Posts

Showing posts from February, 2022

যুদ্ধ

 খাদিজা বেগম  বন্ধ করো বন্ধ করো  এবার যুদ্ধ যুদ্ধ খেলা, একের তরে অন্য জনা  ভাসাও ভালবাসার ভেলা। বিশ্বজুড়ে লাগলে আগুন পুড়বে সর্গ সুখের মেলা আলোচনার মধ্য দিয়ে  মিটিয়ে নাও সব ঝামেলা। বিশ্ববাসী চিন্তায় আছি  কেউ নিয়োনা যুদ্ধে অংশ, সাপের মত বিষ ছেড়না  পৃথিবী করোনা ধ্বংস। রাজায় রাজায় যুদ্ধ করে  মরে সাধারন জনতা, বোম ছুড়না মেরোনা প্রাণ এবার দেখাও উদারতা। মানব চক্ষু খুলে দেখো  পুড়ছে গাড়ি ভাংছে বাড়ি, ছুটছে মানুষ দিক বেদিক যুদ্ধ থামাও তাড়াতাড়ি। মানব হয়ে পশুর মত  দেখাইওনা আর হিংস্রতা, সত্যি কারের মানুষ হয়ে  এবার করো সমঝোতা।

দানব রাশিয়া

 খাদিজা বেগম  মানব দুনিয়াতে হঠাৎ উধাও দানব রাশিয়া, এসো ঘায়েল করিব তারে নিন্দার তীর মারিয়া। ইউক্রেনে মারছে মানুষ গড়তে ধ্বংসস্তূপ, তাই দেখিয়া কোন মানুষ কি থাকতে পারে নিশ্চুপ। এসো কণ্ঠে কণ্ঠ মিলিয়ে ভাই জানাই কড়া প্রতিবাদ, বন্ধ করো দানবের মত মানবের প্রতি আঘাত। কন্ঠে কন্ঠে তোলো সবে মিলে তীব্র নিন্দার তুফান, সেই তুফানে উড়ে যাক অপশক্তি রাশিয়ান। সালাম সালাম ইউক্রেনের হে সাহসী নাগরিক, মরবে তবু দেশ ছাড়বে না কেউ বিজয়ী দেশ প্রেমিক। ইউক্রেনবাসী জিতেছো তোমরা হেরে গেছে মানবতা, অসহায় আমরা বিশ্ববাসী অসহায় বিশ্বনেতা। ঠান্ডা মাথায় মারছে মানুষ রাশিয়া হায়নার দল, বিশ্ববাসী দেখছি বসে আর শুধু ফেলছি অশ্রুজল। করোনার ক্ষত এখনো তো উঠতে পারেনি কাটিয়া, ক্ষতের উপরে ক্ষত আরো হৃদয় যাচ্ছে ফাটিয়া। বারে বারে এই বিশ্ব দরবারে ইউক্রেন চায় সহযোগিতা, কেউ শোনেনা কারো কথা ঘুমিয়ে গেছে মানবতা। ক্ষমতার অপব্যবহারে ভরে গেছে সারা বিশ্ব, আজ মানুষ হতে মানবতা যেন হয়েছে অদৃশ্য।

কষ্ট

 খাদিজা বেগম কষ্ট নামের শব্দটাকে লেখা হলো যুক্তবর্ণ দিয়ে,  কত হাজার কবিতা, উপন্যাস লেখা কষ্ট নাম দিয়ে। কষ্ট যন্ত্রনা দেয় হৃদয়ে দেয়  মনে শত কুমন্ত্রণা, কষ্ট তীব্র কঠিন-কঠোর শোনে না কারো কোন সান্ত্বনা। কষ্ট নামের আগুন আছে তা নিভানোর নাই কোনো পানি, সেই আগুনে পুড়বে যত মন ততই অশ্রু ঝরবে জানি। অধিক কষ্টে হারিয়ে যায় চোখের নিদ্রা মুখের কথা, সারা গায়ে ছড়িয়ে যায় মনের ক্ষত বুকের ব্যথা। কষ্ট নামের হাতিয়ারে ছিনিয়ে নেয় স্মৃতিশক্তি,  সুস্থ সবল মানব জীবন ভরে উঠে রোগে আসক্তি। কষ্টে কষ্টে ভেঙ্গে পরে বাঁচার স্বপ্ন আর মনোবল, জ্যন্ত মরা হয়ে দেহ মরার আগেই হয় অচল।

