Posts

Showing posts from November, 2023
 কবর বাসী খাদিজা বেগম ২৮/১১/২০১৯ রাজার হুকুম মান্য করে পেঁয়াজ ছাড়া তরকারি খাই, আমরা কি ভাই কবর বাসী প্রতিবাদী কণ্ঠ যে নাই। একদিন আসবে এমন হুকুম চাউল ছাড়া খাবে যে ভাত, কণ্ঠে কণ্ঠে আগুন জ্বালাও করবো মোরা সেই প্রতিবাদ। যেমন করে করে ছিলাম বায়ান্ন আর একাত্তরে, বাঘের মতো গর্জে উঠো সাধু রুপি শয়তান তরে।  বাংলা মায়ের সন্তান আমরা ওদের কেন করছি যে ভয়? আমরা যোদ্ধা আমরা স্বাধীন আমার কারো গোলাম তো নয়। ওরা মোদের বেতন ভুক্ত তবু কেন চালায় হুকুম? ন্যায্য দাবি চাইতে গেলে চালায় গুলি করে যে গুম। মোদের টাকায় গাড়ি বাড়ি আসবাবপত্র বহু দামি, তবু খায় যে লুটেপুটে বললে কথা হই আসামি। ওদের পেশা রক্ত চোষা খায় যে চুষে প্রজার রক্ত, মুখে মুখে মানব সেবা মনে মনে অর্থ ভক্ত। মানবতার ডাক এসেছে আয় ছুটে আয় দলে দলে, অত্যাচারী ধ্বংস করি সত্য সঠিক পথে চলে। অসহায় মানুষের প্রতি যদি তিল পরিমাণ মায়া হয় তবে এই কবিতাটি শেয়ার করার জন্য অনুরোধ করছি। আমি জেল ,ফাঁস মেনে নিয়েই কবিতাটি লিখেছি।

ভালবাসার সাগর

 ভালবাসার সাগর খাদিজা বেগম সেদিন আমি দেখেছিলাম বেশ লুকিয়ে লুকিয়ে, ঝোপঝাড়ের ঐ আড়াল থেকে পুকুর পানে ঝুঁকিয়ে। পুকুর থেকে উঠলো জেগে ভালোবাসার সাগর, নয়ন দুটি দেখিতে তার যেন ডাগর ডাগর। তার নগরে ঘুরে এখন আমার মন পাগেলা, আজ মনে হয় এতো সময় পরে নিজেকে একেলা। মন হারিয়ে পুকুর ঘাটে তার সাগরে ভেসেছি, কেমনে আমি বলিব তারে মনে মনে ভালো বেসেছি। তার সাগরের তুফান ভারী চোট লেগেছে অন্তরে, ভালোবাসার তরী আমার বেঁধেছি তার বন্দরে। যেমন খুশি নিবে তেমন আমাকে ভালো বাসিয়া, প্রেমের বদলে প্রেম দিবো গো খুব গোপনে আসিয়া। বাসিলে ভালো জড়িয়ে রাখব ভালোবাসার চাদরে, হৃদ মাঝারে রাখিবো তুলে আমার আদরে আদরে। কদর করে আদর দেব অবহেলায় রাখবো না, লক্ষী আমার সোনা ময়না ছাড়া তোমাকে ডাকবো না। কথা দিলাম এই কথা আমি জীবন দিয়ে রাখিবো, আমি তোমার শুধু তোমারই তো আজীবন থাকিবো।

ঢেউ খেলে চুল

 ঢেউ খেলা চুল খাদিজা বেগম  ছায়া বরণ অঙ্গ তাহার ঢেউ খেলা চুল মেঘলা কালো, সেই মেয়েটি মন কেরেছে তারে আমার লাগে ভালো। আমার চোখে জান্নাতের হুর লোকে বলে কালো কালো, মোর মরা মন জীবন পেল তার ছোঁয়াতে মন মাতালো। মনে মনে আমার এ মন  তার পানেতে হাত বাড়ালো।। তার রুপের ওই তরোআলটা ঘ্যাচাং ঘ্যাচাং খুব ধারালো, আমার হৃদয় টুকরো করে জানিনা সে কই হারালো। তারে দেখার পরেই আমার  সব হয়ে যায় এলোমেলো।। হাসিতে তার পুষ্প ফোটে অমানিশায় ছড়ায় আলো, দেখলে তারে নয়ন জুড়ায় শুনতে কথা খুব রসালো। ‌ সে যেন এই বুকের ভিতর হাজার বছর পোষা ছিলো।।

