Posts

Showing posts from January, 2024

বই মেলা

 🇧🇩বই মেলা 🇧🇩 খাদিজা বেগম এই মেলা - শুধুই একটা বই মেলা নয় এ যে লেখক পাঠক মেলা, নতুন নুতান বইয়ের ঘ্রাণে মন করে দেয় পাঠক পাগলা ।। অমর ভাষা শহীদ - রফিক, জব্বার, বরকত,সালাম,শফিক, তাদের প্রাণে কেনা ভাষা ঘ্রাণ ছড়াচ্ছে আজ দিগ্বিদিক। মাতৃভাষা অমূল্য ধন এই ভাষা নয় পুতুল খেলা।। নাম নাজানা কতো জীবন ভাষার জন্য হলো বলি, আমার ভাইয়ের রক্ত দিয়ে ভাষার শত্রু খেললো হলি। আমার ভাইয়ের সেই প্রতিদান প্রতিদিনি দেয় যে দোলা।। ফেব্রুয়ারি ২১ তারিখ ভাষা দিবস করি পালন, মায়ের মুখের মিষ্টি ভাষা শ্রদ্ধার সাথে করি লালন। গর্ভধারী, জন্মভূমি যার নাই বুঝে সে তার জ্বালা।। ২১শের হাত ধরে ধীরে (ধীরে) ৭১ এসেছে বাংলায়, ৯ মাস ধরে যুদ্ধ করে (করে) ডিসেম্বরে এলো বিজয়। এই বই মেলা প্রাণের মেলা বাঙালির প্রাণ হয় উজালা।‌। ভালো বইটা পড়ে পড়ে আলোকিত হবে তুমি, তোমার সেবার অপেক্ষাতে তোমার এই দেশে জন্মভূমি। মন্দ লেখা পড়ে জন তাহার জীবন হবে কালা।। সব লেখকের সেরা লেখক তোমার আমার সৃষ্টিকর্তা, তাহারা বইটা কিনবে আগে অর্থ জেনেই পড়িবে তা। নইলে তোমার শুরু হবে ধীরে ধীরে ধ্বংসের পালা।। এখানে গন, কবিতার বই গল্প, ছাড়ার বই, উপন্যাস, অর্থ...

স্কুল

 স্কুল  খাদিজা বেগম স্কুল থেকে দিচ্ছে ওরা  এখন, শার্ট, প্যান্ট, জুতা, মোজা,  শিক্ষা টারে পণ্য করে   গড়ে তুলছে দেশের বোঝা। আজ এখানে ওখানে ওই  ব্যাঙের ছাতার মত স্কুল, শিক্ষানীতির ভুলের জন্য  এই দেশ কত দেব মাসুল? ছোট ছোট শিশুর পিঠে  কেন বড় বইয়ের বোঝা?? ইস্কুল থেকে কিনতে হবে খাতা, কলম, পেন্সিল ,রাবার, তার কোচিং এ পড়াবে স্যার  নাইবা টাকা থাকুক বাবার। তার হুকুমেই গাইড কিনবে না হলে ফেল করবে সোজা।। ইস্কুল থেকে নৈতিকতা  না শিখিয়ে শেখাচ্ছে কি? শিক্ষা ছিল মেরুদন্ড  দেখো তাহা আছে নাকি? নাকি আবার দুর্নীতিতে  খেয়ে নিলো পেয়ে মজা। ক্লাস টিচারে ফাঁকি দিয়ে  পড়ায় গিয়ে তার কোচিংয়ে, শিক্ষকের এই দুর্নীতিটাই  শিক্ষার নামে যায় ছড়িয়ে। তাইতো বুঝি এ দেশ হলো  দুর্নীতিতে মহা রাজা।।

