Posts

Showing posts from April, 2023

বাবার মত

 বাবার মত খাদিজা বেগম  বাবার মত কত জনের  দাড়ি, চুলে মেহেদী, বাবার মত কারো কাছে  আমি নই তো আহ্লাদী।। বাবার মত পাঞ্জাবি আর  টুপি পরা কত লোক, বাবার মত আমার প্রতি নাই কোথাও স্নেহের চোখ। বাবার বিয়োগ ব্যথার মাঝে  হয়ে গেছি কয়েদি ।। বাবার মত মসজিদে যায় দেখি কত নামাজী, বাবার মতো কেউ বলে না  আমায় যোদ্ধা, বীর, গাজী। কেউ মুছেনা আদর করে  যখন চোখে বয় নদী।। বাবার মতো বাবাই শুধু  অন্য কেহই হবে না, থাকতে বাবার যত্ন করো হারাইলে আর পাবে না। আসবে না আর বাবা আমার তবু কেন যে কাঁদি ??বাবার মত খাদিজা বেগম  বাবার মত কত জনের  দাড়ি, চুলে মেহেদী, বাবার মত কারো কাছে  আমি নই তো আহ্লাদী।। বাবার মত পাঞ্জাবি আর  টুপি পরা কত লোক, বাবার মত আমার প্রতি নাই কোথাও স্নেহের চোখ। বাবার বিয়োগ ব্যথার মাঝে  হয়ে গেছি কয়েদি ।। বাবার মত মসজিদে যায় দেখি কত নামাজী, বাবার মতো কেউ বলে না  আমায় যোদ্ধা, বীর, গাজী। কেউ মুছেনা আমার দুচোখ  যখন চোখে বয় নদী।। বাবার মতো বাবাই শুধু  অন্য কেহই হবে না, থাকতে বাবার যত্ন করো হারাইলে আর পাবে না। আসবে না ...

ক্ষমা করে দেবে

 ক্ষমা করে দেবে খাদিজা বেগম  ক্ষমা করে দেবে তুমি  আমায় ক্ষমা করে দেবে? একটা সুযোগ দেবে তুমি  আমায় একটা সুযোগ দেবে? শুধরে নেব সব অপরাধ  আমি হয়ে যাবো সরল, হবো না আর কষ্টের কারণ ফেলবো না আর ওই চোখের জল। একলা আমার ঘুম আসেনা  কান্দি তোমায় ভেবে ভেবে।। যত কষ্ট দিয়েছি তোমায়  দিও আমায় তাহার দ্বিগুণ, তবু তুমি ফিরে এসো নিভিয়ে দাও মনের আগুন। তুমি ছাড়া মরে যাবো তোমার প্রেমের ই অভাবে।। আমি মানুষ নই ফেরেশতা তাই হয়েছে কিছুটা ভুল একটু ভাবলে দেখতে পাবে এই দুনিয়ায় নাই কেউ নির্ভুল। কাছে থেকেই দাওনা সাজা তুমিই তো সাজা দেবে।।

দাদু

 দাদু খাদিজা বেগম  দাদু দাদু আমার আদু দাদু দাদু প্রিয় দাদু, ছোট্ট থেকেই আমায় করল তার প্রেমেতে ভীষণ জাদু। হাত ধরে তার চলছি ছুটে সে যে প্রথম চলার সাথী, তাহার সাথে খেলছি খেলা সে যে প্রথম খেলার সাথী। শত নামে ডাকত আমায় হীরা, পান্না, সোনা, গেদু।। হাজার গল্প শোনাতো সে  ঘুম না আসার আগে আগে, দাদুর সাথে কাল কাটাতে  আমার অনেক ভালো লাগে। দাদুর আদর জাদুর মত ভালোবাসা ভরা সিন্ধু।। দাদু আমার মহাজ্ঞানী  পবিত্রতায় অটল মানুষ, তার মুখেতে সবাই ভালো  শুনিনি তো কারো দোষ। তাহার মুখে নাই অভিশাপ  সবার জন্য দোয়া শুধু।।

সিঙ্গা লাগাইয়া দে

 সিঙ্গা লাগাইয়া দে খাদিজা বেগম  একটা সিঙ্গা লাগাইয়া দে আমার হিয়ার মাঝারে, হিয়ার বিষে ঘুম আসে না ওষুধ নেই তার বাজারে।। ওরে ও ও সাপুরিয়া সয় না জ্বালা শরীরে, হিয়ার বিষে অঙ্গ জ্বলে  মরে যাবো অচিরে। সাপের চেয়েও ভয়ংকর বিষ আত্মা কাঁদে আহারে।। ওরে ও ও সিঙ্গা ওয়ালা বিষ নামাইয়া দে রে দে, তোর চুমুকে চুমুকে বিষ জল করিয়া দে রে দে। কোথা থেকে এলো এই বিষ গিলে খেলো আমারে।। বিষে বিষে জ্বর এসেছে  পুড়ছি ভিতর বাহিরে, কেউ বুঝেনা এই যন্ত্রণা কোথায় মুক্তি চাহিরে? বিষ থেকে যে মুক্ত করবে  মোর সব দেব তাহারে।।