মন্দ মানুষ

খাদিজা বেগম  আমি একজন মন্দ মানুষ  অহংকারী আমার এই মন, মেনে নিতে চায় না আজো  আমার শুধরানো প্রয়োজন।। প্রতি দিন নয় প্রতি মাস নয় বছরে একবার মিথ্যা বলি, বুঝে শুনে নয় ইচ্ছা করে নয় অনিচ্ছাকৃতই ভুল পথে চলি। তবুও আমি একজন মিথ্যাবাদী ভুল পথে পা বাড়ানো পথিক, তবু আমি অনায়াসেই স্বীকার করি আমি একজন দুঃখি মানুষ, আমি স্বীকার করতে পারিনা  আমি একজন মিথ্যাবাদী মানুষ।

প্রেম পিয়াসী

 প্রেম পিয়াসী খাদিজা বেগম তুমি আমার হৃদয় হয়ে বুকের মাঝে থাক, তুমি আমার শ্বাস প্রশ্বাস প্রাণ বাঁচিয়ে রাখ।  তুমি এখন কত যে দূর দাও না আমায় সাড়া, তোমায় ডেকে আমি যেন হলেম পাগল পারা । তুমি আমার ভোরের পাখি ঘুম ভাঙ্গতে ডাকো, চিরতরেই ঘুমিয়ে যাবো যদি আমায় ছেড়ে থাক‌। তুমি রক্ত কণিকা হয়ে বইছো আমার শিরায়, তোমায় বীনে এ দেহটি নিস্তেজ হয়ে যায়। তুমি আমার চোখের আলো এই হৃদয়ের সুখ, আঁধারে হারাই না দেখি যদি তোমার হাসি মুখ। দিন কাটে না রাত কাটে না অঝরে ঝরে আঁখি তোমার জন্য রাতের পরে রাত জেগিয়া থাকি। তোমায় পেতে বিরহি বুক বিরহে যায় পুড়ে, এ যন্ত্রণার নেই শান্তনা থেকনা আর দূরে। তোমার ছোয়া যাদুর মত কষ্ট করে দূর, আমার মাঝে ছড়িয়ে দেয় প্রনয় ভরা সূর। প্রেম পিয়াসী মন আমার ছটফটিয়ে মরে, ও গো বন্ধু শুধু তোমার ভালবাসার তরে।

সাম্প্রদায়িক

 সাম্প্রদায়িক খাদিজা বেগম  সাম্প্রদায়িক বন্য পশু মোদি নামের হিংস্র হায়েনা, পবিত্র এই বাংলাদেশে মজিব বর্ষে যেন আয়েনা। মোদের গর্ব মোদের তৃপ্তি শেখ মুজিবুর রহমান, মজিব বর্ষে চাই না আমরা শয়তান মোদি হোক মেহমান। মুসলমানদের বড় শত্রু মোদির প্রতি হয় যদি টান, তবে তোরা নয় মুসলমান  মুনাফিক আর খাঁটি বেইমান। অগ্নি সন্ত্রাস এসিড সন্ত্রাস বিশ্ব সন্ত্রাস এই মোদি আজ, তবু কিছু অমানুষে ভালোবাসে মোদির কাজ। নষ্ট মোদি করছে ধর্ষণ আমাদের মা, বোন ও শিশু, সেই মোদিকে পক্ষে রেখে বলছে কথা যেন যিশু । নামাজ শেষে দুই হাত তুলে এই প্রার্থনা শোন করনা, মোদিকে না খেয়ে তুমি  ভুলেও যেন মরণা। ঘুমের ঘোরে থেকো না আর জেগে ওঠো মুসলিম উম্মাহ, শহীদ হবো নয় তো গাজি  আর রবোনা আমার জিম্মা। মান নিয়েছে জান নিয়েছে আর নিয়েছে ভাইয়ের রক্ত, তবুও কি জাগবি না তুই ওরে চরণ চাটা ভক্ত লেজ গুটিয়ে বাঁচার চেয়ে আয় না মরি বীরের বেশে, সাহস দেখে পালিয়ে যাবে রবে না আর অন্যায় শেষে। জয়ের নেশায় জেগেছে মন বন্ধী হয়ে রব না আর, স্বাধীন ভাবে বলবো কথা করবো আদায় সব অধিকার। আল্লাহু আকবার ধ্বনিতে কেরে নেবো মোদির প্রাণ, ম...

