Posts

Showing posts from October, 2022

সেরা মাজার

 সেরা মাজার খাদিজা বেগম  সব মাজারের সেরা মাজার  আমার দয়াল নবীর মাজার, সেই মাজারে নেই তো কোনো দান দক্ষিণা টাকার কারবার। ঘামে ভেজা কষ্টের টাকা  আর দিও না কেউ মাজারে, আল্লাহর কাছে সে তো ভালো যে ভালো তার পরিবারে। যত পারো যত্ন করো খেয়াল রাখো নিজ বাবা মার।। সবার দোয়া হোক বা না হোক  মায়ের দোয়া হবে কবুল, বাবা-মাকে ব্যাথা দিয়ে কখনো কেউ করোনা ভুল। আল্লাহর সাথে হইবে শিরেক মানত করো যদি মাজার।। সব পাপিরা মাফ পেলেও শিরেক কারি পাইবে না মাপ, সত্য বানী শোনার পরেও  করো না আর শিরেকের পাপ। অসুস্থকে সেবা করো  অনাহারী কে দাও খাবার।। মাজারে যে মরা দেহ  তার নাই কোন টাকার দরকার, বোকার চোখে ধুলা দিয়ে  ভন্ড গড়ে টাকার পাহাড়। বিবেক নিয়ে দেখ চেয়ে  ছেড়ে আসো ওই অন্ধকার।‌।

আছে এক রব

 আছে এক রব খাদিজা বেগম মসজি, মন্দির আর প্যাগোডায়  সব জায়গায় পাই তার অনুভব, রাস্তাঘাট, ঘর, বাড়ি অফিস সব স্থানেই আছে এক রব। যে দেখেছেন নিজের মালিক  ন্যায় বিচারক দয়াময় কে, পবিত্র পথ পেয়েছে সে  জয় করেছে সকল ভয় কে। তাহার কাজে মানব মাঝে  ছড়িয়ে যায় শান্তির সৌরভ।। সে জন শুধু বর্জন করে  অর্জন বলে কিছু নেই তার, নিজের সাথে লড়াই করে  ধ্বংস করে লোভ লালসার। তার মাঝে পাবে খুঁজে  শুধু গোলাম হবার গৌরব।। কুমন্ত্রণা কারী ওই মন কুমন্ত্রণা দেয় সে যখন, ভেবেচিন্তে করে কর্ম আরে দেখে হাসে তখন। সে পারেনা অন্যায় করতে বাঁধা দেয় তার ন্যায়ের প্রভাব।।

কতদিন

 কতদিন খাদিজা বেগম  কতদিন হয় হয়নি দেখা  শুনেনি ঐ মুখের কথা, কতরাত হয় ঘুমায় না চোখ মনে উথলে ওঠে ব্যথা। তুমি আসবে বলে বলে বছরের পর বছর গেলো, দুই নয়নে শ্রবণ হয়ে  ঝরে পরে আশা গুলো। আজো তুমি আসলে না গো সময় বয়ে যায় অযথা।। আমি করি তুমি তুমি তুমি করো টাকা টাকা, তুমি ছাড়া ভাল লাগেনা থাকতে পারি না আর একা। তুমি আমার সুখের মানুষ এই হৃদয়ের প্রণয় দাতা।। তোমার সাথে ঘর বাঁধি লাম সুখে দুঃখে থাকবে পাশে, সেই তুমি আজ কত দূরে দেখা হয় না বার মাসে। সঙ্গ পেতে অঙ্গ জ্বলে বুঝাইলে মন বোঝনা তা।।

