Posts

Showing posts from June, 2022

ভন্ড

 ভন্ড     খাদিজা বেগম আমাদের দলপতি চালাক অতি  সবাই জানি ভন্ড নাম্বার ওয়ান । বুক ফেটে যায় মুখ ফোটে না কেউ হারাতে চায় না কারো জান ।। তবুও হারিয়ে যায় প্রতিবাদী গণ আমরা যারা ভাবি আছি তো বেশ । এই বেশ বেশ নয়,এ যে অবক্ষয় নীরবতা আনবে ডেকে মহা ক্লেশ ।। আজ অন্যের ছেলে হচ্ছে গুম ,খুন কাল হবে আপনার ছেলের পালা । আজ অন্যের মেয়ে, বোন হচ্ছে ধর্ষণ কাল কি দিয়ে জুড়াবে আপন জ্বালা।। যার হারায়,সে বুঝে হারাবার ব্যাথা হারাবার পালা আপনারও নিকটে। এড়িয়ে যাবেন না অন্যের বিপদে আপনার বিপদও লুকানো পকটে ।। আসুন একত্রে মোরা প্রতিবাদ করি যেখানে অন্যায় সেখানেই প্রতিবাদ। আজ থেকে ভেঙ্গে দেবো একে একে  অন্যায় কারীদের সব কালো হাত ।। সুন্দর একটা প‌ৃথীবি রেখে যেতে চাই আমাদের আগামী প্রজন্মের জন্য। যেখানে থাকবে শুধু ভালবাসাবাসী একে অন্যকে ভালবেসে হবে ধন্য ।।

সীমানা

 সীমানা খাদিজা বেগম  চোখ থাকলেই সব কিছু দেখতে নেই নেই মুখ থাকলেই যা খুশী তাই বলতে, হাত থাকলেই সব কিছু ধরতে নেই নেই পা থাকলেই সকল পথে চলতে। মানতে হবে সৃষ্টিকর্তার আদেশ, নিষেধ সীমার মাঝে রাখতে হবে চোখের দৃষ্টি , কথায় ঝড়ে ভাঙ্গেনা যেন কারো হৃদয় নামে না যেন কারো চোখে দুঃখের বৃষ্টি। মানুষের হাত থাকে মানব সেবায় আর অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদী হাতিয়ার, মানুষ হয়ে জন্ম নিয়ে কেউ করো না শয়তানি কাজে পবিত্র হাতের ব্যবহার। পা বাড়াবে না চুরি, ডাকাতি, চাঁদাবাজি মানব পাচার, অর্থ পাচারের মতো কাজে, ফেরেস্তার চেয়ে শ্রেষ্ঠ নাকি পশুর চেয়ে নিকৃষ্ট  নিজ পরিচয় প্রকাশ হয় নিজ কাজের মাঝে।

জোচ্চুরি

 জোচ্চুরি খাদিজা বেগম  না ফুটিতে ভালবাসার ফুল ছিঁড়ে নিলে তার মঞ্জুরী, মোর বিশ্বাসে বিষ মাখিয়ে তুমি করো তাই জোচ্চুরি। আমি এখন তোমার চোখে খুব অসহ্য,বিবর্ন,বিশ্রী, তোমার চোখে অন্য কেহ খুব মনোহর, সুন্দর, সুশ্রী। আমি এখন তোমার মুখে অচল,আতুর,অসৎ,অধম, তোমার মুখে অন্য কেহ খুব চপলা, চঞ্চল, সাধু,উত্তম। তোমার হাতের আঘাতে আজ আমি হলেম ক্ষত বিক্ষত, তোমার হাতের আদরে কেউ স্বপ্নে বিভোর অবিরত। আজ বেমানান তোমার পাশে অসহনীয় আমি কুশ্রী, আজ অন্য কেউ তোমার পাশে ভাগ্যবতী লাবন্য শ্রী। থাকো থাকো সুখে থাকো করবো না আর অভিযোগ, দুঃখ গুলো আমার থাক তুমি করো সুখ গুলো ভোগ। কেঁদে কেঁদে আমার দু'চোখ হয়ে যাক কষ্টের নদী, আরাম আয়েশ করো তুমি খুশি থাকো নীরবধী। জেগে জেগে চিরতরে ঘুমিয়ে থাক আমার আঁখি, চাওয়া পাওয়া মিটে যাবে থাকবে না আর কিছু বাকি।

