Posts

Showing posts from March, 2023

চিন্তা করো

 চিন্তা করো খাদিজা বেগম  চিন্তা করো চিন্তা করো  তুমি যাহা চিন্তা করো,  তাহা নিয়েও চিন্তা করো ন্যায় অন্যায়ের চিন্তা করো।। ঘুমের আগে চিন্তা করো  তোমার সকাল আসবে কিনা? আজানা শুনলেও চিন্তা করো  পরের আজান শুনবে কি না? লোক ঠকিয়ে খাবার আগে  হজম শক্তির চিন্তা করো! অন্যের ক্ষতি করার আগে  কর্মফলের চিন্তা কারো, যে কর্মফল হয় দাবানল এমন কর্ম কেন করো? জন্মিলে তো মরতে হবে  বাঁচাতে জন্য ক্যান পাপ করো? ন্যায় অন্যের পথ দুটি ঐ  সবার জন্য সমান খোলা, ন্যায়ের পথে মানুষ চলে অন্যায় পথে সত্য ভোলা। চিন্তা করে চিন্তা করো  শেষ বিচারের চিন্তা করো।।

মাটির কাছে

  মাটির কাছে খাদিজা বেগম মাটির কাছে শিখির আছে ধৈর্য শক্তি কাকে বলে? এই মাটিকে কেউ বা কোপায় বুক চিরিয়া কেউ বা চলে।। এই মাটির বুক ছিদ্র করে কেউবা বাসায় গভীর নলকূপ, মাটি কেটে বানায় পুকুর তবু মাটি থাকে নিশ্চুপ। তবুও মানুষ ভালোবেসে মাটি রাখে তাহার কোলে।। অত্যাচারীর পঁচা গন্ধে  আসবে ছুটে নানানা পোকা, উল্লাস করে খাবে তারে যে মানুষেরে দেবে ধোকা। যে জন থাকে সত্যে সাথে জীবন যায় না তার বিফলে।। যাদের কথায় অশ্রু ঝরে কাজে ভাঙে মানব হৃদয়, মানব রূপে দেখতে হেলায়ও ওদেরকেই  অমানুষ কয়। বর্তমানে জন্য ওরাই ভবিষ্যতে পুড়বে জ্বলে।।

স্বাধীনতা

 স্বাধীনতা  খাদিজা বেগম অনাহারী লোকের কাছে  স্বাধীনতা তিন বেলা ভাত, ঐ গৃহহীন লোকের কাছে স্বাধীনতা এক টুকরা ছাদ। কর্মহীন দের স্বাধীনতা কাজের বিনিময়ে টাকা, অসুস্থদের স্বাধীনতা সেবা পেয়ে সুস্থ থাকা। নাগরিকদের স্বাধীনতা অন্যায়ের প্রতি প্রতিবাদ।। সাংবাদিকদের স্বাধীনতা হুবাহু সব প্রকাশ করা, কবি দলের স্বাধীনতা বর্তমানকে তুলে ধরা। জনগণের স্বাধীনতা  ভয়-ভীতিহীন চলবে দিন রাত।। ছাত্র-ছাত্রীর স্বাধীনতা শিক্ষা অঙ্গন রাজনীতিহীন, ব্যবসায়ীদের স্বাধীনতা চাঁদাবাজ আর সন্ত্রাসবিহীন, চাকরিজীবীর স্বাধীনতা আপন কর্মে কেউ দেবে না হাত।।

মানব সমাজ

 মানব সমাজ খাদিজা বেগম  মানব সমাজ মানুষহীন আজ মানব রূপে পশুদের বাস, স্বাধীনতা নেই তো কারো সবাই অর্থ ক্ষমতার দাস।। চোর, ডাকাতে জোট বেঁধেছে ঘুষখোরদের আজ রাজত্ব, চাঁদাবাজ আর চোরাকারবারী চলছে তাদের খুব বীরত্ব। ধুকে ধুকে মরছে মানুষ  হেঁটে চলে মানুষের লাশ।। আদালত আজ বন্দী জেলা জনগণে নিপীড়িত, আইনের নামে বেআইনী কাজ  মানবতা পরাজিত। থানায় থানায় পঁচা গন্ধ শকুনেরা করে উল্লাস।। বিদ্যালয়ে শিক্ষা নেই আজ  শুধু ক্লাস আর এ প্লাস, বিদ্বেষ ভরা বইয়ের পাতায়  মিথ্যে মানুষ হওয়ার প্রয়াস। দ্বিধাদ্বন্দে হারিয়ে গিয়ে আমায় আমি করি তালাশ।।

