Posts

Showing posts from May, 2022

লাভ হবে না

 লাভ হবে না খাদিজা বেগম পর্দা, হিজাব, দাড়ি-টুপি লাভ হবে না ভালবেসে, তুমি করো ভুরিভোজন তোমার স্বজন উপবাসে। রোজা রেখে, নামাজ পরে, লাভ হবেনা হজ্জ করে, লোভ-লালসা আছে পোষা তোমা ঐ অন্তরে। তোমার কোন লাভ হবে না করে এত শিক্ষা অর্জন, তুমি একটা দুর্নীতিবাজ, করোনাই তা আজও বর্জন।  ধর্মের লেবাস পড়ে তুমি গোপনে খাও সুদের টাকা, তোমার ভিতর হিংস্র পশু নীতি-নৈতিকতা ফাঁকা। ধর্মটাকে পুঁজি করে করছো তুমি বাণিজ্য আজ, কুসংস্কারে অন্ধ তাই আমাদের এই মানব সমাজ। শৃঙ্খলা বাহিনী সেজে করছো তুমি বিশৃঙ্খলা, সত্য কথা বলে যারা কাটছো তুমি তাদের গলা। রক্ষক সেজে ভক্ষণ করছো এই দেশের সব খাদে খাদে, তাই দেউলিয়ার পথে এই দেশ জনগণ আজ বিপদে।

আশ্রয় দিন

 আশ্রয় দিন খাদিজা বেগম হে আমার আল্লাহ, আপনি ক্ষমা করে দিন, জীবনে যত করেছি পাপ, রাতদিন।  ইচ্ছাকৃত, অনিচ্ছাকৃত, বুঝে না বুঝে,  পাপ করেছি হালাল-হারাম না খুঁজে। জেনে না জেনে, পাপ ঘরে পরে, তোমার কাছে তাই অনুশোচনার অশ্রু ঝরে। যেন আর কখনো পাপ না করতে পারি,  হাত পেতেছি ক্ষমা করো আমি ভিখারী। বন্দি করো আদেশ নিষেধের দেয়ালে, চলতে যে না পারি আমি মনের খেয়ালে। হে আমার আল্লাহ,আমাকে আপনি আশ্রয় দিন,  লোভ-লালসা, কামবাসনা দূর করে দিন।  হিংসা, অহংকার, পরনিন্দা আর ক্রোধ,  ধ্বংস করে দিন মনে পোষা প্রতিশোধ। আমার আল্লাহ, দয়া করে মাফ করে দিন  আমিন, আমিন, সুম্মা আমিন, আমিন।

মায়ের আদেশ

 মায়ের আদেশ খাদিজা বেগম মা হিসেবে আদেশ দিলাম আমি, মান্য করে চলো আমার গর্ভের ধন, সত্য কথা বলতে হবে, সঠিক পথে চলতে হবে, সৎ মানুষের বড় প্রয়োজন ‌‌। ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার,জজ, ব্যারিস্টার, শিল্পপতি, রাষ্ট্রপতির কিছুতে নেই অভাব, মানব এই সমাজে পাই না মানব খুঁজে মানব রুপি দানবগুলোর খাই খাই সভাব। হাফেজ, মাওলানা, আজাহারি, মাদানী, আরও আছে বড় বড় ডিগ্ৰীদ্বারী অধ্যাপক, তবুও এই সমাজে বেড়েই যাচ্ছে ধর্ষণকারী, সুদখোর, ঘুষখোর, শিক্ষক প্রতারক। আর্মি, পুলিশ, নৌ, বিমান, বিডিয়ার, আনসার, ডিবি কমতি নেই আইনের লোকে, তবুও এই সমাজের অফিস আদালতে চলছে বেআইনি কর্ম তা কেউ দেখে না চোখে।