গরমিল

 গরমিল খাদিজা বেগম  আমি যখন ঘুমাতে চাই  আমার নয়ন জেগে থাকে  আমি যাহা ভুলেতে চাই  এই মন সেটাই মনে রাখে।। আমি যখন ঘুম ভাঙতে চাই  তখন নয়ন ঘুমাতে চায়  যাহা মনে রাখিতে চাই  মন সহজে তা ভুলে যায়। নিয়ন্ত্রণে রাখতে আজো  আমি পারি নাই আমাকে।। মনের মাঝে দেহের মাঝে  মিল অমিল এর খেলা চলে,  তাহার মাঝে বিবেক আবার  ন্যায় অন্যায়ের কথা বলে। এড়িয়ে যায় যে তার বিবেক  সে মাটি দেয় তার সত্যকে।। দেহ মনের মতো করে  সব সম্পর্কে রয় মিল অমিল, সব কিছু ঠিক রাখতে হলে থাকতে হবে খুব সহনশীল। খুব স্বাভাবিক বলে তোমায়  মানতেই হবে কিছু গরমিল।।

কত মাস

 কত মাস  খাদিজা বেগম  তুমি কোথায়, তুমি কোথায়? কোথায় তোমার বসবাস?  কেন তুমি একটি বারো তোমায় কর না তালাশ?? আয়নার সামনে দেখো যারে হাসি মুখে শান্ত চুপ, সেতো তুমি না, তুমি না তোমারি আর এক রুপ। তুমি যখন দেখবে তোমায়  দেখবে একটা মাটির দাস!! টাকার পিছে ছুটতে গিয়ে হারিয়ে ফেলছো সততা, সুখের নেশায় ডুবে আছো  মিথ্যে মিথ্যে অযথা।। সত্য ছাড়া মিথ্যা সবই  তুমি যতই করো চাষ।। দিনে দিনে দিন চলে যায় এই দিন ফিরে আসবে না, তোমায় তুমি না বাসিলে অন্যে ভাল বাসবে না। তোমায় ছাড়া চলবে তুমি  এমনি করে কত মাস?

কাঁদা মাটি

 কাঁদা মাটি খাদিজা বেগম  তোমার আমার হবেনা আর  কথায় কথায় কাটা কাটি,  ইচ্ছে আমার বলবো না আর আমি হব কাঁদা মাটি।। হয়ে থাকব তোমার খেলার  সাজানো এক খেলার মাঠ, তোমার জন্য রঙ ছড়াবো রঙিন করবো পিরিতের হাট। তোমায় সিতল রাখার জন্য  আমি হব শীতলপাটি।। তোমার খুশী কিনব না হয় আমার চোখের জলের দামে, হাজার কষ্ট মেনে নিয়ে রাখবো তোমায় খুব আরামে। সব অধিকার ভুলে গিয়ে  হজম করব শত লাঠি।। সবকিছুতে হ্যা বলিব  না, বলিব  না গো  কভু, সদায় তুমি সুখে থাকো রেগে যেও না গো  তবু। ভেঙে যেন দিও নাগো আমার ভালোবাসার ঘাঁটি।।

জয়ের নিশান

 জয়ের নিশান  খাদিজা বেগম জয়ের নিশান হাতে নিয়ে  আমরা লাখো লাখো যাত্রী, ঘুম-নিদ্রাহীন, অনাহারে  পার হয়েছি শত রাত্রি।। শেখ মুজিবের ভাষণ শুনে  বীর বাঙালি অস্ত্র ধরলো, বাঙ্গালীদের তোপের মুখে পাক হানাদার এদেশ ছাড়লো দেশের প্রেমে প্রাণ হারালো  হাজার হাজার নেতা-নেত্রী দেশের জন্য যুদ্ধ করলো  কৃষক, শ্রমিক, তাঁতি, জেলে, দেশের জন্য বুকের মানিক  কত মায়ে দিল ঠেলে। তাহার পরে সালাম দিল  বাংলা মাকে এই ধরিত্রী।। তার পর আশার সূর্য উঠল আলো পেলাম নয় মাস পরে, বাংলা নামের এই সূর্যটা  জয় করেছি যুদ্ধ করে। স্বপ্নের এই দেশে যত্নে রেখো দায়িত্বশীল হও দেশের প্রতি।।

