Posts

Showing posts from January, 2022

কবরবাসী

 খাদিজা বেগম রাজার হুকুম মান্য করে পেঁয়াজ ছাড়া তরকারি খাই, আমরা কি ভাই কবর বাসী প্রতিবাদী কণ্ঠ যে নাই। একদিন আসবে এমন হুকুম চাউল ছাড়া খাবে যে ভাত, কণ্ঠে কণ্ঠে আগুন জ্বালাও করবো মোরা সেই প্রতিবাদ। যেমন করে করে ছিলাম বায়ান্ন আর একাত্তরে, বাঘের মতো গর্জে উঠো সাধু রুপি শয়তান তরে।  বাংলা মায়ের সন্তান আমরা ওদের কেন করছি যে ভয়? আমরা যোদ্ধা আমরা স্বাধীন আমার কারো গোলাম তো নয়। ওরা মোদের বেতন ভুক্ত তবু কেন চালায় হুকুম? ন্যায্য দাবি চাইতে গেলে চালায় গুলি করে যে গুম। মোদের টাকায় গাড়ি বাড়ি আসবাবপত্র বহু দামি, তবু খায় যে লুটেপুটে বললে কথা হই আসামি। ওদের পেশা রক্ত চোষা খায় যে চুষে প্রজার রক্ত, মুখে মুখে মানব সেবা মনে মনে অর্থ ভক্ত। মানবতার ডাক এসেছে আয় ছুটে আয় দলে দলে, অত্যাচারী ধ্বংস করি সত্য সঠিক পথে চলে।

আমি খুনী

খাদিজা বেগম আমি খুনী ভালোই জানি কেঁদো না আর মাজননী। দেখো চেয়ে সুখের হাসি কেউ দিবে না খুনির ফাঁসি। ধৈর্য্য ধরো কয়েকটি দিন আসবো ফিরে হয়ে স্বাধীন। আমার বিচার করবে যারা, টাকায় পোষা প্রাণী তাঁরা। তারা যদি মানুষ হতো ছাত্ররা কি খুনী হতো। সন্ত্রাসীদের মাথায় চরে ঘুরায় ক্ষমতার লাঠিটারে। তারা করলে সন্ত্রাস দমন  হবে কি প্রজা শোষণ গোরায় গোরায়় গন্ডগোল মা এই রাজনীতি কেউ বুঝে না। ওরা হলো আসল দোষী যারা রাখে খুনী পুষী। ওরা হলো রাঘব বোয়াল মোদের কাঁধে রাখে যোয়াল। ওরা থাকে সাধুর সাজে আমি খুনী এ সমাজে। এই সমাজটা খুবই বাজে হালাল হারাম কে বা খুঁজে খুন করেছি টাকার জন্য, সকল বিভাগ বিবেক শূন্য। বিবেক যদি থাকতো সবার হতো না আর এই হাহাকার।

আমি মানি না

 খাদিজা বেগম আমি মানি না মানি না সেই সব সাধু রুপি সমাজ, যেই সমাজে তলে তলে চলে ঘৃণ্য পতিতার চাষ। তারা পতিতার কাছে যায় আর আসে বারমাস,  জনাজা পড়ে না শুধু অসহায় পতিতার লাশ।। আমি মানি না মানি না অসৎ লোকের গড়া আইন, সততার শত্রু হয়ে সত্যবাদীকে ধরে ফাইন। আইনের পোশাক পরে রাজপথে চাঁদাবাজি করে, ক্যামেরা দেখলে চোরের মতো আড়ালে লুকিয়ে পরে। আমি মানি না মানি না ঐ সকল সাধু রুপি নেতা, যারা দেশ রেখে ভাবে সদা নিজের দলের কথা। রক্ষক সাজা ভক্ষক খায় অন্যদের হক মেরে, মেয়াদ ফুরিয়ে যায় অতিথি পাখির মতো উড়ে। আমি মানি না মানি না তাদেরকে সমাজের মানুষ,  ক্ষমতায়, যৌনতায় নিজেকে সদা রাখে বেহুঁশ। ভোগেতে ডুবিয়া থাকে  নেই তাদের ত্যাগের মহিমা,  নোংরামিতে ছাড়িয়েছে পশুর চেয়েও নিচু সীমা।