আর পারিনা

 আর পারিনা খাদিজা বেগম  আর পারিনা টেনে নিতে  আমি আমার মরা দেহ, মাটি দিয়া দেনা আমায় একটু দয়া কর না কেহ। বন্ধুয়ারে মন দিয়েছি  মনে প্রাণে ভালবেসে, সেই বন্ধুয়া মন ভাঙ্গিয়া  চলে গেছে অন্য দেশে, ছলে বলে লুট করিয়া  নিলে গেছে সোনার দেহ।। জিন্দা থাকতে মরে গেছি  আমি তারই প্রেমে পড়ে, তাইতো আমার দেহের মাঝে অবুঝ এই মন ছটফট করে । দেহ রেখে এই মনটারে  করে গেছে সে জবেহ।। আমারে সে ভোগ করেছে ভালবাসার ঐ নাম করে, আমায় আমি পারিনিতো শুদ্ধ করে রাখতে ধরে। বেঁচে আছি না মরেছি  মাঝে মাঝে হয় সন্দেহ ।।

অভিযোগ নাই

 অভিযোগ নাই খাদিজা বেগম  অভিযোগ নাই অনুযোক নাই শুধু তোমার কাছে মাফ চাই, আমি আমার নিজ দায়িত্ব  পালন করতে পারি নাই সাই। ধৈর্যের জায়গায় রাগ করেছি সত্যের জায়গায় বলছি মিথ্যা, তোমার আদেশ না মানিয়া  বলছি মুখে রুক্ষ কথা। করুনার ওই দৃষ্টি দিও আমি তোমার করুণা চাই।। বুদ্ধিদীপ্ত মেধা পেলাম  সুস্থ সবল দেহ পেলাম, তবু তাহার সদ্ব ব্যবহার  কোনদিনও না করিলাম। ক্ষমা ছাড়া তোমার কাছে আমার কিছুই আর চাওয়ার নাই।। আমার দোষে আমি দোষী পাপে পাপে গেছি ফাঁসি, ক্ষমা পেতে হাত পেতেছি অনুতাপের জলে ভাসি। ভুল করেছি অনেক বেশি মাফ করে দাও আমারে সাঁই।।

অগ্নি কথায়

 অগ্নি কথায় খাদিজা বেগম অগ্নি কথায় দগ্ধ করছো  কতজনের কত হৃদয়, সেই কথা কি ভেবেছো মন নির্ঘুম রাতের কোন সময়। কত জনকে দিয়েছো তুমি  পশুর মত হিংস্র হুংকার? কতজনার অভিশাপে  অভিশপ্ত জীবন তোমার ? সঠিক পথে ফিরে এসো সৃষ্টিকর্তা ডাকছে তোমায়। চলছে কি মন এই অন্তরে সবি জানে অন্তরযামী, বলছো কি আর করছো কি কাজ? দায়িত্বটা নয় পাগলামি। শেষ বিচারে সাক্ষী হবে তোমার সাথের হাতে পায়।। যে সময়টা আজ চলে যায় কালকে তাহা পাবেনা আর, বুঝে শুনে কারো তুমি সব সময়ের সৎ ব্যবহার। সত্যিকারের মানুষ হলে  কার্মে মিলে তার পরিচয়।।

এমন একটা স্বপ্ন

 এমন একটা স্বপ্ন খাদিজা বেগম  এমন একটা স্বপ্ন দেখি  তুমি আমি মুখোমুখি, তোমায় দেখার ভাবনা নিয়ে  আমি সদায় থাকি সুখী। তুমি স্রষ্টা আমি সৃষ্টি  এর চেয়ে নাই আর বড় সুখ, কখনো যে ভুলে না যাই  না হই আমি সত্য বিমুখ। অন্য জনের দুঃখ দেখে  আমি হই যে সমদুঃখী।। তুমি ডানে আমি বামে  থাকবো একদিন পাশাপাশি, সেই ভাবনা ভেবে ভেবে যখন তখন একলা হাসি। তাইতো হাজার অসুখ হলেও  হই না আমি আর অসুখী।। তুমি রহিম হে রহমান  সবার উপর তোমার সম্মান, তোমারে যে ভুলে যাবে বাড়বে শুধু তার অপমান। সকাল সন্ধ্যা তোমার সিজদায় যেন গর্দান পেতে রাখি।।