বঙ্গবন্ধু আর স্বাধীনতা

 বঙ্গবন্ধু আর স্বাধীনতা  খাদিজা বেগম  বঙ্গবন্ধু আর স্বাধীনতা  একই রং এর সুতায় গাঁথা, তার হৃদয়ে প্রথম উড়ে  লাল সবুজের এই পতাকা। ৭ই মার্চে শুনেছিলাম  বঙ্গবন্ধুর যে কবিতা, ডিসেম্বরের ষোল তারিখ  সত্যি হলো তার সবি তা‌। দেশের জন্য বড় সম্পদ  দেশ প্রেমিকদের আজ একতা‌‌।। এই বিজয়ের সঙ্গী ছিল  অগণিত মা-বোনেরা, স্বাধীনতার পরেও কেন  ধর্ষিত হয় আজও তারা?? পুরুষ নামে কাপুরুষ সে  যে বুঝেনা নারীর ব্যথা।। নারী-পুরুষ সবার এই দেশ এই দেশেতে সবাই স্বাধীন, নারী-পুরুষ সবাই ঋণী শোধ হবে না শহিদ এর ঋণ। আমরা সবাই দেশের সন্তান আমাদের দেশ সবার মাতা।।

বঙ্গবন্ধু আর বাংলাদেশ

 বঙ্গবন্ধু আর বাংলাদেশ  খাদিজা বেগম  ঝড়ের চেয়েও অরো বেশি বঙ্গবন্ধুর সাহসীকতা, সেই সাহসে এনে দিল  আমাদের এই স্বাধীনতা।। তার হৃদয়ে ঠাই দিয়েছে নিপীড়িত জনতাকে, তাই তো লাখো লাখো যোদ্ধা  যুদ্ধ করলো তারই ডাকে। মহাসিন্ধুর চেয়ে বড়  তার মমতার গভীরতা।। প্রতিবাদী হয়ে, মোদের  শিখিয়েছে এই প্রতিবাদ, ভেঙ্গে যেন ফেলি মোরা  দুর্নীতির সব বিষাক্ত দাত। দেশের জন্য প্রণ বিলাব  প্রয়োগ করবো কঠোরতা।। তার মমতায় বেঁধেছে সে  এই বাংলাদেশ আর বাঙালি, এই দেশিতে সবাই রাজা  থাকবে না কেউ আর কাঙালি। দেশের তরে রাখতে হবে  হৃদয় ভরে নৈতিকতা।।

হারিয়ে গেলাম

  হারিয়ে গেলাম খাদিজা বেগম  পথের খোঁজে পথে পথে  সরল পথের জন্য ঘুরি, পাথ না পেতেই হঠাৎ দেখি  আমি হয়ে গেলাম চুরি। পথের মাঝে পথ হারালাম  আজ হারিয়ে গেলাম আমি, কোনটা রেখে কোনটা খুজি কোনটা অনেক বেশি দামি। আমায় আমি কোথায় পাবো  এখন আমায় খুঁজে মরি ?? আমায় যদি না পাই আমি সরল পথটি পাবো না তো, আমায় খুঁজে পেতেই হবে তাতে কষ্ট হোক না যতো। নিজের খবর নিজেরই নাই  কিসের এতো বাহাদুরি??  না খুজিলে আমি আমায় আমায় ছাড়া খুঁজবে কে আর? আমি ছাড়া এই পৃথিবীর  নেই তো আমার কোন দরকার! আমায় আমি না পাই যদি ধ্বংস হবো পুরোপুরি।

মরে গেলাম

 মরে গেলাম খাদিজা বেগম  মরে গেলাম, মরে গেলাম তোর প্রেমেরি পিপাসাতে, আমার জীবন মরণ সবি এখন যেন তোরি হাতে। তোর প্রেমেরি রোগেরোগে আমি হলাম প্রেমের রুগি, মনের মাঝে জ্বলে পুড়ে  প্রেম বিহনে আমি ভুগি। তোরে ছাড়া একলা একলা  ঘুম আসে না আঁখি পাতে।। একটু আমায় ছুঁয়ে দিলে  নামতো মনে আনন্দ ঢল, হাসি মুখে বললে কথা  মুছে যেতো নয়নের জল। খলখলাইয়া হাসতো এই মন নাচতো হৃদয় দিনে রাতে।। তুই যে আমার সুখের রাজ্য তোরে ছাড়া আমি শূন্য, বেঁচে আছি তোর আশাতে তোরে সাথী করার জন্য। চাই না কিছু পৃথিবীতে ও তুই থাকিস যদি সাথে।।

