দেশের স্বপ্ন
খাদিজা বেগম
এমন একটা দেশের স্বপ্ন দেখি, যেখানে থাকবে শুধু একটা দেশ আর সেই দেশের জনগণ,
থাকবেনা কোন দল, থাকবে না কোন প্রতীক, জনগণ ছাড়া কেউ দেবে না কাউকে নমিনেশন।
কেউ করবেনা কোন দলের সেবা কোন ব্যক্তির সেবা
শুধু দেশের সেবা করবে সবে আজীবন,
তবেই দেশটা বিশ্ব দরবারে, দাঁড়াবে মাথা উঁচু করে,
এসো নতুন নীতিমালা করি প্রণয়ন।
দল করে যারা দেশের চেয়ে দলের কথা ভাবে বেশী
তারা, তাই এই দেশটা দলের পদতলে,
দলাদলি করে দলে দলে দেশটা আর নিওনা রসাতলে
দেশটা এগিয়ে নেবো একত্রে চলে,
যদি দল না থাকে চাকরি প্রার্থীদের জন্য আসবে না কল শিক্ষাঙ্গনে থাকবে না সন্ত্রাস,
মারবে না আর কোন মায়ের ছেলে বীর বাঙালি আবরার, নিরাপদে থাকবে ছাত্রী নিবাস।
দায়িত্বপ্রাপ্ত রাজনীতিবিদ ও কর্মকর্তা, একসাথে থাকবে না কভু বিভিন্ন পেশায় যুক্ত,
এমনটা হলে নিজের দায়িত্ব ভুলে, ভুল পথে চলে বিষাক্ত দুর্নীতিতে হবে অন্তর্ভুক্ত।
প্রত্যেক প্রতিষ্ঠান থেকে, প্রমাণিত দুর্নীতিবাজ অমানুষ, বছর শেষে করতে হবে ছাঁটাই,
নইলে এরাই আইন-আদালতকে ঘুড়ির মতো দেবে উড়িয়ে, বিচারককে রাখবে হাতের নাটাই।
দল টিকিয়ে রাখতে গিয়ে পুষতে হবে না আর সন্ত্রাস, মাফিয়া, দূর্নীতি, ঘুষখোর, চাঁদাবাজ,
এসো সাহসের সাথে, এসো সত্য পথে, অন্ধকার তাড়িয়ে গড়ি আলোকিত এক সমাজ।
দল ছাড়া ব্যক্তি দাপট শূন্য, তাই কাজের আগে বারবার
ভাববে তার জবাবদিহিতার জন্য,
আসবে সুবিচার, শাস্তি থেকে অপরাধি পাবেনা পার, তাই
ভুল করতে চাইবে না কেহ সামান্য।
উন্নয়নশীল সুষ্ঠু পরিকল্পনায় দক্ষ, সুশিক্ষিত সৎ সাহসী
পরোপকারী জন,
এলাকাভিত্তিক জনপ্রতিনিধি, স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে, বাছাই
করবে এলাকার জনগণ,
একই পদে দুইজন কিংবা তিনজন, প্রতিযোগী প্রার্থীর বেশী থাকার নেই তো কোন প্রয়োজন ,
অবশ্যই আলোচনা সভা হবে, না হবেনা চলার পথ বন্ধ করে মিছিলের আয়োজন।
সংসদে বসে প্রধানমন্ত্রী আর রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হবে, সংসদ সদস্যদের ভোটে ,
কারো সামনে, পিছে, ডানে, বামে থাকবেনা কোন দল,
দেশটা এগিয়ে নিয়ে যাবো একজোটে।
সংসদ সদস্যরা প্রত্যেকেই হবে প্রধানমন্ত্রী হবার প্রার্থী, আবার প্রত্যেকে হবে ভোটার ,
তাই কোনো সংসদ সদস্যের থাকবে না নিজেকে নিজে ভোট দিয়ে জয়যুক্ত করার অধিকার।
তাই নিজের মূল্যবান ভোটটি সেরাদের সেরা ব্যক্তিকে দিয়ে দেশটা ভালবাসতে হবে সবার,