ছোট ছোট দুচোখ

 ছোট ছোট দুচোখ খাদিজা বেগম  ছোট ছোট দুচোখ আমার  যেন বড় বড় নদী, বাঁধ ভেঙেছে চোখের জলে  কি দিয়ে এই অশ্রু বাঁধি। দোষ দিওনা আমায় তুমি বাঁচবো না গো তোমায় ছাড়া, একটু দূরে থাকলে তুমি  আমায় মৃত্যু করে তাড়া। তোমাকে খুব ভালবাসি  তাই হারানোর ভয়ে কাঁদি।। অন্য কারো জন্য নয় তো  তুমি শুধু এই বরাতে, বিধির কাছে এই প্রার্থনা  তোমায় হয় না যে হারাতে। ভুবন ছেড়ে চলে যাব  কভু তোমায় হারাই যদি।। কেমন করে বুঝাবো গো তোমায় কত ভালবাসি,  তুমি যদি হারিয়ে যাও  আমি হব কবরবাসী। তুমি ছাড়া দিশেহারা   এ মন হয়ে যায় উন্মাদী।

মন মরা মন

 মন মরা মন খাদিজা বেগম  মন মরা মন পেলো জীবন ওগো তোমার ছোয়াতে, জান্নাতের সুখ পাওয়া হলো  ওগো তোমায় পাওয়াতে। তুমি আমার অমূল্য ধন রাখবো তোমায় যতনে, কেউ না যেন দেখে তোমায়  রাখবো বুকে গোপনে। দেখব তোমায় বারে বারে   হাজারো অজুহাতে।। আমি ছিলাম মরা নদী  তাতে ছিল বালুচর, এখন দেখো বইছে জোয়ার পেয়ে তোমার প্রেম আদর। নিঃস্ব  ছিলাম একলা আমি  সঙ্গি হলে দিন রাতে।। সব চাওয়া আজ পূর্ণ হলো  পাগল হইলাম খুশিতে, কারো নজর লাগে না যে এই আনন্দ হাসিতে। আর কখনো হয়না যেন  ওগো তোমায় হারাতে।।

পুরুষ

 পুরুষ খাদিজা বেগম এক পুরুষের ঔরস থেকে  এসেছি এই দুনিয়াতে, আর এক পুরুষ ভালবেসে  আশ্রয় দিলো তার জান্নাতে। দুই পুরুষকে গর্ভে ধরে  আমি হলাম মা জননী, পুরুষ ছাড়া বন্ধ হবে একে একে সব কাহিনী। তবু কেন হৃদয় ভাঙে  সেই পুরুষের বদ আঘাতে?? পুরুষ আমার জন্মদাতা  পুরুষ আমার প্রাণের স্বামী,  পুরুষ আমার গর্বের মানি  পুরুষ ভালবাসি আমি। তবু কেন মন পুড়ে যায় তার বিরহে নির্ঘুম রাতে।। এক পুরুষের জন্য আমি  রক্তের বাঁধন রেখে আসি, আর এক পুরুষ আদরে ভাই যারে দেখলে ফুটে হাসি। তবু কিছু পুরুষ মানুষ নারী খেকো এই জগতে।।