আমি

আমি খাদিজা বেগম ডরে ডরে কম্পিত ভীরু শঙ্কিত বুকের মাঝে আমি শক্ত হাতে সাহসের বীজ বপন করি, দারিদ্র্য তার কষাঘাত আর অসুস্থতার যন্ত্রণা, আমি লোভ ছাড়া এসব সমস্যাকে না ডরি। একের পর এক মিথ্যা কথা বলতে বলতে যারা মিথ্যাবাদীর তালিকায় লিখেছে নাম, আমি তাদের হৃদয়ে চাষ করি সততার বানী সত্য বাদীর চরণে করি ভক্তি ভরে প্রনাম। অর্থ ক্ষমতার মোহে অন্ধ হয়ে যারা দেখেনা অধিকার বঞ্চিত অনিকেতন ছোট ছোট শিশু, তাদের চোখে লাগিয়ে দেই মানবতার মণি যাতে তারা আর না হয় কভু পশুর চেয়ে নিচু।

কেন এই আইনসভা

 কেন এই আইনসভা খাদিজা বেগম কেন এই আইনসভা বলনা- এই আইনের কি দরকার? বারবার আসে যদি এই দেশ- বেআইনিভাবে সরকার! কেন এই আদালত এখানে- হয় কিসের বিচার? যদি দায়িত্ববান ব্যক্তিদের- হতে হয় বহিষ্কার! কেন এত নাইট্রো মঞ্চ যদি- নাটক হয় সংসদে? কারে দাও ফাঁসি যদি সন্ত্রাসী- থাকে রাজনৈতিক পদে? কেন এই আইনসভা বলোনা- এই আইনের কি দরকার? যদি আইন দিয়ে বাঁচাতে না- পারো শেয়ার বাজার! কেন এত উকিল মুক্তার- করে ওরা কি বিচার? এখনো তো আকাশে বাতাসে- ধর্ষিতাদের হাহাকার! কেন এত অভিনেতা আর- অভিনেত্রী এফডিসিতে? যদি করে অভিনয় নেতা-নেত্রীরা এই রাজনীতিতে! কেন এই আইনসভা খাদিজা বেগম কেন এই আইনসভা বলোনা- এই আইনের কি দরকার? যদি জনগণে নাইবা পেল- তাদের ভোটাধিকার! কেন উৎপাদন ব্যবস্থাতে- চাঁদা তোলার হুংকার? কেন ব্যবসায়ীরা খুন হয়- গুম হয় বারেবার ? এই নিত্যপণ্যের ঊর্ধ্বগতি- দেশটা জুড়ে মজুতদার? সকলে ব্যস্ত লুটে খাবার- কেউ নেই এসব দেখার! কেন তবে থানা পুলিশ- এসবের কি দরকার? যদি না কাটাতে পারো তোমরা- দুর্নীতির অন্ধকার! হে অধিকার বঞ্চিত প্রাণ- তোমরা হয়ে যাও সাবধান, ওরা উপরে সাধু ভিতরে- অভিশপ্ত সেই শয়তান।

হে মেয়ে

 হে মেয়ে খাদিজা বেগম হে মেয়ে, তুমি কি এই আমার-প্রিয় বন্ধু হতে পার? আমি চলতে চাই এই পৃথিবীতে- যদি পারো হাত ধরো! আমি তো অন্ধ নই তবুও যে- চলতে পারিনা এই পথ, আমি তো বোবা নই তবুও যে- বন্ধ মোর মতামত। যদি তুমি হাত ধরো মোর- পাড়ি দেবো মহাকাশ, বাঁধভাঙ্গা জোয়ারের মতো- নিজেকে করবো প্রকাশ।  সূর্যের মতো অধীত হব-সকল কুয়াশা কেটে, ঘুমন্ত বোধবুদ্ধির উপরে- বজ্রে হয়ে পড়বো পেটে। হে মেয়ে, তোমাকে পেয়ে আজ-মনে হল বন্ধু তুমি, তোমাকে দেখে সজীব হলো- এই মনের মরুভুমি। তোমাকে দেখার পরে মোর- রাত যেন হল ভোর,  একে একে যেন আসিতেছে- এই জীবনে সুখবর। তোমাকে দেখার পরে মন- যেন জাগিয়া উঠেছে, মরে যাওয়া কাননে আমার- আশার ফুল ফুটেছে। বুক জোড়া বেদনার চর- ডুবেছে সুখের জলে, এই মন মাঝি ধরেছে বৈঠা- তোমাকে দেখার ফলে।  আমার এই হাতটা ধরো বন্ধু- তুমি যদি রাজি থাকো, আমি করিনা কারো পরোয়া- তুমি যদি কাছে ডাকো। সাগর আর মহাসাগর - হাত ধরে দেব পাড়ি, দুখের পাহাড় ভেঙেচুরে- গড়িব সুখের বাড়ি।