বৃষ্টি এলেই

 বৃষ্টি এলেই খাদিজা বেগম বৃষ্টি এলেই বাজে কানে  ব্যাঙ গুলোর ডাক ঘ্যাঙর ঘ্যাং, বৃষ্টি ভেজা পথিকেরে  পথে মারে জোরছে ল্যাং। বৃষ্টি আসে ছাতা ঠেলে  সবকিছু দেয় ভিজিয়ে, বজ্র আসে আকাশ ছিড়ে  কত জীবন যায় নিয়ে। বজ্রের ভয়ে ছুটতে গিয়ে  কত জনে ভাঙ্গে ঠ্যাং।। বৃষ্টি পেয়ে কেউবা ঘুমায়  নকশি কাঁথা দিয়ে গায়, যাদের কোন ঘর বাড়ি নাই  তাদের বেঁচে থাকাই দায়। কেউবা আবার হাঁটতে হাঁটতে  কাঁদা পথে চিৎপটাং।। টাপুর টুপুর বৃষ্টি সুরে  কেউবা গেয়ে ওঠে গান, কেউ বাবার নেচে নেচে  বৃষ্টির জলে করে স্নান। বৃষ্টি হলেই ব্যাঙের বিয়ে  আনন্দেতে মশগুল ব্যাঙ।।

একটাই সুযোগ

 একটাই সুযোগ খাদিজা বেগম  ভেবেচিন্তে কথা বলো জেনেশুনে নাও সিদ্ধান্ত, হঠকারিতা ভালো কাজ নয়, এই জীবনটা নয় অনন্ত। একজীবনে একটাই সুযোগ  লেগে থাকো ভালো কাজে, একটু সময় যায় না যেন কুকাজ কর্মে আজে বাজে। ছোটখাটো ব্যাপার গুলো  যাও এড়িয়ে থাকো শান্ত।। পাপ থেকে যাও  দূরে সরে  পবিত্রতা করো অর্জন, ঐ মল‌, মূত্রের মত তোমার  লোভ লালসা করো বর্জন। সত্য পথে মরবে তবু কভু হবে না ক্লান্ত।। না থাকুক ঐ হাত পায়ের রগ ব্যাংক ব্যালেন্স আর দৃষ্টি শক্তি, তবু তুমি শ্রেষ্ঠ মানুষ সত্য তোমায় দেবে মুক্তি। লোভ তোমাকে ধ্বংস করবে যদি লোভে হও আক্রান্ত।।

খুব সকালে

খুব সকালে খাদিজা বেগম  খুব সকালে কাক ডেকে কয় খোকা, খুকু তোমরা ওঠো, ফুল ফুটেছে ঘ্রাণ ছুটেছে তার সুবাসে তোমরা ছুটো। এখন সময় জেগে ওঠার উঠছে দেখো সোনার রবি, চারিদিকে সুন্দর দৃশ্য এই যেন ঐ স্রষ্টার ছবি। দেখবে যত চোখ জুড়াবে  মন মাতানো তপন ফটো।। চোখের পাতা খুলে দেখো  চারিদিকে সোনার আলো, ঐ অন্ধকার ছেড়ে এসো  আলোর পথে তোমরা চলো। হৃদয় ভরে আলো কুড়াও  দু'চোখেতে মুঠো মুঠো। এই প্রতিটা দৃশ্য যেন  জ্ঞানে ভরা এক একটা বই, নয়ন খুলে মনে প্রানে একে একে পড় সবাই। আজকে যারা ছোট্ট শিশু  কালকে হবে বড় প্লেটো।।

মহৎ স্বভাব

 মহৎ স্বভাব খাদিজা বেগম  যতটা ক্ষণ থাকবে জীবন হয় না যেন ধৈর্যের অভাব, ক্ষমা করে করে গড়ো  ক্ষমাশীলদের মহৎ স্বভাব।। হঠাৎ করে রাগ করাটা এই জীবনের একটা অংশ, সেই রাগটাকে পুষে রাখলেই  মানব জীবন হবে ধ্বংস। মানুষ থেকে হবে পশু বাড়বে যাতো রাগের প্রভাব।। ভুল করাটাও কোন ভুল নয় ভুল স্বীকার না করাটাই ভুল, ভুল গুলোকে শুধরে চলো চেষ্টা করো থাকতে নির্ভুল।  মনে প্রানে চেষ্টা করলে  মানুষ ধারা সবই  সম্ভাব।। ভুলগুলোকে আঁকড়ে ধরলে  রাগগুলোকে রাখলে পুষে, কোন মানুষ থাকে না আর মানুষ হয়ে নিজের বশে। শয়তানে তার পরিচালক ব্যবহারে আমিত্বভাব ।।