চোখে চোখে

 চোখে চোখে খাদিজা বেগম  চোখে চোখে চেয়ে থেকে  বাঁধলে আমায় আঁখি ডোরে, আজও আছি তোমার হয়ে  সেই বাঁধনের মায়ার ঘোরে। আজও দেখি চেয়ে চেয়ে  নাই অধিকার ছুঁয়ে দেখার, মনে মনে মন ছুঁয়ে যায় শাসন মানে না তো আমার। আজো আমি তোমার আছি তুমি আছো কার বাসরে ?? অদৃশ্য সেই বাঁধনখানি  আজও ছিঁড়তে পারিনি তো, যত চাইছি বাঁধন ছিঁড়তে  শক্ত হয়ে যায় যে ততো।  অগ্নি চাওয়া চাইলে কেন  কি পেয়েছো আমায় পুড়ে ?? আগে যদি জানতাম আমি তোমার দু'চোখ সর্বনাশা, ওই চোখেতে চেয়ে থেকে  চাইতাম না তো ভালবাসা। আমি আজো একলা কাঁদি তোমার স্মৃতির দ্বারে দ্বারে।‌।

মানুষ খুঁজে পাই না

 মানুষ খুঁজে পাই না খাদিজা বেগম  আমরা মানুষ সব হতে চাই  শুধু মানুষ হতেই চাই না, তাই তো এখন সবি আছে শুধু মানুষ খুঁজেই পাই না। আর্মি, পুলিশ, ইঞ্জিনিয়ার, হিন্দু, মুসলিম, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান,  খুঁজলে মিলে পথে ঘাটে নাই ভিতরে মানুষের জ্ঞান। মসজিদ, মন্দির, আদালতে  ঘুষখোর ছাড়া কিছুই পাই না।। রাজনীতিবিদ রাস্তায় রাস্তায়  দেয় স্লোগান মানব সেবার, ক্ষমতাটা হাতে পেয়ে খায় জনতার সব অধিকার। কাজে কর্মে আর কথাতে তাদের ভিতরে মিল পাই না।। মানুষগুলো কোথায় যেন  বন্দি তারা কোন ফাঁদে, মানবদেহে আত্মা বন্দি আহাজারি করে কাঁদে। সত্য দিয়ে মিথ্যা কেনার জঘন্য জন যেন হই না।। আমরা মানুষ, মানুষ হলেই  থাকতো না কেউ অনাহারী, কেউ হতো না নির্যাতিত ঠাই পেত না অত্যাচারী। মানুষ হবার আগে যেন অন্য কিছু হতে চাইনা ।।

কোথায় যাব

 কোথায় যাব খাদিজা বেগম  কোথায় যাব কি কবিব? এ পৃথিবী ভাল্লাগেনা, মরি মরি করে এ মন  বেঁচে থাকার স্বাদ জাগে না, ভালো লাগে কাদা মাটি মানুষ দেখলেই ভয় লাগে খুব, পশু পাখি এক রূপী হয়  মানুষের তো হয় নানান রূপ। ঘরে বাইরে শান্তি নাইরে কোথায় ওতো মন বসেনা।। রাত্রি শেষে সূর্য আসে  ছড়িয়ে দেয় সোনার আলো, আমি কেন অন্ধকারে চারিদিকে শুধু কালো? চিরতরে ঘুমাতে চাই আমার কেন ঘুম আসেনা।। ইচ্ছে করে মাটি হব  মাটির সাথে মিশে রব, মানবতার এই অবক্ষয়  থেকে আমি মুক্তি নেব।। কেন মানুষ হিংস্র হলো মানুষ কেন তা ভাবেন??

মৃত্যু মানুষ

 মৃত্যু মানুষ খাদিজা বেগম সত্য ছাড়া মৃত্যু মানুষ  প্রাণীর মত করে বাঁচে, বিবেক বুদ্ধি নাই তো তাদের অন্যের কথা মত নাচে। নাচতে নাচতে ভেঙে চলে  তাদের সীমা রেখার দেয়াল, হাসতে হাসতে হৃদয় ভাঙ্গে শেষ বিচারের নাই তো খেয়াল। মানব রূপে -হিংস্র পশু  মানব ঘরের মাঝেই আছে।। একটা ছোট্ট মাটির ঘরে  অগণিত লোভের উল্লাস, লোভের জ্বালায় পূর্ণ গুলো  কয়লা হয়ে যায় বারো মাস। সেই কালিতে আঁধার ছড়ায়  তার আনাচে আর কানাচে।। নিজ আঁধারে আলো হারায় মিথ্যেবাদী মানুষেরা, পায় না বিবেক পচা গন্ধ  পাচার মাঝেই পোকা তারা। মানুষ তাদের ভাল্লাগেনা  ঘরে পশুর পাছে পাছে।। সত্যটারে আঁকড়ে ধরো  মানুষ হইতে চাইলে তুমি, তবুও কষ্ট সহ্য কর  হয় যদি মন মরুভূমি। সত্যের উপর নাই কিছু আর মহান সৃষ্টিকর্তার কাছে।।

