে এসো  খেলবো দুজন কানামাছি। মেঘের ভিতর বৃষ্টি থাকে গাছ ঝরিয়ে থাকে লতা‌, মনের ভেতর তুমি থাকো কেন জানো না সে কথা! নদীর বুকে উর্মি থাকে ফুলের বুকে দেখ ঐ মৌমাছি।। দিবানিশি মিশে থাকো  তুমি আমার অনুভবে, হাত বাড়ালে পাইনা তোমায় এ কেমন প্রেম বলো তবে? তুমি আমি আমরা দুজন  মন চায় থাকি কাছাকাছি।। মন নিয়েছ ভালবাসি ভালবাসি বলে বলে, আরো কত রাত জাগাবে ভেজাবে চোখ কষ্টের জলে? তোমায় ছাড়া ভাল্লাগে না  কোন মতে বেঁচে আছি।।

আহত মন

 আহত মন খাদিজা বেগম আহত মন সারাটা ক্ষণ হচ্ছে শুধু রক্তক্ষরণ, বেঁচে থাকা হয়েছে দায় যাই যাই করে আমার জীবন। ক্ষতের ওপর আরো ক্ষত  না সারিতে পিছনের ঘা, জীবন আমার জীবন তো নয় হয়ে গেছে যেন যাতা। পাজোর ভাঙা ব্যাথা নিয়ে  কান্দে আমার আহত মন। স্বপ্নগুলো এলোমেলো  কিছুই পারি না গুছাতে, রাত নিশিতে ঘুম আসে না  চোখ পারিনা আর শুকাতে। আরো কত আরো কত  একে একে ভাঙবে স্বপন।। যেখানেই হাত বাড়িয়েছি  কষ্ট ছাড়া পাইনি কিছু, যে পথেই দুই চরণ বাড়াই  কষ্ট ছাড়ে না মোর পিছু। সুখটা আমার তীব্র শত্রু  দেখি কষ্টই আমার আপন। সুখ আমার হবেনা আর  যতই করি তার আয়োজন, কষ্ট হলেও, কষ্ট আমার আমি কষ্টের খুব প্রিয়জন। কষ্ট ছাড়া সুখ মিলে না সে কথাটা ভুলনা মন।।।

বাজেট

 বাজেট খাদিজা বেগম  ওরা নাকি দেশের সেবক  গরিব দুঃখী লোকের বন্ধু, ওসব কথা মিথ্যে কথা  মিথ্যে বলে বেড়ায় শুধু। বাজেট করে ধনীর জন্য গরীব দুঃখীর রক্ত চুষে, দুঃখীর পেটে লাথি মারে কষ্ট দিচ্ছে বিনা দুষে। ওরা হলো পাচারকারী দেশ দরদী সাজে শুধু।।  ঋণ খেলাপির বন্ধু ওরা  শ্রমজীবী লোকের কান্না, ধনী লোকের জাদুর কাঠি  অমূল্য ধন হীরা, পান্না। মধ্যবিত্ত লোকের জন্য  ওরাই এখন বিষাদ সিন্ধু।। বাজে লোকের বাজেটে আজ নিম্নবিত্তের মন্দ দশা, মধ্যবিত্ত ওদের চাপে  বেঁচে থাকার পায়না আশা। উচ্চবিত্তের চিত্ত সুখে কথায় কথায় ঝরে মধু।। উন্নয়নের নাম করিয়া  ঋণের বোঝায় ভরেছে দেশ, ঋণের বোঝা টানতে টানতে  শ্রমজীবীর জীবনটা শেষ। ষড়যন্ত্রের রাজনীতিতে  শয়তানগুলো সাজে সাধু।।

মায়াবী

 মায়াবী খাদিজা বেগম  মায়া মুখে সুরমা চোখে আলতা দিয়ে পায়, এক মায়াবী আমার পানে  আড়ে আড়ে চায়। তারে দেখে মনটা নাচে ভালোলাগে খুব, ভালবাসি বলতে গেলেই  মুখ হয়ে যায় চুপ। কেমন করে বলবো তারে  তারে এ মন চায়।। ডানে বামে তারে দেখি  কাটেনা তার ঘোর, তারে ভেবে ঘুম আসে না  জেগে জেগেই ভোর। তার কাছে মন চোরের মতন  চুপি চুপি যায়।। দিবানিশি থাকে মনে ভোলা যায় না মুখ, তার বলাতে তার চালাতে  সব কিছুতেই সুখ। তার প্রেমেরি অসুখ এখন  আমার সারা গায়।।

