Posts

Showing posts from November, 2021

ভালবাসার সাগর

খাদিজা বেগম সেদিন আমি দেখেছিলাম বেশ লুকিয়ে লুকিয়ে, ঝোপঝাড়ের ঐ আড়াল থেকে পুকুর পানে ঝুঁকিয়ে। পুকুর থেকে উঠলো জেগে ভালোবাসার সাগর, নয়ন দুটি দেখিতে তার যেন ডাগর ডাগর। তার নগরে ঘুরে এখন আমার মন পাগেলা, আজ মনে হয় এতো সময় পরে নিজেকে একেলা। মন হারিয়ে পুকুর ঘাটে তার সাগরে ভেসেছি, কেমনে আমি বলিব তারে মনে মনে ভালো বেসেছি। তার সাগরের তুফান ভারী চোট লেগেছে অন্তরে, ভালোবাসার তরী আমার বেঁধেছি তার বন্দরে। যেমন খুশি নিবে তেমন আমাকে ভালো বাসিয়া, প্রেমের বদলে প্রেম দিবো গো খুব গোপনে আসিয়া। বাসিলে ভালো জড়িয়ে রাখব ভালোবাসার চাদরে, হৃদ মাঝারে রাখিবো তুলে আমার আদরে আদরে। কদর করে আদর দেব অবহেলায় রাখবো না, লক্ষী আমার সোনা ময়না ছাড়া তোমাকে ডাকবো না। কথা দিলাম এই কথা আমি জীবন দিয়ে রাখিবো, আমি তোমার শুধু তোমারই তো আজীবন থাকিবো।

মোনালিসা

 ও-গো আমার মোনালিসা দাও ছেড়ে দাও আমার আশা, তোমার আমার হবেনা আর এক সাথেতে মরা বাঁচা।। ষাটবার ভাইভা দিয়েও তো এই কপালে নেই চাকরিটা, ছুড়ে ফেলে পুড়ে ফেল অবুঝ প্রেমের ঐ ডাইরিটা। জ্বলছে আগুন এই বুকেতে  পুড়ছে আশা ভালবাসা, মরার আগেই মরে গেছি চতুর্দিকে আজ হতাশা।। ও-গো আমার মোনালিসা দাও ছেড়ে দাও আমার আশা।। ভাল থেকো সুখে থেকো বাঁধ বোনা আর আমার প্রেমে, ভালবাসার স্মৃতি হবো অদৃশ্য এক কোনো ফ্রেমে। আশায় আশায় দিন হলো শেষ সামনে আঁধার ঘোর কুয়াশা, তোমায় দেবার নেই কিছু নেই দুই নয়নে শুধু বর্ষা।। ও-গো আমার মোনালিসা দাও ছেড়ে দাও আমার আশা।।

ভয় লাগে

খাদিজা বেগম  আমি কাউকে ভেবেছি বোন আর কাউকে ভাই, ওরা কেউতো ভাবেনাই আমাকে বোন, আমার প্লেটে খেয়ে, বিছানায় শুয়ে,  মিটিয়ে গেছে ওদের প্রয়োজন। কাউকে আদরের মেয়ে ভেবে রেখেছিলাম আমার মমতাময়ী এই বুকে, সেই মেয়ে কাল সাপ হয়ে বিষ ঢেলেছ, এই বুকে তাই মরিতেছি ধুঁকে ধুঁকে। যারে ষোলআনা বিশ্বাস করে দিয়েছি জমিয়ে রাখা সকল ভালোবাসা, সেই তো মন ভেঙ্গে করেছে খান খান, কেড়ে নিয়েছে বেঁচে থাকার ভরসা। এখন মানুষ দেখলেই তো ভয় লাগে , কাউকে করিতে পারি না আর বিশ্বাস, মন চায় চলে যাই দূর কোন জঙ্গলে, এখানে বন্ধ হয়ে আসে নিশ্বাস। ওরা মানুষ না হয়ে হত হিংস্র পশু, খেত রক্ত মাংস নিয়ে যেত প্রাণ, তবুও তো আমি একেবারে মরে যেতাম,  দুঃখ কষ্ট হতে আমি পেতাম ত্রাণ।