অন্ধ

অন্ধ খাদিজা বেগম যখন তুমি অন্ধ ছিলে তখন ছিলাম তোমার সাথী, হাতে ধরে পথ দেখাতাম সঙ্গে থাকতাম দিবারাতি।। এখন দেখছো তোমার চোখে নানান রঙের এই দুনিয়া, এখন তুমি যাচ্ছ রেগে আমার মুখের ডাক শুনিয়া। আবর্জনা ভেবেই আমায় যখন তখন মারছো লাথি।। তখন আন্ধ ছিল নয়ন এখন তোমার বিবেক অন্ধ, তাই এখন আর নাই ফুলের ঘ্রাণ ব্যবহারে পাই দুর্গন্ধ। এখন তারে নাই প্রয়োজন যে জন ছিল ব্যথার ব্যাথী।। চোখে দেখা অহংকারে এখন দেখতে পাও না সত্য, মিথ্যে সুখের নেশায় তুমি সত্যি সত্যি হলে মত্ত। আবার তুমি অন্ধ হবে বন্ধ হবে তোমার বাতি🕯️।। বলছি তোমায় থাকতে সময় ভেতর করো আলোকিত, সেই আলোতে এই পৃথিবী হোক না আবার পুলকিত। যারা অন্যের ক্ষতি করে তারাই বড় আত্মঘাতী।।

কেমন ভালবাসা??

 কেমন ভালবাসা?? খাদিজা বেগম  জনে জনে ভালোবাসো!  আজ তানিয়া, কাল ছোনিয়া  এটা কেমন ভালবাসা? খেলছ কেন এই মন নিয়া?? এক জনমে দুঃখ আর সুখ সবই থাকবে এক কপালে,  সুখ না পেলে তাই বলে কি  চলে যাবে চিরকালে। দুঃখের সময় ধৈর্য ধরো সুখ আসিবে দিন গুনিয়া।। যে সুখ পেতে চলে গেছো তুমি সেই সুখ কি পেয়েছো? চলে যাবার অজুহাতে  বিনা দোষে কাঁদিয়েছো? অন্যজনার জন্য আমায়  ভুলে গেছো কথা দিয়া।। ঐতো আমি আজও একা তোমার স্মৃতির জলে ভাসি, বহুদূরে আছো সরে তবু একলা ভালোবাসি। উড়াল পাখির মতো তুমি  চলে গেছো মন ভাঙ্গিয়া।।

আসলে চাবি

 আসলে চাবি  খাদিজা বেগম  তোমার হাতে আসলে চাবি  ঐ জান্নাতের পথে যাবার, সেই চাবিটা খেয়ে ফেলে নষ্ট চিন্তার মনটা তোমার।। কেউ যদি চায় তোমার কাছে  খাদ্য, বস্ত্র কিংবা পানি, পারলে দিও না পারিলে  করো না তার সম্মানহানি। তোমার জীবন তোমার দোষেই  হয় না যেন পুড়ে ছারখার।। বিবেক বুদ্ধি থেকেও কেন তুমি একজন অবিবেচক? সুযোগ পেলেই ঠকাও তুমি সহজ, সরল অসহায় লোক। অন্যের জন্য কাটলে কুয়া  তাতে ধ্বংস হবেই তোমার।। থাকতে সময় শুধরিয়ে লও  তুমি তোমার ভিতর বাহির, পরিবর্তন করো তুমি  তোমার নোংরা দৃষ্টিভঙ্গির। কাজে কর্মে কথাবার্তায়  চর্চা করো সৎ ব্যবহার।।