ক্ষমা

 ক্ষমা খাদিজা বেগম  ক্ষমা করো বন্ধু ক্ষমা করো- ক্ষমা করে দাও বারবার, আদর করো শাসন করো- ক্ষমা করে দাও আবার। তোমার পিতা-মাতা ভাই-বোন- ভুলে গড়ানো মানুষ, প্রত্যেকের ভিতরে থাকিবে- ছোট কিংবা বড় দোষ। তাও একটা নয় দুটো নয় -একই দেহে বহু ত্রুটি, অশান্তি ছাড়া ফল পাবে না- যদি করো ঝগড়াঝাঁটি।  করিতে হবে তোমাকে বন্ধু-খুব ভালো ব্যবহার, রক্তের বন্ধন ভয় করো- তাই জবাবদিহিতার। ছোটখাটো ভুল গুলো দেখে- কর না দেখার ভান, তবে কষ্ট থেকে তুমি আর- তারা সবে পাবে ত্রাণ। অনেক কিছু শুনেও তুমি- থাকবে না শোনার মত, শাসনের চেয়ে ভালোবাসা- বিলিয়ে দাও অবিরত। ছেড়ো না কেউ রক্তের বাঁধন- আদেশ আল্লাহতালার, কেউ কাউকে করো না অপমান- ঘৃণা, অশ্লীল ব্যবহার। ক্ষমা ছাড়া মানুষ হয় না- সত্তিকারের মানুষ, নিজের ভিতর খুঁজে দেখ- সেখানেও আছে দোষ। প্রতিটা ভুলের জন্যে যদি- প্রত্যেকের হতো শাস্তি, জীবনে থাকত না কারো দোস্তি- আনন্দ আর মাস্তি। হারাম থেকে দূরে থাকিও- বন্ধু বলছি বারংবার, হালাল আঁকড়ে ধরে মরে গেলেও- কোন চিন্তা নাই তোমার  ক্ষমা পেলে যেমন খুশি হও- তেমনি খুশি হও বন্ধু, হৃদয়ে বহন করে একটা-ক্ষমা ভর্তি সুধাসিন্ধু।...