একই যাতার দুটি চাকা

 একই যাতার দুটি চাকা খাদিজা বেগম  বিএনপির আর আওয়ামীলীগ  একই যাতার দুটি চাকা, উন্নয়নের নামে দুজন  পাচার করে দেশের টাকা। দুটি দলেই লুট করে খায় বিদ্যুৎ, পানি, গ্যাস, হাট বাজার, রক্ষক নামের ভক্ষক তারা গরিব লোকের হয় হাহাকার। দুটি দলই দুর্নীতিবাজ ঋণ খেলাপি ষড়যন্ত্রকারী, এদের যতায় পৃষ্ট হয়ে  গরীব করে আহাজারি। চাঁদাবাজ আর সন্ত্রাসী দল  তাদের হাতেই পুষে থাকা।। তেমনি পুষে রাখে পুলিশ যেমন পোষা কুকুর, বিড়াল, এসব জেনেও জানিনা কেউ  এমনি চালবে কতকাল? এই যাতাটা ভাঙতে হবে দেশের প্রেমে হয়ে পাকা।। মন্দ ছেড়ে ভালো ধর  গাও গুনগান দেশের তরে, দুর্নীতিবাজ দেশের শত্রু  দেশের সুনাম নষ্ট করে। দুর্নীতি কে না বলো ভাই চাই সকলের স্বচ্ছ থাকা।। আমরা সবাই ভালো হলে  ভালো থাকবে আমাদের দেশ, মেহনতি কৃষক, শ্রমিক আর পাবে না কোন ক্লেশ। দেশের সুনাম বেড়েই চলবে যেমন বাড়ে গাছের শাখা।।

হজের মাঠে

 হজের মাঠে খাদিজা বেগম  আমার অবুঝ মনটা কি আর  তোমার নিলা খেলা বুঝে? প্রতি বছর হজের মাঠে  না বুঝে সে মোরে খুঁজে। দলে দলে হাজিরা সব  ঘুরে তোমার ঘরের পাশে,  আমি কান্দি দূরোদেশে  তোমার কাছে যাইবার আসে। আমার যেতে অনেক বাঁধা  মন চলে যায় নয়ন বুজে।। স্বপ্ন আমার রাজার মতো  যাবো মহারাজার কাছে,  আমি একজন ভিখারিনি  সেই যোগ্যতা কি মোর আছে? তুমি অসীম ক্ষমতাসীন  নিয়ে চলো না গো মুঝে। আমার এ মন মনে মনে  হজে যেতে দিচ্ছে তাড়া, টাকা পয়সা নাই তো আমার  আল্লাহ, তোমার দয়া ছাড়া। হজে যাবার এই আবেদন  রেখে নয়ন আমার ভিজে।।

শিল্পকলা একাডেমী

 শিল্পকলা একাডেমী খাদিজা বেগম  বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর - ছিল সংস্কৃতি প্রেমী, তাই প্রতিষ্ঠা করেছেন এই - শিল্পকলা একাডেমী। উনিশশো চুয়াত্তর থেকে - চলছি ৫০ বছর ধরে, বলছি মহান মুক্তিযুদ্ধের - সেই ইতিহাস সবার দ্বারে । গড়ছি মানুষ গড়ার মতো - খুব সাহসী আর উদ্যামী। বায়ান্ন আর একাত্তরের - ঐতিহাসিক সংস্কৃতি, মাতৃভাষা আর স্বদেশ প্রেম - সোনার বাংলার রীতিনীতি। প্রাণের চেয়ে অনেক দামি - আমাদের এই জন্মভূমি।। সংস্কৃতির মধ্যে দিয়ে - শিক্ষা ছাড়াই হেসে হেসে, বাংলাদেশের সংস্কৃতি - ছড়িয়ে দেই দেশে দেশে। ইতিহাস আর ঐতিহ্যকে - আমরা করি অগ্রগামী।। মানব মনের কষ্টগুলো - শিল্পীর স্বল্পিকতায় পুড়ে, নাচে গানে নেচে গেয়ে - মন করে দেই খুব ফুরফুরে। সকল প্রকার অশ্লীল মুক্ত - আমাদের এই একাডেমি।। (শিল্পকলা একাডেমী ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে এই গানটি প্রতিযোগিতায় লিখে পাঠিয়েছি)