বাঙালি নাই

 বাঙালি নাই খাদিজা বেগম  বাংলাদেশে বাঙালি নাই  কেউ মুসলমান কেহো হিন্দু, কেহো নেতা কেহো আমলা বাংলাদেশের আজ নাই বন্ধু ।। আইনের নামে বেআইনি কাজ  চলছে চোখের সামনে দিয়ে, সেবার নামে পাচার করে  যাচ্ছে দেশের সম্পদ নিয়ে। চরণ চাটা সরকারি দাস আদালতের‌ লোক অসাধু।। হায়নার খাঁচা ভেঙ্গে এসে  বন্দি এদেশ দুর্নীতিতে, কারো কিছু আসে যায় না  বাংলাদেশের এই ক্ষতিতে, দেশের জন্য কেউ কাঁদে না  কারো মায়া নাই এক বিন্দু।। দেশমাতা কে বাসতো ভালো  যদি থাকতো তাহার ছেলে, দেশের শত্রু বলেই তোমরা  অন্ধকারে দাও দেশ ঠেলে। দেশের ছেলে দেশের প্রতি  প্রেম রাখে তার সিন্ধু সিন্ধু।।

পিতা-মাতা

 পিতা-মাতা খাদিজা বেগম  ঠাকুর বলো কুকুর বলো মাওলানা আর মাজারের পীর, ওদের বড় পিতা-মাতা  তাদের পায়ে করো ভীর।। তোমার ঘরটা জান্নাতের ঘর যদি থাকে পিতা-মাতা, তাদের দোয়া ছাড়া তোমার দূর হবে না দুঃখ, ব্যাথা। পিতা-মাতা বড় সম্পদ যার আছে সেই বড় আমীর।। ভালবেসে সেবা করো যত্নে রাখো আদর করে, না পায় যেন কষ্ট তারা  তোমার আচার ব্যবহারে। তোমার কথা হয়না যেন  তাদের বুকে বিষাক্ত তীর।। বৃদ্ধ পিতা-মাতা রেখো  নিজের ছেলে মেয়ের মত, ভালো রাখতে চেষ্টা করো  তোমার সাধ্যে কুলায় যত। কোনো ক্ষেত্রে কোনো সময় আশ্রয় নিও না দূর্নীতির।। আমি এই লেখাটি কোন ব্যক্তি কিংবা প্রাণীকে তুচ্ছ তাচ্ছিল্য ছোট করার জন্য লিখি নাই।  সকল মানুষ সম্মানিত তাদের ভিতর জ্ঞানী মানুষেরা অনেক সম্মানিত বিশেষ করে আলেমগণ, প্রাণী একটা কুকুর তাকেও দেখা যায় নিজের বিছানায় নিয়ে যত্ন সহকারে মানুষ ঘুমিয়ে থাকে, কিন্তু তার পিতা-মাতা কোথায় থাকে সে খবরটা সে রাখেনা। আবার দেখা যায় আলেমদের কাছে, ঠাকুরের কাছে, কিংবা মাজারে গরু, মহিষ, ছাগল, টাকার বস্তা পাঠিয়ে দেয় কিংবা নিয়ে যায়। কিন্তু পিতা-মাতার খোঁজখবর নেই। ...

চর্চা করো

 চর্চা করো খাদিজা বেগম হায়নার মত খাবে একদিন  তাদের দেহ ছিঁড়ে ছিঁড়ে, আজকে যারা বিবেক-বুদ্ধি সব খেয়েছো ধীরে ধীরে।। শিকার করতে এসে ওরা  লোভের শিকার হয়ে আছে, অবৈধ ওই অর্থ, সম্পদ  হাতে পেয়ে যারা নাচে। তাদের ভিতর সব অমানুষ  তারা মানুষ হয় শরীরে।। নৈতিকতা ছেড়ে যারা আজকে চলছো পশুর দলে, তারা একদিন ডুবে যাবে  নির্যাতিতার চোখের জলে। যেমন ডুবলো ফেরাউনে  নীল দরিয়ার খুব গভীরে।। শেষ বিচারের বিচারক যে  সেই তো সকল কর্মের স্বাক্ষী, যখন তখন আসবে মরণ তোমার সময় আর নাই বাকি। স্বাধীন মানুষ হয়েও কেন  বন্দি পাপের ঐ প্রাচীরে।। অদৃশ্য ঐ প্রাচীর ভেঙে চলে এসো সরল পথে, কাজে-কর্মে, কথা-বার্তায় তোমায় হবেই মানুষ হতে। সত্য, ন্যায়ের চর্চা করো  মন ভেঙ্গোনা কথার তীরে ।।