অমানুষের স্বভাবে

  অমানুষের স্বভাবে খাদিজা বেগম  দ্বারে দ্বারে ঘুরে ঘুরে  পারবো না আর এভাবে, এই নিজেকে ছোট করতে  অমানুষের স্বভাবে।। আত্ম সম্মান বোধ বুদ্ধিটা পারবো না আর হারাতে, লোভ লালসার ভূতটাকে তাই আমায় হবে তারাতে। এমনি মানুষ হয় অমানুষ মনুষ্যত্বের অভাবে।। মানুষ হয়ে ঘুরবো আমি  মানব সেবা করিয়া, সেবক মানুষ মরেনা তো অমর থাকে মরিয়া। অনুতাপের অশ্রু ছেড়ে  মনের ক্রোধ মন নিভাবে।। সত্য সদা শক্তিশালী তার কাছে সব পরাজয়, সত্য ছাড়া মানুষগুলো  পশুর চেয়েও ঘৃণা হয়। সত্য দিয়ে মিথ্যাটাকে  ও মন তুমি দাবাবে।।

হালচাল

 ২৪/০৮/২০১৯ (ক: নং -২) হালচাল খাদিজা বেগম ইঁদুর ভয়ে বিড়াল পালায়,  চোরের ভয়ে পালায় পুলিশ এমন হালচাল দেখে ভাবি ! কোথায় গিয়ে করব নালিশ। নালিশ শুনে পালায় মোক্তার হরিণ দেখে পালায় বাঘ, উল্টাপাল্টা হালচাল দেখে প্রতিবাদী কণ্ঠ নির্বাক । দেশটা যেন মগের মুল্লুক  লুটেপুটে সকলে খায়, দেশপ্রেমিকের ঘুম নেই চোখে,  মুখে তালা মনে হায় হায়। যৌতুক নিয়ে করে বিয়ে দেনমোহর না দিয়ে বরে, কনের কাছে হয়ে ঋণী  ঋণের বোঝা নিয়ে মরে। সুধখোর ঘুষখোর শিক্ষিত চোর  তোর ঘর পরকিয়ায় ব্যস্ত, কারা খাবে পাপের টাকা?  ছেলে - মেয়ে নেশাগ্রস্ত। মানব রুপি শয়তানেরা  প্রেমের নামে চালায় কুকর্ম, তাইতো বাড়ছে পথশিশু   কেউ মানে না কোন ধর্ম। অর্থ দিয়ে কিনছে লোকে  হাজার 🏅 পদক, সম্মাননা, সেথায় জ্ঞানী ডেকে নিয়ে  হাসি ঠাট্টা ‌আর কর না। পন্ডিত শেখায় ধর্ষণ করতে  দুদকে শেখায় দূর্নীতি, অবিচারের সকল কর্ম  শেখায় বোকা বিচারপতি। চিলের পিছু ছুটছে কেন ?  না খুঁজিয়া নিজে নিজ কান, সত্যি মিথ্যা যাচাই কর  জাগাও বিবেক থাক সাবধান ‌। কুশিক্ষা সব বর্জন করে অ...

চোর পুলিশ

 চোর পুলিশ খাদিজা বেগম  ০৮/১০/২০১৯ পুলিশ হাসে সন্ত্রাস হাসে চোর পুলিশে এখন ভাই ভাই, জনগণে যাবে কোথায়? বাঁচার কোনো উপায় যে নাই। আমার সোনার বাংলাদেশে  আমরা পাই না স্বাধীনতা, স্বাধীন খুনী সুখে হাসে আর পারি না সই তে ব্যথা। ভয়ে ভয়ে যায় না বাঁচা মেরে ফেলো মোদের আজি, বাংলা মাকে ভালোবেসে মায়ের জন্য মরতে রাজি, বাঙালি তাই বীরের রক্ত জন্ম থেকে আমাদের গায়, মরতে যখন চাইছি আমরা ন্যায্য দাবি করবোই আদায়। পাকিস্তানের হায়নাদেরকে হর মানালো সভ্যযুগে,  প্রতিবাদী ছিলেন মুজিব তবু যায় নি ওদের ভোগে। ক্ষুদিরাম এর হলো ফাঁসি দেখে ছিলো জগত ফাঁসি, তিতুমীরে যুদ্ধ করে শহীদ হলো হাসি হাসি। তবে কেন করলে তোমরা আবরার কে নির্মম হত্যা? আসমান জমীন জুুরে কাঁদে শুনি আবরার ভাইয়ের আত্মা। হাতে মারলে, পাযে মরলে মারলে তারে সারা পিঠে, মারতে মারতে করলে কালা তাহার চামড়া গেলো ফেটে।  ভাইটি তখন চিৎকার করলো না জানি সে কি কি বলে? তাহা ভেবে শিহরে উঠি আমার নয়ন ভরে জলে।। বুকের পাঁজর ভেঙে চুড়ে দুঃখের ঝড়ে মনটা মরে, জ্যান্ত থেকে আছি যেন অন্ধ কার কারা ঘরে। আর কতো লাশ ভেসে উঠলে খালে বিলে নদীর জলে, আর কতো মা...

