Posts

Showing posts from October, 2021

তোমার ছবি

  খাদিজা বেগম তোমার ছবি যেন, শুধুই ছবি নয় এ যেন গো, আমার প্রেমের উপন্যাস, যতবার দেখি, ঠিক ততবার আমি  নিজেই ডাকে আনি, নিজের সর্বনাশ।। তোমার আঁখি যেন, শুধুই আঁখি নয় এ যেন গো, আমার ভালবাসার সিন্ধু, যতবারই তাকাই, ততবারই ডুবিয়া যাই তোমাতে ডুবে, আমাকে পাই না খুঁজে বন্ধু ‌। তোমার বুক যেন, শুধুই বুক নয় এ যেন গো, আমার প্রণয় ভরা আবাস, অনেক আদরে, ভালবাসার চাদরে আমায় তুমি, জড়িয়ে রেখ বারমাস।। তোমার বাহু যেন, শুধুই বাহু নয় এ যেন গো, আমার স্বপ্নে পাওয়া সুখ, যতবারই জড়াই, ততবারই ভুলিয়া যাই এ জীবনে জড়িয়ে থাকা সকল দুখ। তোমার মুখ যেন, শুধুই মুখ নয় এ যেন গো, আমার রংধনুর আকাশ, ঐ মুখের বাঁকা হাসিতে ছড়ায় যেন আমায় মাতাল করা মধুর সুবাস।। তোমার ওষ্ঠ যেন, শুধু ওষ্ঠ নয় এ যোনো গো, সর্গ সুখের স্থান, যেখানে নেমে, অবুঝ হয়েছি প্রেমে জুড়িয়েছি আমি, আমার দগ্ধ এ প্রাণ। তোমার দেহ যেন, শুধু দেহ নয় এ যেন আমায়, রক্ষা করার পাহাড়, যতবার এসেছে, আমার জীবনে ঝড় ততোবারই যে, সামনে দাঁড়িয়েছ তাহার। তুমি আমার কাছে নও তো, কোন শাজাহান, ইউসুফ, মজনু, কিংবা চন্ডিদাস আর দেবদাস, তুমি তো তারও চেয়ে, আরও বড় প...

হালচাল

২৪/০৮/২০১৯ (ক: নং -২) হালচাল খাদিজা বেগম ইঁদুর ভয়ে বিড়াল পালায় চোরের ভয়ে পালায় পুলিশ, এমন হালচাল দেখে ভাবি  কোথায় গিয়ে করব নালিশ।। মিঠা দেখে পিঁপড়া পালায় হরিণ দেখা পালায় বাঘে , এমন গল্প শুনিনি আর দেখিনি ও কভু আগে। চোর, ডাকাতের বড় গলা ধরলে করে ফিসফিস, মাজারে আর মন্দিরে যায়  সাধু ছদ্মবেশী ইবলিশ।। শিয়াল এখন মুরগি পালে তাই দেখিয়া আসে হাসি, অফিসে আর আদালতে সুদ, ঘুষের চাষ বারমাষি।। আদর্শবান পায় না সালাম সন্ত্রাসীদের করো কুর্নিশ,  তাই মানুষের ভিতর থেকে মানবতা হচ্ছে ফিনিশ। যৌতুক নিয়ে করে বিয়ে দেনমোহর না দিয়ে বরে, বউয়ের কাছে ঋণী হয়ে  মনুষ্যত্ব ধ্বংস করে। শুকনো পাতা ঝরে পড়ে বৃক্ষ মৃলে করে মালিশ, নোংরা কপট রশি দিয়ে ফাঁসি দিলো নির্মল সালিশ। 