ঘরে থাকো

খাদিজা বেগম  তোমরা বলো ঘরে থাকো, ঘরে থেকো ভাই কেউ শুনে না কেউ বুঝে না আমাদের ঘর নাই। আগে ভাত দাও , ক্ষুধার জ্বালা আর সয় না পেটে, দিনমজুরের করোনা কি? মোরা রোজ খাই খেটে। সারা মাসের বাজার করে ক্ষণে ক্ষণে করো ভোজ, আমার মতো অনাহারির কেউ রাখেনা খোঁজ। প্রতিনিয়ত মৃত্যুর সাথে লড়াই করে বাঁচি, মরতে পারি না তাই বাধ্য হয়ে আমরা বেঁচে আছি। জন্ম থেকেই ক্ষুধার কষ্টে মরি যেন ধুঁকে ধুঁকে করোনা যদি মৃত্যু দেয় ঘুমিয়ে যাবো সুখে। বেঁচে থাকো সব বাড়িওয়ালা, গাড়িওয়ালা ধনী, তোমরা তো ভাই সমাজের চোখে বড় ঞ্জাণী গুনি। রাস্তায় জীবন মোদের মোরা কোথায় পাবো ঘর ? কপাল দোষে দোষী আমরা সবাই মোদের পর। কোথাও কেউ নেই আমাদের যে ঘরে নিবে তুলে আমরা মানুষ এ সমাজের, সবাই গেছে তা ভুলে। এমন করে তাড়িয়ে মারো যেন আমরা খুনি ! মারতে মারতে ভাই মেরেই ফেলো মরন দিন গুনি। জ্যান্ত মরা ফেলে যেওনা করোনা আর ক্ষত! বুকের মাঝে ব্যাথার নদী সেথায় দুঃখ শত শত। ক্ষুধার চেয়ে এই পৃথিবীতে ভয়ংকর কিছু নাই! তিন বেলা ভাই শুধু তিন মুঠো ভাত খেতে চাই। মহা বিপদে দেশটা যখন হয়েছে লকডাউন , মুখের অন্ন কেরে নিয়ে নেতা ভরে গোডাউন । কোথায় বুদ্ধি কোথ...

বন্ধু মানে

খাদিজা বেগম বন্ধু মানে অদৃশ্য টানের দুটি মনের বন্ধন, স্বাধীনতা ভরা দুজনার পাগল পাগল মন। বন্ধু মানে মনের দুয়ার খুলে সব কথা বলা, পায়ে পায়ে পা মিলিয়ে সদা একি পথে পথ চলা। বন্ধু মানে বুকের গহীনে সুখ সুখ অনুভুতি, বিশ্বস্ততায় অটল তারা কেউ করবেনা কারো ক্ষতি ।  বন্ধু মানে দুজনার সুখ, দঃখ ভাগাভাগি করা, কারো একটুও ভালোলাগেনা একটি দিনো কাউকে ছাড়া। বন্ধু মানে দুটি মনে একি আশা আকাঙ্ক্ষার টান, একজনের কষ্টে কাঁদে অন্য জনের মায়াবী প্রাণ। একজনের জয়ে জয়ি হয়ে আনন্দ পায় অন্যজন, বেদনা ভুলে আনন্দে মাতে দজনার দুটি মন। বন্ধু মানে এমনিতো হয় ভুল পথে চললে ভুলে। অন্য বন্ধুটি সত্য সঠিক পুর্ন পথে নেবে তুলে। বন্ধু গ্রহণ করো বন্ধু গো একটুখানি জেনে বুঝে, অনেক সময় অনেক দিন যাচাই-বাছাই করে খুজে। মন্দ মনের মানুষকে তুমি করোনা তোমার বন্ধু, সে তো মিথ্যাবাদী ধোঁকাবাজ ষড়যন্ত্র করে শুধু। তোমার হতে হাতিয়ে নেবে সুখ, শান্তি ভালোবাসা, বিনিময়ে দিয়ে যাবে শুধু যন্ত্রণা আর হতাশা। মিষ্টি মিষ্টি কথা শুনে তুমি পরনা যে কোনো ফাঁদে , অতি সরল মানুষগুলো পরে বিশ্বস্ত বন্ধুর খাদে।