শূন্য

 ১৫/০৯/২০১৯ (ক.নং-১০) প্রাপ্তির জায়গায় শূন্য খাদিজা বেগম  প্রাপ্তির জায়গায় শূন্য দেখি হিসাব কষে মিলে না ফল, যা করেছি সবি তো ভুল কর্ম সকল হলো বিফল।। কালো চুল সব সাদা হলো আর রং মেখে কি হবে বল, সাদা মনটা কালো হলো এযে পাপীর পাপের কুফল। সতেজ চামড়া ঝুলে গেলো চলে গেলো শরীরের বল, জেনা , সুদ, ঘুষ কিছু নেই বাদ ব্যাবিচারে খেয়েছি মল। লোভ লালসায় ডুবে থাকে অর্থ গ্ৰাসে করেছি ছল, কচু পাতার উপর জীবন পানির মতো করে টলমল। হবে যেতে শূণ্য হাতে আমার যাবার এসেছে কল,  পূর্বের সকল কুকর্ম আজ দু'নয়নে ঝরেছে জল। থাকতে জীবন তওবা কর মন আর করিস নে তুই কোন ছল, সাধু খোলস ভেঙে চুড়ে সত্যি সত্যি সৎ পথে চল।

মিষ্টি বধূ

 ২৯/০৮/২০১৯(ক: নং- ৬) খাদিজা বেগম মিষ্টি বধূ সংকোচ ভুলে থাকো আরও কাছে কাছে, লজ্জা রেখে রাখো আমায় পাশে পাশে। ওগো আমি নয়তো এখন আর তোমার পর, তুমি আমার মিষ্টি বধূ আমি যে বর। হাজার রাত্র জাগা স্বপ্ন তুমি আমার, ওগো বন্ধু রাখো আমায় বুকে তোমার। আদর দেবো সোহাগ দেবো নেবো যে প্রেম, তোমার হাতে পৃথিবীতে তাই তো এলেম। একটুখানি তোমার হতে পেলে আদর তোমার অঙ্গে হয়ে রব প্রেমের চাদর। দেখো দেখো ঝিরি ঝিরি জ্যোৎস্না ঝরে, ঝোপেঝাড়ে জোনাকিরা খেলা করে। এসো দু'জন হারিয়ে যাই দু'জনাতে, জনম জনম থাকি আমরা সাথে সাথে।

সুবিচার চাই

 সুবিচার চাই খাদিজা বেগম ২৭/১২/২০১৯ বাংলা দেশটা আমাদের মা সব বাঙালি ভাই-বোন আমরা, কাউকে করলে কোন আঘাত খুলে নেবো তোদের চামড়া। সোনার বাংলার সোনার ছেলে নুর আমাদের গর্বিত ভাই, ভাইয়ের প্রতি অবিচারের অবিলম্বে সুবিচার চাই। একটি নুর আর নিভে যদি আমরা হবো সব দাবানল, দাউ দাউ করে উঠবো জ্বলে নীল নকশা হবে বিফল। লাভা হয়ে যাবো দেয়ে স্বৈরাচার আর অত্যাচারী, ডুবে যাবে লাভার তলে আর করো না বাড়াবাড়ি। কলংকিত ইতিহাসের ঘৃণ্য সব পাতায় পাতায়, ফেরাউনের মতো শাসক  হঠাৎ ধ্বংস হয়ে যায়। প্রতিবাদী কণ্ঠ তোলো  বাঘের মতো গর্জে ওঠো, কৃষক শ্রমিক ছাত্র সমাজ বাঁধ ভাঙ্গা জল হয়ে ছোট। আমরা হলে প্রতিবাদী হবেই অন্যায় অবিচার শেষ, সুখী হবো আমরা সবাই সুন্দর হবে আমাদের দেশ।

ইচ্ছে

 ০৮/০৯/২০১৯(ক., নং-৭)  ইচ্ছে জাগাও খাদিজা বেগম মুখে মুখে ভালোবাসা অভিনয়ে মনটা পূর্ণ, তাই দেখি আজ দুখী সমাজ সুখ শান্তি হীন নীতি শুন্য। এজন্য যে আমরা দায়ী, এসমাজের কোন দোষ নাই, আগামী দের কথা ভেবে ,এসো আমরা ঘুরে দাঁড়াই। প্রেম প্রীতি ভালবাসায় বুক বাধি নতুন আশায়, কোন কষ্ট - বেদনা নাই ,কানায় কানায় শান্তি সেথায়। একের পাশে অন্যে আসে ,জড়ায় সেথায় ভালো বেসে, এমন একটা সমাজ গড়বো , থাকবো সুখে এমন দেশে। ত্যাগে ত্যাগে হবো ত্যাগী ,খুশি করবো ভাগাভাগি, হিংসা,বিদ্বেষ রেখে আমরা ,সৎ মনোভাব নিয়ে জাগি। আমরা সবাই হলে মানব ,কেউ রবেনা কোন দুঃখে, মানব জীবন হবে সুখী ,থাকবো আমরা স্বর্গ সুখে। ইচ্ছে জাগাও আমরাই পারবো ,করবো না আর কোন অকাজ , গড়ব সুখী,সমৃদ্ধশালী ,মানবতা পূর্ণ সমাজ।