বাসনার বাসর

 একদা এক বর বাসর ঘরে গিয়ে, বৌ, বৌ তোমার চরণ দুটি দাও এগিয়ে। চমকে গিয়ে বললো বৌ পাগল হলে নাকি? আরও কিযে বলতে লাগলো অন্যদের ডাকি। এমন সময় বরে চেপে ধরল মুখ, জড়াজড়ি করে দু'জনেই লাল টুকটুক। বউ ভাবে পাগল আর বর ভাবে পাগলি, ধরলাম না ছুঁই লাম না কেন এতো চিল্লাচিল্লি? কতো যে প্রশ্ন করে বরে মুখ ছাড়ে না,  তাই তো বউ প্রশ্নের উত্তর দিতে পারে না। একটা সময় ক্লান্ত হয়ে দু'জনেই চুপ, চেয়ে দেখে একে অন্যের মায়াবী রুপ। তখনি হাত সরে ঐ রুপে মুগ্ধ হয়ে, ফের চিৎকার করে বৌ পাগলের ভয়ে। তড়িগড়ি করে বরেয  ওড়না দিয়ে, চঞ্চল বৌ টা সামলে নিলো মুখ বেঁধে নিয়ে। তবুও বৌ দৌড়ায় খাট থেকে লাফিয়ে, বর টাও তার পিছনে পড়লো ঝাঁপিয়ে ‌। দুই হাত জোড় করে বলে দরজায় দাঁড়িয়ে, আজ নয় এই রাতে কাল যেও তুমি বেড়িয়ে। বৌ কিছুতেই মানতে চায় না বরের কথা, মনে মনে বলে এই সময়টা যায় অযথা। কষ্ট নিয়ে বউ কান্দে যেন ফান্দে পরিয়া, সাথে কন্দে বড়ে কেনো করিয়াছি বিয়া। তারা একে কান্দে অন্যের দিকে চাহিয়া, বরে আটকালো দৃষ্টি রাঙা চরণে গিয়া। যবে চরণ পানে বারালো দুটি হাত, না, না, চরণ ছুইয়ো না হবে অপরাধ। এই বলিয়া বৌটা...

কেউ একজন আসবে

 খাদিজা বেগম মনে মনে ভেবে ছিলো মন, কেউ একজন আসবে, এ হৃদয় মোর জয় করে নিতে, এখন দেখি সেই ভাবনাটা ভুল, আসেনি জয় করতে, এসেছে, এ হৃদয় ভেঙ্গে দিতে। কতদিন আশায় ছিলাম, কেউ একজন এসে ভালবেসে , আদরে রাখবে ধরিয়া, এখন দেখি সেই আশা ভুল, সে তো স্বার্থের লোভে  পরিয়া, নিরবে গেলো সরিয়া। কতরাত এই স্বপ্ন দেখেছি, কেউ একজন এসে থাকবে পাশে, আজীবন রাখবে সুখে, এখন দেখি সেই স্বপ্নটা ভুল, সুখের বদলে দুঃখের শিক্ষা, জ্বালাইলো আমার বুকে। ভাবিনি তো এই হৃদয় হবে, তার আঘাতে চূর্ণ-বিচূর্ণ, সে দেবে এতো বেদনা।  এতো বেশী ভালবাসি যারে, তবুও সে কাঁদায় আমারে, ও চোখ তুমি কেঁদনা।

আল্লাহ্

  খাদিজা বেগম আল্লাহ আল্লাহ ডাকছি তোমায় দাও সাড়া দাও তুমি কোথায়? জ্বলছে আগুন পুড়ছে হৃদয় সয় না আমার এই কলিজায়।। বাবা হারা এতিম আমি আমাকে দাও আশ্রয় তুমি, না পাই যদি তোমার আশ্রয় বাঁচবো না আর এই দুনিয়ায়।। বাবার স্মৃতি ঘুম নিয়েছে কেমন করে থাকবো বেঁচে? দয়া করে বাঁচাও আমায় তুমি ছাড়া আর নেই উপায়।। বুকের আগুন নিভিয়ে দাও ভালবেসে কাছে ঠাঁই দাও,

কাড়াকাড়ি

 খাদিজা বেগম নারীর শরীর পু্রুষে আর  ঐ পুরুষের শরীর নারী, একে অন্যে ভোগের জন্যে হায়েনার মতো কাড়াকাড়ি।। সতি নারীর পতি কেড়ে নিয়ে যায় পতিতা নারী, বন্য পুরুষ কেড়িয়া নেয়  সভ্য পুরুষের স্ত্রী।। এই সমাজে চলছে এখন ঘর ভাঙা নোংরা ছিনারী, ষড়যন্ত্রের জালে ফেঁসে সরল মানুষ আজ ফেরারী।। ভোগ বিলাসে ডুবে থেকে জ্ঞানীগুণী হয় আনাড়ী, মানব মাঝে তাই তো দেখি ধৈর্যহীন কুবৃত্তিধারী।। প্রেমের নামে চরিত্রটা ধ্বংস করে নরনারী, আপন ঘরে হয়ে ওঠে এক এক জনে অত্যাচারী।।