ভালো ভাগে না

খাদিজা বেগম  ভালোলাগে না পুষ্প সৌরভ কোন পাখিদের কলরব, করোনার বিষে বিষে যেন বিষাক্ত এই জীবনের সব। ভালোলাগে না গল্পের বই উপন্যাসের আবেগী পাতা, আসবে কবে আবার সেই হইচই একে একে ভাঙ্গবে নিরবতা। ভালোলাগে না সবুজ বৃক্ষ রিমঝিম সুরে বৃষ্টি শব্দ, চঞ্চল এই পৃথিবীটা আজ করোনার আঘাতে স্তব্ধ। ভালোলাগে না রবির আলো জ্যোস্না ঝরা পুর্নিমার রাত, হতাশার অন্ধকারে খুঁজে বেড়াই বেঁচে থাকার সাধ। ভালোলাগে না পড়তে কবিতা শুনতে কোন কোকিলের গান, করোনার ছোবলে হারচ্ছে অসহায় লাখো লাখো প্রান। হাজার শিশু এতিম হলো বিধবা হলো শত শত নারী, তবুও হিংস্র এই করোনার গেলো না তো এ পৃথিবী ছাড়ি। হাজার মায়ের বুক ছিঁড়ে নিলো বুকের মানিক কেরে, জ্যান্ত মরা করলো এই করোনা অসহায় কত মাকে মেরে। সুদ খায় না ঘুষ খায় না খায় শুধু এই করোনা মানবের জীবন, ধরা ছোঁয়ার বাইরে থেকেই তারিয়ে বেড়ায় সারাক্ষণ। ভালোলাগে না সোনার বাড়ি রংবেরঙের নতুন গাড়ি, অদৃশ্য হয়ে প্রিয় মানুষ না ফেরার দেশে দেয় পারি । ভালোলাগে না আকাশের নীল সাগরের তীর ছোঁয়া ঢেউ, এই করোনার শেষ কোথায়?এর উত্তর দেবে কি তোমরা কেউ? ভালোলাগে না কি করে করি,ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি? তবু ...

কবিতার ফুল

খাদিজা বেগম  বিশ্ব কবি নই তো আমি নই জাতীয় কবি নজরুল! আমি শুধু আমার মতো  ফুটিয়ে যাই কবিতার ফুল। সেই ফুলেরি ঘ্রাণে ঘ্রাণে ছড়িয়ে যাই মানবতা, অগ্নি কণ্ঠে ডাক দিয়ে যাই ভেঙ্গে দেই সব নিরবতা। প্রতিবাদী হয়ে জাগো করতে হবে আজ প্রতিবাদ!  বাড়ছে দিন দিন প্রতিবাদ হীন লালসা আর দূর্নীতির হাত। ন্যায়ের হাতে ভেঙে দেবো অন্যায়ের হাত আছে যতো, সাহস শক্তি নিয়ে বুকে বাঁচতে শেখো বাঁচার মতো। মিউ মিউ করে বাঁচার চেয়ে বীরের বেশে শহীদ ভালো, মনুষ্যত্ব নিয়ে জাগো সত্য অগ্নি বুকে জ্বালো। জন্মেছি তো মরার জন্য  তবু কেন ভাই মরতে ভয়? সত্যিকারের মানুষ গুলো মৃত্যুকে তাই করেছে জয়। এই মাটিরই সন্তান আমরা  দেশ আমাদের আর একটি মা, জন্মভূমি ,জন্মদাত্রী কাউকে কষ্ট কেউ দিওনা। অধিকার চাই সমান সমান কেউ খাবে আর কেউ খাবে না, তা হবে না, তা হবে না কোনো অন্যায় আর মানবো না। মানব কিংবা সমাজ কথায় কেউ কান দিয়ে কর না ভুল, আর ভুলো না কভু যেনো কী বলেছেন আল্লাহ রাসূল? এই সমাজটা মানব তৈরি সমাজ তৈরি তোমরা তো নও, সমাজের দোষ দিয়ে কেন অপকর্ম তোমরা চালাও? মানুষ কভু হয় না হিংস্র মানব প্রেমে মানবীয়, ধন সম্পদে কি য...