ভালবাসি

 ভালোবাসি   খাদিজা বেগম  ২৯/০৯/২০১৯  ভালোবাসি ভালোবাসি ভালোবাসি যতো বলি ততো ভালো লাগে, বারে বারে ফিরে ফিরে ভালোবাসি এ কথাটি বলার ইচ্ছা জাগে। ভালোবাসি ভালোবাসি ভালোবাসি যতো শুনি ততো চাই যে শুনতে, ভালোবাসার সঙ্গী যদি থাকে দূরে হৃদয় পুড়ে প্রহর হয় গুণতে ।। ভালোবাসি ভালোবাসি ভালোবাসি ভালোবাসার কাছে কত যে ঋণ, ক্ষণে ক্ষণে পৃথিবীর সব রং রূপ বদলায় ভালোবাসা হয়ে রয় যে রঙিন। ভালোবাসি এতো দামী মধুর কথা কে বলেছে? শুনেছে কার অন্তর ,  কে লিখেছে? কে পড়েছে? প্রথম বার কারো কাছে আছে কি তার উত্তর। কোথা থেকে শুরু হলো ভালবাসা? জানি না তো আছে কি না এর শেষ, জানি শুধু ভালবাসা ছিল আছে  ভালোবাসায় দূর হয় যন্ত্রণা ক্লেশ।

স্বাধীনতা

 স্বাধীনতা খাদিজা বেগম ২৩/১২/২০১৯ যাদের ডাকে যুদ্ধে গেলাম  বাংলা মাকে স্বাধীন করলাম, আজকে দেখি তাঁরাই এখন  পরাধীনতাকে করছে সালাম। যাদের ডাকে ঝাঁপিয়ে পড়ে রক্ত সাগর দিলাম গড়ে, আজকে দেখি তাঁরাই এখন রক্ত নিয়ে খেলা করে। যাদের ডাকে উদ্ধার করলাম ভোট অধিকার গনতন্ত্র, আজকে দেখি তাঁরাই এখন চালায় ঘৃণ্য ষড়যন্ত্র। যাদের ডাকে সাড়া দিয়ে মা, বোনদের বিলীন সম্ভ্রম। আজকে দেখি তাঁরাই এখন ধর্ষণকারীর অভয় আশ্রম। যাদের ডাকে এক হয়ে সব স্বাধীনতা করলাম সন্ধি, আজকে দেখি তাঁদের হাতে স্বাধীনতা মোদের বন্দী। শিক্ষিত জন কেঁদে মরে কর্ম খুঁজে বয়সটা শেষ, দক্ষ কর্মীর অভাবে ভাই লক্ষ্যচ্যুত আমার এদেশ ‌। কৃষক শ্রমিক পায় না মূল্য, পুঁজিবাদী করছে গ্ৰাস ,  দেশ প্রেমিকরা হচ্ছে গুম, খুন আজ রাজত্ব করছে সন্ত্রাস। ভেবে ভেবে যুগ কেটেছে এভাবে আর ভাববে কত? মরার আগে এক বার মরো বীর বাঙ্গালী বীরের মতো। জেলের ভয়ে ফাঁসির ভয়ে মিউ মিউ করে না প্রতিবাদী, ভয়ে ভয়ে হয় যে কাতর  স্বার্থবাদী , অপরাধী। জীবন মৃত্যু আল্লাহ হাতে ঈমান ছাড়া কিছুই নাই, অত্যাচারী দমন করতে তবে কেনো মিথ্যে ভয় পাই। আমরা কজন মুক্তি স...

ওহে মানব

 ও হে মানব খাদিজা বেগম ০৩/১০/২০১৯ ও হে মানব, বাঁচাও, বেঁচে থাকার উৎস  নিজেকে নিজে কখনো, ভেবো না আর নিঃস্ব, উদ্যোগী হয়ে জাগো ,উদ্যোগ নেও আজি এই তোমাকে চিনুক ,জানুক সারা বিশ্ব। ও হে মানব,রবে না, অকর্মা,অ-শরমা  নিজে নিজের প্রয়াসে হবে তুমি পরিশ্রমী, টাকায় কেনা যায় না, মান-সম্মান, দাম পরিশ্রমীরা হয়ে উঠে একদিন দামী । অনুশীলন করো স্নেহ,মায়া - মমতা ধর্ম , পবিত্রতা ,ন্যায় নীতি মূল্যবোধ, বিশুদ্ধ চেতনায় জাগাও মনুষ্যত্ব নির্মূল করো সব হিংস্র প্রতিশোধ। চর্চায় রাখো তুমি সুবিচার সুআচার শ্রদ্ধা, ভক্তি, প্রেম ,সুদীক্ষার, সুশিক্ষার। না প্রয়োজন হবে না ,এ জীবনে ভিক্ষার নিজে খুলবে নিজের ,সৌভাগ্যের ঐ দ্বার। শৃঙ্খলার শিকলে বাঁধো নিজেকে নিজে হবে না তুমি কারো অশ্রুর এ কারণ, প্রতিবাদ করো তুমি প্রতিরোধ গড়ো  সকল পাপ কর্মে করো তুমি বারণ। ভালোবেসে হবে তুমি মানবতাবাদী নির্ভর নির্ঝর কাজ করবে সমাজে, হয়ে রবে সংযমী দিবে না উস্কানি অন্যায় কারী হয় অশ্লীল পঁচা, বাজে। ধরো না কু-সঙ্গ করো না তুমি নেশা অন্যজনের প্রতি রেখো না কু-দৃষ্টি, হবে দায়িত্ববান পাবে শীর্ষ স্থান এটাই যেন হয় আমাদের সু-ক...