এই দেশের জন্য

 এই দেশের জন্য খাদিজা বেগম এই দেশের জন্য জেলে যাবো, ফাঁসি নেব,  তবুও এই দেশ হতে দেবোনা দেওলিয়া, আওয়ামীলীগ-বিএনপি আর কোন দল ওরা কেউ ভালো নয় এই দেশের লাগিয়া। নীতিবান আছো যারা সামনে এসো তারা তাড়িয়ে দাও দুর্নীতিবাজ ঘুষখোর দল, প্রতিটা খাদে খাদে দেশ আজ বিপদে আর করো না দলে দলে এই দেশ কোন্দল। ঘুমের ঘোরে আছো যারা জাগিয়া ওঠো জাগো জাগো হে দেশপ্রেমিক ওঠো জাগিয়া, বাড়ছে যত দুর্নীতি ততই দেশের ক্ষতি বিদ্যুৎ গতিতে এইদেশ হচ্ছে দেউলিয়া। যুগ যুগ ধরে অনেক দেখেছি আমি  আমলা, মন্ত্রীদের চুরি ও অর্থপাচার, অনেক শুনেছি গুম, খুন, ধর্ষণের বিচার না পাবার আহাজারি, চিৎকার। হে নীতিবান, দুর্নীতি থামাও দেশ বাঁচাও রাজনীতিতে নাম লেখাও দেশের লাগিয়া, ওই দুর্নীতিবাজ, সন্ত্রাস, কালোবাজারি লুটেপুটে এই দেশ থেকে যাবে ভাগিয়া। আমরা যদি জেগে উঠে থাকি ফের ঘুমে আমাদের দেশটা একদিন হবে দেউলিয়া। পুলিশ যদি হয়ে যায় চোর, ডাকাত, আমরা পুলিশ হব এই দেশের লাগিয়া। এখন যারা খাচ্ছে উন্নয়নের নামে  হাট-বাজার, মন্দির, মসজিদ, মাদ্রাসা, এই দেশ নিয়ে নেই তাদের চিন্তা-চেতনা অন্য দেশে তারা বেঁধেছে সুখের বাসা।  দেশজ...

আমি যেন

আমি যেন খাদিজা বেগম আমি যেনো কোন ধুলো মাটি  একদিন যাবো পবনে উড়ে, ধরে বেঁধে রাখবেনা কেউ মোরে যত্ন করে রাখবে মাটি খুঁড়ে। একদিন নিয়ে যাবে আমায় অদৃশ্য এক তীব্র হাওয়াতে, সব ছেড়ে চলে যাবো আমি তোমরা আর পারবেনা থামাতে। আমি ছুটে চলা সাদা মেঘ আমার ঠিকানা বহু দূরে, মিথ্যা মায়ার বন্ধনে তবু আমার হৃদয় জ্বলে পুড়ে। যদিও ঘড়ির কাঁটা থামে কখনো তো সময় থামেনি, যদিও ঘুমিয়ে থাকে দেহ ছুটেছে আত্মা দিন যামিনী আমি যাত্রা পথের পথিক ছুটে চলেছি দিক বেদিক, কখনো ভুল পথে আবার কখনো চলি আমি সঠিক। আমি জানিনা তো ভবিষ্যৎ বর্তমান চলছে অনিশ্চিত, কিছু ভয় কিছু তেজ আর আছে কিছু ভরসা কিঞ্চিত। কিছু সুখ কিছু দুঃখ আছে কিছু আনন্দ আর হতাশা, এরি নাম উৎকৃষ্ট জীবন তবুও বেঁচে থাকার আশা।

আমি ভয় পাই

 আমি ভয় পাই খাদিজা বেগম আমি ভয় পাই, মাফ করে দাও আমি ভয় পাই, আমি ভয় পাই, শত শত ভাই, বোন নিখোঁজ  গুম হবার ভয় রোজ কাঁদি তাই। আমি ভয় পাই, আমি ভয় পাই,  আদালতে আজ বিচার নাই ভয়ে ভয়ে বোবা কণ্ঠ নাই প্রতিবাদের ভাষা নাই। আমি ভয় পাই, আমি ভয় পাই, এই দেশেতে জন্মেছি তাই নির্বাচনে  প্রহসন আজ নাই আমার ভোট অধিকার নাই। আমি ভয় পাই আমি ভয় পাই, পুলিশ দেখলে আমি ভয় পাই, কখন যেন মিথ্যে মামলার ষড়যন্ত্রে জীবন হারাই।