যার বাড়ি ঘর

 যার বাড়ি ঘর খাদিজা বেগম  যার বাড়ি ঘর সেই যদি তার  যত্ন না নেয় নিজের হাতে, তার নিচে সে চাপা খাবে  ধ্বংস হয়ে যাবে তাতে। পাপ নামের এই ঘুণ পোকাতে গোপনে খায় তোমারি ঘর, কোন নেশাতে ডুবে আছো  কেন রাখো না সেই খবর? পাপের পোকা না তাড়ালে  হবে তোমায় খুব পস্তাতে।। ন্যায়-অন্যায় দেখার পরেও  থাক যদি আজ না দেখে, দেহ নামের ঘর খাবে কাল হাজার পাপের মসলা মেখে । সত্য সবার অমূল্য ধন  তা বেচনা কেউ সস্তাতে।। নিজের কাজে ফাঁকি দেয় যে সেই তো পড়ে নেজের ফাঁদে, পরের জন্য খাদ ক্ষুরিলে   সেই তো পড়বে নিজের খাদে।  তোমারি কাজ কর তুমি  অটল সত্য নয়ের সাথে।।

দুই কৃষকে

 দুই কৃষকে খাদিজা বেগম দুই কৃষকে ঝগড়া করে  তাদের জায়গা জমি নিয়ে, এক কৃষকে ঝগড়া মিটায় জমির মাঝে আইল দিয়ে। তাই দেখে সব আইল্লা, বদলা  বড় দুঃখ পেলো মনে, কাজের ফাঁকি দিতো ওরা ঝগড়া বাঁধলে ক্ষণে ক্ষণে। ঝগড়া বিবাদ না থাকিলে তদারকি করে গিয়ে।। আইল্লা বাদলা সবাই মিলে  ষড়যন্ত্র করে রাতে, কোন আইল রাখবে না আর  মালিকদের ঐ কৃষি ক্ষেতে। এবার বাঁধলো মারামারি  মালিক গেল পুলিশ নিয়ে।। কাজ জোটে না, ভাত জোটে না  আইল্লা বদলা কান্দে ক্ষুধায়, পরের ক্ষতি করবে যারা  তাদের বিচার করবে খোদায়। আর করবে না কারো ক্ষতি  কান্দে মাথায় দুই হাত দিয়ে ।।

দ্বিতীয় বার

 দ্বিতীয় বার খাদিজা বেগম আমি তোমায় প্রথম যেদিন  দুই নয়নে দেখেছি, বক্ষ মাঝে কক্ষ গড়ে  খুব যতনে রেখেছি।। তোমার কথার নেশায় আমায় পথ ভুলিয়ে দিয়েছ, বাবরি কাটা কোঁকরা চুলে  আমার এই মন নিয়েছ। শ্যামলা বরণ তোমার ঐ মুখ  এই হৃদয়ে এঁকে ছি।। তুমি যখন হেঁটে চলো চুলগুলো রয় দুলিতে, আমার কি আর সাধ্য আছে  তোমার ও রূপ ভুলিতে। তাইতো আমি তোমার ভেবে  গান, কবিতা লিখেছি।। দ্বিতীয় বার হয়নি দেখা  তোমার সাথে কখনো, আমার এই মন মনে মনে তোমায় খুঁজে এখনো। কষ্ট নিয়ে বেঁচে থাকা  তোমার কাছেই শিখেছি।।

কথার যাদু

 কথা যাদু খাদিজা বেগম  কথার জাদু বড় জাদু  এই জাদুতে মন চুরি হয়, কথার মধু সেরা মধু এই মধুতে হয় যুদ্ধ জয়।। কথার মায়া বড় মায়া যায় না ছেড়া এই মায়া জাল, এই জালেতে যে ফেঁসেছে  বন্দী থাকে সে চিরকাল। কিছু লোকের মুখের কথায়  সাপের চেয়েও বিষ বেশি হয়।। দিবানিশি চর্চা করো সরল, সুন্দর, সত্য কথার, তোমার কথার কারণ যেন হয় না কারো কোন ব্যাথার। তুমি তাকে এরিয়ে যাও যাহার কথা যন্ত্রণাময়।। ভেবে চিন্তে নিয়ো তুমি  তোমার কথা বলার আগে, কথা অস্ত্র বড় অস্ত্র   অনেক কথায় যুদ্ধ লাগে। রুক্ষ কথায় বক্ষ ভেঙ্গে ঘা কর না কারো হৃদয় ??