কালের স্রোতে

 ১৩/০৯/২০১৯ (ক.নং.০৯) কালের স্রোতে খাদিজা বেগম জানি একদিন  সব ছাড়িয়ে আমি যাবো যে হারিয়ে, সেই দিন বেশি দূরে নেই আর তাই প্রস্তুতি নিচ্ছি এবার। কালের স্রোতে ভাসতে ভাসতে যাবো আমি হাসতে হাসতে, এসে গেছে  যাবার খবর গেলে একবার ফিরবো না আর। আল্লাহকে না চিনলে এখন সময় তো আর হবে না মন, মাটির  তৈরি একলা থাকার স্বপ্নে দেখি আমার কবর‌। শ্রেষ্ঠ নবী আমার নেতা মানবো সধায় তাহার কথা, মিথ্যে আমার  সব অহংকার এ পৃথিবী নয় তো আমার। পড়বো নামাজ রাখবো রোজা জান্নাতের পথ হবে সোজা, শুণ্যের উপর বাঁধিয়া  ঘর  মিথ্যে বলি আমার  আমার  খাবো হালাল করাবো দান মেনে চলব হাদীস কুরআন। ছোটদেরকে দেবো আদর বড়দেরকে করবো কদর। বলবো না আর এমন কথা যাতে মানব পাবে ব্যাথা। হবো দুঃখির  স্বপন বাঁচার মুক্তি দেবো পাখি  খাঁচার । করবো না আর কোন কুকাজ যাতে ভেঙে পড়ে সমাজ, মানবো সদা ধর্ম আচার মনে রাখে  শেষের বিচার। জন্ম, মৃত্যু, সম্মান, সম্পদ এর কিছুতে নেই কারো হাত, ঈমান নষ্ট লালসার উপর কাম বাসনা পোষো না আর। মুসলিম আমি নেই কোন ভয় জানি আল্লাহ্ আছে সহায়, কিয়ামতের ঐ শেষ বিচার আল্লাহ্...

বিশ্বা বিবেক

 বিশ্ব বিবেক খাদিজা বেগম ২৩/০৯২০১৯ বিশ্বটা আজ ভরে আছে চরণ চাটা কুকুরে, বিবেক শূন্য মানব গুলো  অন্ধ যে দিন দুপুরে। চাঁদাবাজি টেন্ডারবাজি হর হামেশা চলছে বেশ, নেশায় নেশায় স্বপ্ন মরে যুব সমাজ হলো শেষ। রাঘব বোয়াল অথৈ জলে ধরা ছোঁয়ার কত দূরে, নিত্য ধরি চুনা পুঁটি মানবতা ছাই পুড়ে। বিশ্ব বিবেক জেগে দেখ একবার দেখো না চেয়ে, রাজায় রাজায় যুদ্ধ করে প্রজা মরে না খেয়ে। শাসন নামে শোষণ চলে রোহিঙ্গা হয় প্রজাগণ, রাজ্য নয়তো রাজার সম্পদ রাজ্যের মালিক জনগণ। একবার পেলে রাজ্য হাতে দখল রাখে যুগ যুগে, চোরে চোরে দোস্তি গড়ে   ব্যালট ভরে সুযোগে। বিদ্যালয়ে আজ শিক্ষা নেই হেঁটে চলার নেই ফুটপাত, মানবের নেই সাহস শক্তি অন্যায়ের নেই প্রতিবাদ। সত্য কথা বলতে মানা গণতন্ত্র হীন রাজ্যে, সঠিক পথে চলতে মানা আর কুলায় ধৈর্যে। নিত্য নিত্য মরার চেয়ে বীরের বেশে মরবো আজ, মরার আগে গড়ে যাবো  সুখী সুন্দর এ সমাজ।।

বড়ি যাবো বাড়ি

খাদিজা বেগম  বাড়ি যাবো বাড়ি  মন বলেছে বারে বারে  বাড়ি যাবো বাড়ি যাবো, প্রিয় মানুষ বুকে নিয়ে বুকের জ্বালা সব জুড়াবো। ঈদ মানেই তো আনন্দের দিন  ঈদ মানেই তো সুখের মেলা, ঈদ মানেই তো প্রিয়জনের  আদর সোহাগ সারা বেলা। ঈদে মানেই তো প্রিয় হাতের মজার মজার খাবার খাবো।। ঘরেরে মানুষ পরেরে মানুষ  প্রতিবেশী, আত্মীয় সকল, সবাই মিলে থাকবো খুশি কারো চোখে থাকবে না জল। মান অভিমান ভুলে গিয়ে বুকের সাথে বুক মিলাবো।। গরিব দুঃখীর ঈদের বাজার সাধ্য মত দেবো কিনে, একটি হলেও পারবো সবাই  নতুন কাপড় ঈদের দিনে। হিংসা, নিন্দা ভুলে গিয়ে  মিলনের গান সবাই গাবো।।