ওহে মানব

 ও হে মানব খাদিজা বেগম ০২/১০/২০১৯ ও হে মানব বাঁচাও, বেঁচে থাকার উৎস  নিজেকে নিজে কখনো, ভেবো না আর নিঃস্ব, উদ্যোগী হয়ে জাগো ,উদ্যোগ নেও আজি এই তোমাকে চিনুক ,জানুক সারা বিশ্ব। ও হে মানব,রবে না, অকর্মা,অ-শরমা  নিজে নিজের প্রয়াসে হবে তুমি পরিশ্রমী, টাকায় কেনা যায় না, মান-সম্মান, দাম পরিশ্রমীরা হয়ে উঠে একদিন দামী । অনুশীলন করো স্নেহ,মায়া - মমতা ধর্ম , পবিত্রতা ,ন্যায় নীতি মূল্যবোধ, বিশুদ্ধ চেতনায় জাগাও মনুষ্যত্ব নির্মূল করো সব হিংস্র প্রতিশোধ। চর্চায় রাখো তুমি সুবিচার সুআচার শ্রদ্ধা, ভক্তি, প্রেম ,সুদীক্ষার, সুশিক্ষার। না প্রয়োজন হবে না ,এ জীবনে ভিক্ষার নিজে খুলবে নিজের ,সৌভাগ্যের ঐ দ্বার। শৃঙ্খলার শিকলে বাঁধো নিজেকে নিজে হবে না তুমি কারো অশ্রুর এ কারণ, প্রতিবাদ করো তুমি প্রতিরোধ গড়ো  সকল পাপ কর্মে করো তুমি বারণ। ভালোবেসে হবে তুমি মানবতাবাদী নির্ভর নির্ঝর কাজ করবে সমাজে, হয়ে রবে সংযমী দিবে না উস্কানি অন্যায় কারী হয় অশ্লীল পঁচা, বাজে। ধরো না কু-সঙ্গ করো না তুমি নেশা অন্যজনের প্রতি রেখো না কু-দৃষ্টি, হবে দায়িত্ববান পাবে শীর্ষ স্থান এটাই যেনো হয় আমাদের সু-ক...

আজো বাজে

 আজো বাজে খাদিজা বেগম  আজও বাজে ওই যুদ্ধের ঢাক তোদের হৃদয় দিয়ে শোন, আজও করে আহাজারি  তোদের, সম্ভ্রম হারানোর বোন।। আজও যুদ্ধ শেষ হলো না  তোরা কোথায় মুক্তি সেনা? ধর্ষণ কারী আর চাঁদাবাজ  এখনই শেষ করে দেনা! আজও চলে এই বাংলাতে  শাসনের নাম ধরে শোষণ। জেগে ওঠো এখনই আজ  শপথ করো দেশ বাঁচাবার, দেশের শ্রম দেশের টাকা  আজও ওরা করে পাচার। স্বাধীনতা রক্ষা করতে  নীতিবান হওয়া খুব প্রয়োজন।। অফিসে আর আদালতে  আজ দুর্নীতির ছড়াছড়ি, এখনি আয় আয় ছুটে আয় দেশ বাঁচাতে তাড়াতাড়ি। দলে দলে আসে সন্ত্রাস চুষে খেয়ে যায় জনগণ।।

সত্য বল

 সত্য বল খাদিজা বেগম  সত্য বল সত্য বল সত্য বল সত্যের পক্ষে, সত্য বল যায় যদিও  তাহা নিজের এই বিপক্ষে। মিথ্যা তোমায় ধ্বংস করবে  সত্য বললে মুক্তি পাবে, সত্যবাদী হবে যারা  তারা স্রষ্টার দেখা পাবে। সত্য ছাড়া পারবেনা কেউ কেউ পাবে না কোন রক্ষে।। আপন জনা বন্ধু-বান্ধব সত্য ছাড়া পর হবে সব, সত্য তোমার আসল সম্পদ সত্য ছাড়া পাইবা না রব। কুমন্ত্রণা ঝেড়ে ফেলে  সত্য পুষে রাখো বক্ষে।। সত্য কথা বলতে কষ্ট শুনতে কষ্ট আরো লাগে, মিথ্যাবাদী সত্য শুনলে জ্বলে পুড়ে মরে রাগে। সত্য ছাড়া পথভ্রষ্ট সব যেতে পারবে না নিজ লক্ষে।।

