Posts

Showing posts from May, 2023

জান্নাতের পাখি

 জান্নাতের পাখি খাদিজা বেগম  আমার কোলে এসেছিল জান্নাতের এক পাখি, খুব আদরে পুষতাম তারে তবু দিল ফাঁকি।। খাবার তুলে মুখে দিতাম আমি আমার হাতে, চোখে চোখে রাখতাম তারে সদা দিনেরাতে। তবু গেছে পাঁজর ভেঙে কষ্ট কোথায় রাখি?? সেই পাখিটা ছিল আমার দুই নয়নের আলো, পাখি ছাড়া দিশেহারা সবি দেখি কালো। তবু পাখির নাম ধরিয়া কান্দে আমার আঁখি।। বুকের মাঝে ঘুম পাড়াইতাম ঘুম পাড়ানী গানে, সেই বুক আমার ডুবে গেছে তার বিরহের বানে। আয় ফিরে আয় সোনা ।মুখি  তোরে ছুঁয়ে দেখি।।

মানুষ যদি চেনা যাই তো

 মানুষ যদি চেনা যাই তো খাদিজা বেগম  মানুষ যদি চেনা যাই তো  মানুষের রূপ দেখে, মানুষগুলো পালায়িত  অমানুষের থেকে। শুনে যদি বুঝা যেত  সত্য, মিথ্যার কথা, মুখের কথায় ভাঙতো না মন  কেউ পেতনা ব্যথা। সত্য কথা আকড়ে থাকতো  মিথ্যা কথা রেখে।। মানুষে আর অমানুষের  চলছে একটা লড়াই, ক্ষণিক সুখ পাবার জন্য  করছে মিথ্যা বড়াই। সত্য থেকে বিমুখ ওরা  থাকে মিথ্যা মেখে।। সত্য দেখেও দেখেনা যে  না দেখার ভান করে, তাহার চক্ষু সাক্ষী দেবে  তাহার সাজার তরে। মানুষ হইলে শিক্ষা পেত চার পাশের লাশ দেখে।। চেনা জানা কত জনার লাশ দেখেছে চোখে, মিথ্যা নেশায় মাতাল কেন  তাও জানে না লোকে? ছাড় পাবে না তুমি তোমার  আপন কর্ম থেকে।।

যখন আমি

 যখন আমি খাদিজা বেগম  যখন আমি হাত পেতেছি  তোমার জন্য সুখ প্রার্থনায়, তখন তুমি ষড়যন্ত্রে লিপ্ত দুঃখ দিতে আমায়। তাই বুঝি গো হাসছো তুমি  কেঁদেই চলছি আমি দুঃখী, তবু আমার এই সান্তনা আমি তোমায় দেখছি সুখী। আমার প্রতি উদাস ছিলাম  মনে রাখতে গিয়ে তোমায়।। যখন আমি কেঁদেছিলাম  তোমার জন্য সেজদায় পড়ে, তখন তুমি ফাঁদ পেতেছ  আমার জন্য যত্ন করে। তাইতো আমি বিপদে আজ তোমার চলছে খুশীর সময়।। যখন আমি মলম মেখে  দূর করিলাম তোমার ক্ষত, তখন তোমার হিংসার ছুরি মারলে বুকে শত্রুর মত। তবুও আমি মগ্ন আছি  বন্ধু তোমার মঙ্গল চিন্তায়।।

বরফ পাহাড়

 বরফ পাহাড় খাদিজা বেগম  জীবন আমার বরফ পাহাড়  চার দেয়ালের অন্ধকারে, গলে ও না চলে ও না বন্দি করে আমায় মারে। গললে বরফ আমি হইতাম ছুটে গিয়ে সাগরের ঢেউ, চললে জীবন চলে যেতাম  আমার নাগাল পেতনা কেউ। মুক্তি পাওয়ার এই আর্তনাদ বারে বারে তোমার দ্বারে।। একটি দিনও চলে নি তো  আমার জীবন আমার মতো, না সারিতে পুরানো ঘা  নতুন নতুন করছো ক্ষত। জীবন আমার ভাল্লাগে না  পায়ে পইরা কই তোমারে।। রাখার মতো রাখো আমায়  সয়না এত অবহেলা, নইলে আমায় তুলিয়া লও আর কান্দাইওনা সারা বেলা। আমি একজন মহা পাপী  ক্ষমা কইরা দাও আমারে।।

কচ্ছপ

 কচ্ছপ খাদিজা বেগম  কচ্ছপ হয়ে মুখ লুকিয়ে  বাঁচতে চাই না শত বছর,  বাঁচার জন্য অনেক বেশি  বিদ্রোহীদের একটি প্রহর। ইঁদুর হয়ে বাঁচতে চাইনা  মৃত্যুর ভয়ে অন্ধকারে,  মানুষ হয়ে মরিতে চাই  ভয়ের সাথে যুদ্ধ করে। নিজের বলে রাখবো ধরে  আলো ভরা একটা অন্তর।। সত্য আমার জীবন পাখি  সাহস আমার দেহের মাথা,  মাথা থাকতে হারাবে না  কোনদিনও মোর সততা। কাউকে দেবো না এই সততা  ভাঙলে ভাঙুক বুকের পাঁজর।‌। সত্যবাদীর বন্ধু আমি  মিথ্যাবাদীর জন্য দুষমন, সুবিচারের যাতা কলের  দুর্নীতি কে করবো দমন। গরিব, দুঃখীর জন্য আমি  একজন আদর মাখা চাদর।।

যুদ্ধ দেখি নাই

 যুদ্ধ দেখি নাই খাদিজা বেগম  একাত্তরের সেই দিন আমরা  অগ্নি যুদ্ধ দেখি নাই, আজ দেখেছি পণ্যের দামে   গরিব দুঃখী পুড়ে ছাই। ট্যাংয়ের মুখে পরি নাই তো  করি নাই তার ভয়ে চিৎকার, সিন্ডিকেটের মুখে পরে আজ আমাদের হাহাকার। বন্দী আমরা ওদের হাতে  আজো আমরা মুক্তি চাই।। দেখি নাই সেই পাক হায়েনাদের  আজ দেখেছি চাঁদাবাজ, স্বাধীনতা ওদের হাতে  তাই তো জিম্মি এই সমাজ। স্বাধীনতা স্বাধীনতা  আজো আমরা তোমায় চাই।। ৫২ সালের সেই আন্দোলন আমরা দেখি নাই চোখে, বেঁচে থাকার আন্দোলনে আজ মরেছি শীর ঠোকে। কু রাজনীতির যাতা কলে পৃষ্ট হচ্ছি এই আমরাই।।