কিছু ক্ষত

 কিছু ক্ষত খাদিজা বেগম  কিছু ক্ষত আগের মত  হবে না আর ভালো, ভাগ্যটাকে মেনে নিয়ে  তাই এগিয়ে চলো। মেঘের বাঁধা ভেঙ্গেচুরে  সূর্য যেমন ওঠে, ঝড় জলোচ্ছ্বাস সহ্য করে পিছু নাহি হঠে। তেমনি করে ওঠো তুমি ছড়িয়ে দাও আলো বাঁধা ভেঙে জলের স্রোত  যেমন করে ছুটে। রাতের আঁধার ভেত করে চাঁদ জোছনা নিয়ে ওঠে। তেমনি করে ছুটবে তুমি মনের দুয়ার খোলো।। হাজার দুয়ার বন্ধ হলেও ক্ষতি নেই তাতে, তোমার বিবেক, বুদ্ধি, ভাগ্য সবি তোমার সাথে। হতাশা সব দূর করে দাও আশার আলো জ্বালো।।

দুই লেখনী

 দুই লেখনী খাদিজা বেগম ডানে বামে দুই লেখনী লিখতে আছে তোমার কথা, হুবাহু ঠিক লিখছে তারা ভুল করেও ভুলনা তা।। আহার, নিদ্রা নেই তো তাদের তারা সদা অপেক্ষমান, তোমার বার্তা সংরক্ষণে তাদের দৃষ্টি থেকে নেই ত্রাণ।। ঘাড়ের রগের অধিক কাছে  আছে তোমার সৃষ্টিকর্তা।। দিনে রাতে প্রবৃত্তিতে তোমারে দেয় কুমন্ত্রণা, সরল পথে থাকতে দেয়না থাকলে বাড়ায় খুব যন্ত্রনা। তবু থাক সরল পথে প্রকাশ করো কৃতজ্ঞতা।। শয়তান বলবে প্ররোচিত  আমি কাউকে করিনি তো, লোভ লালসায় ডুবে মানুষ  সত্য থেকে ছিল ভ্রান্ত। তুমি আরও পবিত্র হও মেনে চলো সতর্কতা।।

অগ্নিকুণ্ডে

 অগ্নিকুণ্ডে খাদিজা বেগম  অগ্নিকুণ্ডে পড়ে গেলেও  ভয় করিনা পুড়ে যাবার, সব রক্ষকদের সেরা রক্ষক  রক্ষাকারী আল্লাহ আমার। লোভ লালসা শত্রু আমার  যুদ্ধ করি ওদের সাথে, পা বাড়াই না পাপের পথে  অন্যায় করি না এই হাতে। দান করেছে জ্ঞান বুদ্ধি  সব বিপদে ধৈর্য ধরার।। ভালো মন্দ জানিয়েছেন শিখিয়েছেন হালাল হারাম, তবুও যারা হারাম খাবে  তাদের মনে পাপের ব্যারাম। সব মালিকের সেরা মালিক  শ্রেষ্ঠ মালিক আল্লাহ সবার।। পাপের পথে শান্তি নাইরে  পণ্যের পথে জান্নাতের সুখ, আল্লাহ ছাড়া মাবুদ নাইরে হইসনা মন আল্লাহ বিমুখ। পাপ ছেড়ে আয় পুন্যের পথে  পাইতে হলে আল্লাহর দিদার ।।

কারো পিছে ছুটবোনা

 কারো পিছে ছুটবোনা খাদিজা বেগম  কারো পিছে ছুটবোনা আর  চলবো আমি নিজের মতো, নিজের পথটি গড়বো নিজেই  তাহা হোক না কঠিন যত। আমারও তো আছে বুদ্ধি  তা লাগাবো সঠিক কাজে, বোঝা থেকে সম্পদ হব সুখ ছড়াবো এই সমাজে। উঁচু মাথায় চলবো আমি  করবো না সীর অবনত।। বন্দি থাকা স্বপ্নগুলো  আজ মেলেছে দুটি ডানা, স্বপ্ন ধরে চলবো আমি  শুনবো না আর কারো মানা। ভয় করে না এখন আমার  যুদ্ধ করতে অবিরত।। যুদ্ধ থেকে পালাবো না জীবন যুদ্ধে নেই পরাজয়, জীবন মরণ করবো লড়াই  লড়াই করে বাঁচিতে হয়। চোখের অশ্রু পুড়ে গেছে  ছাই করেছি মনের ক্ষত।।

যারে ভালবেসে

  যারে ভালবেসে খাদিজা বেগম   আমি যারে ভালবেসে  আমার মনটা দিয়ে দিলাম, অবহেলে অনাদরে মনটাকে সে করলো নিলাম।। মন হারিয়ে নিঃস্ব আমি বিশ্বাস করে তাহার কথা, কথা দিয়ে রাখল না সে করলো বিশ্বাস ঘাতকতা। আজ মনে হয় তারে দেখার  আগেই আমি ভালো ছিলাম।। যারে ভালোবেসে আমি  সবার কাছে হলাম দোষী, ভালবাসার নামে সে জন  লুট করেছে আমার খুশি। মুখের হাসি দিয়ে আমি  দুই নয়নের জল কিনিলা।। তাই বলে ভাই এত ভালো বেসো না যে কাউকে কেহো, নিজের ভুলে টেনে চলি আমি আমার মরা দেহো। কেন আমি বিবেকে রেখে  আবেগের কথা শুনিলাম??