আল্লাহর প্রেম

 খাদিজা বেগম আল্লাহর প্রেম  আল্লাহর প্রেম সেরা প্রেম  আর বাকি সব প্রেমে ধোঁকা, যে আল্লাহকে ভুলে থাকে তাহার চেয়ে নাই কেউ বোকা। আল্লাহর বাণী শ্রেষ্ঠ বাণী যে শোনেনি তাহার কানে, অশান্তি তে ডুবেছে সে  শান্তি লাগে না তার প্রাণে। কুরে কুরে খাচ্ছে তারে  নাস্তিক নামের দাম্ভিক পোকা। আল্লাহর আদেশ অমূল্য ধন যে চলেনি তাহা মেনে, মূল্যহীন তার মানব জীবন সৃষ্টিকর্তা কে না চেনে। তার চরণে লুটাই না যে  অকৃতজ্ঞ সে এক রোখা।। আল্লাহর নিষেধ সীমারেখা যে মানুষের হয়েছে পার, পার পাবে না শেষ বিচারে কঠিন সাজা হবেই তো তার। আয় ফিরে আয় আল্লাহর কাছে সেজদায় পরে হৃদয় ঠোকা।।

কুরসীর নিচে

 কুরসীর নিচে খাদিজা বেগম  কি করিব কোথায় যাব? দয়াল আমায় সুপথ দেখাও, কঠিন জীবন সহজ করো আমায় বিপদ থেকে বাঁচাও। কষ্ট বইতে কষ্ট লাগে খুব যন্ত্রণা হয় এই বুকে, আর পারিনা সইতে আমি মন মরে যায় ধুকে ধুকে। তোমার হাতে সব ক্ষমতা কষ্টগুলো দূর করে দাও।। অসুখ আমার সুখ নিয়েছে দুঃখ এখন কানায় কানায়, তুমি থাকতে আমি দুঃখী  এই দুঃখ কি আমায় মানায়? সারা জীবন ভুল করেছি আমায় তুমি মাফ করে দাও।। মোর পরিক্ষা নিওনা আর শক্তি নেই যে পরীক্ষা দেওয়ার, তুমি ছাড়া নেই কিছু আর  আমার বলতে তুমিই আমার। তোমার কুরসীর নিচে আমায় ভালোবেসে রাখিয়া দাও।।

একটা কবর

 একটা কবর খাদিজা বেগম কেউ জানেনা আছে কিনা  একটা কবর তার কপালে, তবু কেন বোকা মানুষ  রাখতে চায় সব তার দখলে। ঘুম আসিলে আমার চোখে  মরণের ভয় জাগে মনে, আমি যদি না জাগি আর  সেই ভাবনায় জল নয়নে। মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়বে  জনে জনে কাল সকালে।। দলে দলে আসবে মানুষ  একটি পলক দেখবে আমায়, খাট পালঙ্ক ছেড়ে দিয়ে  তখন আমি থাকবো নামায়। আপন লোকে অশ্রু চোখে  বিদায় দিবে শেষ বিকালে।। আমার বলে থাকবে আমার  আমার হাতের সেই কর্মফল, যা করেছি দিনের রাতে  এই দেহটা থাকতে সচল। এই মাটিটা মিশে যাবো  ওই মাটিতেই কালে কালে।। মাটির দেহ রাতে সুখে  কেউ করোনা ছলচাতুরি, মাটির দেহ মাটি হবে  সবই মিথ্যে বাহাদুরি। নিজেকে আর জড়ায়ো না লোভ লালসার নোংরা জালে।।