একুশে ফেব্রুয়ারি

খাদিজা বেগম  বছর শেষে ফের আসেছে সেই একুশে ফেব্রুয়ারি, ভাষাশহীদ ভাসে চোখে  বুকে জ্বলন্ত দিশারী।। রফিক, শফিক সহ আরো  অগণিত ভাই, বোন আমার, স্বৈরাচারী জালিম সরকার,  পাখির মত করল শিকার।। তারা মানে নাই মানে নাই  কোন অন্যায় আর অবিচার, বেআইনি আইন ভঙ্গ করে  করেছিল তাই হুঁশিয়ার।। তারা ছিল ভয়-ভিতীহিন সাহসী বীর, সংগ্রামী, তাদের কাছে প্রাণের চেয়ে ন্যায় অধিকার ছিল দামি।। মায়ের ভাষা দেই নি তারা  লাশ দিয়েছে সারি সারি, অগণিত শহীদ তারা  ছিলো ন্যায়ের অনুসারী।। পুলিশ সেদিন গড়ে ছিল  রক্তভেজা লাশের স্তুপ, তবুও চলছে প্রতিবাদ কেউ থাকে নি সেদিন নিশ্চুপ।। ন্যায্য দাবী আদায় করে  চলে গেছে ভূবন ছাড়ি, তবু মেনে নেয়নি তারা  ভাষার উপর খবরদারি।। আমরা হবো তাদের মত  কেউ হব না ধন পূজারী, লোভ, লালসা ছেড়ে দিয়ে জিতে নেব দুটি পাড়ি।। কেউ হব না ধন পূজারী, লোভ লালসা ছেড়ে দিয়ে জিতে নেব দুটি পাড়ি।।

দূর্নীতি

খাদিজা বেগম  জোরছে মারো মারো লাথি ঐ দূর্নীতির সব ঘাটেতে, চোর ডাকাতের ঠাঁই দেবো না সোনার বাংলার এই মাটিতে।। প্রতিবাদী আওয়াজ তোলো নীতির পক্ষে কথা বল, দুর্নীতিবাজ পাপি সমাজ ভেঙেচুরে সামনে চলো।। জেগে ওঠো মুক্তি সেনা যুদ্ধের মাঠে আছে হায়না, শেষ করে দাও দূর্নীতিবাজ যারা দেশের ভালো চায় না।। দূর্নীতিবাজ আইন কারিগর আইন দিয়ে দেয় নীতির ফাঁসি, জামাই আদর করে ওরা  দূর্নীতিবাজ রাখে পুষি।। স্বাধীনচেতা মানুষ আমরা  স্বাধীনতা ভালবাসি, নইতো আমরা অর্থের গোলাম নোংরা ক্ষমতার দাস-দাসী।। নীতির সাথে সন্ধি করে  ফন্দি ফিকির সব করব শেষ,  নৈতিকতার সাথে গড়ব দুর্নীতিমুক্ত বাংলাদেশ।।

বসন্ত এসেছে

 খাদিজা বেগম  বসন্ত এসেছে বসন্ত এসেছে  ও বন্ধু আমার বসন্ত এসেছে, জানিনা কখন আমার এই মন,  তোমাকে না দেখে সে ভালোবেসেছে।। ঐ গাছে গাছে দেখো কচি কচি পাতা  ডালে ডালে কত পুষ্প ফুটেছে, ফুলে ফুলে দুলে কালিয়া ভোমোরা  ভালোবেসে খুব প্রণয়ন উঠেছে।। ঐ হৃদয় কাননে প্রনায় কোকিলে  কুহু কুহু সুরে তোমাকেই ডেকেছে, নির্ঘুম রাত জেগে জেগে মন  তোমারি মায়াবী ছবিটা এঁকেছে।। ঐ বাতাসে বাতাসে তোমারি সুরভী  আমারই ভেতরে যতোনে ডুকেছে, নেই কোন সেই বীর পবিত্র প্রেমের  দুই চরণে  তার মাথা না ঠুকেছে।। ঐ

আল্লাহু আল্লাহু

খাদিজা বেগম  আল্লাহু আকবার আল্লাহু আকবার থেকে থেকে বাজে মুখে ধ্বনি যার, সাহসে শক্তিতে থাকে বলিয়ান ভয় নেই ভয় নেই সেই প্রিয় বান্দার।। সততার আলো চোখ ভরা তার সেই আলোতে দূর করে অন্ধকার, চারপাশে আসে যত বাধাবিঘ্ন পায়ে পায়ে ভেঙে করে সে চুরমার।। নাই মৃত্যুর ভয় নাই নাই পরাজয় জীবন মরণ সমান তাহার, শত্রুর সামনে তুলে ধরে অস্ত্র  আল্লাহু আকবার আল্লাহু আকবার।।