কান্দে হিয়া

 কান্দে হিয়া খাদিজা বেগম  তোমার জন্য কান্দে হিয়া  সলিল ঝরে চক্ষু দিয়া  কঠিন কষ্টে আছি আমি  তোমার সাথে প্রেম করিয়া। চোখ বুজিলে ঘুম আসে না  তুমি আমার কাছে আসো, হাত বাড়ালে পাইনা তোমায়  তুমি কেমন ভালোবাসো? জ্বলে পুড়ে মরলাম আমি  মনহীনারে এই মন দিয়া।। তোমার জন্য মন দিওয়ানা  বুঝেও কেন বোঝনা তা? বুকের মাঝে যন্ত্রণা হয় অঙ্গে অঙ্গে প্রেমের ব্যথা। ভালবাসার মলম নিয়া  আসো তুমি বর সাজিয়া।। দুষ্ট দুষ্টু হাসি তোমার  আমার অনেক ভালো লাগে, সারাটা ক্ষন তোমার সাথে  আমার থাকার ইচ্ছা জাগে। আল্লাহ রাসুল সাক্ষী রেখে  তাই তোমাকে করবো বিয়া।।

উদ্যোক্তা

 উদ্যোক্তা খাদিজা খাতুন ইঞ্জিনিয়ার নয় ডক্তার নয় নয় এডভোকেট নয় বিচারক, আমি হব এক উদ্যোক্তা দৃষ্টিভঙ্গির সংস্কারক। বুদ্ধিজীবী চাকরিজীবী  ওসব আমি হবো না তো, পক্ষপাতী ভাল্লাগেনা  করবো না এই মাথা নতো। আমি হব এক ব্যবসায়িক নিয়োগ দেবো হাজারো লোক।। কর্মীরা সব এক পরিবার থাকবো হয়ে আমরা ভাই, বোন, সবার খবর রাখবো আমি  দেখব কাহার কি প্রয়োজন? আমার স্বপ্নের প্রতিষ্ঠানে বেকার ভাই-বোন কে মোবারক।। আমার পাশে থাকবে যারা  আমি খেলে তারাও খাবে, আমি সফল হলে তারাও  সফলতার আংশ পাবে। হৃদয় থেকে শপথ আমার আমি করব না অবিচার।।

ফুল ফুটিলে

 ফুল ফুটিলে খাদিজা খাতুন  ফুল ফুটিলে ভ্রমর আসবে নেবে ফুলের মধু লুটে, ফল পাকিলে পাখি আসবে পাকা ফলের ঘ্রাণে ছুটে। প্রকৃতির এই নিয়ম মেনে  চলছে মানব জীবনধারা, ফুলের চেয়ে মানুষ সুন্দর  মহা জ্ঞানীগুনি তারা। মানব প্রেমে মানব পরবে পথ হারাব না কেউ টুটে।। মেঘের ডাকে বৃষ্টি আসে  ভিজিয়া যায় নদীর পানি, মনের ডাকে মন সাড়া দেয় সূচনা হয় প্রেম কাহিনী। তবু হৃদয় পবিত্র রয় পা বাড়ায় না পাপের রুটে।। উপরওয়ালা ঠিক করেছেন  যে মানুষের জন্য যারে, আজ না হলেও কোন একদিন ধৈর্য ধরলেই পাবে তারে।। প্রেমের নামে কিছু মানুষ নোংরা পশু হয়ে ওঠে।।

রচয়িতা

 রচয়িতা খাদিজা খাতুন  রচয়িতা কি যে দিয়া রচিয়াছে তোমাকে, আমি থাকতে পারি না যে  তোমায় একটু না দেখে। কেন তোমায় ভালো লাগে  ভালোবাসি এতটা? নিজের চেয়েও আরো বেশি  জানি না তা কতটা। তুমি ছাড়া আধার দেখি  আমি আমার দুই চোখে।। জানিনা তো কেন এত  তোমার প্রতি আমার টান, মাঝে মাঝে ভাবি আমি  তুমিই বুঝি আমার প্রাণ। তোমার ছোঁয়া জাদুর মত বশ করেছে আমাকে।। তোমার হাসি ফুলের মত  ছড়ায় মাতাল করা ঘ্রাণ, তুমি যেন আমার জন্য আল্লাহ তাআলার শ্রেষ্ঠ দান। তোমার কথা মধুর মত  আনন্দ দেয় আত্মাকে।।