আজকে আমি

 আজকে আমি খাদিজা বেগম  আজকে আমি চোখের সামনে  দেখেও আমায় দেখনা, কালকে আমি আড়াল হবো তখন আমায় খোঁজো না। আমায় তুমি আজ চেনোনি কাল হারিয়ে চিনবে ঠিক, তখন তুমি খুজবে আমায়  কেঁদে কেঁদে দিক বেদিক। তখন আমায় ভুলে যেও  স্মৃতির পাতায় রেখনা।। আজকে এত ভালবাসি  তবুও দাও বেদনা, হারানোর পর ভালবেসে  শুধু শুধু কেঁদোনা। তুমি কাঁদলে কষ্ট লাগে  সে কি তুমি জানো না?? তোমার হাসি ভালোবাসি  হাসি খুশি থাকিও, তোমার কষ্ট চলে গেছে তুমি মনে রাখিও। এখন থেকে সুখের ঝরনা  কোন চোখের পানি না।।

স্মৃতিগুলো

 স্মৃতিগুলো খাদিজা বেগম  বাবা তোমার স্মৃতিগুলো, বারবার মনে পরে যায়, খুব নীরবে ঝড়ে অশ্রু আগুন জ্বলে কলিজায়। শেষ দেখাটা দেখেছিলাম  সদা পোশাক পরনে, শেষ ছোঁয়াটা ছুঁয়েছিলাম  আমি তোমার চরণে। শেষ ডাকাটা ডেকেছিলাম  সারা দাওনি তো আমায়।। তখন তুমি ঘুমে বিভোর  তুলা দেওয়া নাক কানে,  হাস্য উজ্জ্বল মুখটি তোমার ঢেকে দিল কাফনে। তখন আমার এতো কষ্ট  বেঁচে থাকাই যেন দায়।।  আমি ছিলাম মাথার মুকুট  বাবা তোমার মাথাতে, তুমি ছাড়া আমি একা  কষ্টে লাগে দিন রাতে। কতো দিন হয় বাবা তোমায় আমার দেখতে মনে চায়??

চলার পথে

 চলার পথে খাদিজা বেগম  চলার পথে থাকবে বাঁধা  যেতে হবে সব পেরিয়ে, পথের শেষে তোমার জন্য  স্বর্ণ মহল হাত বাড়িয়ে। সোনার টুকরা দেখে তুমি  হাত দিওনা অগ্নি লাভায়, ধৈর্য ধরো নইলে তুমি  ঝলসে যাবে অগ্নি থাবায়। তুমি একজন মহামানব মহা আকাশ যাও ছাড়িয়ে।। প্রয়োজন নেই তাড়াহুড়োর  ভেবেচিন্তে পথ চলিবে, লোকের কথায় কান দিও না চিরদিনই লোক বলিবে। সত্যটাকে সঙ্গী করে  মিথ্যাটাকে যাও এড়িয়ে।। পথ চলিও চোখ, কান খুলে  অন্ধবিশ্বাস করিও না, সব বিষয়ে ছাড় দিলেও ধন হিসাবে ছাড় দিওনা। লোভ-লালসা মূত্রের মতো  ভিতরে থেকে দাও তাড়িয়ে।। অগ্নি তাপে আশা পুড়ে  হৃদয় হবে মরুভূমি, ভাবনার অতীত কষ্ট পাবে  তবু সামনে যাবেই তুমি। শোনো না মন একটাই জীবন জ্বলে ওঠো ছাই মারিয়ে।।

সুপার স্টার

 সুপার স্টার খাদিজা বেগম  স্টার স্টার সুপার স্টার তোমরা থাকো দূর আকাশে, আমরা হলাম মাটির মানুষ  থাকি কাদা মাটির কাছে। ভুল করেও ভুলনা যে  তোমার চেয়েও বড় স্টার, ঘর বেধেছে স্থায়ী ভাবে  এই না মাটির নিচে তাহার। তোমরা চলো নিজের কারে  আমরা চলি লোকাল বাসে।। এক সপ্তাহের মধ্যে একদিন রেখো তোমরা মোদের জন্য, একটুখানি আলো দিও  আমরা যারা আলো শূন্য। আমরাও একদিন আলো দেবো  যেন আধার নাহি আসে।। সব শুরুরই শেষ আছে তাই  তোমরাও একদিন পড়বে নিচে, শেষ হবে না কর্মফল টা  আর সবই তো তোমার মিছে। থাকতে সময় সময় দিও যারা তোমার কাছে আসে।। আর সময় নেই বলে বলে  দেখাইওনা ঐ অজুহাত, তোমার দেখা পাবার আশায়  কাটে কত জনার দিন রাত? মানুষ যদি না হও তুমি  ঐ ইস্টারের কি দাম আছে ??