আল্লাহকে

 আল্লাহকে খাদিজা বেগম  আল্লাহকে অবিশ্বাস যার  তার ভাগ্যে নাই জান্নাতের সুখ, জান্নাতের ঐ পথের বাঁধা পরনিন্দার, দুমুখো মুখ। যে লোকে তার প্রতিবেশীর প্রতি চালায় অপকর্ম, সেও পাবে না ঐ জান্নাত এটাই বলে আমার ধর্ম। আত্মহত্যা করিবে যে পথ ভ্রষ্ট সে জান্নাত বিমুখ।। যে উপকার করে আবার  বারে বারে দেবে খোটা, সেও পাবেনা, যার কথাতে  অশ্রু ঝরে ফোঁটা ফোঁটা। নেশাকারী, ব্যভিচারী মা, বাবাকে যে দেবে দুখ।। তাকদির স্বীকার করে না যে অহংকারী, বিশ্বাসঘাতক,  যাদু, গণক, ঋণগ্ৰস্থ মিথ্যাবাদী জালিম শাসক। ওরাও যাবে না জান্নাতে র্ত যাদের প্রতি হিংসার অসুখ।।

বড়ো পাপী

 বড়ো পাপী  খাদিজা বেগম  কথায় কথায় বলো কেন  অন্য জনকে বড়ো পাপী, অন্যের কথা ছেড়ে দিয়ে  দেখো নিজের ঐ পাপ মাপি। অন্যের পিছে পড়ে থাকলে লাভ হবেনা তোমার কোন, নিজের পিছে পড়ে থাকো  সফল হতে পারো যেন। সব অপরাধ পড়বে মনে  হাতে পাইলে কর্ম লিপি।। নিজে বলো মিথ্যা কথা  অন্যকে কও মিথ্যাবাদী, অন্তর্যামী জানেন সবই  কে  পুণ্যবান কে অপরাধী। শেষ বিচারের ভয়ে ও মন  হয়ে যাও আজ অনুতাপী।। মানুষ খোঁজো মানুষ বোঝো  ঐ মানুষে তার বসবাস, মানুষেরে কষ্ট দিলে  হবে তোমার খুব সর্বনা। শেষ বিচারে মুক্তি পেতে চিন্তাভাবনায় থাকো সাফি।।

সন্তান ঋণী

 সন্তান ঋণী খাদিজা বেগম  সন্তান ঋণী চিরদিনি গর্ভধারি মায়ের কাছে, তেমনি ঋণী দেশের কাছে  যে যেই দেশে জন্মনিছে। গর্ভধারী মায়ের ঋণ আর জন্মভূমি মায়ের এই ঋণ, ভালবাসার মধুর বোঝা  জ্ঞানী গুণী বয় চিরদিন। বেঈমানেরা জিন্দা মাকে  পরিণত করে লাশে।। মানুষ রুপে পশু সে জন যে রাখেনা মায়ের খবর, সব শয়তানের গুরু সে জন  যে খুঁড়ে তার দেশে কবর। নিজেও করে অপরাধ আর  থাকেও অপরাধীর পাশে।। দুই মায়েরই সন্তান আমরা  কেউ নয় একটু ছোট বড়, মানুষ হলে দুটি মাকেই  ভালোবেসে যত্ন করো। সত্যিকারের মানুষ যারা  তারা মাকে ভালবাসে।।

সুখ নাই

 খাদিজা বেগম  সুখ নাই  সুখ নাই সুখ নাই মনে সুখ নাই সুখ সে তো এক মরিচিকা, যেই সুখ পেতে ঘুরছে সবাই কেউ পায়নি সেই সুখের দেখা। দূর থেকে সুখ ভেবে কাছে  গিয়ে দেখি সুখ পোড়া ছাই, দিনে দিনে দুঃখ বারে  যতই আমি দুঃখ তাড়াই। থাকে যদি থাকুন বুকে  কিছু দুঃখের অগ্নিশিখা। দুঃখ ছাড়া হয়না জীবন তবুও সুখ ভাসে চোখে, সুখের জন্য ঘর ছাড়িয়া  যাযাবর হয় কত লোকে। সুখের আশায় যায় জঙ্গলে  ছেড়ে দিয়ে অট্টালিকা।। দেখা যায় না, ছোঁয়া যায় না  সুখ যেনো এক অদৃশ্য ঘোর, যার ঘোরেতে ঘুরে ঘুরে  ব্যথিত হয় অবুঝ অন্তর। সুখী যদি হতে চাও যন সাফ করো পাপ অহমিকা ।।