মৃত্যু

খাদিজা বেগম কালো চুলে লেখা সাদা কালি দিয়ে সময় নেই আর তুমি তৈরি থাকো, কেন আমার চিঠি না পরে তুমি বারে বারে কালো কালি দিয়ে ঢাকো। যেই পড়েছে আমার লেখা এই চিঠি সেই হয়েছে জান্নাতের মেহমান, যে করেছে অবহেলা সে পেয়েছে অনন্ত দুঃখ, কষ্টের জাহান্নাম। কখনো যেন ভুলে যেওনা তুমি পৃথিবীটা একটা পরিক্ষার হল, আমার বলে যতই করো চিৎকার তোমার রবে শুধুই কর্মফল। একবার কারো চোখে আমাকে দেখলে  তার চোখ দুটো অন্ধ হয়ে যায়, একবার আমার শব্দ পেলে কানে  তার কান দুটো বন্ধ হয়ে যায়।  একবার কেউ আমার স্পর্শ পেলে  থেমে যায় হৃদয়ের স্পন্দন, একে একে খুলে তার সাথে বাঁধা  এ পৃথিবীত সব রকম বন্ধন। একবার আমাকে অনুভব করলে  তার সব অনুভূতি হয় শূন্য, আমাকে দেখে খুশীতে হাসে তারা যাদের আমলনামাতে ভরা পূর্ণ। হয় তো তোমার কাছে আসব আমি মরণব্যাধি ক্যান্সারের তীব্র রুপে, নয় তো তোমার কাছে আসতে পারি তোমার ঘুমের ঘোরে চুপে চুপে। হয় তো তোমার কাছে আসব আমি যখন তুমি নুয়ে রবে সেজদায়, নয় তো তোমার কাছে আসতে পারি দূর্ঘটনায় রক্তমাখা অবস্থায়। হয় তো তোমার কাছে আসব আমি যখন তুমি রবে নৌজানে যাত্রী, নয় তো তোমার ক...

স্বামী স্ত্রীর

খাদিজা বেগম ২৭/০১/২০২১ স্বামী স্ত্রী দু'জন যেন দুটি ঠোঁটের মতন, একই সাথে বলে কথা একই সুখে হাসে। একই কারণে তারা একটু দূরে সরে যায় আবার একই কামনা নিয়ে দুজনে কাছে আসে। স্বামী স্ত্রী দু'জন যেন দুটি চোখের মতন এক জনের দুঃখে দুজন মিলে কাঁদে, একই সাথে ঘুমায় তারা একই সাথে জাগে একই স্বপ্নে বিভোর থাকে ভালবাসার ফাঁদে। স্বামী স্ত্রী দু'জন যেন দু'চরণের মতন একে অন্যের উপর কিংবা পাশাপাশি, একই সাথে বসে আবার একই সাথে হাঁটে দুজনেই একই হয়ে করে ভালোবাসা বাসি। স্বামী স্ত্রী দু'জন যেন দুটি হাতের মতন দুজন মিলে একই সাথে কাজকর্ম করে, আবার একই সাথে নেয় তারা দুজনে বিরাম সদা প্রস্তুত থাকে তারা একে অন্যের তরে। স্বামী স্ত্রী দু'জন যেন দুটি কানের মতন একই সাথে শুনে তারা একই ঈশ্বরের বাণী, ঈশ্বরকে হাজির নাজির জেনে সদায় তারা শুধু দু'জনেই করে পবিত্র প্রেমকাহিনী। স্বামী স্ত্রী দু'জন যেন একটি নাকের মতন একই সাথে শ্বাস নেয় আবার একই সাথে ছাড়ে, একেই ঘ্রাণে নেশা জাগায় দু'জনের দুটি মনে সেই নেশাতে হারায় প্রেমিক মন বারে বারে। স্বামী স্ত্রী দু'জন যেন রাত্রি দিনের মতন একে অপরের মাঝেই...

মুনাফিক

খাদিজা বেগম কথা বললে সত্য বলো, না হয় থাক তুমি চুপ, মিথ্যা বলে দেখাইওনা আর মুনাফিকের রুপ! ওয়াদা করলে পূর্ণ কর, ভেঙ্গোনা তাহা কেহ, জাহান্নামে জ্বলবে ওয়াদা ভঙ্গ কারীর দেহ। আমানাতের রক্ষা করো, করোনা খিয়ানত, খিয়ানত কারীর উপরে আল্লাহ্ লানত। হেফাজতে রাখো তুমি তোমার লজ্জাস্থান, তবে তুমি হয়ে উঠবে পবিত্র তাকওয়া বান। দৃষ্টি যংযত রাখো, দেখনা নিয়মের বাইরে, মহান আল্লাহ্ ছাড়া বাঁচানোর আর কেউ নাইরে। হাত, পা দিয়ে করনা আর কোন অপরাধ, আল্লাহ্ হুকুম মেনে চলো, করো ইবাদাত।