এ দল সে দল

এ দল সে দল খাদিজা বেগম এ দল ভালো সে দল ভালো  ক্ষমতাহীন দল আরো ভালো, ক্ষমতায় এলে দলগুলো হয়  দুর্নীতিবাজ আঁধার কালো। বিরোধী দল নীতিবান হয়  তারাই দেশের ভালোটা চায়, ক্ষমতাটা পেলে হাতে  তারাই আবার লুট করে খায়। দলের কথা ভুলে গিয়ে  এবার দেশের কথা বল। এ দল সে দল একই যাতার  দুটি পাশের দুটি চাকা, দুই দোলেতেই ঋণ খেলাপি স্বদেশ প্রেমের রুপে ঢাকা। দুর্নীতিবাজ দলগুলোকে  বল, কেন তোমরা পালো?? এদল চিনি ওদল চিনি দলগুলো সব পাচারকারী, অর্থ পাচার করে করে  বিদেশ গড়ে বাড়ি, গাড়ি। দলের চেয়ে দেশটা বড় দেশটাকে ভাই বাসো ভালো।। নির্বাচনের নামে যারা  প্রতীক করে বেচাকেনা, তাদের পক্ষে কাজ করিলে  শোধ হবেনা দেশের দেনা। দেশের সন্তান হয়েও কেন  দেশের সম্মান নিয়ে খেলো?? তোমরা যারা চাঁদাবাজ আজ এই সমাজের চোখে সন্ত্রাস, ভুলে গেছো বায়ান্ন আর  একাত্তরের সেই ইতিহাস। তোমাদের মত যুবকেরাই  দেশের জন্য জীবন দিলো।। তোমরা যুবক দেশের সন্তান  দেশের সুনাম করছ নষ্ট, গুম, খুন, ধর্ষণ, হত্যা করে দেশমাতাকে দিচ্ছ কষ্ট। দলের জন্য দাস না হয়ে  দেশের জন্য হৃদয় খ...

ভাগ্যের দুয়ার

 ভাগ্যের দুয়ার খাদিজা বেগম  ভাগ্যের দুয়ার বন্ধ আমার  দ্বারে দ্বারে খুঁজি চাবি, কেমন করে খুলবো তারে  দিবানিশি তাহাই ভাবী। তাহা ভাঙ্গার নাই হাতুড়ি  ভাগ্যের দুয়ার শক্ত এত, বন্ধ দুয়ার খুলতে গিয়ে  হাঁতুড় ভাঙলাম কত শত। কোনো কাজে ফল আসেনা। আমি যতই হই হীসাবি।। শোনো শোনো ভাগ্যদাতা ভাগ্য করো পরিবর্তন, সৌভাগ্যের দ্বার খোলো তুমি বড় কঠিন লাগে জীবন। দাও খুলে দাও ভাগ্যের দুয়ার  তোমার কাছে আমার দাবী।। আমি তোমার তুমি আমার  তবে কেন আমায় কাঁদাও? আমি তোমার অপরাধী  তুমি আমায় মাফ করে দাও। আর কতকাল কাঁদবো আমি চোখের জলে বুক ভাসাবি??

ভয় করো না

 ভয় করো না খাদিজা বেগম  সূর্য ডুববে সন্ধ্যা হবে  চারিদিকটা হবে কালো, তাই দেখে কেউ ভয় করো না উঠবেই সূর্য ফুটবেই আলো। কষ্ট পাবে কাঁদবে নয়ন  বুকটা করবে খুব হাহাকার, বারে বারে বলবে মনটা  এই দুনিয়ায় কেউ নাই আমার। ভেবে দেখ কত জনা  তোমায় অনেক বাসে ভালো।। অন্ধবিশ্বাস করলে তুমি  হবেই তোমার বিশ্বাস ভঙ্গ, অভিনয়ের মঞ্চে শয়তান সাধু সাজে দেবে সঙ্গ। চোখ, কান খোলা রেখো তুমি সদা ন্যায়ের পথে চলো।। পেটের ক্ষুধা, জ্ঞানের ক্ষুধা  হাজার ক্ষুধায় কাতর হবে, পরিপূর্ণ তৃপ্তি বলে সত্য ছাড়া নাই এই ভবে। অগ্নি তাপে জ্বলে পড়ে  মানব জীবন হয় রসালো।। যদি বুকটা জ্বলে, জ্বলুক  জ্বলে পুড়ে একদিন থামবে, ধৈর্য ধরলে এই বুকেতেই  একদিন সুখের বৃষ্টি নামবে। কান্না পেলে কাঁদবে তুমি  তাহা থামাও কেন বলো?? যেমন জোয়ার ভাটার নদী  তেমন হাসি কান্নার জীবন, কান্নার পরে থাকবে হাসি  ভাটার পরে জোয়ার তেমন। থাকে যদি থাকুক জীবন  একটুখানি এলোমেলো।।