তোমার প্রেমের জন্য

 তোমার প্রেমের জন্য খাদিজা বেগম তোমার বিরহে গর্জে ওঠে- শান্ত মনের আকাশ, জ্বলে-পুড়ে কাঁপছে থরথর- ভালোবাসার নিবাস। অঝোরে ঝরে নয়নে বৃষ্টি-তবু পুড়তে লাগে মিষ্টি, ধরাছোঁয়ার বাইরে তবুও- ফেরাতে পারি না দৃষ্টি। ভালোবাসি বড় ভালোবাসি- ভালোবাসা পেতে আসি, ভালোবাসার পেতে কাঁদি আর ভালোবাসার পেয়ে হাসি। ভালোবাসার ভেলায় ভেসে- সুখের স্রোতে ভাসি, একটু ভালোবাসা পেতে আমি- হব চরণের দাসী। তোমার ভালোবাসা আমাকে- করেছে বড় উদাসী, তোমার ছোঁয়াতে ফুটে ফুল এই হৃদয়ে রাশি রাশি। তোমার বিরহে এইরিদয়ে- জেগে ওঠে মরুভূমি, থাকো আরো ভালবেসে মিশে- দূরে যেওনা গো তুমি। কাছাকাছি থাকলে তুমি আমি- জাগে প্রেমের মৌসুম, বিরহ গুলো হারিয়ে যায়- শুধু চলে প্রেম ধুম। ছোটখাটো মিষ্টি ঝগড়াঝাঁটি- লাগে বড় ফাটাফাটি, টক লাগে, ঝাল লাগে, তেতো লাগে, কথা কাটাকাটি। তবু তুমি আমার পালঙ্ক- আমি যে তোমার পার্টি, তবু এঁকে নিয়ে অন্যজন- করি সাদা ঘাটাঘাটি। মান অভিমানের পাল্লা টা- মাঝে মাঝে হয় ভারী, কখনো বা হয় দীর্ঘশ্বাস- মন করে আহাজারি। ভালোবাসার পাল্লাটা মাঝে- মাঝে দেখি বড় শূন্য, সব শেষে মনে হয় আমি- তোমার প্রেমের জন্য।

অদৃশ্য পাখি

অদৃশ্য  পাখি খাদিজা বেগম দৃশ্যমান এক খাঁচার ভিতর  অদৃশ্য এক পাখির ভুবন, পাখি ছাড়া পরবে ধসে  খুলবে না আর তোমার নয়ন। ফুটবেনা আর ঠোঁটের হাসি বলবেনা আর কথা বদন, নড়বে না আর হাতের আঙ্গুল  চলবেনা আর তোমার চরণ। সেদিন তুমি বুঝতে পারবে  তোমায় নেই আর প্রয়োজন, আপন জনা করবে তোমার  শেষ বিদায়ের শেষ আয়োজন। দলে দলে আসবে সবে  পাড়া-প্রতিবেশী, স্বজন, কেউ যাবে না তোমার সঙ্গে  এক কর্মফল ছাড়া ও মন। থাকতে সময় বলছি তোমায়  সঠিক পথে চলাও চরণ, অন্যায় হতে দূরে থেকে অন্যায় কর্মে করো বারণ।

যখন তখন

 যখন তখন খাদিজা বেগম  যখন-তখন বাজবে ঘন্টা  খাঁচার পাখি যাবে উড়ে, কারো কোন ক্ষমতা নাই  সেই পাখিটা রাখবে ধরে।। সেদিন তুমি সব হারিয়ে  খুব নিরবে রবে পরে, সবাই মিলে রাখবে তোমায়  অন্ধকারে বন্দি করে।। সময় থাকতে সঞ্চয় করো সত্য আলো ওই অন্তরে, সেই আলোতে আলোকিত  হবে তুমি ওই কবরে।। সফল হতে সবুর লাগে মানুষ হও মন ধৈর্য ধরে, কখনো কেউ হয়না মানুষ মানুষের ওই খোলসা পরে। হিংসা, নিন্দা আর অহংকার যা রেখেছো ওর ভিতরে, ধুয়ে মুছে ফেলো তারে রেখো না তা যতন করে। প্রতিশোধ আর ক্রোধগুলো  ছাই করে দাও ক্ষমা ধরে, নিজেকে আজ বিলিয়ে দাও কালকের জন্য অন্যের তরে।