কলাকৌশল

 কলাকৌশল খাদিজা বেগম  যত বড়ই হওনা তুমি  শিক্ষিত আর ক্ষমতাবান, কলাকৌশল না জানিলে হতে হবে রোজ অপমান।। তোমার টাকা, বাড়ি-গাড়ি যতই থাকুক কারিকারি, তবু তোমার হৃদয়ের সুখ অন্য জায়গায় দেবে পাড়ি। যদি জানো সঠিক কৌশল  সব স্থানেই পাবে সম্মান ।। থাকলেও তোমায় নামে মেডেল   আর পিএসডি ডিগ্রির বস্তা, কৌশল ছাড়া সর্বহারা   সবার কাছে তুমি সস্তা। সকল কর্ম বিফল হবে না থাকিলে কৌশলের জ্ঞান।। কৌশল তোমায় রাখবে সুখে  ভুবন করবে আনন্দময়, কুপ্রবৃত্তির বিরুদ্ধে গিয়ে  কৌশল করো সকল সময়‌। এমনি এক অস্ত্র কৌশল  আর কিছু নেই তাহার সমান।।

বন্য প্রাণী

 বন্য প্রাণী খাদিজা বেগম  বন্য প্রাণী প্রতিদিনি  আয়নায় দেখে মানুষের রুপ, মানব মাঝে বাস করে সে  ক্ষতি করে মানুষের খুব।। মানুষের সুখ সয়না তাহার  সহ্য হয় না লোকের হাসি, মানুষেরে মনে করে  তার হুকুমের গোলাম, দাসী। নিজের কথা বলে না কেউ  সবাই থাকে তার ভয়ে চুপ।। ন্যেয্য কথা বললে কেহ  ন্যেয্য দাবি চাইলে কেহ! গুম করিবে, খুন করিবে  রক্তে রঙিন করবে দেহ। তাহার জন্য তৈরি করবে নানান রকম যন্ত্রণার কূপ।। তার বিবেকের আয়নাতে সে  একদিন দেখবে বিকৃত মুখ, সারা দেহে জ্বলবে আগুন  পুড়ে যাবে তার সকল সুখ। পাপের মাঝে দেখবে নিজে যে পাপে সে দিয়েছে ডুব।।

গুষ্টি কিলাই

 গুষ্টি কিলাই খাদিজা বেগম  গুষ্টি কিলাই গুষ্টি কিলাই ভালবাসার গুষ্টি কিলাই, আমি তারে ভালবেসে জ্বলে পুড়ে হয়েছি ছাই।। সে আমাকে ভালো বাসতো  তাইতো ভালো বেসেছিলাম, সে আমার সেই ভালোবাসা  জনে জনে করলো নিলাম। তাহার কথা বিশ্বাস করে  এখন আমি আর ভালো নাই।। ভালোবাসা ছাড়াই আমি  অনেক ভালো ছিলাম আগে, এখন ক্ষত ভরা এই মন  হৃদয় ভরা দাগে দাগে। কেন তারে বিশ্বাস করে  দিয়েছিলাম এই মনে ঠাই?? ভালবাসি বলনা কেউ  শুনতে চাইনা কারো মুখে, ভালোবাসার আগুন আজো লাভার মতো জ্বলছে বুকে। ভালোবাসা বলে কিছু  পৃথিবীতে নাই কিছু নাই।।

জনসংখ্যা

 জনসংখ্যা  খাদিজা বেগম  দেশটা ভরা কানায় কানায়  অগুনিত জনসংখ্যায়, তাই কোথাও শৃঙ্খলা নাই বিশৃঙ্খলার কে নেবে দায়?? রাজনীতিতে দুর্নীতি আর শিক্ষার নামে ব্যবসা চলে, কৃষক, শ্রমিক গড়ছে এদেশ  গা ভিজিয়ে নোনা জলে। তবু তারা অনাহারী গুলি খেয়ে মরে রাস্তায়।। দেশের অর্থ, শ্রোম, মেধা  খুব নিরবে হচ্ছে পাচার, খোথাও কেউ নেই তা দেখার আদালতে নাই সুবিচার। ব্যস্ত এখন পুলিশের লোক চোর, ডাকাতের নিরাপত্তায়।। মূল্যহীন আজ আমজনতা  কথা বলার নাই অধিকার, ন্যায্য দাবি চাইতে গেলে অবিচারের হবে শিকার। যেমন খুশি চলছে তেমন  এখানে নাই কেউ প্রশ্ন করার।।