সেই রোমিও

 সেই রোমিও খাদিজা বেগম  তোমার চলার সঙ্গী করে  আমার হাতটা ধরে নিও, তোমারা বসার পাশে আমার  বসার জায়গা করে দিও। তোমার নদীর বুকে আমায়  উর্মি হয়ে ভাসতে দিও, মন জুড়ানো ফুল বাগানে  ভোমরা হয়ে বসতে দিও। ভুল করেও কভু যেন তুমি আমায় না ভুলিও।। সেই তো কবেই মন দিয়েছি  আনা আনা গুনে সবি, তোমায় নিয়ে মুগ্ধ হয়ে  আমি দিবানিশি ভাবি। তুমি আমার, আমার চেয়েও  অনেক, অনেক বেশি প্রিয়।। যত্ন করে রাখবো তোমায়  আমার সকাল বিকাল জুড়ে, এই হৃদয়ের প্রেম চাদরে  রাখবো ভালোবাসায় মুরে। যে তোমাকে রাখবে ভালো  আমি তোমার সেই রোমিও ।।

তোমায় খাবে গিলে

 তোমায় খাবে গিলে খাদিজা বেগম  তোমার ভিতর জেগে ওঠা লোভ গুলোকে আশ্রয় দিলে, ধীরে ধীরে হিংস্র হয়ে  একদিন তোমায় খাবে গিলে।। অভিনন্দন জানাও তুমি  অন্য লোকের সফলতায়, দুঃখ প্রকাশ করো তুমি  অন্যের রোগে, শোকের ব্যথায়। অন্যের সুখে হাসো তুমি কাঁদো তুমি কেউ কাঁদিলে।। অন্যের জন্য নিজের ভেতর রাখো যদি আক্রোশ পুষে, দিবানিশি খাবে তোমায়  হয়নার মত সেই আক্রোশে। ধ্বংস হবে, অন্যের দোষে  নিজের ভিতর রাগ পুষিলে।। ছোটখাটো ভুলগুলোকে  যাও এড়িয়ে দাও মাফ করে, সবার জন্য ভালোবাসা  পুষে রাখো ওই অন্তরে। বিবেক-বুদ্ধি খায় না যেন  তোমার, লোভ-লালসায় মিলে!!

জ্ঞানী আর মূর্খ

 জ্ঞানী আর মূর্খ খাদিজা বেগম  মূর্খ মানুষ নিজের শত্রু অন্য শত্রু লাগেনা তার, ভুলের পরে ভুল করে যায় পাপের পথে ছুটে বারবার।। অন্য লোককে কাঁদিয়ে সে  মূর্খ বলেই সুখে হাসে, অন্যায় করে করে মূর্খ  পরিণত হয় জিন্দা লাশে। লোক ঠকিয়ে লাভ খোঁজে সে  প্রতারণায়ই পেশা তাহার।। মূর্খ মানুষ ভীত হয় খুব দুঃখের ভয়ে করে চুরি, ভিক্ষা করে দ্বারে দ্বারে  দেখায় মিথ্যা বাহাদুরি। জ্ঞানী লোকে পরিচয় দেয় কাজে কর্মে তার সততার।। মিথ্যাটাকে পুঁজি করে  মূর্খ লোকে ছড়ায় কালো, সত্যটিকে পুঁজি করে জ্ঞানী লোকে ছড়ায় আলো। লোকের ক্ষতি করে করে  মূর্খ গড়ে পাপের পাহাড়।। অন্যের ক্ষতি করবে যারা  তারাই বড় ক্ষতিগ্রস্ত, সময় থাকতে শুধরে চলো সরল পথে আসো দোস্ত। মানুষেরে ভালবাসলে  ভালোবাসা পাবে স্রষ্টার।।