ও গো আল্লাহ্

খাদিজা বেগম ওগো আল্লাহ, আল্লাহ আমার আমি পাপি বান্দা তোমার, পাপ করেছি এতো বেশী হিসাব রাখার উপায় নেই তার ।। পাপে পাপে ভরেছে মন অঝোরে তাই ঝরে নয়ন, তোমার ক্ষমা চাই বারে বার তুমি ছাড়া কেউ নেই আমার।। তোমার দয়ার দুয়ার খোলো ক্ষমা করে আমায় তোলা, নেও তুলে নেও বান্দা তোমার তুমি ছাড়া গতি নেই আর।। আমি বড় অপরাধী তোমার ক্ষমা পেতে কাঁদী, তুমি বীনে আর কেউ নেই আর এই পাপিকে ক্ষমা করার।।

কী হবে

খাদিজা বেগম কী হবে ঐ মন্দিরে আর গির্জায় গিয়ে ঘন্টা দিয়ে? যদি জুলুম করো তুমি, মানব মনে আঘাত দিয়ে। কী হবে ঐ পুরোহিত আর ফাদারের রুপ ধারণ করে? সাদা কাপড় জড়িয়ে গায়, যদি রাখো পাপ অন্তরে। ধর্মের কি আর পোশাক থাকে নাকি থাকে পদ পদবী? তারাই ধার্মিক মানুষ যারা এক শ্রোষ্টার পথ অবলম্বী। কী হবে আর নামাজ পড়ে,ফরজ, নফল রোজা রেখে? যদি না জল আসে তোমার, অসহায়ের কান্না দেখে। কী হবে আর হাদিস শিখে, শুদ্ধ করে কুরআন পড়ে? যদি তোমার মুখের কথায়, অন্যজনের অশ্রু ঝরে। কী হবে আর বোরখা পরে,হিজাবে মুখ ঢেকে রেখে? অন্তরে না থাকলে পর্দ, লাভ হবে না বাহির ঢেকে। কী হবে আর দাড়ি রেখে, পাঞ্জাবি আর টুপি পরে? যদি অন্যের হৃদয় ভাঙ, ইসলামের ঐ লেবাস ধরে। কী হবে আর দান করিয়া, প্রতি বছর হজ্জে গিয়া? সহযোগী হয়ে যদি, কথা বলো খোঁটা দিয়া। কী হবে আর গোলাপ জলে, গোসল করে,আতর মেখে? অন্তরে পাপের গন্ধ, কুচরিত্র মনে রেখে। কী হবে আর অর্থ, ক্ষমতা, যৌবনের, এতো বাহাদুরি করে, মাটির মানুষ মাটি হইবা, রইবা ঐ মাটিতে পরে। কী হবে আর পাঠ করিয়া, রাত্রি জেগে নীতি বাক্য? যদি বলো মিথ্যে কথা, বারে বার দাও মিথ্যে স্বাক্ষ্য। কি হবে আর হাজার হাজার,আ...

অভিমানী স্ত্রী

খাদিজা বেগম  তোমার স্ত্রী হয়ে আমি পাইনি তোমার প্রেমিক হৃদয়, পরস্ত্রী হয়ে আমি তোমার মনটা করিবো জয়। তোমার  কাছে কোনো একদিন আমি পরস্ত্রী হবো তোমার সারা দেহো আর মন তখন সবি কেরে নেবো। সারা রাতের স্বপ্ন হবো দিনেতে হবো ভাবনা, আমার ঘিরে রবে তোমার সব জল্পনা আর কল্পনা। বিবেক বুদ্ধি সব হারিয়ে আমায় রাখবে গো ছড়িয়ে, মাঝে মাঝে হাতের চুড়ি দেবে কানের দুল পড়িয়ে। ভালো কি আর মন্দ বলি সব কথাতেই হবে মুগ্ধ, ভিতর বাহির হবে তোমার উৎফুল্ল আর প্রেমে স্নিগ্ধ। একটু খারাপ হয় যদি মন,ভালো করতে আমার সে মন, হরেক রকম হরেক রঙের করবে কতো যে আয়োজন। নিজের সংসার ভেঙ্গে ভেঙ্গে নিজের হাতে সুখ ‌লুটাবে, শতো হাজার যত্ন নিয়ে আমার প্রেমের ফুল ফুটাবে। আমি হবো তোমার শুরু ও গো তোমার প্রেমেরই শেষ, থাকবেনা আর তোমার আমার মাঝে কোনো কষ্ট,ক্লেশ।  জাগরণে আমি রবো, ঘুমের ঘোরে ও আমি রবো, আমি তোমার ভিতর বাহির সবি দখল করে রবো। আমায় ছাড়া অন্য কারো জন্য রবেনা সময় আর,  চিন্তায়, ভাবনায় মিশে থাকবো, রাখবো তোমায় শুধু আমার। বিশেষ দিনের আমার দিবে লাল টুকটুকে একটা গোলাপ, প্রতি রাতে বাসর হবে করবে তুমি প্রেম আলাপ।