মায়ের দোয়া

 মায়ের দোয়া  খাদিজা বেগম  আল্লাহ তুমি কবুল করে নাও- এই দুঃখি মায়ের দোয়া, সন্তানের গায়ে লাগেনা যে- কখনো দুঃখের ছোঁয়া। তোমার সুখে ভরিয়ে তোলো- তাহাদের চতুরপাশ, ভুলে না যায় যে তারা কভু- তোমার দয়ার দাস। দয়াকরে দান করে দিও - সুস্থতা ও নেক হায়াত, অন্যায় না করে যেন, করে- অন্যায়ের প্রতিবাদ। ভোগ বিলাসিতা থেকে দূরে- সরিয়ে রেখ যতনে, ত্যাগী চিন্তাভাবনা জাগিয়ে দাও- তাদের পবিত্র মনে। আমার আমার বলে না যে- কখনো গর্ব করিয়া, হিংসা-বিদ্বেষ তাড়িয়ে তুমি- দাও কৃতজ্ঞতা ভরিয়া। তাদের মাথা সাদা রাখিও- সকলের কাছে উঁচু, শুধু তোমার সেজদায় রাখ- তাদের মাথাটা নিচু। তাদের তুমি দান করে দাও - বিশ্ব শাসন ক্ষমতা, তাদের হৃদয় ভরিয়া দাও- সত্য আর উদারতা। সদা সততার সাথে যেন- কায়েম করে শাসন,  মানে চলে যে শুধু তোমার- আদেশ আর বারণ। তোমার ভয়ে ভীত থাকে যে- তাদের সাহসী মন, তোমার পক্ষে লড়াই করে যে- তারা সারাটা জীবন। তাদের বক্ষ ভরে দাও তুমি- সততা আর সাহসে, তারা যে হতদরিদ্র আর- দুঃখীদের ভালোবাসে। তাদের রক্ষা কর ঐ দুষ্টু-লোকের কুদৃষ্টি হতে, শয়তানের কুমন্ত্রণা আর- নোংরা ষড়যন্ত্র হতে। তোমায় ন...

শোধরাইয়া যাও

 শোধরাইয়া যাও খাদিজা বেগম  শোধরাইয়া যাও, শোধরাইয়া যাও তোমার মরণ আসার আগে, ক্ষুদ্র কর্ম কেন্দ্র করে  ছাই হইয়া যাও কেন রাগে? যেখানে যাও যেথায় থাকো  মরন তোমার অগ্রভাগে, ভোগবিলাসী জীবন ছেড়ে  ভরিয়া লও ও মন ত্যাগে। শুয়ে কিংবা বসে থাকো  ছুটছে জীবন তীব্র বেগে, বিবেক দিয়ে চালাও জীবন  চলবেনা পথ আর আবেগে। মানবজীবন অমূল্যধন  কাটাইওনা পশুর মতন, ভালো কাজের আদেশ দেবে  মন্দ কাজে করবে বারণ! পাপ গুলো সব শোধরাইয়া লও  সাক্ষী দেবে অঙ্গে অঙ্গে, মরনেরও পরে যাবে তোমার কর্ম তোমার সঙ্গে। যা করেছ যা বলেছ  সবই আছে লিপিবদ্ধ, তওবা করো ও মন পাপী  আল্লাহ যেন না হয় ক্ষুব্ধ!