ভালবাসা

 ভালোবাসি   খাদিজা বেগম  ২৯/০৯/২০১৯  ভালবাসি ভালবাসি ভালবাসি যতো বলি ততো ভালো লাগে, বারে বারে ফিরে ফিরে ভালবাসি এ কথাটি বলার ইচ্ছা জাগে। ভালবাসি ভালবাসি ভালবাসি যতো শুনি ততো চাই যে শুনতে, ভালোবাসার সঙ্গী যদি থাকে দূরে হৃদয় পুড়ে প্রহর হয় গুণতে ।। ভালবাসি ভালবাসি ভালবাসি ভালবাসার কাছে কত যে ঋণ, ক্ষণে ক্ষণে পৃথিবীর সব রং রূপ বদলায় ভালবাসা হয়ে রয় যে রঙিন। ভালবাসি এতো দামী মধুর কথা কে বলেছে? শুনেছে কার অন্তর ,  কে লিখেছে? কে পড়েছে? প্রথম বার কারো কাছে আছে কি তার উত্তর। কোথা থেকে শুরু হলো ভালবাসা? জানি না তো আছে কি না এর শেষ, জানি শুধু ভালবাসা ছিল আছে  ভালোবাসায় দূর হয় যন্ত্রণা ক্লেশ।

কতদিন হয়

 কতদিন খাদিজা বেগম  কতদিন হয় হয়নি দেখা  শুনেনি তো তোমার কথা, কতরাত হয় ঘুমায় নি চোখ মনে উথলে ওঠে ব্যথা। আসবে আসবে বলে বলে বছরের পর বছর গেলো, দুই নয়নে শ্রবণ হয়ে  ঝরে পরে কষ্ট গুলো। আজো তুমি আসলে না গো সময় বয়ে যায় অযথা।। আমি করি তুমি তুমি তুমি করো টাকা টাকা, তুমি ছাড়া ভাল লাগেনা থাকতে পারিনা আর একা। তুমি তোমার সুখের মানুষ এই হৃদয়ের প্রণয় দাতা।। তোমার সাথে ঘর বাঁধি লাম সুখে দুঃখে থাকবে পাশে, সেই তুমি আজ কত দূরে দেখা হয় না বার মাসে। সঙ্গ পেতে অঙ্গ জ্বলে বুঝাইলেও বোঝনা তা।।

এই সংসারে

 এই সংসারে  খাদিজা বেগম  এই সংসারের এফ ডি সি তে   সবাই করে খুব অভিনয়, আমিও এক অভিনেত্রী অভিনয়ে কাটে সময়। বাস্তবতা বড়ই কঠিন  আমি আমায় পাই না খুঁজে, সবকিছুতে তালগোল লাগে  ভালো মন্দ পাইনা বুঝে। বোকা থাকার অভিনয়টা হাসিমুখে করিতে হয়।। অনেক কিছু দেখার পরেও  করিতে হয় না দেখার ভান, অনেক কিছু শোনার পরেও  করিতে হয় না সোনার ভান। তবে ই তো চিনতে পারি কার ভেতরে কত নয় ছয়।। কলুষিত দেহের মাঝে  রয় না কারো পবিত্র প্রাণ, এই ধরাতে এত গ ন্ধ  খুঁজে পাই না পবিত্র ঘ্রাণ, অন্যজনা চিনতে গিয়ে  আজো চেনা হয়নি আমায়।।

আমার নবী

 আমার নবী খাদিজা বেগম  আমার নবী দয়াল নবী হাজার দুঃখের দুঃখী, ছয় মাস গর্ভে এতিম হলো ছয় বছরের অনাথ মুখী। আপন বলে নাই রে ভাই, বোন এই দুনিয়ায় মাঝে, তবু সবাই বাসতো ভাল তাহার ভাল কাজে। ওরা তাহার বন্ধু ছিল যারা পুণ্য মুখী।। ছিলনা তার অক্ষরের ঞ্জান তবু পেল কুরআন, সৃষ্টিকর্তার পরে তাহার সবার উপর সম্মান। সব মানুষের সেরা মানুষ তিনি ধৈর্য মুখী।। সত্য পথের পথিক যারা চিনলো আল্লাহ্ নবী, আল্লাহ, নবী ছাড়া চিনলো পথভ্রষ্টোরা সবি। বহুমুখী পথ ছাড়িয়া হও এক সত্য মুখী।।