মেঘের মত ভাসবো

 মেঘের মত ভাসবো ☁️ খাদিজা বেগম  আকাশ হয়ে থাকো যদি  আমার সুখে-দুঃখে, মেঘের মত ভাসবো আমি  সেই আকাশের বুকে।। ছায়া হয়ে থাকো যদি তুমি আমার সনে, সেই ছায়াতে মিশে যাবো  আমি ক্ষণে ক্ষণে। তোমার মাঝে সব হারিয়ে থাকবো আমি সুখে।। আমার হয়ে থাকো যদি তুমি আমার সাথে, সুখের রাজ্য পেয়ে যাবো তাতেই আমার হাতে। দুঃখগুলো উড়ে যাবে সুখ ফুটবে এই মুখে।। বৃক্ষ হয়ে থাকো যদি  আমার ফুল বাগানে, পাখি হয়ে গাগ শোনাবো  মন ভরাবো গানে। তোমায় নিয়ে স্বপ্নে বিভোর  আমার এ মন উৎসুক।।

কোরআন পড়ো

 কোরআন পড়ো খাদিজা বেগম  কোরআন পড়ো কোরান পড়ো  বারে বারে কোরআন পড়ো,  তারপরেও কোরআন পড়ো অর্থ জেনে কোরআন পড়ো।। কোরআন পড়লে তুমি তোমার  রক্ষা করতে পারবে সম্মান! তুমি ছাড়া তোমাকে কেউ  করতে পারবে না অপমান। সততা আর স্বচ্ছতাতে তুমি তোমার জীবন গড়ো।। পড়লে কোরআন দেখতে পাবে  জাহান্নাম আর সুখের জান্নাত, তোমার হাতের কোন কর্মই   সেথায় হবে না তো বরবাদ। আগুনে না পুড়তে চাইলে অন্যায় থেকে তুমি সরো।। স্রষ্টার হুকুম না মানিয়া  তুমি হইয়ো না পথ ভ্রষ্ট, স্রষ্টার হুকুম মানে যে জন  সেই তো সবার চেয়ে শ্রেষ্ঠ। অর্থ, স্বার্থ, বিত্ত ছেড়ে স্রষ্টার আদেশ মান্য করো।।

স্বাদ জেগেছে

 স্বাদ জেগেছে খাদিজা বেগম  যখন থেকে তোমায় দেখার  স্বাদ জেগেছে দুই নয়নে, তখন থেকেই খুজচ্ছি তোমায়  দিনে রাতে প্রতি ক্ষণে। চোখ বুজিলে পাই তোমাকে  তুমি আছো অনুভবে, চোখ মেলে আর পাই না তোমায় লুকোচুরি কেন তবে? অস্থির আমার এই দেহ মন  দেখা করতে তোমার সনে।। মাঝ রাতেও খুজি তোমায় হঠাৎ করে ঘুম ভাঙ্গিলে, এই আশাতে কান্দি তখন যদি তোমায় পাই কান্দিলে। না দেখলেও এই নয়নে  তোমায় দেখি আমার মনে।। বাতাসে পাই তোমার ছোঁয়া  ফুলের মাঝে পাই তোমার ঘ্রাণ, তুমি ছাড়া নিঃস্ব আমি  আমারি যা তোমারি দান। আসবে বলেই ডাকছি তোমায়  শেষ নিশিতে খুব নির্জনে।।

চন্দনা

 চন্দনা  খাদিজা বেগম  তোমায় কতো ভালোবাসি  চন্দনা রে ও চন্দনা, হাজার ভাষার লিখে দিলেও শেষ হবে না তার বর্ণনা।। বলছি তারে বারে বারে  ভালবাসি ভালবাসি, তার উত্তরে সে দেয় শুধু  এই প্রাণ কেড়ে নেয়া হাসি। মধুর চেয়েও মিষ্টি লাগে  ভালোবাসার এই যন্ত্রনা।। আপসে মন পাওয়ার জন্য  তোমার দ্বারে দ্বারে ঘুরি, ভালোবাসায় জোর খটেনা  করবো না তাই জোরাজুরি। আজ না হলেও কাল পাব মন  এটাই আমার খুব সান্তনা।। তার ভাবনায় মন হয়ে যায়   দিবানিশি উদাস উদাস, আমার এ মন খুজছে এখন  তার ভিতরে সুখের আবাস। এই অন্তরে বসত করে সেই তো আমার প্রেম চন্দনা।।