একটি নজর

খাদিজা বেগম তোমায় একটি নজর দেখার জন্য আকলি বকলি করে দু'নয়ন, তোমার একটু ছোঁয়া পাবার জন্য অপেক্ষায় থাকি আমি সারাক্ষণ। তোমার একটি কথা শোনার জন্য প্রতিক্ষার প্রহর গুনে দু'কর্ণ, তোমার কাছে আমার যেন যাবতীয়  আত্মমর্যাদাবোধ চূর্ণ বিচূর্ণ। আমার মনটা আর নেই তো আমার সারাক্ষণই তোমার কথাই বলে, তোমার কাছে যাবার বায়না ধরে নানা অজুহাত আর নানা ছলে। জানিনা কি জাদু জানো,কি দয়ে যে আমায় কাছে টানো ও মায়াবিনী? তোমাকে চেয়েছি তোমাকেই পেয়েছি তবুও তোমাকেই চাইবো প্রতিদিনই।

জ্বলে জ্বলুক

খাদিজা বেগম  জ্বলে জ্বলুক আগুন দাউদাউ করে আমার ব্যাথিত বুকে, তবুও আমি প্রর্থনা করি তুমি থাকো গো অনেক সুখে। কাটে কাটুক আমার রাত্রি নির্ঘুম চেয়ে থেকে কান্দিয়া, তবুও তুমি ঘুমাও তোমার নতুন সঙ্গী ঐ বুকে নিয়া। ভাঙ্গে  ভাঙ্গুক সব পাঁজর তোমার দেয়া দুঃখ প্লাবনে, তবুও তুমি উড়াও প্রেমের ঘুড়ি তোমার প্রেম পবনে।   যায় যদি যাক চলে আমার বেঁচে থাকার শেষ নিঃশ্বাস, তবুও তুমি ব্যস্ত থেকিও এসনা দখতে নিথর লাশ। বেঁচে থাকিতে মেরে ফেলেছ আমায় তুমি তোমার হাতে, মরার পরে আদর করে জল ফেলনা আঁখির পাতে। ভাঙা হৃদয় ভেঙেছো আরও তুমি রাখনি একটু খবর, মাটি দেবার পরে আমার দেখতে এসনা যেন কবর। ‌

তোমার হারিয়ে

 খাদিজা বেগম আমি তোমায় হারিয়ে গড়তে চাই না প্রেমের তাজমহল, আমি তোমায় হারিয়ে বইতে চাই না নয়নে বিরহ জল।। আমি তোমাকে নিয়ে বাঁচতে চাই বন্ধু জনম জনম, তুমি আমার বেঁচে থাকার প্রেরণা বন্ধু তুমি শেষ সম্বল।। আমি তোমায় হারিয়ে হতে চাই না তৃষ্ণার্ত মরুভূমি, তুমি আমার সাহারা বুকে শ্রাবণ জল মিষ্টি বাদল ।। আমি তোমায় হারিয়ে হতে চাই না ঢেউ হারা মরা সাগর তুমি আমার দুই কুল জুড়ে উর্মি খেলানো প্রেম মাদল।। আমি তোমায় হারিয়ে পরতে চাই না জীবিত দেহে কাফন, তুমি আমার সুখ আকাশে উড়িয়া চলা পায়রার দল ।। আমি তোমায় হারিয়ে ডুবতে চাই না গভীর আঁধার রাতে, তোমার সাথে ভাসিবো আমি প্রেমর আলো জ্বেলে ঝলমল।। 