দেশের জন্য

 দেশের জন্য খাদিজা বেগম  একটা সময় দেশের জন্য  দেশের সন্তান জীবন দিত, দেশমাতাকে রক্ষা করতে দেশের শত্রুর জীবন নিত।। এখন দেখি দেশের সন্তান  ঘুরছে দেশের শত্রুর সাথে, নিজের দেশটা ধ্বংস করছে  লুটপাট করছে দিনে রাতে। দেশ মাতার বিপক্ষে আজ  শত্রুর পক্ষে নিবেদিত।। ব্রিটিশ শোষণ, পাক হানাদার  ওসব করে এলাম গত, এবার ওদের ধ্বংস করে ঘুচাবো এই দেশের ক্ষত। ওরাই এখন বড় বিপদ  দেশের জন্য কলঙ্কিত।। আয় ছুটে আয় মুক্তি সেনা  দেশ মাতাকে রক্ষা করবো, দুর্নীতিকে ধ্বংস করতে  আমরা, আবার না হয় মরবো। তবু এ দেশে রেখে যাবো  সূর্যের মতো আলোকিত ।।

স্মৃতি হয়ে থাকবো

 স্মৃতি হয়ে থাকবো খাদিজা বেগম  ঘৃণা করে যদি মোরে মন থেকে দাও সরিয়ে, তবু রাখবো তোমায় ধরে  ভালোবেসে খুব জড়িয়ে।। যদি তুমি রাগের মাথায়  বারবার আমায় দাও তাড়িয়ে, তবু আমি তোমার দরজায় থাকবো এসে ফের দাঁড়িয়ে। যেতে পারবো না কখনো  তোমার আমার বাঁধন ছিঁড়ে।। কাঁদাও যদি আমায় তুমি  নানা রকম অত্যাচারে, কেঁদে কেঁদে বাসবো ভালো  তোমায় আমি বারে বারে। হয় যদি হোক বুকে ক্ষত  তোমার মুখের কথার তীরে।। ভাবছো আমায় বেশরম আর বেহাইয়া খুব, আসলে তা নয়, ভালোবাসি বলেই বন্ধু  তোমার জন্য কান্দে হৃদয়। যদি যাই না ফেরার দেশে স্মৃতি হয়ে থাকবো ঘিরে।।

আত্মসম্মান

 আত্মসম্মান খাদিজা বেগম আত্মসম্মান বোধ চেনেনা  অহংকারী নির্বোধ জনে, তাইতো তাহার মুখের কথায় কষ্ট ছাড়ায় এই ভুবনে।। চিন্তা ভাবনায় নোংরা প্রাণী ভালো কিছু নাই তার মাঝে, ষড়যন্ত্র করে ঘুরে  সে যন্ত্রণা দেয় তার কাজে। অকারণে অশ্রু ঝরায় সৎ মানুষের দুই নয়নে।। ভালো মন্দের নাই ভেদাভেদ  যা খুশি তাই করে বেড়ায়, সৃষ্টিশীল মন মাটি দিয়ে  মেতে থাকে ধ্বংসের খেলায়। প্রতারক সেই বিশ্বাসঘাতক  ক্ষতিকর কিট এই ভুবনে।। আত্মশুদ্ধির নাই ভাবোনা সুদ, ঘুষ, চাঁদা খায় আরামে, হালাল কাজে মন বসেনা  তার মন ছুটে যায় হারামে। একদিন হাসবে এই পৃথিবী কাঁদবে আত্মা তার মরণে।। বেঁচে থাকতে বাঁচাও তোমায় নইলে হবে লোভের শিকার, সৎ পথে হও পরিশ্রমী বড় সম্পদ তুমিই তোমার। তবু কেনো শেষ করে দাও  তোমার তুমি কোন কারণে?? আত্মসম্মান বোধ আছে যার কোন অন্যায় সে করে না, সত্যের পক্ষে আজীবন সে অন্যাকারীর ধার ধরে না। মানুষ তোমায় হতেই হবে  এই কথাটা রেখো মনে।।