জলোচ্ছ্বাস

 খাদিজা বেগম দেখ দেখ চেয়ে দেখ প্রিয়,মেঘে মেঘে ভরেছে আকাশ, দেখ ঝিরিঝিরি নামছে বৃষ্টি, এলোমেলো বইছে বাতাস। মেঘের ডাকে জেগেছে প্রেম, আমি কি আর ঘুরতে পারি? তোমার হাতে ভালবাসা পেতে, এই বুকেতে কতো আহাজারি। এসো এসো ঝড়ের গতিতে, হয় হোক আমার শর্বনাশ, ভয় নেই আজ কোনো ক্ষতিতে, একটু না হয় হবো নিলাজ। শোন, শোন কান পেতে প্রিয়, ডাকে প্রিয়, প্রিয় বলে মন, পাই না তাল, হয়েছি‌ মাতাল, তুমি ছাড়া কে সামলাবে এখন। দিওনা দিওনা দূরে ঠেলে, ভালো বাসিয়া আশ্রয় দিও, এমনও ক্ষণে কী চায় মনে, মন দিয়ে শুনে নিও প্রিয়। দেখ দেখ ছুঁয়ে দেখ জল, এযেনো গো ঝড়েই আবাস। থরো থরো কাঁপে প্রেমো তরী, জলোচ্ছ্বাসে হয়ে যাবো গ্ৰাস।

ভিক্ষুক

 খাদিজা বেগম ভিক্ষুক আমরা ভিক্ষুক, এই সমাজের চোখে আমরা ভিক্ষুক, দুঃখ নিয়ে জন্মেছি তাই, কানায় কানায় দুঃখ ভড়া বুক। এই সমাজে তোমরা সবে, উচ্চবিত্ত, মধ্যবিত্ত, নিম্নবিত্ত, আমরা ভিক্ষুক বিত্তহীন, এই সমাজে নেই আমাদের অস্তিত্ব। এই সমাজে তারাও মানুষ, যারা সুদখোর, ঘুষখোর, দুর্বিত্ত, আমরা অমানুষ, তোমাদের দ্বারে হাত পেতে ঘুরি নিত্য। তোমাদের বাড়িতে পোষা, কতো যে কুকুর, বিড়াল, পাখি, কোনদিনও ভেবে দেখেছ কী,আমরা ভিক্ষুক কোথায় থাকি? পায়ের জুতা নেই, গায়ের বস্ত্র নেই, নেই মাথার উপরে ছাদ, জন্ম থেকেই সঙ্গী মোদের পেটের ক্ষুধা, আর অশ্রুপাত। নেতা-নেত্রী ব্যস্ত দলের সেবায়, হুজুর ব্যাস্ত মাদ্রাসায়, আমরা বাঁচে থাকি কিংবা মরে যাই, তাতে কার কি আসে যায়। রোদে পুড়ে ছাই, বৃষ্টিতে ভিজে যাই, আরও শীতে কাপি ঠুকঠুক, পোষা কুকুর বিড়ালের চেয়েও আমরা দুর্ভাগা ভিক্ষুক। ভাগ্য দোষেই ভিক্ষার থালা হাতে নিয়ে ঘুরি পথে প্রান্তরে, লাটিমের মতো ঘুরতে হতো না দয়া থাকলে মানুষের অন্তরে।