আত্মা

খাদিজা বেগম হে আমার আত্মা, তুমি সর্বাবস্থায় শান্ত থাক, সুস্থ স্বাভাবিক থাক সৃষ্টিকর্তাকে স্মরণে রাখ। হে আমার আত্মা, তুমি মনে রেখ সর্বদায়, প্রতি ক্ষণের হিসাব আল্লাকে দিতে হবে তোমায়। হে আমার আত্মা, তুমি অন্যের কথা না ভেবে, নিজের কথা ভাবনা,কি করে জবাব দিহি দেবে? হে আমার আত্মা, দুঃখ পেওনা মিথ্যে শুনিয়া, এ নহে কোন জান্নাত এটা প্রতারণার দুনিয়া। হে আমার আত্মা, তুমি তো মুত্যু পথের যাত্রী, ভুলে গেছ কি মৃত্যুর দিকে ছুটে যাচ্ছ দিবারাত্রি। হে আমার আত্মা, এটাই তোমার বড় শান্তনা, তুমি কাউকে কষ্ট দাওনি, দাওনি কভু কোন কুমন্ত্রণা। হে আমার আত্মা, তুমি কোন কারনে আর কেঁদোনা, তুমি এক পরিক্ষাথী সইতে হবে সকল বেদনা। হে আমার আত্মা,আর করিওনা আত্মনাত, ধৈর্য ধরো মুক্তি পাবে যখন শেষ হবে হায়াত।

শিশু শ্রম

খাদিজা বেগম পিতা নাইরে মাতা নাইরে, নাইরে রক্তের ভাই, বোন ক্ষুধার জ্বালায় জ্বলে পুড়ে ছারখার আমার জীবন। শিশু শ্রম বন্ধ এখন আইন মানে না আর পেটে পায়ে পরি হাতে ধরি ভাত দাও দেবো গায়ে খেটে। হাড় ভাঙ্গা পরিশ্রমে যায় দিন, রাত কাটে রাস্তায় রাস্তায় দ্বারে দ্বারে ঘুরে ফিরে কাজ খুঁজি খুব সস্তায় সস্তায়। মানুষের ভালবাসা পাই না, কুকুরের সাথে কাটে রোজ এমন কেউ নেই আমার যে রাখবে একটুখানি খোঁজ। বৃষ্টিতে ভিজি রোদে পুড়ি আর কেঁপে মরি শীতকালে জানিনা আর কতো কষ্ট লেখা আছে মোর কপালে?

নারী

 খাদিজা বেগম জাগো, জাগো, জাগে ওঠো,ও মা ,মাথা মামনী, মাতৃকা, জননী, জনি, প্রসুতি, প্রসূ , ও অম্বিকা, অম্বালিকা। জাগ্রত হও আজ থেকে ঐ নিকৃষ্ট অশুর বিনাশে, এবার দেখাও তুমি লড়ার শক্তি নারীরও আছে । ওঠো, ওঠো, জেগে ওঠো সই, সখি, সাথী, সহকর্মীনী আপা, বুবু, বোন, বুয়া, ও তনয়া, বান্ধবী, ভগনী । ওঠো ভিতরে বাহিরে জ্বলে কঠোর অনল হইয়া জালিম জ্বালাইয়া করো ছাই তুমি সেই অনলে পুড়াইয়া। এসো, এসো, চলে এসো কন্যকা, কুমারী, মেয়ে, কন্যা, এসো আত্মজা, অঙ্গনা, মানবী, মানষী, ও ললনা । এসো রণক্ষেত্রে গিয়ে দানবগুলোকে করিবো ধ্বংশ  মূল থেকে তুলে ফেলি কুচক্রী দানবের বংশ । চলো, চলো, চলো ও ভাবি, ননদ, বেয়াইন, পিসি কাকীমা , জেঠীমা, খুরি, মামী, জন্মদাত্রী, মাসি । চলো আজথেকেই গড়িবো মোরা নূতান অভীযান যার মাধ্যমে খতম করিবো নারীদের সকল দুশমন । তোলো তোলো ও নারী তোলো জাগরনের পাল ধর শক্তহাতে কঠোরতার সাথে সম্মান রক্ষার হাল । ধর্ম, বর্ন, ধনী, গরিব, পদবীয়, স্বদেশী - বিদেশি  সব ভুলে এসো এবার থেকে থাকি পাশাপাশি। সর্ব প্রথম কালিমা পড়ে নারী হলো মুসলমান সর্ব প্রথম সম্পদ ইসলামের জন্য নারী করে দান। সর্ব প্রথম ইসলামের জন্য নার...