আকাশ কাঁদলে

 আকাশ কাঁদলে খাদিজা বেগম  আকাশ কাঁদলে বৃষ্টি পড়ে  পাহাড় কাঁদলে ঝরনা ঝরে,  তুমি কাঁদলে খুব কষ্ট হয়  আগুন জ্বলে এই অন্তরে। ফুল ফুটিলে ভ্রমর হাসে  মেঘের ডাকে ভ্যাঙ্গে নাচে, তুমি ডাকলে মনে প্রাণে  মনটা তোমায় ভালবেসে। তোমায় কাছে পেতে এই মন কেমন কেমন যেন করে।। জোয়ার এলে ভরে নদী  ঢেউ ছুটে যায় নিরবধি, বাঁধভাঙ্গা জল হয়ে আসবো  তুমি আমায় ডাকো যদি। এতো ভালো বাসবো তোমায় যেন উপচে উপচে পড়ে।। পাখি ডাকলে ভোর হয়ে যায়  ছড়িয়ে যায় সূর্যের আলো, তুমি ডাকলে দুঃখ হারায়  আমার লাগে অনেক ভালো। ডেকে ডেক পাগল করো  রাখো তোমার পাগল ধরে।।

তুমি দেখো বসন্ত

তুমি দেখো বসন্ত খাদিজা বেগম  তোমার চোখের সারাটা ক্ষণ  তুমি দেখো বসন্ত, আমার চোখে বর্ষা ঝরে  দুঃখ ভরা অনন্ত। তোমার বাগান ফুলে ভরা  পাগল করা সৌরভে, আমারে বাগান দাবানল আজ  তোমার মিথ্যা গৌরবে। আমার প্রতি থাকলে মায়া  এই মন হাকতো জীবন্ত।। তোমার জীবন আলোকিত  থাকো তুমি আলোতে, আমার জীবন অন্ধকারে  থাকি আমি কালোতে। হাজার সুখে সুখী তুমি  সুখের স্রোতে ভাসন্ত।। ভালবাসি বলে আমার  কেনো আমার হলে না? চিরতরে চলে গেলে  একবার দেখা দিলে না? বিরহী মন জ্বলে পুড়ে তোমার তরে খুব ক্লান্ত।।

প্রেমের কাঙ্গালিনী

 প্রেমের কাঙ্গালিনী খাদিজা বেগম  আমি হইলাম চিরদিনি  তোমার প্রেমের কাঙ্গালিনী, তোমার জন্য কেঁদে কেঁদে  দুই নয়নে নাই আর পানি। একটু প্রেম দাও, দাও না আমায় মরে যাবো প্রেম পিপাসায়, কেমন করে বুঝাই তোমায়  বিরহী মন তোমাকে চায়। প্রেমের জন্য বুকটা শূন্য প্রেম দাও, দাও একটুখানি।। চক্ষু দুইটা মরুভূমি  এখন হৃদয় দিয়ে কাঁদি, তোমার দেখা পাবার আশায়  আমি হইলাম অপরাধী। অনুভবে থাকো তুমি  না দেখেও তোমায় চিনি।।  অন্তর জ্বালা নিভিয়ে দাও  ওগো আমার অন্তর্যামী, এই অন্তরে কি চায় আমার তাহার সবই জানো তুমি। তপ্ত হৃদয় শীতল করো দূর করে দাও মনের গ্লানি।।

দুর্ভাগা ভাগ্য

 দুর্ভাগা ভাগ্য খাদিজা বেগম  ও দুর্ভাগা ভাগ্য আমার  আমারে তুই দে মুক্তি দে, তোর কারনে বন্দী জীবন  দিবানিশি যাচ্ছি কেঁদে। আমার গাড়ি নাই বাড়ি নাই  নাইরে হেঁটে চলার চরণ, আদরের জন মরিয়া যায়  আমার হয়না কেন মরণ? কোন কারনে বেঁচে আছি  তুই আমারে বলিয়া দে?? তোর কারনে বিনা দোষে  এই দুনিয়ায় আমি দোষী, কাঁচের মত ভাঙ্গিয়া যায় যতই শক্ত স্বপ্ন পুষি। থাকতে চাই না এই সমাজে তুই আমারে উঠাইয়া নে। রোগে নয় রে শোকে নয় রে  অমানুষের জন্য ভুগি, দুর্ব্যবহার কারলো আমায় দুরারোগ্য এক জন রোগী। ওরা কেন থাকতে দেয় না  আমার মত এই আমারে??