মানুষ হতে হবে

 মানুষ হতে হবে খাদিজা বেগম  পুলিশের পোশাক পড়লেই তো- পুলিশ হওয়া যায়না, যে অমানুষের সেবা করে- মানুষের ভালো চায় না। শৃঙ্খলার নামে বিশৃঙ্খলায়- পরিপূর্ণ করে দেশ, যাদের বেতনে চাকরি করে- তাদেরকেই করে শেষ। পুলিশের পোশাক পরলেই তো- সন্ত্রাসী হয় না পুলিশ, কর্মফল বিহণে রবেবে না- কোন ক্ষমতার হদিশ। উকিলের পোশাক পড়লেই -উকিল হওয়া যায়না, যে অপরাধীর পক্ষে থাকে- সাধুর পাশে রয় না।। মুখে মুখে বিচারের বুলি-মনে পোষে ষড়যন্ত্র, এরাই দেয় অপরাধীদের- কু কাজকর্মে কুমন্ত্র। ডাক্তার হলেই মানব সেবায়- নিয়োজিত হওয়া যায় না, মানুষ না হতে পারলে তারে- দিয়ে উপকার হয় না। রাজনীতিবিদদের মত দেবে- সে ক্ষণে ক্ষণে ভাষন, অস্ত্র দিয়ে রক্ত ঝরিয়ে সে-মানুষকে করে শাসন। শোন,সবকিছু হবার আগে- মানুষ হতেই হবে, অমানুষের ছড়াছড়ি এই ক্ষুদ্র মানুষের ভাবে।  

টাকা

 টাকা খাদিজা বেগম ১০/১১/২০১৮ মায়া ভরা এই দুনিয়ায়   টাকা-পয়সার মালিক যারা ভালোবাসা বিলাসীতা   সবই দখল নিলো তারা। টাকা পেলে কথা বলে  রঙিন রঙিন কাঠের পুতুল, মিষ্টি মিষ্টি সৌরভ ছড়ায়  দৃষ্টি কারা কাগজের ফুল । চাকরি মেলে ব্যবসা মেলা  সবি মেলে টাকা হলে, প্রিয়জন হয় আরো আপন  কাছে আসে দলে দলে। টাকা-পয়সা এখন যেনো পিতা-মাতার চেয়েও বড়, হালাল হারাম পরে ওরে আগে হাতে টাকা ধরো। সঠিক পথে টাকা কামাই   হয় না তাতে কোনোই পাপ, টাকাবীনে বর্তমানে  বেঁচে থাকাই যে অভিশাপ। টাকায় টাকায় গড় তুমি  আকাশ সমান টাকার পাহাড়, এই টাকারি করতে হবে  পূর্ণ সঠিক সৎ ব্যবহার। এই টাকার ঘ্রাণ নেশার মতোন  মাতাল করে মানুষের মন, মানুষগুলো হয় যে পশু  টাকার নেশায় অন্ধ নয়ন। টাকার পিছু ছুটে ছুটে  মানব জ্ঞান হচ্ছে যে শেষ, তবুও দূর হলো না তো টাকার অভাব যন্ত্রণা ক্লেশ । টাকা নামের জিকির করে  কাটে তোমার দিবা রাত্রি, ভুলে গেলে তুমিও ভাই মৃত্যু পথের পথ যাত্রী। এই দুনিয়ার টাকা-পয়সা  দুনিয়াতেই যাবে থেকে, এই দুনিয়া তোমায় দেবে  তা...

হে বিচারপতি

 হে বিচারপতি  খাদিজা বেগম হে বিচারপতি, বিচারের নামে কেন অবিচার?  আজ অন্ধ রয়েছে কেন চোখ দু'টো তোমার?  হাজার হাজার আসছে মামলা থানায় থানায় ধর্ষকে ধর্ষকে ভরবে কি বঙ্গ কানায় কানায়?  হে নষ্ট, পচা বিচারক, তুমি নয়তো শুধুই অন্ধ তুমি বিবেকহীন, তোমার মানবতার দ্বার বন্ধ।  তুমিই কুচক্রীদের চক্রান্তের এক চক্রান্তকারী তোমার লোভের শিকার আজ শিশু ও নারী। যারে দিয়ে ভূত তাড়াবো তাহার মাঝেই ভূত হে বিচারক, মানুষ হও থেকোনা আর অদ্ভুত।  তুমি শুধুই একবার হও মানুষ মানুষের মতো শত সহস্র অন্যায় বৃষ্টির মতো ঝরবে অবিরত। যারা নারী তাঁদেরও যে আছে বাঁচার অধিকার  বাঁচার মতো বাঁচতে দাও এবার করো সুবিচার।