তুমি আমার চাঁদ

 তুমি আমার চাঁদ 🌙 খাদিজা বেগম  তুমি আমার বাবা মাগো,  তুমি আমার মা,  আমি যেন বাবার মত তোমায় হারাই না। বাবা ছিল দিনের সূর্য  তুমি আমার চাঁদ, তোমার আলোয় পার হবো মা আমার আঁধার রাত। তুমি আমার জান্নাতের সুখ  আর কিছু চাই না।। তোমার ঋণে ঋণী আমি  অনেক ঋণ জমা, মাফ করে দাও মাগো আমায় করে দাও ক্ষমা। এই জীবনে আমি তোমায়  হারাতে চাইনা।। ফুলের চেয়ে সুন্দর তুমি ঢেউ হতে চঞ্চল, তোমার ছোঁয়ায় ফিরে আসে  আমার মন বল। কোথাও কেউ পাবেনা মা  তোমার উপমা।।

মুহাম্মদ

 মোহাম্মদ খাদিজা বেগম  আমার নবী তোমার নবী  প্রিয় নবীজি মুহাম্মাদ, সব নবীদের সেরা নবী  শ্রেষ্ঠ নবীজি মুহাম্মাদ।। নবীর দুশমন আমার দুশমন  নইলে আমি নই মুসলমান, সবার আগে নবীর সম্মান  পরে আমার তুচ্ছ পরান। যার কাছেতে প্রথম এলো  পবিত্র কুরআনের আয়াত, সব মানুষের সেরা মানুষ  আব্দুল্লাহ বিনতে মুহাম্মাদ।। নবীর আঘাত আমার আঘাত  নইলে আমি নই তার উম্মত,  প্রয়োজনে জীবন দেবো   তবু করবো তার প্রতিবাদ।। শেষ বিচারে থাকবে শুধু  প্রিয় নবীজির শাফায়াত, সব উম্মতের শ্রেষ্ঠ উম্মত  আমরা উম্মতে মুহাম্মাদ।। প্রিয় হতে আরো প্রিয়  সবার প্রিয় নবী হযরত, তারে নিয়ে করলে ঠাট্টা তার উপরে পরবে লানত। নোংরা কথায় যারা করে নবীজির সম্মানে আঘাত, তাদের জিহ্বা খসে পরুক মুখে আগুন জ্বলুক দিনরাত। জেনে রেখো মূর্খ মানুষ  করলে নবীর বিরোধিতা, জাহান্নামে জ্বলবে তুমি  এ নহে তো মিথ্যে কথা। এই নবীকে যে করিবে তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য অপমান, সেই পাপীষ্ঠ অভিশপ্ত   মানব রুপি ঘৃণ্য শয়তান। দুনিয়া ও আখেরাতে  সে যে হবে খুব লাঞ্ছিত, সৃষ্টিকর্তার সাক্ষাৎ ...

অদম্য

 অদম্য খাদিজা বেগম  যদি কেউ অদম্য আশা পুষে- রাখতে পারে তার মনে, তারে কেহ দমাতে পারবে না- সবাই হারবে তার সনে। সে এগিয়ে যায় তার মত- ভাগ্য হোক যতই বৈরী দৃঢ় বিশ্বাস রেখে নিজের- পথ নিজেই করে তৈরি, ক্ষুধা-দারিদ্র্যতার যন্ত্রণা- তার সাথে কেউ পারবেনা, শীত-গ্রীষ্ম আর বর্ষাতেও- সে কারো সাথে হারবে না। শীতের কুয়াশা ভেদ করে সে- সূর্যের মতো উঠবে জ্বলে, রোদে পুড়ে না অদম্য আশা- ভিজে না বৃষ্টির জলে। সে কারো ধার ধারে না আর- ছাড়ে না অদম্য আশা, তার স্রষ্টার প্রতি রাখে সে- শ্রদ্ধা ভরা ভালোবাসা। অনায়াসে বয়ে বেড়ায় সে- সহস্ত্র কষ্টের ক্ষত, উত্তাল ঢেউয়ের মতো ছুটে- বেড়ায় সে অবিরত। নিজে নিজে নিয়েছে শপথ- কিছুতেই হবে না ভ্রান্ত, তার লক্ষ্যে সে না পৌঁছে কভু- নিজেকে রাখবেনা শান্ত। তার পথে আসে যত বাঁধা- ভেঙে করে চুরমার, পরিশ্রম, ধৈর্য, নৈতিকতায়- নিজেকে গড়ে দুর্বার মরণেও সে মরে না থাকে- কর্মের মাঝে জীবিত,  কোন অর্থ ক্ষমতায় নয়- সে সততায় গর্বিত।