নিজের অর্থ ক্ষমতার মিথ্যে অহংকার চুরমার করে, রক্ষা করিবে অন্যের অধিকার।
নিজের স্বার্থে পুষে রাখা সংকুচিত, কলুষিত মনটা দেশের জন্য করতে হবে উন্মোচিত,
আমরাই ত্যাগী মনোভাব নিয়ে সুনীতির কলমে, দুর্নীতিমুক্ত সুশাসন করবো রচিত।
দেশটা হবে আমাদের প্রাণের প্রিয় জন্মভূমি মা, আর আমরা বাংলাদেশিরা হবো ভাই, বোন,
চলবেনা আর গুম, খুন, ধর্ষণ, অটুট রাখবো আমরা আমাদের দৃঢ় ভাতৃত্বের এই বন্ধন।
মানবতার বন্ধনে আবদ্ধ থাকবো, একে অন্যকে আগলে রাখবো, একে অন্যকে দেখাবো সম্মান।
কোথায়ও কেউ রবেনা অধিকার বঞ্চিত, সবাই পাবে খাদ্য, বস্ত্র, চিকিৎসা নিজের বাসস্থান।
রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর ছাড়া, বাংলাদেশের প্রত্যেক ব্যক্তি প্রত্যেক ব্যক্তির বিরুদ্ধে অভিযোগ আনতে পারবে সাক্ষ্য-প্রমাণসহ করে, আদালতে অভিযোগ দায়ের করতে পারবে,
অভিযোগকারীর মনে রাখা ভাল, যে মিথ্যে অভিযোগ করলে তাকে অবশ্যই শাস্তি ভোগ করতে হবে, আর সত্যি অভিযোগ করলে তাকে পুরস্কৃত করা হবে।
প্রত্যেকের মনে রাখা ভাল যে আদালত ছাড়া কেউ কারো বিচার করতে পারবে না।
পারিবারিক দ্বন্দ্ব পারিবারিকভাবেই মেটানোর চেষ্টা করবেন, তা নিয়ে আদালতে না আসায় ভালো।
আমি বড় বড় নেতাদের মতো বলবো না, আমি প্রধানমন্ত্রীত্ব চাই না, আমি চাই, 100 বার চাই, বাঙালি হতে চাই, কোন দলীয় লোক হতে চাইনা কোন দলের পরিচয় দিতে চাই না, আমি কারো কাছে একটি ভোটও আশা করি না, কারণ আমি একটি ভোটের দায়িত্বও পালন করতে সক্ষম নই।
হে আমার ঝাড়ুদার ভাই বোনেরা তোমরা যারা বাংলাদেশের রাস্তা ঝাড়ু দিয়ে পরিষ্কার রাখ তোমাদের কাছে এমন ছবি আছে চাঁদে বাংলাদেশের দুর্নীতিবাজ ফেলে দেওয়া যায়।
হে আমার ডক্টর ভাই-বোনেরা তোমাদের কাছে কি এমন চিকিৎসা আছে যা দিয়ে বাংলা মাকে দুর্নীতির মত অভিশপ্ত রোগ থেকে সুস্থ রাখা যায়।
আমার অস্ত্রধারী ভাই ও বোনেরা আমরা কেন বাংলা মায়ের বুকে ঠেকিয়ে দুর্নীতিবাজদের দুর্নীতিবাজদের প্রটেক্ট করো কেন তোমাদের কি বিবেক বুদ্ধি নাই এদেশের মাটিতে জন্ম নিয়েছে দেশের মানুষের কি করছো
((তবুও একদল দুর্নীতিবাজ লোকেরা প্রশ্ন করবে, দল ছাড়া কি কোন দেশ পরিচালনা করা যায়?
তাদেরকে বলে দাও, আমরা বাঙালি, এটা আমাদের বাংলাদেশ, আমরা কাউকে অনুসরণ করি না, যদি অনুসরণ করতাম, তবে এই পৃথিবীর বুকে একুশে ফেব্রুয়ারি, মানে মাতৃভাষার এত মর্যাদা থাকত না।))
Comments
Post a Comment