কথা

 খাদিজা বেগম কথার আঘাতে বড় ব্যাথা, কোনো মলমে সাড়ে না, অহংকারী ধাম্ভীক মানুষ, মার্জিত কথা পারেনা। কথার আঘাত এমনি তো  , হৃদয়টারে করে ক্ষত, প্রাণ পাখি ছটফটিয়ে মরে, তিক্ত কথায় আহত। হৃদয় হতে আঁখিতে আসে, ক্ষত ঝরানো শ্রাবণ, পাঁজর ভাঙ্গা মনের ব্যাথা, বুকেতে তোলে প্লাবন। ছোট বুকে শত কষ্ট, তখন রাখা যায় না চেপে, হৃদয় কম্পে হৃদয় ফাটে, ব্যাথিত বুক কেঁপে কেঁপে। যা খুশী তাই বলো না কেউ, কথার কথা বলতে মানা, কাউকে কিছু বলার আগে, সঠিক ভাবে নিজে জানা।

অনুতপ্ত

 খাদিজা বেগম বাবা, মা সব হারাবার পর, এখন আমি অনুতপ্ত, আমি আমার সন্তানদের, ক্ষিপ্ত কন্ঠ করি রপ্ত। পিতা-মাতা আমায় ডাকলে, তাঁদের ডাকে দেইনি সাড়া, অজুহাতে চলে গেছি, দেখিয়েছি মিথ্যে তাড়া। যে ভুল করেছি জীবন ভর, তাতেই আমি অভিশপ্ত, ক্ষমা করে দিও মোরে, এখন আমি অনুতপ্ত। একটি দিনও দেইনি তুলে, খাবার মেখে তাদের মুখে, ভালবাসি বলে আমি, টেনে নেইনি আমার বুকে। তাই তো আমার সন্তান হতে, নির্মম নিষ্ঠুর আঘাতপ্রাপ্ত, সন্তান হতে আঘাত পেয়ে, এখন আমি অনুতপ্ত। নিজ হাতে ঐ হাত ধরে, বৃদ্ধাশ্রম রেখে ছিলাম, বাবা, মাকে এমনি করে, আমি জ্যান্ত মাটি দিলাম। নিজের বাড়ি গেল ছাড়ি মৃত্যু আসার আগেভাগে, এমন ঘৃণিত কাজ করার জন্য অনুতাপ জাগে। আমার সন্তান আমায় রেখে আমার বাড়িতে সুখে তৃপ্ত, আমি এখন বৃদ্ধাশ্রম, এই ঠিকানা আমার প্রাপ্ত কান্না বিজড়িত কন্ঠে আমি এখন অশ্রুসিক্ত, ছিঃ ছিঃ আমি কি করেছি, আজ নিজেকে লাগে তিক্ত। এই ভুলের নেই কোনো মাশুল, এই বেদনার নেই সমাপ্ত, আজ বিবেকের আদালতে আমি পাপি দন্ডপ্রাপ্ত ।

প্রতিভা

 খাদিজা বেগম জংলী ঘাসে ভরে আছে, ও তোর মেধা নামের ভুঁই, তোর প্রতিভা রইল পতিত, কোথায় কোথায় থাকিস তুই? আয় ছুটে আয় চাষ করিতে, দ্বিধা-দ্বন্দ্ব শঙ্কা থুই, তোর প্রতিভা অমুল্য ধন, বুঝলি না তার মূল্য তুই। অপচয় আর অলসতা, কেটে কুটে ছেটে নে, তোর প্রতিভা কিসে আছে, খুঁজে টুজে বুঝে নে। তোর শ্রেষ্ঠত্ব সবার উপর, বুদ্ধিমত্তায় তুই বাবুই, সেই শ্রেষ্ঠত্ব ভুলে কেন, পর আশ্রিত হও চড়ুই?  আয় ছুটে আয় চাষ করিতে, ভয়ভীতি জয় করিয়া, জেগে উঠে ঘুরে দাঁড়া, নিজেকে নে গড়িয়া। মেধা মননে  মেধাবী, আগ্ৰহটা নেই শুধুই ্ ক্ষিপ্ত কর্মে দ্বীপ্ত হয়ে আলোকিত হবি তুই। আয় ছুটে আয় কাল বয়ে যায় কাজ সুরু করে দে তুই, দেখিয়ে দে আসমান ছুঁয়ে তোর তুলনা শুধু তুই।