মে আশাতে

 যে আশাতে খাদিজা বেগম  যে‌ আশাতে মন ভেঙ্গেছো  পুরাবেনা তোর সে আশা, যার কারনে বিষ দিয়েছো পাবিনা তার ভালোবাসা। অকারনে দুঃখ দিলি  এই হৃদয়টা করলি ক্ষত,  পরকিয়ার পাপে ডুবে ব্যাথা দিলি অবিরত। জ্যান্ত থাকতে মারলি আমায় করলি আবার তার চল্লিশা।। তুই যে ছিলি চোখের আলো আমার রঙিন ঠোঁটের হাসি, তোরে ছাড়া সবই আঁধার  বল না কেমন করে বাঁচি? ভাবলি না তুই আমার কথা গড়ার আগে নতুন বাসা।। বেইমানেরে ভালবেসে  কান্দি আমি রাত্রি দিনে, আমার ভালো কাইরা নিয়া  ভালো থাকবি আমায় বিনে। পুড়বে না তোর সে আশা  পাবিনা তার ভালোবাসা।।

রাজনীতি (গান)

 রাজনীতি খাদিজা বেগম  রাজনীতির ওই নোংরা খেলায়  রাজনীতিবিদ হয় খেলোয়াড়, আমজনতা তাঁদের খেলনা সন্তান মরে গরিব বাবার। রাজনীতিবিদ রাঘব বোয়াল ওঁরাই দেশের মহা বিপদ, গণ্ডমূর্খ ছেলেমেয়ে  চরণ চেটে করে খেদমত। লাভবান হয় রাঘব বোয়াল বুকের মানিক হারায় মা তার ।। বাংলার সন্তান হয়েও কেন দলে দলে হই বিভক্ত? সত্য ন্যায়ের পথে যারা  ঝরাও কেন তাদের রক্ত? ক্ষুদ্র স্বার্থে বিক্রি হয়ে  কেন দালালি করো কুত্তার।। দোকান পাটে আর গাড়িতে কোনো করো চাঁদাবাজি, অফিসে আর আদালতে  ঘুষ খাও কেন ওরে পাজি? আয় ফিরে আয় সত্য পথে দেব পরিচয় বুদ্ধিমত্তার।।

কাজের ছেলে

 কাজের ছেলে খাদিজা বেগম  আমি তোমার কাজের ছেলে বলোনা মা করবো কি কাজ, তুমি আমার মালিক মাগো  আমি তোমার হুকুমের দাস। কাপড় ধোব বাসুন মাঝবো করবো তোমার রান্না বান্না, হাসি খুশি রাখবো তোমায়  করবে না আর কোন কান্না। তোমার চরণতলে আমার  মহাসুখের শান্তির আবাস।। রাজ পালঙ্কে রাখবো তোমায়  রানীর মতো করবো সেবা, মায়ের মত এত দোয়া এক মা ছাড়া করবে কেবা? তোমার চোখে অশ্রু দেখলে বন্ধ হয়ে আসে নিঃশ্বাস ।। দুঃখ গুলো সব তাড়িয়ে  রাখবো তোমায় হাজার সুখে, তুমি বসে আরাম করবে খাবার দেবো তোমার মুখে। তুমি আমার সুখের উৎস তোমায় দেখলে জাগে উচ্ছ্বাস।।

কুরআন (গান)