তুমি চলে এসো

খাদিজা বেগম যদি শূন্য শূন্য লাগে তোমার ঐ মন  আমাকে খুব কাছে পাবার জন্য, তবে তুমি চলে এসো আমার কাছে তোমার ছোঁয়াতে হবো আমি ধন্য। যদি কোনো কাজে মন না বসে তোমার উদাস হয়ে যাও তুমি আমার সরণে, তবে তুমি চলে এসো আমার কাছে আমি ও তো উদাসিনী তোমার কারণে। যদি ঘুম না আসে আমার কথা ভেবে অশ্রুর আসে তোমার দুই আঁখিতে, তবে তুমি চলে এসো আমার কাছে তোমাকে চাই আমার বুকে রাখিতে। যদি একাকিত্বের যন্ত্রনাতে জ্বলে পুড়ে আমার জন্য তোমার বুকের ভিতরে, তবে তুমি চলে এসো আমার কাছে আরো কাছে টেনে নেবো আদরে। যদি কেমন কেমন করে তোমার মন লেনা দেনা করিতে আমার সাথে, তবে তুমি চলে এসো আমার কাছে তোমার অপেক্ষায় জাগি প্রতি রাতে ।

অবহেলার বন্দরে

খাদিজা বেগম খুব যতনে একটি একটি করে ফুল কুড়িয়ে নিয়ে এলাম ঘরে, ফুল ভর্তি ফুলের ঝুড়িতে দেখি একি কাঁটায় কাঁটায় আছে ভরে। চোখে দেখাও হয়ে যায় পরিবর্তন নিয়তি সদায় খেলে আমার নিয়ে, সেই তো আমার মন ভেঙ্গে দিলো যারে মনে রেখেছি ভালবাসা দিয়ে। যারে বিশ্বাস করে সব দিয়েছিলাম আমার বলে আমি রাখিনি তো কিছু, সেই তো আমায় ছেড়ে চলে গেছে এখন ঘুরে বেড়ায় অন্য জনের পিছু। যারে নিয়ে আমি পরিকল্পনা করেছি জীবনে মরণে পাশাপাশি থাকার, সেই তো আমায় নিয়ে ষড়যন্ত্র করে তার কাজ থেকে বহুদূরে তারা বার। যার হাতটি ধরেছিলাম ভরসা করে সেই হাতে হাতুড়ি মারলো এ অন্তরে, ভালোবেসে বাঁধিতে পারি নাই তারে বাঁধা পরেছি তার অবহেলার বন্দরে।

আমার আল্লাহ্

 খাদিজা বেগম আর কেউ না জানুক তুমি তো জানো ওগো আমার আল্লাহ্ দয়াময়, কতো দুঃখ, কতো কষ্ট, কতো যন্ত্রণার আগুনে পুড়ে পুড়ে জ্বলে হৃদয়। এ পৃথিবীর ফেতনা ফ্যাসাদ হতে বাঁচাও ওগো আমার আল্লাহ্ দয়াময়, তোমার করুনার চাদরে জড়িয়ে রেখে তুমি দাও আমাকে আশ্রয়। আর কেউ না শুনুন তুমি তো শোনো ওগো আমার আল্লাহ্ দয়াময়, আমার হৃদয় ভাঙা কান্নার আওয়াজ থামিয়ে দাও ওগো স্নেহময়। রক্ষাকর আমায় তুমি বিশ্বাসঘাতক হতে ওগো আমার আল্লাহ্ দয়াময়, বিশ্বাস ঘাতকের বিষ দেখা যায় না চোখে ক্ষয় করে দেয় অবুঝ হৃদয়। দয়া চাই, ক্ষমা চাই, চাই তোমার করুন ওগো আমার আল্লাহ্ দয়াময়, আমার এ কঠিন জীবন সহজ করে দাও আমার সাথী হয়ে থেকো সবসময়। আমায় একা ছেড়ে দিওনা এই পৃথিবীতে ওগো আমার আল্লাহ্ দয়াময়, আমায় ভুল পথে নিয়ে যাবে ঐ শয়তান ভুলিয়ে দেবে নিজের পরিচয়। আমি তোমার দাসী, তুমি আমার মালিক ওগো আমার আল্লাহ্ দয়াময়, কখনো ভুলে যাই না যেন আমি এই কথাটি আমার যেন কভু ভুল না হয়। হিংসা, অহংকার, ক্রোধ দূর করে দাও ওগো আমার আল্লাহ্ দয়াময়, তোমার আদেশ নিষেধের পবিত্র দেয়ালে আমাকে বন্দী রেখো সবসময়। শক্তি দাও, সাহস দাও, দাও ঈমানি হিম্...