পরিবর্তন

 খাদিজা বেগম ভেবে ছিলাম তুমি শুধুই আমার কখনো অন্য কারো হবে না আর, পৃথিবীর সব পরিবর্তন হলেও  পরিবর্তন হবেনা গো তোমার। তুমি পরিবর্তন হয়ে বুঝিয়ে দিলে পৃথীবির সব পরিবর্তনশীল, তোমার আমার যত ছিল মিল আজ যেন ততটাই অমিল। দিনের পরিবর্তনে হয় রাত  রাতের পরিবর্তনে হয় দিন, পৃথিবীর শুরু থেকে পরিবর্তন  এমনি করে চলছে চলবে চিরদিন। কাছের মানুষ দূরে চলে যায় ফের দূরের মানুষ কাছে আসে, প্রিয় মানুষ হয়ে যায় ঘৃণিত ঘৃণিত জন আবার ভালবাসে। জোয়ার পরিবর্তন হয় ভাটায় ভাটা পরিবর্তন হয় জোয়ার, প্রেম ভালবাসা পূর্ণ করা বুক বিরহ অসুখে করে হাহাকার। আবেগীয় মানুষ স্বপ্নে ডুবিয়া বাস্তবে ভেঙ্গে দেয় তার সংসার, বিবেক বুদ্ধি ছেড়ে আবেগ ধরে ধীরে ধীরে চলে যায় অন্ধকার। বিবেকহীন মানুষের দুটি চোখ  অন্ধ চোখের চেয়েও আরো মন্দ, ক্ষুদ্র স্বার্থ কেন্দ্র করে ঘরে বাইরে সমাজ সংসারে করে তারা ধন্ধ।

এই কথাটা সত্য

 খাদিজা বেগম যখন হারিয়ে যায়, রাতের ঘুম, দিনের কাজকর্ম, তখন আর ভালো লাগে না, কোন নিয়ম-কানুন ধর্ম।। মন চায়, চলে যাই আমি, বহু দূরে পাখি হয়ে উড়িয়া, বন্ধু বান্ধব, আত্মীয়-স্বজন, প্রিয়জন সব ছাড়িয়া। উদাসী হয়ে যায় বোকা মন, জানিনা কোন সে কারণ, বেপরোয়া মন আমার, মানে না কোন শাসন বারণ। তবুও তোমায় মনে মনে খুঁজি, ও আমার সৃষ্টিকর্তা, তুমি ছাড়া আর কেউ নাই, যে দূর করিবে মনের ব্যথা। এই কথাটা সত্য, আমার নিয়ে তোমার আছে পরিকল্পনা, এই জীবন, মরণ, সুখ, দুঃখের তুমিই ব্যাবস্থাপনা। এই অপরাধী সৃষ্টি কে নিয়ে এখনও রয়েছে গল্পের বাকি, হে শ্রেষ্ঠ গল্পকার আমার গল্পটার শেষে রেখেছ কি? তাই এখন মরিতে চাই না আমি দেখিতে চাই আমার শেষটা,  আমার শেষটায় জানিনা কি রেখেছে ও গো মহান শ্রোষ্টা? প্রতি ভোরে নতুন করে খুলি আমি আমার নয়া আঁখি, আর এই মনে মনে ভেবে যাই সময় বুঝি বেশী নাই বাকি? নিশ্চিত জেনে বুঝেও আমি অলোস অবোধ হয়ে থাকি, তবু আমায় জাগিয়ে দাও গো তুমি তোমার কৃপাতে ডাকি। এই মহান শ্রষ্টার সৃষ্টি আমি এই আনন্দে ভাসে দুটি আঁখি, এমন মহান শ্রষ্টা আমি অন্তর ছাড়া কোথায় রাখি? যার অন্তরে বসত করে দুই জাহানের ম...