 কুরআন খাদিজা বেগম  কুরআন পড়ে ফল পাবে না না জানিলে মর্ম অর্থ, নামাজ রোজায় কাজ হবে না  মানব জীবন হবে ব্যর্থ। আল্লাহ আল্লাহ জিকির করে  লাভ হবেনা তোমার কোন,  যদি আল্লাহর আদেশ নিষেধ  মন থেকে না তুমি শোন। আল্লাহ ছাড়া তুমি হবে  পাপে পাপে অপদার্থ।। হাদিস পড়ো কোরআন পড়ো  পড়োরে মন অর্থ বুঝে, মহান আল্লাহ নিজো গুণে  একদিন তোমায় নিবে খুঁজে। লোভের পিছে আর থেকনা সামনে আগাও হও কৃতার্থ ।। চোখের দেখা সব কিছু নয়  হৃদয় দিয়েও দেখার থাকে, তার ভয় নেই আর যে পেয়েছে অনুভবে তারা আল্লাহকে। এই দুনিয়ার সব ছেড়ে সে হয়ে গেছে চরিতার্থ।।

আসসালাতু খাইরুম

 আসসালাতু খাইরুম খাদিজা বেগম  আসসা লাতু খাইরুম মিন্নানাউম নিদ্রা হতে নামাজ উত্তম, ডাক এসেছে নামাজ পড়ার  ঘুম ভেঙ্গে ওঠ ওরে অদম। মোয়াজ্জিনের ডাক শুনিয়া  যে জন ঘুমাই আরাম করে, শেষ বিচারের পার পাবে না জ্বলবে আগুন তার কবরে। মরার পরে ডাকবে না কেউ  ঘুমাবি তুই জনম জনম।। আজরাইল আসলে যাবে নিয়ে  চাইবে না তোর অনুমতি, তার আগে তুই করিয়া ল তোরি ঈমানের মেরামতি। চলবেনা আর তোর অজুহাত  হঠাৎ করেই হবি খতম।। হারাম থেকে দূরে থেকো  হালাল রুজির সন্ধান করো, মরণ তোমায় ধরার আগে হাদিস কুরআন আকরে ধরো। যার অনুভব জুড়ে আল্লাহ  সেইতো সেরা পবিত্র তম ।

কোরআন পড়

 কোরআন পড় খাদিজা বেগম  কোরআন পড় অর্থসহ জীবনে হও জ্ঞানী গুণী, অন্ধ বিশ্বাস করো না কেউ শুধু অন্যের কথা শুনি। ধর্মের নামে ব্যবসা করে  অনেকে কয় মিথ্যে কথা, ওই মানুষ তো মানুষ নয় রে মানুষেরে যে দেয় ব্যথা। যার কথা আর কাজে নাই মিল মনের ভিতর তার শয়তানি।। হালাল হারাম মানে না যে  তার চরিত্র পশুর মত, তাহার জিহ্বা বিষাক্ত সাপ  অন্যের হৃদয় করে ক্ষত। তাহার হাতের হিংস্র থাবা ঝড়ায় অন্যের চোখের পানি।। অন্যের ক্ষতি করে যে জন  নিজে হতে চায় লাভবান, লোক ঠেকানো প্রতারক সে  মানুষ রূপে সেই তো শয়তান। যে মানে না আদেশ নিষেধ তার মাঝে নাই সত্য বাণী।।

সেরা মাজার

 সেরা মাজার খাদিজা বেগম  সব মাজারের সেরা মাজার  আমার দয়াল নবীর মাজার, সেই মাজারে নেই তো কোনো দান দক্ষিণা টাকার কারবার। ঘামে ভেজা কষ্টের টাকা  আর দিও না কেউ মাজারে, আল্লাহর কাছে সে তো ভালো যে ভালো তার পরিবারে। যত পারো যত্ন করো হাত ভরে দাও বাবা-মা-রে।। সবার দোয়া হোক বা না হোক  মায়ের দোয়া হবে কবুল, বাবা-মাকে ব্যাথা দিয়ে কখনো কেউ করোনা ভুল। আল্লাহর সাথে হইবে সেরেক যদি কিছু চাও মাজারে।। সব পাপিরা মাফ পেলেও সেরেক কারি পাইবে না মাপ, সত্য বানী শোনার পরেও  যে জন করবে সেরেকের পাপ। নামাজ, রোজা, দান দক্ষিণায় বাঁচাবে না কেহো তারে।।