সত্য বলবোই

খাদিজা বেগম আমি সত্য বলবো, আমি সত্য বলবোই কখনো আমি মিথ্যে বলবো না, আমার পিতা-মাতা, কিংবা নিজের বিপক্ষে যদিও চলে যায় তা। মিথ্যা বলে দেবনা অন্যকে কষ্ট হবো না পথভ্রষ্ট কোন বিপথগামী, অবিচল চলে যাবো সত্য পথে মিথ্যার আশ্রয় নেবনা আমি। আমি মুসলিম, নই কোন মুনাফিক নই তো মিথ্যেবাদী প্রতারক, নিজে ঠকলেও অন্যকে ঠকাবনা হবো না কখনো কারো কাছে ঠক। সত্য হলো সূর্যের আলোর মত নিজের শক্তিতে উদ্ভাসিত, শত মিথ্যায় ঢাকা যায় না সত্য নিজ মহিমায় প্রকাশিত। যখন রাষ্ট্র মানো, সমাজ মানো মেনে চলো পরিবার, ধর্ম, তখন রাষ্ট্রে, সমাজে, পরিবারে গর্ব ছড়ায় তোমার কর্ম। যখন মানবে না রাষ্ট্রের আইন, হাদীস কুরআনের আদেশ, তখনি শুরু হবে ধ্বংসের পালা গর্বিত জীবন হবে শেষ। যখন লড়বে লোভ লালসা আর  কুপ্রবৃত্তির বিরুদ্ধে গিয়ে, আল্লাহ, তোমাকে করবে সম্মানিত ঈমানি শক্তি আরো বাড়িয়ে দিয়ে। যখন লোভে লালসার দিকে ছুটবে পাপে লিপ্ত হয়ে মজা লুটবে, তখনি তোমার ভাগ্যে অপমান অবহেলা আর ঘৃনাই জুটবে। ধর্মের দোহাই দিয়ে কুকর্ম করে ধরা খেলেই বলে দ্বিতীয় বউ, এই সমাজের সাধু সাজা শয়তান ধরা না খেলে তো চিনতো কেউ। হেফাজত নামে করো হেফাজত  যে নিজ...

সীমা

খাদিজা বেগম  চোখ থাকলেই সব কিছু দেখতে নেই নেই মুখ থাকলেই যা খুশী তাই বলতে, হাত থাকলেই সব কিছু ধরতে নেই নেই পা থাকলেই সকল পথে চলতে। মানতে হবে সৃষ্টিকর্তার আদেশ, নিষেধ সীমার মাঝে রাখতে হবে চোখের দৃষ্টি , কথায় ঝড়ে ভাঙ্গেনা যেন কারো হৃদয় নামে না যেন কারো চোখে দুঃখের বৃষ্টি। মানুষের হাত থাকে মানব সেবায় আর অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদী হাতিয়ার, মানুষ হয়ে জন্ম নিয়ে কেউ করো না শয়তানি কাজে পবিত্র হাতের ব্যবহার। পা বাড়াবে না চুরি, ডাকাতি, চাঁদাবাজি মানব পাচার, অর্থ পাচারের মতো কাজে, ফেরেস্তার চেয়ে শ্রেষ্ঠ নাকি পশুর চেয়ে নিকৃষ্ট  নিজ পরিচয় প্রকাশ হয় নিজ কাজের মাঝে।