একটি ছেলে

খাদিজা বেগম বস্তির একটি ছেলে ছিল পালতো তাহার চাচা, তাহার পিতা মাতার ছিল জ্ঞাণ বুদ্ধি কাঁচা। ছেলে মেয়ে তাই দিয়েছে ভাইয়ের কাছে পালতে, তারও অনেক কষ্ট হতো অল্প টাকায় চলতে। পড়া লেখা শিখতে চায় না মেয়েটি একটু বোকা, খুব আগ্ৰহ লেখা পড়ায় নাদুসনুদুস খোকা।  অল্প আয়ের এই সংসারে ক‌ষ্টেকাটে দিন রাত, সকালে পায় দুটি রুটি দুপুর দুমুঠো ভাত। মাঝে মাঝে না খেয়েও কাটিতো তাদের রাত, সুখের আশায় চাচার কাছে তব দুঃখি বরাত। দুধের শিশু দিয়ে কাঁদে গর্ভধরণী মা, নিজের কাছে রাখলে ছেলে বাঁচাতে পারবেনা। অনেক সন্তান হারিয়েছে এই দুঃখিনী মায়ে, তাই দিয়েছে বুকের মানিক তাহার চাচার পায়ে। বাড়ি বাড়ি ধান মলে মায় খায় অন্যের বাড়িতে, অনেক দিনি রান্না হয় না নিজ ঘরের হাঁড়িতে। তাহার পরিশ্রমের মূল্য দেয় না তারে কেহ, খেয়ে না খেয়ে থেকে তার নাজুক হলো দেহ। সেই দেহেতে সন্তান ছিল হঠাৎ নষ্ট হলো, ফুটফুটে চাঁদের মতো মরা ছেলে হলো। রক্তে রক্তে ভিজচ্ছে মাটি ডাক্তারে সেবা নাই, এমন সময় ছুটে এলো তাহার দরদী ভাই। নৌকা দিয়ে গেল নিয়ে ডাক্তারের বাড়িতে, ডাক্তার এসে দেখলো তাহার হাত ধরে নাড়িতে। এখনো সে বেঁচে আছে সরে যায় সকা...

ওগো বন্ধু আমার

খাদিজা বেগম ও গো বন্ধু আমার, প্রাণের প্রিয় বন্ধু আমার আমায় তুমি যতো বড় শত্রু ভাবনা কেন ! তুমি আমার বন্ধু ছিলে, বন্ধুই আছো, বন্ধু রবে জনম জনম, এই কথাটি ভুল না যেন! তোমার মুখের প্রতিটা কথা, চোখের প্রতিটি দৃষ্টি মধুর চেয়েও আরও অনেকে বেশী মিষ্টি লাগে, তোমার পথের প্রতিটা চরণ, হাতের প্রতিটি কাজ এতো সুন্দর করে কভু কেউ যেন করেনি আগে। তোমার হাতে বা তোমার সমর্থনে প্রতিটি কাজই মন থেকে সমর্থন করি, সম্মান করি, শ্রদ্ধা করি, কিন্তু মানুষ হয়ে জন্ম নেওয়ার কারনে হয়তো বা মাঝে মাঝে আমি বিপরীত মুখী অবস্থান করি, তার মানে এই নয় যে আমি তোমার প্রতি পক্ষ তোমাকে অপমান করি, কখনো করিনা শ্রদ্ধা, আমি চিরদিন তোমার কাছে ঋণী ওগো বন্ধু আমি তোমার হাসির তরে লড়াই করা যোদ্ধা। তোমায় কথা দিলাম আমি এই কথা রাখবো আমাকে ভুলে তোমার সুখে সুখী হয়ে থাকবো, হাজার দুঃখ, কষ্ট, যন্ত্রণাতেও কাঁদবো না আর জ্বলে যদি জ্বলুক মন তবুও মুখে হাসি রাখবো। আমি মানুষ হয়ে জন্ম নেওয়ার কারনে হয়তো বা বারেবারে জেনে শুনেই করে যাই একি অপরাধ, কখনো নামাজ আদায় হয় না, সত্য বলা যায় না তবুও ফিরে আসি সেজদয়, কেঁদে করি ফরিয়াদ। তেমনি মাঝে মাঝে তোমার ...