কাঁচা বাঁশের (গান)

কাঁচা বাঁশের খাদিজা বেগম  কাঁচা বাঁশের ছাউনি দিলে খাবে তাহা ঘোন পোকাতে, পাকা বাঁশের ছাউনি দিও কোনো পোকার খায় না তাতে।। যায় না বিফল কর্মেরি ফল কাজের মত কাজ করিলে, জিন্দা থাকতে না পেলেও তুমি পাবে তা মরিলে। এই খানে যে কাজ করিবা  ফল পাইবা তার আখিরাতে।। অন্যের ত্রুটি না ধরিয়া তুমি তোমার ত্রুটি ধরো, অন্যের বিচার না করিয়া  তুমি তোমার বিচার করো। নিজের ভাবনা নিজে ভাবো দিও না তা অন্যের হাতে।। অন্যের জন্য করলে চুরি খাটবে না তার সাজা অন্যে, সত্য পথে থাকো তুমি পাপ করোনা অন্যের জন্যে। ভয় পেয়ো না ন্যায়ের পথে  সৃষ্টি কর্তা ন্যায়ের সাথে।।

জ্ঞানীরা (কবিতা)

 জ্ঞানীরা দেখেছে  খাদিজা বেগম  মানুষের মাধ্যমে কলমের মাধ্যমে, বাতাসের মাধ্যমে সাগরের মাধ্যমে। পৃথিবীতে ছড়িয়েছে তিনি তার কত জ্ঞান, জ্ঞানীরা দেখেছে তা চোখ বুঁজে করে ধ্যান। ফুলে আছে ফলে আছে সেই জ্ঞানের ছড়া ছড়ি, তবে কেনো বাঁচিবার তরে আমি নিজে মরি? শ্রেষ্ঠত্ব পেয়ে কেন হারাই তাহা লালসাতে? নিকৃষ্ট হতে কেন লড়াই করি দিনে রাতে? পবিত্রতা রেখে কেন অপবিত্র পেতে ছুটি? মিথ্যার মায়াজালে কেন কাঁদে আঁখি দুটি? জ্ঞানের মাঝে থেকে আমি কেন এত বোকা?  লাভবান হতে গিয়ে নিজেকে দেই আমি ধোঁকা। আজ করি সময়ের অপচয় বসে বসে, কাল ধ্বসে যাবে দেহ শেষ হবে খসে খসে।  কালে কালে ঐ কালের স্রোতে যাবো আমি ভেসে, সেই অচেনা ঠিকানায় অজানার এক দেশে। বুঝেও যে বুঝি না তা, জেনেও যে জানিনা তা, অমূল্য এই সময় শেষ করি তাই অযথা।

শেখায় (গান)

 শেখায় খাদিজা বেগম আকাশ শেখায় বাতাস শেখায় শেখায় মাটি, সাগর, নদী, এত শেখার পরেও মানুষ  ভুল করে যায় নিরবধি।। ফুলে শেখায় ফলে শেখায় শেখায় বনের লতা,পাতা, তবু মানুষ ফাঁদে পড়ে তাও নিজের হাতে পাতা। কাঁদতো না আর কোন মানুষ শেখার মত শিখতো যদি।। সূর্যো শেখায় চন্দ্র শেখায় শেখায় জোয়ার, ভাটা চরে, সবার শুধু তাড়াহুড়া কেউ শেখেনা ধৈর্য ধরে। দাসত্বকে ভুলে গিয়ে  তাই তো মানুষ হয় আজাদী।। মালিক শেখায় তার দাসত্ব দাসে দেখায় তার বীরত্ব, আদেশ নিষেধ ভেঙেচুরে  পশুর মত চলে নিত্য। সময় শেষে ধরবে কষে  অগ্নিকুন্ডে করবে বন্দী।।