বাবা

খাদিজা বেগম ‌আমার প্রাণের বাবা, তুমি চলে যেওনা  বাবা আমায় রেখে তুমি চলে যেওনা, যেতেই যদি হয়  আমায় নিয়ে যেও তবুও আমাকে এতিম করে যেওনা। যদি ভেঙে যায় আমার কোমল হৃদয় তীব্র গতিতে এসে দুঃখ যন্ত্রণার ঢেউ, বাবা তোমার মতো এতটা যত্ন করে  আমার এ হৃদয় জোড়া লাগাবেনা কেউ। বাবা, আমার বিপদের কথা শুনে তোমার মতো করে কেউ আসবে না ছুটে, আমার বেদনা গুলো আর কেউ নিবে না বাবা, তোমার মতো করে দু'হাতে লুটে। বাবা, আমার অসুখ বিসুখ হলেও তোমার মতো কেউ আমায় করবে না দোয়া, দিবানিশি আমার মাথার কাছে বসে কেউ দিবে না তো আর পরম সুখের ছোঁয়া। বাবা তুমি ছাড়া নেই তো আর কোন বন্ধু যার কাছে বলবো এ মনের কথা খুলে, যার শান্তনার বানি শুনে শুনে আমি আমার মনের দুঃখ কষ্ট যাবো ভুলে। চোখ খুলে চেয়ে দেখ,ও আমার বাবা তোমার ছোঁয়া পেতে কাঁদছে তোমার খুকি , দু'চোখ ঘুমায় না, কান দুটো ও জেগে তোমার কথা শুনতে দিচ্ছে উঁকি ঝুঁকি। একটি কথা বলো বাবা, একটি কথা বলো তোমার কথা আমার বাঁচার প্রেরণা, তোমায় ছাড়া একটি দিনও বাঁচতে পারবোনা বাবা তুমি আমাকে ছেড়ে যেওনা। বাবা তুমি ছাড়া আর তো কেউ নেই আমার যে মুছিয়ে দেবে আমার চোখের জল, দু' ...

ধোঁকা

 খাদিজা বেগম যুগ যুগ ধরে তুমি যার সমস্যার সমাধান দিলে, হঠাৎ করে সেই বলে তুমি তার সমস্যাই ছিলে। তখন তোমার মনে হবে শুধু মৃত্যুটা পেতে বাকি, বিশ্বাস ঘাতকের খাঁচায় বন্দী ডানা কাটা পাখি। মৃত্যুর আগে তোমার মুক্তি নেই, হে সরল মনা, কাঁদতে কাঁদতে অন্ধ হবে ঘাঁ হবে চোখের কনা। যদি সৎ সঙ্গী না হয় ,তবে একা থাকা ভাল কাল সাপে ছোবলে তব হৃদয় হবেনা কালো। হৃদয় পুড়ে পুড়ে যখন হয়ে যাবে কয়লার ছাই তখন বুঝে নিবে তুমি বেশি দিন আর বন্দি নাই। অবশেষে মুক্তি দেবে তোমাকে মাটির বিছানা, ধোঁকার এ পৃথিবী ছেড়ে পাবে আসল ঠিকানা।

ও গো বন্ধু

খাদিজা বেগম ও গো বন্ধু আমার, প্রাণের প্রিয় বন্ধু আমার আমায় তুমি যতো বড় শত্রু ভাবনা কেন ! তুমি আমার বন্ধু ছিলে, বন্ধুই আছো, বন্ধু রবে জনম জনম, এই কথাটি ভুল না যেন! তোমার মুখের প্রতিটা কথা, চোখের প্রতিটি দৃষ্টি মধুর চেয়েও আরও অনেকে বেশী মিষ্টি লাগে, তোমার পথের প্রতিটা চরণ, হাতের প্রতিটি কাজ এতো সুন্দর করে কভু কেউ যেন করেনি আগে। তোমার হাতে বা তোমার সমর্থনে প্রতিটি কাজই মন থেকে সমর্থন করি, সম্মান করি, শ্রদ্ধা করি, কিন্তু মানুষ হয়ে জন্ম নেওয়ার কারনে হয়তো বা মাঝে মাঝে আমি বিপরীত মুখী অবস্থান করি, তার মানে এই নয় যে আমি তোমার প্রতি পক্ষ তোমাকে অপমান করি, কখনো করিনা শ্রদ্ধা, আমি চিরদিন তোমার কাছে ঋণী ওগো বন্ধু আমি তোমার হাসির তরে লড়াই করা যোদ্ধা। তোমায় কথা দিলাম আমি এই কথা রাখবো আমাকে ভুলে তোমার সুখে সুখী হয়ে থাকবো, হাজার দুঃখ, কষ্ট, যন্ত্রণাতেও কাঁদবো না আর জ্বলে যদি জ্বলুক মন তবুও মুখে হাসি রাখবো। আমি মানুষ হয়ে জন্ম নেওয়ার কারনে হয়তো বা বারেবারে জেনে শুনেই করে যাই একি অপরাধ, কখনো নামাজ আদায় হয় না, সত্য বলা যায় না তবুও ফিরে আসি সেজদয়, কেঁদে করি ফরিয়াদ। তেমনি মাঝে মাঝে তোমার ...