প্রশংসা

 খাদিজা বেগম প্রশংসা যতই করি না প্রশংসা  ততই হয়ে যাবে কম, অতুলনীয় অদ্বিতীয় ভাবনার অতীত অন্য রকম।। আমি তোমার সুন্দর সৃষ্টি তুমি অসীম সুন্দর স্রষ্টা, এই নয়নে তোমায় দেখার তীব্র হতেও তীব্র তেষ্টা। এই তৃষ্ণাটা বেড়েই চলছে  তীব্র গতি নিয়ে হরদম।। সকল বন্দর শ্রেষ্ঠ বন্ধু  তুমি আমার সৃষ্টিকর্তা, না বলিতেই শুনে ফেলো  এই হৃদয়ের যত ব্যথা। না চাহি তাই দান করেছ  তোমার চেনার জ্ঞান সব রকম।। সেবার জন্য দান করেছো  শক্তিশালী আমার দুই হাত, প্রিয়জন মাতা, পিতা, ভাই, বোন দিনের সূর্য আর রাতের চাঁদ। হৃদয় ভরে দিয়েছো সুখ ইচ্ছে গুলো হরেক রকম।। দূর করেছ ভিতর থেকে  ভালো মন্দের সকল দ্বন্দ, দান করেছো পবিত্রতা এই মুখেতে নাই গালমন্দ। সকল দাতার সেরা দাতা  দান করেছো আমার এই দম।।

ভালবাসা

 খাদিজা বেগম ভালবাসা  ভালোবাসা পাবার আশা  আমায় করলো যাযাবর, তোমায় দেখে ভুলে গেছি  আমি আমার বাড়ি ঘর। যেথায় গিয়ে দৃষ্টি পড়ে  সেথায় দেখি তোমাকে, তোমায় দেখার পরে আমি  দেখিনা আর আমাকে। আয়না দেখলেও তোমায় দেখি  জানো না তো সে খবর।। চলতি পথে যেতে যেতে  দেখি আমি দাঁড়িয়ে, এই বুঝি গো আসছো তুমি  ডকছো দুহাত বাড়িয়ে। তোমার প্রেমে মগ্ন হলে  পুলিশে দেয় চড় থাপ্পর।। এমন করে আর পারিনা  আমার এই হাত ধরো না, প্রেমের জ্বরে কাঁপছি ধরে  একটু সেবা করো না। আপন করে রেখো ধরে  আমি নাইতো তোমার পর।।

চুল সরানোর অজুহাতে

 চুল সরানোর খাদিজা বেগম  চুল সরানোর অজুহাতে যখন আঙ্গুল লাগাও গালে, জ্বলে পুড়ে ছাই হয়ে যাই আমি তোমার প্রেমের ঝালে। একের পরে এক এক করে  নানান রকম অজুহাতে, তুমি যখন সময় কাটাও ঘুরে ঘুরে আমার সাথে। তখন এ মন চায় তোমারে  আমার জন্য চিরকালে।। ওই চোখেতে বড় মায়া দেখলে একবার চোখ সরেনা, ঐ হাতের ঐ যাদুর ছোঁয়া একবার ছুঁলে মন নড়ে না। তোমার পায়ে পা মিলিয়ে চলতে চায় মন তালে তালে।। তোমায় নিয়ে স্বপ্নে বিভোর  আমার সরল দুটি নয়ন, মন বলে যায় মনে মনে  তোমায় আমার খুব প্রয়োজন। না বুঝিয়া ফেঁসে গেছি, আমি তোমার প্রেমের জ্বালে।।

মাঝ পথে আজ

মাঝ পথে আজ খাদিজা বেগম  মাঝ পথে আজ কোন কারণে একা ফেলে চলে যাও, তুমি ছাড়া পথ চিনিনা আমার জন্য তো দাঁড়াও। তোমার সাথে একি পথে এতো দূরে এসেছি, ভুলে যেতে পারব না আর এতো ভালো বেসেছি। পথ নেই আর মৃত্যু ছাড়া তুমি কি মোর মৃত্যু চাও?? হয়তো তুমি নতুন এক জন পেয়ে আমায় ভুলেছ , আমার এই হাত ছেড়ে দিয়ে সেই হাত ধরে চলেছ? তুমি ছাড়া কেউ নেই আমার আমার দিকে ফের তাকাও।। কোন দোষেতে মন ভেঙেছ সয় না বুকে এই ব্যথা, কোন আনন্দে ডুবে আছো না ভেবে মোর কথা। এতো দুঃখ দিয়ে আমায় তুমি কতো শান্তি পাও??