সঙ্গের সাথী

 সঙ্গের সাথী খাদিজা বেগম  সঙ্গের সাথী সঙ্গে নাই আর  চলে গেছে ঐ কবরে, তার বিরহে আগুন জ্বলে  দিবানিশি এই অন্তরে। একি সাথে খাবার খেতাম একি সাথে পড়তাম নামাজ, সেইতো আমরা একলা দু'জন দুই সীমান্তে কোন দোষে আজ? তোমায় দেখার জন্য আমার  চোক্ষ দুইটা কেঁদে মরে।। মনের রাজ্যে ঘুরে বেড়ায়  হাত বাড়ালে পাই না তারে, চোখের পাতায় ভেসে বেড়ায়  তারি স্মৃতি বারে বারে। ভুলতে চাইলে যায় না ভোলা  আরো বেশি মনে পড়ে।। হৃদয় খাঁচায় পুষে ছিলাম  শত আদর দিয়ে তাকে, তবু হৃদয় ভেঙ্গে গেল একলা রেখে এই আমাকে। ভাঙ্গা হৃদয় যন্ত্রণা হয় দুঃখ, কষ্ট খুব ভিড় করে।।

পথের মানুষ

 পথের মানুষ খাদিজা বেগম পথের মাঝে জন্ম আমার আবার পথেই হবে মরতে, আমি তো এই পথের মানুষ  আমার বাড়ি ঘর ঐ পথে। জায়গা জমি দালানকোঠা  এসব কিছুই আমার নয় তো, হঠাৎ করে চলে যাব আজকেই মরণ হবে হয় তো‌। তাই তো আমি ব্যস্ত থাকি  অন্যায় থেকে দূরে সরতে।। আমি,আমার সন্তান, সংসার  আর আত্মীয়-স্বজন সবে, আজ জিম্মাদার আমি সবার তারি হিসাব দিতেই হবে। তাই নিজেকে কোরান থেকে  চাই মানুষের মতো গড়তে।। আমার শত্রু, বন্ধু সেজে আমার মনের ভেতর থাকে, ক্ষণিকের সুখ দেখিয়ে সে পথ ভুলিয়ে দেয় আমাকে। তাইতো আমায় প্রতিটা দিন  তারই সাথে হয় খুব লড়তে।।

বাংলাদেশ

  বাংলাদেশ  খাদিজা বেগম  বাংলাদেশ ও ও বাংলাদেশ আমার সোনার দেশ বাংলাদেশ, তুমি আছো তুমি রবে কভু তোমার হবে না শেষ।।। নয় মাস ধরে যুদ্ধ করে জয় করেছি এই বাংলাদেশ, চলবে না আর তোমার প্রতি কারো জুলুম কারো আদেশ। রক্ত দিয়ে কেনা এই দেশ বীর শহীদের দেশ বাংলাদেশ।। জন্মভূমি বাংলা তুমি  তুমি মোদের ভালোবাসা, তোমায় কত ভালোবসি তা বুঝাবার নাই তো ভাষা। যত দূরে যাই তবু পাই মনে মনে তোমার আবেশ।। হাজার কষ্ট যন্ত্রনাতেও ছেড়ে যাবো না আমার দেশ, তোমার মত কোথায়ও নাই   এতো খুশি এতো আয়েস। মরে গিয়ে থাকবো শুইয়ে  তোমার বুকেই করবো প্রবেশ।।