আমার বাবা

খাদিজা বেগম ও আমার বাবা, আমি তোমায় অনেক ভালবাসি, এখনো তো এই দুটি চোখে ভাসে তোমার মুচকি হাসি। চলতি পথে মনে হয় তুমি যেন আছো আমার সাথে, অনুভবে পাই তোমার পবিত্র হাত আমার এই হাতে। বাবা তোমার ডাক শুনিয়া আমার ঘুম ভেঙ্গে যায়, নামাজ পড়ার জন্য যেন বাবা তুমি ডাকছো আমায়। বাবা মাঝে মাঝে আমি তোমার নম্বারে দেই কল, ও পাশ থেকে অন্য কন্ঠ শুনিয়া নয়নে নামে জল। বাতাসে বাতাসে ভেসে আসে তোমার মুখের বাণী, ক্ষণে ক্ষণে শুনি তোমার পবিত্র সেই চরণে ধ্বনি। কলিং বেলের শব্দ পেলে কাজ ফেলে ছুটে যাই, আমি দরজা খুলে চেয়ে দেখি বাবা তুমি আসো নাই ‌। কতজনে আসে আর যায় শুধু দেখিনা তোমায়, বাবা তোমার বিরহ আগুন জ্বলে এই কলিজায়। অনেক কথা শোনার ছিলো কিছু বলারো ছিল  বাকি, না শোনার আর না বলার এই বেদনা কোথায় রাখি। দু'হাতে নিলাম আমি তোমায় দিলাম না তো কিছু, এই আফসোস টা কিছুতেই যেন ছাড়ে না আমার পিছু। বাবা তোমায় নিয়ে কত স্বপ্ন ছিলো আমার মনে, সেই স্বপ্নগুলো শ্রাবণ হয়ে অঝোরে ঝরে নয়নে। বাবা তুমি আসবে না আর ফিরে আমার কাছে আবার, তবুও তো এই মন চায় ছুঁয়ে দেখি তোমায় একবার। বাবা তোমায় রেখেছি এই হৃদয়ের কাবাতে তুলে, সেই তোম...

অমূল্য

 খাদিজা বেগম অমূল্য এই মানব জীবন পেয়েও মন দাও না তার মূল্য, আর কেউ নেই তো তোমার মত তুমিই তোমার সমতুল্য। জ্ঞানের চেয়ে নেই বড়ো ধন, সেই জ্ঞান তোমার আনুকুল্য। কেউ জানিনা কার কাছে আর আছে বাকি কত সময়, এসো সঠিক জীবন গড়ি আর নয় সময়ের অপচয়, ওরে ও মন ভুল না যে তুমি নিজেই নিজের মূল্য।। না চাইতেই যে দান করিলো হাত, পায়ের কর্ম ক্ষমতা, কারনে শ্রবণ, চোখের আলো সুন্দর মুখের শালিন কথা। ভুল না যে ওরে ও মন তুমিই তোমার সমতুল্য।। ভয় পেয়ে ভেঙ্গে পরে শেষ হইয়ো না তিলে তিলে, সাহস নিয়ে উঠে দাঁড়াও দ্বিধা-দ্বন্দ্ব ভয় খাও গিলে। হবেই হবে সফল তুমি তোমার অপেক্ষায় সাফল্য।।

অভাগী

 খাদিজা বেগম আমি শুনাতে চেয়ে ছিলাম - আমার হৃদয়ের কথা, তুমি শুনলে না। আমি বুঝাতে চেয়ে ছিলাম- আমার মনের ব্যথা, তুমি বুঝলে না। আমি দেখাতে চেয়ে ছিলাম- আমার বুকের ক্ষত, তুমি দেখলে না। আমি ভাবাতে চেয়ে ছিলাম- আমার জীবন নিয়ে, তুমি ভাবলে না। আজকে কেন শুনলে তুমি- মানুষের মুখে মুখে,মৃত্যুর খবর? আজকে কেন বুঝলে তুমি- কাটবে বাঁশ, খুঁড়বে মাটি, গড়বে কবর? আজকে কেন দেখলে তুমি- সাদা কাফন সরিয়ে, নির্বাক মুখ? আজকে কেন ভাবলে তুমি- জড়িয়ে আমার লাশ, হারিয়েছো সুখ? আজকে কেন কাঁদলে তুমি- আমার নামটি ধরে, পাগলের মতো? ফিরবো না আর কোনো ডাকে- অভাগী যাচ্ছি চলে, জনমের মতো।  (( ভুল ধরিয়ে দিবেন ( প্লিজ ) ))