রাজনীতিবিদ

 খাদিজা বেগম আমরা সবাই এক এক জনা অনেক বড় রাজনীতিবিদ, আজ আমাদের স্মরণে নাই  নয় মাসের সেই স্বর্ণ অতীত। কি হবে আই রাজনীতিতে যদি না থাকে গণতন্ত্র? রাজনীতির রুপ ধরে রাজা যদি করে ষড়যন্ত্র! কি হবে এই রাষ্ট্র দিয়ে নাগরিকগণ যদি পালায়? কি হবে এই সংসদ দিয়ে যদি মিথ্যাবাদী চালায়? কি হবে এই আইন দিয়ে যদি দলের স্বার্থে হয় পাস? কি হবে এই নির্বাচনে  যদি কেন্দ্রে থাকে সন্ত্রাস? কি হবে এই আদালতে যদি নাইবা থাকে বিচার? কি হবে এই বিদ্যালয়ে যদি নাইবা থাকে টিচার? কি হবে ঐ মসজিদ, মন্দির, গির্জায় গিয়ে সেজদা করে? যদি তোমার ব্যবহারে কারো চোখে অশ্রু ঝরে? আমরা সবাই দলের পিছে ছুটতে গিয়ে আজ পথ ভ্রষ্ট, তাই তো দেখি দুর্নীতি আর ষড়যন্ত্রে ভুগছে রাষ্ট্র। মিথ্যাবাদীর ছড়াছড়ি পাই না খুঁজে আদর্শবান, দেখেও যেন দেখে না চোখ শুনেও যেন শোনে না কান। বিবেক-বুদ্ধি সব বেচেছি নোংরা অর্থ বিত্তের কাছে, তাই ভরেছে এই সমাজটা আজ সন্ত্রাসে আর সন্ত্রাসে। দলীয় লোক সবাই ভালো তাদের আছে নিরাপত্তা, নির্দলীয় সত্যবাদী একে একে হবে হত্যা।

প্রাণ চায় মুক্তি

  ্মি্্ম্মি্্মি্্ম্মি্মি্্মি্্ খাদিজা বেগম যতক্ষণ ঘুমে থাকি ততক্ষণি থাকি আমি ভালো, জাগলে দেখি দুই নয়নে আমার পৃথিবী শুধু কালো। চিরতরে ঘুমাতে চাই ঘুম পাড়িয়ে দাও অন্তরজামি, জেগে থাকতে কষ্ট হয় এভাবে আর পারিনা আমি। কি বা হবে চেয়ে থেকে দেখি যদি সব অন্ধকার, আপনার বলে ছিলো যে এখন সে আর নেই আমার। যতই বুঝাই এই মনটাকে অবুঝ মন মানে না যুক্তি, যন্ত্রণা সইতে পারি না প্রাণ চায় বারেবারে মুক্তি।

মৃত্যুজ্ঞয়ী

খাদিজা বেগম এক মৃত্যুঞ্জয়ী আমি নেই কোন মৃত্যুর ভয় মুসলিম আমি মানি না কভু কোন পরাজয়। এক আল্লাহর খলিফা আমি নই কারো গোলাম ন্যায়ের পথে চলতে ও চালাতে এ ভবে এলাম। অসৎ পথে চলবো না, কাউকে দেবো না যে চলতে অলীক কথা বলবো না, কাউকে দেবো না যে বলতে। গড়তে আসিনি এ ভবে আমি ভাঙতে এসেছি সব সুদ, ঘুষ, দূর্নীতি যা মন্দ বলেছে আমার রব। বয়ে চলা লাভা আমি পুড়ে পুড়ে করি কয়লা এই সমাজের জালিম অত্যাচারী সব ময়লা। বাঁধ ভাঙা জল আমি নেই কোন বাঁধার ভয় তীব্র স্রোতে ভাসিয়ে নেবো সকল সংশয়। তীক্ষ্ণ দাবানল আমি বিষাক্ত আমার ধোঁয়া এক আল্লাহ্ বিনা করি না কভু কারো পরোয়া। নৃশংস শিকারি আমি চিতাবাঘ ওদের জন্য এই সমাজে আছে মানব রূপি যত পশু বন্য। কাল বৈশাখী ঝড় আমি ভেঙে করি চুরমার অনিয়ম অশালীন যতো আছে কুসংস্কার । এক মহাবীর আমি যুদ্ধের মাঠে অস্থির লোভ লালসার বক্ষে মারি সততার তীর। লৌহখাঁচা ভেঙ্গে আমি স্বাধীনতা পেতে ছুটি শক্ত হাতে জবাই করি পরাধীনতার টুঁটি। এক বজ্রপাত আমি করি হঠাৎ আঘাত অপরাধের বিরুদ্ধে হয়ে অগ্নি প্রতিবাদ। অবিচল সংগ্ৰামী আমি সদা প্রস্তুত যুদ্ধে অত্যাচারী ধর্ষণকারী জালিমের বিরুদ্ধে। দুঃখ-কষ্ট রোগে-শোকে কভুও...