আমার আমি

 খাদিজা বেগম যদি আমার ভিতর থেকে, আমার আমি চলে যায়,  আমায় ধরে রেখ না কেউ, হাসি মুখে দিও বিদায়। তারে ছাড়া অচল আমি, চলবো না আর এই দুনিয়ায়, তাড়াতাড়ি বিদায় দিও, কোন গন্ধ যে না ছড়ার। দূরে দূরে সরে থেকো,ছুইয়ো না কেউ যেনো আমায়, আদর,সোহাগ লাগবে না আর, ব্যাথা লাগবে আলতো  ছোঁয়ায় ‌। নিজের বাড়ি, নিজের ঘরে, নিজের মতো থাকতে মন চায়, তোমাদের ঘর বাড়িতে আর, ভুল করেও খুঁজ না আমায়। হবো না আর কষ্টের কারণ,দেবো না আর কাউকে কষ্ট, আমার জন্য আর হবেনা, কারো একটু সময় নষ্ট। কারো জীবন হবেনা তো, আমার জন্য আর অতিষ্ঠ, যাব না আর কারো কাছে, আমি হবো না ঘনিষ্ট। আজ থেকে শেষ হলো যেনো, তোমার আমার যন্ত্রণার দিন, ক্ষমা করে দিও মোরে, জীবন ভর যা করেছি ঋণ। বার বার চেয়ে ছিলে তুমি, আমার ছেড়ে সুখে থাকতে, আজকে আমি চলে যাচ্ছি, কেন চাচ্ছ বেঁধে রাখতে? থাক তুমি তোমার মতো বাঁধ হবোনা তোমার পথে, বিরোধিতা করবো না আর, ন্যায় কি অন্যয় কোনো মতে। আমার মৃত্যু, মৃত্যু নয়, এযেনো গো আমার মুক্তি, মৃত্যুর পরে এতো স্নেহ মমতার কি আছে যুক্তি। অনাদরে, অবহেলায়, ফেলে রেখে ছিলে আমায়, আজকে কেনো আদর, আহ্লাদ, যখন আমায় ঘোরে...

বহতা নদী

 খাদিজা বেগম জীবনটা যেন জোয়ার ভাটায় গড়া এক বহতা নদী, দুঃখ সুখের দু'কুল ধরে সে বয়ে চলেছে নিরবধী। ভাঙে যখন দুঃখের কুল সে তার সুখের কুলটা গড়ে, দুঃখের কুলে চর জাগিলে সেই সুখের কুলটা ভেঙ্গে পরে। ভাঙা গড়ার এই তো জীবন চলিতেছে সুখ দুঃখ নিয়ে, দুঃখ বারে আরও তাড়াতাড়ি দুঃখটারে তাড়াতে গিয়ে। দুঃখের মত দুঃখ থাকুক সুখের মত থাকুক সুখ, কানায় কানায় ভরে থাকুক সুখ দুঃখ নিয়ে এ বুক। সময়ের সাথে যটিল সমস্যা গুলো হয়ে যায় ঠিক, সমস্যা দেখে অধৈর্য হয়ে আর কেউ ছুটনা দিকবেদিক। মেঘের পরে বৃষ্টি আসে বৃষ্টির পরে সূর্য টা হাসে, বেদনার পারে কান্না আসে কান্নার পারে আনন্দ আসে। নিয়মতান্ত্রিক ভাবেই চলছে জীবন, জীবনের গতিতে, জীবন থেমে থাকে না কারো আসা যাওয়া বা লাভ ক্ষতিতে। মহান রবের উপরে যে মানবে রাখে দৃঢ় ভরসা, সুখে দুঃখে মহান রব তাহার সঙ্গের সাথী সহসা। সে অগ্নিকুণ্ডে থেকেও যেন বাস করে জান্নাতে সুখে, সুস্থ সবল থাকে যেন থেকেও নানা রকম অসুখে। হাজার দুঃখ, কষ্ট, যন্তনাতে কখনো কেউ না তারে রুখে, সদায় শুকরিয়া আদায় করে সে রবের সেজদায় ঝুঁকে।

দোষ

 খাদিজা বেগম আমাদের মাঝে আছে এমন কিছু  মানুষ, যারা সদা খুঁজে শুধু অন্য মানুষের দোষ। কেউ যদি করে ফেলে অনিচ্ছাকৃত কোনো দোষ, দয়া না করিয়া তার উপরে ঝারে আক্রোশ। মানুষের মাঝে রবেই তো কিছু না কিছু দোষ, এই পৃথিবীতে দোষ ছাড়া হয় না কোন মানুষ। ছোট খাট দোষ গুলোকে বড় করে ধরনা, খুঁটি নাটি ব্যাপার নিয়ে আর ঝগড়া করনা। কারো দোষ যদি হয়ে যায়, চেয়ে নিও ক্ষমা, ক্ষমা করতে যেন আবার কেউ করনা গরিমা। যারা ক্ষমা চায় না, তারা ক্ষমা করতে ও জানেনা, দোষ করা স্বাভাবিক প্রক্রিয়া তারা মানে না। অথচ নিজে থাকে দোষের নদীতে ডুবিয়া, একবারও দেখে না সে নিজের দোষ ভাবিয়া! কেউ যদি ভাবে নিজেকে তার মতো নেই নির্ষোদ, মানুষ রুপি হলেও সে আর নেই তো মানুষ। হয়ে গেছে শয়তান না হয় হয়েছে ফেরেস্তা, ভিন্ন এখন তাই তার আর মানুষের রাস্তা।।