বেতমিজ

 বেতমিজ খাদিজা বেগম  বেতমিজ সে তো বেতমিজ এ মন আমার খুব বেতমিস, আমি যারে ভুলে থাকি  সে তো তারেই করেছে মিস।। আমি যারে ঘৃণা করি  সে তো তারেই ভালোবাসে, যারে দেখে ছাই হয়ে যাই  সে তো তারে দেখেই হাসে। যার কারণে বুক সাহারা  সদা বোনে তার প্রেমের বীজ, আত্মসম্মান বোধ টুকু সব তার কাছে করেছে নিচ। সর্বনাশের ভয়ে আমি  যাহার থেকে থাকি সরে, সে তো তাহার কাছে গিয়েই আমার সর্বনাশ তা করে। আমি যারে ভাবি পরপর  তারে আপন করে দেয় কিস, তার ভাবনাতেই ডুবে থাকে  আমাকে ভুলে অহর্নিশ। আমার মাঝে নেই তো আমি  কোথাও নাই আমার হদিশ, মনের ঘরে যত্ন করে  তার নাম জপে সদা ফিসফিস। বুঝাইলে সে বোঝেনা যে  মানতে চায় না কুরআন হাদিস, তার কারণে পান করেছি  জেনে শুনেই প্রেমেরি বিষ।

কবিতা

 কবিতা খাদিজা বেগম  আমি কবিতার রানী আর- কবিতা আমার রাজা, কবিতাতে মিশে রতে লাগে- আমার অনেক মজা। কবিতা মোর খেলার সাথি- খেলি তাতে দেবারাতি, আমি দুঃখ, কষ্ট সব ভুলে- কবিতার সুখে মাতি। কবিতার গায়ে মেখে রাখি- নানান রঙের ছন্দ, সেই রঙে রঙিন হয় মন- জীবনে বয় আনন্দ। মন্দ মানুষও বন্ধু আমার- শত্রুতা কারো সাথে নাই, মন্দ পথ ছেড়ে এসো বন্ধু- ভালো পথে চলব সবাই। শেষ করে দাও মিথ্যে রাজত্ব- হয়ে যাও সত্যের রাজা, শাসন করো সঙ্গের অঙ্গ- বিদ্রোহ করলে দাও সাজা। চোখে যেন না দেখে কখনো- অশ্লীল নোংরামি দৃশ্য, মুখ যেন মিথ্যে বলে বলে- তোমাকে না করে নিঃস্ব। কান যেন না শুনে অশ্রাব্য- শ্রুতিকটু ঘৃণ্য কথা, বন্ধু এমন জীবন গড়াবে- যা কাউকে দেবেনা ব্যথা। আমি কবিতাতে কথা বলি- কবিতাতে গাহি গান,  আমি কবিতার মাঝে খুঁজে- পাই যন্ত্রনা হতে ত্রাণ। সে কবিতা আমায় দিও না- তোমার বিরহ সাজা, তুমি ছাড়া হব দিশেহারা- আমি হব ভাজা ভাজা। আমরা যারা বর্তমানে আছি- ভবিষ্যতে হব গত, লোভ লালসার কাছে কভু- আমরা কেউ হবোনা নত। আমাদের পূর্বপুরুষেরা- প্রত্যেকেই দিয়েছে পারি, ও বন্ধু, আমাদের কেউ যেতে- হবে এই দুনিয়া ছাড়ি। অহংকারীদের করি ...