ছেলে

 ছেলে খাদিজা বেগম  ছেলে, আমার প্রিয় ছেলে ঘুরোনা আর মেয়ের পিছে, হিসাব শেষে দেখবে তুমি  তোমার ষোল আনাই মিছে। নিজের পিছে লেগে থাকো  এগিয়ে যাও সামনের দিকে, অর্থ সম্মান থাকলে দেখবে  মেয়ে বাবা চারিদিকে। বড় কিছু পাইতে হলে  ত্যাগ করো সব ছোট ইচ্ছে।। ছেলে, মেয়ে সহজ সরল  শয়তানটা ফাজিল অতি, বন্ধুর নামে কাছে টানে টানতে টানতে করে ক্ষতি। সঙ্গ গুনে কেউ বা রাজা  কেউবা ফাঁকির সঙ্গ দোষে।। প্রিয় ছেলে না যেওনা যার কাছে নাই পবিত্রতা, নাই যার ক্ষণ সম্বন্ধে জ্ঞান নাই ইতিহাস নীতি কথা। সে তোমারে খুব গোপনে  ফেলে দেবে অতল নিচে।

আইনের ভাষা

 আইনের ভাষা খাদিজা বেগম  যতই বুঝাও বুঝবে না রে  আইনের ভাষা কুকুরে, কুকুরের দল বুঝাইতে হয়  লোহার তৈরি মুগুরে। কাজে কর্মে ওদের মাঝে দেখি কুত্তার পরিচয়, কুত্তাগুলো তাড়িয়ে দিতে দে আঘাত দে কুত্তার গায়। সাধুরূপী কুকুরগুলো  ঘেউ ঘেউ করে দুপুরে।। কোরমা, পোলাও হজম হয় না না পরিলে পেটে মল, লোভটা ওদের এতই বেশি  সদা জিহ্বায় লোভের জল। মানব সমাজ গুমড়ে কাঁদে  কথা কয় না বাপুরে ।। মানুষ খুঁজে দিশেহারা  আজকাল মানব সমাজে, সুচিন্তা নাই, নাই শততা বিকৃত জ্ঞান কুকাজে।। কুকুরের বিষ এতো তীব্র  ভয়ে কাঁদে সাপুড়ে।। মানুষ রূপে ছুটে বেড়ায়  দলে দলে কুকুর দল, দেখতে সুন্দর নাদুসনুদুস ঝরায় অন্য চোখের জল। বাঁচার মত বাঁচতে হলে  শেষ করে দে অঙ্কুরে।। কোথায় গেলো বিবেক, বুদ্ধি খেয়েছ কি তা ভয়ে? বিবেক, বুদ্ধি, সাহস ছাড়া  স্বাধ পাবে না বিজয়ে। নৈতিকতার অবক্ষয়ে  দেশ ভরেছে বাদুড়ে।। তোমরা মানুষ কেমন মানুষ নেতা মানো কুত্তারে? রাত্রি কাটাও কুত্তার সাথে  ষড়যন্ত্রের মাদুরে । ভবিষ্যতের কথা ভাবো  ওরে সোনার জাদুরে।।

এসেছি গো

 এসেছি গো খাদিজা বেগম  এসেছি গো এসেছি এই আর নয় কোনো নয় অপেক্ষা, এখন থেকে থাকবো সাথে  থাকবো না আর আমরা একা একা।। সুখে, দুখে, হাসি, কান্নায় চলব সাথে পা মিলিয়ে, যদি আসে মন ভাঙ্গা ঝড় তবু যাব না পালিয়ে। ভালোবাসার মলম দেবো  হবো তোমার মন সেবিকা।। যদি আমরা অনাহারে অনাহারে হই খুব কাতর, তবু রবো মিলে মিশে যদিও হয় নিষ্প্রাণ গতোর। একই সাথে মরতে রাজি  পারবো না গো বাঁচতে একা একা।। তুমি আমি আমরা দুজন  মন মাতানো ঘ্রান ছড়াবো, ভালোবাসার পরশ মেখে দুজনাতে মন জুড়াবো। তুমি আমি এক আকাশের  হয়ে যাবো প্রেম তারকা।।