ষোল তারিখ

 ষোল তারিখ খাদিজা বেগম  ডিসেম্বরের ষোল তারিখ  সেই উনিশশো একাত্তরে, অত্যাচারী, দখলদারি  শেষ করেছি চিরতরে।। বাংলা মায়ের সন্তান আমরা  মিলেমিশে থাকবো সবাই, সজাক থাকবো দেশের জন্য  দেশের উপর আর কিছু নাই। দেশের ক্ষতি করবে যারা যুদ্ধ করব তাদের তরে।। প্রাণের চেয়ে অনেক দামি  দেশের সম্পদ, দেশের সম্মান, জীবন দিয়ে হলেও আমরা  রক্ষা করব দেশের সুনাম। পরিশ্রম আর নৈতিকতায়  আমরা দেশটা তুলবো গড়ে।। দেশের শত্রু দুর্নীতিবাজ  ঠাঁই দেবনা বাংলাদেশে, দেশমাতা কে রক্ষা করবো  আমরা সবাই ভালোবেসে। প্রয়োজনে দেশের তরে  বীরের মত যাবো মরে।।

ভাত খেয়ে যা

 ভাত খেয়ে যা খাদিজা বেগম  আয়রে বাবু, সোনা আমার  ভাত মেখেছি ভাত খেয়ে যা, কোথায় কোথায় থাকিসরে তুই এখনি তো নামবে সন্ধ্যা।। লক্ষী, সোনা, পাখি আমার  আয় ছুটে আয় মায়ের কাছে, তোর বই, খাতা নিয়ে ডাকি তুই এসে বাস আমার পাশে। অনেকে বড় হবি রে তুই  তাইতো শিখতে হবে বিদ্যা।। সোনার ময়না, যাদু আমার আয় বিছানায় আয় ঘুমাতে, বাবা, বাবা করিস না তুই  সে তো আসবে অনেক রাতে। গান শুনিয়ে ঘুম পাড়াবো  এই বাহুতে রাখবো মাথা।। আমার বাবুই , টিয়া, পাখি  গোসল করে খাবার খাবে, তারপরে সে বাবার সাথে মেলায়, খেলনা কিনতে যাবে। তুই যে মায়ের চোখের মানিক  অমূল্য ধন,হীরা, পান্না।।

ক্ষমতা

 ক্ষমতা  খাদিজা বেগম  মরছে পুলিশ, শ্রমিক, নেতা  তাতে, তাদের কি আসে যায়? মানুষ রুপি হায়না ওরা  সারা জীবন ক্ষমতা চায়। সেবার নামে খাচ্ছে লুটে  মানুষের প্রাণ, রক্ত, দেহো, তবু ওদের নাই অনুতাপ  হায়নার মতো হাসছে হোহো। টিকে থাকার এই লড়াইয়ে না না মানবো না পরাজয়।। জীবনটাকে বাজি ধরে শিকার করব হিংস্র হায়না, এই দেশেতে ঠাই দেবো না  যারা দেশের ভালো চায়না। আমজনতার শত্রু ওরা  বন্ধু সেজে সব লুটে খায়।। দলে দলে জোট বেঁধে খায়  আত্মীয়-স্বজন নিয়ে ও খায়, নিয়ম নীতির নামে ও খায়  দখলদারি করে ও খায়। যখন খেতে পারে না আর দেশের টাকা বিদেশ পাঠায়।।

মুখে মুখে গণতন্ত্র

 মুখে মুখে গণতন্ত্র খাদিজা বেগম  রাজনীতিতে সততা নাই  কানায় কানায় ষড়যন্ত্র, কাজে কর্মে দুর্নীতি আজ  মুখে মুখে গণতন্ত্র। দুর্নীতিবাজ হায়নার পিছে লেজ নাড়ানো কুকুর যারা, দেশের ভালো দশেরে ভালো  কোনোদিনও চাইনি তারা। রাজনীতিবিদ আজ হয়েছে  দুর্নীতিবাজ মরন যন্ত্র।। তাই তো মরছে রাজপথে আজ  আমজনতা, পুলিশ, শ্রমিক, দুর্নীতির জাল ছেঁড়ার জন্য  ছুটছে মানুষ দিক বেদিক। আইন আদালত, হাটবাজারে  অবিচারের নাই আর অন্ত্র।। মানবো না, না না, মানবো না  সুশাসনের নামে শোষণ, নিত্য নিত্য মারার চেয়ে  হয় যদি হোক আজকেই মরণ। তবু দেবো ভেঙেচুরে  ওই বিষাক্ত সাপের দন্ত।।