মানব জীবন

 মানব জীবন খাদিজা বেগম  আল্লাহ তোমার, তুমি আল্লাহর  এর মাঝে ভাই আর কিছু নাই, মাটির কায়া মাটি হবে  আল্লাহ ছাড়া নাই তোমার ঠাঁই।। তোমার কাছে আছে যাহা  হাত, পা, চোখ, কান, তার আমানত, সুন্দর মুখ আর লজ্জা স্থান কভু করো না খিয়ানত। জবাবদিহি করতে হবে খুব সাবধানে পা ফেল তাই।। তার হুকুমের বাইরে যাওয়া  শয়তান ছাড়া আর কার সাজে? দূরে থাকো কুকাজ থেকে হাত দিওনা পাপের কাজে, অশ্লীল কথা বলোনা আর  অসৎ পথে চল না ভাই।। মিথ্যে মায়ার এই পৃথিবী  তোমায় আমায় ছাড়তে হবে, কিসের আশায়, কিসের নেশায়  পাপের পথে কেন তবে? অল্পদিনের মানব জীবন  পাপে পুড়ে করো না চাই।।

যাদু ঘরে থাকবে

 যাদু ঘরে থাকবে খাদিজা বেগম  যাদু ঘরে থাকবে একদিন  কাঠের পিড়ি, পাটের সিঁকা , গোরুর গাড়ি, মাটির হাঁড়ি  হারিকেন আর খেয়া নৌকা।। দোয়াত-কালি, পালকি, ঢেঁকি হাতের লেখা চিঠি পত্র, পায়ের খড়ম, হাতের রুমাল পিতল, কাসা, মাটির পাত্র। হ্যাজাক লাইট আর বায়োস্কোপ আরও থাকবে কাঠের চাকা।। লাঙ্গল-জোয়াল, মাটির মাইট পানি সেচের পাত্র ডোংঙ্গা, হাতে তৈরি উলের বস্ত্র কাগজের খাম, খেলনা, ঠোংঙ্গা যাদু ঘরে দেখবে লোকে মন জুড়ানো তালের পাখা।। বেতের ধামা, চটের ব্যাগ কেরোসিনের কুপি, চুলা, হুক্কা, যাতা,দস্তরখানা বাঁশের তৈরি চালনি, কুলা। মায়ের হাতের মজার পিঠা,  দুধ, কলা, ভাত যত্নে মাখা।।

ভুলেনা মন

 ভুলেনা মন খাদিজা বেগম  ভুল করে ও ভুলেনা মন  একটি দিনও ভুল করিতে, একটু সুযোগ দেয় না আমায়  ত্রুটি গুলো সব ধরিতে। আমার দুই চোখ ব্যস্ত থাকে  ভুল ধরিতে অন্য লোকের, আমারি ভুল দেখে না চোখ  কি হয়েছে আমার চোখের? চোখ থাকিতে আমি কেনো আমায় পারি না দেখিতে?? পথ ভুলিয়ে যাচ্ছে নিয়ে  আমার এ মন আমাকে, আবোল তাবোল বুঝ দিয়ে সে  আমায় ভুলের মাঝেই রাখে। ভুলের দেয়াল ভেঙে চুরে  কেন পারি না সরিতে?? এত এত ভুলের বোঝা  আমি বইতে পারিনা আর, অনুতাপে তপ্ত এ মন পুড়ে পুড়ে হলো আঙ্গার। সঠিক পথে বাঁচিতে চাই  সঠিক পথেই চাই মরিতে।।

হাসতে হবেই

 হাসতে হবেই  খাদিজা বেগম  মায়ের বকাও পারতো না তো হাসি মুছতে এই মুখ থেকে, বেশি হাসি তার কারণেই বকা দিত মা আমাকে।। মা,, কতদিন হয় হাসি না  আগের মত হৃদয় খুলে, মাঝে মাঝে মনে হয় খুব আমি হাসতে গেছি ভুলে। এখন আমার কষ্ট হলেও  হাসতে হবেই তাকে দেখে।। প্রথম যেদিন ডিম ভেজেছি দেইনি তাতে লবণ কোনো, তবু বাবা বলেছিল  অমৃত স্বাদ পেলাম যেনো। এখন ভালো রাঁধী তবু সে চলে যায় খাবার রেখে।। কত কথার খই ফোঁটাতাম  শোনতো বাবা নিজে থেকে, এখন আমি মুখ খুলিনা  থাকি শান্তি বজায় রেখে। অভিনয়টাও শিখে গেছি নিত্য নতুন নাটক দেখে।।