প্রেম নেবনা

 প্রেম নেবো না খাদিজা বেগম  প্রেম নেবো না, প্রেম দেবো না প্রেমের লেনদেন করিবো না, নানা না রে প্রেম করিয়া  মরার আগে মরিবো না। প্রেমের দৃষ্টি যতো মিষ্টি তার চেয়েও মিষ্টি ছোঁয়া, ছোঁয়ায় ছোঁয়ায় সব হারাবে  যাবে না আর কিছুই পাওয়া। নিজের জন্য প্রেমিক হও মন নিজের জন্য হও দিওয়ানা।। সব কিছুরি থাকে সীমা নিয়ম-কানুন সময়-সুযোগ, অসময়ে প্রেমে পড়লে  আসবে নেমে মহা দুর্যোগ।  প্রেমিক মনা ভেসে যাবে  শুনবেনা সে কোনো মানা।। টুকরো টুকরো সুখ পেতে আজ সময় নষ্ট করো না আর, ধৈর্য ধরে এগিয়ে যাও সামনে আছে সুখের পাহাড়। অসীম সুখের বাড়ি আছে  ধৈর্য ছাড়া তা পাবোনা।। প্রেমে কষ্ট, প্রেমে দুঃখ প্রেমের হৃদয় ভাঙ্গিয়া দেয়, নয়নের ঘুম কেড়ে নিয়ে  রাত জাগিয়া প্রেমে কাঁদায়। লপাগল ছাড়া প্রেমিক হয় না তাই আমি প্রেম করিবো না।।

মনের সুর

 মনের সুর খাদিজা বেগম  আমি যদি ছাড়া পেতাম  চলে যেতাম অচিন পুর, আমি যদি উড়তে পারতাম  উড়ে যেতাম বহু দূর। বন্দী হয়ে বাঁচতাম না আর পোড়াইতাম না আমার বুক, থাকতাম নারে থাকতাম না আর  যেখানে নাই একটু সুখ। বন্দী আমি ভাগ্যের খাঁচায় চোখে ঝরে কষ্টের সুর।। পরাজিত জীবন আমার  জয়ের স্বপ্ন আঁখিতে, দুর্বল দেহে শক্তির মালিশ তবু থাকি মাখিতে। আমি একদিন গড়ে তুলবো ভালবাসার বিজয়পুর।। চোখের জলটা কালি কারে  লিখব আমি ইতিহাস, ভাগ্যটারে ভেঙ্গে চুরে  গড়বো আমার সেবার দাস। কৃষ্ণচূড়ার রঙে রঙে রাঙিয়ে তুলবো মনের সুর।।

বন্ধু ছাড়া

বন্ধু ছাড়া  খাদিজা বেগম  বন্ধু ছাড়া ভাল্লাগে না এই দুনিয়ার কিছু, বন্ধু ভেবে ঘুরলাম আমি  কতজনার পিছু। ভাল্লাগেনা আমায় ছেড়ে সুখের সময় নাকি, খুব বিপদে পাইনা তাদের যতই আমি ডাকি। প্রয়োজনে পা টিপে দেয়  নইলে ময়লা টিস্যু।। বন্ধু হওয়ার যোগ্যতা নাই সব অতিথি পাখি, পিতা মাতা সেরা বন্ধু তাদের যত্নে রাখি। শ্রদ্ধার সাথে বলবো কথা  কন্ঠ করে নিচু।। ঘরের মাঝে বন্ধ রেখে  বাইরে বন্ধু খুঁজি, আমার মতো বোকা মানুষ  নাই দুনিয়ায় বুঝি। বড় বন্ধু  পিতা মাতা  পর্বত থেকে উঁচু।। সব বিপদের সামনে দাঁড়ায় পিতা-মাতা আগে, পিতা-মাতা ছাড়া জীবন  খুব অসহায় লাগে। হৃদয় জুড়ে থাকুক সবার  পিতা-মাতার স্ট্যাচু।।

যৈনতা

 যৈনতা খাদিজা বেগম  যৈনতা মোর মালিক হবে আমি হবো যৈনতার দাস, ওরে আমার পাগল মনটা মনে মনে তুই কি তাই চাস? আমি মানুষ স্বাধীন চেতা সবার আগে স্বাধীনতা, আমি কারো দাস হবেনা মনে রেখো হে যৈনতা। তোমার ভাবনায় আমার সময়  দেব না আর হতে উদাস।। তোমার পাল্লায় পরে পাগল আমি হতে পারব না আর, অনেক কর্ম জমে আছে ডেকনা আর আমায় বারবার। হে যৈনতা তোর তাড়নায়  কত জনা জীবিত লাশ।। পান করিলে শুধু একবার যৈনতার জল করে মাতাল, নেশার ঘোরে ডুবিয়ে দেয় এক করে দেয় সকাল বিকাল। যৈনতাকে সামলে রেখো  নইলে তোমায় করবে গ্রাস। প্রাণী উদ্ভিদ সবার মাঝে  বসত করে এই যৌনতা, যৈনতা নয় লজ্জার বিষয় খুব স্বাভাবিক প্রক্রিয়া তা। এই যৈনতার জন্য যেন  ধ্বংস না হয় পবিত্রতা।।