তোমার নয়নে

 খাদিজা বেগম তোমার নয়নে আমি পিছিয়ে পড়া মানুষ তাই তো বলো নি কথা দাও নি আমায় গুরুত্ব, তবুও যে তুমিই আমার বন্ধু লাগো সখি  গোপনে গড়েছি আমি তোমার সাথে বন্ধুত্ব। সবাই তো কচ্ছপের গতিতে এগিয়ে যায় না কেউ কেউ আবার ঐ তীরের মত পিছিয়ে যায়, পিছনে যেতে যেতে করে নিজ শক্তি সঞ্চয় তার পর এক পলকে নিজ লক্ষ্যে পৌঁছে যায়। তোমার টাকার হিসেবে আমি যে একটা শূণ্য যার আগে পরে আর কিছু নাই,নাই কিছুই নাই, শূণ্য থেকে সৃষ্টি হলো সুন্দর এই পৃথিবীটা ভেবে দেখো শূণ্যের চেয়ে আর বড় কিছু নাই।। তোমার আমার সূচনাতে একটি বিন্দু ছিল অধৈর্য না হয়ে শেষ পর্যন্ত দেখ না বন্ধু! মিথ্যাবাদী আর অহংকারীর ধ্বংস অনিবার্য সত্যবাদী নিরবে গড়ে মানবতার সিন্ধু। মিথ্যাবাদী অন্ধ থাকে দেখে না সে অহংকারে সত্যবাদী অন্ধ হলেও তার আলোকিত আঁখি, ভাল মন্দ দেখে বিবেক দিয়ে করে বিচার নিজের স্বার্থে ডুবে থেকে দেয় না কাউকে ফাঁকি।

নষ্ট নর নারী

খাদিজা বেগম ০৬/২০/২০ এই সমাজে কিছু নোংরা মনের নির্লজ্জ নষ্ট নর নারী আছে,  যারা অন্য জনের স্বামী কিংবা অন্য জনের স্ত্রীর মেসেঞ্জারে চুম্বকের মত লেগে থাকে, সকাল, দুপুর, বিকাল, এমনকি রাত একটা দুইটা পর্যন্ত, এমন নির্লজ্জ কর্ম কান্ড করে, তা দেখলে মনে হবে এ যেন তারি স্বামী কিংবা এ যেন তারি স্ত্রী, ওপাশ থেকে যদি মেসেজের উত্তর না আসে , নির্লজ্জের মত আবার মেসেজ দেবে, কি ব্যস্ত না কি? তুমি কি চিন্তিত? এর পর যদিও উত্তর না আসে, আবার জান, আমার জান তুমি কি করছো? আমারা সাথে রাগ করেছ নাকি ?  এর পরে ওপাশ থেকে উত্তর! না জান, আমি রাগ করি নি, আমি কি তোমার সাথে রাগ করতে পারি,  আমি চিন্তিত নাই, তবে ব্যস্ত আছি জান, আবারো নির্লজ্জের মত মেসেজ দেবে, বলনা গো শুনি কি এমন কাজে ব্যস্ত তুমি? ভাবখানা এমন যেন সে নিজের স্বামীর কিংবা নিজের স্ত্রীর কাছে কৈফিয়ত চাচ্ছে, এদের নিজেদের তো কোন চরিত্র নেই, পবিত্র সম্পর্কের মানে এরা কি বুঝবে ? এরা নিজের স্ত্রীর সাথে কিংবা স্বামীর সাথে মধু মাখা আলাপ করতে পারে না,  কারণ নানান মিথ্যা অজুহাত যেমন,   কাজের চাপ সময়ের অভাব, বাজার ঊর্ধ্বমুখী খিটখিটে মেজাজ, পকে...