জোচ্চুরি

খাদিজা বেগম  না ফুটিতে ভালবাসার ফুল ছিঁড়ে নিলে তার মঞ্জুরী, মোর বিশ্বাসে বিষ মাখিয়ে করেছো যে তাই জোচ্চুরি। আমি এখন তোমার চোখে খুব অসহ্য,বিবর্ন,বিশ্রী, তোমার চোখে অন্য কেহ খুব মনোহর, সুন্দর, সুশ্রী। আমি এখন তোমার মুখে অচল,আতুর,অসৎ,অধম, তোমার মুখে অন্য কেহ খুব চপলা, চঞ্চল, সাধু,উত্তম। তোমার হাতের আঘাতে আজ আমি হলেম ক্ষত বিক্ষত, তোমার হাতের আদরে কেউ স্বপ্নে বিভোর অবিরত। আজ বেমানান তোমার পাশে অসহনীয় আমি কুশ্রী, আজ অন্য কেউ তোমার পাশে ভাগ্যবতী লাবন্য শ্রী। থাকো থাকো সুখে থাকো করবো না আর অভিযোগ, দুঃখ গুলো আমার থাক তুমি করো সুখ গুলো ভোগ। কেঁদে কেঁদে আমার দু'চোখ হয়ে যাক কষ্টের নদী, আরাম আয়েশ করো তুমি খুশি থাকো নীরবধী। জেগে জেগে চিরতরে ঘুমিয়ে থাক আমার আঁখি, চাওয়া পাওয়া মিটে যাবে থাকবে না আর কিছু বাকি।জোচ্চুরি খাদিজা বেগম  না ফুটিতে ভালবাসার ফুল ছিঁড়ে নিলে তার মঞ্জুরী, মোর বিশ্বাসে বিষ মাখিয়ে তুমি করো তাই জোচ্চুরি। আমি এখন তোমার চোখে খুব অসহ্য,বিবর্ন,বিশ্রী, তোমার চোখে অন্য কেহ খুব মনোহর, সুন্দর, সুশ্রী। আমি এখন তোমার মুখে অচল,আতুর,অসৎ,অধম, তোমার মুখে অন্য কেহ খুব চপলা, চঞ্চল, ...

বাবা, বাবা

 বাবা, বাবা, বলে অবচেতনায়  তোমাকে ডাকে যাই ও আমার বাবা, তুমি ছিলে মোর দুনিয়ার বুকে আলোর দিশারী পবিত্র কাবা। যেথা দিতো মোরে পৃথীবির  সব দুঃখ কষ্ট থেকে আশ্রয়, যার হাত ধরে জীবনের সব  বাঁধা বিপত্তি করিতাম জয়। বাবা তুমি ছাড়া নিজেকে এখন  বড়ো অসহায় একা মনে হয়, একদিন যেন এক শতাব্দী কাটে না আমার দুঃখের সময়। সেই তো চলে গেলে মোরে একা ফেলে  এক পথহারা পথিকের ন্যায়,  কেন যে আমার মন ক্ষত হয়  মেনে নিতে হয় হাজারো অন্যায়? খাদিজা বেগম কতো কথা আর কতো শতো কাজে কত জনে দেয় আমাকে আঘাত, এই জীবনের মোড়ে মোড়ে পাতে মন্ত্রণাময় আগুনের ফাঁদ। পদে পদে আজ আমার বিপদ খুঁজে পাইনা বন্ধুর হাত, শত্রুরা আজ রেখেছে ঘিরিয়া কাটছে না মোর অমানিশা রাত। তোমার মতন নেই কারো সময় তাই হয় না আর মোর কোথা ভাবা, বাবা, তুমি ফের ফিরে আসো নয়  নিয়ে যাও আমাকে রয়েছো যেথায়। শতো ক্ষত মন ঘুরে ফিরে শুধু তোমার কাছেই আশ্রয় চায়।