টোল পড়া গাল

 টোল পড়া গাল খাদিজা বেগম টোল পড়া গাল ভালো লাগে যখন মিষ্টি হাসি ঝরে, এ গালে টোল ও গালে টোল তাই দেখে মন প্রেমে পড়ে। যত দেখি চোখ ফেরেনা  সুন্দর মুখের সুন্দর ওই টোল, যখন তখন তারে দেখতে  মন হয়ে যায় পাগল পাগল। সামনে এলে পিছনে যাই দেখা হয় না তার টোল ধরে।। জেগে জেগে স্বপ্ন দেখি  তারে নিয়ে কত শত, আপন করে রাখবো তারে  আমি আমার মনের মত। মান অভিমান ভাঙাবো তার  খুব যতনে আদর করে।। তার টোলের ঐ প্রেম কুঁপে ডুবেছে মন চুপে চুপে, কতজনার কত হৃদয়  না জানি সে নিলো লুফে। মিষ্টি মিষ্টি হাসির ছলে  দাগ দিওনা এই অন্তরে।।

আত্মহত্যা

আত্মহত্যা খাদিজা বেগম আত্মহত্যা করবে কেন তুমি কি ভয় পাও কষ্টকে? দুঃখ, কষ্ট কম আর বেশি  সব মানুষের মাঝেই থাকে! কে দিয়েছে কষ্ট তোমায় কোন চাওয়াটা পাওনি তুমি? কোন কারণে বুকের ভিতর অগ্নি তপ্ত মরুভূমি ? মনোবল টাই সেরা এ বল কেউ ভুলনা যেন তাকে।। ভেঙে গেলে ঐ মনোবল কোন বলেই কাজ হবেনা, অর্থ, সম্পদ, ক্ষমতার বল কেউ তোমাকে বাঁচাবে না। তোমার উপর আস্থা রাখ ভালবাসো খুব তোমাকে।। গাছে গাছে বাসা বাঁধে উড়ে পাখি ঐ আকাশে, গাছ কেটে নেয় কাঠুরিয়া তাতে পাখির কি যায় আসে। নতুন করে বাসা বেঁধে  নিজেকে সে ভাল রাখে।। কেউ তোমাকে ছেড়ে গেলেও তুমি ছেড়ে যেওনা তো, আপন জনা জরিয়ে থাকো ঘুচে যাবে একদিন ক্ষত। যা গেছে তা ফের চেওনা সুখে রাখো জীবনটাকে।। যে কারণে মরতে চাচ্ছ তাহা নতুন ঘটনা নয়, এই ঘটনার পরেও মানুষ খুব স্বাভাবিক জীবন কাটায়। ভাগ্যটারে মেনে নিয়েই চলতে হবেই ফের তোমাকে।।

মেঘ বালিকা

 মেঘ বালিকা খাদিজা বেগম  মেঘ বালিকা মেঘ বালিকা  কার আকাশে তুমি থাকো? বৃষ্টি হয়ে ঝরে পড়ে  কার হৃদয়টা শীতল রাখো?? কার বিকালে প্রেম ছড়ালে আমার বিকেল মেঘে ঢেকে? কার রাত্রিতে চাঁদ হয়েছ আমায় অন্ধকারে রেখে? প্রেম ধনুর প্রেম রঙে রঙে কার গোধূলি তুমি আঁকো?? কার নদীতে ঢেউ তুলেছ আমায় রেখে বালুচরে? কার বাগানের ফুল হয়েছে দাগ লাগিয়ে এই অন্তরে? তাড়িয়ে দিয়ে এই আমারে  কার আশাতে গড়ছ সাঁকো?? কার তরেতে বাসর সাজাও  আমার স্বপ্ন ভেঙ্গে চুরে, কারে তুমি কাছে টানো আমায় সরিয়ে দিয়ে দূরে? কার নিশিতে জেগে থেকে  তুমি কারে জোসনা মাখো??