মা-বাবা

খাদিজা বেগম  যে মা তোমার মুখে প্রথম খাবার তুলে দিয়েছে, সেই মাকে কভু তুমি অনাহারে অনাদরে রেখনা। যে বাবা তোমাকে হাত ধরে প্রথম হাঁটা শিখিয়েছে, সেই বাবাকে কভু তুমি অবহেলার দৃষ্টিতে দেখনা। যে মা তোমাকে প্রথম শিখিয়েছে মিষ্টি কথা বলতে সেই মাকে বলনা তুমি ধমক দিয়ে উচ্চ কন্ঠে কথা, যে বাবা দেখিয়েছে তোমাকে জীবন চলার পথ সেই বাবাকে জীবনেও এতটুকু দিওনা ব্যাথা।

দল

খাদিজা বেগম দলে দলে জোট বেঁধে ভোটের আগে কর সংলাপ, প্রকাশ্যে কয় নীতিকথা বুকে পুষে রাখে কালসাপ। দলের জন্য বিবেক শূন্য চাটুকার দেয় আঁধারে ঝাঁপ, বিচার বুদ্ধি সব হারিয়ে পাপের পথে পেতে চাই লাভ। দলে দলে দলাদলি মরে অবুঝ শিশুর বাপ, নেতারা সব সংসদে যায় এতিম শিশু করে বিলাপ। অর্থের লোভে দলগুলো সব যেন দেশ এর অভিশাপ, নিজের ভাই মারছে নিজেরাই তাতে কারো নাই অনুতাপ। দুর্নীতিবাজ চরিত্রহীন ওদের মুখে মিথ্যে প্রলাপ, সোনার দেশটা ছাই করেছে ওদের হিংস্র অগ্নি উত্তাপ। দলে দলে রক্তারক্তি করা যেন ওদের স্বভাব, মুখে মুখে নীতিকথা কাজে-কর্মে কথার খেলাপ। যত বড় দল নয় ওদের জিহ্বাটা তার চেয়ে বড়, টেকনাফ থেকে চাটা দিলে যাবে তেতুলিয়ার পরো। দলের সেবা ছেড়ে দিয়ে নিজের কাছে নিজে চাও মাপ, দেশের সেবায় যুক্ত থাকো দেশ এগিয়ে যাক আরো এক ধাপ।

দেশের স্বপ্ন

 খাদিজা বেগম এমন একটা দেশের স্বপ্ন দেখি, যেখানে থাকবে শুধু একটা দেশ আর সেই দেশের জনগণ, থাকবেনা কোন দল, থাকবে না কোন প্রতীক, জনগণ ছাড়া কেউ দেবে না কাউকে নমিনেশন। কেউ করবেনা কোন দলের সেবা কোন ব্যক্তির সেবা শুধু  দেশের সেবা করবে সবে আজীবন, তবেই দেশটা বিশ্ব দরবারে, দাঁড়াবে মাথা উঁচু করে, এসো নতুন নীতিমালা করি প্রণয়ন। দল করে যারা দেশের চেয়ে দলের কথা ভাবে বেশী  তারা, তাই এই দেশটা দলের পদতলে, দলাদলি করে দলে দলে দেশটা আর নিওনা রসাতলে দেশটা এগিয়ে নেবো একত্রে চলে, যদি দল না থাকে চাকরি প্রার্থীদের জন্য আসবে না কল শিক্ষাঙ্গনে থাকবে না সন্ত্রাস, মারবে না আর কোন মায়ের ছেলে বীর বাঙালি আবরার, নিরাপদে থাকবে ছাত্রী নিবাস। দায়িত্বপ্রাপ্ত রাজনীতিবিদ ও কর্মকর্তা, একসাথে থাকবে না কভু বিভিন্ন পেশায় যুক্ত,  এমনটা হলে নিজের দায়িত্ব ভুলে, ভুল পথে চলে বিষাক্ত দুর্নীতিতে হবে অন্তর্ভুক্ত।  প্রত্যেক প্রতিষ্ঠান থেকে, প্রমাণিত দুর্নীতিবাজ অমানুষ, বছর শেষে করতে হবে ছাঁটাই, নইলে এরাই আইন-আদালতকে ঘুড়ির মতো দেবে উড়িয়ে, বিচারককে রাখবে হাতের নাটাই। দল টিকিয়ে রাখতে গিয়ে পুষতে হবে না আর ...